নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

শৈশবের সে দিনগুলি

০২ রা নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:০৩



বয়স বাড়ার সাথে সাথে ব্রেনের সেলে লুকিয়ে থাকা ছোট ছোট স্মৃতিগুলো যেন জীবন্ত হয়ে উঠছে। বর্ষার সে দুপুরে আকাশ ছাপিয়ে বৃষ্টির মাঝে ছাদে উঠে সে ছুটোপুটি যেন এখনো অনুভব করতে পারি। কিংবা স্কুল থেকে ফিরে গেইট ধরে বাবার অফিস থেকে আসার জন্য অপেক্ষা করার সে অনুভূতি, মনে হয় এইতো সেদিনের কথা। এখনো যে মায়ের নিভিয়া ক্রিমের গন্ধ হঠাৎ হঠাৎ ফিরে আসে ভর কোন দুপুরে কিংবা গভীর রাতে ঘুম ভাঙ্গে মায়ের গায়ের গন্ধে। সেই আগের মতোই অন্ধকারে হাতড়ে মা'কে খুঁজতেই মনে পড়ে মা'তো এখন অনেক দূর আকাশের তারা।

মায়ের সাথে খুব বন্ধুত্ব ছিল সুলতানা আপা আর রোকেয়া আপার। যথেস্ট বয়সের ব্যবধান হলেও তাদের সে আড্ডা, খুনসুটি ও সাথে সুলতানা আপার বানানো ছোট মুচির সাথে তেতুল গুড়ামরিচ আর চিনি দিয়ে সে ভর্তায় ভাগ বসাতে আমরা ছোটরা ভুলতাম না। তারপর হয়তো কোন রবিবার দুপুরে আমাদেরকে ফাকিঁ দিয়ে তিন বান্ধবীর বলাকা হলে সিনেমায় যাওয়া এইতো সেদিনের ঘটনা। মা আমার খুব সিনেমা পাগল মানুষ ছিল। মায়ের কাছ থেকেই জেনেছি উত্তম, সুচিত্রা, শাম্মীকাপুর, বৈজন্তীমালা, ওয়াহিদা, সুরাইয়ার নাম।

বড়দের আড্ডায় বরাবরেই আমাদের প্রবেশ নিষেধ ছিল। তারপরও কখনো সখনো সুলতানা আপাকে বলতে শুনতাম, রাজকুমার ছাড়া আমি যে বিয়েই করবো না। তারপর সত্যিই একদিন এক গাড়িচড়া রাজপুত্র এসে সুলতানা আপাকে নিয়ে গেল। সে রাজপ্রাসাদে সুলতানা আপা কেমন ছিল আমি জানি না। তবে মৃত্যুর একদিন আগে সুলতানা আপাকে হাসপাতালে দেখতে গেলে সে রাজপুত্রকে অঝোরে কাঁদতে দেখেছিলাম। তারপর, মৃত্যুর বছর ঘুরতেই প্রথম মিলাদ মাহফিলে শোক পরিতপ্ত পরিবারে সে রাজপুত্রের নতুন বউকে দেখে মা'কে প্রশ্ন করেছিলাম, মা, বউ মারা গেলে কি খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে হয়?

আমাদের বাসার দেয়ালের ওপাশে ছিল দিদিমার বাসা। সারা বছর আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম কবে পূজা আসবে আর দিদিমা দেয়ালের ওপাশ থেকে ডাকবে, শিপুর মা কইরে? আর থালা ভর্তি নাড়ু সন্দেশ মোয়া এ দেয়াল থেকে ওপারে পার হবে। সে ছোট দেয়ালটার উপরে বসতে দেখলেই দিদিমার ছোট ছেলে স্বপন কাকু একটা বকা দিয়ে নামিয়ে দিতো। মাঝে মাঝে খুব জানতে ইচ্ছে করে কেন স্বপন কাকু বেলাদিকে বিয়ে করলেন না। মায়ের আদেশ পালন নাকি মিথ্যে ভালোবাসা থেকে পালানো। নতুন বউকে ঘরে তোলার সে খবর শুনে যে বেলাদি বিষ খেয়েছিল, তাহলে নিশ্চয় তার প্রেম মিথ্যে ছিল না। ছোট মনে অনেক প্রশ্নের উকিঁ ঝুঁকি ছিল তখন।

মনে পড়ে রানু পাগলীর কথা। সারাদিন কাজ করিয়ে প্রায় না খাইয়ে বিদেয় দিতো তাকে অনেকে। যেদিনই খাবার জুটতো না মায়ের কাছে হাজির হতো। মা বুঝে যেতো রানু কেন এসেছে। কিন্তু তার টনটনে প্রেস্টিজ জ্ঞান বিনে পরিশ্রমে খাবার খেতে রাজি হতো না। তাই মা তাকে ছোটখাট কাজ দিয়ে খেতে বসিয়ে দিতো। খেতে খেতে অনেক কথা বলতো সে। আমি পাশে বসে সে সব কথার মানে বোঝার চেস্টা করতাম। হয়তো কিছু বুঝতাম নয়তো নয়, শুধু অনুভব করতাম কাউকে দেয়া শাপ-শাপান্ত। মা'কে প্রশ্ন করতাম কেন রানু পাগল সবাইকে শাপ-শাপান্ত করে?

মায়ের ছিল খুব গল্পের বই পড়ার ঝোঁক আর প্রিয় লেখক ছিলেন জরাসন্ধ। লেখকের প্রতিটি বই মা'কে অসংখ্যবার পড়তে দেখেছি। রবিবার দুপুরে যখন স্কুল থাকতো না তখন মায়ের মাথার কাছে বসে জরাসন্ধর গল্পগুলো শুনতাম অনেকবার। জরাসন্ধ ছিলেন একজন জেইলার। জেলখাটা সে কয়েদীদের জীবনের সত্যিকারের গল্পই ছিল সেগুলো। গল্পের সংসারের সে কুটচালীতে বউদের পরাজয় দেখে খুব মন খারাপ হতো। মা'কে প্রশ্ন করতাম, মা, মেয়েরা কি শুধু জীবনভর হেরেই যাবে? মা, হেসে বলতেন, হারবে না তখনই যখন তারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখবে, নিজেকে যোগ্য করে তুলতে পারবে।

বরফ সাদা রাস্তার মাঝে কিংবা হলুদ সে ম্যাপলের পাতার মাঝে হাটতে হাটতে কত কিছু মনে পড়ে। মায়ের কাছে ছিল কত প্রশ্ন, কত জিজ্ঞাসা.... কিছুই যে জানা হলো না, বেলা যে গড়িয়ে যায় নিজেরই অজান্তে!
-
-
-
-
ছবি বৃত্তান্ত: কানাডার ফল সিজন আমার খুব প্রিয়। যখনই সুযোগ পাই ঘুরতে বেড়িয়ে পড়ি। কিছু ছবি শেয়ার করলাম আপনাদের সাথে।

মন্তব্য ৪৫ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৪৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:২৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: "অন্ধকারে হাতড়ে মাকে খুঁজতেই মনে পড়ে মা তো এখন দূর আকাশের তারা" - কেবলই দীর্ঘশ্বাস!
রানু পাগলির প্রেস্টিজ জ্ঞান খুবই প্রশংসাযোগ্য। আমার নানীবাড়িতে এরকম এক পাগলি কাজ করে খেত। সে বান্ধা থাকতোনা, খবর দিলেই এসে কাজ করে যেত। যেদিন সে বিনা ডাকে এসে যেত, নানী বুঝতেন, আজ তার পেটে ভাত পড়েনি। আগে কিছু একটা খাইয়ে দিয়ে তারপর কাজে লাগাতেন। সে পাগলি বোবা ছিল, কিন্তু প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন। ইশারায় সব কথা বুঝে যেত। বোবা ছিল বলে রানু পাগলি'র মত কাউকে শাপ শাপান্ত করতে পারতো না। কিন্তু তার তো একটা মন ছিল ঠিকই। সে মনে আঘাত দিলে নিশ্চয়ই সে আঘাতকারী ন্যাচারাল জাস্টিস পেয়ে যেত বলে আমার বিশ্বাস।
'শৈশবের সে দিনগুলি' ভালো লেগেছে। ছবিগুলোও খুব সুন্দর। এবারে একটা ছবিও বাঁকা হয়নি বলে দেখতে কি যে স্বস্তি!
পোস্টে প্লাস। + +

০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:২৩

সোহানী বলেছেন: এমন রানু পাগলীরা আমাদের চারপাশেই আছে কিন্তু ক'জনেই বা তাকায় তাদের দিকে। আপনার নানী কিংবা আমার মা, হয়তো উনাদের মতো কিছু মানুষ আছে বলে কিছু রানুরা দুবেলা খেতে পায়।

গতবার দেশে যেয়ে রানুর খোঁজ করেছিলাম, কিন্তু রানু আর বেচেঁ নেই।

"ন্যাচারাল জাস্টিস" শব্দটার বিশাল গভীরতা। এর মর্ম বুঝতে পারে না অনেকেই। আর যে কারনেই যখন বুঝে তখন অনেক দেরী হয়ে যায়।

ছবিগুলো যে বাঁকা হয়নি তা দেখে আমিও অবাক হয়েছি :P । এ প্রথম কোন মারামারি ছাড়াই ছবি পোস্ট করলাম।

লিখাটা পোস্ট করতে যেয়ে ভয়ে ছিলাম, পাঠকের ভালো লাগবে কিনা!! তারপর মনে হলো আপনিতো এরকম পোস্ট দেন তাহলে আমি দিয়েই দেখি না..................হাহাহাহাহা

অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় লেখক।

২| ০২ রা নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৩৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- নানা রঙ্গের দিন গুলি ডানা মেলে উড়ে যায়, কখনোই আর ফিরে আসে না।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:২৪

সোহানী বলেছেন: আমি আসলে বর্তমানে বিশ্বাসী। অতীত নিয়ে দু:খ করি না। কিন্তু ইদানিং খুব সহজেই মনে পড়ে ছোট ছোট স্মৃতি। হয়তো বয়স হচ্ছে, নতুবা রিলাক্সে আছি অথবা খুব টেনশানে আছি!!!

৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:১২

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: একটি চমৎকার শৈশব স্মৃতিচারণ পাঠক কে নিজ নিজ শৈশবে ফেরত কিছু সময়ের জন্য।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:২৬

সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ তাসনিম।

আমার ছোট্ট কথামালা যে আপনার ভালোলেগেছে, নিজ শৈশবে ফেরত কিছু সময়ের জন্য তা জেনে নিজেকে স্বার্থক মনে হচ্ছে।

৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৪

জুল ভার্ন বলেছেন: আমার জীবনে 'মা' শব্দটা শুধুই অস্ফুট কষ্টের, গোপণ কান্নার নাম মা! মৃত্যুর জন্য অনেক রাস্তা আছে। কিন্তু জন্ম নেওয়ার জন্য শুধু মা আছে। সেই মা আমাকে জন্ম দিয়ে নিজে মৃত্যুকে আলিংগন করেছেন- এই কষ্ট আর কতোকাল সহ্য করবো জানিনা।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:২৯

সোহানী বলেছেন: খুব খারাপ লাগলো প্রিয় জুলভার্ন ভাই কথাটা জেনে।

আল্লাহ্ উনাকে জান্নাতুল ফেরদৈাস দান করুক। আপনার মাঝেই উনি বেচেঁ আছেন।

"মৃত্যুর জন্য অনেক রাস্তা আছে। কিন্তু জন্ম নেওয়ার জন্য শুধু মা আছে।" এমন সত্যটা যে অনেকেই বুঝে না। আর বুঝে না বলেই মা জগতে এতো কষ্ট।

৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৭

মুক্তা নীল বলেছেন:
সোহানী আপু ,
আপনার শৈশব কালীন সময়ের আশেপাশে মানুষজনদের স্মৃতিচারণ পড়ে ভালো লাগলো । সময়ের ও যুগের পরিবর্তনের সাথে মেয়েরা অনেক কিছুই ওভারকাম করতে শিখে গেছে কিন্তু আপু তারপরও আমরা এখনো অনেক পিছিয়ে আছি।
মা, হেসে বলতেন, হারবে না তখনই যখন তারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখবে, নিজেকে যোগ্য করে তুলতে পারবে ---আসলেই তো কথাগুলো চিরন্তন সত্য ও অনুপ্রেরণাদায়ক

০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:৩২

সোহানী বলেছেন: মেয়েরা অবশ্যই ওভারকাম করতে শিখেছে, নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখেছে, নিজেকে যোগ্য করে তুলতে শিখেছে। আর সেকারনেই হয়তো আমরা মেয়েরা এখানে। আর অনুপ্রেরনা দেয়ার মানুষগুলোর জন্যই আমরা এতো দূর আসতে পেরেছি।

অনেক ধন্যবাদ মুক্তা নীল।

৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: ফল সিজন আমারও বেশ প্রিয়।
আপনাকে আপনার মায়ের প্রতিরূপ মনে হচ্ছে!

বেলা আপা কি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন?
রাজকুমাররা এভাবেই বেশ দ্রুত প্রাক্তনের কথা ভুলে যান :(

০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:৩৬

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় শেরজা ভাই। কেউ যখন বলে আমি মায়ের প্রতিরূপ তখন মনটা আনন্দে বরে উঠে।

আমার মা ছিল সর্বেসর্বা। এমন কোথাও নেই যে নিজেকে এডজাস্ট করতে পারেনি।

না আত্মহত্যা করতে পারেনি, বেলাদি বেচেঁ ফিরেছিল। কিন্তু কখনোই বিয়ে করেনি। আমাদের প্রাইমারী স্কুলের দিদিমনি ছিল। গোয়ালীনির মেয়ে ছিল বলে দিদিমা বিয়ে দেননি। অথচ কি অদ্ভুত গুনী একটা মেয়ে ছিল।

রাজকুমাররা শুধু প্রাক্তনই নয়, বউ পুরোনো হলেও ভুলে যায় B:-/

৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আহা শৈশব স্মৃতি

০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:৪৩

সোহানী বলেছেন: ছোট ছোট সে সব শৈশব স্মৃতি.................

৮| ০২ রা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩০

মিরোরডডল বলেছেন:




Wednesday, 2nd November 2022, আজ একটি বিশেষ দিন, সোহানীপুর পোষ্টের সবগুলো ছবি সোজা হয়েছে :)

কম ছবি দিয়েছো তাই রক্ষা, যদি আরও বেশি কিছু দিতে, দুই চারটা ছবি মাস্ট বাঁকা হতো, পরে ভুম এসে ঠিক করে দিতো :)

আপু, ছবিগুলো সেরকম সুন্দর, প্রথম ছবিটা দারুণ !!!

০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:৫১

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা মিরো, তুমি বেশি দুস্ট হয়ে যাচ্ছো :P । তুমিইতো বলেছো ওটা আমার সিগনেচার................হাহাহাহাহা

আমি বাঁকা ছবি না দিলে মফিজ ব্রাদারের সামুর ভলেন্টারী চাকরীতো নট হয়ে যাবে। সে কারনেইতো............. B-)

আসো ফল সিজনে। অক্টোবরের প্রথম ২/৩ সাপ্তাহ। দেখবে প্রকৃতি কত সুন্দর হতে পারে। বিশেষকরে বেনফ্, আলবার্টা অসম্ভব সুন্দর স্হান। আমি এখনো যেতে পারিনি। কারন ফলে এতো এতো টুরিস্ট থাকে যে হোটেল পাওয়া অসম্ভব। গতবছর থেকে ট্রাই দিচ্ছি কিন্তু কোনভাবেই ম্যানেজ করতে পারছি না। অনেক দূরের হোটেল পাওয়া যায় কিন্তু বিশাল হ্যাসেল।

এবছ্্এক বছর আগেই এডভান্স বুকিং এর চিন্তা করছি।

৯| ০২ রা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপু, আপনার লেখাটা পড়ে এক পলকে হারিয়ে গেলাম ফেলে আসা সেই দুরন্ত শৈশবে। সেকালের গল্পগুলো বোধহয় এক রকমেরই হয়।পুজায় নীচ তালার কাকিমার হাতের নাড়ু,, মোয়া এবং লুচি নিরামিশের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম। আমার মাও বই পড়তে খুব ভালবাসেন। বয়স এখন পচাত্তর। এখনো বই নিয়ে পড়ে থাকেন। মায়ের বান্ধবীরা যারা সেই সময়ে দিয়েছেন অনেক আদর ও স্নেহ, আজ অনেকেই আর বেচেঁ নেই।প্রতিবছর ক্রিস্মাস এলেই আমার মায়ের এক ক্রিশ্চিয়ান বান্ধবীর কথা মনে পড়ে।প্রতিবছর নিজ হাতে তিনি কেক বেক করতেন এবং ক্রিস্মাসের দাওয়াত দিতেন। প্রচুর কিশমিশ দেয়া সেই কেকের স্বাদ যেন আজও মুখে লেগে আছে। চোখ বন্ধ করলেই এখনও দেখতে পাই কাকরাইলের গির্জায় আন্টির ভাই এর বিয়েতে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল যেন হলিউড মুভি দেখছি। এসব অনন্য স্মৃতি ভুলবার নয়।

আপনার মায়ের জন্য রইল অনেক অনেক দোয়া এবং আপনার জন্য একরাশ শুভেচ্ছা। ফলের ছবি বড় ভাল লাগে দেখতে । ধন্যবাদ ছবিগুলোর জন্য।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:৫৮

সোহানী বলেছেন: লিখাটা লিখে খুব দ্বিধায় ছিলাম, পাঠককে বিরক্ত করবো কিনা নিজের বকবকর দিয়ে। কিন্তু আপনাদের সাড়া পেয়ে অসম্ভব ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে মন খুলে কথা বলতে পেরে খুব শান্তি লাগছে।

আসলে কি ঢাবিয়ান, আমাদের শৈশবটা ছিল ঠিক সত্যিকারের পরিবারের মতো। চাচা মামা খালা ফুফু পাড়াপরশী সব নিয়ে একটা আনন্দঘন পরিবেশ যা এখনকার বাচ্চারা চিন্তাই করতে পারবে না। হাতে নতুন গ্যাজেট আর শোঅফের নেশায় সবাই বুঁদ হয়ে আছে।

অসম্ভব ভালোলাগলো আপনার নিজের স্মৃতিচারণ। চট করে লিখে ফেলেন, নতুবা সময়ের তলে হারিয়ে যাবে।

আন্টিকে আমার সালাম জানাবেন। ৭৫ বয়সে এখনো বই নিয়ে বসেন সেটা ভেবে অবাক হচ্ছি।

অনেক ভালো থাকুন আর কানাডার ফল দেখার দাওয়াত থাকলো।

১০| ০২ রা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল ভাষায় খুব সুন্দর লিখেছেন।
এরকম লেখা গুলোই আমার পড়তে বেশি ভালো লাগে।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:০২

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রাজিব।

আপনি একজন চমৎকার লেখক। জীবনবোধের জটিল বিষয়গুলো খুব সহজেই আপনি লিখতে পারেন। এরকম লিখা খুব সহজ বিষয় নয়।

১১| ০২ রা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৫০

মিরোরডডল বলেছেন:




সুলতানা আপা আর রোকেয়া আপা কি মায়ের বান্ধবী ?
সুলতানা আপা কি করে মারা গেলেন ?

খুব জানতে ইচ্ছে করে কেন স্বপন কাকু বেলাদিকে বিয়ে করলেন না। মায়ের আদেশ পালন নাকি মিথ্যে ভালোবাসা থেকে পালানো।

ঠিক আছে বিয়ে করেনি, কাকু কেনো দিদিকে বিয়ে করবে ???
বেলাদির প্রেম মনে হয় ওয়ান সাইডেড ছিলো ।

কেন রানু পাগল সবাইকে শাপ-শাপান্ত করে?

মনে হয় রানু পাগল ছিলো না, পাগল মানুষ কি শাপ-শাপান্ত কি বোঝে ?
রানু ছিলো GMTT.

মা'কে প্রশ্ন করতাম, মা, মেয়েরা কি শুধু জীবনভর হেরেই যাবে?

সর্বনাশ !!! সোহানীপু তুমি শৈশব থেকেই পাক্কু ছিলে ।
সেই বয়সেই এরকম প্রশ্ন করতে B:-)

শৈশবের স্মৃতিকথন ভালো লাগলো ।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:১৩

সোহানী বলেছেন: "সর্বনাশ !!! সোহানীপু তুমি শৈশব থেকেই পাক্কু ছিলে । সেই বয়সেই এরকম প্রশ্ন করতে B:-)"

আমি পাক্কু ছিলাম কিন্তু তুমি ছিলে মহাদুষ্ট, সেটা ভালোই বুঝতে পারি। B-))


সুলতানা আপা আর রোকেয়া আপা কি মায়ের বান্ধবী ?

- হুম মায়ের বান্ধবী ছিলেন।

সুলতানা আপা কি করে মারা গেলেন ?

হঠাৎ ক্যান্সার ধরা পড়লো। মাত্র এক মাসের মাথায় মারা গেলেন। কি যে সুন্দর ছিল তা বলে বোঝাতে পারবো না।

খুব জানতে ইচ্ছে করে কেন স্বপন কাকু বেলাদিকে বিয়ে করলেন না। মায়ের আদেশ পালন নাকি মিথ্যে ভালোবাসা থেকে পালানো।

- বেলাদি গোয়ালীনির মেয়ে ছিলেন তাই দিদিমা বিয়ে দেননি। আমার রাগ ছিল স্বপন কাকুর উপরে। প্রেম করার আগে মায়ের পারমিশন নিয়ে নিতি, তা না করে বিয়ে করার সময় যত ফাজলামো। তুমি বিশ্বাস করবে না, আমি কাকীমার সাথে ঠিক মত কথাও বলতাম না রাগে। মোটা আটপৈাড়ে অশিক্ষিত মহিলা ছিল। বিয়ের সময় মনে হয় ৫০ ভরি গহনা দিয়েছিল।

ঠিক আছে বিয়ে করেনি, কাকু কেনো দিদিকে বিয়ে করবে ???
বেলাদির প্রেম মনে হয় ওয়ান সাইডেড ছিলো ।

উত্তর উপরে :(

কেন রানু পাগল সবাইকে শাপ-শাপান্ত করে?
মনে হয় রানু পাগল ছিলো না, পাগল মানুষ কি শাপ-শাপান্ত কি বোঝে ?
রানু ছিলো GMTT.

তা রানুর জীবনটা ছিল বঞ্চনায় ভরা। মা-বাবা/স্বামী/সন্তান কিংবা যাদের বাসায় কাজ করতো তাদের কাছ থেকেও ছিল বঞ্চিত। হয়তো নিজের সে দু:খ নিজেকেই শোনাতো।

অনেক ধন্যবাদ মিরো। তুমিও লিখে ফেলো তোমার দুস্টুমিগুলো।

১২| ০২ রা নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৫

মিরোরডডল বলেছেন:




অপ্সরা আপু কোথায় তুমি???
শিগগিরি এসো। শিগগিরি…

সোহানীপু সেরকম শৈশবের বর্ণনা দিয়ে পোষ্ট দিয়েছে ....
তুমিও এখনই খোকা ভাইয়ের নতুন পর্ব নিয়ে চলে এসো ।
তারপর হয়ে যাক দুজনের স্মৃতিচারণের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।

আর আমি বেটার ঘুমাতে যাই :)


০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:১৮

সোহানী বলেছেন: তুমি ঘুমে নির্ঘাৎ খোকাভাইকে কিংবা বেলাদিকে স্বপ্নে দেখবা ........:)

শায়মার সে লিখা পড়ে আমারো অনেক কিছু মনে পড়ছে। আর ওর বর্ননাতো অসাধারন, মনে হয় আমার চারপাশেই সব ঘটছে। আমি খুব অবাক হই শায়মা তো এ যুগের মেয়ে, ওরতো এতো কিছু জানার কথা না। আমি না হয় বুড়ো হয়েছি, আড়াইকাল যেয়ে তিন এ পৈাছেছি ;) । কাজেই সে দিনের কথা জানি................

১৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০৫

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা মিররমনি!!

তোমার কথা শুনে শিঘ্রী চলে এলাম।

আহাারে নিভিয়া ক্রিম। আমার বড়ই অপছন্দের ছিলো কিন্তু আমার মায়ের সেটাই প্রিয় ছিলো.......
রানু পাগলী..... বেলাদি আর পূজোর নাড়ু সন্দেশ আমাদের শৈশবেও ছিলো।

এখনকার ছেলেমেয়েরা আর চেনেই না :(

০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:২১

সোহানী বলেছেন: আমাদের শৈশব এর সাথে এখনকার বাচ্চাদের শৈশব কোনভাবেই মিলবে না। বিশাল একটা গ্যাপ। চিন্তা, চেতনা, লাইফ স্টাইল, সামাজিকতা, চাওয়া পাওয়া............ একেবারে বিপরীতমুখী।

আমরা না হয় দেশের বাইরে কিন্তু যারা দেশে আছে তাদের মাঝেতো দেখি আরো অনেক গ্যাপ।

১৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,




সময়ের সাথে সাথে পুরোনো ব্রেন সেলগুনো নড়েচড়ে বসে। দীর্ঘদিন বসে থেকে থেকে তাদের হাত-পায়ে ধরা ঝি-ঝি সারাতে একটু লাফালাফি করে আর কি!!!! ;) সে লাফালাফি কখনও মধুর মনে হয় , কখনও আবার হাত-পা ভাঙার মতো বেদনার কারন হয়ে দাঁড়ায়!

চমৎকার স্মৃতিচারণ।

দুপুর বেলা শুয়ে শুয়ে আমার মাও গল্পের বই পড়ে শোনাতেন বাবাকে। মাঝেমাঝে আমিও তাদের পাশে শুয়ে সেসব শুনতুম। সেসব বই ছিলো যেমন শরৎচন্দ্র, বিমল মিত্র, নিহাররঞ্জন প্রমুখের লেখা তেমনি ছিলো জরাসন্ধরও। মায়ের গলার স্বরও তাল মিলিয়ে ওঠানামা করতো গল্পের সুখদুঃখের আবেগের সাথে সাথে। আহা ............. সেদিন আর নেই! তারাও আজ দূর আকাশের তারা!
একদিন আমাদের সন্তানদের কাছেও আমরা দূর আকাশের তারা হয়ে যাবো, সেদিন কি তারা্ও লিখবে আমাদের নিয়ে এমন স্মৃতিকথা !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:২৫

সোহানী বলেছেন: আসছি ফিরে আবার আপনার মন্তব্যে, ততক্ষন জানা আপুর মন্তব্যটা পড়ুন!

Jana Syeda Gulshan Ferdous
দারুণ লেখা সোহানী ❤। লেখাটা পড়ে বুকের ভেতর হুহু করে উঠলো। অজান্তেই জ্বালা করে ওঠা চোখ দুটো বাঁধ ভেঙে***! মা!! মায়ের শরীরে গরমকালে পন্ডস পাউডার আর শীতে পন্ডস ক্রীমের বিশেষ গন্ধ, দুটো করে সরু সরু সোনার চুড়ি পরা হাতের নরম আদর, কপালে চুমু****! মা'র মিষ্টি হাসি, গল্প বলা, মা'র হাতের রান্না লাউ চিংড়ী, সর্ষে ইলিশ, নানান মুখরোচক ভর্তা, চচ্চড়ী****! মা আমার মানুষকে নানাভাবে সাহায্য করতে এবং খাওয়াতে খুব ভালোবাসতেন। আমাদের বাড়ির সাহায্যকারী খালা, ড্রাইভার বা তাদের সন্তানেরা আমার মা'কে একটা শান্তির আশ্রয় মনে করতেন।
খুব সাধারণ, ধার্মিক, সুরুচীসম্পন্না এবং সংস্কৃতিমনা মা আমার অবসর পেলেই গান শুনতেন। রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজ লালনগীতি
আমার মা'ও একসময় বই পড়তে ভালবাসতেন। আমাদের বাড়ীতে অন্তত পনর হাজার বইয়ের সংগ্রহ। আহা, কত স্মৃতি, জীবনের কত রকম গল্প! অনেক ভালবাসা জানবেন❤❤

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৩০

সোহানী বলেছেন: "মায়ের গলার স্বরও তাল মিলিয়ে ওঠানামা করতো গল্পের সুখদুঃখের আবেগের সাথে সাথে।"........ সত্যিই তো। মনে হতো যেন চোখের সামনে সব দেখতে পাচ্ছি কারন গলার স্বরে এতো আবেগ মাখা থাকতো।

"একদিন আমাদের সন্তানদের কাছেও আমরা দূর আকাশের তারা হয়ে যাবো, সেদিন কি তারা্ও লিখবে আমাদের নিয়ে এমন স্মৃতিকথা !".......... তারা যেন লিখালিখি করে আমাকে নিয়ে তার জন্য "প্রজেক্ট মম মেমোরি হান্ট" চালু করেছি বাসায় B-)) B-)) B-)) । ছেলে ছোট থাকতে তাকে দিয়ে করাতাম এখন মেয়েকে দিয়ে লেখাই, যেমন তোমার মা কত ভালো তার উদাহরন সহ লিখ। ভালো লিখার জন্য পুরস্কার..............হাহাহাহাহা। ভালো না লিখে যাইব কই =p~ =p~ =p~ =p~

"সময়ের সাথে সাথে পুরোনো ব্রেন সেলগুনো নড়েচড়ে বসে। দীর্ঘদিন বসে থেকে থেকে তাদের হাত-পায়ে ধরা ঝি-ঝি সারাতে একটু লাফালাফি করে আর কি!!!!"......... হাতে একটু খাঁজুরা সময় আছে তো তাই মনে হয় এ লিখা।

অনেক অনেক ধন্যবাদ জী ভাই।

১৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৩২

মিরোরডডল বলেছেন:




ফল সিজনে এখানেও এরকম কালারফুল হয় ।
তোমার সিগনেচার বলেইতো কোন বাঁকা ছবি না দেখে হতাশ ।
সোহানীপু বাট নো বাঁকা ছবি । এ হয় নাকি!!!
খুব বেশি লেইট হয়নি আপু, এখনো একটা অ্যাড করতে পারো ।
আফটার অল সিগনেচার বলে কথা :)

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:১৯

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা........ তোমার যন্ত্রনায়তো দেখছি এবার সোজা ছবি বাঁকা করে পোস্ট দিবো!

ফলের ছবি আছে কয়েক'শ। এতো ছবি দেখলে তোমরা বিরক্ত হবা তাই অল্প ক'টা দিয়েছি। আসলে এতো সুন্দর চারপাশ যে সারাক্ষন চবি তুলতেই মন চায়। দাঁড়াও তোমার জন্য আরো ক'টা এড করি।





এটা হলো রিভারউড এ। এখানের নদীতে ফল সিজনে স্যামন মাছ কানাডা ছেড়ে পালায় তা দেখা যায় সরাসরি। অদ্ভুত দৃশ্য.... স্যামন চলছে তো চলছে।



ব্রিজের উপর থেকে ছবি তুলেছি তাই হয়তো ভালো দেখা যাচ্ছে না।


১৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৩৫

মিরোরডডল বলেছেন:




উত্তর উপরে :(

মন খারাপ করেনা আপু ।
তুমি ফান বিষয়টা ধরতে পারোনি ।
কাকু কেনো দিদিকে বিয়ে করবে ???
এটা বলে আমি যা বোঝাতে চেয়েছিলাম, কাকু কোন মাসি পিসিকে বিয়ে করবে, যে হবে কাকিমা ।
আর বেলাদি করবে অমুক দাদা তমুক দাদা কাউকে ।
কিন্তু কাকু আর দিদি ? নাহ অ্যা যায় না একসাথে #:-S



০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:২৪

সোহানী বলেছেন: আসলে বেলাদি ডাকতাম কারন তিনি দিদিমনি ছিল তাই। তার উপর মা ছিল সুলতানা আপার সম্পর্কে ফুফু। কিন্তু দু'জনের দারুন সখ্যতা ছিল। আর রোকেয়া আপা বা বেলাদি উনার বান্ধবী ছিল। এ কারনে এমন ডাক। এছাড়া স্বপন কাকু সবসময়ই কাকু ছিল কারন উনি ছিল মেঝ কাকার বন্ধু।

তবে আমার ডাকাডাকিতে কিছু আসা যায়??? না যায় না। সব কিছুই দূর অতীত। তবে আমি কে কোথায় আছে তা কিন্তু ঠিকই খবর নিয়েছিলাম এক সময়।

১৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৪৭

মিরোরডডল বলেছেন:



তুমি ঘুমে নির্ঘাৎ খোকাভাইকে কিংবা বেলাদিকে স্বপ্নে দেখবা ........:)

ওরা দুজনেই জীবিত, তাই আমি তাদের স্বপ্নে দেখবো না ।
আমার স্বপ্নে আবার মৃতদের আনাগোনা ।

আমি না হয় বুড়ো হয়েছি, আড়াইকাল যেয়ে তিন এ পৈাছেছি ;)

মোটে ? এবারতো বলতেই হয় আসলেই তুমি পাক্কু, তিনকালেই অনেক জেনেছো :)

জানাপুর মন্তব্যটা সত্যিই হার্ট টাচিং, সেইম এজ ইউর ওয়ান ।
সবার অতীতেই অনেক দুর্লভ মেমরি ।
কেউ প্রকাশ করতে পারে, কেউ বা বুকে লালন করে ।
থ্যাংকস আপু ।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৩৭

সোহানী বলেছেন: "আমার স্বপ্নে আবার মৃতদের আনাগোনা ।" ..... বলো কি??? কি সর্বনাস!!! তুমি কি প্লানচেট টাইপের কিছু করো নাকি???

" এবারতো বলতেই হয় আসলেই তুমি পাক্কু, তিনকালেই অনেক জেনেছো :)"...........হাহাহাহাহা নিজেকে বুড়ো ভাবতে খুব ভালো লাগে। আর ওই যে কিউরিয়াস ছিলাম বলেইতো সবার খোঁজ ঠিকই বের করেছি এক সময়। ;););)

"জানাপুর মন্তব্যটা সত্যিই হার্ট টাচিং, সেইম এজ ইউর ওয়ান ।" সত্যিই জানাপুর মন্তব্য পড়ে বুকের ভতির হুহু করে উঠেছিল।

মাঝে মাঝে দুর্লভ মেমরি সবাইকে জানাতে ইচ্ছে করে।

অনেক অনেক ভালো থাকো।

১৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমি ফেসবুকে পড়ে ফাস্টু হয়েছি !!!
অনেক সুন্দর করে লেখা আপু :)

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৩৮

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা........... ফেসবুকেতো সর্টকাট রেসপন্স কিন্তু এখানেতো রীতিমত ঘটা করে বসে মন্তব্য লিখতে বসি। অফিস শেষ করে বিছানায় শুয়ে, কফি পাশে নিয়ে বসি..................হাহাহাহা

অনেক ধন্যবাদ মনিরা।

১৯| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ রাত ১:১৭

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আজও মনে পড়ে, আহমেদ জী এস দা এক ব্লগ দিবসের মিলনমেলায় বলেছিলেন, বয়সে সবার থেকে বেশি হলেও মনের দিক থেকে ২৫ বছর! আপ্পনি কেন এমনটি ভাবতে পারেন না?
আরেকটা প্রশ্ন, আপনার মেয়েরাও আপনার নিকট এমন সব প্রশ্ন করতেন?
আমরা যারা বড় হয়েও ছোট, তারা বড়দের হাতের নাগালে পেলে কেবল জানার জন্য উৎসুক হয়ে উঠি! এই যেমন, এসব বন জঙ্গলে হাঁটলে কী আপনার ভয় করে না! (অথচ জানি, এসব বন জঙ্গলে হরিন ও খরগোশ ছাড়া কোন হিংস্র প্রাণি নেই =p~)
আচ্ছা, নারীরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারলেই কী জয়ি হয়ে উঠবে?

আপু, এমন অনেক প্রশ্ন করতে চাই, কিন্তু সময় সে সুযোগ দেয় না! হয়ত সমাজ বলে একটা দেয়ালের পুজায় আমরা জীবনের অনেকটাই কাটিয়ে দেই!

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৫২

সোহানী বলেছেন: আরে তুমি জানো না, সামু ব্লগে ক'জন চির তরুন আছেন, যেমন, জী ভাই, আলী ভাই, খায়রুল ভাই, সোনাবীজ ভাই....... :P । আর কিছু দাদী আছে যেমন আমি, মিরোরডল, শায়মা, ছবি.....................হাহাহাহা। তাই দাদীরা নিজেদেরকে দাদীই ভাবে নাতনী নয় =p~

এসব বন জঙ্গলে কায়োটি থাকে। যা বেশ ভয়ংকর। তারপরও কখনো একা একা ঘুরে বেড়াই। কারন হিংস্র কায়োটি বা হিংস্র মানুষ যাই দেখি না কেন ৯১১ কল দেয়ার মিনিট কয়েক এর মাঝেই এসে পড়বে। তাই ভয় পাই না কোথাও যেতে।

"নারীরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারলেই কী জয়ী হয়ে উঠবে?"

এখন কথা, যুদ্ধটা কার সাথে তারপর জয় পরাজয়ের প্রশ্ন। যদি সমাজের বিরুদ্ধে হয় তাহলে নিজের পায়ে দাঁড়ালে, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করলে অবশ্যই জয়ী হওয়া সম্ভব।

আর যদি যুদ্ধটা পরিবারের সাথে হয় সেখানে অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। তারপরও বলবো, সেখানেও আত্মবিশ্বাসী নারীরা ভালো থাকে। তারা অন্তত স্বামীর মারধোর খেয়ে পড়ে থাকে না, নিজের ব্যবস্থা করে নিতে পারে।

২০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫২

মিরোরডডল বলেছেন:




লেখক বলেছেন: হাহাহাহাহা........ তোমার যন্ত্রনায়তো দেখছি এবার সোজা ছবি বাঁকা করে পোস্ট দিবো!

একথা বলে তুমি সত্যিই একটা বাঁকা ছবি দিলে !!
সিরিয়াসলি !!!
সোহানীপু তুমি এতো কিউট আর সহজ সরল আগে বুঝিনি আমি ।
অনেক লক্ষী একটা মেয়ে :)


০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:৩৬

সোহানী বলেছেন: হায় হায় এতো দিনে বুঝলা আমারে................হাহাহাহাহা।

আমিতো ভাবছিলাম আগেই তুমি বুঝছো :(( :( ;) B:-/ =p~

২১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৯

রানার ব্লগ বলেছেন: পাগল বা মানুষিক রুগীরা আমরা পাগল বলতে যা বুঝি তা তারা নয়। তারা সব বোঝে কিন্তু প্রকাশের শক্তি তাদের নাই। তারা কথা গুছিয়ে প্রকাশ করতে পারে না। যা বলে এলোমেলো বলে বা আবোলতাবোল বলে।

০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:৩৮

সোহানী বলেছেন: হা ঠিক। তাদের প্রকাশ পরিপূর্ন নয় বলেই আমরা বুঝতে পারি না আর পাগল তকমা লাগাই।

ধন্যবাদ রানা।

২২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩১

মিরোরডডল বলেছেন:




লেখক বলেছেন: আরে তুমি জানো না, সামু ব্লগে ক'জন চির তরুন আছেন, যেমন, জী ভাই, আলী ভাই, খায়রুল ভাই, সোনাবীজ ভাই....... :P । আর কিছু দাদী আছে যেমন আমি, মিরোরডল, শায়মা, ছবি.....................হাহাহাহা। তাই দাদীরা নিজেদেরকে দাদীই ভাবে নাতনী নয় =p~

Hello…excuse moi madmoizelle সোহানীপু ।
তুমি ডুবতে চাও ডুবো, কিন্তু আমাদের নিয়ে কেনো ।
দাদী??? তুমি দাদী হও নানী হও, শুভেচ্ছা তোমাকে কিন্তু আমি দাদীও না নাতনীও না, নাতনীর ঘরের পুতনী :)

০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:১৪

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহাহা বলো কি .. আমিতো জানি তুমি হইলা গিয়া আসল নানী =p~=p~=p~=p~=p~=p~=p~=p~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.