নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংসার সুখের হয় রমণী (নর+নারী) এর গুনে (বিশ্বাসে)............

১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৫৩




বি:দ্র: লিখাটা পক্ষপাত দুষ্টে দুষ্ট ;)

সিজনাল ফ্লু ম্লু নিয়ে কিছুটা মাইনকার চিপায় থাকাতে ফেসবুকে জ্বালাময়ী বক্তৃতা দেবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিলাম ক'দিন এবং বহুবিধ রোমাঞ্চকর বহুবিধ ঘটনা মিস্ করেছি। যেমন সানিয়া মির্জা ও শোয়েব মালিকের ডিভোর্স, পরিমনির ফেসবুক স্ট্যাটাস বিদ্যা সিনহা মিমকে নিয়ে, শাকিব খানের নতুন থ্রেট.......। এখন কেউ যদি বলে আমি শুধু শোবিজ নিয়া রাতদিন পইরা আছি তাহলে উত্তর হলো স্বভাব। কারন আমরা অন্যের সংসারে নাক ঢুকাতে খুব পছন্দ করি। এই যেমন, ননদ তার নিজের সংসার জীবনে ছ্যাড়াব্যাড়া, স্বামী তাকে বাঁশের ডগায় রাখে কিন্তু ভাইয়ের সংসারে বাজার থেকে কেরোসিন কিনে এনে আগুন ধরায়। আর ফেসবুকের কল্যাণে এখনতো সবার সংসারের খবর এখন ঘরে ঘরে। তাইতো সংসারের সকল অশান্তির সমাধান বলতে গেলে এখন ফেসবুক কেন্দ্রিক। এই যেমন স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া তারপর বিশাল স্ট্যাটাস ফেসবুকে.........। ব্যাস নেটবাসী ঝাঁপায়ে পরে তারপর তাদের ছাইড়া দে মা কাইন্দা বাঁচি অবস্থা।

পরিমনিকে অভিনেত্রী হিসেবে নয় একজন নারী হিসেবে আমি পছন্দ করি। কারন, প্রথার বিরুদ্ধে, অসম শক্তির বিরুদ্ধে, পুরুষতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে একজন নারীর লড়াইকে আমি বরাবরেই স্যালুট জানাই। ব্যাক্তি জীবনে মেয়েটি কি কেন তার হিসাব নিকাশ ভিন্ন কারন তার দিকে আঙ্গুল তোলার আগে পুরুষদের নিজেদের দিকে আঙ্গুল তোলা উচিত। একটি মেয়েকে এ পর্যায়ে কে বা কারা বা কেন এনেছে তার হিসাব নিকাশ ও নেয়া উচিত।

যাহোক যা বলছিলাম, "সংসার সুখের হয় রমণীর গুনে" এ কথাটা শুনেন নাই এমন নারীকূল কমই আছে। আগের দিনে বড়লোকের উচ্ছন্নে যাওয়া ছেলে মানেই যেতো বাইজিখানায়। শিক্ষা থেকে বঞ্চিত, মুসলিম/হিন্দু আইনের মারপ্যাচে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত মেয়েদের বাবা-মার সংসারে তেমন কোন ঠাই ছিল না। তাই স্বামীর সংসারেই ছিল জীবন মরন। তাই স্ত্রীকে জীবিত রাখতে কিংবা অর্ধমৃত রাখতে অথবা তাহাদের কুকীর্তির পরও বশে আনতে বিভিন্ন ডায়ালগ তাদের মাথায় ঢুকিয়ে দেয়া হতো যাহাতে তাহারা কোনভাবেই স্বামীর বিরুদ্ধাচরন না করতে পারে। যাহোক, দিন এখন পাল্টেছে। আগের দিনের সে সস্তা ডায়ালগ বা সেন্টিমেন্ট দিয়ে এখন আর মেয়েদের বশে আনা যায় না। কারন মেয়েরা এখন শিক্ষিত, স্বাবলম্বী, নিজের অধিকার নিয়ে যথেস্ট সচেতন। আর স্বামী প্রবরের হালের বাইজীখানা মানে ফেসবুক মার্কেট প্লেসের খবর কমবেশী স্ত্রীদের কানে সহজেই পৈাছে যায়।

এই যেমন গায়িকা শাকিরার মতো এমন সুন্দরীর বর পিকের খবর কিংবা শোয়েব মালিকের সাথে আয়েশা ওমরের সম্পর্কের খবর সানিয়া মির্জার কানে অথবা পরিমনির কানে মিমের কথা পৈাছাতে তেমন সময় নেয়নি কারন তারা সেলিব্রেটি। যদিও আপনার স্বামী সেলিব্রেটি নন তারপরও তার কথা নিশ্চয় পৈাছাবে আপনার কানে কোন না কোন ভাবে। এখন কথা হলো আপনিও তো আর সেলিব্রেটি নন যে এক কান্নার ভিডিও পোস্ট করবেন তারপর আপনার জন্য নেটবাসী ঝাঁপিয়ে পড়বে!! তাহলে আপনার করণীয়??

"বিশ্বাস".......... সিম্পল "বিশ্বাস"। যে সংসারে বিশ্বাস নেই সে সংসারে রমণীর শত গুনও কোন কাজে দেয় না। আপনার স্বামী আপনার বিশ্বাসের ডুগডুগি বাজাবেন আর আপনি পতি পরম গুরু বলে প্রনাম করবেন......... সেটা কি একটু বেশীই হয়ে যাচ্ছে না! কোথায় যেন লিখা পড়েছিলাম যে নিয়মকরে স্বামী/স্ত্রীর ম্যাসেজ চেক করা উচিত। আমি বলেছিলাম সে লিখায়, না, কখনই নয়। যে সম্পর্কে বিশ্বাস থাকে না সে সম্পর্কে নিয়মকরে ম্যাসেজ চেক করে সম্পর্ক দৃঢ় করা যায় না। ম্যাসেজ তখনই চেক করা উচিত যখন ভাববেন এ সম্পর্কের কোন ভবিষ্যত নেই, এ সম্পর্কে কোন বিশ্বাস নেই অথবা নিজের সন্দেহ থেকে বের হবার জন্য।

জ্ঞানদান শেষ তবে জানিয়ে রাখি লিখাটা আমি লিখেছি আমার অত্যন্ত প্রিয় লেখক ও ব্লগার শেরজা তপন ভাই এর "পুরুষ হবার যন্ত্রনা" লিখাগুলো পড়ে। এবং এর সাথে জানিয়ে রাখি আমি নারী হিসেবে তার সাথে আমিও ব্যাথিত।


ইয়ে মানে ছবি দিলাম ভিউ বাড়ানোর জন্য থুক্কু নয় B-))

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পরিমণি এবং তাদের মতো চলচ্চিত্রের অনেকেই নায়িকা হওয়ার জন্য যে কোন কিছু করে। এরা পুরুষতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছে না। এরা যে কোন মূল্যে খ্যাতি এবং টাকার জন্য এসব করে থাকে। কিছু ব্যতিক্রম থাকতে পারে। এরা সমাজে কখনও উদাহরণের যোগ্য না। এদের মধ্যে অনেকেই দুই নম্বর কাজে জড়িত। পরিমনি বিপদে পরেও চলচ্চিত্রে আসেনি। নিজের প্রয়োজনে এসেছে। আপনার উদাহরণটা মানতে পারলাম না।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:০৬

সোহানী বলেছেন: চুয়াত্তর ব্রো, আমার উদাহরন যে আপনাকে মানতেই হবে এমন কোন কথা নেই। যে যার দৃষ্টিভঙ্গী থেকে ঘটনা বা ব্যাক্তি বিশ্লেষন করে। আপনি যে আঙ্গিকে চিন্তা করছেন তা আমি করছি না। তারপরও সবচেয়ে বড় কথা, আপনার দৃষ্টিভঙ্গীর সাথে মিলে যাবে এ দেশের ৯৫% পুরুষ শ্রেনীর আর ৯০% নারী শ্রেনীর। এখন যদি বলি আমি কেন সে ১০% মাঝে নিজেকে ভাবছি? কারন আমি একজন নারী হিসেবে দেশের প্রতিটি পদে পদে লড়াই করেছি। আমার মতো এমন অভিজ্ঞতাসম্পর্ন লড়াকু খুব একটার দেখা পাইনি এখনো ;) । তাই যেকোন বিষয়ের বিশ্লেষন করি ঠিক নিজেকে একই জায়গায় দাঁড় করিয়ে। একটা মেয়েকে কোন জায়গায় মাথা তুলে দাঁড়াতে কত কাঠ কয়লা পোড়াতে হয় তা আমি জানি। তবে এও সত্য পরিমনির পথ যে সব ঠিক তাও নয়, কিংবা ও পথ আমার নয় বলে তেমন জানাও নেই। তারপরও তার লড়াকু জায়গাটিতে আমার যথেষ্ট শ্রদ্ধা আছে।

ভালো থাকুন।

২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫৮

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: নারীবাদ, পুরুষবাদ এগুলো কোনো কাজের কথা নয়। এতে শুধু পরস্পরের প্রতি পরস্পরের বিদ্বেষকেই উস্কেই দেয়া হয়, তাতে কাজের কাজ কিছু হয় বলে মনে করি না। আমরা সবাই মানুষ, নারী-পুরুষ একে অন্যের পরিপূরক, সবারই মর্যাদা প্রাপ্য, এই বিষয়গুলি যদি আমরা বুঝি তবেই আমাদের কল্যাণ। আমরা যদি অন্যের দোষ খোঁজা বাদ দিয়ে তার মধ্যে কি কি গুন আছে সেগুলো দেখি আর নিজের দোষগুলো খোঁজে বের করে সেসব থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করি তাহলে জীবন অনেক সুন্দর ও সহজ হয়ে যায়।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:০৮

সোহানী বলেছেন: সবচেয়ে প্রয়োজনীয় কথাগুলো বলেছেন কত সাবলীলভাবে, গেঁয়ো ভূত। ধন্যবাদভ

সবারই প্রাপ্য মর্যাদা যদি বুঝতাম তাহলেতো কোন সমস্যাই থাকতো না। কিন্তু ক'জনেই বা বোঝে এর মর্ম।

৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১০

জুল ভার্ন বলেছেন: হায় হায় সানিয়া মির্জার বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে ব্লগে আনন্দ উতসব হলো- সেগ্লার কি হপে!

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:০৯

সোহানী বলেছেন: তাই নাকি......... আমিতো জানি না তাই সে উৎসবে যোগ দিতে পারি নাই, আফসোস ;) ;)

৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: স্বামী-স্ত্রী'র পারস্পরিক আস্থা-বিশ্বাসই একটি সংসারের মূল ভিত্তি আর ত্যাগ-সমঝোতা সংসারেরে সাফল্যের মূল মন্ত্র।

যে সংসারে স্বামী-স্ত্রী'র পারস্পরিক আস্থা-বিশ্বাস যত বেশী এবং যে যত বেশী সম্ভব ত্যাগ-সমঝোতা করতে পারে অর্থ্যাৎ যে সংসারে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের তাল-লয়-সূর একই টোনে বাজে সেই সংসারই তত বেশী সুখের ও সফল হয়।

আবার,অনেকই বলে ভালবাসা না থাকলে সংসার সুখরে হয়না।আর সেই ভালবাসা মানেই হলো পারস্পরিক আস্থা-বিশ্বাস এবং ত্যাগ-সমঝোতার সমষ্ঠি।

দিন পরিবর্তন হয়েছে। নর-নারী নির্বিশেষে সবাই এখন অধিক সচেতন। আর সচেতনতা এখন এমন এক পর্যায়ে গিয়েছে যে, " কেউ কারে নাহি ছাড়ে ,সমানে সমান" - অর্থ্যাৎ পান থেকে চুন খসলেই এখন নো আপস-সমঝোতা অনলি তালাক।

মানব জীবন বড়ই জটিল-কঠিন,নারী-পুরুষ সবারই জন্য।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:১৩

সোহানী বলেছেন: মানব জীবন নারী-পুরুষ কারো জন্যই জটিল-কঠিন নয় যদি না আমরা তা জটিল করে তুলি। চাঁদ কে চাঁদ না দেখে রুপোর থালা দেখলেতো সমস্যা সৃষ্টি হবেই। এখন কথা কে কিভাবে ভালো ম্যানেজ করতে পারে। পারস্পরিক আস্থা-বিশ্বাস এবং ত্যাগ-সমঝোতার সমষ্ঠি সব কিছুই পারে জীবনকে সহজতর করতে। কিন্তু সমস্যা আমাদের লোভ, চাহিদা, না পাওয়ার আক্ষেপ সবকিছুই ধ্বংস করে দেয়।

চমৎকার মন্তব্যে ধন্যবাদ।

৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: তারকারা মানুষ। এদের জীবনে দুঃসময় আসে। এটা স্বাভাবিক।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:১৫

সোহানী বলেছেন: না, তাদের নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই। তারা তাদের দুঃসময় শোঅফ করেই বাচেঁ। কিন্ত আমরা নই।

৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩৬

নাহল তরকারি বলেছেন: আমার মতে বিয়ে করা ঠিক না। সমাজ থেকে বিয়ে ওঠিয়ে দেয়া উচৎ। বিয়ে মানেই নারীর অধিকার ক্ষুন্ন করা।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:১৮

সোহানী বলেছেন: বিয়ে মানেই নারীর অধিকার ক্ষুন্ন করা পুরুষের নয় ??????????????

৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৩৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: নাহ আপু, পরিমনির বিষয়ে একমত হতে পারুলাম না। পরিমনি সম্পর্কে ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর এর মন্তব্যের সাথে একমত। একজন পরিমনিকে বা টকশোতে বিজ্ঞানীকে অপমান করা মিথিলা, মাসুদা ভাট্টি গংদের নারীবাদীর উদাহরন স্বরুপ দেখালে তা সমাজে নিরবে অবিরাম যুদ্ধ করে যাওয়া নারীবাদীদের অপমান করা হবে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:১৯

সোহানী বলেছেন: উত্তরটা সাড়ে চুয়াত্তর কে দিয়েছি একই কথা এখানেও বলছি।

আমি যে দৃষ্টিভঙ্গী থেকে দেখছি তুমি তা দেখছো না তাই তোমার আমার চিন্তায় পার্থক্য।

৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বনিবনা না হলে দুজন দু'দিকে সরে যাওয়াই উত্তম।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:২১

সোহানী বলেছেন: কিন্তু সমস্যা হলো আমাদের দেশের মানসিকতায় ডিভোর্স শব্দটা মারাত্বক ভয়ংকর, সমাজ গলা টিপে ধরে। পরে থেকে জীবন ধ্বংস করে কিন্তু তারপরও ডিভোর্স নেয় না।

৯| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২০

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,




জোস ডায়লগে লিখেছেন। :(
হঠাৎ ক্ষেপে গেলেন কেন ? সিজনাল ফ্লু'র সাইড এফেক্ট ?

"সংসার সুখের হয় রমণীর গুনে" সে তো আদ্যিকাল থেকে শুনে এসেছি। সেই আদ্যিকালে গ্রামের বাড়ীগুলিতে এমনকি শহরের ঘরগুলিতে্ও রঙীন সুতোর কারুকাজে "সংসার সুখের হয় রমণীর গুনে" কথাটি লিখে, কাচের ফ্রেমে বাঁধিয়ে, দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখা হতো। তখনকার কালে এই বক্তব্যের প্রাসঙ্গিকতা হয়তো ছিলো কারন তখন রমনীরা ছিলো গৃহন্তরীন। পুরুষেরা থাকতো বাইরে কাজে অথবা মাঠের কৃষিকাজে ব্যস্ত। ঘর-সংসার সামলাতো শুধু রমনীরাই। জীবন তখন এতো জটিলও ছিলোনা। ঘর-সংসারের কোন কাজেই পুরুষদের হাত লাগাতে হতোনা। রমণীর গুনের প্রাসঙ্গিকতা সে কারনেই।
এখন যুগ আর বাতাস পাল্টেছে। রমনীরাও এখন আর গৃহন্তরীন নন। সংসারের প্রয়োজনেই তাকেও এখন বাইরে বেরুতে হচ্ছে পুরুষের সমান তালে।
তাই এখনকার ডায়লগ হবে "সংসার সুখের হয় নরনারীর গুনে" । অবশ্য আপনি শিরোনামে "সংসার সুখের হয় রমণী (নর+নারী) এর গুনে (বিশ্বাসে)" লিখেছেন বটে তবে রমনীকে হাইলা্‌ইট করেছেন নিজে রমনী বলেই। পক্ষপাতদুষ্ট তো অবশ্যই। ;)

তবে লেখার বক্তব্যের বিষয়ে সহব্লগার গেঁয়ো ভূত এর কথার প্রতিধ্বনি করছি। সহব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর ঠিকই বলেছেন - "এরা পুরুষতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছে না।"

আমি্ও জ্ঞান দান শেষ করছি এখানে। ভালো থাকুন।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:২৯

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা জোস এ আর আসতে পারলাম কই আপনারা আমারে দৈাড়ের উপর রাখছেন B:-/

সিজনাল ফ্লু এবার ভালোই জ্বালাচ্ছে। এতো বাজে ওয়েদার এবার। হঠাৎ ঠান্ডা আবার গরম আবার স্নো............. কি যে এক বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা।

আমার দাদুর বাড়িতে বৈঠকখানায় এরকম সুতো দিয়ে ফ্রেমে বাঁধাই করা মনে হয় ডজন খানিক লিখা ছিল। এরকম আশে পাশের সব বাড়িতেই ছিল। তখন এগুলো বাধিঁয়ে সবাইকে মুখস্থ করিয়ে ছাড়তো................হাহাহাহাহাহা

পক্ষপাতদুষ্ট না হয়ে যামু কই বলেন, নিজের ঢোল এর দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হয়। অন্যের কাছে দেবার মতো রিস্ক নেবার ইচ্ছে নাই........... B-))

১০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি জেন্ডার নিয়ে কাজ করে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন তাই এই দেশের ৯৫% পুরুষ এবং ৯০% নারীর চেয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন। আপনার দৃষ্টিভঙ্গি ঠিক আর বাকিদেরটা ভুল এই কথাই হয়তো বলতে চাচ্ছেন। আপনার অভিজ্ঞতা আছে কিন্তু আমজনতার অভিজ্ঞতা নাই তাই তারা পরিমনিকে বুঝতে পারেনি এটাই হয়তো বুঝাতে চাচ্ছেন। পরিমনি বা এই জাতীয় অনেক নায়িকারা কিভাবে নায়িকা হয় এটা আপনি জানেন না বা বুঝেন না এত নির্বোধ আপনি নিশ্চয় নন। তারপরও আপনার জেন্ডার ইস্যু সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা থেকে পরিমনির মত ধড়িবাজ এবং ....... ( আরও খারাপ বিশেষণ দেয়া যায়। মেয়ে বলে দিলাম না) মেয়েকে সমর্থন করছেন, তাকে স্যালুট জানাচ্ছেন এবং বলছেন এরা পুরুষতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে লড়ছে। খুবই হাস্যকর আপনার কথা। আপনি মনে হচ্ছে বাংলাদেশে মানুষ হননি তাই এদের সম্পর্কে জানেন না। অথবা বিদেশ গিয়ে ভুলে গেছেন।

মামলা থেকে বাঁচার জন্য গোয়েন্দা পুলিশ কর্মকর্তার সাথে পরিমনির ফষ্টিনষ্টির ছবি মনে হয় দেখেননি। যার কারণে ঐ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আপনি বললে আমি সেই ছবি দিতে পারি। সারা বাংলাদেশের মানুষ দেখেছে। এই সব ফষ্টিনষ্টি করার পরও পরিমনিকে আপনি স্যালুট দিতে চান। এর দ্বারা আপনি দেশের ভদ্র এবং প্রকৃত সংগ্রামী নারীদের ছোট করছেন। আপনি তো পরিমনির মতো মেয়েকে সংগ্রামী নারীর আইকন বানাতে চাচ্ছেন মনে হচ্ছে। খুবই দুঃখজনক।

আপনি যদি একটা সংগ্রামী গৃহকর্মী বা গার্মেন্টস কর্মীকে স্যালুট দিতেন আমি মেনে নিতাম। কিন্তু এই সব ধড়িবাজ মেয়েকে যখন স্যালুট দেন তখন আশ্চর্য লাগে। পুরুষদের কথা মত উঠ বস করে যে মেয়ে নায়িকা হয়েছে তাকে আপনি বলছেন সে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বিরুদ্ধে লড়ছে!!!!

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:০৫

সোহানী বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর, আমি আমার মন্তব্যে কোথাও ভুল শুদ্ধের হিসাব বলিনি। আপনি আমার মন্তব্যটুকু পড়ুন, দেখুন আমি কি বলতে চেয়েছি।

১১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি পরিমনিকে স্যালুট দিয়ে ভুল বার্তা দিয়েছেন। পরিমনি এবং এই ধরণের কিছু বাংলা সিনেমার নায়িকারা পুরুষতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে লড়ছে না। তারা লড়ছে টাকার জন্য, খ্যাতির জন্য এবং যথেচ্ছ জৈবিক চাহিদার জন্য। এদেরকে কেউ বাধ্য করেনি। এরা নিজের ইচ্ছাতে এগুলি করে। এদের চেয়ে একটা সংগ্রামী, নির্যাতিত পতিতার প্রতি আমার বেশী সম্মান আছে।

বাংলাদেশ বা পৃথিবীর কোন গ্লামার জগত কখনও কোন মানুষের আদর্শ হতে পারে না। এই জগতের কেউ পুরুষতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে লড়ছে না। বরং এই গ্লামার জগতটাই পুরুষতান্ত্রিকদের দ্বারা সৃষ্ট। পরিমনিকে এত বড় নায়িকা বানিয়েছে পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং তাকে সাহায্য করেছে সিনেমা জগতের কিছু নারীলোভী ব্যক্তি।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:৩৪

সোহানী বলেছেন: মানছি, পরিমনিকে এত বড় নায়িকা বানিয়েছে পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং তাকে সাহায্য করেছে সিনেমা জগতের কিছু নারীলোভী ব্যক্তি। যা আর সব পরিমনির জন্য প্রযোজ্য। তবে আমার স্যালুট কোনভাবেই ভুল বার্তা দিচ্ছে না। আপনি মানছেন না সেটা আপনার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গী। আপনার দৃষ্টিভঙ্গীর বাইরেও যে ভিন্ন কিছু থাকতে পারে তা আবারো ভেবে দেখুন। জোর করে নিজের মতোবাদ চাপানোটা কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়।

আমিতো বার বার বলছি, আমার দৃষ্টিতে। সেটা আপনি মানতেও পারেন কিংবা নাও পারেন, এতে জোড়াজুড়ির কিছু নেই।

১২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৩৮

মুক্তা নীল বলেছেন:
সোহানী আপা,
পরিমনিকে অভিনেত্রী হিসেবে নয় একজন নারী হিসেবে আমি পছন্দ করি। কারন, প্রথার বিরুদ্ধে, অসম শক্তির বিরুদ্ধে, পুরুষতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে একজন নারীর লড়াইকে আমি বরাবরেই স্যালুট জানাই। ব্যাক্তি জীবনে মেয়েটি কি কেন তার হিসাব নিকাশ ভিন্ন কারন তার দিকে আঙ্গুল তোলার আগে পুরুষদের নিজেদের দিকে আঙ্গুল তোলা উচিত। একটি মেয়েকে এ পর্যায়ে কে বা কারা বা কেন এনেছে তার হিসাব নিকাশ ও নেয়া উচিত ----- একদম আমার মনের কথাটিই আপনি লিখেছেন ।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:৫৯

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ মুক্তা নীল।

আসলে কি জানেন আমার কেন যেন মনে হয় আমরা কোনভাবেই ভিন্ন চিন্তা করতে পারি না। কিংবা বলা যায় একটি মানুষের অনেকগুলো চেহারা আছে, কোনটা ভালো, কোনটা ভয়ংকর, কোনটা লোভী, কোনটা দয়ালু। আমরা সবগুলোকে আলাদাভাবে জাজ করি না। কিংবা একটিকে ব্রাকেটে রেখে বাকিগুলোকে বিচার করি। যাহোক, হুজুগে চিলের পিছনে দৈাড়ানোর আগে সবসময়েই চেস্টা করি পুরো ঘটনার বিশ্লেষন করতে, তারপরই নিজের ডিসিশান নেই। সেটা যে সবাই মানবে বা বিশ্বাস করবে তা কখনই সম্ভব নয়।

১৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:১১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: পরিমনিকে অভিনেত্রী হিসেবে নয় একজন নারী হিসেবে আমি পছন্দ করি। কারন, প্রথার বিরুদ্ধে, অসম শক্তির বিরুদ্ধে, পুরুষতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে একজন নারীর লড়াইকে আমি বরাবরেই স্যালুট জানাই। ব্যাক্তি জীবনে মেয়েটি কি কেন তার হিসাব নিকাশ ভিন্ন কারন তার দিকে আঙ্গুল তোলার আগে পুরুষদের নিজেদের দিকে আঙ্গুল তোলা উচিত।

আপু এই যে প্রথার বিরুদ্ধে , অসম শক্তির বিরুদ্ধে সে লড়াই করেছে সেও পুরুষের ছায়াতলে ই। এরা যতদিন নারীবাদের নারী স্বাধীনতার নারী লাড়াকু মনভাবের উদহারন হবে আমাদের সামনে ততদিন বাংলাদেশে নারীবাদী রা ঘৃণা ই কুড়াবে।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:১১

সোহানী বলেছেন: না আমি তোমার কথাটা ঠিক মানতে পারছি না। একটি মেয়ে শুধুমাত্র নারী সম্বলিত লড়াই করবে তা কোনভাবেই ঠিক নয়। এ ধরনের চিন্তা পুরোপুরি নারী পুরুষকে মুখোমুখি দাঁড় করায়।

নারী লড়াই করবে তার অধিকারের জন্য, সেখানে কার ছায়াতলে সেটা কোনভাবেই মূখ্য নয়।

নারীবাদের নারী স্বাধীনতার নারী লাড়াকু মনভাবের........ অনেকগুলো বিশেষন একসাথে এনেছো। এগুলো নিয়ে কথা বলতে হলে বিশাল লিখা দরকার। এটা নিয়ে তাই আলোচনায় গেলাম না। কিন্তু " বাংলাদেশে নারীবাদী রা ঘৃণা ই কুড়াবে" এ অংশটুকু নিয়ে আমার আপত্তি আছে। তুমি মুনিরা বলেই বাকি অংশটুকু লিখছি, অন্য কেউ বললে হয়তো এড়িয়ে যেতাম অযথা কথা না বাড়িয়ে।

বাংলাদেশে নারীবাদীরা আসলে এখন দুইভাগ। এক, হালুয়া রুটি খাওয়া গ্রুপ, যারা নারীবাদী নামকে বেচেঁ খায়। ও দুই, সত্যিকারে নারীবাদী বা নারীদের অধিকার নিয়ে কাজ করে।

সমস্যা হলো, সাধারনরা শুধুমাত্র প্রথম গ্রুপকেই চিনে, কারন তাদের টকশোতে দেখা যায়, পত্রিকায় দেয়া যায়। ২য় গ্রুপকে তেমন কেউ চিনে না। তবে আশার কথা দিনে দিনে ২য় গ্রুপ বাড়ছে।

অনেক কথা বলে ফেল্লাম, ভালো থাকো।

১৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: বেশ ঝাঁঝালো ভাষায় লেখা আপনার এ পোস্ট টা। ফ্লুরও হয়তো কিছুটা অবদান আছে এর পেছনে।
সংসার সুখের হয় উভয়ের গুণে আর ত্যাগে।

১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৩৯

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা খায়রুল ভাই, ঝাঁঝালো লিখা শুধু ফ্লুতেও না, মেজাজ খারাপ থাকলেও হয়।

একটা লিখা লিখেছিলাম কিন্তু পরে মাথা ঠান্ডা হওয়াতে ড্রাফটে নিয়ে নেই।

"সংসার সুখের হয় উভয়ের গুণে আর ত্যাগে।" .......... এ সহজ সত্যটা সবাই বুঝে না বলেইতো যত অশান্তি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.