নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।
সকালে মেইল বক্স খুলে ব্রাউন খামটা হাতে পেয়েই বুকটা ধড়ফড়িয়ে উঠলো। লাল না নীল না একিবারেই ব্রাউন খাম!! কানাডার ব্রাউন খাম মানে সরকার বাহাদুর আপনাকে স্মরণ করছে। এবং সে স্মরণ সাধারনত সুখকর কোন স্মরণ না। চিঠিটা হাতে পেয়েই দুরুদুরু বুকে ভাবতে লাগলাম গত দুই সাপ্তাহে কোন আকাম কুকাম করেছি কিনা!! নাহ্ তেমন কিছুইতো মনে পড়ছে না, আমি যতদূর জানি আমি নিতান্তই আলাভোলা ভালো মানুষ!!
যাহোক, অনেক সাহস সঞ্চয় করে চিঠি খুলতেই বেড়িয়ে আসলো আমার চমৎকার দুইখান ফটোগ্রাফ! আমি দারুনভাবে রেড লাইটের উপর গাড়ি চালাচ্ছি! একটি ছবিতে স্পষ্টই আমাকে দেখা যাচ্ছে আর আরেকটিতে আমার গাড়ির নাম্বার প্লেট! (আগে জানলে আরেকটু সাজুগুজু করে গাড়ি চালাতাম)। আর সাথে সোনার অক্ষরে লিখা একটি চিঠি যেখানে বলা হয়েছে যে ১.০৮ সেকেন্ড লাল বাতির উপর গাড়ি চালানোর অপরাধে আপনাকে ৩২৫ ডলার + ট্যাক্স জরিমানা করা হইলো!! এখন আপনার জন্য তিনখান পথ খোলা!
নাম্বার ওয়ান পথ: ভালোই ভালোই সরকারী কোষাগারে উক্ত টাকা জমা দেন!
নাম্বার টু পথ: চাইলে সরকারী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনী পক্রিয়া চালাইতে পারেন।
নাম্বার থ্রি: মাপ চাহিয়া আদালতে নির্দিষ্ট সময়ে হাজিরা দেন। মাননীয় আদালতের কাছে আপনার আকুল আবেদন পেশ এর নিমিত্তে তা বিবেচনায় আনা হইবে। ও পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হইবে।
আমি পড়ি কি মরি করিয়া নাম্বার থ্রি টিক চিহ্ন দিয়া আদালত পানে ছুটিলাম পরেরদিন। গুগুল ম্যাপে এড্রেস দিয়ে আদালত এরিয়ায় পৈাছালাম ঠিকই কিন্তু গাড়ি রাখার জন্য কোন পার্কিং চারপাশে খুঁজে পেলাম না। এখানে সেখানে যা দু'একটা পার্কিং পেলাম তা ফুল, কোথাও ঠাঁই নাই। অনেক কষ্টে একটা পাবলিক পার্কিং লটে ঢুকে চিতা বাঘ যেমন শিকার ধরে তেমনি উৎ পেতে থাকলাম কোন গাড়ি বের হলেই ঢুকবো। যাহোক, ঘন্টা খানেকের কসরতের পর একটা গাড়ি বের হলো ও একটা জায়গা পেলাম। সমস্যা হলো গাড়ি রেখে টিকেট কেটে গাড়ির ডিসপ্লেতে রাখতে হবে। চারপাশে খুঁজে পার্কিং টিকেট এর মেশিন দেখে ছুটলাম সেখানে। তাড়াতাড়ি ক্রেডিট কার্ড পাঞ্চ করে টিকেট প্রিন্টিং এর যেই বাটন টিপ দিলাম দেখলাম টিকেট বাবাজি অর্ধেক বের হয়ে আর বের হয় না।
এদিকে আমি ঘড়ি দেখছি, আদালত ৫ টায় বন্ধ, তার আগেই পৈাছাতে হবে। আর অর্ধেক বের হওয়া টিকেট ধরে টানাটানি করছি। বেশী জোড়েও টানতে পারছি না যদি ছিড়ে যায় আবার আস্তে টেনেও বের করতে পারছি না। সে এক ইলাহী কান্ড! কিন্তু নাহ, আমার সকল চেস্টাকে ব্যার্থ করে টিকেট বাবাজি কোনভাবেই বের হচ্ছে না। পার্কিং মেশিনে টানাটানি থাপড়া থাপড়ি সমানে চালাতে লাগলাম। এদিকে আবার যে কেডিট কার্ড দিবো তারও উপায় নাই কারন প্রিন্টই তো কাজ করছে না। আর এভাবে টিকেট না কেটে গাড়িও রেখে যেতে পারছি না। কারন টিকেট না কাটলে কম করে আড়াইশ ডলার জরিমানা। কি ঝামেলায় যে পড়লাম!
আমার এরকম টানাটানি থাপড়া থাপড়ি সম্ভবত: সিসি ক্যামেরায় দেখে এক পার্কিং পুলিশ দেখি পো পো করতে করতে হাজির।
এনি প্রবলেম? জানতে চাইলো।
তাহাকে সব কিছু বলার পর সে নিজের পকেট থেকে মোবাইল টিকেট কাটার মেশিন বের করে টিকেট হাতে ধরায়ে দিলো। সেটা নিয়ে দৈাড়াতে দৈাড়তে গাড়িতে রেখেই ছুটলাম আদালতের পানে।
কিন্তু হায় কোথায় আদালত! গুগুল ম্যাপে দেখাচ্ছে যে রাজকীয় বিল্ডিংটা সেখানের সব দরজা জানালা বন্ধ, চারপাশে শুনশান নিরবতা। আমি আবার হাটা ধরলাম কারন মনে মনে দেশের আদালতের কথা চিন্তা করে ভাবলাম এটা কোনভাবেই আদালত হতে পারে না। আদালত মানেই ভীড় ভাট্টা হৈচৈ.... এতো নীরব কোনভাবেই হতে পারে না। চারপাশ হেটে আবারো সেই একই বিল্ডিং এর সামনে আসলাম, গুগল ম্যাপ এটাই দেখাচ্ছে। কিন্তু কাউকে যে জিজ্ঞাসা করবো সেরকম কাউকেইতো দেখছি না আশেপাশে! অনেক খুঁজে একটু দূরে একজন ভিক্ষুক যাকে এখানে হোমলেস বলি তাকে পেয়েই দৈাড়ে গেলাম। তাকে বলতেই সে একই রাজপ্রাসাদ ই দেখিয়ে দিলো। আমি একটা অবাক হতেই সে হেসে বললো বিশ বছর ধরে এখানে আছি। তুমি দরজার কাছে একটা বেল দেখবা. সেখানে টিপলেই গার্ড দরজা খুলে দিবে।
তার কথায় আস্বস্ত হয়ে ছুটলাম দরজার দিকে কারন প্রায় সারে চারটা বাজে। পাঁচটায় আদালত বন্ধ তা গুগুল ম্যাপ দেখাচ্ছে। কলিং বেল টিপতেই উর্দি পড়া অতি বৃদ্ধ গার্ড দরজা খুলে দিলো। আয়েশ ভঙ্গীতে কি চাই জানতে চাইলো, মনে হলো যেন রাজার বাসার দাড়োঁয়ান গেইটে ইন্টারোগেট করছে। আমার আর্জি শুনে তবেই ডিসিশান নিবে রাজার কাছে পাঠানো যায় কিনা। বল্লাম, পার্কিং টিকেটের জরিমানার আদালতে যাবাে। বৃদ্ধ গার্ড অতি আস্তে আস্তে বললো, চিঠি দেখাও? আমি তাড়াহুড়া করে ব্যাগ থেকে চিঠিটা তার হাতে দিলাম। আমি যতই তাড়াহুড়া করি না কেন সে অতি ধীরে ধীরে চিঠিটার প্রতিটি ভাজ একটা একটা করে খুললো। যেন সে রাজকীয় ফরমান পেয়েছে, দ্রুত খুললেই তার আনন্দ ফুরিয়ে যাবে। এদিকে আমি বার বার ঘড়ি দেখছি আর অস্থির ভঙ্গীতে উঁশখুঁশ করছি।
এক সময় তার চিঠিতা পড়া শেষ হলো, তারপর অনেক সময় নিয়ে ধীরে ধীরে আমার দিকে তাকালো। এরপর নিজের ঘড়ির দিকে একবার তাকালো, হয়তো সময় শিউর হবার জন্য পাশের দেয়ালের ঘড়ির দিকে তাকালো। তারপর অতি আস্তে আস্তে বললো, আদালতের সময় শেষ তুমি কালকে আসো।
মানে কি? আমি কিঞ্চিত রাগে ও যথেস্ট হতাশ হয়ে বল্লাম, আদালত পাঁচটা পর্যন্ত খোলা এখন সারে চারটা বাজে। সে সম্পূর্ন আমাকে ইগনোর করে বললো, অফিস পাঁচটা পর্যন্ত খোলা ঠিক আছে কিন্তু সারে চারটায় পাবলিক ডিলিংস বন্ধ করা হয় যাতে তারপর অফিসিয়াল কাজ করতে পারে! তুমি আরেকদিন আসো, বলেই বন্ধ করার জন্য দরজা প্রায় টানাটানি শুরু করলো।
মেজাজ খারাপ করে সেখানেই দাড়িঁয়ে থাকলাম কিছুক্ষন!!
কোর্টের দু'টি ছবিই আমার তোলা!
১২ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:৫৭
সোহানী বলেছেন: হাহাহা.... ছবিটা খুব সুন্দর আসছে না!! আমারটাতো কিন্তু দারুন আসছে যদিও সাইড থেকে, তারপরও ছবি বলে কথা!
গাড়ি চালানোর সময় ফোন ধরার দরকার কি! ব্লুটুথ অন করে গাড়ির সাথে কানেকশান নিয়া নেন।
আর ৫ ডিমেরিট পয়েন্ট!! বলেন কি?? কি আকাম করছিলেন সাথে!!! কানাডায় রেডলাইটে কোন ডিমেরিট পয়েন্ট নাই। এমন কি ইন্সুরেন্সেরও ঝামেলা নাই। এইটা একটা ভালো দিক। আমার এক বান্ধবী আছে মাসে বার দুয়েক ধরা খায়, তারপরও রেডলাইটে চালানো বন্ধ করে না..............
২| ১২ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:৪৯
হাবিব বলেছেন: লেখাটি কি এখানেই শেষ? তারপর কি হলো??? জানার জন্য মনটা অস্থির হয়ে আছে। তাড়াতাড়ি বলেন
১২ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:৫৮
সোহানী বলেছেন: হাহাহা.... পুলিশ ছুইলে আঠারো ঘা!! এতো সহজে মাফ নাইরে ভাই!!!
৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:৫২
চাঁদগাজী বলেছেন:
নিউইয়র্ক শহরের জাজরা ১ পয়সাও মাফ করেনা; যারা কোথায়ও চাকুরী পায় না, তাদের গতি হয় ট্রাফিকে।
১২ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:০১
সোহানী বলেছেন: আগে এতো ঝামেলা করতো না কিন্তু এখন কানাডায় নতুন নিয়ম হয়েছে ট্রাফিক জরিমানার ৩৫% সেই ট্রাফিক পুলিশ পাবে। যার কারনে বহুত ঝামেলাম মাঝে থাকি। বিশেষ করে পার্কিং আর যেখানে সেখানে করা যায় না। মূহুর্তেই ওরা হাজির হয়ে যায় ঠিক ভুতের মতো।
তবে কানাডায় ট্রাফিক পুলিশ এর জব হাই ডিমান্ডেবল।
৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৩৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,
কেন যে বিদেশে গেলেন! আমরা কি আরামে আছি দেশে! লালবাত্তি - নীলবাত্তি- সবুজবাত্তিকে বুড়া আঙুল দেখিয়ে মায় রাস্তায়
বাসের জন্যে দাঁড়ানো দুচারটা বেআক্কল পাবলিককে ধাক্কা দিয়েও কিছু হয়নি এমন ভাব নিয়ে হুশ করে গাড়ী নিয়ে বেড়িয়ে যেতে পারি। যদি কপাল একান্তই খারাপ হয়ে পুলিশের খপ্পরে পড়ি তবে চা-পানির পয়সায় ম্যানেজ হয়ে যায়।
কোনও প্যারা নেই, শান্তিই শান্তি.....
ইনহাস্ত ওয়াতনম!
১২ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:২১
সোহানী বলেছেন: এইটাই আসল কথা! কি সুখে যে ছিলাম দেশে। আইন কানুন এর ধার ধারে না কেউ! পয়সা আছে তো দুনিয়া আপনার গোলাম!!
কিন্তু দেশে যে আইলাম স্বয়ং মন্ত্রী এমপি লাইনে দাঁড়ায়ে বাজার করে, নিজে ড্রাইভ করে কারন ড্রাইভার রাখার পয়সা নাই, হাড়ি-পাতিল নিজে মাজে কারন বুয়া রাখার সামর্থ্য নাই ....! এইটা কিছু হইলো!!!
"ইনহাস্ত ওয়াতনম!". এইটা কি জিনিস আবার!!!
৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:০১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আদালত তো দেখছি পুরাতন রাজকীয় আমলের দারুণ কারুকার্যময়। যাক অভিজ্ঞতা হলো। সামনে সতর্ক থাকবেন।
১২ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:২২
সোহানী বলেছেন: জ্বী আসলেই রাজবাড়ি। সতর্ক হইছি তবে কিছুদিনের জন্য
৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:১৬
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ৩২৮ কানাডিয়ান ডলার মানে সৌদী রিয়ালে হাজার খানেক রিয়াল। এখানে সৌদীতে লাল সিগন্যাল ভাঙ্গলেই ৩০০০ রিয়াল জরিমানা। ৩০ দিনের মধ্যে টাকা না দিলে ডাবল হয়ে যায় (যদিও শুনেছি যে এটা নাকি এ বছর থেকে বন্ধ করা হয়েছে)।
আমি এখন পর্যন্ত বাধ্য হয়ে ৩বার ক্রস করেছি। পিছনে এম্বুলেন্স ছিলো; জায়গা ছেড়ে দিতেই এমন করা। কখনও ফাইন আসে নি।
১২ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:২৪
সোহানী বলেছেন: আসলে ঠিক ৩২৮ ডলার সবার জন্য নয়। এটা অনেক কিছুর উপর ডিপেন্ড করে। এখানে ও সময়মত পে না করলে ডাবল প্রায়। কিন্তু এম্বুলেন্স এর জন্য ক্রস করলে জরিমানা নেয় না। ওই যে বল্লাম এটা ডিপেন্ড করে।
৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:২৮
কামাল১৮ বলেছেন: দুঃখের কাহিনী কিন্তু লিখেছেন খুব সুন্দর করে।সিসি ক্যামরা যে কোথায় থাকে দেখাও যায় না।
১২ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:২৫
সোহানী বলেছেন: সিসি ক্যামেরাতো প্রতি কোনায় কোনায় থাকে। কোন এরিয়া যাতে বাদ না পরে।
৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৩০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: যেদিন শনি লাগে সেদিন চারিদিক থাইকা শনি আসা শুরু করে।
যাক পরে কী মীমাংসা হইছিলো
১২ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:২৬
সোহানী বলেছেন: শনি রবির দশা সবসময় লাগে যদি অমনোযোগী গাড়ি চালাও। এখনো মীমাংসা হয় নাই, মামলা ঝুলছে!
৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৪২
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার শনির দশা অত্যন্ত চমতকার ভাবে তুলে ধরেছেন। আপনার শনির দশায়- অসাধারন কিছু অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। +
১২ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:২৮
সোহানী বলেছেন: এখানে রেড লাইট ক্রস করা সবচেয়ে কম শাস্তির অপরাধ। যদিও সব রেড লাইটে ক্যামেরা থাকে না। ধরেন আমি দশবার এ কুকাম করার পর ধরা খেয়েছি একবার.......
১০| ১২ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:১৫
অপু তানভীর বলেছেন: এই জন্য বলি বাংলাদেশে চলে আসেন । আর যাই হোক সামান্য ট্রাফিক আইন না মানার জন্য এতো টাকা জরিমানা তো গুনতে হবে না এতো প্যারাও সহ্য করতে হবে না ।
১২ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৩২
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা....... জী ভাইরে দেয়া উত্তরটা দেখো!
টাকা থাকলে বাংলাদেশের মতো শান্তির জায়গা আর নাই। কিন্তু সমস্যা ট্যাকা পয়সাতো নাই রে ভাই। তাই এখানে কামলা খাটি....... আর প্যারা সহ্য করি
১১| ১২ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৪৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমাদের জেলা আদালতেইতো উকিল, মুহুরী,পুলিশ, দালাল,তামশগির মিলিয়ে হাজার তিনেক লোক সব সময় গম গম করে। সেই হিসাবে সুনসান নিরব কানাডার আদালত দেখছি আদালতের জাতই না
১২ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৩৩
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা...... একদম ঠিক কথা!! কানাডার আদালত আদালতের জাতই না !!
১২| ১২ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৯
বংগল কক বলেছেন:
১২ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৩৩
সোহানী বলেছেন:
১৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর দেশ। সুন্দর আইন।
১২ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৩৪
সোহানী বলেছেন: জ্বি ঠিক বলেছেন!
১৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:১৯
কানিজ রিনা বলেছেন: সোহানী নিশ্চয়ই ভালো আছো? তোমার লেখা পড়ে মনে মনে হাসছি তারপর আহমেদ জী এস ভাইয়ের
কমেন্ট পড়ে জোরে জোরে হাসলাম।
অনেকদিন হলো কারো লেখায় কমেন্ট করি না বা খুব কম ব্লগে ঢুকি কারণ আমার চোখের দারুন সমস্যা। অপারেশন করেছি কিন্তু চোখের রেটিনায় সমস্যা হয়েছে এখন ল্যাপটপ কম্পিউটার
বা ফোন কোন স্কিনেই তাকাতে পারি না। দোয়া রেখো, তোমার জন্যও দোয়া রইল। ধন্যবাদ।
১২ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৩৭
সোহানী বলেছেন: রিনা আপু, অনেক দিন পর। আশা করি এখন তোমার চোখ ভালো আছে। চোখ হচ্ছে সবচেয়ে বড় সম্পদ তাই ওটার যত্ন সবার আগে।
আমি আছি ভালোই। একটু ব্রেকে আছি বলে লিখালিখি ঘুরাঘুরি করছি ক'দিন ধরে।
১৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: বাঃ বাঃ এবার একটু অন্যরকম গল্পের সুবাস পাচ্ছি
ঝামেলাতো আপনার পিছু ছাড়ে না- কত সাজগোজ করে আয়েশি ভঙ্গীতে আসে
১২ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৩৯
সোহানী বলেছেন: সাজগোজ খুব একটা করি না তবে ছবি তোলার মতো ঘটনা থাকলে অবশ্যই করি। কারন আমি মরে যাবো কিন্তু আমার ছবি থাকবে। আজ থেকে ৫০ বছর পর ওটা দেখে আমার মেয়ে তার ফেসবুকে পোস্ট দিবে। তাই আগে থাকতেই ব্যবস্থা....
১৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:১৬
মিরোরডডল বলেছেন:
বিল্ডিংটা সেরকম !
সোহানীপু আমারও এরকম অভিজ্ঞতা আছে । রেডলাইটে ড্রাইভ করা একটা ক্রাইম, শুধু তাইনা লাইফ রিস্ক । এই অপরাধ ইচ্ছাকৃত না, এক্সিডেন্টালি হয়ে যায় কিন্তু তারপর যে পানিশমেন্ট হয় তা সহজে ভোলার না । ২০১৪ তে আমি প্রথম রেড লাইটের জন্য ফাইন খেয়েছি ওভার $450 এবং থ্রি ডিমেরিট পয়েন্টস । ফাইন সাথে সাথেই দিতে হয়েছে কিন্তু সেই পয়েন্ট ব্যাক করেছে থ্রি ইয়ারস থি মান্থস পর । এটাই রুলস এখানে । এই দাগা সহজে ভোলা যায়না তাই খুব কেয়ারফুলি চালাতাম এরপর ।
কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সেই স্মৃতি ভুলেই গিয়েছিলাম যতক্ষণ না আবারও একদিন সেই লাভ লেটার পেলাম । এবার আরও করুণ কাহিনী । ফাইন দিয়েছে নিয়ারলি সাড়ে পাঁচশো ডলার এবং থ্রি ডিমেরিট পয়েন্টস । কল দিলাম তাদের এসব কি ! সাথে সাথে ছবি দিয়ে দিলো । অপরাধী ধরা পড়েছে রেড লাইটে । অস্বীকার করার কোনও ওয়ে নেই । বললাম দেখো কি বিশালাকার ট্রাক সামনে, সেই অবস্ট্রাকশনের কারনে আমি দেখতে পায়নি । ওদের একই কথা, ক্লিয়ার ভীষণ না দেখা পর্যন্ত ওয়েট করবে কিন্তু রেড এ যেতে পারবে না। নো এক্সকিউজেস !
বুঝলাম পালাবার পথ খোলা নেই । কিন্তু আমার বিস্ময় এবার ফাইন এতো বেশী কেনো ???? তখন যেটা জানালো । প্রথম চিঠি নাকি অনেক আগেই এসেছিলো , অনটাইমে ফাইন পরিশোধ না করার জন্য আনাদার ফাইন এপ্লাইড । আমি উদাসি মানুষ, আমি কি রেগুলার মেইল বক্স চেক করি !!! সেটারই পেনাল্টি এটা । তখন বুঝলাম কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটা কাকে বলে
১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:১৬
সোহানী বলেছেন: কানাডার সুবিধা হচ্ছে এখানে রেডলাইটে ডিমেরিট পয়েন্ট নেই। শুধু ফাইন দিতে হয় তবে দেরি করলে প্রতি দিন হিসেবে ইন্টারেস্ট চার্জ করে। সেটা কঠিন সুদের হিসাব......। অথবা আমার মতো মাপ চাহিয়া পত্র দিতে হয় উপযুক্ত কারন দর্শায়ে। যদিও রেডলাইট ক্রস করার পিছনে কোন যুক্তিই খাটে না।
সত্যি বলতে কি এ কাজ আমার প্রায় হয় যদি একটু অমনোযোগী হই। কারন হিসাবের গোলমাল। ইয়োলো লাইট দেখে চালালাম দেখা গেল ওইপারে যেতে যেতেই রেড লাইট। যেমন আমার টা এক সেকেন্ডের সামান্য বেশী। কিন্তু ধরা খাই যেসব জায়গায় ক্যামেরা আছে। বাকি গুলোটো ধরা খাই নাই। আসলে গৃহস্তের একদিন চোরের দশদিন........হাহাহাহা
রেডলাইট ক্রস করা অসম্ভব রিস্কি। কারন ওপর পাশে তোমার ইনটেনশান জানে না ড্রাইভার। নবিশ ড্রাইভার হলেতো হঠাৎ ব্রেক করে গাড়ি থামানো কঠিন।
মেইল বক্স চেক করো না!!! এইটা কি বল্লা.... কানাডার সব কিছু এখনো মেইলে আসে। একদনি চেক না করা মানে ঝামেলায় পড়া।
১৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:১৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনের ফাইন হইছে শুইনা আনন্দ পাইলাম। ট্যাকা জমা দিয়া জানায়েন...........মিলাদ দিমু!!
১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:২৬
সোহানী বলেছেন: শুনেন মিয়া ভাই, শকুনের দোয়ায় গরু মরে না। তয় আপনে মিলাদ দিবেন ও কিছু ট্যাকা খরচ করবেন এর লাইগা কিছু ফাইন দিতে রাজি ...
view this link
কোর্টের ভিডিও দেখেন। মজা পাইবেন। এর অনেকগুলা সিরিজ আছে।
১৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৩২
খায়রুল আহসান বলেছেন: অভিজ্ঞতাটা খারাপ হলেও তার বর্ণনাটা চমৎকার হয়েছে। তারপর কী হলো? বিচারকের সম্মুখীন হয়েছিলেন?
মিরোরডডল বলেছেন: "আমি উদাসি মানুষ, আমি কি রেগুলার মেইল বক্স চেক করি !!! সেটারই পেনাল্টি এটা । তখন বুঝলাম কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটা কাকে বলে"! - এই অভিজ্ঞতাটাও নিদারুণ খারাপ, কিন্তু আত্মোপলব্ধিটা চমৎকার!
পোস্টে 'লাইক'। + +
অনেকদিন নতুন কোন পোস্ট না পেয়ে বিদেশি ফল নিয়ে লেখা আপনার একটা পুরনো পোস্টে মন্তব্য রেখে এসেছিলাম।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:৩৩
সোহানী বলেছেন: বিদেশী ফলের লিখায় উত্তর রেখে এসেছি। দু:খিত দেরীতে উত্তর দেয়ার জন্য।
আসলে কানাডায় বাস করে এ ধরনের অভিজ্ঞতা কম বেশী সবারই আছে। তবে আমার চারপাশে মানুষজন কেউই তেমন আপিল করে না। সবাই ঝামেলা এড়াতে টাকাটা দিয়ে দেয়। আরেক মন্তব্যে বলেছি যে আমার এক বান্ধবী আছে যে কিনা এরকম ফাইন প্রায়ই দেয়। এমন কি আমার হাজবেন্ডই গত মাসে ৩২৫ ডলার ফাইন দিয়েছে। বরং আমি কোর্টে গেছি শুনে সবাই হাসে। আসলে আমি টাকা থেকেও বড় কথা একটা অভিজ্ঞতা নিতে চেয়েছি। কারন কানাডিয়ান কোর্টেতো কেউ সহজে যায় না।
মিরোরডডল মেইল বক্স চেক করে না শুনেতো আমি অবাক!! আমরা এখানে চিন্তা্ই করতে পারি না। এমন কি বাসা চেইন্জ করার সময় আমি পোস্ট অফিসে বক্স ভাড়া নিয়েছিলাম ৭ দিনের জন্য। যেন কোন চিঠি মিস না হয়। এটা এখানে অসম্ভব গুড়ুত্বপূর্ন। সব কারেসপন্ডেন্স মেইলে দিবে।
১৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:৫২
একলব্য২১ বলেছেন: সোহানী আপু,
কোর্টের ভিডিও দেখে আমি অভিভূত। ভদ্রমহিলা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। জাজের অমায়িক এবং মানবিক ব্যবহার দেখে আমি মুগ্ধ।
১৫ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:২৭
সোহানী বলেছেন: ভাইরে এটাই কানাডিয়ান আইন। একটি অপরাধ আইনের আওতায় বিচার করে ঠিকই কিন্তু এর সাথে মানবিকতা, কার্যকারন, পরিস্থিতি দেখে অনেক বেশী। বিচারকদের সে ক্ষমতা আছে কারন ওরা জানে বিচারকরা সে ক্ষমতার অপব্যবহার করবে না।
২০| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:০২
মিরোরডডল বলেছেন:
মেইল বক্স চেক করো না!!! এইটা কি বল্লা.... কানাডার সব কিছু এখনো মেইলে আসে। একদনি চেক না করা মানে ঝামেলায় পড়া।
তুমি এটা কি বললা সোহানীপু
২০২১ এখনও সব কিছু পেপার মেইলে !!!
আমার মোর দেন ৯৫% প্রেফারড কন্টাক্ট মেথড ইমেল ।
They can save resources and postal cost.
আমার ঝামেলামুক্ত থাকতে ভালো লাগে ।
মেইল বক্স চেকিং, পেপার মেইল হ্যান্ডলিং সময় কোথায়
কিন্তু গভর্মেন্ট রেভেন্যু অফিস এ ধরণের ফাইনের চিঠি পোস্ট করে ।
ওদের ইমেল প্রেফারেন্সের অপশন রাখেনি ।
এ চিঠিতো রেগুলার আসেনা ।
Once in a blue moon
১৫ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৩১
সোহানী বলেছেন: তুমি একদম ঠিক বলেছে। এখানে সবকিছুই ডিজিটাল তবে গভ:মেন্ট কোনভাবেই অনলাইন মেইলে বিশ্বাসী না। পোস্টাল ডিপার্টমেন্টকে বাঁচাতে অনেক কিছুর মতো এখনো চিঠি আদান প্রদান কন্টিনিউ করতে উৎসাহ দেয়। এখানকার পোস্টাল ডিপার্টমেন্ট এর সার্ভিস দেখলে অবাক হতে হয়। এতোটা আন্তরিক ও প্রম্ট।
তবে কঠিন সত্য হচ্ছে, এখানো অনেক সিনিয়র সিটিজন আছেন যারা অনলাইন ইউজ করে না বা করতে পারে না। তারাও একটা বিশাল ফ্যাক্টর।
২১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:১৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,
প্রতিমন্তব্যে বলেছেন - "ইনহাস্ত ওয়াতনম!". এইটা কি জিনিস আবার!!!
এই জিনিষটা যে কি, তা সত্যিই আপনি জানেন না ?
শব্দ দু'টি সৈয়দ মুজতবা আলীর "দেশে-বিদেশে " বইয়ে গভীর দেশপ্রেমের অনুভূতি নিয়ে আব্দুর রহমান চরিত্রের মুখনিঃসৃত একটি পশতু কথা যার অর্থ- এই তো আমার স্বদেশ! শব্দ দু'টি বহুল কোটকৃত, উদ্ধৃত এবং পঠিতও!
অন্তর্নিহিত অর্থে- সকল দেশের চেয়ে সেরা সে যে আমার জন্মভূমি...........
১৫ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৩৪
সোহানী বলেছেন: বই পড়ি ঠিকই কিন্তু এরকম নতুন শব্দ মাথায় ঢুকাই না। এমনিতে ব্রেনের সেলে এতো আননেসেসারি ইনফোতে ঠাসা.............হাহাহাহা
আসল কথা হলো আপনার মতো এতো মনোযোগী ছাত্র না আমি।
২২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:১৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,
প্রতিমন্তব্যে বলেছেন - "ইনহাস্ত ওয়াতনম!". এইটা কি জিনিস আবার!!!
এই জিনিষটা যে কি, তা সত্যিই আপনি জানেন না ?
শব্দ দু'টি সৈয়দ মুজতবা আলীর "দেশে-বিদেশে " বইয়ে গভীর দেশপ্রেমের অনুভূতি নিয়ে আব্দুর রহমান চরিত্রের মুখনিঃসৃত একটি পশতু কথা যার অর্থ- এই তো আমার স্বদেশ!
শব্দ দু'টি বহুল কোটকৃত, উদ্ধৃত এবং পঠিতও!
অন্তর্নিহিত অর্থে- সকল দেশের চেয়ে সেরা সে যে আমার জন্মভূমি...........
১৫ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৩৫
সোহানী বলেছেন: সেই যে রত্তন এর কাহিনী বললেন তারপরতো আর কিছু নিয়ে আসলেন না!!!
২৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:২৯
শায়মা বলেছেন: সবাই ঠিকই বলেছে সুখে থাকতে ভূতে কিলানো? কেনো যে বৈদেশ গেলে!!!!!!
আমাদের দেশে নো চিন্তা যেমনে ইচ্ছা তেমনেই চালানো যায়।
কিন্তু একটা জিনিস খুব খারাপ নিজের ছবি নিজে তুলতে হয়। কেউ আমার ছবি তুললো না শেষে আমাকে নিজেই নিজের ছবি তুলে রাখতে হয়। ভিডিওও করতে হয়। কি জ্বালা!
১৫ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৩৯
সোহানী বলেছেন: চিমটি...। আমার অবস্থাও তোমার মতো!! কেউই আমার ছবি তোলে না। আমি সবসময়ই ক্যামারাউইমেন এর দায়িত্বে থাকি। যার কারনে আমার ডিএসএলটা পোলারে দিয়া কইলাম তোরে দিলাম কিন্তু একটাই শর্ত, আমার ছবি তুলতে হবে। কিন্তু যেই লাউ সেই কদু!! পোলা আমার ছবিতো তুলেই না উল্টো বলে এতো সুন্দর প্রকৃতির সাথে মানুষ বড্ড বেমানান । বুঝলা আমার সাহিত্যিক পোলার ডায়ালগ!!!
২৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৪৫
শায়মা বলেছেন: হা হা আপুনি আজকালকার বাচ্চাগুলো আমাদের সেলফি কেলফি দেখতে দেখতে ছবি তোলাতুলিতে এলার্জিক হয়ে উঠেছে।
খেয়াল করেছো তারা ছবি তুলতেই চায় না নিজেদেরও।
১৫ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৫৪
সোহানী বলেছেন: একদম ঠিক। আমরা কিরকম সাজুগুজু করে ছবি তোলার জন্য রং ঢং করি তা দেখে আমার পোলা মাইয়া হাসতে হাসতে ফিট!! দেখলা কি রকম বেয়াদপ পোলাপান!! এমন কি তাদের সামনে ক্যামেরা ধরলেই তারা পালায়। এমন মেজাজ খারাপ হয়। তবে আমিও কম না, কোথাও যাওয়ার আগে শর্ত দেই..। তিনবার না শুনবো, এরপরে স্পট বাতিল তোমাদের জন্য। আর তোমরা ঘরে বা হোটেলে থাকবা আমি একাই ঘুরবো!!! ....হাহাহাহা
যার কারনে গত মাসে ঘুরতে গেলে তারা কোন ঝামেলা ছাড়াই ট্যুর শেষ করেছে।
২৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:০৪
শায়মা বলেছেন: লেখক বলেছেন: একদম ঠিক। আমরা কিরকম সাজুগুজু করে ছবি তোলার জন্য রং ঢং করি তা দেখে আমার পোলা মাইয়া হাসতে হাসতে ফিট!! দেখলা কি রকম বেয়াদপ পোলাপান!! এমন কি তাদের সামনে ক্যামেরা ধরলেই তারা পালায়। এমন মেজাজ খারাপ হয়। তবে ..........
হা হা হা হা আমিও হাসতে হাসতে ফিট!!!!! তোমার বাবুদের হাসতে হাসতে ফিট হওয়া আর তোমার রং ঢং করা দেখতে পাচ্ছি দিব্যচোখে!
১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:১৩
সোহানী বলেছেন: আরে তুমিতো জানো না এরা এককটা কি রকম বজ্জাত!! ছেলেটাতো বলে বলেই এখন মেয়েটা ও শুরু করেছে ভাইয়ের চামচা হিসেবে।
ছোটবেলায় যখন কারো গায়ে সুন্দর ড্রেস দেখতাম খুব লোভ হতো তা পাবার জন্য। সে কারনে হয়তো আমি আমার মেয়ের জন্য দারুন সব ড্রেস কিনি। অথচ সে ছুয়েও দেখে না। একটা ময়লা টিশার্ট আর আধা খ্যাচরা প্যান্ট পরে স্কুলে যায়। তারপর ক'দিন পর ড্রেসের ট্যাগসহ ডোনেশান বক্সে দিয়ে দেই সেসব দামী দামী ড্রেস। এ জেনারেশান সম্পূর্ন ভিন্ন, অন্তত আমাদের থেকে।
২৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:২২
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ আমার বোনের মেয়েও একই কথা বলে। আমাদের ছোটবেলায় সুন্দর সব ড্রেস এত সহজলভ্য ছিলো না কিন্তু এখন বাবা মায়েরা না চাইতেই দিয়ে দেয় আর তাই এর মূল্য নেই ওদের কাছে।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৩৪
সোহানী বলেছেন: ঠিক! ওদের কাছে এসবের কোন মূল্য নেই। কারন না চাইতেই পেয়ে যায় তাই। হতো আমাদের মতো, দশটা চাইলে একটা পেতো তাহলে দাম থাকতো......।
তবে আসলেই ওদের আচার আচরন ধ্যান ধারনা আদর্শ সম্পূর্ণ ভিন্ন আমাদের থেকে। তার উপরে পশ্চিমা দুনিয়ায় থাকে বলে আরো ভিন্ন। কোন কিছুতেই যেন ওদের সিরিয়াসনেস নেই তেমন। হলে হবে না হলে নাই, পেলে পেলাম না পেল নাই......... এমন একটা ধ্যান ধারনা ওদের!
২৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৩৫
মেহবুবা বলেছেন: কেমন দেশ দেশ গন্ধ পাচ্ছি। ভাল করেছো এমন করে বলে।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ ভোর ৬:২২
সোহানী বলেছেন: নাহ্ দেশের কোন ছোয়া নেই এখানে........
২৮| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৫৭
ওমেরা বলেছেন: হি হি হি ————
১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ ভোর ৬:২৩
সোহানী বলেছেন: চোরের দশদিন গৃহস্তের একদিন...........
২৯| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:০৭
নীল-দর্পণ বলেছেন: ফেসবুকে লেখাটা আগেই পড়েছিলাম। অপক্ষায় আছি পরের কাহিনী জানতে ।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ ভোর ৬:২৩
সোহানী বলেছেন: কাহিনীর কোন পর নাই...............
৩০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:১৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কি মজা আমরা এখনো সাইকেল চালাই।কেউ ফাইন করেনা।গাড়ির নাম্বার বিভ্রাটে পড়তে হয়না। তবে ভূয়া ভাইয়ের মতো ফাইনের টাকা দিয়ে মিলাদ দিলে একটা বিরিয়ানি পেলে অবশ্য মন্দ হয় না।পরে কি হলো আপু?
২৮ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:২২
সোহানী বলেছেন: সাইকেল কিন্তু এখানে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। ব্যাস্ত রাস্তায় আলাদা করে সাইলে লেইন হচ্ছে।
আরে ভুয়াতো ভুয়াই। খালি ডর দেখায় । তয় বিরিয়ানী খামুই খামু। দেখি কবে যাওন যায়।
তার আর পর নাই। মানে এখনো ঝুলন্ত।
৩১| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: সমস্যা এটাই বোন, বিপদ যখন আসে তখন চারদিক থেকেই আসে । আর বদ জমিদার (ঠাকুরবাড়ীর ভৃত্য বা দাড়োয়ান কাম গার্ড ) বেটায় ইচছা করেই আপনার সাথে ইদুর-বিড়াল খেলেছে যাতে করে ঘড়ির কাটাকে তার মত করে ব্যবহার করতে পারে কারন তার আছে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা সাথে এটাও আপনার দেখা উচিত ছিল জমিদারের মাত্রিভূমি (country of origin) আমগো মহললার কিনা?
০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:০৫
সোহানী বলেছেন: আপনি খুবই বুদ্ধিমান। ঠিকই ধরেছেন ফাকিঁটা। আসলে সারে চারটা বাজতে তখনো সামান্য সময় বাকি ছিল তাই হয়তো কায়দা করে এমন ................।
এবং আপনাকে ডাবল বুদ্ধিমান বলছি কারন উনি সত্যিই আমাদের পাশের দেশের। একটু বলে রাখি, কানাডার দাড়োয়ান কাম গার্ড এর কাজটার বড় অংশই করে ভারতীয়। বিশেষকরে বয়স্ক পান্জাবীরা। এ ধরনের কাজে তেমন পরিশ্রম নেই বলে বয়স্ক মানুষদের জন্য ভালো একটি জব। আর পান্জাবীরা প্রায় ৬/৭ প্রজন্ম এখানে যেখানে আমরা মাত্র ২/৩।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:৪৫
বিষন্ন পথিক বলেছেন: গাড়ি চালানোর সময় আজরাইল ফোন দিলেও ধরিনা, একদিন বস ফোন দিসে, ৪ বারের বার ফোনে হাতে নিসি
দুই সপ্তাহ পর, মেইলে আমার দাত ক্যালোনো ছবি, ৩৫০ ডলার ফাইন, ৫ ডিমেরিট পয়েন্ট নাই
খ্যামা দেন বলে আপিল করসিলাম, বলসিলাম চার্জার কানেক্ট করতে হাতে নিসি, কিন্তু আমার দাত ক্যালানো ছবিই কাল হলো
সারা জীবন এই দায় বয়ে বেড়াবো