নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি চ্যালেন্জ কিংবা সাফল্যের গল্প

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:৫১



বি:দ্র: পাঠকদের কাছে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য। আসলে আমি গল্প থেকে অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পছন্দ করি। গল্প না হয় আরেকদিন বলবো।

আমার মেয়ের সময় আমি যখন সাত মাসের প্রেগনেন্ট তখন নতুন একটা চাকরীর ফাইনাল লেটার পাই। দীর্ঘদিন ধরে রিক্রুটমেন্ট প্রসেস চলার কারনে প্রেগনেন্সির বিষয়টি অনেকটা উহ্য ছিল। কিন্তু ফাইনাল লেটার হাতে পাওয়ার পর এ নিয়ে সরাসরি কথা বলতে চাইলাম আমি। কারন কোন কিছু নিয়ে রাখঢাক আমি পছন্দ করি না। আমার অনুরোধে এইচ আর মিটিং কল করেছিল অফিসের বিগ সব বসদের নিয়ে। সে ডিসিশান মিটিং এ চারজন পুরুষ ইন্টারভিউয়ারে সামনে আমি ক্লিয়ারকাট বলে নিলাম যে আমি এই মূহুর্তে সাত মাসের প্রেগনেন্ট, তোমাদের পলিসিতে কোন সমস্যা থাকলে আমি জয়েন করবো না।

সে রিক্রুটমেন্ট প্রসেসে আমিই সবচেয়ে ভালো ক্যান্ডিডেট ছিলাম এবং সম্ভবত: আমার আশে পাশে তেমন কোন প্রতিযোগী ছিল না বিধায় ওরা আমাকেই ফাইনাল সিলেক্ট করলো। কিন্তু একটা শর্ত দিলো, সেটা হলো যেহেতু পলিসিতে ছয় মাস জবের আগে ম্যাটার্নিটি লিভ নেই তাই আমাকে লিভ উইদাউট পে তে যেতে হবে। আমি সে শর্তে রজি হলাম কারন অফারটা ভালো ছিল।

খুশি মনে চাকরীতে জয়েন করার পরই বুঝলাম কত ধানে কত চাল। অফিসে রীতিমত উইক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ চলছে। গ্রুপাগুপি, দলাদলি, এ ওর নামে কম্পপ্লেইন, প্রজেক্টের বন্ধ করার জন্য ডোনারের কাছে চিঠি, ষড়যন্ত্র চালাচালি, এবং সব মিলিয়ে কঠিন এক অবস্থা। কেউ কাউকে মানে না কি সিনিয়র কি জুনিয়র। মাঝ থেকে এরকম কামড়া-কামড়ি দেখে ডোনার ফান্ড বন্ধ করে দিয়েছে অনেকদিন। বেতন-ভাতা চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। আর ডোনার এজেন্সি স্পেশাল এজেন্ট নিয়োগ দিয়েছে প্রজেক্টে ইনভেস্টিগেশানের জন্য। যারা আগামাী মাসের শেষেই আসবে সে টিম।

শুধু তাই নয়, কাজ শুরু করে দেখি বছর কয়েক এর কোন এ্যাকাউন্টস নেই। কোন খাতা-পত্র, বিল ভাউচারের কোন আগামাথা নেই। তারচেয়ে মজার তথ্য এসব হিসাব নিকাশ দেখার জন্য প্রায় ১০ লাখ টাকা বেতনের একজন বিদেশী কনসালটেন্ট আছেন যিনি আবার প্রতিবেশী দেশের। তাকে এসব নিয়ে বলতেই সে আকাশের দিকে তাকিয়ে উদাসীনভাবে বললো, আমার কন্ট্রাক্ট তিন বছরের জন্য। কাজ করলেও তিন বছর আর না করলেও তিন বছর। তাই যেভাবে চলছে চলুক না!!

ব্যাটা বলে কি!! মাস গেলেই ইনভেস্টিগেশান টিম আসবে। এ অবস্থা দেখলেতো জনমের তরে প্রজেক্ট বন্ধ করে দিবে। আমার না হয় সমস্যা নেই আরেক জায়গায় চাকরী খুঁজে নিবো কিন্তু কয়েক মিলিয়ন ডলারের এ প্রজেক্ট বন্ধ হয়ে গেলে দেশের বিশাল ক্ষতি। কয়েক হাজার পরিবার, হাসপাতাল, রোগী এর উপর ডিপেন্ড করে আছে। এদিক সেদিক হলেই ডোনার এ ফান্ড সোজা আফ্রিকায় পাঠিয়ে দিবে! এতে অবশ্য আমার বিদেশী কনসালটেন্ট মহা খুশী। তার কথা, ফান্ডটা পৃথিবীর অন্য যেকোন দেশে যাক অন্তত বাংলাদেশে না আসুক। তাহলে সে এ কন্ট্রাক্ট শেষ হলেই সে দেশে জবের একটা সম্ভাবনা আছে।

বুঝলাম, এ লোককে দিয়ে উপকারের পরিবর্তে অপকার হবে!! তাই নিজেই সে জন্জাল পরিস্কার শুরু করলাম। বছরের পর বছর ধরে চলা এরকম একটা আবর্জনার স্তুপকে লাইনে আনতে আমি পাগলের মতো ছুটাছুটি শুরু করলাম। অফিসার থেকে শুরু করে দাড়োয়ান পিওন কেউই কোন কাজ করে না। এমন কি ক্লিনারও অফিস ঝাড়ু দেয়নি বছর খানেক। সবাই বিশ্বাস করে ইনভেস্টিগেশান হলেই প্রজেক্ট বন্ধ হয়ে যাবে ও সবার চাকরী চলে যাবে। তাই সবাই কাজ করা ছেড়ে দিয়েছে।

সে রকম একটা পরিবেশকে সোজা করতে শুধু ঘাম না মাথার চুলও সব পড়ার অবস্থা।এরকম এডভান্স প্রেগনেন্ট অবস্থায় রাত ১০/১১ টা পর্যন্ত কাজ করতে লাগলাম। কখনো নিজের শরীরের দিকে তাকানোর সুযোগই পেতাম না। যাহোক, আমার ইন্সপিরেশান হোক বা ডান্ডাবাজিই হোক সবাই আমার কথামত কাজ শুরু করেছিল। অফিসে মোটামুটি একটা নিয়ম শৃঙ্খলায় নিয়ে আসতে পেরেছিলাম। আর এদিকে আমার ছুটি নেয়াতো দূরে থাক, যেদিন আমার ইডিডি ছিল সেদিনও ছুটি নিতে চাইলে আমার বিদেশী বস বললো, আরো কিছু কাজ গুছিয়ে তারপর যেয়ো। সেদিনও সকাল থেকে কাজ করে দুপুর বারোটায় অফিস থেকে সরাসরি হসপিটালে ভর্তি হই।

মেয়ের জন্মের পরদিন থেকেই বসের ফোন শুরু হলো। জয়েন করো তাড়াতাড়ি, ইনভেস্টিগেশান টিম কাজ শুরু করেছে কিন্তু কেউই কিছু করতে পারছে না। বাধ্য হয়ে মেয়ের জন্মের দুই সাপ্তাহ পরেই জয়েন করি অফিসে। ব্রেস্ট ফিডিং করাতাম বলে আমার ছোট্ট মেয়েটা আর তাকে দেখাশোনা করার জন্য মায়ের দেয়া ছোট একটা এ্যাসিসটেন্টকে নিয়ে অফিসে আসতাম। অফিসের নীচতলার ছোট একটা রুমে মেয়েকে রাখতাম। কাজের ফাঁকে ফাকেঁ মেয়েকে দেখে আসতাম ও ব্রেস্ট ফিড করায়ে আসতাম। আমার কোন রেস্ট ছিল না বলতে গেলে। যেহেতু ইউরোপে ডোনারের অফিস টাইম গ্যাপরে কারনে অফিসের পরেও বাসায় কাজ করতে হতো কমিউনিকেশানের স্বার্থে। কখনো মেয়েকে কোলে নিয়ে, কখনো মেয়ের পাশে বিছানায় আধা শুয়ে কাজ করতাম অনেক রাত পর্যন্ত কারন একটুতেই মেয়ের ঘুম ভেঙ্গে যেতো। তখন কান্না শুরুকরে দিতো।

ছেলে-মেয়ে, বাসা, অফিস, নিজের শরীর........ সব মিলিয়ে সে এক কঠিন অবস্থা ছিল তখন। তারপরেও দীর্ঘ পরিশ্রমের পর অনেক অনেক আনন্দিত ছিলাম যে আমার কঠোর পরিশ্রম স্বার্থক হয়েছিল। ডোনার এজেন্সি শুধু প্রজেক্ট চালুই করেনি আরো বাড়তি ৪০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছিল পূর্ব প্রতিশ্রত ১০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়াও। এছাড়া পরবর্তী প্রজেক্ট এর জন্য বাংলাদেশকে সিলেক্ট করেছিল। সে কষ্টের পুরস্কার স্বরুপ আমাদেরকে সুইজারল্যান্ডে ইনভাইট করেছিল। ভিআইপি মর্যাদার সে ভিজিট আমাদের জন্য বিশেষ স্মরণীয় ছিল কারন এতো রেসপেক্ট পেয়েছিলাম তাদের কাছ থেকে তা এক কথায় অবিশ্বাস্য। শুধু তাই নয়, পরবর্তী প্রজেক্টে কয়েক'শ মিলিয়ন ডলারের যে বাজেট প্লান আমি দিয়েছিলাম, ডোনার এজেন্সি এক বাক্যে তা এ্যাক্সেপ্ট করে নিয়েছিল। কোথাও কোন অবজেকশান দেয়নি।

যা বলবো বলে লিখা শুরু করেছিলাম তা থেকে কোথায় যে চলে গেলাম!! ও আমার মেয়ের জন্ম। ওর জন্মের পর মারাত্বক দূশ্চিন্তায় ছিলাম আমি। কিভাবে কি করবো, কোথায় ওকে রাখবো, আদৈা চাকরী করতে পারবো কি না? কিন্তু চাকরী ছাড়তে ও ইচ্ছে হচ্ছিল না কারন এটা ছিল আমার জন্য একটা বিশাল চ্যালেন্জ ছিল। নিজের যোগ্যতা যাচাই করার চ্যালেন্জ। সহজে হার না মানার চ্যালেন্জ। সব ছাড়িয়ে ছোট্ট এ মেয়েটাকে কিভাবে বড় করবো সেটাই ছিল সবচেয়ে দূশ্চিন্তার বিষয়। কিন্তু আমার সে ছোট্ট মেয়েটি দেখতে দেখতে সত্যিই অনেক বড় হয়ে গেল একদিন। অসম্ভব ভালোবাসায় জড়িয়ে রাখে প্রতিটা মূহুর্ত। এখনো সে আদুরে বিড়ালই রয়ে গেল।

আজ তার জন্মদিন। আর সে কারনেই এ লিখাটা লিখেছি। একদিন নিশ্চয় এ লিখাটা আমার মেয়ে পড়বে আর তার মা'কে নতুনভাবে জানবে।

শুভ জন্মদিন আমার ছোট্ট বিড়াল, অনেক অনেক ভালোবাসি তোমায়। তোমাকে ছাড়া আমার জীবন কখনই পূর্ণতা পেতো না।

মন্তব্য ৬২ টি রেটিং +২৩/-০

মন্তব্য (৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:০৯

ইসিয়াক বলেছেন: শুভ জন্মদিন মা মণি।
#ফেসবুকে পড়ে এখানে কমেন্ট করলাম। হা হা হা....

আপু আপনার জন্যও রইলো অনেক অনেক শুভকামনা। আপনার এই হার না মানা স্পৃহাকে শ্রদ্ধা জানাই।
শুভ হোক সকল সময়।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫২

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ ব্রাদার।

একখানে পড়লেই হলো। পড়াটাই কথা ;)

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:০৬

পুলক ঢালী বলেছেন: অবিশ্বাস্য জীবন যুদ্ধের গল্প ! আপনার ফাইটিং স্পৃহার প্রতি রইলো সশ্রদ্ধ সালাম। ভাল থাকুন সবসময় ।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৩

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পুলক।

খুব ভালো থাকুন।

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:০৭

পুলক ঢালী বলেছেন: শুভ জন্মদিন মামনি :)

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৩

সোহানী বলেছেন: থ্যাংস ব্রো।

৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:১২

ইমরোজ৭৫ বলেছেন: আমার স্ত্রি যদি চাকরি করতে চায় তাহলে তাকে বাচ্চা নেওয়ার জন্য জোর করবো না। বাচ্চা নিলে তার অনেক সমস্যা হবে। আপনাকে অভিনন্দন। মা হবার জন্য+চাকরি তে সাফল্য পাবার জন্য।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৫

সোহানী বলেছেন: চাকরী করেও বাচ্চা নিলে কেন সমস্যা হবে? এখনতো ছয় মাস ছুটি। আমাদের সময়তো মাসখানেক শুধু ছুটি ছিল।

৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:২৩

রানার ব্লগ বলেছেন: আরি বাপস !! অনেক পরিশ্রম করেছেন !!!!

আমি আশ্চার্য অফিসের লোকই ডোনার কে চিঠি দিচ্ছে প্রজেক্ট বন্ধ করার জন্য !!!! ????

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৭

সোহানী বলেছেন: এখানে চিঠি দেয়ার নিয়ে অনেক কন্সপেরিসি থিউরি আছে। সেটা হয়তো সে বিদেশী নিজেউ দিয়েছে কিংবা দেশের যারা লোকাল এনজিও আছে তারা দিয়েছে কিংবা জেলাস থেকে নিজেদের লোকই দিয়েছে..............। জানি না বা জানার ও চেস্টা করিনি।

৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:২৮

জুল ভার্ন বলেছেন: জন্ম দিনের শুভেচ্ছা দোয়া।।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৭

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৩২

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: ছোট মামনির জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা ও স্নেহাশীষ আর আপনাকে স্যালুট !

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৯

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ গেঁয়ো ভূত!

হায় হায় শহরের ভুত কেউ আছে নাকি?

৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৪৩

শায়মা বলেছেন: শুভ জন্মদিন বেবিটাকে!!!!!!!!!!!


অনেক অনেক অনেক ভালোবাসা তার জন্য আপুনি!!!!! :)

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০০

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শায়মা গুনী আন্টি!

৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:১২

জ্যাকেল বলেছেন: আপনি তো দেখছি একজন যোদ্দা + অনুপ্রেরণা! I appreciate your attitude.

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০০

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ব্রাদার।

১০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৪৪

কালো যাদুকর বলেছেন: অসাধারন । আপনার আরো সাফল্য কামনা করি। কন্যার জন্যও রইল অনেক শুভেচ্ছা।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০১

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ যাদুকর।

এখন রিটায়মেন্ট নিয়ে চিন্তা করছি ;)

১১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৪০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমার সে ছোট্ট মেয়েটি দেখতে দেখতে সত্যিই অনেক বড় হয়ে গেল একদিন।


এভাবেই বড় হয়ে যায়।
মামনির জন্য জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইলো।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০২

সোহানী বলেছেন: সত্যিই তাই। ধুম করে ওরা বড় হয়ে যায় টেরই পাই না। যখন ড্রেস এর সাইজ চেইন্জ হয় তখন একটু বুঝি।

১২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এক অসম্ভব আত্মপ্রত্যয়ী দশভূজা মায়ের কাহিনী পড়লাম।

জন্মদিনে অনেক শুভেচ্ছা ছোট্ট সোনাকে।
শুভেচ্ছা জানবেন আপু।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৩

সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ব্রাদার। এরকম বলতে গেলে প্রায় সব চাকরীজীবি মায়েদেরই কাহিনী।

১৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৪৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: পুরাই মোটিভেশনাল স্পিচ আপু। Feeling proud of you.

কন্যার জন্য রইলো অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৪

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা........... এবার তাহলে ফেসবুকে মোটিভেশনাল কনসালটেন্ট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করি ;) ...... কি বলো?

১৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:০৫

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: লেখাটা পড়ে পরাণ ভিজে গেল। মনে পড়ছে সাড়ে তিন মাসের ছেলেকে নিয়ে দেশে ফিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেয়ার দিনগুলি। আবার এ দেশে এসে গবেষনায় ফিরে ল্যাবের বাইরে স্ট্রলারে ছানা রেখে এক্সপেরিমেন্ট করতাম। একটাই লক্ষ্য ছিল, কোনোভাবেই বসে থাকবো না। তারপর এতদিন অবধি প্রতিদিন একটা লড়াই করেই চলছে পেশাদার জীবন। এদেশে আবার গবেষকদের একটা ডেট অব এক্সপেয়েরি থাকে। খুব মেধাবী নই বলে সেটা এড়ানোর উপায় নেই সামনে। আবার বেকার হবার আশংকায় শ'খানেক জব অ্যাাপ্লিকেশন আর এ পর্যন্ত দশ/বারোটা ইন্টারভিউ দিএ চলছি। এই সব চরাই-উৎরাই নিয়ে একটা লেখা লিখবার খুব ইচ্ছে, নাম হবে 'কর্ম খালি নাই'। হাহা।
আপু, আপনি সাক্ষাৎ দূর্গা। অনেকটা পথ এগিয়ে যাবেন, এই কামনা রইল। বড় হয়ে যাওয়া লক্ষী পুতুলটার জন্যে অনেক মায়া।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২০

সোহানী বলেছেন: তোমার লিখা পড়েই বোঝা যায় তুমি কেমন লড়াকু। আর তাই তুমি আমাকে বুঝতো পারো।

তুমি কিসের মাঝ দিয়ে যাচ্ছো তা আমি দেখতে পাচ্ছি। তারপর বিদেশের মাটিতে এ সংগ্রাম আরো অনেক অনেক কষ্টের। কারন বাসায় ফিরে তোমার জন্য রেডি খাবার নিয়ে কেউ অপেক্ষায় নেই। সেটা তোমাকেই করতে হবে। ঘরে বাইরের সমান তালে যুদ্ধ করার কষ্ট সেটা যে না করেছে সে কোনভাবেই ফিল করবে না।

তবে আমি কি করেছি জানো, একদিন মনে হলো আমি আমার বাচ্চাদেরকে ডিপ্রাইভ করছি। ওদের সবচেয়ে মূল্যবান সময়টুকুতে আমি সময় দিচ্ছি না। তারপর সব হিসাব নিকাশ করে ধুম করে সব ছেড়ে দিয়েছিলাম। এখন যা করছি রিটায়েরমেন্ট পর্যন্ত আর চেইন্জ করবো না বলেই আশা রাখি।

তুমি পারবে, অবশ্যই পারবে। তোমার কি পিএইচডি শেষ হয়েছে? জার্মানীতে পিএইচডি দের যথেস্ট ভালো ডিমান্ড যা কানাডায় নয়। এখানে সাধারনদের বরং জব মার্কেট ভালো। তুমি যদি কখনো চাও আমার ভাই বা ওর বউ এর সাথে কথা বলতে পারো। ওরা দু'জনেই পিএইচডি শেষ করে খুব ভালো জবে আছে।

১৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৫১

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আপনার সাফল্যের কথা পড়ে ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা নিবেন।

আপনার পোষ্টের ফ্যান প্রচুর আছে বোঝাই যাচ্ছে। আপনার নামও আগে অনেক ব্লগারের কাছে শুনেছি। আমি আসলে চেষ্টা করি লেখকের নাম না পড়ে লেখা পড়তে; তাতে করে যাদের পছন্দ করি তাদের লেখাই ভালো লাগবে, যাদের পছন্দ করি না তাদের লেখা ভালো লাগবে না.... এই সমস্যা থেকে বের হওয়া যায়।

আপনার লেখা পড়া শুরু করেছিলাম সাফল্যের কথা শুনবো বলেই। পোষ্টের শেষে এসে হোচট খেলাম! টাইটেল ও লেখা পুরাটা পড়ে মনে হয়েছিলো যে সাফল্যের কথাই পড়ার কথা। কিন্তু, "যা বলবো বলে লিখা শুরু করেছিলাম তা থেকে কোথায় যে চলে গেলাম!!" পড়ে মনে হলো লেখার মূল কাহীনিই আলাদা কিছু ছিলো।

যাই হোক, আমি কাউকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই না; এমনকি আমার ছেলে-মেয়ে-বউকেও না। জানালে হয়ত আপনার বাচ্চাকেও জানাতাম।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৯

সোহানী বলেছেন: নো প্রবলেম, জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে হবে না। ওটা সাইলেন্ট থাকলো। সাফল্যের শুভেচ্ছাতেই খুশী। ;)

সত্যিই আমি কিছু ভেবে লিখা শুরু করি কিন্তু কলম তার নিজ গতিতে চলতে থাকে। তখন আর আমার কন্ট্রোল থাকে না, এ এক অদ্ভুত অবস্থা............। সত্যিই মূল কাহিনী আলাদা কিছুই ছিলো। সেটা নিয়ে হয়তো ওর অন্য কোন জন্মদিনে।

আমি কিন্তু আপনার মতো নয়, আমার হাতে যেহেতু সময় কম থাকে তাই আমি আমার ভালোলাগা ব্লগারদের লিখাই আগে পড়ার চেস্টা করি। কিন্তু যখন হাতে সময় তাকে তখন একটানা প্রথম পাতা থেকে পড়া শুরু করি এমন কি কবিতাও। আসলে আগে অফিসে যেতাম বাস ট্রেনে করে। তাই আসতে যেতে দুই আড়াই ঘন্টা সময় কাটাতাম ব্লগ পড়ে। কিন্তু পেন্ডামিকের কারনে হোম অফিস হওয়াতে এখন সে সময়টা গায়েব হয়ে গেছে। অলসও হয়ে গেছি অনেকটা।

ভালো থাকুন অনেক।

১৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,



জীবন যুদ্ধের চালচিত্র।
আমাদের প্রবাসী , এমনকি দেশী নারীরাও উচ্চশিক্ষা গ্রহনকালীন সময়ের পাশাপাশি চাকুরীতে যে পরিমান সাহস আর ধৈর্য নিয়ে লড়ে যান তা অবশ্য অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য।
এই যেমন আপনি লিখলেন আপনার তেমন জীবন কথা তেমনি ১৪ নম্বর মন্তব্যে রিম সাবরিনা জাহান সরকারও আঁচ দিলেন তেমনটারই। জীবন যুদ্ধে লড়াকু সব নারীদের লাল সালাম জানাতেই হয়।

আপনার আদুরে ছোট্ট বেড়াল ছানাটির জন্যে রইলো অনেক আদর - স্নেহ আর অফুরান শুভেচ্ছা।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৩

সোহানী বলেছেন: একদম সত্যি। যে সব মেয়েরা ঘরে বাইরে লড়ে যায় তাদের যুদ্ধ সীমাহীন। তারপরও দু:খ কি জানেন, অনেকেই এতে সফলতা পায় না। কারন তাদেরকে সফল হতে দেয় না.........।

আরো কষ্ট হলো, বেশীরভাগই মেয়েদের এ কষ্ট বুঝতে অক্ষম। মেয়েদের এ কষ্ট বোঝার জন্য অনেকেরই সে মানসিকতা থাকে না। তাই ানেকেই হাল ছেড়ে দেয়।

অনেক ধন্যবাদ গুরুজ্বী। কবে আসবেন ক্যালিফোর্নিয়ায়? তারপর কানাডায়??

১৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:২৭

নীল-দর্পণ বলেছেন: মা'য়েদের এই যুদ্ধ মা ছাড়া আর কেউ মনে হয় অনুভব করতে পারে না।

আদুরে বেড়াল ছানাটার জন্যে অনেক অনেক ভালোবাসা।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৩:৪০

সোহানী বলেছেন: সত্যিই মা ছাড়া কেউ মায়ের কষ্ট বুঝে না। যে যাই বলুক, শারীরিক মানসিক যে যুদ্ধের মাঝে একজন মা যায় তার কষ্ট বোঝা খুব কঠিন।

অনেক ভালো থাকো নীল..........

১৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৫০

মিরোরডডল বলেছেন:




প্রতিটা মা একেকজন যোদ্ধা, আর যদি কর্মজীবী মা হয় তাহলেতো কথাই নেই ।
আমার বোনদের দেখেছি প্রেগন্যান্ট অবস্থায় এবং পরবর্তীতে ছোট শিশু নিয়ে কিভাবে ঘর এবং অফিস ম্যানেজ করেছে, এখনও করে । ইওর হার্ড ওয়ার্ক পেইড অফ আপু ।

আমার হয়ে জন্মদিনে বেবি গার্লকে গালটা টিপে দিও ।
জানি বড় হয়ে গেছে, তাও গাল টিপে দিও । ওটাই আমার আদর :)




২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৩:৪৭

সোহানী বলেছেন: নাহ্ এখনো সে রকম বড় হয়নি। গাল টিপার অবস্থায় আছে এখনো।

তবে একটু বেশী আহলাদী। বিশেষ করে ভাইয়ের আদরে বেশী একটু বেশীই আহলাদী। আমি বেশ কড়া মা কিন্তু ছেলের যন্ত্রনায় তাকে শাসন করতেই পারি না। একটু কিছু বললেই সে দৈাড়ে এসে বোনকে নিয়ে যায়।

১৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৩:০৯

গরল বলেছেন: একই সাথে দুটি অর্জন, মেয়ে ও প্রজেক্ট, অভিনন্দন রইল ও শুভ জন্মদিন আপনার রাজকণ্যাকে।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৩:৪৯

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ গড়ল।

আপনার লিখা বেশ কয়েকটা পড়েছি কিন্তু মন্তব্য করা হয়নি। ভেবেছিলাম পড়ে করবো তারপর সে লিখায় আর ঢুকা হয়নি।

২০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৩:১৭

কলাবাগান১ বলেছেন: শুভ জন্মদিন...অনেক যুদ্ধ করেছেন...অনেকটা আমাদের মতই। দুমাস বয়সে কন্যার আমেরিকা আগমন...দুজনেই সামান্য ইনকাম (ছাত্র/গবেষক হিসাবে), মেয়ে অনেক কস্টের মাঝে বড় হয়ে উঠেছে...তবে সেই মেয়ে এখন বিশ্বখ্যাত হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মলিকুলার বায়োলজিতে এক্সিলেন্ট রিসার্চ করে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেছে... জীবনের সকল কস্ট এক নিমিষে ই নাই হয়ে গেছে এই অর্জন এ।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৩:৫৩

সোহানী বলেছেন: আপনার মেয়েকে অভিনন্দন। ছেলে-মেয়ের সাফল্যের চেয়ে আনন্দময় আর কিছু হতে পারে না। আহ্ আমার যে সে দিন কবে আসবে!!!

আপনাদের কষ্টের মাঝে বড় হয়েছে বলেই সে আজ পিএইচডি করতে পেরেছে। অনেক বিত্তের মাঝে থাকলে হয়তো সেটা সম্ভব হতো না। কিছু পাওয়া না পাওয়ার মাঝের সন্তানরাই সঠিক পথে যায়।

ভালো থাকুন।

২১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:৫৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: শুভ জন্মদিন মা মনি

২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৩:৫৪

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ডিয়ার।

তোমার ছেলের জন্মদিনও তো দেখি এপ্রিলে, তাই না!

২২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৪১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: শুভ জন্মদিনে অফুরন্ত ভালোবাসা ও প্রার্থনা মা'র জন্য।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৩:৫৪

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মশিউর।

২৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৪৭

অক্পটে বলেছেন: শুভ জন্মদিন কন্যার জন্য। মায়েরা তো এমনিতেই অনেক বড় যোদ্ধা তার উপর কর্মজীবি মায়েদের ব্যপারটা অনেক অনেক বেশি চ্যালেঞ্জর। ঘর সামলানো অফিস সামলানো এবং পারিবারিক আরো কত কি.. স্বপ্ন এবং অটুট মনোবলের যোদ্ধারাই শুধু পারে টিকে থাকতে। আপনার এই সংগ্রামে অন্য অনেকেই অনুপ্রাণীত হবে। লেখা অনেক ভালো লেগেছে।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৪:০০

সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।

সত্যিই এ বিষয়টা অনেকেই বুঝে না। একটি মেয়ের যে কত কিছু সামাল দিতে হয় তা অবিস্বাস্য। অনেকেই পারে না কারন সে চারপাশের সাথে যুদ্ধ করে টিকতে পারে না। একটি মেয়ে এরকম খোলা মাঠে যুদ্ধে টিকতে হলে তার কিছু সাপোর্ট লাগবে পিছনে। হয় অসম্ভব আত্মবিশ্বাস, নতুবা স্ট্রং পারিবারিক সাপোর্ট অথবা কঠিন পলিটিকেল বেকিং। আমারও এরকম কিছু স্ট্রং সাপোর্ট ছিল বলে আমি কোন কিছুর সাথে কম্প্রোমাইজ করিনি। যার কারনে দাবার গুটি চালে আমি জিতে গিয়েছিলাম।

২৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:২১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কঠিন ফাইট করে টিকে গেছেন। স্যালুট। মামনির জন্য দোয়া।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৬:১৬

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ মাইদুল।

২৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:২১

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: আপু, পিএইচডি শেষ হয়েছে সেই ২০১৫ সালে। তারপর শিক্ষকতা, দ'টো পোস্টডক, আর্ধেকটা ইন্ডাস্ট্রি জব আর ক'টা কোর্সও করে ফেলেছি। দ্বিতীয় পোস্ট ডকটা শেষের পথে। দুয়েক জায়গায় নতুন কাজের কথা চলছে। আপনি শুধু দোয়া করবেন, আর ওতেই হবে। তবে আপনার সাহায্যের ইচ্ছের জন্যে অনেক কৃতজ্ঞতা রইল।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৬:২০

সোহানী বলেছেন: ওহ নো........... জীবনতো তাইলে তোমার পড়তে পড়তেই গেল :P

আরে তোমার মতো গুনীকে যারা নিবে তাদের সাত জনমের ভাগ্য। চিন্তা করো না, জার্মান এমন দেশ যে সত্যিই কাজের সন্মান দিতে জানে।

যাবো যাবো করে যাওয়া হচ্ছে না। এ সামারেও হচ্ছে না। দেখি এর মাঝে ছুটি ম্যানেজ করতে পারি কিনা।

২৬| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৩৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনের লেখাটা পড়ছি আগেই। মন্তব্য যে করবো, সময়ই পাই না। করোনার পরবর্তী যাত্রা কঠিন হয়া যাইতেছে। :(

আপনে মনে হয় দেশে স্বাস্থ্যখাতের কোন একটা এনজিওতে ছিলেন। ইহা যদি সত্যি হয়, তাইলে স্টেকহোল্ডারদের মিটিংয়ে এই অধমরে দেখছেন মনে হয়। সম্ভাবনা খুবই বেশী। সেইজন্য এনোনিমাস ব্লগিংয়ে আরেকটু সতর্ক হইতে হবে। =p~

ভাগ্নির জন্য অনেক আদর রইলো। দোয়া করি, বাঘের বাচ্চা যেন একদিন বাঘ হয়ে ওঠে। :)

২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৬:২৮

সোহানী বলেছেন: এনজিও না, স্বয়ং স্বাস্থ্যখাতের ডোনার এজেন্সিতে ছিলামরে ভাই।

দেশে ফাইনান্স সেক্টরের এই এরিয়াতে আমাকে মোটামুটি সবাই চিনতো। তাই পুরান মানুষদের কাছে একটু খোঁজ নিলেই পাইবেন আমারে। তাইলেই বুঝবেন দেখা হইছে কিনা :)

এনোনিমাস ব্লগিং থেকে মঞ্চে উঠলাম মাত্রই। আর কত এনোনিমাস থাকবো!!!!! রিটায়ারমেন্টের চিন্তা-ভাবনা মাথায় ঘুরঘুর করতাছে। জীবনটা একটু অন্যভাবে যাপনের চেস্টা..........।

ভাগ্নি যত বড় হচ্ছে তত আহলাদী হচ্ছে.......

২৭| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:৫৭

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: আপনি একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি।আপনার ও আপনার মেয়ের জন্য শুভকামনা।

১২ ই মে, ২০২২ সকাল ৮:৩৮

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জাহিদ ভাই।

২৮| ০৪ ঠা মে, ২০২২ বিকাল ৪:০৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: "এক অসম্ভব আত্মপ্রত্যয়ী দশভূজা মায়ের কাহিনী পড়লাম" - পোস্ট পড়তে পড়তে আমার যে কথাটা বারংবার মনে হচ্ছিল, মন্তব্যের ঘরে এসে দেখলাম পদাতিক চৌধুরি ঠিক সে কথাটাই বলে দিয়েছেন। আপনার এই ফাইটিং স্পিরিট আপনাকে অনেক দূর নিয়ে যাবে বলে মনে করি।

মেয়ের জন্য জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও স্নেহাশিস রইলো। সেও যেন মায়ের এমন গুণে গুণান্বিতা হয়!

১২ ই মে, ২০২২ সকাল ৮:৪১

সোহানী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় লেখক।

আসলে ফাইটিং করতে করতে টায়ার্ড এখন। রিটায়ারমেন্টে যেতে হবে এবার B-)) ...........।

২৯| ০৫ ই মে, ২০২২ রাত ১১:৫৬

ঢুকিচেপা বলেছেন: যেহেতু বছর পার হয়নি তাই এখনো জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো যায়।
আপনার ছোট্ট বেড়ালের জন্মদিনে অনেক অনেক দোওয়া রইল।

যে পরিস্থিতিতে আপনি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলেন এই ক্ষমতা সবার থাকেনা।
তাছাড়া দেশের প্রতি যে টান তার জন্য স্যালুট।

ঈদের শুভেচ্ছা রইল।

১২ ই মে, ২০২২ সকাল ৮:৪৯

সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।

এমন করে যে কেউই চিন্তা করে না। সবার নিজের ধান্ধায় বিজি থাকে। আবার অনেকে সাহস করে না বা সাহস করার মতো পরিবেশই পায় না্।

আর বিড়ালতো দিন দিন আরো আদুরে হচ্ছে। এখনো আমার কোলের উপর.......... :`>

৩০| ১০ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:১২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এনজিও না, স্বয়ং স্বাস্থ্যখাতের ডোনার এজেন্সিতে ছিলামরে ভাই। কন কি!! তাইলে তো আরো সাবধানে থাকতে হইবো দেখতাছি!!!! :(

১২ ই মে, ২০২২ সকাল ৮:৫০

সোহানী বলেছেন: সাবধানের দরকার নাইরে ভাই...। ওই বিজনেস ক্লোজ। এখন নতুন ধান্দায় বিজি.................

৩১| ১৬ ই মে, ২০২২ রাত ১১:৪৭

রোবোট বলেছেন: হুমম

৩০ শে মে, ২০২২ সকাল ৮:১৪

সোহানী বলেছেন: B:-/ B:-/ B:-/ B:-/ B:-/

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.