নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি রুদ্ধশ্বাস অভিযান! যাপিত জীবনের গল্প

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২৮



পশু-পাখী খাঁচায় বন্দী করে রাখা আমি কোনভাবেই পছন্দ করি না। বিশেষ করে পাখী খাঁচায় পালা আমি অসম্ভব অপছন্দ করি। পাখী থাকবে আকাশে, উড়ে বেড়াবে যেখানে খুশী, ওদেরকে খাঁচায় রাখা আমার কাছে অমানবিক মনে হয়। তাই মেয়ে যখন বায়না ধরলো পাখী পুষবে, আমি সরাসরিই না বলে দিলাম। কিন্তু প্রতিদিন তার ঘ্যানর ঘ্যান শুনতে শুনতে আমি সত্যিই দিশেহারা হয়ে গেলাম।

কানাডায় বলতে গেলে সবাই কমবেশী প্যাট রাখে, হয় কুকুর, নয় বিড়াল আর অল্প কিছু মানুষ পাখী বা হ্যামেস্টার। প্রতিদিন স্কুল থেকে ফিরে তার বন্ধু-বান্ধবদের প্যাটের গল্প বলে মন খারাপ করে আর সাথে প্যানপ্যানানিতে। তার এতো এতো আগ্রহ দেখে কিছু কেনার চিন্তা করলাম। কিন্তু কি কিনে দিবো তাকে! হিসেব করে দেখলাম কুকুর বিড়াল পালা মারাত্বক পেইন। বিশেষকরে শীতে বরফের উপর ওদেরকে বাইরে নিয়ে এ্ক্সেসাইজ করানো, রেগুলার ভ্যাট এর কাছে নেয়া, হাগু-পিসু পরিস্কার করা বিশাল ঝক্কি। তাই প্রথমেই ওইগুলা বাদ দিলাম। শেষে মেয়ের পাখীর অপশনই রাজি হলাম কিন্তু ভেবে চিন্তে কিছু শর্ত দিলাম তাকে। যেমন,

প্রথমত: পাখী হতে হবে ছোট কোন জাতের যেন বাসায় উড়তে পারে। কোন ধরনের বড় পাখী কেনা যাবে না। এছাড়া ছোট হলে এগুলো হাগু পিসু কম করবে, ঘর কম নোংরা হবে।

দ্বিতীয়ত: মেয়ে আমাকে বাংলায় "পাখী চাহিয়া" একটি পত্র লিখতে হবে। এবং তাতে আমাকে কনভিন্স করতে হবে কেন আমি তাকে পাখী কিনে দিবো? এছাড়াও পাখী তার কি কি উপকারে লাগবে তা আমাকে জানাতে হবে। ও বলে রাখি আমার মেয়ে এখানে বাংলা বলতে পারলেও লিখতে পারে না। আর আমি জানি ওর জন্য বাংলা শিখে ও তা লিখা অনেক কঠিন কাজ। তাই ইচ্ছে করেই এ কঠিন শর্ত জুড়ে দিলাম।

তৃতীয়ত: পাখীর খাবার, হাগু পিসু পরিস্কার, খাঁচা পরিস্কার সহ সব কাজ তাদেরকে করতে হবে।

কিন্তু আমাকে সত্যিই অবাক করে দিয়ে আমার মেয়ে মাস খানেকের মাঝেই পুরোপুরি বাংলা লিখতে শিখে গেল। এবং আমার শর্ত মত একটি চিঠি লিখে ফেললো আমাদের কারো সাহায্য ছাড়াই।

যাহোক, পরবর্তীতে তারা ছোট দু'টি প্যারাকিট পছন্দ করলো। একটি ছেলে, নাম দিলো এ্যাটাগো ও আরেকটি মেয়ে, নাম দিলো সাফায়ার।

এরপর থেকে এ দু'টি ঘরের সদস্য হয়ে গেল। এগুলোকে পাখী না বলে আমার ছেলে/মেয়ের খেলার পার্টনার বলাই ভালো। যতক্ষন বাসায় থাকে পাখীগুলো তাদের হাতে/মাথায় থাকে, তাদের সাথে খেলা করে, ওরা পড়তে বসলে বা কম্পিউটারে কাজ করলে ওরা চুপচাপ ঘাড়ে বসে থাকে। এরা কখনই খাঁচায় থাকে না, সারা ঘরেই উড়ে বেড়ায় এখান থেকে সেখানে।

গত উইকে ছিল আমার ছেলের জন্মদিন। তাই রাতে কিছু গেস্ট দাওয়াত দিয়েছিলাম ও রান্না বান্নায় একটু বিজি ছিলাম। হঠাৎ ই দুপুর দু'টার দিকে ছেলে চিৎকার করতে লাগলো এ্যাটাগো মানে ছেলে পাখীটাকে কোথাও দেখছি না। কিসের রান্নাবান্না, সব ফেলে খুঁজতে লাগলাম তাদের। যেহেতু এখন বেশ শীত পড়েছে, সব দরজা জানালা বন্ধই থাকে। তাই আমরা ভাবলাম ঘরেই আছে কোথাও। কিন্তু সারা ঘর খুজেঁ কোথাও পেলাম না। আনাচে কানাচে তন্ন তন্ন করে খুঁজলাম, কোথাও নেই সে।

যদিও বিশ্বাস ছিল ঘরের বাইরে যাবারতো কোন কারন নেই কারন সবই বন্ধ। তারপরও সন্দেহ থেকে ঘরের বাইরেও খুঁজতে লাগলাম। প্রায় ঘন্টা দুয়েক ঘরের আনাচে কানাচে তাকে না পেয়েতো ছেলে-মেয়ে কাঁদো কাঁদো অবস্থা। এভাবে চারটা পর্যন্ত খুঁজে না পেয়ে রান্না করতে চলে গেলাম। ছয়টার দিকে চুলায়/ওভেনে সব রান্না বসিয়ে মনে হলো এতো ঝামেলায় ছেলের গিফটইতো এখনো দেই নাই। এবার জন্মদিনে ছেলের জন্য একটা ছেলের ছবিসহ কাস্টমাইজড্ মগ আর একটা বেশ পাওয়ারফুল বায়নোকুলার কিনেছি। ছেলে বায়নোকুলার হাতে নিতেই আমরা সবাই এক সাথেই বলে উঠলাম চলো বাইরে এ্যাটাগোকে খুঁজে আসি।

তখন প্রায় সন্ধ্যা সাড়ে ছ'টা, ছেলে বাইরে এসে বায়নোকুলার দিয়ে চোখ রাখতেই সে দেখে অনেক অনেক দূরে একটা বাড়ির কার্নিসে এ্যাটাগো বসে আছে। সেটা দেখা মাত্রই আমরা যে যেভাবে ছিলাম দৈাড়ে বের হলাম। কিন্তু তাকে যেখানে দেখেছি সেটা কোন জায়গায় তাতো বুঝতে পারছিলাম না। সেটা যথেস্ট দূরে কিন্তু কোন এরিয়ায়, কতটুকু দূরত্বে তা বুঝতে পারছিলাম না। তাড়াতাড়ি গুগল ম্যাপ খুলে গবেষনা করে জায়গাটা আন্দাজ করে সে দিকে গাড়ি নিয়ে বের হলাম। প্রায় মিনিট ৬/৭ ড্রাইভ করার পর গুগুল ম্যাপের সে জায়গাটার সাথে মিল মনে হলো, এখানকার কোন বাসাই হবে বলে আমরা আন্দাজ করলাম। তাই সেখানে গাড়ি পার্ক করে চারপাশ খুঁজতে লাগলাম।

পাখিটি যে জায়গাটিতে দেখেছিল তা বাসার পিছন সাইড, ব্যাকইয়ার্ডে। তাই একটা বাসার সামনে এক ভদ্রলোক কাজ করছে দেখে তাকে ঘটনা বলার পর সে তার ব্যাকইয়ার্ডে যেতে দিল। সেখানে ঢুকেই দেখি পাশের দুইটা বাসা পরে বেড়ার উপর বসা সে। তারপর দৈাড়ে সে বাসায় নক করে তার ব্যাকইয়ার্ডে যেতে চাইলাম। চাইনীজ ভদ্রলোক তার বাসার ব্যাকউয়ার্ড খুলে দিল। কাছে যেতেই উনি একটুও ঝামেলা করলো না সোজা আমার ছেলে হাতে চলে এলো। এবং তাকে গাড়িতে ছেড়ে দিতেই সে সুন্দরভাবে ড্যাসবোর্ডে বসে পড়লো কোন ঝামেলা ছাড়াই।

কিন্তু বাসার পর টের পেলাম চুলা আর ওভেনে যে রান্না বসিয়ে দৈাড় দিয়েছিলাম তা পুড়ে কয়লা!! তখন বাজে সাতটা, এবং নতুন করে ছুটাছুটি করে রান্না বসাতে হলো!!

উৎসর্গ: ফুল-ফল, গাছপালা, পশু-পাখী বিশেষজ্ঞ মরুভূমির জলদস্যু ব্রাদার (মরুভূমির জলদস্যু)

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


উহার সংসারে কিছু একটা ঘটেছিলো, মনে হয়।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫৬

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা............ মনে হয়!!!

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এ যে দেখছি রুদ্ধশ্বাস অপারেশন এটাগো!
আমি নিশ্চিত এটাগো ব্যাটার বউ-এর সাথে ঝগড়া হইছিল

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫৭

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা....... আমারো তাই সন্দেহ। তবে আমি দেখলাম পাখিদের মাঝেও ছেলে মেয়ের পার্সোনালিটি সম্পূর্ন ভিন্ন। ছেলে এ্যাটাগো অনেক এগ্রেসিভ!

৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:১৮

জ্যাকেল বলেছেন: পাখিগুলওর নাম বাংলায় হইলে আরো সুন্দর হইত। তবে উপভোগ্য ঘটনা বর্ণনা করেছেন।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫৯

সোহানী বলেছেন: ভাইরে, ইংলিশ ইনভায়রনমেন্ট এ যে মেয়ে বাংলা বলতে লিখতে পড়তে পারে তাতেই আমি মহা খুশী। এর বেশী চাপাচাপি করি না। আশেপাশের বাঙ্গালী ছেলেমেয়েগুলাতো বাংলাই বলতে পারে না।

৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: বাহ কি সুন্দর।
উৎসর্গ টা যথাযথ হয়েছে।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০৩

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রুদ্ধশ্বাস সফল অভিযানের জন্য অভিযানে অংশ নেয়া সবাইকে অভিনন্দন। চাইনিজ লোকটাকে ধন্যবাদ। পাখির অসিলায় মেয়ের বাংলা লেখা শেখা হোল। প্রণোদনা অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করতে সাহায্য করে।

১৯৮১ সালে আমাদের বাসায় খাঁচায় একটা ময়না পাখি ছিল। এটা আমরা পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে পেয়েছিলাম উপহার সুত্রে। পাখিটা সারাদিন বাসার সবার নাম ধরে ডেকে চলতো, আর শীষ দিত। পরবর্তীতে আমরা পাখিটাকে ঢাকা চিড়িয়াখানায় দিয়ে দেই।

তবে পাখিকে খাঁচায় আটকে না রাখাই উত্তম। যদিও অনেকে চায় পাখিকে খাঁচায় আটকে রাখতে। কিন্তু পাখি একসময় উড়ে চলে যায়। তারপরে অনেকে তখন মনের দুঃখে চোখের জল ফেলে আর বিরহের কবিতা লিখে দিন কাটায়।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২১

সোহানী বলেছেন: সে কি যেমন তেমন অভিযান!! রুদ্ধশ্বাস সফল অভিযান....। চার ঘন্টা ছেলে-মেয়ে অস্থিরতায় ভুগছিল। আরো সমস্যা হলো এখন প্রায় মাইনাস ১/২ তাপমাত্রা্। এরকম ঠান্ডায় এরা বেশিদিন বাচাঁর কথা না। তাই ভেবে ওরা আরো অস্থির হচ্ছিল।

এবার পেন্ডামিকে আর যাই হোক আমার বেশ কিছু উপকার হয়েছে। মেয়েকে বাংলা শেখাতে পেরেছি। তবে পাখীর প্রণোদনা বিষয়টাকে গকি দিয়েছে। তবে মেয়ে আগ্রহ ও ছিল। সে সবসময়ই আমার লিখা পড়তে চায়। যদিও ততটা ফ্লুয়েন্ট না। বিশেষ করে যুক্তাক্ষর এখনো পারে না।

১৯৮১ পার্বত্য চট্টগ্রাম!!! বিষয়টা খুব কাকতলীয়!! সে সময়ে আমরা কাপ্তাই ছিলাম। আমার বাবার এক স্টাফের একটা কথা বলা ময়না ছিল। আমার খুব পছন্দ ছিল ওটাকে। আমার আগ্রহ দেখে ভদ্রলোক সেটা আমাকে গিফট্ দিতে চাইলো। কিন্তু আব্বু খুব বকা দিয়ে মানা করেছিল। কারন ওটা তার বাচ্চাদেরও খুব প্রিয় ছিল। আব্বু বলছিল, তোমার বাচ্চাদেরকে বঞ্চিত করে আমার বাচ্চাকে কেন দিবে??

আমি পাখী পালাই পছন্দ করি না। আমার কাছে মারাত্বক অমানবিক মনে হয়। কিন্তু কি করবো, বাচ্চাদের পছন্দকেও গুড়ুত্ব দিতে হয় মাঝে মাঝে।

অনেক ভালো থাকুন।

৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৭

শেরজা তপন বলেছেন: আমিতো এটাগো আর সাফায়ার-এর ভক্ত হয়ে গেলাম!
চমৎকার বর্ণনা- মেয়েকে বাংলা লেখা শেখায় অভিনন্দন। মায়ের মত দারুন লিখিয়ে হতে হবে তাকে

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২৫

সোহানী বলেছেন: আসলেই এগুলো কি যে সুন্দর। এই যে আমি ল্যাপটপ এ বসে আছি, এরা একটু পর পর মাথায় ঘাড়ে এসে বসছে। কোন ভয়টয় নেই ওদের।

মেয়েকে বাংলা শিখিয়ে নিজেরই খুব ভালো লাগছে। যদিও এখনো পুরোপুরি পারে না। তারপরও শুরুটাতো হয়েছে। ছেলে ভালোই পারে, মাঝে মাঝে দেখি রবীন্দ্রনাথ, সুকুমার রায় এর বই আলমারী থেকে পড়ে। তার প্রিয় সুকুমার রায় এর ছড়াগুলো।

মায়ের মত দারুন লিখিয়ে হতে হবে না, মা তো এলোমেলো লেখা লিখে!!! বরং মায়ের ব্লগমেটদের মতো লিখবে!! হাহাহাহা

৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩০

শায়মা বলেছেন: যাক যাক তবুও তো ফিরে পেলে।

একবার আমার খাঁচার পাখি খাঁচা ছেড়ে পালিয়েছিলো।

সে তো মনের আনন্দে উড়ে উড়ে কই গেলো কে জানে।

আমি কাঁদতে কাঁদতে শেষ।

তারপর দেখি মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত আর আমার খাঁচার পাখির দৌড় পাশের বাসা পর্যন্ত।

শেষে সেই বাসার খালাম্মা দিয়ে পাঠালো। :)

১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২৫

সোহানী বলেছেন: তাও তো পাইছো!! আমার পোলাপানতো অজ্ঞান হবার অবস্থা।

আমার ছোটবেলায় একটা টিয়া ছিল। পরে পাশের দিদিমার বিড়াল তাকে মেরে ফেলেছিল। এতো কান্না করেছিলাম যে বলার নয়!!

৮| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমাদের দেশে এরা বাজরিগার নামে পরিতিচ। বন্য এই পাখিটি খাঁচায় বেশ ভালো ভাবেই মানিয়ে নিয়েছি। বাংলাদেশে খাঁচার বাইরে এরা ১০ মিনিটও টিকতে পারবে না, কাকের পেটে চলে যাবে।
আমারও ছিলো কয়েকটি, কয়েকবার উড়ে গেছে কয়েকটা, কিছু ধুরতে পেরেছি, কিছু উড়ে গেছে, কয়েকটা কাকের শিকার হয়েছে। এখন বেশ কিছু অষ্ট্রেলিয়ান ঘুঘু আছে, আর দুই জোড়া ডায়মন্ড ঘুঘু।
আমার একটা টিয়া ছিলো, নকলবাজ টিয়া। মার অনুরোধে ছেড়ে দিয়েছিলাম পরে। অন্য কোনো দিন সেই গল্প বলবো।

অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টে এই অধমকে মনে করার জন্য। আমি অল্প কিছু গাছ আর ফুলের নাম জানি শুধু। পাখিদের সম্পর্কে তেমন কিছুই জানি না।
আবারও ধন্যবাদ আপনাকে।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪১

সোহানী বলেছেন: কাক খেয়ে ফেলে!!! আমিতো অবাকই হচ্ছি। কাক কবে থেকে এতো বদ!!!!!!!

হাঁ, এদেরকে বাজি ও বলে।

আপনারতো দেখি অনেক কালেকশান। দেশের ওয়েদারে পশুপাখী পালা খুব সহজ। কিন্তু এখানে কঠিন কাজ। বছরের নয় মাসই থাকে বরফ। বাইরে এদরকে বের করা যায় না।

আপনি যেকোন মানুষ থেকে অনেক বেশীই জানেন। তাই প্রশংসা অবশ্যই প্রাপ্য আপনার।

৯| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৭

Abida-আবিদা বলেছেন: সুন্দর পাখী বিষয়ক পোস্ট।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪৩

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১০| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: what a coincidence!
আপনি ছেলের জন্য বাইনোকুলার (বেশ পাওয়ারফুল) কিনলেন, এবং সেটার প্রথমদিনের ব্যবহারে প্রায় হারানো পাখি খুঁজে গেলেন।
আলহামদুলিল্লাহ। শীতে পাখিটা অনেক কষ্ট পেতো, যদি খুঁজে না পেতেন।

পাখিদের নামকরণ সুন্দর হয়েছে।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪৬

সোহানী বলেছেন: একদম ঠিক। এ কথাই আমরা বলছিলাম। আজ বাইনোকুলার না থাকলে কোনভাবেই তাকে খুঁজে পেতাম না। coincidence কাহাকে বলে.......হাহাহাহা

সে কারনেই ছেলে মেয়ে বেশি টেনশানে ছিল। এতো ঠান্ডায় ওরা বাঁচতে পারে না। কারন এরা অস্ট্রেলিয়ান পাখী। রাতে মাইনাসে চলে যায় ঠান্ডা।

পাখিদের নামকরণ নিয়ে রীতিমত ভাই-বোনের ঝগড়া। শেষে অনেক কস্টে একমত হয়েছে!!!

১১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০০

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,





রুদ্ধশ্বাসেই পড়লুম, পাখী নিয়ে যতো কান্ড। মেয়ে যে পাখীর প্রেমে পড়ে বাংলা লিখতে শিখেছে তাতে আপনার মেনিপ্যুলেটিভ
ক্ষমতা আর দূরদর্শিতারই প্রমান মেলে। বাইনোকুলার দিয়ে আর গুগল করে দেখতে হয়নি, লেখাতেই তা পাখীর মতো উড়ে বেরিয়েছে।
মেয়ে আর তার পাখীরা ভালো থাকুক..................

১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১২

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা...... তারমানে আমার মেনিপ্যুলেটিভ ক্ষমতা আছে!! খুশী হলাম শুনে। এবার অন্য কোথাও ট্রাই করতে হবে :P

আর দূরদর্শিতা!!!......... .. ঠিক আছে বলে মনে হচ্ছে না! আমি মনে হয় পৃথিবীর সবচেয়ে বোকা প্রানীদের একজন। :(

আসলে এটা মেয়ের অনুরোধে লিখেছি। এবং তার বাংলা হোমওয়ার্কে এটা পড়বে বলে আমাকে বলেছে। এখনো আমার পাশে বসে আছে। লিখাটা দেবার পর থেকে কে কি মন্তব্য করলো তার প্রত্যেকটা তাকে বলতে হয়েছে। তার জীবন এখন পাখীময়......হাহাহাহা

১২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: একটা পোষা প্রাণীর জন্যে আমার প্রায় সন্তানের মত আকাঙ্খা। কিন্তু আমার স্ত্রীর কড়া নিষেধ। কুকুর বা বিড়াল পোষা যাবে না। আমি তাই করি কী, বাচ্চাদের ক্যাট ক্যাফেতে নিয়ে যাই। ওখানে খুবই ইনজয় করে। সামনে ডগ ক্যাফেতেও নিয়ে যাবো। আমার মেয়েটা বিড়াল বলতে পাগল, আর ছেলেটা কুকুরের জন্যে পাগল। এখন সামনের সপ্তাহে কোথায় যাবো এ নিয়ে টানাপোড়েন চলছে!

১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৪:৫৩

সোহানী বলেছেন: আমার ছেলে খুব ছোট থেকেই কুকুরের জন্য পাগল ছিল। ওর বাবার বন্ধু একটা দিয়েছিল দেশে থাকতে কিন্তু আমি ফেরত দিয়েছিলাম। পরে তার জন্য প্রথমে একটা টিয়া, তারপর মাছ ও কচ্চপ কিনে দিয়েছিলাম। কিন্তু মেয়েকে কিছুই দেইনি। তাই এবার অনেকটা বাধ্য হলাম বলে। ঝামেলা একটু আছে কিন্তু দেখবেন বাচ্চারা অসম্ভব এনজয় করবে।

তাই আমার পক্ষ থেকে অনুরোধ থাকলো বিড়াল না হলেও ছোট কোন পাখী অথবা মাছ কিনে দিতে পারেন ওদের। বিশেষকরে মাছ নিয়ে তেমন ঝামেলায় পড়বেন না। পাখী একটু ঘর নোংড়া করবে কিন্তু যখন ওদের সাথে খেলবে তখন দেখবেন আপনার কষ্ট কমে যাবে ওদেরকে ম্যানেজ করার ব্যাপারে।

এছাড়াও এ বয়সে যদি কোন পোষা প্রানী না পায় তাহলে তাদের জীবনভর আফসোস থাকবে। কোন এক সময় তা নিয়ে দু:খ করবে। তাই সামর্থ্য থাকলে এ দায় না নেয়াটাই ভালো।

১৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: একটি রুদ্ধশ্বাস অভিযানের মাধ্যমে পোষা পাখি 'এ্যটাগো' উদ্ধারের রোমাঞ্চকর কাহিনী পড়ে মুগ্ধ হ'লাম। ছেলেকে বাইনোকুলার কিনে দেয়াটা খুবই সার্থক হয়েছে।

মেয়ের শখটা পূরণ করেছেন, তবে তাকে বাংলায় চিঠি লেখা শিখিয়ে দেয়ার পর। এটা ভালো করেছেন। মেয়েও শিখলো, কোন শখের জিনিস পেতে হলে মায়েও শখটাকেও পূরণ করতে হবে।

পোস্টে প্লাস। + +

২০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২০

সোহানী বলেছেন: ঘরে পোষা কোন প্রানী রাখা সত্যিই অনেক আনন্দের। আমাদের ছোটবেলায় একটা কুকুর ছিল। তারপর টিয়াপাখি। ছেলে অনেক কিছুর ট্রাই করেছিল কিন্তু মেয়েকে এবারই প্রথম কিনে দিলাম। তবে আমি বরাবরেই কোন কিছুই সহজে দেই না। কোন কিছু সহজে পেলে তার মূল্য থাকে না। অবশ্যই অর্জন করতে হবে, তবেই এর মূল্য থাকবে। এটাও কিন্তু বাবার শিক্ষা। ছোটবেলায় ঠিক এভাবেই আমাদেরকে ট্রিটমেন্ট দেয়া হতো..........হাহাহাহা


একদমই কোইন্সিডেন্ট। সেদিন বাইনোকুলার না কিনে দিলে কোনভাবেই এ্যটাগোকে পেতাম না। তারপরেও মজার কথা হলো সেদিন ছিল শনিবার। সাপ্তাহের অন্য দিন হলে কারোরেই কোন খোঁজ থাকতো না কারন সবাই বাসার বাইরে থাকে।

আমার মেয়ে আসলে অনেকদিন থেকেই আমার লিখা পড়তে চাচ্ছিল। কিন্তু এতো বিজি থাকি যে মেয়েকে বাংলা শেখানোর মতো সময় দিতে পারিনি। করোনার কারনে হোম অফিস, হোম স্কুল সব মিলিয়ে খুব ভালোভাবে সময় ম্যানেজ করতে পেরেছিলাম। তাই বাড়তি কাজ শেষ করতে পেরেছিলাম।

বরাবরেই প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.