নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কানাডায় যারা স্টুডেন্ট ভিসায় আসতে চান তাদের জন্য এটা একটি সাবধানতা মূলক পোস্ট !!!

০৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৮:৫৬



২৭ বছরের রনধীর সিং থাকে ভারতের পান্জাবে। কৃষক পরিবারের সন্তান। বাবার সামান্য কিছু জমিজমা আছে আর রনধীর ছোটখাট একটা চাকরী করে দিন চালায়। আর সব সাধারন পান্জাবীদের মতো তারও স্বপ্ন কানাডায় যাবার। সেভাবেই যোগাযোগ করে লোকাল এজেন্টের সাথে। এজেন্টেই বুদ্ধি দেয় স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে কানাডায় যাওয়াই সবচেয়ে সহজ পথ কোন ঝামেলা ছাড়া। ছয়মাসের সেমিস্টার ফি দিয়ে ভর্তি হতে হবে, তারপর তিনবছর পড়বে সাথে ফুলটাইম কাজ করবে। টিউশনি, থাকা-খাওয়ার টাকা জোগাড় করেও দেশে দুই হাতে টাকা পাঠাতে পারবে। তিনবছর পরই কানাডার নাগরিত্ব।

রনধীর ঝাঁপিয়ে পড়ে এজেন্টের কথায়। বাবার সামান্য জমির কিছু বন্ধক রেখে কিছু বিক্রি করে এজেন্টের কাছে দেয় সব টাকা। এজেন্ট অফার লেটার নিয়ে আসে কানাডার নামকরা সরকারী কলেজ থেকে। সেভাবেই এক সময় কানাডায় পৈাছে রনধীর। পৈাছানোর পর এজেন্ট তাকে ফোন দেয় যে অফার লেটার এ একটু ঝামেলা হয়েছে সে যেন অন্য কোন কলেজে এডমিশন নেয়। রনধীর নতুন কানাডায়, পৃথিবীর এ প্রান্তের খবর কিছুই জানে না। যে টাকা টিউশন ফি দিয়েছিল তার কি হলো, কেন অফার লেটার এর ঝামেলা হলো তার কোন ব্যাখ্যা নেই। আর এ প্রান্ত থেকে সে এজেন্টের সাথে মারামারির কোন সুযোগ নেই। বাবার কাছে টাকা চাওয়ার মতো অবস্থা নেই তার। তাই ঝাঁপিয়ে পড়তে হয় বাস্তবতায়।

পরিচিত-অপরিচিত এর সহায়তায় প্রাইভেট একটা কলেজে ভর্তি দেখিয়ে ভিসা এক্সটেন করে। বিদেশী ছাত্র হিসেবে সাপ্তাহে ২০ ঘন্টার কাজের পারমিশন থাকলেও ক্যাশে দিন-রাত মিলে তিনটা কাজে যোগ দেয় প্রায় ১৮-২০ ঘন্টা। এতো এতো পরিশ্রম করেও ঠিকভাবে পড়ার খরচ জোগাড় করা হয়ে উঠে না। কারন কানাডার বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের বেতন লোকালদের তিনগুন প্রায়। পড়াশোনা করা মানে শুধু পাস মার্ক তোলা। এতো পরিশ্রমের পর ক্লাসে বসে ঘুমানো ছাড়া কোনই উপায় নেই তার। আর থাকা-খাওয়া মিলে কঠিন অবস্থা। থাকে দশজন মিলে একরুমের বেইজমেন্টে আর খায় গুরুদুয়ারার ফ্রি খাওয়া, রুটি আর ডাল। কবে ঠিক করে পেট পুরে খেয়েছে তা সে বলতে পারবে না। তারপরও টিউশনের টাকা জোগাড় হয় না প্রায়, ধার দেনা করতে হয় এখান সেখান থেকে।

এভাবে পাঁচ বছর কঠিন পরিশ্রম করে এক সময় কানাডার পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট এর এ্যাপ্লিকেশান করে। আর তারপরই দু:সংবাদটা আসে তার কাছে, যে অফার লেটার নিয়ে সে কানাডা আসে তা ভুয়া। তাই সে কানাডার জন্য অবৈধ। এবং তাকে ডিপোর্ট করা হবে কয়েক মাসের মধ্যে। মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে রনধীর এর। আস্তে আস্তে জানতে পারে সে এজেন্ট প্রতিষ্ঠান প্রায় ৭০০ ছাত্র-ছাত্রীকে কানাডায় এনেছে ভুয়া অফার লেটার দিয়ে। এবং সবচেয়ে চালাকিটা করেছে এজেন্ট কোন কাগজপত্রে সই করেনি বা তার প্রতিষ্ঠান এর নাম উল্লেখ করেনি। যার কারনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এর সুযোগ রাখেনি বা প্রমান রাখেনি।

যাহোক, রনধীর ও বাকি ছাত্র-ছাত্রীদের ডিপোর্ট এর কেইস বর্তমানে আদালতে বিচারিধীন আছে। যদিও এখন পর্যন্ত তাদেরকে ডিপোর্ট এর সিদ্ধান্তই বহাল আছে। ভুয়া কাগজ নিয়ে কানাডায় আসলে কখনই সে কানাডায় কখনই ঢুঁকতে পারবে না। যতটুকু জেনেছি এসব ভুক্তভোগীদের জন্য আদালত কিছুটা নমনীয় ছিল তাই ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। এতোগুলো ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন পুরোপুরি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এতো বছরের কঠিন পরিশ্রম, এতো টাকা পয়সা সব এখন পানিতে।

এ ঘটনা সবার জন্য একটা শিক্ষা। যারা কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে আসতে চান তাদের কাছে অনুরোধ নীচের কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখার জন্য;

১) কথা হলো আপনি যদি শিক্ষিত হোন, ইংরেজী জানেন বুঝেন, ই-মেইল লিখতে জানেন তাহলে কোন দালাল বা এজেন্টের কোনই দরকার নেই। আপনি নিজেই সব কিছু করার ক্ষমতা রাখেন। কানাডার ইমিগ্রেশান ওয়েবসাইটে সবকিছু স্পষ্ট লিখা আছে। ধৈর্য্য নিয়ে ফলো করলেই হলো।

২) কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত সব বিষয় নিজেই করবেন। এখানে সামান্য কিছু ই-মেইল চালাচালি ছাড়া বাড়তি কিছু করার নেই। দালালের উপর ডিপেন্ড করার কোন প্রয়োজনই নেই।

৩) কখনই টাকা পয়সা থার্ড পার্টি দিয়ে লেনদেন করবেন না। নিজে সরাসরি করবেন। কানাডার কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাকাউন্টে জমা দিবেন। এবং অফার লেটার পাওয়ার পরেই আপনি কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নিজের এ্যাকাউন্ট ওপেন করবেন। সে এ্যাকাউন্ট থেকেই দেখতে পাবেন আপনার টাকা জমা হয়েছে কিনা বা কত টাকা জমা দিতে হবে। পুরো হিসেবটাই পাবেন।

৪) কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাপ্লাই করলেই তা যদি এ্যাক্সেপ্ট হয় তাহলে একটা স্টুডেন্ট নাম্বার ইস্যু করা হয়। এটা খুবই গুড়ুত্বপূর্ণ কারন এ স্টুডেন্ট নাম্বার নিয়ে আপনি নিজেই যাচাই করতে পারবেন এডমিশন পেপারটি আসল নাকি নকল। এবং একজন ব্যাক্তির নামে একটিই স্টুডেন্ট নাম্বার ইস্যু করা হয়, যতবারেই ভর্তি হোন বা সাবজেক্ট চেইন্জ করেন না কেন নাম্বার একই থাকবে।


এবার কিছু কানাডার স্টুডেন্ট ভিসার বাস্তবতার কথা বলি:

আপনি যদি ভাবেন কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসার ঢুকলেই সবাই আপনাকে জামাই আদরে চাকরী ধরায়ে দিবে। তারপর দুই হাতে টাকা কামাবেন আর টিউশন ফি সহ সকল খরচ মিটাবেন তাহলে আপনি স্বপ্নের জগতে বাস করছেন;

প্রথম বাস্তবতা: স্টুডেন্ট ভিসায় সাপ্তাহে ২০ ঘন্টার বেশী কাজ করতে পারবেন না। ধরুন মিনিমাম ১৫ ডলারই বেতন পেলেন, তাহলে মাসে আয় ১২০০ ডলার। এ মূহুর্তে বাড়িভাড়া আগুন। বেজমেন্টে কয়েকজন মিলে থাকলেও ৫০০ এর নীচের পারবেন না। আর খাওয়া বা অন্যান্য খরচ আরো ৫০০-৬০০। হাতে থাকলো ১০০ বা অনেক কৃপণতা করে চললেও ৩০০ ডলার সেইভ করে কিভাবে টিউশন ফি জোগাড় করবেন? অসম্ভব!!!

আর ভাবেন যদি ক্যাশে কাজ করবেন যা সাধারনত অনেক স্টুডেন্টরা করে থাকে, তা যে কতো কঠিন ব্যাপার বলে বোঝানো যাবে না। টাকা দেয় অর্ধেক, কাজ করায় দ্বিগুন। অনেক সময় ঠিকভাবে টাকাও দেয় না, সে মূূহুর্তে স্টুডেন্টগুলোর কিছু করার থাকে না। কারন সে অবৈধভাবে ক্যাশে কাজ করছে, পুলিশও কল দিতে পারবে না। এমন ঘটনা অনেক শুনেছি এখানে, সব জায়গায়ই বাটপার আছে।

দ্বিতীয় বাস্তবতা: কানাডার জব মার্কেট ভয়াবহ। এখানে একটা চাকরী জোগাড় করা কঠিনতম একটা কাজ। বৈধ কাজ জোগাড় করতেই লোকজনের ঘাম ছুটে যায় সেখানে অবৈধ কাজ জোগাড় করা কেমন কঠিন হবে তা অনুমেয়। এ বাস্তবতাটা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।

তৃতীয় বাস্তবতা: কেউ যদি মনে করে আমার আত্বীয় স্বজন আছে ওদের উপর ডিপেন্ড করা যাবে তাহলে আবার একটু ভেবে দেখবেন সন্তানকে পাঠানোর আগে। এখানের বাস্তবতা হচ্ছে এটা বাংলাদেশ না, বাসায় তৃতীয় ব্যাক্তিকে আশ্রয় দেয়া অনেক কঠিন। এখানকার খরচ অনেক, দু'জন চাকরী করে মোটামুটি চলে যায়। তৃতীয় ব্যাক্তির খরচ বহন কঠিন।

যাহোক ভয় দিচ্ছি না আপনাদের, শুধু সাবধান করছি মাত্র।

সবাই ভালো থাকেন এ গরমে দেশে কিংবা কানাডায়।


সোহানী
জুন ২০২৩

খবরের লিংক শেয়ার করলাম:
News Link

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৯:৩৩

ডার্ক ম্যান বলেছেন: ভাল পোস্ট দিয়েছেন।
লন্ডনের একটা কলেজে ২০০৯ সালে ভর্তি হয়েছিলাম । পরিবারের বাঁধার কারণে যাওয়া হয় নাই। এখন আর বিদেশে যাওয়ার ইচ্ছে নাই। তবে লন্ডনে একদিন অবশ্যই ঘুরতে যাব ।
কানাডায় পরিচিত এক ভাইয়া গেছেন দুই বছর । উনার ওয়াইফ স্টুডেন্ট ভিসায় গিয়েছিলেন । সাথে স্বামীকে নিয়ে গিয়েছিলেন । শুনেছি বেশ ভাল আছেন।

০৬ ই জুন, ২০২৩ ভোর ৫:৫৮

সোহানী বলেছেন: ভালো থাকলে তো কোন কথায়ই নেই।

ব্রিটিশ ভিসা খুব কঠিন কিছু না। পকেটে কিছু টাকা পয়সা থাকলেই ওরা দিয়ে দেয়।

২| ০৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১০:৩৬

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: মানুষ তো কত কিছুই ভাবে কিন্তু বাস্তবতা তো অনেক কঠিন।

০৬ ই জুন, ২০২৩ ভোর ৬:০০

সোহানী বলেছেন: বাস্তবতা সত্যিই অনেক কঠিন কিন্তু ধৈর্য্য, চেস্টা নিয়ে এগোলে একসময় ঠিকই সফল হয়। কিন্তু এ ৭০০ ছেলে-মেয়েরা এরকম বোকার মতো এজেন্টের ফাঁদে পা দিয়েই সর্বস্বান্ত।

৩| ০৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১০:৫০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বাস্তবতা না জেনে প্রবাসে যাওয়াই বোকামী। সুন্দর পোস্ট++++++

০৬ ই জুন, ২০২৩ ভোর ৬:০০

সোহানী বলেছেন: অনেকে্ই কিন্তু জানলেও বুঝতে চায় না। এতো স্বপ্ন চোখে থাকে যে আর কিছুই দেখে না। আর তারাই সবচেয়ে বেশী হতাশ হয়।

৪| ০৫ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,



দরকারী পোস্ট।
শুধু কানাডাতেই নয়, বিদেশের যে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ষ্টুডেন্ট ভিসায় যাবার আগে আপনার এই সতর্কীকরণ সবাইকে সচেতন করবে।

আপনার কথার সূত্র ধরে বিদেশে ষ্টুডেন্ট ভিসায় গমনেচ্ছু সবাইকে বলি - ই-মেইলের মাধ্যমেই সরাসরি কাঙ্খিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করুন। কখনই তৃতীয় কারো উপর ভরসা করবেন না।
একবার যেতে পারলে এবং বাবার লুটের পয়সা না থাকলে প্রথম প্রথম বেশ কষ্ট হবে , পরিশ্রম করতে হবে অনেকটা গাঁধার মতো কিন্তু হাল ছেড়ে দেবেন না। সাহায্যের জন্য কাউকে না কাউকে পাশে পাবেন যদি আপনি সামাজিক হন। নিজের উপর আস্থা থাকলে, বুদ্ধি থাকলে (শয়তানী বুদ্ধি নয়!), একাগ্রতা থাকলে সফলতা পাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।

০৬ ই জুন, ২০২৩ ভোর ৬:০৬

সোহানী বলেছেন: ঠিক পরামর্শই দিয়েছে জী ভাই।

"বাবার লুটের পয়সা না থাকলে প্রথম প্রথম বেশ কষ্ট হবে , পরিশ্রম করতে হবে অনেকটা গাঁধার মতো কিন্তু হাল ছেড়ে দেবেন না।"

এটাই কথা। বাবার পাঠানো টাকা থাকলেতো কোন কথাই নেই। এই যেমন কুমার বিশ্বজিত কিংবা মাহী বি চৈাধুরীর ছেলে রাজার হালে থাকতো। কিন্তু আমাদের মতো সাধারনের জন্য সেটাতো সম্ভব নয়।

তারচেয়েও ভয়ংকর, কেউই সত্য কথা বলে না। কারন আমি সত্য বললে সবাই ভাববে আমি জেলাস। নিজে গেছি কিন্তু অন্যদেরকে যেতে দিতে চাই না। আর সত্য না বললে পরে বলবে, তুমি জেনে শুনে আমাকে ডুবালে .............।

আমাকে অসংখ্য মানুষ নক করে পরামর্শের জন্য। আমি যখন সত্যটা বলি ওরা মাইন্ড করে। ...........

৫| ০৫ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ভালো তথ্য দিয়েছেন।

০৬ ই জুন, ২০২৩ ভোর ৬:০৬

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ০৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৫২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: অনেকের উপকারে আসবে, ভালো বিষয় নিয়ে লিখেছেন।

০৬ ই জুন, ২০২৩ ভোর ৬:০৭

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। কিন্তু উপকারীকে বাঘে খায়.............. হাহাহাহা

৭| ০৫ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫

মিরোরডডল বলেছেন:



ভালো পরামর্শ দিয়েছো সোহানীপু।
এ কথাটা আমিও সবাইকে বলি, যে কোন ভিসা সেটা স্টুডেন্ট, ভিজিট অথবা রেসিডেন্সি, কখনোই যেনো এজেন্ট দিয়ে না করে।
সবচেয়ে বেস্ট হচ্ছে রিসার্চ ও রিভিউ করে জেনে বুঝে নিজে এপ্লাই করা।

আমি আমার সবকিছু নিজে করেছি। ইভেন রিলেটিভ, ফ্রেন্ডস, কলিগ সবাইকে সব ধরণের সহযোগিতা করি ভিসা এপ্লাইয়ের জন্য। এজেন্ট মানেই কমার্শিয়াল। নিজের স্বার্থে ইচ্ছাকৃত অনিচ্ছাকৃত ভুলভাল করে, আর তাই অ্যাপ্লিকেন্ট সাফার করে।
যে কাজ নিজে করা যায়, সেটা অন্যের ওপর নির্ভর না করাই ভালো।

০৬ ই জুন, ২০২৩ ভোর ৬:১২

সোহানী বলেছেন: চমৎকার মিরোর। তুমি এ নিয়ে সাহায্য করে শুনে ভালো লাগছে।

আমাদেরকেই সবাইকে সচেতন করতে হবে। কারন আমরা বাস্তবতাটা জানি।

আসলে, এ দালালরা এমনভাবে সবকিছু কম্লিকেটেড করে রাখে যে সবাই ভয় পেয়ে যায়। এটা সেটা বলে দৈাড়ের উপর রাখে, যার কারনে ভয়েই এরা দালাল থেকে ছুটতে পারে না।

কানাডা বা যেকোন উন্নত দেশের ওয়েবসাইট এতো ডিটেইলস থাকে যে এ নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। এ সত্যটাইতো অনেকেই জানে না।

৮| ০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:৩৪

শেরজা তপন বলেছেন: চমৎকার তথ্যবহুল পোষ্ট। ধন্যবাদ আপু।

০৬ ই জুন, ২০২৩ ভোর ৬:১২

সোহানী বলেছেন: ঘরের খাইয়া বনের মোষ তাড়াই ভাইজান......

৯| ০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: সুরভির ইচ্ছা কানাডা যাওয়ার।
আমি মানা করি সে শুনে না। সে দিনরাত পড়ায় ব্যস্ত। পড়তে পড়তে সে ক্লান্ত। এখন পড়া বাদ দিছে। মনে হয় কানাডা যাওয়ার ইচ্ছা বাদ দিয়েছে।

০৬ ই জুন, ২০২৩ ভোর ৬:১৪

সোহানী বলেছেন: আপনি খুশি কি ভাবী পড়া ধরাতে নাকি পড়া বাদ দেয়াতে....................

১০| ০৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ১২:০৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: তথ্যবহুল পোষ্ট, আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে কানাডায় যাওয়ার জন্য যাদের দালাল বা এজেন্টের স্মরণাপন্ন হতে হয় তাদের আর কানাডা যাওয়ার দরকার নেই, তারা কাওরান বাজারে সবজি বিক্রি করবে।

০৬ ই জুন, ২০২৩ ভোর ৬:১৫

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহাহা.....

এরকম অনেক কাওরান বাজারে সবজি বিক্রেতা পাইবেন এতে কোন সন্দেহ নাই।

১১| ০৬ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৮:০৫

িসজার বলেছেন: ভালো পরামর্শ দিয়েছেন সোহানী। উন্নত সব দেশেই মোটামুটি একইরকম ভাবে প্রতারণা চলে। আমার বাসার বেসমেন্ট এ রেখেছিলাম দুইজন ছাত্র কে। একজন ঠিকমত ভাড়া দিলেও, আরেকজন তিন মাসের ভাড়া দিতে পারে নি। ছাত্র বিবেচনায় $২৫০ করে নিচ্ছিলাম,কিন্তু সেটাও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে তার জন্যে। কষ্ট করার মানসিকতা এবং ইচ্ছাশক্তি সবার থাকে না। ভারতীয়দের কমিউনিটি শক্তিশালী হবার জন্যে কাজ তুলনামূলক ভাবে পাওয়া সহজ ওদের জন্যে।

আমি প্রবাস জীবনের বাস্তবতা সবাইকে বলি অথচ সবাই আমাকে ভুল বুঝে যে তাদের u

১১ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৭:৫২

সোহানী বলেছেন: সমস্যা সেখানে। প্রবাস জীবনের বাস্তবতা সবাইকে বলবেন সবাই আপনাকে হিংসুটে বলবে। আবার আসার পর অথৈ সাগরে পড়লে দোষারোপ করবে কেন বলেননি।

"কষ্ট করার মানসিকতা এবং ইচ্ছাশক্তি সবার থাকে না"। তবে যার আছে সে ঠিকই দাঁড়িয়ে যায়। আর যেটা বলেছেন ভারতীয়দের কমিউনিটি শক্তিশালী হবার কারনে ওরা সহজেই দাঁড়িয়ে যায় যেটা আমাদের বাচ্চারা সহজে পারে না।

১২| ০৬ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৮:১৩

িসজার বলেছেন: নিরুৎসাহী করে দেই স্বার্থপরের মত। কিন্তু এটা ভেবে সবারই আসা উচিত যে প্রবাস এবং দেশ এর জীবন সম্পূর্ণ আলাদা। আফসোস এর ব্যাপার এটাই যে শিক্ষিত মানুষ ও এই ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে পারে না, এই হলো আমাদের উচ্চশিক্ষার হাল!!

১১ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৭:৫৪

সোহানী বলেছেন: একদম ঠিক। যারা বুঝতে পারে না জীবন তাদের জন্য কঠিন হয়ে যায়।

এমন অনেক পারিবার পেয়েছি, মানিয়ে নিতে পারেনি বলে আজো ধুঁকছে।

১৩| ০৬ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৯:০০

অগ্নিবেশ বলেছেন: দালাল ধরে বলদেরা, বলদদের কোথাও ভাত নেই।

১১ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৭:৫৪

সোহানী বলেছেন: ঠিক তা না, আমাদের মফস্বলের ছেলেপেলেরা ইংরেজীতে কাঁচা। আর সে কারনেই যত ঝামেলা।

১৪| ০৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:৫৮

সুজন আহসান বলেছেন: অনেক গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট।

১১ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৭:৫৫

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ

১৫| ০৭ ই জুন, ২০২৩ ভোর ৬:১৪

জগতারন বলেছেন:
আমি যখন বহুবছর (৪৩ বছর) আগে ছাত্র ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা'তে আসি;
তখনও পুরান ঢাকার জেলখানার কাছে
"চৌধুরীএডুকেশন কনসালটেন্ট"
নামে একটি প্রতিষ্ঠান ছিল। তাহাদের ব্রান্স অফিস ঢাকা, চট্টগ্রাম,
ও খুলনায় ছিল। একবার সেই অফিসে গিয়েছিলাম, যে তারা যদি
আমাকেও সহযোগিতা করতে পারে, এই আশায়। সেই অফিসের বড় বাবুর সাথে কথা বলে বুঝতে পেরেছিলাম, তারা যা করে, তার সবটাই ইতিমধ্যেই
আমি করে ফেলেছি।
নিজের সামন্য কিছু ভুলের জন্যে ইতিমধ্যে দু'বার ভিসা রিফিউজ হয়েছি। তৃতীয়বার পূর্বের সব দোষ-ত্রুটি শোধরাবার পর, গিয়ে দুর্লভ অতি প্রয়োজনীয় যুক্তরাষ্ট্রের ছাত্র ভিসা পেয়েছিলাম।

আমাদের সময়ে আজকের দিনের মতো এতো সহজ 'ই-মেইল'
পদ্মতী ছিল না। চিঠি লিখতে হতো পোষ্ট-অফিসের মাধ্যমে, চিঠি লিখতে হতো ইংরেজিতে তাও আবার নিজে নিজে। এখনকার দিনের মতো ইংরেজিতে লিখা এতো সহজ সাধ্যো ছিলো না। সেটা ছিল এক জটিল-কষ্ট সাধ্য ব্ব্যাপার। আর আমি ছিলাম মফস্বল কলেজ থেকে ১২ ক্লাশ পাশ করা এক গ্রাম্য ছাত্র।

ব্লগার আহমেদ জী এস সাহেব বলেছঃ
বিদেশে ছাত্রাবস্থায় বেশ কষ্ট হবে,
ছাত্র ভিসায় বিদেশে এসে পরিশ্রম করতে হবে অনেকটা গাঁধার মতো কিন্তু হাল ছেড়ে দেবেন না। আর মনের ইচ্ছা শক্তির কাছে সবই এক সময় হবে।
আমার সেই ইচ্কীছা শক্তিটি প্রবল, কিন্তু কী পরিমাণের যে কষ্ট করতে হবে সেই বাস্তব ধারণাটা ছিলো না।
এখানে আসার পর তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিলাম।
কবি বলেছেন, যৌবন কালেই যুদ্ধে যেতে।
পড়তে বিদেশে ছাত্র-কালেই আসা উচিৎ। ছাত্রাবস্থায়ই যৌবন কাল।

১১ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৮:০৪

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।

অনেক অনেক কঠিন এবং কঠোর পরিশ্রম। সবাই তা পারে না। আর আমাদের বাচ্চারা এতো বেশী আদরের দুলাল তাই আরো কষ্ট হয় তাদের।

ভারতীয় ছেলেপেলেরা আসে স্রোতের মতো। গত বছর প্রায় ৪ লাখ আসছে। আর ২০১৮ পর্যন্ত ২-৩ হাজার আসছে বাংলাদেশ থেকে। তবে ২০২০-২২ এ মোট প্রায় লাখের উপর আসছে। সেটা আশার কথা, ওরা টিকে গেলে আরো আসবে, কমিউনিটি শক্ত হবে। এবং আগ্রহী হবে ছেলেপেলেরা।

আমার এ লিখা ফেসবুকে প্রায় শ'খানের শেয়ার হয়েছে। এটা ভালো লাগছে যে সবাই সচেতন হচ্ছে।

১৬| ২১ শে জুন, ২০২৩ রাত ১০:৪৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ইন্টারনেটে বিষয়টি নীয়ে একটু খুঁচা দিতেই বেরিয়ে এলো=
The Canadian government on Saturday decided to postpone deportation of 700 Indian
students. This comes as a respite for Indian students, mostly from Punjab, who were
threatened with deportation after being duped by unscrupulous education consultants
back home to enter Canada with “fraudulent college admission letters”.11 Jun 2023
Source : https://www.businesstoday.in

বিষয়টি যে ভাবেই ঘটুক এটা কানাডিয়ান ইমিগ্রশনের দুর্বল দিকগুলিই তুলে ধরে ।
একটি দুটি নয়, শত শত ছাত্র ভুয়া ডকুমেন্ট নিয়ে কিভাবে ইমিগ্রশন পার হল ।
ঘোড়াতেই ভুয়া ডকুমেন্ট সনাক্ত কেন তারা করতে পারলনা । কোথায় তাদের
দুর্বলতা ছিল?

এখানেই শেষ নয়, স্টুডেন্ট ভিসা প্রথমেই দেয়া হয় কোর্সের মেয়াদ কালীন সময় পর্যন্ত।
সেটা ৬ মাসের কোর্স হলে ৬ মাসের জন্য আর আন্ডার গ্রাজুয়েট বা পোষ্ট গ্রাজুয়েট হলে
২ থেকে ৫ বছর ( মেডিকেল কোর্সের মেয়াদ প্রায় ক্ষেত্রেই ৫ বছর হয়ে থাকে) ।
তাই প্লশ্ন থেকে যায় কোর্সের শুরুতেই কানাডার মত একটি দক্ষ ও কঠীন নিয়ম মেনে
চলা ইমিগ্রেশন এর হাত ধরে রনবির কিভাবে তার ভিসা এক্সটেনশন করতে পারল ।
বিষয়টি তো ঐ সময়েই ভিসা প্রদানকারী কতৃপক্ষ ধরতে পারত ।

হাতে গোনা দু একটি কোর্স ছাড়া স্টুডেন্ট ভিসায় ৫ বছর পাড়ি দিয়ে পারমানেন্ট ক্যাটাগরীর ভিসা
আবেদনের যোগ্যতা অর্জন করতে হলে একজন স্টুডেন্টকে বেশ কয়েকবার তার ভিসা এক্সটেনসন
করার প্রয়োজন হতে পারে । সেরকম ভিসা এক্সটেনশন এর সময় ধরা পড়ল না । ধরা খেল অনেক
কষ্ট করে নানা রকম কঠীন নিয়ম নীতির ভিতর থেকে ৫ বছর পাড়ি দিয়ে স্থায়ী কেটাগরির ভিসার
আবেদন করার সময় ।

এমতাবস্থায় বলা যায় স্টুডেন্ট ভিসা প্রদান ও একটেনশন এর বিষয়ে কানাডার খোদ ইমিগ্রশন
ব্যবস্থাতেই কোন বিশেষ অভিলাস বা দু্র্বল দিক রয়েছে ।

বিষয়টি দুভাগে দেখা যেতো পারে (এটা সম্ভাবনামাত্র )
প্রথমত- যেভাবেই হোক স্টুডেন্ট ভিসায় থাকতে হলে বেশ মোটা অংকের একটি টিউশন ফি পাবে
কানাডিয়ান শিক্ষা প্রতিষ্টানসমুহ, অন্যদিকে নিয়ম বহির্ভুতভাবে ক্যাশ টাকার বিনিময়ে ছাত্রদের সস্তা
শ্রম পাবে কানাডার এমপ্লয়ারগন যা উভয়ভাবেই কানাডিয়ান অর্থনীতিতে যুক্ত হবে বিবিধ প্রকারে ।
তাই এই পর্যন্ত স্টুডেন্ট ভিসা প্রদান কিংবা সম্প্রসারনে কানাডিয়ান ইমিগ্রশন বেশ উদার ও নমনীয়,
যার সুযোগ নিচ্ছে স্টুডেন্ট কনসালটিং ফার্মগুলি। আর খেসারত দিচ্ছে ভুক্তভোগী ছাত্রগন ।

তবে যখন পার্মানেন্ট ক্যাটাগরীতে ভিসার জন্য আবেদন করা হয় তখন ভিসা কতৃপক্ষ নড়ে চড়ে বসে।
কারণ পার্মানেন্ট ক্যাটাগরীতে ভিসা রুপান্তরিত হলে টিউশন ফির লাভজনক অবস্থা আর থাকবেনা
অন্যদিকে সস্তা শ্রম প্রাপ্তিটাও বন্ধতো হবেই সাথে সরকারকে আরো বহুবিধ সুযোগ সুবিধা দিতে
হবে ।

তাই নীজেদের সুবিধা অনুযায়ী কথনো শিথীল ভিসা নীতি আবার কখনো কঠোর ভিসা নীতি প্রয়োগ
করে শত শত ছাত্রকে একটা সময়ে বিপাকে ফেলার দায় কানাডার ইমিগ্রেশন এড়াতে পারেনা । তারা
প্রথমেই যথাযথ নিয়ম নীতি কঠোরভাবে পালন করলে ভুয়া কিংবা দুর্বল অফার লেটার নিয়ে কোন ছাত্র
কানাডায় পারি দিতে পারতনা ।

যাহোক পোষ্টটির কল্যানে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে কানাডা গমনেচ্ছুদের সচেতনতা সৃজন হবে বলে মনে করি ।

শুভেচ্ছা রইল

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:০২

সোহানী বলেছেন: প্রথমেই দু:খিত দেরী করে উত্তর দেবার জন্য। সামারের ব্যাস্ততা কোনভাবেই পাস কাটানো যায় না। :`>

আমি আপনার সন্দেহ বা মতামতকে সমর্থন করি। কারন একটি ছাত্র যে কাগজের ভিত্তিতে কানাডার ভিসা পেলো সেটা ভুয়া কিন্তু কর্তৃপক্ষ বুঝলো না, এটা ঠিক বিশ্বাস করা কঠিন। হয় অদক্ষ লোকবল নয়তো ইচ্ছে করেই গোপন করেছে এবং আপনার মতামত অনুযায়ী সুযোগ নিয়েছে।

যাহোক, ভারত বলে এরা ঠিকই সুযোগ করে নিলো। কারন ব্যাক্তি থেকে রাস্ট্র পর্যায়ে সবাই এর পিছনে দৈাড়েয়েছে। আমরা হলে কবেই লাথি খেয়ে দেশ ত্যাগ করতাম..............হাহাহাহা

এখানে ভারতীয় মন্ত্রী, মেয়র, কাউন্সিলর............ অসংখ্য। এবং তারা সত্যিকারের দেশকে ভালোবাসে, দেশের জন্য কিছু করার চেস্টা করে।

আমি ব্যাক্তিগত পর্যায়ে খুশি ওরা কানাডাতে থেকে যাওয়ার পারমিশন পাওয়াতে। একটি ছেলে বা মেয়ে যে অমানুষিক পরিশ্রম করে এখানে পিআর পায় তা না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। এতো কঠিন পরিশ্রম বিফলে যেতে দেখে আমি খুবই কষ্ট পাচ্ছিলাম।

তবে এটা একটা সাবধান বাণী সবার জন্য। এর পর থেকে সবাই সাবধান হবে আশা রাখি।

ঈদ মোবারক। ঈদ কেমন কাটলো?

১৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার পোস্ট, অভিনন্দন!
কানাডা গমনেচ্ছু ইয়ং জেনারেশনের প্রতি আপনি বরাবরই সংবেদনশীল এবং সময়ে সময়ে আপনি অভিভাবকসুলভ মমতায় তাদের জন্য কিছু পরামর্শমূলক পোস্ট নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। এ বিষয়ে আপনার লেখা বহু জনহিতকর (ছাত্রহিতকর) পোস্ট আমি এর আগেও পড়েছি। আশাকরি এ পোস্টটা পড়েও অনেক নিরীহ অভিবাসন প্রত্যাশী প্রতারক এজেন্টের খপ্পরে পড়া থেকে নিজেদেরকে বাঁচাতে পারবেন।

"সাহায্যের জন্য কাউকে না কাউকে পাশে পাবেন যদি আপনি সামাজিক হন" - আহমেদ জী এস এর এ কথাটার সত্যতা আমি নিজ চোখে দেখেছি অন্ততঃ দুটি দেশে, যেখানে বাংলাদেশি ছাত্ররা সচরাচর যেতে প্রত্যাশী। বাংলাদেশ কমিউনিটি আপন গৃহে তৃতীয় কোন ব্যক্তিকে রাখতে না চাইলেও, এমন কি আত্মীয় স্বজনকেও, অন্যান্য ব্যাপারে কিন্তু তারা বেশ সাহায্য সহযোগিতা করে থাকে।
"নিজের উপর আস্থা থাকলে, বুদ্ধি থাকলে (শয়তানী বুদ্ধি নয়!), একাগ্রতা থাকলে সফলতা পাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র" - তার এ কথাটাও সঠিক।

"আমাকে অসংখ্য মানুষ নক করে পরামর্শের জন্য। আমি যখন সত্যটা বলি ওরা মাইন্ড করে" - তবুও সত্য কথাটাই বলে যাবেন, ওরা পরে বুঝতে পারবে।
"আমার এ লিখা ফেসবুকে প্রায় শ'খানের শেয়ার হয়েছে" - বাহ, চমৎকার। এ পোস্ট বহু সংখ্যায় শেয়ার হওয়াই সমীচীন।

"বিষয়টি যে ভাবেই ঘটুক এটা কানাডিয়ান ইমিগ্রশনের দুর্বল দিকগুলিই তুলে ধরে। একটি দুটি নয়, শত শত ছাত্র ভুয়া ডকুমেন্ট নিয়ে কিভাবে ইমিগ্রশন পার হল। গোড়াতেই ভুয়া ডকুমেন্ট সনাক্ত কেন তারা করতে পারলনা। কোথায় তাদের দুর্বলতা ছিল?" - ডঃ এম এ আলী এর এ প্রশ্নটা যথার্থ, আমি তার সাথে একমত। তার পরবর্তী ব্যাখ্যাগুলোও প্রণিধানযোগ্য।

পোস্টে চতুর্দশ লাইক। + +


২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৪৮

সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ খায়রুল ভাই, আপনার জন্যই পুরোনো লিখা পড়ার সুযোগ পাই। নতুবা নিজের লিখা খুলে দেখা হয় না।

আমি সত্যিই চেস্টা করি যারা এখানে আসতে চায় তারা যেন সকিং না পড়ে, তাদের জীবন যেন সহজ হয়। তবে এখনকার ছেলে-মেয়েরা অনেক স্মার্ট, তারা অনেক কিছুই জেনেই আসে। তারপরও সত্য হলো, দেশে বসে কিছু জেনে আসা আর বাস্তবতায় পরার মাঝে পার্থক্য আছে। কিন্তু জানা থাকলে কষ্ট করতে সহজ হয়। আবার দেখা যায় অনেকেই জেনেও ঝাঁপ দেয়।

যেমন, ক'দিন আগেই দেশ থেকে আমার এক পরিচিত এর ছেলে আসলো স্টুডেন্ট ভিসায়। আসার আগে আমার সাথে ফোনে কথা বলার সময় আমি তাকে বাস্তবতা বোঝাতে চাইলাম। সে খুব মাইন্ড করলো। তারপর ছেলেটি আসার পর মাস দুয়েক পরে জানালো খুব খারাপ অবস্থায় আছে, একটা চাকরী না পেলে না খেয়ে থাকতে হবে। কারন তার বাবা এমন কোন ধনী না যে তাকে মাসে মাসে টাকা পাঠাবে।

এরা ভাবে একবার আসলে কোনভাবে ম্যানেজ করতে পারবে বা দালাল তাই বলে। কিন্তু বাস্তবতা ভয়াবহ। কানাডায় ম্যানেজ সহজ বিষয় নয়। কারন এখানের ইকোনমি খুব স্লো।

অনেক অনেক ভালো থাকুন। আর দেরীতে উত্তর দেবার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।

১৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


জীবনেও আর ক্যানাডায় যাওয়া হলো না।
এবার ল্যাংড়াডার জন্য চেষ্টা নিতে হবে।
আফসোস!

০৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:০০

সোহানী বলেছেন: কানাডা দিন দিন বাসের জন্য কঠিন হয়ে পড়ছে। পুরােনোদের জন্যই চাকরী নেই সেখানে নতুনদের জন্য খুব কঠিন। তার চেয়ে আমেরিকা অনেক ভালো। বৈধ অবৈধ সব চাকরী মোটামুটি জোটে। তার উপর থাকার ব্যবস্থা এখন ভয়াবহ। বাড়ি ভাড়া, খাওয়া খরচ আগুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.