নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

Mrs Chatterjee vs Norway : একটি ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল কিংবা একপাক্ষিক চিন্তাধারার ছবি।

১৯ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:৫০



দেখলাম মাত্রই মুক্তিপ্রাপ্ত Mrs Chatterjee vs Norway, সত্য ঘটনা অবলম্বনে ভারতীয় দৃষ্টিকোন থেকে নির্মিত মুভিটি। অনলাইন জুড়ে ছবির এতো এতো আলোচনা দেখে আগ্রহী হলাম ছবিটি দেখতে। এবং যথারীতি রিভিউ নিয়ে হাজির হলাম সম্পূর্ন আমার দৃষ্টিকোণ থেকে।

যাহোক আসল কথায় আসি.......আমি কানাডার জীবন-যাত্রা নিয়ে প্রতিটি লিখায় বলে থাকি, এখানে প্রথম এবং প্রধান প্রায়োরিটি হচ্ছে শিশুরা। শিশুদেরকে নিয়ে কখনই কোন কিছুর সাথে কম্প্রোমাইজ করা হয় না পশ্চিমা বিশ্বে। প্রতিদিন স্কুলে ক্লাসটিচার প্রতিটা বাচ্চার খোঁজ নেয় কারো কোন সমস্যা হয়েছে কিনা। যদি কোন বাচ্চা সামান্যতমও কম্লেইন করে সাথে সাথে স্যোশাল থেকে বাচ্চাদেরকে মনিটর করা হয় ও বিশেষ ক্ষেত্রে তাদেরকে স্যোশাল কাস্টডিতে নিয়ে যাওয়া হয়।

আমাদের এশিয়ান বাবা-মায়েরা এ জিনিস কোনভাবেই বুঝবে না। আর যদি পশ্চিমা বিশ্বের বাইরে বাস করেন তাহলেতো তা আরো বোঝার কথা না। আমরা এশিয়ান বাবা-মায়েরা ভাবি, আমার বাচ্চা আমি পেটে ধরেছি, আমি তাকে মারি ধরি সেটা আমার ব্যাপার। আমি মা-বাবা, আমার চেয়ে বাচ্চার ভালো আর কে চাইবে! প্রয়োজনে মাইর দিবো আবার আদর করবো, তাতে তোমার কি!!

কিন্তু অতি দুক্ষের সাথে জানাচ্ছি আপনাদের এ ধারনা পুরোপুরি ভুল পশ্চিমা বিশ্বে। এখানে বলা হয় বাচ্চারা রাস্ট্রের সম্পত্তি। আমরা মা-বাবা হতে পারি কিন্তু শিশুদেরকে সর্ব্বোচ্চ ভালো দেখার দায়িত্ব রাস্ট্রের, আপনার আমার নয়। ওদেরকে বড় করার জন্য রাস্ট্র সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। আপনি আছেন থাকবেন কিন্তু রাস্ট্র যদি মনে করে আপনার দ্বারা বাচ্চার ক্ষতি হবে তাহলে আপনাকে তার আশেপাশে ভিড়তেই দেয়া হবে না। আমাদের এশিয়ান চিন্তা-ভাবনা পশ্চিমা বিশ্বে কোনভা্ই কাজ করবে না। কিন্তু Mrs Chatterjee vs Norway সিনেমাটিতে যেভাবে নরওয়েকে ভিলেন বানিয়েছে, চোর বাটপার শিশু পাচারকারী ঘুষখোর হিসেবে দেখানো হয়েছে তা রীতিমত হাস্যকর। ভারতীয় সেন্টিমেন্ট দিয়ে মুভিটি তৈরী করা হয়েছে যার অধিকাংশই মিথ্যা ও বানোয়াট।

মুভিতে চাইল্ড ওয়েলফেয়ারের কর্মীদেরকে রীতিমত ভিলেন বানিয়েছে, বাচ্চাদেরকে গাড়িতে তুলে কিডনাপ স্টাইলে নিয়ে গেছে তা কোনভাবেই সম্ভব নয়। বাচ্চাদেরকে স্যোশাল কাস্টডিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষ ব্যাবস্থা আছে। পুলিশ আসে, নার্স আসে, অনেক কিছুর ব্যবস্থার পরই বাচ্চাদেরকে নেয়া হয়। হুট করে দুই স্যোশাল কর্মী এসে মায়ের কাছ থেকে চুরি করে, মাকে গাড়ির ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে বাচ্চা অন্তত নেয় না। এরকম কিছু করলে ওয়েলফেয়ারের কর্মী নয় ওরা কিডনাপার, ওদেরকে পুলিশে দেয়াই নিয়ম। সাধারন দর্শকদের সেন্টিমেন্ট বাড়াতে এমন হাস্যকর ও অদ্ভুত দৃশ্য মনে হয় এড করেছে এ ছবিতে।

এখানে নরওয়ের চাইল্ড ওয়েলফেয়ারের দোষটা কি কেউ বলবে? তারা হাজার টাকা মাইনে দিয়ে কর্মী নিয়োগ দিয়েছে বাচ্চাদের সঠিক পরিচর্যা হচ্ছে কিনা তা দেখতে। বাবা-মায়ের অনুরোধে চাচার কাস্টডিতে দেয়া হয়, মাসে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা লালন পালনের জন্য দেয়া হয়। তারপরও ভিলেন বানানো হলো নরওয়েকে।

আমি যখন দেশ ছেড়ে বিদেশের মাটিতে ইমিগ্রেন্ট করেছি, তার মানে সেখানের নিয়মকানুন আমি পালন করবো সেটাই ধরা হয়। এখন যদি আমি গোয়ারের মতো বলি, বিদেশে আছিতো কি হইছে আমি আমার ইন্ডিয়ান স্টাইলে বাচ্চা পালবো। নরওয়ের আইন কানুনের ক্ষ্যাতা পুড়ি....... তাহলে আপনার জন্য একটাই পথ খোলা তাহলো ইন্ডিয়ায় ফিরে যান। আমি বাস করবো নরওয়েতে আর গোমূত্র থুক্কু হোমিওপ্যাথ দিয়ে রোগ-বালাই দূর করবো, ঘরটা বানায়ে রাখবো গরুর গোয়াল, স্বামী দেশীয় স্টাইলে সকাল বিকাল বউ পিটাবে বাচ্চাদের সামনে, হাত না ধুয়ে হাত দিয়ে কঁচলায়ে কঁচলায়ে কলা দুধ ভাত খাওয়াবো বাচ্চাদেরকে, বাচ্চার হোম ওয়ার্ক ঠিকমতো জমা দিবো না .......... সিম্পল একটা ফাজলামো। এরকম একটা অসুস্থ পরিবেশে বাচ্চাদেরকে নিয়ে যাবে নাতো কি করবে?? পুরো ছবিতে এই মা'কে অসুস্থই মনে হয়েছে। হাঁ, বাচ্চার জন্য মায়েরা জীবন দেয় কিন্তু যে স্টাইলে এ মা বাচ্চা পালছে তা হাস্যকর। তার জন্য নরওয়ে না, ইন্ডিয়ার গ্রামই উপযুক্ত। এতো বছর নরওয়ে বাস করে না শিখেছে ভাষা, না শিখেছে সেখানকার আইন কানন, না শিখেছে বাচ্চা পালার নিয়ম-কানুন।

একটা সত্য ঘটনা শেয়ার করি, তাহলে পাঠক রিলেট করতে পারবেন মুভির কাহিনীর সাথে। আমার একজন ইন্ডিয়ান প্রতিবেশী ছিল। তাদের ৫ বছরের একটা মেয়ে ছিল। তো ভদ্রলোক দেশীয় স্টাইলে বউকে মাঝে মাঝে হালকা পাতলা পিটাতো। একদিন মনে হয় কোন কারনে বাচ্চাকেও মেরেছিল। পরেরদিন স্কুলে মেয়ের গালে কালো সিটে দেখে টিচার তাকে আলাদাভাবে জিজ্ঞাসা করে। এবং বাবার মধুর ব্যবহার জানতে পারে। এবং ঘটনাক্রমে ওই টিচারও ছিল ইন্ডিয়ান। তাই সে ভালোভাবেই এশিয়ান স্বামীদের বিহেব জানে। আর তখনই সে টিচার কল দেয় স্যােশালকর্মীদের। তারপর থেকে স্যােশালকর্মীরা সকাল বিকাল সে বাসায় মনিটরিং শুরু করে। বাবা-মাকে সাইকোলজিকেল ট্রিটমেন্ট থুক্কু কাউন্সিলিং শুরু করে, প্রতিটি দিন স্কুলে একবার করে মেয়েটির সাথে দেখা করে। এভাবে মাসের পর মাস মনিটরিং এর পর তারা একেবারে সোজা। স্বামী-স্ত্রীতে বহুৎ মিল মহব্বত সহকারে বাচ্চাকে বড় করছে এখন।

আর এ মুভিতে, মাসের পর মাস মনিটরিং এর পর ও সে দম্পতি ঠিক হয়নি। (অ)ভদ্রলোক সুযোগ পেলেই বউএর উপর চড়া্ও হয়, সামান্যতমও কাজে সাহায্য করে না, কঁচলায়ে কলা দুধ ভাত খাওয়াও বন্ধ করেনি, ঘরদোরও কোন পরিস্কার করেনি..............। যাদের সামান্যতমও পরিবর্তন হয়নি, এরকম পরিবেশ ইন্ডিয়াতে ঠিক আছে কিন্তু নরওয়েতে কোনভাবেই উপযুক্ত নয়।

এ মুভিটি তৈরীই করা হয়েছে ভারতীয় দৃষ্টিকোণ থেকে, ছবির কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে সম্পূর্ন একপাক্ষিকভাবে। অর্থ্যাৎ ভারতীয় মায়ের দৃষ্টিতে কাহিনীটি লিখা হয়েছে। সেখানে অন্য কোন দিক বিবেচনায় আনা হয়নি। তাই পুরো মুভিতে নরওয়েকে পুরোপুরি ভিলেন বানিয়েছে।

তবে একজন এশিয়ান মা কেমন হতে পারে তা কিন্তু খুব ভালোভাবে এ চবিতে দেখানো হয়েছে। একজন মা যে সন্তানের জন্য সবকিছু করতে পারে, সন্তানকে পাবার জন্য সাধারন বিবেক বিবেচনাবোধ হারিয়ে ফেলে, সন্তানকে ফিরে পেতে সবকিছু তুচ্ছ জ্ঞান করে তা এক কথায় চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলছে। রানী মুখার্জিও চমৎকারভাবে অভিনয় করেছে মায়ের ভূমিকা।

আর আরেকটি খুব গুড়ুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে এ মুভিতে। এই যে আমাগো এশিয়ান মহামূল্যবান স্বামীরা মনে করে, তুমারে যে বৈদেশ আনছি, চাকরী কইরা খাওয়াতাছি এইটাইতো বিশাল একখান কাজ। এর বাইরে ঘরের কাজ আবার কি?? ওইটাতো মাইয়ালোকের কাম। ঘরের বউ বাচ্চা পালবে, স্বামী সেবা করবে, আর স্বামীধন সকাল বিকাল বউ পিটাবে............। এইটাই হইলো গিয়া সত্য আর সব মিথ্যা।

সবাই ভালো থাকুন আর আমাগো এশিয়ান ভাইজানগো জ্ঞানবুদ্ধি বাড়ুক এই প্রত্যাশায়।

সোহানী
মে ২০২৩

মন্তব্য ৬২ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মে, ২০২৩ সকাল ৯:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: আমি সেদিন মুভিটা দেখছিলাম- রানী মুখার্জীর অসাধারন অভিনয় মুগ্ধ করেছে। কোলকাতার অভিনেতা অনির্বানের অভিনয়ও মুগ্ধ করার মত( ওটিটিতে তুমুল জনপ্রিয় বাংলাদেশী সিরিয়াল মহানগরের সামনের সিরিয়ালে সে আসছে)
যদিও সিনেমার প্রথমেই লিখেছিল সত্য ঘটনা অবলম্বনে কিন্তু পশ্চিমা দেশে চাইল্ড ওয়েলফেয়ারের যে সব বর্ননা শুনেছি তাঁর সাথে মিলছিল না। তবে নরওয়ের ব্যাপার জানিনা- তাছাড়া ঘটনাটা বেশ পুরনো। যদি এমন হয় ভারত ইউরোপের কোন দেশ নিয়ে এমন মিথ্যে প্রচার করার জন্য নিশ্চিত স্যাংশনের মুখোমুখি হবে। এটা বাংলাদেশী ছবি নয়- সারা বিশ্বেই এখন ভারতীয় ছবি তুমুল জনপ্রিয়। ওরা মনে হয় এতবড় ভুলটা করবে না।
অফটপিকঃ আমার বউ এই ছবি দেখে বলেছে, এই জীবনে তুমি আমারে বিদেশে মাইগ্রেট করার কথা বলবা না।
ভুল ম্যাসেজ কি-না জানিনা তবে সত্যটা জানার জন্য অপেক্ষায় রইল অন্যান্য রিভিউয়ের।

১৯ শে মে, ২০২৩ সকাল ৯:৩০

সোহানী বলেছেন: ঘটনাটা পুরোনো হলেও এটা ততটা মনোযোগ কাড়েনি আগে। মুভির কল্যাণে সামনে এসেছে।

নরওয়ে কেন কোন পশ্চিমা দেশে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার এরকম নয়। হয়তো মায়ের মতো ভালোবাসা পায় না বা ফস্টার প্যারেন্টস অনেক সময় ততটা ভালো হয় না। কিন্তু মুভিতে যা দেখানো হয়েছে তা মিথ্যাচার। এমন কি নরওয়ে সরকার বাচ্চাদেরকে ভারতেও পাঠিয়েছে তাদের অনুরোধে। আর কি করতে পারে তারা।

আমি যতটুকু শুনেছি, ভারতীয় নরওয়ে দূতাবাস প্রতিবাদ পাঠিয়েছে।

ভাবীকে বলবেন, যদি কখনো বিদেশে মাইগ্রেট করতে হয় তাহলে বাচ্চাদের জন্যই করতে হবে। কিভাবে যে বাচ্চাদেরকে ভালোবাসে সবাই তা চিন্তাও করতে পারিনি দেশে, স্কুল থেকে সব জায়গায়।

ইন্ডিয়ার গ্রাম থেকে উঠে আসা এ মহিলা এর মূল্য বুজবে কিভাবে?

২| ১৯ শে মে, ২০২৩ সকাল ১০:১৮

নিমো বলেছেন: এর আগেত‌ো ব্লগের বাবারা আপনাকে কলাগাছে ফাঁসি দিয়েছিল! এবার কি ব্লগের স্বামী কেন আাসামীদের হাতে কচুগাছে ফাঁসি নিতে চান ?

২০ শে মে, ২০২৩ সকাল ৭:৩২

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহাহা................. ইউ মেড মাই ডে B-)) B-)) B-)) B-))

৩| ১৯ শে মে, ২০২৩ সকাল ১০:৩৩

চারাগাছ বলেছেন: মুভিটা দেখতে হবে ।
ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য।

২০ শে মে, ২০২৩ সকাল ৭:৩৩

সোহানী বলেছেন: দেখবেন, ভালো লাগবে। একজন মায়ের ভালোবাসার দিকটা চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছে।

৪| ১৯ শে মে, ২০২৩ সকাল ১০:৩৫

নতুন বলেছেন: ছবিতে রানী মূখাজীর অভিনয় অনন্য হয়েছে সেটা বলতেই হবে।

কিন্তু বাচ্চা লালন পালনের জন্য/ বাড়ীর অবস্থার জন্য যদি ওয়েলফেয়ারের কর্মীরা তাদের সমালোচনা করে তবে ছবির ঘটনা অনুযায়ী অবশ্যই ঠিকই আছে।

আর নরওয়ের মতন একটা দেশে এতো বড় একটা স্ক্যাম রাস্টের সাথে ওয়েলফেয়ার ওরগানাইজেসন করতে পারবেনা।

কিন্তু মা যে সন্তানের জন্য বাচ্চার জন্য কতদুর যেতে পারে সেটা খুবই ভালো ভাবে রানী মূখাজীর অভিনয়ে ফুটে উঠেছে।

২০ শে মে, ২০২৩ সকাল ৭:৩৯

সোহানী বলেছেন: ঠিক একই কথা আমারো। একটা/দুইটা পঁচা আম থাকা মানে না যে পুরো দেশের সব আমই পঁচা।

স্ক্যাম অবশ্যই কিছু আছে কিন্তু ঢালাওভাবে পুরো সিস্টেমকে দায়ী করা যায় না তাতে। আর সে মা-বাবা'কে দিনের পর মনিটরে রাখার পরও তারা ঠিক হয়নি। বাবা বুঝেইনি যে ঘরের কাজ তার কাজ, তার সহযোগীতা জরুরী। মায়ের পক্ষে একা সব কিছু দেখা সম্ভব নয় কিছুতেই। আর সব মা দূর্গা হতে পারে না।

রানী মূখার্জী সহ সবাই বেশ চমৎকার অভিনয় করেছে।

৫| ১৯ শে মে, ২০২৩ সকাল ১১:২৭

কাছের-মানুষ বলেছেন: ছবিটি আমার দেখা হয়নি তবে অনুমান ছিল এখানে Norwayকে ভিলেন বানিয়েছে এবং এক পাক্ষিক কাহিনী দেখানো হয়েছে!

রিভিউ ঠিক আছে তবে শেষের দিকে আপনি মনে হল এশিয়ান স্বামীদের বা ছেলেদের প্রতি একটি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সুযোগে সবাইকে জেনারেলাইশড করে! কিছু স্বামীরা সেরকম হতে পারে, কিন্তু কিছু কখনই একটি সমাজের উদাহারন হতে পারে না!

জীবনের বড় একটি অংশ বিদেশে, সেই ২০০৮ থেকে, অন্তত বাংলাদেশী স্বামীদের তেমন মনে হয়নি, বরং দেখেছি বাসার কাজে সাহায্য করা, রান্না করা, বাচ্চা সামলাতে এবং বউকে বাইরে কাজ করতে চাই সাহায্য করতে বিলিভ মি! জানিনা আমি সবসময় পড়াশুনা এবং কর্ম সূত্রে ইউনিভার্সিটিতে এবং স্টুডেন্ট কমিউনিটিতে পুরোটা সময় পার করেছি দেখে নাকি!! আমি এশিয়ানদের সাধু বলছি না তবে খারাপ ভাল সব জায়গায় আছে বরং আমেরিকান অনেক ব্রোকেন ফ্যামিলিতে বাচ্চারা কিভাবে বাবা মার অবহেলায় বড় হয় সেটা জানি!

২০ শে মে, ২০২৩ সকাল ৭:৪৭

সোহানী বলেছেন: "রিভিউ ঠিক আছে তবে শেষের দিকে আপনি মনে হল এশিয়ান স্বামীদের বা ছেলেদের প্রতি একটি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সুযোগে সবাইকে জেনারেলাইশড করে!"

ভাই আপনি ২০০৮ সাল থেকে আছেন বলে আমেরিকান কালচারে অনেকটা ঢুঁকে গেছেন। অল্প কয়েক বছর হয়েছে এমন এশিয়ান পরিবারে খোঁজ নিলে বুঝবেন কি অবস্থা ভীতরে। আমি বেশ কিছু উইমেন্স অর্গানিজাশেনে কাজ করি বলেই এভাবে বলতে পারছি। এশিয়ান স্বামীরা আমেরিকান হতে বেশ সময় নেয়। তবে আশার কথা, বড় অংশই এক সময়ে বুঝে যায়।

আর মুভিতে যতটুকু মা'কে দায়ী করছে তারচেয়ে বাবাকে বেশী দায়ী করা উচিত। কারন মা ঘরে বাইরে সব দিক থেকে যুদ্ধ করে যাচ্ছিল। সেখানে মানসিকভাবে সুস্থ্য থাকা কঠিন ছিল।

৬| ১৯ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১২:০৬

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


নরয়েজীয়ানরা এ মুভি দেখছে না,সমস্যা নেই।

২০ শে মে, ২০২৩ সকাল ৭:৪৮

সোহানী বলেছেন: যতটুকু শুনেছি, তারা আপত্তি জানিয়েছে। নেটফ্লিক্স এর মুভি তাই তারাও দেখছে।

৭| ১৯ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নরওয়ে এবং সুইডেনের সোশ্যাল সার্ভিসের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আছে সেটা সত্য। এটা নিয়ে ওদের দেশের অনেক মানুষ প্রতিবাদ করছে। বিবিসিতে এই ব্যাপারে প্রতিবেদন এসেছে। কাজেই ওদের সোশ্যাল সার্ভিসের বাড়াবাড়ি আছে। একদম মিথ্যা না। পরে কিছু বলার চেষ্টা করবো। আপনি যা লিখেছেন
সেটা একতরফা।

২০ শে মে, ২০২৩ সকাল ৭:৫১

সোহানী বলেছেন: চুয়াত্তর ভাই, বিশ্বে দূর্নীতিগ্রস্থ দেশের মাঝে বলতে গেলে বাংলাদেশ উপরের দিকে। তাই বলে কি আপনি বলবেন ১০০ বাংলাদেশী দূর্নীতিবাজ?

না আপনি বলতে পারেন না। হয়তো ৬০% খারাপ কিন্তু ৪০% এখনো ভালো।

নরওয়ে এবং সুইডেনের সোশ্যাল সার্ভিসের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আছে সেটা কিছু অংশ সত্য। কিন্তু মুভিতে যেভাবে ঢালাওভাবে অভিযোগ করেছে তা ঠিক নয়।

৮| ১৯ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: রিভিউটা খুব একটা ভালো হয়নি।

মুভিটা দেখিনি। নেটফ্লিক্সে এসেছে। আজ কালের মধ্যে দেখে ফেলব।

২০ শে মে, ২০২৩ সকাল ৭:৫৫

সোহানী বলেছেন: ওকে ঠিক আছে। ধন্যবাদ।

৯| ১৯ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এদের সিস্টেমের খারাপ দিক সম্পর্কে জানার জন্য এই ছোট্ট ভিডিওটা দেখেন।

২০ শে মে, ২০২৩ সকাল ৭:৫৯

সোহানী বলেছেন: হুম দেখলাম।

১০| ১৯ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নরওয়ের এই সিস্টেমের খারাপ দিক নিয়ে বিবিসির এই রিপোর্টটা দেখেন।

২০ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:০০

সোহানী বলেছেন: ভিডিও কাজ করছে না।

১১| ১৯ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: Click This Link

২০ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:০৮

সোহানী বলেছেন: আমি তাদের চাইল্ড সিস্টেম নিয়ে সাফাই দিচ্ছি না। আমি বলেছি মুভিতে সিস্টেমকে জেনারাইল্জড করা হয়েছে। কিছু পঁচা আপেলের জন্য পুরো সিস্টেমকে খারাপ বলা যাবে না।

আর মুভিতে, ওই বাবা-মাকে বার বার বলার পরও কি তারা নিজেরা পরিবর্তন হয়েছে? ওয়াইফকে এবিউজ কি বন্ধ করেছে? সংসারে স্ত্রীকে কি কোন সাহায্য করেছে? স্ত্রী সব কিছু সামাল দিতে পারছে না, তা জেনেও স্বামী কিছুই করেনি.............

তাহলে শুধু শুধু সিস্টেমকে কেন একতরফা দায়ী করা হচ্ছে!!!

১২| ১৯ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ১১ নং মন্তব্যে যে বিবিসি রিপোর্ট দিয়েছি সেখানে বলা আছে যে একজন সরকারী সোশ্যাল সার্ভিস বিভাগের সাইকোলজিসট যার দায়িত্ব ছিল বাচ্চাদের রক্ষা করা সে নিজেই চাইল্ড পর্ণগ্রাফির সাথে যুক্ত। এরকম বহু অভিযোগ আছে। এই ভিডিওতে তারা কয়েকবছর পরে বাচ্চা ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়। কাজেই আপনি ভালো করে না জেনেই লিখেছেন। এই বিভাগের কাজ নিয়ে অনেক প্রমাণিত অভিযোগ আছে।

২০ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:৩৬

সোহানী বলেছেন: হাঁ, এরকম অনেক অভিযোগই আছে। তাই বলে পুরো সিস্টেম খারাপ তা বলা যায় না।

আমি মুভির বিচারে লিখেছি। সেখানে ঢালাওভাবে দোষারোপ করা হয়েছে সেটা কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়।

১৩| ১৯ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:৪৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নীচের এই ভিডিওতে একটা অ্যামেরিকান পরিবারের বাচ্চা নিয়ে যাওয়ার বর্ণনা আছে। দয়া করে এই ভিডিও এবং উপরের সব ভিডিও ভালো করে দেখার পরে মন্তব্যের জবাব দেবেন। https://www.youtube.com/watch?v=7ck9qjU8l4k

এই অ্যামেরিকান পরিবারের একটা ছোট বাচ্চা স্কুলে তার মায়ের বিরুদ্ধে খারাপ আচরণের মিথ্যা অভিযোগ করে। ফলে একদিনের মধ্যে ৩ বাচ্চাকে রাতের বেলা ঘুম থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ঐ বাচ্চাটা পরে স্বীকার করে যে সে মিথ্যা বলেছে। কিন্ত ঐ বাচ্চাগুলিকে বিভিন্ন ফস্টার পরিবারে দিয়ে দেয়া হয়েছে। বাচ্চাগুলি কোথায় সেটাও বাপ মাকে জানানো হচ্ছে না। বাচ্চাগুলি কান্না করছে ফিরে আসার জন্য কিন্তু কোন লাভ হচ্ছে না। ভিডিও দেখলে এদের কুকীর্তির বাকি অংশ কাহিনী জানতে পারবেন। তাই আপনি একপেসেভাবে লিখেছেন। সোশ্যাল সার্ভিসের বিরুদ্ধে অনেক প্রমাণিত অভিযোগ আছে।

২০ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:৪৫

সোহানী বলেছেন: চুয়াত্তর ভাই, এতো রেগে যাবে না। আপনি কি নরওয়েতে থাকেন? যদি থাকেন তাহলে এ নিয়ে আমি পড়াশোনা করবো। আর যদি না থাকেন তাহলে এ নিয়ে কোন আগ্রহ নেই।

আমরা এশিয়ান বাবা-মায়েরা বাচ্চাদেরকে নিজের জীবন থেকেও বেশী ভালোবাসি। কিন্তু আপনি কি জানেন এমন অনেক পরিবার আছে যেখানে মা-বাবা রাতভর পার্টি করে ফিরে আর বাসায় বাচ্চারা না খেয়ে মারা যায়। এমন অনেক পরিবার আছে যেখানে স্টেপ ড্যাড মেয়েটিকে রেপ করছে কিন্তু মা জেনেও কিছু বলেনা। এ ধরনের বাচ্চারা কোথায় যাবে বলতে পারেন??????????? চাইল্ড সার্ভিস খারাপ, সব বন্ধ করে দেন। তারপর এ অসহায় বাচ্চাগুলো কোথায় যাবে?????

উত্তর জানা থাকলে জানাবেন প্লিজ।

১৪| ১৯ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:৪৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: মুভিটা ডাউনলোড দিলাম, দেখি কি আছে এখানে।

২০ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:৪৬

সোহানী বলেছেন: মুভিটা খারাপ না, ভালোই লাগবে আশা করি।

১৫| ১৯ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সোশ্যাল সার্ভিসের বিরুদ্ধে প্রমাণিত কিছু অভিযোগ এই ভিডিওতে পাবেন।

২০ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:৪৮

সোহানী বলেছেন: ওদের সিস্টেম ধোয়া তুলসি পাতা না। আবার আমরা সব বাবা-মা ও তা না...............

১৬| ১৯ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:১৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- মুভিটি দেখার ইচ্ছে আছে।

২০ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:৪৯

সোহানী বলেছেন: দেখুন ভালো লাগবে আশা করি।

১৭| ১৯ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৫১

ঢাবিয়ান বলেছেন: নেটফ্লিক্সে এসেছে ছবিটা। দেখিনি।তবে আপনার রিভিউ পড়ে মনে হচ্ছে ভুল ম্যসেজ দেয়া হয়েছে উন্নত বিশ্বের সোস্যাল কাস্টডি সম্পর্কে।

২২ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:২৯

সোহানী বলেছেন: আমি বলবো ভুল ম্যাসেজ দেয়া হয়েছে সোস্যাল কাস্টডি নিয়ে। নিজেদের কালচারকে আকাশে তুলতে বাকিদেরকে আছাড় মেরেছে। তো নিজের কালচারও ধরে রাখবা আবার মাইগ্রেট করবা........... কন্ট্রাডিকটরি চিন্তা ভাবনা।

১৮| ১৯ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:২৯

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আপনার লেখাটাও কিন্তু একই দোষে দুষ্ট। আপনিও শুধুমাত্র ওদের নিয়মের দোহাই দিয়ে মুভিটাকে ধুয়ে দিয়েছেন।

২২ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:২৯

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

১৯| ১৯ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৩২

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আমরা এশিয়ান বাবা-মায়েরা ভাবি, আমার বাচ্চা আমি পেটে ধরেছি, আমি তাকে মারি ধরি সেটা আমার ব্যাপার। আমি মা-বাবা, আমার চেয়ে বাচ্চার ভালো আর কে চাইবে! প্রয়োজনে মাইর দিবো আবার আদর করবো, তাতে তোমার কি!!

আগে এমনও ঘটেছে মায়ের বেধড়ক পিটুনি খেয়ে শিশু কান্না করেছে আবার কান্না থামানোর জন্য আরেক দফা পিটুনি (তবুও আমরাই সেরা =p~ )। এখন অবশ্য ওই অবস্থা আর নাই, আমরা একটু একটু করে আগাইতাছি চিন্তা কইরেন না, বিশ্বাস না করলে দেশে আইসা দেইখা যান।

ভাল থাকবেন। শুভকামনা।

হ্যাপি ব্লগিং।

২২ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:৩২

সোহানী বলেছেন: কান্না থামানোর জন্য আরেক দফা পিটুনি খাইছি জীবনে বহুবার। কিন্তু ভাই সেটা দেশে। বিদেশের মাটিতে দেশীয় স্টাইল সবসময় কাজ করে না।

" এখন অবশ্য ওই অবস্থা আর নাই, আমরা একটু একটু করে আগাইতাছি চিন্তা কইরেন না, বিশ্বাস না করলে দেশে আইসা দেইখা যান।"

হাঁ, এখন আমরা যা করছি সেটাও সমর্থনযোগ্য না। অতিরিক্ত করছি হয়তোবা।

২০| ১৯ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭

শায়মা বলেছেন: আমি ম্যুভিটা দেখেছিলাম এবং তারপর ভেবেছিলাম জীবনেও কাউকে বাচ্চা নিয়ে নরওয়েতে যেতে বলবো না । :(

২২ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:৩৩

সোহানী বলেছেন: মুভিটাতে ভুল ম্যাসেজ দিচ্ছে, শায়মা। স্যোশাল সার্ভিস অতোটা খারাপ না। কিছুতো খারাপ আছেই তবে সেটা নিয়ে তদন্ত হয়।

২১| ২০ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি সিনেমাটা দেখি নি। তবে ট্রেইলার দেখেই খটকা লেগেছিলো। ভারতীয় ইমোশন দিয়ে প্রক্রিয়াজাত রদ্দি মাল মনে হয়েছে। আর ইন্টারনেটেও আর্টিকেলগুলি সব ভারতীয় সাইট থেকে, সিনেমা দেখে লেখা।

নরওয়ের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য- Response from Norwegian authorities
Norway Embassy in India issued a statement before the release of film:

There has been a lot of attention towards the film, Mrs Chatterjee vs Norway.

The film is a work of fiction, even though it is based on an actual case. The case being referred to was resolved a decade ago in cooperation with Indian authorities and with the agreement of all parties involved. To protect the children and the right to privacy the government can not comment on specific cases due to strict confidentiality regulations. However, some general facts must be set right;

Children will never be taken away from their families based on cultural differences described. Eating with their hands or having children sleeping in bed with their parents are not considered practices harmful to children and are not uncommon in Norway, irrespective of cultural background.
Child welfare is not driven by profit. The alleged claim that ‘the more children put into the foster system, the more money they make’ is completely false. Alternative care is a matter of responsibility, and not a money making entity.
The reason for placing children in alternative care is if they are subject to neglect, violence or other forms of abuse.
— Royal Norwegian Embassy, New Delhi

২২ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:৩৬

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ হামা ভাই রিপোর্টটা তুলে ধরার জন্য। আমি খুঁজছিলাম।

"ভারতীয় ইমোশন দিয়ে প্রক্রিয়াজাত রদ্দি মাল মনে হয়েছে।"

একদম ঠিক বলেছেন। ভারতীয় ইমোশন দিয়ে এশিয়ান দর্শক টেনেছে। আমরা যারা বাইরে থাকি তারা অতোটা ইমোশোনাল হতে পারিনি। কারন কিছুটা হলেও সিস্টেমটা জানি বুঝি।

২২| ২০ শে মে, ২০২৩ সকাল ৯:২১

অপু তানভীর বলেছেন: সত্যি বলতে কি মুভি নিয়ে এতো আলোচনার কোন দরকারই নেই । এটা কেবলই একটা মুভি আর কিছু নয় । আপনি যদি খেয়াল করে দেখেন প্রতিটি মুভিতেই কোন না কোন পক্ষকে এভাবে ভিলেন করে উপস্থাপন করা হয় । কয়েকদিন আগে নেটফ্লিক্সেই একটা মুভি দেখলাম যে সিআইএর টপ অফিশিয়ালকে একেবারে ভিলেন দেখানো হয়েছে । সেটা নিয়ে কিন্তু কারো কোন অভিযোগ নেই । থাকার কথাও না উচিৎ না ।

আপনি হয়তো বলবেন সত্য ঘটনা অবলম্বনে বানানো হয়েছে তাই হয়তো কিছু বলার দরকার, সত্য ঘটনা অবলম্বনে মানেই কিন্তু মুভিতে দেখানো সব কিছু সত্য হতে হবে তার কোন বাধ্য বাধকতা নেই । একটা মুভি হচ্ছে ওয়ার্ক অব ফিকশন । এখানে যে কোন কিছুই দেখানো যেতে পারে । এটা নিয়ে সত্যিই এতো আলোচনা তর্ক বিতর্কের কোন দরকার নেই ।

এখানে মুভি নিয়ে আলোচনা হতে পারে । মুভিতে কলাকৌশল নিয়ে আলোচনা হতে পারে, মেকিং নিয়ে আলোচনা হতে পারে ।

২২ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:৪২

সোহানী বলেছেন: সমস্যাটা সেখানে অপু, তারা বলছে সত্য ঘটনা অবলম্বনে। কিন্তু নিজেদের দোষ কিন্তু দেখছে না। বিশেষ করে সোশ্যাল কর্মীদেরকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তা রীতিমত হাস্যকর। আর পুরো সিস্টেমকে কারাপ্ট দেখাচ্ছিল। কিন্তু একবারও প্রশ্ন করেনি তাদেরকে কি ভালো দিক নেই?

তবে এ ঘটনার একটা শিক্ষনীয় দিক হলো, ভারত সরকার পুরোপুরি ভারতীয় মায়ের জন্য লড়েছে। এমন শোনা যায় বানিজ্যিক চুক্তিও বাতিল করেছে। অথচ আমাদের মেয়েরে বিশেষ করে সৈাদিতে যে নির্যাতনের স্বীকার হয় তা নিয়ে দেশ একটা উচ্চবাচ্যও করে না।

২৩| ২০ শে মে, ২০২৩ সকাল ১১:০৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার দেয়া মুভি নিয়ে আমার বলার কিছু নাই। আপনি ওখানকার চাইল্ড ওয়েলফেয়ারের কোন দোষ খুঁজে পান নি এই কারণে আমাকে এতগুলি মন্তব্য ভিডিও সহ দিতে হোল। নরওয়ের চাইল্ড ওয়েলফেয়ার সিস্টেম নিয়ে অনেক অনেক সমালোচনা এবং প্রতিবাদ আসছে যেটা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপক আলোচিত এবং প্রমাণিত। আপনি সেই ব্যাপারে কিছুই বলেন নি। ওদের কিছু কিছু কাজ চরম বিতর্কিত এবং জুলুম। ওদের দেশের অনেক মানুষ এবং অন্যান্য দেশ এটার প্রতিবাদ করছে। এই বিষয়গুলি আপনার লেখা উচিত ছিল। আপনি একতরফাভাবে ওদের সিস্টেমকে ফেরেশতা বানিয়ে দিয়েছেন। এটাই আপনার লেখার সমস্যা। আমি সেই কারণেই লিখেছি। সুইজারল্যান্ডেও এককালে বাড়াবাড়ি হত। পরবর্তীতে তারা ক্ষমা চেয়েছে। হয়তো এক সময় নরওয়েও তাদের কৃত অপকর্মের জন্য ক্ষমা চাবে। আপনি সিস্টেমের খারাপ দিকগুলি এড়িয়ে গেছেন। ইচ্ছাকৃতভাবেও তারা এই ধরণের কাজ করে থাকে। এটা সাধারণ কোন ভুল না। এই ধরণের অপকর্মের হার কম তারপরও এটা আপনার লেখায় নাই। মনে হয়েছে এরা ফেরেস্তা। আপনার বেশীর ভাগ লেখাই এক তরফা হয়। এটার বিপরীত কিছু থাকতে পারে এটা আপনার চিন্তায় থাকে না।

নরওয়ের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা পর্যন্ত নরওয়ের এই চাইল্ড সার্ভিসের জুলুম নিয়ে কথা বলছেন। ভারত সরকারের সাথে নরওয়ের এই ব্যাপারে সমস্যা হয়েছে। এই বিষয় নিয়ে বলতে গিয়ে নরওয়ের একজন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ বলেছেন;

Berit Aarset, who heads Human Rights Alert, Norway, has called the incident "state kidnapping". She says, "This is not the first time such a thing is happening in Norway ...the legal system favours the Child Welfare Services and they do what they want all the time... quite often when a Norwegian is married to a non-Norwegian they also do the same thing; they also do this to asylum seekers and in almost every case they say one of the parents has a mental problem just to make their case strong ...that is what has happened in [this] case too.

আপনি একতরফা লিখেছেন বলেই আমি এতগুলি মন্তব্য করেছি। আর আমি কোথায় থাকি সেটা কোন ব্যাপার না। এই ধরণের খোঁচা মারা কথা আর কখনও আমাকে বলবেন না। আপত্তিকর কথা বলেছেন। যুক্তি দিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেন। যুক্তিতে না পেরে উলটাপালটা বকছেন। আমি কোথায় থাকি সেটার সাথে আপনার এই বিষয়ে পড়াশুনার কোন সম্পর্ক নাই। আপনি পোস্ট দিয়েছেন সেটার ব্যাপারে যে কেউ লিখতে পারে। আমাকে নরওয়ে থাকতে হবে কেন? আপনি কি নরওয়ে থাকেন? বিদেশ গিয়ে বেশী পণ্ডিত হয়ে গেছেন মনে হয় ? দেশের মানুষকে গণনায় ধরেন না।

২২ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:৪৩

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

২৪| ২০ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা দেখতে।

২২ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:৪৩

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ। তাহলে কি বুঝলেন মন্তব্য পড়ে??

২৫| ২০ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:২৪

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: মুভিটি নিরপেক্ষ নয়, মুভিগত নাটকীয়তা আছে, তবে বাস্তবতার নিরিখে একেবারে ফালতুও নয়। নরওয়েতে শিশুদের ব্যাপারে অবশ্যই ভাল বিষয় আছে, আবার অনেক স্বনামধন্য প্রফেরকে সরকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য ভুয়া রিপোর্টও দিতেও দেখেছি। বিষয়গুলো এত সরল নয়।

২৪ শে মে, ২০২৩ সকাল ৯:৩৬

সোহানী বলেছেন: সত্য। সব শতভাগ সঠিক কোনভাবেই সম্ভব নয়। কিছু খারাপ থাকবেই। কিন্তু খারাপ দিক দেখাতে হলে ভালোও দেখানো উচিত যা ছবিতে করেনি। একতরফা খারাপ দিকই দেখিয়েছে।

২৬| ২০ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:৫০

কামাল১৮ বলেছেন: ছবিটি দেখেছি।আপনার লেখা যথাযথ হয়েছে।আমাদের চিন্তা ভাবনা আধুনিক না।তাই আমরা সঠিক চিন্তা করতে পারি।এই ছবিটাই যদি কোন নরওয়ের কোন পরিচালক বানাতো তাহলে অন্যরকম হতো।

২৪ শে মে, ২০২৩ সকাল ৯:৩৯

সোহানী বলেছেন: "এই ছবিটাই যদি কোন নরওয়ের কোন পরিচালক বানাতো তাহলে অন্যরকম হতো।"

অবশ্যই। সবাই নিজস্ব চিন্তাধারা থেকে বিশ্লেষন করে। ভারতীয় পরিচালক তার চিন্তাভাবনা ভারত থেকে বেশী দূর যেতে পারেনি।

২৭| ২০ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:১৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: মুভিটা দেখিনি, তবে আমার স্ত্রী মুভিটা দেখে এটার গল্প কিছুদিন আগে আমাকে বলেছিল। আমার স্ত্রী একটা চাইল্ড কেয়ারে কাজ করে, অতএব সোশ্যাল এবং সন্তান লালন-পালন বিষয়ক কিছু বিষয় সে কাছে থেকে দেখেছে। মুভিটি সম্পর্কে আমার স্ত্রীর অনুভুতি আপনার বিশ্লেষণ সাথে পুরোপুরি মেলে।

তবে আমার ধারণা এটা একটা নিছক সস্তা মুভি মাত্র। ভারতীয় পরিচালকেরা এ জাতীয় রদ্দিমাল বছরে বহু প্রসব করে। আবার সেগুলো সারা দুনিয়ায় বিক্রি করে হাজার হাজার কোটি টাকা কামিয়ে নেয়। আমাদের দেশের মেয়েরা তখন দিনরাত খেটে নোংরা পরিবেশে মানুষের জন্য কাপড় সেলাই করেও ঠিক ভাবে খেতে পায়না। বরং পরিত্যাক্ত ও ধ্বংসোন্মুখ দালানে কাজ করতে গিয়ে এর নিচে চাপা পড়ে মরে। সে হিসেবে এই সব রদ্দিমাল প্রসব করা লোকেরা যে আমাদের চেয়ে বহুগুন ওস্তাদ লোক তা স্বীকার করতেই হবে!

সাড়ে চুয়াত্তর ভাই, আপনার শেষ মন্তব্যটা পড়ে এবং আপনার বিগত মন্তব্য গুলোর প্রতিত্তোরে আপনার দুঃখিত হওয়া দেখে মনে হলো এ প্রসঙ্গে নিজের ধারণাটা বলি। কানাডা বা নরওয়ের মত দেশে সোশ্যালের ভুলভ্রান্তি, বাড়াবাড়ি এমন কি অপরাধ করার ঘটনা থাকলেও এদের ভালো কাজের পাল্লা এত ভারি যে বাহিরে থেকে এদের সমালোচনাটা ঠিক যথার্ত হয় না। তাই বলে এরা যে সমালোচনার উর্ধে তা একেবারে নয়। বিচার-বিশ্লেষণ-আলোচনা-সমালোচনার শক্তিটাই কানাডা বা নরওয়ের মত দেশের ভিতরের শক্তি।

২৪ শে মে, ২০২৩ সকাল ৯:৪৯

সোহানী বলেছেন: ঠিক এটাই আমি বলছি। "বিচার-বিশ্লেষণ-আলোচনা-সমালোচনার শক্তিটাই কানাডা বা নরওয়ের মত দেশের ভিতরের শক্তি।"

এরা শতভাব ধোয়া তুলসীপাতা না। এদের মাঝেও ভুত আছে। তবে সে ভুতকে ওরা পালে না। বের করার চেস্টা করে যা আমাদের বা ভারতে সম্ভব নয়।

আসলেই এটা একটা নিছক সস্তা মুভি মাত্র। কিন্তু অনলাইনে যেভাবে সবাই কান্নাকাটি শুরু করেছে তা দেখে বিরক্ত হয়েই রিভিউ লিখলাম। ইন্ডিয়ান মানসিকতা থেকে সবাই ছবিটা বিচার করছে, তাই এর বিপরিতে লিখার চেস্টা করলাম।

২৮| ২১ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৯

করুণাধারা বলেছেন: মুভিটা দেখিনি, রিভিউ পড়ার পর দেখার আগ্রহ জাগলো। আশাকরি দেখে ফেলবো।

যারা মুভিটা দেখেছেন তাদের অনেকের মন্তব্যও পড়লাম। আমার মনে হয় ভিনদেশে গিয়ে নিজেদের কালচার আঁকড়ে ধরে রেখে চলাটা ভালো কোন পরিনতি আনতে পারে না।‌ আর সন্তানদের নিজস্ব সম্পত্তি ভাবাটাও ঠিক নয়, তাদের শারীরিক বিকাশের সাথে সাথে মানসিক বিকাশের দিকে লক্ষ্য রাখাও মা-বাবার কর্তব্য, সবদেশীয়দের জন্য এ কথা প্রযোজ্য।

ইদানিং প্যারেন্টিং নিয়ে ভাবছি, কোথায় কোথায় ভুল ছিল সেগুলো খুঁজছি। এই পোস্ট পড়ে সেই ভাবনা আবার পেয়ে বসলো.... জানি আমার প্যারেন্টিং আরেকটু আধুনিক হওয়া দরকার ছিল। :(

রিভিউ ভালো লেগেছে। +++

২৪ শে মে, ২০২৩ সকাল ৯:৫৪

সোহানী বলেছেন: রানী মূখার্জীর অভিনয়ের জন্য হলেও দেখবেন। কিছু বিষয় ছাড়া মুভিটা ভালো।

"ভিনদেশে গিয়ে নিজেদের কালচার আঁকড়ে ধরে রেখে চলাটা ভালো কোন পরিনতি আনতে পারে না।‌"

একদম ঠিক কথা আপু। এমনিতেই আমাদের সেকেন্ড জেনারেশান মানসিক দ্বন্দে থাকে। তার উপর ওদের উপর কালচার থেরাপী দিলে ওরা মানসিকভাবে বিধ্যস্ত হয়। আর আমরা এশিয়ান মা-বাবা সবসময়ই সন্তানদের নিজস্ব সম্পত্তি ভাবি। আর এ কারনেই অধিকার খাটাতে যেয়ে ঝামেলা তৈরী করি।

"ইদানিং প্যারেন্টিং নিয়ে ভাবছি, কোথায় কোথায় ভুল ছিল সেগুলো খুঁজছি। এই পোস্ট পড়ে সেই ভাবনা আবার পেয়ে বসলো.... জানি আমার প্যারেন্টিং আরেকটু আধুনিক হওয়া দরকার ছিল।"

যেটা চলে গেছে সেটা নিয়ে ভাবাভাবির দরকার নেই। সামনে কিছু থাকলে সেটার চিন্তা করবেন আপু।

অনেকদিন পর আপনাকে এ্যাক্টিভ দেখে ভালো লাগছে।

২৯| ২২ শে মে, ২০২৩ সকাল ৯:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সরি, আপনার সাথে বেশী ঝগড়া করে ফেলেছি। বাদ দেন। বিশস্ত সুত্রে জানতে পারলাম আপনি ছোটবেলা থেকে গান, নাচ চর্চা করছেন। আমাদের ব্লগারদের উদ্দেশ্যে একটা গান শোনান এখন। :)

২৭ শে মে, ২০২৩ ভোর ৫:০৪

সোহানী বলেছেন: আপনার বিশস্ত সুত্রে ভুল ইনফো দিয়েছে। আমি কিছুই জানি না, এমন কি ঝগড়াটাও ঠিক করে করতে পারি না। তাতে অবশ্য আমি খুশী, কিছু না পারার আনন্দে থাকি আমি সবসময়।

৩০| ২২ শে মে, ২০২৩ সকাল ৯:৫৮

অপু তানভীর বলেছেন: মুভি সত্য ঘটনা অবলম্বনে বানানো তার মানে এই না কিন্তু যে যেখানে যা যা দেখানো হবে সব কিছু একেবারে সত্য । আমাদের মনে রাখতে হবে যে এটা কেবলই একটা মাত্র মুভি । আর কিছু না । বানিজ্যিক মুভি যা বানানো হয়েছে টাকা আয় করার জন্য অন্য আর কোন উদ্দেশ্যে নয় । এখানে এক পক্ষকে ভিলেন দেখানো হবেই । এটাই স্বাভাবিক ।
২০২০ সালে এক্সট্রাকশন মুভির দেখার পরেও এই রকম মনভাব দেখা গিয়েছিলো যে সেখানে নাকি ঢাকার মান ইজ্জত সব খেয়ে ফেলা হয়েছে । মুভি দেখে কেউ কি মান ইজ্জত নির্ধারন করে?
তাও আবার বানিজ্জিক মুভি!

আপনার এই লেখাটা যথাযত হত যদি এটা বানিজ্যিক না হয়ে ডকুউমেন্টারি হত । একটা বানিজ্যিক মুভিতে সত্য সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার কোন দায় নেই । এখানে চরিত্র কাহিনীর প্রয়োজনে পরিচালক অনেক কিছুই করতে পারেন ।

২৭ শে মে, ২০২৩ ভোর ৫:১০

সোহানী বলেছেন: এ মুভিটাতে প্রথমেই বলে দেয়া হয়েছে সত্য ঘটনার উপর নির্মিত। খটকা শুরু সেখান থেকেই। এক্সট্রাকশন মুভির কোথাও বলেনি সত্য ঘটনার উপর নির্মিত। যার কারনে দেখতে বসে সবাই ধরেই নেয় যা দেখবে তা সত্য। সমস্যাটা সেখানে। ভারতীয় বস্তাপচাঁ মুভি বানাক তা নিয়ে বলার কিছু নেই কিন্তু একটি সরকারী সংস্থ্যাকে দোষারোপ করে ঢালাওভাবে অভিযোগ বিরক্তিকর।

আর আমি অনলাইনে দর্শকদের কান্নাকাটি দেখে মুভিটা দেখতে বসলাম। সবাই এমনভাবে রেকমেন্ড করছিল যে এইটা না দেখলে জীবন বৃথা সে সব মায়েদের যারা বিদেশে থাকে।

তবে আমিও বলবো, মাইগ্রেন্ট বাবা-মায়েদের দেখা উচিত শিক্ষা নেবার জন্য।

৩১| ০৯ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার রিভিউটা চমৎকার কিছু আলোচনা, সমালোচনা ও বিতর্কের অবতারণা করেছে। আমি কোন দেশে মাইগ্রান্ট হই নি, তবে কয়েকটা উন্নত দেশের সোশ্যাল ও চাইল্ড ওয়েলফেয়ার সিস্টেম নিয়ে কিছুটা অবগত আছি, যদিও তা অনেকটা পাখির দৃষ্টিতে দেখা। ভালো-মন্দ দুটোই রয়েছে, তবে উন্নত দেশগুলোতে মদ্যপ ও সাইকোপ্যাথ মাতাপিতার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন থেকে নিষ্পাপ শিশুদেরকে সুরক্ষার জন্য এ সিস্টেমের বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে।

হাসান মাহবুব, অপু তানভীর, করুণাধারা, শ্রাবণধারা, প্রমুখের মন্তব্যগুলো ভালো লেগেছে।

১৪ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:০৪

সোহানী বলেছেন: একদম এ কথাই বোঝাতে চেয়েছি।

আমরা এশিয়ান বাবা-মায়েদের জীবন মরন হলো সন্তান। যেটা সম্পূর্ন ভিন্ন এখানে। এ সত্যটা আমাদের দেশের মানসিকতা দিয়ে বুঝতে পারবে না।

এখানে এমন অনেক ভয়ংকর ঘটনা ঘটে, সেখানে এ শিশুদের বাঁচাতে এর চেয়ে আর কোন উপায় নেই।

তারপরও আমরা মনে করি, বাচ্চা আমার, যা ইচ্ছে তাই করবো। তোমার কি!!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.