নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।
পুলিশী হেফাজতে মাহসা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইরানে চলছে হিজাব প্রটেস্ট, রাস্তায় নেমেছে হাজার হাজার নারী পুরুষ। জোর পূর্বক চাপিয়ে দেয়া হিজাব রাস্তায় রাস্তায় পুড়ছে নারীরা। ক'দিনের হিসাবে মারা গেছে কমপক্ষে ৩১ সাধারন জনগন। গত সাপ্তাহে হিজাব বা রাস্ট্রের নির্ধারিত পোষাক না পড়ার কারনে গ্রেফতার হোন ২২ বছরের আমিনি। তার কয়েক ঘন্টা পর পুলিশী হেফাজত থেকে হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে এবং তিনদিন কমায় থাকার পর মৃত্যু্বরণ করেন মাহসা আমিনি। ধারনা করা হচ্ছে পুলিশ তাঁর মাথায় আঘাত করেছে যার কারনেই তার মৃত্যু হয়েছে। যদিও আর সব স্বৈরাচারী শাসকের মতো নিজেদের গা বাঁচাতে একটা এডিটেড ভিডিও মার্কেটে ছাড়া হয়েছে যা আরো অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে এবং বন্ধ করে দিয়েছে সকল সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টগ্রাম...।
১৯৭৯ থেকে ইসলামী শাসনের পর থেকেই ইরানে রাস্ট্রীয়ভাবে নারীর পোষাক নির্ধারন করা হয়, হিজাব পড়া যাতে চুল দেখা না যায়, ঢিলাঢালা পোষাক পড়া যাতে শরীরের কোন ভাজ দেখা না যায়, লম্বা পাজামা পড়া যাতে পা দেখা না যায়। এবং শুধুমাত্র মেয়েরা পোষাক ঠিকভাবে পড়েছে কিনা তার জন্য একদল পুলিশবাহিনী রাখা হয়েছে যাদেরকে মরালিটি পুলিশ বা "Gasht-e Ershad" (Guidance Patrols) বলে। এসব পুলিশ প্রপার ক্লোথিং এর নামে বা তাদের পছন্দ না হলে যখন তখন যেকোন মেয়েকে জেল, জরিমানা বা মারধর করার ক্ষমতা রাখে। এরকম রাস্ট্রীয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে অনেকবারেই ফুঁসে উঠেছিল সাধারন নারীরা কিন্তু এবারের আন্দোলনে জ্বলছে পুরো ইরান। নারীর সাথে রাজপথে নেমে এসেছে সাধারন মানুষও।
একটি রাস্ট্র বা একটি সমাজ যখন নারী শরীরে নির্ধারিত পোষাক জোর করে করে চাপিয়ে দেয় তখন বুঝতে হবে আসলে তারা নারীদের ভয় পাচ্ছে। কোনভাবেই তাদেরকে সামনে আসতে দিতে চায় না, যেভাবেই হোক তাদেরকে টেনে ধরতে চায়। যার কারনে পর্দার আড়ালে, পোষাকের নামে, ধর্মীয় শিক্ষার নামে তারা নারীদের দমিয়ে রাখতে চাচ্ছে যাতে মেয়েরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, তাদের কাজের প্রতিবাদ করতে না পারে। মেয়েদেরকে দমনের এটা একটা কৈাশল মাত্র যা চলে আসছে যুগ যুগ ধরে।
একটি মেয়ে যদি তাদের পছন্দের পোষাক পরে তাহলে রাস্ট্র, সমাজ বা পুরুষশ্রেনীর কেন সমস্যা হয় যুগ যুগ ধরে। মেয়েদের পাপের বোঝা তো পুরুষদের বহন করতে হবে না। মেয়েরা পোষাক পড়লো নাকি পোষাক খুলে হাটলো সেটা একান্ত তাদের ব্যাপার। তোমার দেখতে ভালো লাগলে সে দিকে তাকাবে না। তোমার নোংরা মন সেদিকে ছুটলে সেটা কন্ট্রোল করার দায়িত্ব তোমার। তোমার নোংরা মানসিকতাকে, তোমার দূর্বলতাকে ঢাকতে মেয়েরা কেন তোমার পছন্দমত পোষাক পড়বে???
ঠিক একইভাবে আমাদের দেশেও চলছে একই অরাজকতা। আমাদের রাস্ট্র নয়, আমাদের সমাজ নির্ধারন করে দিচ্ছে মেয়েদের পোষাক। আমি আমার নানীকে দাদীকে বা মা'কে ও বোরকা পড়তে দেখিনি। আমি যখন ঢাকা উইনিভার্সিটিতে পড়তাম তখন মাত্র একজন বোরকা পড়তো। আর এখন চারপাশে অসংখ্য হিজাবধারী। আমি জানতে চেয়েছিলাম হঠাৎ দেশে কেন এরকম পরিবর্তন? মেয়েরা কি কারনে হঠাৎ ধার্মিক হয়ে গেছে?
উত্তরটা আমি নিজেই দেয়ার চেস্টা করেছি। কেউ হয়তো এক মত হবেন, কেউ নয়। যেমন;
- আফসানা কলেজে পড়ে। বাসা থেকে কলেজে যেতে আসতে বাস রিক্সা হাটা সবই করতে হয়। এরই মাঝে বেশ ক'বার বখাটের হাতে নাজেহাল হতে হয়েছে। তাই হিজাব পড়া শুরু করেছে এসব বখাটেদের হাত থেকে বাঁচতে।
- রুবিনা চাকরী করে। আশেপাশের কিছু সহকর্মী বা পরিচিতদের অশ্লিল কথাবার্তার আভাস পেয়ে ভয়ে হিজাব পরা শুরু করেছে।
- মায়ার সব বান্ধবী হিজাব পরে, তাই সেও হিজাব শুরু করেছে।
- জারিন কলেজে উঠেই হিজাব ধরেছে কারন হিজাব ছাড়া বিয়ের বাজারে ভালো দাম পাওয়া যায় না।
- খালেদা হিজাব পড়া শুরু করেছে বিয়ের পর কারন তার তার স্বামী তাকে বাধ্য করেছে। স্বামীর কথা, বিয়ের আগে যথেস্ট রঙঢঙ করেছো এবার হিজাব ধরে আল্লা আল্লা করো, পর পুরুষকে শরীর দেখানোর দরকার নাই।
- মা-বাবার জোড়াজুড়িতে মায়া হিজাব পড়া শুরু করেছে কারন পাড়া প্রতিবেশী আন্টিরা সকাল বিকাল তার মায়ের কানে উল্টাপাল্টা বলেই যাচ্ছে।
- তিথি নিজ থেকেই হিজাব পড়া শুরু করেছে কারন শরীর ঢেকে রাখতে তার ভালো লাগে।
এভাবেই আমাদের সমাজ আস্তে আস্তে মেয়েদের উপর চেপে বসছে এ সমাজ বা তথাকথিত পুরুষেরা। ধর্ষণের কারন হিসেবে প্রথমেই দায়ী করে ধর্ষিতার পোষাককে, সাফ ফুটবলে মেয়েদের সাফল্যের খবরের উল্লাসিত জনগনের পাশাপাশি কিছু মানুষের চোখ চলে যায় তাদের হাফপ্যান্ট পড়া পায়ের দিকে। ভালো মেয়ে খারাপ মেয়ের পার্থক্য তৈরী হয় হিজাবের ভিত্তিতে, হিজাব পড়লে ভালো মেয়ে আর না পড়লে খারাপ মেয়ে!
কারন, ওই যে আগেই বল্লাম, প্রচন্ড ভয় পায় মেয়েদেরকে, মেয়েদের ক্ষমতাকে, তাদের অধীনস্ততাকে, তাদের বুদ্ধিদৃপ্ত পদক্ষেপকে। আর তাইতো ওয়াজ মাহফিল থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়াকে সবখানেই মেয়েদের দমনের চেস্টা করে যায় এরা। যত দমন করতে পারবে ততই দাস বানাতে পারবে, ততই তাদের শোষন করতে পারবে।
কখনই বলিনা হিজাব খারাপ বা ইসলামী পোষাক পড়ো না। শুধু বলা, পোষাক একান্তই যার যার নিজস্ব বিষয়। কে কিভাবে পোষাক পড়বে সেটা তার ব্যাক্তিগত পছন্দ। এখানে রাস্ট্র সমাজ নামধারী দ্বিতীয় তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ মোটেও কাম্য নয়।
সবাই ভালো থাকুন আর ভালো থাকুক ওপারে মাহসা আমিনি।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:০৬
সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কামাল ভাই।
আমার এক পোস্টইতো দেখি ব্লগে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে আর আন্দোলন করলে যে কি হবে সেটা তো বুঝতেই পারছেন।
সবার বোঝার তৈাফিক দিক, এই প্রার্থনা।
২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৩৫
নাহল তরকারি বলেছেন: ছেলেরা মেয়েদের দিকে কু নজরে তাকায়। এটা আমরা সবাই জানি। একজন সুস্থ ছেলে যখন কিশোরে পদার্পণ করে তখন তার ব্রেনে সেক্স একটিভিটি কাজ করে। ছেলেদের কু নজর থেকে বাচতে মেয়েদের এমন ভাবে পোষাক পরিধান করা উচিত যাতে সে ছেলেদের কু নজরে না পড়ে। বোরকা ছাড়া অন্য পোষাকে যদি ছেলেদের কু নজরে বাচতে পারেন সমস্যা নাই।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:০৮
সোহানী বলেছেন: "একজন সুস্থ ছেলে যখন কিশোরে পদার্পণ করে তখন তার ব্রেনে সেক্স একটিভিটি কাজ করে। "...
এটা কি মেয়েদের বেলায় কাজ করে না?? তাহলেতো মেয়েদের কু নজর থেকে বাচতে ছেলেদের এমন ভাবে পোষাক পরিধান করা উচিত যাতে সে ছেলেদের কু নজরে না পড়ে।.........
ধন্যবাদ
৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৫১
তানভির জুমার বলেছেন: অন্য দেশের কথা বলবেন নিজের দেশের কথা বলবেন না? আপনার ইউনিভার্সিটিতে কত মেয়ে হিজাব-বোরকা পড়ার কারণে শিক্ষক থেকে শুরু করে সহপাঠিদের কাছে কি পরিমান নোংরামির শিকার হয়েছে জানেন? বাংলাদেশের মত সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশে মেয়েরা হিজাব-বোরকা পড়ার কারনে কলেজ-ইউনিভার্সিটিতে যে পরিমান নির্যাতনের শিকার হয়েছে এটা যদি তথাকথিত প্রগতিশীলদের সাথে ঘটতো তাহলে তারা এতদিনে পশ্চিমাদের ডেকে এনে যুদ্ধ লাগিয়ে দিত।
হিজাব পড়া ইরানের রাষ্ট্রীয় আইন আর কোন নাগরিক যখন রাষ্ট্রীয় আইন অমান্য করে তাহলে এটা কে রাষ্ট্রদ্রোহী বলে, আর অবশ্যই দেশের প্রশাসন রাষ্ট্রদ্রোহীদের বিরোদ্ধে ব্যবস্থা নিবে। ইরানে কিন্তু হাজার মেয়েরা হিজাব পড়ার পক্ষের দাবী নিয়ে রাস্তায় নেমেছে যদিও এগুলো মিডিয়ার আসে না। ফ্রান্সে আপনি চাইলেই আপনার ইচ্ছামত পোশাক পড়তে পারবেন না।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:১০
সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ তানভির জুমার। লিখাটা আবার পড়ুন বোঝার জন্য।
৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৫২
মোগল বলেছেন: বাংলাদেশে যখন কোন মেয়ে হিজাব পড়ার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিগৃহীত হয় - তখন বিষয়টাকে আপনি কিভাবে দেখেন? ইরানে মেয়েরা হিজাব পড়ে রাষ্ট্রের আইনের ভয়ে। বাংলাদেশে হিজাবের পক্ষে কোন আইন নাই, তার পরেও অনেক মেয়ে নিজে থেকে হিজাব পড়ে। সামাজিক চাপের কারণে হিজাব পড়ে - এইরকম মেয়ের সংখ্যা খুব বেশি হওয়ার কথা না। আপনি যেই সমস্ত কেইসের কথা আলোচনা করেছেন তা আরও বস্তুনিষ্ঠ হওয়া প্রয়োজন ছিল - যেমন কোন জরিপের ফলাফল ইত্যাদি। শুধু শুধু গায়ের জোরে একটা কিছু বানিয়ে বানিয়ে বললেই সেটা ফ্যাক্ট হয়ে যায় না।
মাইনাস।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:১১
সোহানী বলেছেন: লিখায় নিশ্চয় দেখেছেন বলা আছে আমার মতামত!!
ধন্যবাদ মোগল।
৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:০৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: নিজের সম্পদের হেফাজতের দায়িত্ব ব্যক্তির নিজের। নারীর ইজ্জত লুন্ঠনের ঘটনা বেশী ঘটে বিধায় এ বিষয়ে অনেকে তাদেরকে অনেকভাবে সাবধান করে। যেসব দেশে মেয়েরা পোশাক ছাড়া রাস্তায় বের হয় হতে পারে সেসব দেশের পুরুষের মানসিকতা উন্নত। আমাদের দেশের পুরুষের মানসিকতা হয়ত তেমন উন্নত নয় বিধায় এখানে নারীরা পোশাক ছাড়া রাস্তায় বের হয় না। ধর্মের বিধান ছাড়াই এখানে নারীরা পোশাক পরে।
লিভটুগেদার অনেক সমাজে গৃহিত। আমাদের সমাজে লিভটুগেদার গৃহিত নয়। অনেক সমাজে বিয়ে ছাড়াই অনেকের বাচ্চা হয়। কিন্তু আমাদের সমাজে বিয়ে ছাড়া বাচ্চা হওয়ার ঘটনা সমাজ গ্রহণ করে না। এক পক্ষ এক রকম সমাজ কামনা করে, অন্য পক্ষ অন্য রকম সমাজ কামনা করে। এ নিয়ে আবার যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে যে পক্ষ জয়ী হয় তারা তাদের পছন্দের সমাজ কায়েম করে। মাহসা আমিনিদের বিরুদ্ধ সমাজবাদীরা ইরানে যুদ্ধ করে জয়ী হয়েছে। সেজন্য সেখানে তেমন সমাজ কায়েম হয়েছে। মাহসা আমিনিদের পক্ষের লোকেরা আবার জয়ী হলে তাদের সমাজ কায়েম হবে। এখন দেখার বিষয় সেখানে আবার মাহসাদের সমাজের লোকেরা জয়ী হয় কিনা।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:১৯
সোহানী বলেছেন: বোঝা যাচ্ছে আপনি খুব উত্তেজিন আছেন মহাজাগতিক চিন্তা ভাই লিখাটা পড়ার পর। অলরেডি ৫বার মন্তব্য করেছেন। এবার শান্ত হোন। এ বয়সে এতো উত্তেজনা ঠিক না। হার্ট ব্লাডপ্রেশার সহ অনেক ঝামেলা বাধেঁ।
যাহোক, সংক্ষিপ্ত উত্তর হলো, আপনি লিখাটা ঠিকভাবে পড়েননি। নতুবা পড়লে বোঝেননি।
তবে আমি অনুরোধ করবো না পড়ার জন্য। কারন আপনি আবার পড়ার পর যদি বোঝেন তাহলে আরো কম করে ৫-৬ বার মন্তব্য করবেন। এবং সেটার উত্তর দেবার মতো যথেস্ট সময় হাতে নেই।
ভালো থাকুন।
৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:১৪
সাসুম বলেছেন: একজন নারী কি পরবে আর কিভাবে ঘুমাবে, কার সাথে শুইবে আর কার সাথে লাগাবে - এটা একান্ত তার পারসোনাল ব্যাপার। নারী কি বিকিনি পরবে নাকি বোরকা পরবে নাকি হাফ প্যান্ট পরবে নাকি হিজাব পরবে- এটা ডিসাইড করবে নারী এবং ইন্ডিভিজুয়াল।
যে শুয়োরের বাচ্চারা যদি কিন্তু দিয়ে নারীর মাথায় বস্তা চাপাতে চায় কিংবা বিকিনি পরাতে চায় জোর করে- সেই শুয়োরের বাচ্চারা ইনিয়ে বিনিয়ে সাফাই গাইতে আসলেই পাছায় বিরাট আকারের লাথি মারা সময়ের প্রয়োজন।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:২১
সোহানী বলেছেন: ভাইডি, ভদ্র ভাষায় কিছু কইছি তাতেই দেখি ব্লগে আগুন লাগছে। আর এরকম ভাষা ইউজ করলেতো বোম মারবে ।
যাকে, একটা উপকার হইছে... অনেকদিন পর ব্লগ জাগিয়া উঠিয়াছে ......
৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:১৭
তানভির জুমার বলেছেন: আমাদের ইডেনেই দেখেন কি হয়, কিভাবে সাধারণ ছাত্রীরা নির্যাতনের শিকার হয়।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:২৩
সোহানী বলেছেন: মন্তব্য লিখার সাথে প্রাসঙ্গিক নয়।
৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:২৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: পুরুষ নারী দ্বারা আকৃষ্ট হয়। পুরুষ নারীর সাথে মিলিত হয়। নারী-পুরুষের মিলনে তাদের বাচ্চা হয়। বাচ্চা ও তার মায়ের খরচ বহন থেকে বাঁচতে পুরুষ পালিয়ে যায়। তারপর বাচ্চা নিয়ে নারী বিপদে পড়ে। তারপর পুরুষটা কোথায় হারিয়েগেলো এ নিয়ে নারী কান্নাকাটি করে সমাজের মাথা খায়। বিয়ে করবে বলে রিলেশন করে অবশেষে ছেলে পাল্টি খেলো। মেয়ে পুলিশের দারস্থ্য হলে পুলিশ বলল এ বিষয়ে কোন বিধান নেই। এ বিষয়ে মেয়ে নানা রকম সিন ক্রিয়েট করে তার কাছের মানুষদের স্বাভাবিক জীবন যাপন অস্বাভাবিক করে তুলল। এরপর তাকে দু’চারটা উপদেশ দিলে কি দোষ হবে? সে তার স্বাধীন মত চলে জাহান্নামে যায় যাক। কিন্তু তার স্বাধীনতার কারণে তার ক্ষতি হলে সে অন্যের জান্নাতকে জাহান্নাম বানায় কেন?
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:২৩
সোহানী বলেছেন: উত্তর উপরে।
৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:২৮
নজসু বলেছেন:
ইরান যেহেতু মুসলিম প্রধান দেশ। সেজন্য ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা অযৌক্তিক নয়।
শরীরের ভাজ দেখানো কি ভালো? যারা অন্যকে শরীরের ভাজ দেখায় তাদের মন মানসিকতা নোংরা।
পুলিশ মাথায় আঘাত করে মেরে ফেলেছে এটা অন্যায়।
নারীকে ভয়ের কি আছে বুঝলাম না। শরীরে নির্ধারিত পোষাক জোর করে করে চাপিয়ে দিলে কি ভয় কমে যাবে? কোন ভয় কমে যাবে? কেন?
ধর্মীয় শিক্ষার নামে তারা নারীদের দমিয়ে রাখতে চাচ্ছে যাতে মেয়েরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, তাদের কাজের প্রতিবাদ করতে না পারে। মেয়েদের কোন কাজের কথা বলছেন? অশ্লীল কোন কাজ কি? কি এমন শালীন কাজ যা মেয়েরা বাঁধা দিলে তারা প্রতিবাদ করতে পারে?
মেয়েরা পোষাক পড়লো নাকি পোষাক খুলে হাঁটলো সেটা একান্ত তাদের ব্যাপার। এইটা কোন কথা?
একটা মেয়ে, মা বাবা, চাচা কাকা, শিক্ষক ভাইয়ের সামনে ন্যাংটু পুটু হয়ে ঘুরে বেড়াবে কেমন দেখায়?
আপনি পারবেন জন্মদিনের পোশাক পরে আপনার বাবা ভাইয়ের সামনে ঘুরে বেড়াতে?
পোশাক ছাড়া যদি বাহিরের লোকের সামনে ঘুরে বেড়ানো যায়, তাহলে নিজের লোকের সামনে সমস্যা কি?
আপনি আপনার নানীকে দাদীকে বা মা'কে ও বোরকা পড়তে দেখেননি। সেটা আপনি একজন। আপনার মতো হাজার হাজার আছেন যাদের নানী দাদীরা বোরকা পড়েন। যারা পরিবার থেকে এই রকম শিক্ষা পেয়ে আসছে তারাই পোশাক খুলে চলাফেরা করার স্বাধীনতার কথা বলবে।
নোংরা মনের কথা বলেছেন। ন্যাংটা হয়ে যারা ঘুরে বেড়াতে চায় তাদের মন কি খুবই পবিত্র? অবশ্য পোষাকের মতোই মনও তাদের খোলামেলা। যখন যা ইচ্ছা নোংরামী করতে পারে।
বোরকা পড়লেই ধার্মিক হয় না। একজন দেহব্যবসায়ী মেয়েও বোরকা পড়ে। এই সমাজে ভালো মন্দ মানুষ আছে। বখাটেও আছে।
(১) আফসান হিজাব পড়া শুরু করেছে বখাটেদের হাত থেকে বাঁচতে।
তাহলে আপনি স্বীকার করলেন হিজাব পড়লে বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
আফসানা আগে বুকের ওড়না গলায় পেঁচিয়ে বুক উঁচু করে কলেজে যাচ্ছিলো। বখাটেরা তার বুকের দিকে তাকাতো বলে লজ্জা লাগতো আফসানার। তাইতো হিজাব পড়ে নিজেকে নিরাপদ রাখছে। ক্ষতি কি?
(২) রুবিনার ক্ষেত্রেও একই কথা বলবো। শাড়ি পড়ে, হাফ হাতা ব্লাউজ পড়ে, পেট কোমর বের করে রাখলে মাছি বসবেই। তারচেয়ে পর্দায় থাকা ভালো।
(৩) মায়া বুদ্ধিমতি মেয়ে। সঠিক পথটা খুঁজে পেয়েছে।
(৪) আপনার কথা বুঝলাম না। এক মুখে দুই কথা বললেন মনে হয়। পুরুষ মানুষের মন নোংরা। ন্যাংটু পুটু মেয়ে দেখলে হা করে চেয়ে থাকে। তাহলে জারিন কোন পুরুষের জন্য হিজাব পড়া শুরু করলো? দেশে এখনও ভালো পুরুষ আছে যারা ন্যাংটা মেয়েদের দিকে তাকায় না। হিজাবধারী ভালো মেয়ে চায়। হিজাব ছাড়া বিয়ের বাজারে ভালো দাম পাওয়া যায় না। কেন বলুন তো? হিজাব কি এমন মূল্যবান যে ভালো বিয়ের জন্য হিজাব প্রয়োজন হয়ে পড়লো? জারিনের বাধ্য হয়ে হিজাব পড়ার কি দরকার? ন্যাংটু পুটু হয়ে ঘুরে বেড়ানো মেয়ের জন্য নিশ্চয়ই আলাদা পুরুষ আছে। জারিন জানে, ন্যাংটো মেয়ে দেখার পুরুষ আছে। ছেলা কলা খাওয়ার লোক নাই।
(৫) খালেদার মা বাবা কি বিয়ের আগে খোঁজ খবর নেননি? কেমন পরিবারে তারা মেয়ে বিয়ে দিচ্ছে? খালেদার মতো খোলামেলা মেয়েকে ইসলামিক মন মানসিকতার পরিবারে বিয়ে দেয়ার কি দরকার? মেয়ে নিয়ে ফুর্তি করা, নেশা করা, বখাটে ছেলের কি অভাব ছিলো? ন্যাংটু মেয়েকে কি ইসলামিক মাইন্ডের ছেলেরা বিয়ে করতে রাজি হবে? দুধও খাবেন, গোঁফও ফ্রেশ রাখবেন কেমন কথা?
(৬) তিথির মন ভালো মানে তিথি ভালো মেয়ে। মনের ভিতর নোংরামী নাই।
আপনি কি জানেন, আরও কিছু মেয়ে আছে যেমন ফাতেমা, রাবিয়া, আয়িশা এরা বাধ্য হয়ে নয়, আল্লাহর ভয়ে, সঠিক পথে থাকতে হিজাব পরিধান করে। শুধু মায়া আর মায়ার মায়ের কথা বললেন। যারা পর্দা ভালোবাসে। নিজেকে সতী রাখে তাদের কথা তো বললেন না।
প্রচন্ড ভয় পায় মেয়েদেরকে, মেয়েদের ক্ষমতাকে। কি কারণ? আপনি কি চান ছেলেরা শাড়ি চুড়ি পড়ে ঘরে বসে থাকবে আর মেয়েরা পাড়া মহল্লায় আড্ডা দেবে?
গরু মেরে জুতো দান করলেন। শেষে বললেন-কখনই বলিনা হিজাব খারাপ বা ইসলামী পোষাক পড়ো না।
আপনি জানেন ইসলামে একজন নারীকে কতো সন্মান দেয়া হয়েছে।
আপনার পায়ের নিচে জান্নাত। ।
ইসলামের সর্বপ্রথম শহীদ একজন মহিলা।
সর্বপ্রথম ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন একজন মহিলা।
আল্লাহ একজন মানুষকে সালাম দিয়েছিলেন,,তিনি ছিলেন একজন মহিলা।
ডেলিভারিতে কোন নারীর মৃত্যু হলে তিনি শহীদ হবেন।
আমি এতো কিছু বলতাম না। আপনার এই কথাটা মেয়েরা পোষাক পড়লো নাকি পোষাক খুলে হাটলো সেটা একান্ত তাদের ব্যাপার আমি মানতে পারলাম না। নিজের ইচ্ছেমতো চলা স্বাধীনতা নয়। অন্যের কথাও ভাবতে হবে। চোর চুরি করবে এটা তার স্বাধীনতা নাকি? বলবেন চোর আর পর্দা কি এক হলো? অশ্লীলতা তো অন্যায়।
যারা আজকে আপনাকে সমান অধিকার দেওয়ার নামে রাস্তায় বের করে এনেছে,,মনে রাখবেন কেয়ামতের দিন এরাই আপনাকে জাহান্নামে টেনে নিয়ে যাবে।
আমার একটু কাজ আছে। অনেক কিছু বলে ফেললাম। ভুল হলে ক্ষমা করবেন।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:২৭
সোহানী বলেছেন: নজসু সাহেব, আপনার আখেরাত নিয়ে আপনি চিন্তা করেন। অন্য কারো আখেরাত নিয়ে চিন্তা না করলেও চলবে।
ভালো থাকুন।
১০| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৩২
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এক জনের পছন্দ একটা, অন্য জনের পছন্দ অন্যটা। তারপর যে পক্ষ যুদ্ধে জয়ী হয় সে পক্ষের পছন্দ কায়েম হয়। পরাজিত পক্ষ জয়ী পক্ষের বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশ করে। এভাবেই চলছে এবং চলবে।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:২৭
সোহানী বলেছেন: মন্তব্য উপরে, দেখে নেন।
১১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৩৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমার ব্যাগটা আমি রেলস্টেশনে রেখে গেলাম। তারপর তা সেখানে না থাকায় চিৎকার করে পাড়াশুদ্ধ মাথায় তুললাম। আমার এমন স্বাধীনতা কে মানবে?
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:২৮
সোহানী বলেছেন: মন্তব্য উপরে, দেখে নেন।
১২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৪৯
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: পোশাকের সাথে নারীকে ভয় বা ভয় না পাওয়ার বিষয়টা বুঝলাম না । আর পোশাকে স্বাধীনতা আসলে নারীর স্বকীয়তা অর্জন হবে কী এই করে যে নারী তার শারীরিক নারীত্বকে বেশ ফলাও করে প্রদর্শন করছে বলে ? তাতে তো মনে হয় না সেই প্রাচীন কালের আবহ থেকে নারী মুক্ত হবে । কারণ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নারী তো সেই দেখার এক বস্তু বলেই প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে । নারীর অগ্রগতির জন্য আর যা কিছু দরকার তা নিয়ে দেখছি কোন মাথা ব্যথা নেই আছে কেবল এই এক পোশাক নিয়ে !!
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:২৯
সোহানী বলেছেন: নারীর পোশাক নিয়েতো দেখি আপনাদেরই মাথা ব্যাথা বেশী মেয়েদের থেকে।
ভালো থাকুন।
১৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:০৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বিবাহের সাথে বন্ধন কথাটি যুক্ত। স্বাধীন মেয়ে বন্ধন না মানলে পুরুষ তাকে বিয়ে না করা পুরুষের স্বাধীনতা। বিবাহের প্রয়োজনে কোন নারী নিজেই বন্ধনে আবদ্ধ হলে সেটাও তার স্বাধীনতা।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:২৯
সোহানী বলেছেন: উত্তর উপরে, দেখে নিন।
১৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১২
শেরজা তপন বলেছেন: শালীন পোশাক সবার পরা উচিৎ সেটা পুরুষ কিংবা নারী যেই হোক। কিন্তু শালীন পোশাক কোনটা সেটা নির্ধারন করবে কে?
ইরাণী নারীদের পাশাপাশি পুরুষেরাও বেশ ঢিলাঢালা আলখেল্লা পরে চলাফেরা করে, সেখানে পুরুষদেরও বুক খোলা ও হাটুর উপরে পোশাক পরা নিষেধ ( আমার জানা মতে সেখানে পুরুষদেরও নুন্যতম একটা ড্রেস-কোড আছে- সেখানে এককভাবে বিশেষ পোশাক শুধু নারীদের উপরে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে সেটা মনে হয় ঠিক নয়। এটা ভাল কি খারাপ সেটা অন্য বিষয়।)
পোশাক পরল কি পরল না এই ব্যাপারটা বেশি যৌক্তিক নয়। পোশাক না পরাটা নিশ্চয়ই সভ্যতার সাথে সাংঘর্ষিক!
পুরুষ কেন সল্পবসনা নারীর দিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাকায় সেটা বুঝতে হলে পুরুষ হতে হবে।
Dress Code in Iran for Men
It is much easier for a male tourist to adapt to the dress code in Iran as there are only some basic rules to keep in mind. Men should wear long trousers and a T-shirt or a long-sleeved shirt. That’s it! You can wear three-quarter pants, if necessary, but this does not look that good.
Do not wear a sleeveless T-shirt and short pants as a male tourist in Iran!
According to Iranian culture, men should also not wear earrings.
Interestingly, men cannot wear ties since the Islamic revolution, as it has been seen as part of Western culture. For foreigners, it is not a problem, though. An unwritten rule that a man loyal to the government is unshaved.
what is against the norm (not religion) in Iran is for a man to wear shorts and sleeveless shirts. Men wear such apparel at home and seeing a man wearing them outside the house is very abnormal. Therefore longer sleeved shirts and long pants, that cover the knees, are the best clothing choices for men travelling in Iran.
What do you wear as a woman in Iran?
Things to consider when traveling as a woman through Iran:
For a headscarf you can best use a thin scarf.
Make sure that you wear your headscarf anytime and anywhere. Also in the communal areas of your hotel/guesthouse. If you see other -local- women without headscarves, you can also remove your headscarf without any problem.
Your arms and legs should always be completely covered. A tight pair of pants or leggings is no problem.
Female forms shouldn’t be shown. Wear a loose blouse or vest that falls over your butt.
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:৩২
সোহানী বলেছেন: শেরজা ভাই, আপনিও সবার পথে হাটলেন? কি বোঝাতে চেয়েছি সেটা কি বুঝতে পেরেছেন?
রুচিশীল বা অরুচিশীল পোষাক নিয়ে কোথাও কিছু বলা হয়নি। আবার পড়ে দেখুন।
ভালো থাকুন।
১৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: দেশে বিদেশে আমার চেনাজানা বেশ কয়েকজন ইরানি আছেন যারা ইসলামের কোনো অনুশাসনই পালন করেন না!এই ঢাকা শহরেও ইরানি হিজাব পড়া নারীদের দেখেছি প্রকাশ্যে ধূমপান করতে। ঢাকাস্থ ইরানি দূতাবাসের দুই জন ইরানিকে চিনি, যারা ঘুষ খায় হাভাতীদের মতো!
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:৩৪
সোহানী বলেছেন: একদম ঠিক। দেশে অতি শাসনের কারনে বাইরে তারা ঠিক উল্টো কাজ করে।
আমার বেশ কিছু ইরানী বান্ধবী আছে। তারা এসবের ধার ধারে না।
১৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: পুলিশী নির্যাতনে যে কোনও মৃত্যুই নিন্দনীয়। এটা একেবারেই মেনে নেয়ার মতো না।
তবে নারী-পুরুষের পোশাক বা আনুসাঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে কয়েকটা কথা বলতে চাই। আমরা সামাজিক জীব। সমাজকে মেনে আমাদের চলতে হয়। সমাজ আবার ধর্ম, নিজস্ব আইন-কানুন, মুল্যবোধ ইত্যাদি দ্বারা পরিচালিত হয়। প্রতিটা সমাজেরই নিজস্বতা আছে। আন্দামানের জঙ্গলে নারী-পুরুষ যেভাবে চলে, সেভাবে যদি এমনকি পশ্চিমা দেশেও কেউ চলাফেরা করে, তাকে পাবলিক ন্যুইসেন্সের জন্য জবাবদীহিতার আওতায় আনা হবে। আমরা যে সমাজে থাকবো, সেই সমাজের নিয়ম-কানুন যদি আমরা মানতে না পারি, তাহলে তো হবে না। সেক্ষেত্রে আমাদেরকে সুবিধাজনক জায়গায় মাইগ্রেট করা উচিত।
ইরানে ইরানের আইন, কানাডাতে কানাডার আইন কিংবা যুক্তরাজ্যে যুক্তরাজ্যের আইন। মোদ্দাকথা, আইন আমাদের মানতে হবে। কোনও আইন যদি সমাজে প্রচলিত থাকে যেটা ধর্ম এবং সামাজিক মুল্যবোধ দিয়ে পরিচারিত হয়, সেটাও মানতে হবে।
আমার জানামতে ইরানে নারীরা সব কিছুই করতে পারে, শুধু পোষাকের কিছু বাধ্যবাধকতা আছে। সেটা কিন্তু পুরুষদের ক্ষেত্রেও আছে। কি বলবেন, সেখানে পুরুষদেরকেও দমন করার চেষ্টা হয়? শালীনতা আর অশালীনতার পার্থক্যও আমাদের বুঝতে হবে পোষাকের ক্ষেত্রে। তবে, হিজাব-নেকাব নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে সহনশীল আচরণ করা উচিত রাষ্ট্রের। এটাই আমার মত।
কেউ যদি বিকিনি পড়ে আমাদের শহরে জনসম্মক্ষে ঘোরাঘুরি করে, তাকে পুলিশ কাস্টডিতে নেয়া হবে পাবলিক ন্যুইসেন্সের জন্য। এই উদাহরন কিন্তু আছে। কি বলবেন? ইংলিশ আইন উগ্র? এটাই কিন্তু সভ্য আইন।
আরেকটা বিষয়। একজনের ভিন্নমতের জন্য আরেকজন যদি আপনার পোষ্টের মন্তব্যের ঘরে বাপ-মা তুলে গালাগালি করে সেটাকে কি চোখে দেখেন?
সমসাময়িক একটা বিষয় নিয়ে দারুন একটা পোষ্টের জন্য আপনেরে অনেক অনেক ধইন্যা। এইসব নিয়া আলোচনা করার প্রয়োজন আছে।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:০৬
সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ ব্রো। ব্লগে ঘনঘন দেখা যাচ্ছে তার মানে আপনে মিয়াভাই কুফরী তাবিজ কবজ থেকে কিছুটা মুক্ত । আর এদিকে আপনার শনি মনে হয় এখন আমার দিকে । এ লিখার মন্তব্য দেখে নিশ্চয় বুঝতে পারছেন!!! হোরাসের তাবিজটা ফালাইয়া দিলে আমার দিকে ফিক্কা মারেন.......... ।
"আরেকটা বিষয়। একজনের ভিন্নমতের জন্য আরেকজন যদি আপনার পোষ্টের মন্তব্যের ঘরে বাপ-মা তুলে গালাগালি করে সেটাকে কি চোখে দেখেন?"
তাকে উৎকৃষ্ট রামছাগল হিসেবে দেখি। ওইগোয়ালে খোয়ারে বাইন্ধা রাখা লাগবে দ্রুত। নতুবা সবার সাধের বাগান শেষ। তাই দেখা মাত্রই মডুদেরকে জানানো উচিত.........
১৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২২
মোগল সম্রাট বলেছেন: অপরাধের সব শাখা-প্রশাখায় বিচরণ ঘটছে নারীদের। প্রতারণা থেকে শুরু করে হ্যাকিং, ছিনতাই থেকে খুন সব অপরাধের সঙ্গেই ভয়ংকরভাবে দোর্দন্ড বিচরণ নারীদের। এমনকি মাদক ব্যবসাসহ অপরাধের শাখা উপ-শাখায় অবাধ বিচরণ ঘটছে নারীদের। সংশ্লিষ্টদের মতে, নারীরা অতি অর্থলোভের কারণেই জড়িয়ে পড়ছে খুন, ছিনতাই, পকেটমারা থেকে শুরু করে নানান অপরাধে। ফলে গাণিতিক হারে বাড়ছে নারী অপরাধীর সংখ্যা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও অপরাধ বিজ্ঞানী ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘পুরুষদের যেমন অর্থের প্রতি লোভ রয়েছে, তেমনি নারীদেরও। নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধির কারণে একশ্রেণির নারীর মধ্যে অর্থলোভ বিকৃত পর্যায়ে চলে গেছে। সে বিকৃত নেশা থেকে নারীরা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। লিঙ্গ সমতা অর্থবহ করতে পারলেই নারীদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে।’
খুন, ছিনতাই, অপহরণ, প্রতারণাসহ অপরাধের নানান শাখা-প্রশাখায় ঘটছে নারীদের বিচরণ। পরকীয়া, অনৈতিক সম্পর্ক, পারিবারিক কলহ, সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সংঘটিত হত্যাকান্ডের পেছনে নেপথ্য ভূমিকা রাখছেন নারীরা। নগরীতে সর্বশেষ পাঁচ বছরে সংঘটিত ২১৫ হত্যাকান্ডের নেপথ্যে ২৩৭ নারীর সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশ। নগরীর মাদকসাম্রাজ্যে পুরুষের পাশাপাশি রয়েছে নারীর নিয়ন্ত্রণ। নগরীর মাদকের অন্ধকার জগৎ নিয়ন্ত্রণ করছে ৪১ নারী। তারা মাদক বহন, পাইকার ও খুচরা বিক্রি থেকে শুরু করে সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করেন। প্রশাসনের তালিকায় রয়েছে মাদকের ৪১ রানি। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মাদকের মামলা। চট্টগ্রাম নগরীতে নারীদের হাতে ঘটছে একের পর এক ছিনতাই। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, কুষ্টিয়া এবং কক্সবাজারের কমপক্ষে ৪০০ নারী ছিনতাইকারী সক্রিয় রয়েছে চট্টগ্রামে। যার মধ্যে ৭৩ জন নারী ছিনতাইকারী এ ছিনতাইকারীদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাদের প্রত্যেকের নামে সিএমপির বিভিন্ন থানায় একাধিক ছিনতাই মামলা রয়েছে। ছিনতাইয়ের পাশাপাশি চুরিতেও কম যান না নারীরা। গত পাঁচ বছরে চট্টগ্রাম নগরীতে সংঘটিত কমপক্ষে ৪০০টি চুরির পেছনে নারীদের সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশ। সিএমপিতে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত আছেন সিএমপির বায়েজিদ থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। তার মতে, ‘একটা সময় নগরীর নারীরা শুধু মাদক ব্যবসার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু বর্তমানে ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, খুন, প্রতারণাসহ সব অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। নানান অপরাধের সঙ্গে নারীদের সম্পৃক্ততা দিন দিন বাড়ছে।’
(সুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন)
রাষ্ট্রদুত কাজী আনারকলি, ভিকারুন্নেছার কামরুন্নাহার, পাপিয়া, ডাঃ সাবরিনা, ইউএনও মেহেরুবা ইসলাম, হেলেনা জাহাঙ্গীর, বরগুনার মিন্নী কিংবা মা-বাপকে জবাই দেয়া ঐশী এরা সবাই নারীদের রিপ্রেজিন্ট করছে।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:০৮
সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ তথ্যের জন্য।
১৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি যা বলতে চাই, তা শেরজা তপন ভাইয়ের কমেন্টে উঠে এসেছে।
পোশাকে শালীনতা প্রকাশ পায়। আপনি যে দেশে আছেন, সে দেশের কালচার অনুযায়ী তা শালীন হতে হবে। এই শালীনতার মধ্যেই পোশাকের ধরন খুঁজে নেয়ার স্বাধীনতা নারীদের থাকতে হবে, পুরুষদেরও থাকতে হবে। একজন মেয়ে চাইলেই কাপড় খুলে রাস্তায় হাঁটবে, এটা তার স্বাধীনতা নয় কোনো সভ্য দেশেই। কোনো সমাজ এটা গ্রহণ করলে ধরে নিতে হবে তারা এখনো সভ্য হয় নি, অথবা সভ্যতা থেকে অসভ্যতার দিকে ধাবমান, আদিম যুগের দিকে যাচ্ছে। অন্য একটা কমেন্টে একটা সুন্দর একটা কথা উঠে এসেছে- ইরানের হিজাব-বিরোধীরা জয়ী হলে এখন হিজাব সেখানে থাকবে না। তবে, এটাও মানতে হবে, হিজাব না থাকাই অশালীনতা না। হিজাব পরাই সাচ্চা মুসলমানিত্বের লক্ষণ না, যদি তাই হতো, তাহলে জুল ভার্ন ভাইয়ের কমেন্টে হিজাবী ইরানীদের যে চিত্র পাই, তা কখনো সম্ভব হতো না।
কোনো কিছুরই চরমাবস্থা ভালো না। ইরানীদের হিজাব পরার আদেশ চরম পন্থা অবলম্বন কিনা, তা বোঝা যাবে হিজাব সম্পর্কিত পলিসিতে কোনো পরিবর্তন আসে কিনা, তার উপর।
মেয়েরা হিজাব পরবে তার ধর্মীয় বোধ থেকে, এটাই হওয়ার কথা। কিন্তু মেয়েরা হিজাব পরে মূলত তার নিরাপত্তার জন্য, যা আপনার উদাহরণগুলোতেই স্পষ্ট হয়েছে। কিন্তু মেয়েদের উপর অত্যাচার, ধর্ষণ, খুন ইত্যাদি যে-হারে বেড়েছে, তা থেকে কখনো কি মনে হয়েছে, হিজাব মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছে? যদিও একটা শ্রেণি মেয়েদের পোশাককেই ধর্ষণের কারণ বলে উল্লেখ করে থাকে, কিন্তু যারা ধর্ষিত হয়েছে, ৩/৪, ৭-৮ বছরের শিশু, যারা ধর্ষণ করে ধরা খেয়েছে, সেখানে পোশাকের কোনো ভূমিকা পাওয়া যায় নি, পাওয়া গেছে অশিক্ষিত মানুষদের মানসিক নোংরামি, শিক্ষিত নেতাদের ক্ষমতা প্রদর্শন, ইত্যাদি।
আমার এমন উদাহরণ জানা আছে, যাদেরকে জোর করেও বোরকা-পরা থেকে বিরত রাখা যায় নি। কে ইসলামের অনুশাসন মানবে, কে মানবে না, এটা ব্যক্তি-নারীরও স্বাধীনতা, সব সময়ই যে পুরুষ বা ধর্ম চাপিয়ে দিচ্ছে নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তা না। নারীরা মূর্খ, ইসলাম বোঝার ক্ষমতা নাই, এটা ভাবা যাবে না।
মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। সমাজেরও কিছু অনুশাসন আছে, যা কালের আবর্তে পরিমার্জিত ও প্রচলিত হয়। সমাজবদ্ধ জীব হিসাবে শালীন অনুশাসনগুলো সবারই মানা উচিত। তবে, বাড়াবাড়ি অবশ্যই মহাকাল গ্রহণ করে না, একসময় তা সমাজ থেকেও প্রত্যাখ্যাত হবে।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:১১
সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ সোনাবীজ ভাই চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
আমার লিখায় কোথাও শালীন বা অশালীন পোশাক নিয়ে কথা বলিনি। ভবিষ্যতে লিখবো নিশ্চয়।
১৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: যেকোনো শালীন পোশাক যেকোনো নারী পড়ার অধিকার রাখে। হতে পারে সেটি শাড়ি, থ্রী পিস, লেহেঙ্গা, জিন্স, বোরখা, হিজাব ইত্যাদি ইত্যাদি।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:১৩
সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ দস্যু ভাই।
শালীন পোশাক নিয়ে আলোচনা করবো নিশ্চয়।
২০| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৫৬
নতুন বলেছেন: একটি মেয়ে যদি তাদের পছন্দের পোষাক পরে তাহলে রাস্ট্র, সমাজ বা পুরুষশ্রেনীর কেন সমস্যা হয় যুগ যুগ ধরে। মেয়েদের পাপের বোঝা তো পুরুষদের বহন করতে হবে না। মেয়েরা পোষাক পড়লো নাকি পোষাক খুলে হাটলো সেটা একান্ত তাদের ব্যাপার।
পুরুষ সমাজ চায় লক্ষী বউ, স্বামীর হুকুম ছাড়া কিছু করবেনা।
এখন শিক্ষা এবং অর্থনৈতিক স্বাধীনতার কারনে নারী অবশ্যই স্বামীর অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে। সমাজে নিজের স্ত্রীকে বসে রাখতে না পারাটা খুবই লজ্জাজনক বিষয়। সরাসরি পুরুত্বের উপরে আঘাত হিসেবে নেয়।
আমাদের দেশের নারীরা খুবই স্বালীন পোষাক পরে থেকে।
আমার ব্যক্তিগত জীবনে চাকুরি সুত্রে বিদেশে ওয়াটার পার্কের পরিবেশ দেখার সুযোগ হয়েছে।
এখানে নারীরা বিকিনি পড়ে ঘুরে বেড়ায় কিন্তু কখনো কোন পুরুষ টু সব্দটি করেনা। কেন করেনা?
কারন এখানে কোন নারীকে কিছু বললে এখানকার সিকিউরিটি বের করে দেবে। নারী যদি পুলিশ ডাকতে চায় তবে পুলিশ এসে ঐ ছেলেকে নিয়ে যাবে।
আমাদের দেশে পথে ছেলেরা নারীদের উত্বক্ত করে সেটার সমাধান পুরুষ সমাজ করতে পারেনা। তারা নারীদের ঢেকে রাখতে বলে।
আরেকটা জিনিস আমি বুঝিনা সেটা হইলো যারা নারীরা বোরকা না পড়লে কুটু কথা বলে তারা কি রকমের ধার্মিক???
এই বিষয়টা পুরাই ভন্ডামী। নিজেরা ধর্ম পালন করেনা কিন্তু ঠিকই নারীর বোরকা পড়া নিয়ে কথা বলে।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:১৬
সোহানী বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য করেছেন নতুন ভাই। যে বিষয়টি বলতে চেয়েছি আপনি তার সারাংশ তুলে ধরেছেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৯
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
পোষাক একান্তই যার যার নিজস্ব বিষয়। কে কিভাবে পোষাক পড়বে সেটা তার ব্যাক্তিগত পছন্দ।
কথাটি সঠিক বলেছেন।
এখানে রাস্ট্র সমাজ নামধারী দ্বিতীয় তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ মোটেও কাম্য নয়।
কথাটি সঠিক বলেননি।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:১৬
সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
২২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:১৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার যুক্তিতে পোশাক একান্তই ব্যক্তির নিজস্ব ব্যাপার। তবে শালীনতা থাকাটা জরুরী। স্বাধীনতা আর স্বেচ্ছাচারিতার মধ্যে তারতম্যটা বা বা পার্থক্য অনুধাবন করতে পারাটা এক্ষেত্র ে খুবই জরুরী বলে আমার ব্যক্তিগত অভিমত।
এই যুক্তিতে চাপিয়ে দেওয়ার উপর আমি ঘোর বিরোধী। ইরানের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত মানব সভ্যতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে আমার ধারণা। একই সঙ্গে কেউ যদি এটা পড়ে থাকে তাকে খুলতে বাধ্য করাটাও সভ্যতার পরিপন্থী বলে আমার নিজস্ব অভিমত।।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:২৩
সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।
২৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:২৫
ঢাবিয়ান বলেছেন: ধর্ম এখন লোক দেখানো কিছু প্রথা পালনে পরিনত হয়েছে , অথচ ইসলাম ধর্মে সবচেয়ে বেশি জোড় দেয়া হয়েছে কর্ম / তাকোয়ার ওপড়। সেই ব্যপারে তেমন কিছুই শোনা যায় না।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:২৪
সোহানী বলেছেন: একদম ঠিক ঢাবিয়ান। ঠিক সেরকমভাবে আমরা চার বিয়ে নিয়ে লাফাই। যেদিকে সুবিধা শুধু সেটা নিয়ে লম্ফঝম্প!!
২৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৩৮
আরোগ্য বলেছেন:
একজন নারী হয়ে জন্ম নেয়া কতটা সম্মানের বা অপমানের তা বিবেচনা করা নিতান্তই কঠিন। সমাজ বলে নারীরা হচ্ছে মায়ের জাতি তাই তাদের সম্মান কর৷ কিন্তু যখন কোন মেয়ে বা নারী ভালো বেশভুষা পরিধান করে রাস্তা দিয়ে হেটে যায় তখন আর সে মায়ের জাতি থাকেনা। কামুক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে লোলুপ দৃষ্টির পিপাসা মেটানোই যেন তখন মূখ্য বিষয়। বোকা জাতি এটাও বুঝে না যে, সম অধিকারের নামে তাদের পথে নামিয়ে কামুক পুরুষরাই তাদের পিপাসা মেটাচ্ছে। সম্মানের নামে কোন পর্যায়ের যে অসম্মান করা হচ্ছে তা ভেবে দেখছে না।
24:31
وَقُل لِّلْمُؤْمِنَـٰتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَـٰرِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ ۖ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ ءَابَآئِهِنَّ أَوْ ءَابَآءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَآئِهِنَّ أَوْ أَبْنَآءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَٰنِهِنَّ أَوْ بَنِىٓ إِخْوَٰنِهِنَّ أَوْ بَنِىٓ أَخَوَٰتِهِنَّ أَوْ نِسَآئِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَـٰنُهُنَّ أَوِ ٱلتَّـٰبِعِينَ غَيْرِ أُو۟لِى ٱلْإِرْبَةِ مِنَ ٱلرِّجَالِ أَوِ ٱلطِّفْلِ ٱلَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا۟ عَلَىٰ عَوْرَٰتِ ٱلنِّسَآءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِن زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوٓا۟ إِلَى ٱللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ ٱلْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ ٣١
And tell the believing women to reduce [some] of their vision and guard their private parts and not expose their adornment except that which [necessarily] appears thereof and to wrap [a portion of] their headcovers over their chests and not expose their adornment [i.e., beauty] except to their husbands, their fathers, their husbands' fathers, their sons, their husbands' sons, their brothers, their brothers' sons, their sisters' sons, their women, that which their right hands possess [i.e., slaves], or those male attendants having no physical desire, or children who are not yet aware of the private aspects of women. And let them not stamp their feet to make known what they conceal of their adornment. And turn to Allāh in repentance, all of you, O believers, that you might succeed.
— Saheeh International
আর মুমিন নারীদেরকে বল, যেন তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। আর যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না। তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে। আর তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, নিজদের ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাই এর ছেলে, বোনের ছেলে, আপন নারীগণ, তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে, অধীনস্থ যৌনকামনামুক্ত পুরুষ অথবা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ছাড়া কারো কাছে নিজদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। আর তারা যেন নিজদের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পদচারণা না করে। হে মুমিনগণ, তোমরা সকলেই আল্লাহর নিকট তাওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।
— Rawai Al-bayan
33:59
يَـٰٓأَيُّهَا ٱلنَّبِىُّ قُل لِّأَزْوَٰجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَآءِ ٱلْمُؤْمِنِينَ يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِن جَلَـٰبِيبِهِنَّ ۚ ذَٰلِكَ أَدْنَىٰٓ أَن يُعْرَفْنَ فَلَا يُؤْذَيْنَ ۗ وَكَانَ ٱللَّهُ غَفُورًۭا رَّحِيمًۭا ٥٩
O Prophet, tell your wives and your daughters and the women of the believers to bring down over themselves [part] of their outer garments. That is more suitable that they will be known[2] and not be abused. And ever is Allāh Forgiving and Merciful.
— Saheeh International
হে নবী, তুমি তোমার স্ত্রীদেরকে, কন্যাদেরকে ও মুমিনদের নারীদেরকে বল, ‘তারা যেন তাদের জিলবাবে*র কিছু অংশ নিজেদের উপর ঝুলিয়ে দেয়, তাদেরকে চেনার ব্যাপারে এটাই সবচেয়ে কাছাকাছি পন্থা হবে। ফলে তাদেরকে কষ্ট দেয়া হবে না। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
* জিলবাব হচ্ছে এমন পোশাক যা পুরো শরীরকে আচ্ছাদিত করে।
— Rawai Al-bayan
এই দুই আয়াতের পর কোন মুসলিম মহিলার ইখতিয়ার থাকেনা যে সে স্বেচ্ছায় যা খুশি তাই পড়ে বাইরে পদচারণ করবে। আর যে রাষ্ট্র শরীয়ত মোতাবেক চলে সেখানে রাষ্ট্র প্রধানের দায়িত্ব শরীয়তের হুকুম আহকাম বাস্তবায়ন করা এখানে দ্বিমত পোষণ করার কোন যুক্তি নাই। যেরূপ সেকুলার রাষ্ট্রে সরকারের বিধি নিষেধ পালন করতে জনগণ বাধ্য। অন্যথায় আইনের আওতায় আনা হয়।
অনেক বছর আগে ভারতের কেরালা রাজ্যে একটা প্রথা ছিল যে, নিচু বংশের নারীরা তাদের স্তন ঢেকে বাইরে আসতে পারবে না। স্তন ঢাকতে হলে আলাদা কর দিতে হবে যা স্তনকর বা মুলাকারাম নামে পরিচিত। বর্তমানে নারীরা স্বেচ্ছায় নগ্ন হতে চাইছে এবং যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে তারা নগ্ন হওয়ার জন্য কর দিতে চাইবে।
ইসলাম ধর্মে স্বাধীন ও সম্ভ্রান্ত নারীরা চুলসহ আপাদমস্তক ঢেকে বাইরে বের হবে, নিজেকে প্রদর্শণ করে বের হওয়া দাসীদের বৈশিষ্ট্য। এর বিপক্ষে যে মতবাদই আসবে তা কোনমতেই একজন মুসলিমের কাছে গ্রহনযোগ্য নয়।
আপনার ভাষ্যমতে নারীরা বাধ্য হয়ে হিজাব করছে। কিন্তু আমার দেখা মতে, অনেক জেনারেল লাইনে পড়ুয়া উচ্চ শিক্ষিত ছেলে মেয়েরা স্বেচ্ছায় শরীয়ত মোতাবেক চলার চেষ্টা করছে এবং এজন্য তাদের প্রতিনিয়ত তাদের পরিবারের লোকজনের সাথেই লড়াই করতে হয়। আগে এতোশত স্কার্ফের প্রচলন ছিলো না কিন্তু শাড়ী, কামিজ যাই পড়ুক না কেন হিন্দু মুসলমান নির্বিশেষে, নানী দাদী গোছের মানুষগুলো আঁচল টেনে মুখ ঢেকে বাইরে যেত, আর পুরুষ লোক বাড়িতে প্রবেশ করার সময় গলায় খাঁকারি দিয়ে আসতো, যাতে বাড়ির মহিলারা পড়নের পোশাকটা ঠিক করে নিতে পারে। এটাই বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের চিত্র।
মাহাশা আমিনির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছি কিন্তু তার কয়েকশত গুণ কষ্ট বেশি পেয়েছি যখন দেখলাম আমাদের মুসলিম বোনরা তাদের ওড়না পুড়িয়ে উল্লাসে মেতে উঠছে। নিজেকে মুক্তমনা প্রদর্শন করতে যেয়ে আমরা যে সীমালঙ্ঘন করছি এবং তার দায়ভার যে অচিরেই আমাদের বহন করতে হবে তা বুঝার চেষ্টা করছি না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুক।
এ বিষয়ে লিখতে চাইনি। কিন্তু ইদানীং ব্লগে ফুটবল ও হিজাব প্রসঙ্গে অনেক পোস্ট আসছে। অবশেষে নিজের দায়িত্ব বোধ থেকে আপনার পোস্টে এই দীর্ঘ মন্তব্য রাখছি।
ধন্যবাদ।।।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:২৬
সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
২৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৪৩
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: নারী-পুরুষ স্বাধীনভাবে মেলা-মেশা করে স্বাধীনভাবে এইচ আইভি ছড়ালে স্বাধীনভাবে জনগণের এর বিরোধীতার অধিকার আছে।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:২৭
সোহানী বলেছেন: উপরে আপনার জন্য উত্তর দেয়া আছে। ধন্যবাদ
২৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৫
মিরোরডডল বলেছেন:
আসলে এ বিষয়গুলো নিয়ে বহু বছর ধরে এতো বেশি আলোচনা হয়েছে তাই আর নতুন করে কিছু বলার নেই ।
সেই একই কথা বার বার বলতে হয় ।
হিজাব করা বা না করা এটা নিয়ে জোর করা ঠিক না । কেউ যদি ধর্মীয় বিলিফ থেকে বা নিজের ইচ্ছায় করতে চায় করবে ।
না চাইলে করবে না । এগুলো নিয়ে ইনসিস্ট করা বা নিয়ম করে বাধ্য করা, না মানলে তাকে এরেস্ট করা বা পিটিয়ে মেরে ফেলা এ বিষয়টা অমানবিক এবং অন্যায় ।
মুসলিম অথবা খ্রিস্টান ধর্মের কেউ যদি ধার্মিক হয় সে তার ধর্মের নিয়ম মেনে চলে, পর্দা করে,
যে ধার্মিক না সে এগুলো করে না । এটাকে স্বাভাবিকভাবে নেয়া উচিৎ ।
কেউ হিজাব করে শালীনতার সাথে, আবার কেউ জাস্ট ড্রেসকোড হিসেবে পরতে হয় বলে পরে ।
লেবানিজ মেয়েদের দেখেছি কেউ খুব পরিশীলিতভাবে হিজাব করে, আবার কেউ হিজাব পরেও এমনভাবে এক্সপোজ করে যেটা মনে হয়না কোন ধর্মীয় কারনে পরা ।
একইভাবে বেশিরভাগ আমাদের মেয়েরা যেমন শালীনতার সাথে শাড়ি সালোয়ার কামিজ পরে, আবার অনেকে দৃষ্টিকটু বা অশ্লীলভাবেও পরে যেখানে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খোলামেলা ভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে দেখা যায় । কিন্তু এটাই হয়তো তাদের কাছে স্বাভাবিক ।
সবকিছুই ব্যক্তি ভিন্ন , দৃশ্যপটও ভিন্ন । যার যেটা অভিরুচি বা লাইফস্টাইল ।
দেশে বা দেশের বাইরে একজন হিজাবি মেয়ে, শালীন পোশাক পরিহিতা মেয়ে, অথবা স্বল্পবসনা নারী সবধরনেই মেয়েদের রেইপ হিস্ট্রি আছে । তারমানে যে রেইপ করে তার কাছে সবাই সমান, নারী হলেই হলো, সমস্যাটা তাদের মানসিকতা বা দৃষ্টিভঙ্গির । পোশাকের না ।
আমি একজন নারী, আমার অপোজিট সেক্স একজন হ্যান্ডসাম পুরুষ দেখে আমি এট্রাক্টেড ফিল করতেই পারি, তার হাইট, সুডৌল থাই, ওয়াইড চেস্ট দেখে আমার ভালো লাগতে পারে । অনেক সময় ভালো লাগলে হয়তো আমি তাকে দেখবো কিন্তু তারমানে এই না যে সেক্সচুয়াল ডিজায়ার বা তাকে আমার পেতেই হবে ।
কিন্তু একশ্রেণীর পুরুষ যাদের নিজের ওপর কোন কন্ট্রোল নেই, নারীদের মানুষ না শুধু নারী ভাবতেই অভ্যস্ত, সুযোগ পেলেই ভোগ করার চেষ্টা , এরা মানুষরূপী পশু । এদের কাছে সেই নারী কি ধার্মিক নাকি বেধর্মী, শালীন না অশালীন, কি পোশাক পরেছে এগুলো কোন কিছুই কোন ম্যাটার করে না । তাই বিশ্বের সব দেশে সব ধর্মের সব কালচারেই নারীরা রেইপ হয় ।
যেহেতু প্রতিটা ইন্ডিভিজুয়াল কেইস ডিফারেন্ট, তাই কোন জেনারেল স্টেটমেন্ট দেয়া যায় না।
নারী পুরুষ সবার জন্যই পোশাক অথবা অন্য কিছু, ধর্ম রিলেটেড অর নট, কোনকিছুই জোরপূর্বক চাপিয়ে দেয়া ঠিক না ।
সবার ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য একটা সুস্থ সুন্দর মানবিক ও সেইফ পরিবেশ চাই ।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৩৬
সোহানী বলেছেন: অসাধারন একটা কমেন্ট করেছো মিরো। এগুলো বোঝার মতো এখনো মানসিকতা তৈরী হয়নি। বা আদৈা হবে কিনা তা নিয়ে শংকিত। কারন দেশের মুক্তচিন্তার মানুষগুলো দিন দিন কোনঠাসা হয়ে পড়ছে। তালেবান আইডোলিজির মানুষগুলো সমাজ দখল করে নিচ্ছে। আর সেই সাথে যোগ হয়েছে ফ্রি ইর্ন্টানেট এর ব্রেনওয়াসড্ কন্টেন্ট।
ভালো থাকো।
২৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৭
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ১) চোখের এবং মনের পর্দাই বড় পর্দা।
২) কে কি পোশাক পড়বে যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
৩) তবে স্থান কাল পাত্রভেদ আছে। সেগুলো মেন্টেন করা আধুনিকতার ও স্মার্টনেস এর প্রধান শর্ত।
৪) সবার মানানসই ড্রেস আপ করা উচিৎ।
৫) কেউ কারো গেট আপ ড্রেসাপ নিয়ে লম্বা নাকটা না গলাক।
৬) কেউ কাউকে জোর করে হিজাব বা ওয়েস্টার্ন চাপিয়ে না দিক।
৭) যে যেটাতে কমফোর্ট সেটা পড়ুক।
পোস্ট ভালো লাগলো।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৩৮
সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ গোফরান বিষয়টির সারসংক্ষেপ করার জন্য। আপনার সাতটি পয়েন্টে আমার বরাবরেই সমর্থন।
২৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৯
অপ্সরা বলেছেন: মাহসা আমিনীর রুহের মাগফেরাত কামনা করছি.....
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৩৮
সোহানী বলেছেন: আমিন।
২৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৮
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার লেখাটায় ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম সোহানী। ব্যক্তির পোষাকের স্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা, ধর্ম পালনের স্বাধীনতা - এই বিষয়গুলো বুঝবার এবং অনুভব করার বুদ্ধিবৃত্তি যে এই ব্লগের অনেকেরই নেই, তা আপনার পোস্টের অনেক মন্তব্যকারীদের দেখে বেশ বোঝা যায়।
মডারেটর কাভা ভাই এদের বলেছেন আবর্জনা। তবে আমার মনে হয় এদের আবর্জনা বললেও কম বলা হয়!
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৪৩
সোহানী বলেছেন: তাইতো দেখছি শ্রাবনধারা।
বিষয়গুলো বুঝবার এবং অনুভব করার বুদ্ধিবৃত্তি যে এই ব্লগের অনেকেরই নেই, তা আমিও দেখছি। দিন দিন সবাই ধৈর্য্যহীন হচ্ছে। অবশ্য এর জন্য রাস্ট্র বহুলাংশে দায়ী। মুক্তবুদ্ধির চর্চা বলতে তো কিছু নেই এখন!!!
৩০| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০১
অক্পটে বলেছেন: আসলে এটা বহু পুরনো এবং বহুল আলেচিত একটা বিষয়। এই আলোচনা এবং বিষয়বস্তু সব সময়ই ঘুরে ফিরে আসবে যেমন আজ এসেছে। নারী এবং পুরুষ উভয়েই একই উদ্দ্যেশ্যে পোষাক পড়ে। এটার লঙ্ঘন হলে সমাজ উত্তপ্ত হয়। ভাষার মতো আমাদের সমাজের আদলও ভিন্ন। সামাজিকতা পোষাক পরিচ্ছেদ এসবেরও ভিন্নতা আসে সামাজিকতা থেকেই। এক এক সমাজ একেক রকম। হঠাৎ করে বাংলাদেশে যদি সব মেয়েরা স্কার্ট পড়ে বিকিনি পড়ে চলা শুরু করে তাহলে বাংলাদেশের সামাজিকতার মধ্যেই এটা অড মনে হবে। ইউরোপে যা স্বাভাবিক আমাদের সমাজে তা অস্বাভাবিক অচল। তাই মেয়েদের যদি পোষাক খুলতেই হয় প্রথমে শেয়ালকে খোয়াড়ে বন্দি করতে হবে। আমাদের সমাজ থেকে আমরা এখনও নারীদের নিরাপদ করতে পারিনি। পুরুষের চোখকে সংযত করতে পারিনি। শালিন পোষাকেই মেয়েরা অহরহ ধর্ষিতা হচ্ছে। ধর্ষনেরইতো কোন সুরাহা আজো পর্যন্ত হয়নি, নারীর ইচ্ছার পোষাক পড়বে কখন। ইউরোপে সর্ট স্লিভলেস, অর্ধ উলঙ্গ এসব দেখে দেখে ওখানাকার পুরুষরা অভ্যস্ত হযে গেছে যা আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে সহজ এবং সহায়ক নয়। আমাদের দেশের পুরুষরা এটা হজম করতে পারবেনা। আর এমন হলে নারীদের সমূহ বিপদের আশংকাই বেশি। তাই বলব নারী তার পোষাক খোলার আগে পুরুষের চোখ এবং মানসিকতাকে মেরামতের কাজ শুরু করতে হবে। নারী কোন সমস্যা নয়, পুরুষই সমস্যা।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৪৪
সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
৩১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পুরুষ চোখগুলিই খারাপ। এদের জ্বালায় নারীরা ঠিক মত পোশাক খুলতে পাড়ছে না। পুরুষদের চোখে পট্টি বেঁধে দেয়া হোক।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৪৬
সোহানী বলেছেন: না আপনারা চোখে পট্টি বেঁধে নয় বরং ন্যাংটো হয়ে হাটবেন। দারুন স্মার্ট লাগবে।
৩২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪০
নিমো বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পুরুষ চোখগুলিই খারাপ। এদের জ্বালায় নারীরা ঠিক মত পোশাক খুলতে পাড়ছে না। পুরুষদের চোখে পট্টি বেঁধে দেয়া হোক।
জ্বি ভাইজান, সঠিক বলেছেন। এই দেখুন না,আদমের চোখ এতই ভালো ছিল যে, হাওয়া পোশাক ছাড়াই পৃথিবীতে এসেছিল, খোলার কষ্ট করতে হয় নাই। আদমকেও পট্টি বাঁধতে হয় নাই। অথচ তারপর পুরষদের চোখ এতই খারাপ হয়েছে যে, এসব .... আগাছাদের চোখে পট্টি বাঁধার মত পরামর্শ দিচ্ছে আপনার মত ভালো চোখের পুরুষরা। বলুন মারাহাবা!
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৪৯
সোহানী বলেছেন: আমিও বলি মারহাবা ) ) ) ) ) )
এই পোস্টটার স্ক্রীনশর্ট রাখছি, সবার মানসিকতা বুঝতে সাহায্য করছে।
৩৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪৯
এমজেডএফ বলেছেন:
তসলিমা নাসরিনের একটি উক্তি :
“যৌন উত্তেজনা বেড়েছে তোমার, সে তোমার সমস্যা, আমার নয়। তোমার সেটি বাড়ে বলে আমার নাক চোখ মুখ সব বন্ধ করে দেবে, এ হতে পারে না। আমি তোমার ব্যক্তিগত সম্পত্তি নই যে তুমি আমাকে আদেশ দেবে আমি কি পরবো, কীভাবে পরবো, কোথায় যাবো, কতদূর যাবো। তোমার সমস্যার সমাধান তুমি করো। আমাকে তার দায় নিতে হবে কেন! যৌন উত্তেজনা আমারও আছে, সে কারণে তোমার নাক চোখ মুখ ঢেকে রাখার দাবি আমি করিনি”।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৪৯
সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ
৩৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:০১
কাছের-মানুষ বলেছেন: ইরানের আন্দোলনের ব্যাপারটা আমাদের দেশের দৈনিকে চোখে পড়েনি আমার। অনেক কিছু জানতা পারলাম পোষ্ট পড়ে।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৫০
সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৩৪
কলাবাগান১ বলেছেন: জোর করে কিছু করানোই এই বিশ্বে অচল।
সবচেয়ে চোখে লাগে যখন দেখি, সাথের স্ত্রীর এবং বাচ্চা মেয়ে ও যদি থাকে (৬-৭ বছর), তাদের কে আপাদমস্তক পর্দাতে মোড়ানো কিন্তু সাথের স্বামী সাহেব ক্লিন সেইভড, কড়া জিন্স, পোলোর টি সার্ট ইন করা, পায়ে নাইক সুজ, চোখে কালো চশমা দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে.... বাংলাদেশের কিছু ক্রিকেটার/নায়ক/গায়ক দের দেখা যায় এভাবে...বিদেশে তো হরহামেশায় দেখা যায় এভাবে...।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:৪২
সোহানী বলেছেন: সেটা যার যার ব্যাক্তিগত পছন্দ, যদি না বউ বাচ্চাকে বস্তায় ঢুকায়ে নিজে নাইক সুজ পরে ঘুরে বেড়ায়।
ধন্যবাদ।
৩৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:০২
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন:
নারীর স্বাধীন জীবন
যখন নারী স্বাধীন জীবন পাবেন
নির্বিকার পুরুষেরা তখন হারাবে
আগ্রহ নারীর প্রতি, এমন কি হবে?
জানতে চায় এ মন এ প্রশ্ন উত্তর!
পরিবর্তিত পৃথিবী নারী গড়বেন
তাদের ইচ্ছা মাফিক। কি পাওয়া যাবে
সে সমাজে, সুখ নীড়? নাকি উতরাবে
তাতে তপ্ত বালিকায় উত্তপ্ত অন্তর।
তাসলিমার কলম সার্থক হবে কি?
দেখবে কি সে লেখিকা সেই স্বার্থকতা
তাসলিমা ভক্তকুল মদিরার সাকি
হবে কি জগৎ জয়ী দীপ্ত অনন্যতা
সরায়ে জঞ্জাল সব? সেই দিন খন
জানি না এ পৃথিবীতে আসবে কখন?
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:১৫
সোহানী বলেছেন: বেচারা তসলিমাকে আবার টানাটানি কেন রে ভাই? এ পোস্টের সাথে আপনার কবিতা বা তসলিমা কোনটাই রিলেটেড নয়।
তারপরও বলি, নারীরা স্বাধীনতা পেলে পুরুষরা আগ্রহ হারাবে, সুখের নীড় হারাবে, অন্তর পুড়ে ছাড়খাড় হবে ,,,,। সব সমস্যাতো দেখি পুরুষের! আর সে কারনেই তো যত সমস্যা!!
৩৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ২:৪৮
মো: মাহমুদুল হাসান (সুমন) বলেছেন: ++
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:১৬
সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ
৩৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৩:৫৩
শার্দূল ২২ বলেছেন: ভাবছিলাম আপনার এই গুরুত্বপুর্ণ পোস্টে নিরপেক্ষ একটা মন্তব্য করবো। তাই তাড়া হুড়ো করে কাজ শেষ করে বসলাম, কিন্তু সবার মন্তব্য পড়ে কি যে বলতে আসছিলাম সেটাই ভুলে গেছি। শুধু মনে আছে হিজাব আর কিছু মাথায় নাই।
যেহেতু ইরানের দুঃখ জনক ঘটনাটা নিতান্তই হিজাব নিয়ে সুতরাং আমরা আগে বুঝি হিজাবটা কি , কোথা থেকে আসলে এই আজিব কিসিম পোষাক। হিজাব হলো মুলত ইহুদি নারীদের জীবন মরণ পোষাক। তারা বিয়ের আগে যদি কোন কারণে হিজাব না পড়েন এক বা একাধিক দিন মানে যদি বিয়ের আগে কোন ইহুদি নারীর চুল কোন পর পুরুষ দেখে ফেলে তারা তাদের সেই চুল আর রাখেনা। মাথা ন্যাড়া করে ফেলে, নতুন চুল উঠায় শুধু মাত্র তাদের স্বামীর জন্য। বিয়ের দিন থেকে নতুন চুল ওরা একদম ঢেকে রাখেন এই চুল পর পরুষ আর দেখতে পারবেনা। এই হলো হিজাব। এখন এই হিজাব মুসলিমের মধ্যে কিভাবে আসলো?
আসছে হাদিস দিয়ে , হাদিস কি ? হাদিস হলো আমাদের নবিজি চলে যাওয়ার ৩০০ বছর পর মদিনা থেকে প্রায় ১২শ মাইল দুরে এক জায়গা থেকে উঠে আসা এক ভদ্রলোকের ইসলামের জন্য মহব্বত তৈরী হয়। তার আগে ৪ খলিফা ,খেলাফতে রাসেদইন ,অর্ধেক জাহানের শাষক হযরত ওমর কারো এত ভালোবাসা মায়া মহব্বত ইসলামের জন্য ছিলোনা শুধু এই ব্যক্তির ছিলো,সে সুদুর ১২ শ মাইল থেকে পায়ে হেটে এসে মদিনার রাস্তায় যার মুখে দাড়ি টুপি সাদা কোত্তা পাইসে তারে জড়ায় ধরে ইসলামের ইতিহাস যোগাড় করা শুরু করছে। যেমন ধরেন সে পাইসে কোব্বাদ আলিকে, কোব্বাদ আলি বললো আমি মুনসুর আলি থেকে শুনছি ,মুনসরু আলি কইসে ওমুক কদম আলি বলসে একদা একদিন আমি মদ খেয়ে ঢুলতে ঢুলতে যাচ্ছিলাম তখন দেখি হযরত ওমরের সামনে দিয়ে এক নারী মাথায় কি যেন দিয়ে হেটে গেছে আমার সামনে দিয়ে। ঐটা কি ছিলো আমি নিজেও ক্লিয়ার না, উনি কি পুরুষের ভয়ে এটা মাথা দিসে নাকি রোদের জন্য দিসে আমি জানিনা। এখন ১২শ মাইল দুর থেকে ঐ মানুষটাও গরমে মাথা আউলায় গেসে সেও ভাবছে হুম এমন কিছু মানুষের মাথায় থাকা জরুরি। ধর্মের জন্য না হোক, নারীর শরীর ঢাকা না হোক অন্তত রোদ থেকেতো বাচবে। দিলাম লিখে হাদিসের কিতাবে ।
এই রোদ থেকে বাচার জন্য হিজাব নিয়ে যে কত মানুষ জীবন দিয়েছে আরো দিবে তার পরিসংখ্যান আমরা আজ করতেছি।
আসুন আমাদের হাতে নিরভুল যুক্তিক আল্লাহ কোরাণ আছে, সেখানে কি বলে। নারী পুরুষের পোষাক কি হবে। নারী পুরুষ উভয় নাভী থেকে পা পর্যন্ত ঢাকবে। নারী বুকের উপর কাপড় টেনে দিবে, নবী পত্নীরা মাথায় কাপড় টেনে চলবে যেন মুসলিমরা তাদের পরিচয় পায়, কেননা নবি বউদের অন্য কেউ বিয়ে করার অনুমোদন নাই। তাই তাদের যেন সবাই চিনতে পারে। এই নিয়ম তখনকার সময় যখন পোষাক ছিলো অনেক ব্যয়বহুল ব্যপার। এখনকার মানুষ নিজেদের উচ্চ অর্থনৈতিক অবস্থান জানান দিতে হয়তো বিশাল বাড়ি করে অথবা দামি গাড়ি নিয়ে চলে। কিন্তু সেই সময়ে আভিজাত্যের পরিচয় ছিলো অতি মুল্যবাণ কাপড়। তাই সবার পক্ষে বড় সরো করে জামা বানানো পড়া ছিলো অনেক খরচের ব্যপার।
এখনকার সময়ে যেখানে কাপড় সহজে সস্তায় মেলে সেখানে কোন মেয়ে যদি বলে আমি কোরানএর মত শুধু বুকের উপরে কাপড় রাখবো পিট খোলা রেখে তাহলে বুঝতে হবে সে কোরান নিয়ে মজা করছে। আমরা গুহার যুগ বলতে বুঝি কাপড় বিহীন শুধু লজ্জাসথান পাতা দিয়ে ঢাকা একটা সময় বা জাতি। আমরা বলি আমরা সভ্য হয়েছি আমরা কাপড় পড়ি। নিজেকে ঢেকে রাখি। মুরুব্বিদের সামনে মাথায় কাপড় দিয়ে কিছুটা নত জানু হয়ে দাড়াই কারণ আমরা সভ্য। এখন কেউ যদি এসব না করে নিজেকে অসভ্য হিসেবে উপস্থাপণ করে তো আমাদের কি করার আছে বা কেন করবো। ?
আছে করার অনেক কিছু। সেটার আগে বলছি কেন করবো সেই কথা। আমার দোকান আছে ম্যনহাটন টাইম স্কয়ারের খুব নিকটে। যারা জানে তারা বলতে পারবে, সামারে টাইম স্কয়ারে কিছু মেয়ে শত ভাগ নগ্ন থাকে, শুধু নিপলের জায়গাটা একটা বিশের পেইন্ট করে আর লজ্জাস্থানের জায়গাটা পেইন্ট করে। তাদের সাথে আমাদের কিছু লিচু পুরুষ আছে ভিজিটর নানা দেশ থেকে আসে তারা গা ঘেষে ছবি তুলে। বিনিময়ে কিছু ডলার দেয়। আমার ছেলে মাঝে মাঝে আমার দোকানে আসে। এবং সে টাইম স্কয়ারে যেতে চায় আমি তাকে নিয়ে যেতে পারিনা ঐ নগ্ন নারীদের ভয়ে। আমার ছেলেতো আর নারী শরীর এখনো বুঝেনা। তবুও তাকে ঐখানে নিয়ে যেতে পারিনা কারণ এটা হলো বাবা ছেলের সভ্যতা। আমাদের কালচার পারিবারিক সভ্যতা। এখানে শরীর সেক্স বা উত্তেজনার বিষয়না।
গতকাল দেশের খরবে দেখলাম কিছু মেয়ে বলছে আমি ব্লাউজ ব্রা পড়বোনা, কারণ হিসেবে বলছে তার দাদি নানিরা ব্লাউজ ছাড়া শাড়ি পরে আসছে সেটা হতে পারলে তাদের কেন নতুন করে এই নিয়ম। তাই তারাও পড়বেনা। ব্লাউজ না পড়লে কি হয়? হয় অনেক কিছু যদি আমি পুরুষ হয়ে থাকি। দাদি নানিরা যখন ব্লাউজ পড়তোনা তখন দুটো কারণ উল্ল্যেখ যোগ্য। ওনাদের ব্ক্ষ যুগলের আকর্ষণ ভাবটা ছিলোনা ঐ বয়সে। আরেক ছিলো অভাবে পর্যাপ্ত কাপড় না থাকা। এখন সেই মেয়েটি যদি অভাবে থাকে তাহলে তো কোন কথা নেই।যেই মেয়েটি টিভির সামনে এই যুক্তি হাত নাড়িয়ে বলছে সেই মেয়েটি কি শুধু শাড়ি দিয়ে তার উন্নত বক্ষ সামাল দিতে পারবে? এখন আপনারা বলবেন বক্ষ উকি ঝুকি মারলে আপনার চোখ সরাবেন। অথবা বন্ধ করে রাখবেন। যদি আপনার একটা স্বাভাবিক জামা পড়ায় যদি আমার চোখ খোলা রেখে হাটা যায় তো আপনি একটা স্বাভাবিক জামা পড়লেইতো পারেন। আমাকে কেন এত নিয়ম চাপিয়ে দিচ্ছেন যেখানে ঢাকা শহরের ম্যক্সিমাম ম্যনাহোলের ঢাকনা খোলা। যদি চোখ বন্ধ করে চলতে গিয়ে গর্তে পড়ে যাই? তবুও আপনি একটা ব্লাউজ পড়বেননা? আমাকে গর্তে পড়তে বলবেন, পুরুষত্বহীন হতে বলেন, আরো কত শর্ত।
আমি এসব নিয়ে কথা বলতে চাইনা। ভালো লাগেনা বলতে। কারণ আমি দেখেছি সমাজে দুটো শ্রেনী আছে , একদল হিজাব চায়না ,আরেক দল হিজাব নিয়ে জান দিবে। আনন্দের বিষয় হলো আমি আর আমার পরিবার এবং আমার মত এমন কোটি মানুষ পরিবার আছে তার এই দুই দলের কোনো দলের না।
আমার মা মুরুব্বির সামনে গেলে মাথায় কাপড়ের কোনাটা টেনে দিয়ে সন্মান দেখায়। আমি সেই সভ্য মায়ের ছেলে যার সামনে নগ্ন নারী শুধুই নগ্ন।
শুভ কামনা সব সময়
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:২৯
সোহানী বলেছেন: আমি ড্রেস কোড বা শালীন অশালীন পোষাক নিয়ে হয়তো লিখবো। আপাতত: ওটা আমার বিষয় নয়। আর ইসলামী ড্রেস কোড নিয়েও আমি কিছু বলতে চাইনা। কারন ওটা যার যার বিশ্বাস। আর সবাই তার বিশ্বাস মতই কাজ করবে, শুধু নিজের বিশ্বাস অন্যের উপর চাপাবে না।
যাহোক, আমি টাইম স্কোয়ারে আমার টিন এজ ছেলে এবং মেয়েকে নিয়ে গেছি। এবং খুব সাধারনভাবেই আমার সন্তানসহ সে সব নারীদের দেখেছি। এতে আমাদের কোন লজ্জা লাগেনি। কারন কি জানেন, আমি আমার সন্তানদের শিক্ষা দিয়েছি যে ওই যে মেয়েগুলো দাঁড়িয়ে আছে ওটা তাদের পেশা, ওটা তাদের স্বাধীনতা। সেটা তারা স্বেচ্ছায় করছে, কেউ তাদের বাধ্য করছে না। তাদের রেসপেক্ট করা সবার উচিত। যার কারনে এ ধরনের জন্মদিনের পোষাক দেখলেই ভবিষ্যতে তারা মানুষ হিসেবে দেখবে, বস্তু হিসেব নয়।
ভালো থাকুন।
৩৯| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:১৯
নজসু বলেছেন:
আখিরাত নিয়ে চিন্তা ভাবনা পরে। এ নিয়ে আমি কিছু বলিওনি। আপনার বিরোধিতাও করিনি। কে কে পোশাক পড়বে সেটাও বলিনি।
আপনাকে কয়েকটা প্রশ্ন করেছি সেগুলোর উত্তর চেয়েছিলাম।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:৩০
সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ। উত্তরগুলো নিশ্চয় খুঁজে পাবেন আমার কোন না কোন লিখায়। তাই ঘটা করে লিখলাম না।
৪০| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৩৪
রোবোট বলেছেন: ৪০ বছর আগে এমন লেখায় কিছু হত না। অবশ্য কেনা জানে তখন বাংলাদেশে আমাদের ব্লগারদের মত সহী মুসলমান কয়জন ছিলো। এখন আপনার বিরুদধে কি তীব্র আন্দোলন না গড়ে উঠে। আর জানেনইতো পোস্ট না পড়ে পোস্টের সমালোচনা করা কারো কারো স্বভাব।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:৩২
সোহানী বলেছেন: হুম..............
বিষয়টা খুব স্বাভাবিক। মানুষ যখন বাস্তব জীবন হতাশায় থাকে তখন ওপারের পাওয়ার উপর বেশী নির্ভরশীল হয়।
৪১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৩৭
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বুঝলাম, আপনার কথা বুঝার যোগ্যতা আমার নেই, অথবা আপনার কথা আমাকে বুঝানোর যোগ্যতা আপনার নেই। আপনার অনুরোধে আপনার লেখা আবার পড়া থেকে বিরত থাকলাম।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:৩৬
সোহানী বলেছেন: মহাজাগতিক চিন্তা ভাই, আপনার চিন্তা ভাবনা সব কিছুই একটা নির্দিস্ট ফরমেটে। আপনি ওই ফরমেট থেকে খুব সহজে বের হতে পারেন না। তাই আপনি যাই বলবেন সেটা সবাই জানে। ব্লগ হলো মনের খেরোখাতা, খুব সহজেই মাইন্ড রিড করা যায়।
৪২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫৩
শেরজা তপন বলেছেন: আপু-আমি কিন্তু পোস্ট পড়েই মন্তব্য করেছি। না হলে লাইকখানা দিতামনা! তবে আমি ডাবল স্টান্ডার্ড মাল-সব পক্ষেই থাকি।
তবে আমি পুরুষ বলে আমার মন্তব্যে 'পুরুষতান্ত্রিক' গন্ধই পাবেন!
শালীন অশালীন বিষয়ে আপনি লেখেননি ঠিক- কিন্তু অন্য অনেকের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মন্তব্যে এমন কিছু অপ্রাসাঙ্গিক আলোচনা আসতে পারে। দয়া করে আমাকে আর কখনো বলবেন না 'লেখাটা আবার পড়ুন'! কারো লেখা বুঝতে না পারা সেটা আমার অক্ষমতা! না বুঝলে সেটা হাজারবার পড়েও বুঝব না।
বহুদিন কারো পোস্টে এত ব্যাপক ব্লগারের উপস্থিতি দেখা যায়নি। তাই আপনিও সব মন্তব্য পড়ে কুলিয়ে উঠতে পারছেন না- বেশীরভাগ উত্তর দিয়েছেন দায়সারাভাবে।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:৪০
সোহানী বলেছেন: উত্তর ঠিক দায়সারা নয়, আসলে আমি কিছু টপিক্স খুব সচেতনভাবে এড়িয়ে চলি। এর মাঝে প্রধান হলো ধর্ম। যেহেতু হিজাবের বিষয় এসেছে তাই ধর্ম এসেছে, তাই চেস্টা করছি কনফ্লিক্ট এড়িয়ে চলতে। কারন আমার কাছে ধর্ম মানে বিশ্বাস। যে যেভাবে মানবে ধর্ম তার কাছে তেমন। আর কারো বিশ্বাসে আমি আঘাত করতে বা পরিবর্তন করতে কখনই চাই না।
"বহুদিন কারো পোস্টে এত ব্যাপক ব্লগারের উপস্থিতি দেখা যায়নি।"
আমিও খুব অবাক হয়েছি এতো সাড়া দেখে। এর মানে আমাদের ব্লগাররা কোনা ঘুপচি তে ঘুরে বেড়ায়। সুযোগের অভাবে সাড়া দেয় না..................হাহাহাহাহাহা
৪৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫৪
শেরজা তপন বলেছেন: টাইপো 'পুরুষতান্ত্রিক' নয় 'পুরুষবাদী'
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:৪১
সোহানী বলেছেন:
৪৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এখানে অনেক অনেক মন্তব্য পড়েছে। আপনি দায়সারা প্রতি-মন্তব্যগুলি না ক'রে মন্তব্য করা বন্ধ রাখতে পারতেন। আপনার মত মেধাবী ব্লগারের কাছ থেকে এগুলি আশা করি না।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:৪২
সোহানী বলেছেন: উপরে উত্তরটা শেরজা ভাইকে দিয়েছি। আবারও দিলাম এখানে,
"উত্তর ঠিক দায়সারা নয়, আসলে আমি কিছু টপিক্স খুব সচেতনভাবে এড়িয়ে চলি। এর মাঝে প্রধান হলো ধর্ম। যেহেতু হিজাবের বিষয় এসেছে তাই ধর্ম এসেছে, তাই চেস্টা করছি কনফ্লিক্ট এড়িয়ে চলতে। কারন আমার কাছে ধর্ম মানে বিশ্বাস। যে যেভাবে মানবে ধর্ম তার কাছে তেমন। আর কারো বিশ্বাসে আমি আঘাত করতে বা পরিবর্তন করতে কখনই চাই না।"
৪৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:০৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: পথে ঘাটে আজকাল হিজাব পরিহিতাদের অনেককে দেখে আমার কাছে হিজাবকে ছদ্মবেশ বলে মনে হয়। কেন এ ছদ্মবেশ ধারণ, তার কারণগুলো আপনি বেশ নিখুঁতভাবে আপনার পোস্টে উল্লেখ করেছেন।
ধর্মীয় কারণ অথবা অন্য যে কারণেই হোক, যারা হিজাব পরেন, তাদের সে অধিকার নিরঙ্কুশ; browbeating করে তাদেরকে সে স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। যারা পরেন না, তাদেরও সেটা করার স্বাধীনতা আছে, তবে জনসমক্ষে শালীন পোষাক পরিধান করাটা সভ্য সমাজের রীতি-রেওয়াজের অন্তর্গত। কোনটা শালীন পোষাক আর কোনটা নয়, সেটাও বিভিন্ন সমাজের রীতি-রেওয়াজ দ্বারাই নির্ধারিত হয়।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৬:১৬
সোহানী বলেছেন: কথাতো সেটা। ব্যাক্তি তার নিজের পোষাক নির্ধারন করবে। রাস্ট্র, সমাজ বা পরিবার কেন এখানে মাতব্বরি করবে। জোর পূর্বক কেন চাপিয়ে দিবে নারীর পোষাক? আমার পাপ বা পূর্ণ এর হিসাব আমার কাছে। নরকেতো আমি যাবো যদি অন্যায় করি, সেখানে রাস্ট্র বলতে পারে কিন্তু জবরদস্তীতো করতে পারে না!!!
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৪৬
কামাল৮০ বলেছেন: একটা দল আছে তারা সংঙ্গবদ্ধ হয়ে হিজাব না পরলে মেয়েদের নাজেহাল করে।ওয়াজিরা প্রতিটা ওয়াজে নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ কথা বলে হিজাব না পরলে।এর থেকে যে কবে মুক্ত হবে সমাজ বলা মুশকিল।একটা শক্তিশালী আন্দোলন দরকার এই সমস্যা থেকে বেরহয়ে আশার জন্য।নারী পুরুষের মিলিত আন্দোলন।সেখানে সরকারের সহযোগিতা লাগবে।সরকার যেখানে নিজেকে ধর্মনিরপেক্ষ বলছে।।