নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।
বাবা চাকরী সূত্রে কাজ করতেন জেলা শহরগুলোতে। কিন্তু বছরে একবার হলেও আমরা পুরো পরিবার দলবেধেঁ গ্রামের দাদার বাড়িতে বেড়াতে যেতাম, বিশেষকরে ঈদের মৈাসুমে। দাদার বাড়ির সে কয়টা দিন মূহুর্তেই কেঁটে যেত স্বপ্নের মতো।
চাচা-ফুফু, কাজিন, গ্রামের পাড়া-প্রতিবেশীদের সাথে হৈহুল্লুড় করে কেটে যেত আমাদের দিনের বেলা। তৈতৈ করে বন-বাদাঁরে ঘুরে বেড়ানো, পেয়ারা আম জাম পেড়ে খাওয়া, চালতার ভর্তা কিংবা পুকুর ধারে বসে বসে বড়দের মাছ মারা দেখা কত কিছু করার ছিল আমাদের। কিন্তু মাগরিবের আজানের সাথে সাথেই বাড়ি ফিরতে হতো আমাদের ছোট বড় সবাইকে। গ্রামে তখন কোন বিদ্যুৎ ছিল না কিংবা হ্যাজাক লাইট বলেও কিছু ছিল না। সন্ধ্যে হলেই হারিকেন কিংবা কুফি বাতি নিয়ে বড়রা বসে পড়তো জম্পেশ আড্ডায় কিংবা লুডু খেলতে। আর আমরা ছোটরা জোনাকি পোকার পিছনে ছু্টে বেড়াতাম পুরো উঠোনময়। আর দাদী, চাচীরা, ফুফুরা, মা ব্যাস্ত থাকতো মজার সব খাবার রান্নায়। হরেক রকমের পিঠা, খেজুঁড়ের গুড়ের পায়েস কিংবা সারা বছর ধরে দাদীর জমিয়ে রাখা তালের শাঁস দিয়ে মজার পায়েস।
এক বান্ধবীর অনুপ্রেরণায় এবার চলে গেলাম ক্যাম্পিং। অনেক অনেক বছর পর শহর থেকে অনেক দূরে, মোবাইল নেটওয়ার্ক, বিদ্যুৎ ছাড়াই কাটিয়ে দিলাম চমৎকার তিনটি দিন। সে ছোটবেলার অনুভূতি পেলাম এবার ক্যাম্পিং এ যেয়ে। অন্ধকারে টর্চ নিয়ে জঙ্গলের মাঝে বাথরুমে যাওয়া, আগুন ধরিয়ে মশা তাড়ানো কিংবা মার্সমলো পোড়ানো, উনুন জ্বালিয়ে পিয়াজু ভাজা.................. পুরোপুরি গ্রামীন না হলেও অন্যরকম একটা পরিবেশ কাটিয়ে দিলাম ক'টা দিন।
তাই ভালোলাগা শেয়ার করলাম সবার সাথে।
ছবিগুচ্ছ: খাবার-দাবারের
ছবিগুচ্ছ: বন-বাদারের
ছবিগুচ্ছ: রাতের আধাঁর
ছবি: বাথরুমের
ছবি: দাবা খেলা কিংবা মার্সমলো পোড়ানো
সবাই ভালো থাকুন।
সোহানী
জুলাই ২০২৩
বি:দ্র: প্রাইভেসির কারনে কিছু ছবিতে কালি ঝুলি মেখেছি
০৬ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৬:১১
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা আপু, বাঁকা ছবি হলো আমার সিগনেচার। মিরোরডল নাম দিয়েছে এর!!! ছবি সোজা করতে যে ঝামেলা পোহাতে হয় তার সময় নাই আপুনি। সবসময়ই দৈাড়ের উপর থাকি।
"তাঁবু, বিছানা, বালিশ, লন্ঠন, হাঁড়ি- পাতিল, খাবার, কম জিনিস তো না! এগুলো সব কাঁধে করে বয়ে নিয়ে কতদূর হাঁটতে হয়েছিল?"
এটা আপু অনেকটা আর্টিফিসিয়াল গ্রাম বলা যায়, রিজার্ভ ফরেস্ট। তাই গাড়ি নিয়েই পৈাছেছি আর সাথে করে এরকম হাড়ি পাতিল খাবার দাবার নিয়েছি। পরে তাবু ফেলে সবকিছু গুছিয়েছি।
এই বনে বাঁদাড়ে পানির ব্যবস্থা কেমন ছিল?
একটা ওপেন পানির কল ছিল। তা দিয়ে রান্না করেছি। আর খাওয়ার পানি নিয়ে গিয়েছিলাম। বাথরুম ছিল জঙ্গলের মাঝে, খারাপ ছিল না।
তবে অনেক আনন্দ করেছি। বিশেষকরে ওপেন মাঠে রান্না করে খাওয়ার মজার কোন তুলনা চলে না।
২| ০৫ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৪১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ওয়াও!! খাবার দাবার দেখে তো এখনই ক্যাম্পে চলে আসতে মুঞ্চাইতেছে জলদি ঠিকানা পাঠান
পুরাই মুরগির গ্রিল আর স্যুপ গ্রামীণ কিছু পিঠা পায়েশ রান্নার আয়োজন করবেন, নেক্সট টাইম, যেমন চিতই পিঠা, মুরগি কষানো
ভালো লেগেছে আপু। ঘুরে এলাম আমিও। আমার ঘোরাঘুরি খুব কম হয়। কাজের প্রয়োজনে এত ঘুরতে হয়েছে যে ঘোরাঘুরির নাম শুনলেই অস্থির লাগে
০৬ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৬:১৭
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা........... অবশ্যই। আপনি জয়েন করলে আপনার পছন্দের সব খাবার রেডি করবো। এখানে অনেক আপুরা আছেন যারা দেশীয় রান্না সাপ্লাই দেয়। চাইলেই কিনতে পারা যায়। বিশেষ করে বিভিন্ন পিঠা। আমি মনে হয় যা দেশে খেতে পাইনি তা কিন্তু এখানে পেয়েছি।
এখানে ভর্তা, পিঠা বা বাঙ্গালী সব অনুষ্ঠান হয়। তাই সব কিছুই পাওয়া যায়।
সোনাবীজ ভাই, আমি চকিরী জীবনে ঘুরা আর দৈাড়ানোর উপরে ছিলাম। তারপরও এখনো ঘুরি। সময় সুযোগ মিললেই বের হয়ে পড়ি প্রায় প্রতি সাপ্তাহে। আমার ভীষন ভালো লাগে।
৩| ০৫ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:২০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: গ্রামে গেলে সুযোগ পেলে বন-বাদাড়ে ঘুরে বেড়াই। প্রকৃতির সান্নিধ্য সত্যিই মুগ্ধ করে।
০৬ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৬:১৮
সোহানী বলেছেন: সাত্যই তাই রুপক। ইট পাথরের জন্জালে বেশীক্ষন থাকা যায় না।
৪| ০৫ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৪৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- কিছু কিছু ছবি দেখতে গেলে ঘাঢ় তেড়া করতে হচ্ছে।
০৬ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৬:১৯
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা দস্যু ব্রাদার, এইটা আমার সিগনেচার (মিরোরডলের মতে)
৫| ০৫ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৩২
ইসিয়াক বলেছেন:
হা হা হা... যতই কালি ঝুলি মাখা হোক আমি কিন্তু অরিজিনাল ছবিগুলো দেখেছি।
চমৎকার আয়োজন ছিল। প্রকৃতির কোলে ডুব দেওয়া আসলেই ভীষণ ভীষণ জরুরি।
পোস্ট ভালো লাগলো।
০৬ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৬:২১
সোহানী বলেছেন: ইয়েস, তুমি যেহেতু আমার সাথে ফেবু এ্যাটাচড্।
আয়োজন আসলেই খুব ভালো ছিল। প্রত্যেকেই কষ্ট করেছে আনন্দময় করতে।
৬| ০৫ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:১৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এমন মুহূর্তগুলো বেশ লাগে। আমাদের গ্রামে গেলেও আমার ভালো লাগে। সব ভাইবোনে হইহল্লা
আমরাও গ্রীল পুড়াই মুরগি দিয়া
পোস্ট ভালো লাগলো
০৬ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৬:২৪
সোহানী বলেছেন: গ্রাম আমার বরাবরেই ভালো লাগে। কিন্তু জীবনভর ছিলাম উল্টা দিকে। তারপরও কানাডায় আসার পর ভালো লাগছে অন্তত ঢাকা থেকে। ঢাকায় গেলেতো মনে হয় পাগল পাগল লাগে
গ্রীল করা আমাদের সামারের প্রায় প্রতিদিনই চলে। বাসার পিছনে ব্যাকইয়ার্ডে গ্রিল মেশিন রাখা, বেশী কষ্ট করতে হয় না। কিন্তু শীতে আমরা গর্তে ঢুঁকি।
৭| ০৫ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: বাহ দারুন অভিজ্ঞতা আপু।
০৬ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৬:২৫
সোহানী বলেছেন: সত্যিই ভালো লেগেছে অনেকদিন পর।
৮| ০৫ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:২৫
জুন বলেছেন: আমারও এমন যেতে ইচ্ছে করে সোহানী। খুব ভালো লাগলো আপনার ঘুর ঘুর ছবি ব্লগ । +
০৬ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৬:৩০
সোহানী বলেছেন: আপনার থাইল্যান্ডেতো ঘুরাঘুরির জায়গার অভাব নেই। ধুম করে বের হয়ে যাবেন ক'জন নিয়ে। হোটেলে না, তাবুতে থাকবেন। দেখবেন দারুন আনন্দময়। আমি কিন্তু এরকম করে বের হয়ে যাই। আমার এরকম কিছু ঘুরুন্টি পার্টি আছে।
৯| ০৫ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: ছবি যখন দিলেনই মুখটাতে কালি লেপন করলেন কেন?
ধর্মীয় কারন নাকি?
০৬ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৬:৪০
সোহানী বলেছেন: জনাব রাজীব নুর সাহেব, আপনিতো দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করেছেন, ফটোগ্রাফি করেছেন আর আপনি প্রাইভেসী নামক শব্দটা জানেন না?
অবাক হলাম।
সব কিছুতে ধর্মকে টানাটানি তারাই করে যাদের মগজে ঘিলু কম আছে। সে ঘাটটি টুকু পূরণ করে ধর্মের দোহাই দিয়ে।
আবার জেনে রাখুন, বাংলাদেশ নামক রাস্ট্রে প্রাইভেসী এ্যাক্ট বলে কিছু থাকলেও তার প্রয়োগ নেই। কিন্তু আমি যেখাবে বাস করি সেখানে তা অত্যন্ত কড়াকড়িভাবে পালন করা হয়।
ধন্যবাদ।
১০| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৫০
রাইসুল সাগর বলেছেন: কিছুটা সময় যন্ত্রের যন্ত্রনা থেকে দূরে থাকতে পারাটাই এই ট্যুরের সফলতা।
মাঝে মাঝেই যাওয়া উচিৎ।
০৭ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৭:৪৮
সোহানী বলেছেন: সত্যটা হলো আমরা যারা বাইরে থাকি আমরা কাজ যতটুকু করি আনন্দ তারচেয়ে বেশী করি। দেশে কাজ করতাম ৯৯.৯৯%.... আনন্দ কি জিনিস তা বোঝার মতো সময় হাতে থাকতো না।
১১| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ২:০০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বনে বাদাঁরে খানা দানার আয়োজন বেশ ভালই হয়েছে দেখা গেল ।
আগুন জ্বালিয়ে মশা তারানোর কথায় মনে হলো সে বনে মশার
বেশ উপদ্রপ আছে । শুনেছি কানাডায় মশার হুল ফুটানোর কারণে
অনেকেই West Nile Virus এ আক্রাস্ত হয় । কানাডিয়ান বন
বাদাঁরের মশার লম্বা সুচালু হুলটিউ বেশ ভয় জাগানিয়া ।
এ মশার আক্রমনে শরীরে সেই ভাইরাস ঢুকে গেলে তার পরিনতিতে বেশ ভুগতে হয় বলে জানা যায় ।
শুধু কি তাই, এই ভাইরাস আক্রান্ত মানুষ জন নিন্মোক্তভাবে তা আবার আন্যের মাঝেও ছড়িয়ে দিতে পারে
যথা by donating blood, touching or kissing a person with the virus and
touching nurses or others who care for someone with the virus.
তাই দিন কয়েক বনে বাদাঁরে ঘুরে ক্যম্পিং করে , বার বি কিউ খেয়ে যতটুকু আনন্দ আর বিনোদন নিয়ে
ঘরে ফিরেছেন তার সাথে মশার হুল ফুটিয়ে কিংবা তার স্পর্শে কোন বালা মছিবত নিয়ে এসেছেন কিনা
তা জানার জন্য কানাডিয়ান ব্লাড টেস্ট সার্ভিস হতে পরিবারের সকলেই যত শীঘ্র সম্ভব রক্ত পরিক্ষা করে
নিতে পারেন । দোয়া করি রক্তে যেন কোন West Nile Virus এর উপন্থিতি ধরা না পড়ে । পরিবারের
সকলের আনন্দ বিনোদন হয়ে থাকুক একান্তই নির্মল ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
০৭ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:০০
সোহানী বলেছেন: আলী ভাই, দিলেনতো আমার মাথায় পোকা ঢুঁকিয়ে। মশার কামড়তো খেয়েছি কিন্তু এতো চিন্তা করিনি। কিন্তু এখন চিন্তায় ফেলে দিলেন কারন আমার মেয়ে শ'খানেক কামড় খেয়েছে। ওর মশাতে মারাত্বক এ্যালার্জি। গতবার দেশে যেয়ে ওর অবস্থা খারাপ হয়ে গেছিল মশার কামড় খেয়ে। এবার এ বনে যেয়ে আমরা অল্প কামড় খেলেও সে খেয়েছে বেশী।
যদিও প্রায় এক সাপ্তাহের উপর হয়ে গেছে, কামড়ের ফোলা ও চুলকানো কিছুটা কমেছে, ডাক্তারের কাছে যাবো কিনা ভাবছি।
তবে আমার ঘুরুন্টি পার্টি সারা বছরই এরকম বনে জঙ্গলে থাকে। কিন্তু তাদের কারোই কখনো কোন সমস্যা হয়েছে শুনিনি। মশার কামড় খায় তারপর ২/৩ বাদে ঠিক হয়ে যায়। আমি দিনে দিনে চলে আসি সাধারনত। এবারই এতো লম্বা ড্রাইভ করে আশা ঝামেলার ছিল।
যাহোক, এরপর থেকে বিষয়টা মাথায় থাকলো। কোথাও গেলে মশা থেকে বেঁচে বর্তে থাকার চেস্টা করবো।
১২| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৬:০৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,
দু'তিন দিনের জন্যে বনে-বাঁদাড়ে অমন ঘুরে বেড়ানো, রান্না করে দলেবলে খাওয়া আসলেই রোমাঞ্চকর।
"কোথাও আমার হারিয়ে যেতে নেই মানা......নেই মানা....." একটা ভাব!
তা ক্যাম্পিংয়ে গিয়ে শৈশবের দাদা বাড়ীর স্মৃতি মনে করে দুধের স্বাদ ঘোলে মিটিয়েছেন বটে তবে চড়ুইভাঁতির অমন খানাদানার প্রকৃত স্বাদ থেকে পাঠকদের বঞ্ছিত করলেন ক্যা ?
এত্তো ধিঙ্গি হলেন কিন্তু ত্যাড়া ঘাড় এখনও সোজা করতে পারলেননা ........ নাকি এর পর থেকে আপনার ছবি ব্লগ দেখতে "ঘাড় ত্যাড়া ব্লগার" গ্রুপ গঠন করতে হবে ?
০৭ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:১১
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা........ "ঘাড় ত্যাড়া ব্লগার" গ্রুপ গঠন করতে হবে নিশ্চিত। কারন দেখলাম করুণাধারা আপুর ছবিও ঘাড় কাত করা
পাঠকদের বঞ্ছিত করি নাই। শুধু তাদেরকে লোভ দেখানোর চেস্টা । তবে আমার পাঠককূল অলওয়েজ ওয়েলকাম। শুধু আওয়াজ দিলেই হলো। কবে আসবেন????
আসলে, সামার মানেই ঘুরে বেড়ানো। আমার এমন কোন উইকএন্ড নাই যে স্কেজিউল নাই। যার কারনে লিখালিখি বন্ধ। এটাতো ফাঁকিবাজি পোস্ট। অনেকদিন কিছু লিখি না বলে এটা দিলাম।
দুধের স্বাদ ঘোলে মিটানো বলেন আর যাই বলেন আনন্দ খুঁজে বেড়ানোই আমার কাজ। সাথে বাচ্চাদেরকে নিজেদের কালচার এর প্রতি আকৃষ্ট করা। নতুবা আমার নাতির পরের প্রজন্মতো বাংলাদেশ কি তাই ভুলে যাবে। তাই নানা রকম চেস্টা আর কি।
১৩| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:০৩
শেরজা তপন বলেছেন: চমৎকার শৈশোবের ওই বিশেষ দিনগুলো কেটেছে আপনার।
আমাদের মত বুড়ো খোকাদের দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাবার চেষ্টা কিংবা ফের সেই শৈশবে ফিরে যাবার চেষ্টা - মোটের উপর খারাপ নয়।
*মাটির উপরে সাপের মত পেঁচিয়ে আছে ঐটা কি?
০৭ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:১৮
সোহানী বলেছেন: মাটির উপরে সাপের মত পেঁচিয়ে আছে ঐটা সাপ বা সাপের বাচ্চা। বাথরুমে যেতে পথে দেখেছি তাই ছবি নিলাম বাচ্চাদেরকে দেখাবো বলে।
আসলে আমরা যে শৈশব কাটিয়েছি তার তুলনা চলে না। দাদা-দাদী, চাচা-ফুফু, নানা-নানী মিলে বিশাল সে বহর। তাদের সাথে ঝগড়া, মারামারি, ভালোবাসা, আনন্দ, হৈচৈ............... কোথায় পাবে আমার বাচ্চারা। তার ছিঁটেফোটার দেখাও সম্ভব নয়।
তারচেয়ে ও ভয়ংকর আমাদের কালচার ধরে রাখা বা বাচ্চাদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া। সেটা অনেক কঠিন কাজ। যার কারনে আমরা যারা দেশীয় কালচার লালন ও ধারন করি তারা এধরনের অনেক কিছু করার চেস্টা করি। যাতে বাচ্চারা কিছুটা হলেও আকৃষ্ট হয় দেশীয় কালচারে।
১৪| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৫৬
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: গ্রামর পুলা-বুড়ার জীবন ও বাংলাদেশের গ্রামীন আবহ ও পরিবেশ অল্প কথায় চমতকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন । তার জন্য একটা ধন্যবাদ বোন আয়নাপুতুল।
আর বনে বাদারের ছবি + খাওনদাওন ব্যাফোক মজা ঐছে মনে লয় তিন দিনে জীবনের নানা জটিলতা-ব্যস্ততার বাইরে থেকে। মাঝে মাঝে আসলে আমাদের সকলেরই নিজেদেরকে এরকম কিছু সময় দেয়া উচিত ।
তবে, সেখানে (বৈদেশ) আপনি গিয়েছেন-থাকতে পেরেছেন এবং ভালভাবে ফিরে এসেছেন শুকরিয়া। আর আমার সোনার বাংলায় এরকম হলে ৩ দিন পর পড়তে হত ইন্নালিল্লাহ (- কিন ? - - কিন? --- কেন )?
আমরা এত ভাল কেন ?
০৮ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৫২
সোহানী বলেছেন: সত্য যদি বলি তাহলে বলবো আমি এ মূহুর্তে জীবনকে ভিন্নভাবে দেখছি। দেশে থাকতে মনে এক মিনিটও নিজের জন্য কাটাতে পারিনি, শুধু দৈাড় দৈাড় আর দৈাড়। তাই এখন আমার অবসরের পূর্ব মূহুর্ত বলতে গেলে। দেখি আরো কিছুদিন এভাবে কাটিয়ে, যদি ভালো না লাগে তাহলে আবার দৈাড় শুরু করবো।
আমার এখানকার কলিগরা প্রায় বলে, তুমি কেন এ কোর্স করছো না, ওই প্রফেশনাল পরীক্ষা দিচ্ছো না.......... তোমার এতো এতো সুযোগ । আমি হাসি, কি দরকার আরো উপরে উঠার। যেখানে আছি ভালোইতো কেটে যাচ্ছে।
"আমার সোনার বাংলায় এরকম হলে ৩ দিন পর পড়তে হত ইন্নালিল্লাহ "
এটা নিয়ে খুব ভাবি আমি। আমাদের দেশ কখন একটু নিরাপদ হবে সবার জন্য?
১৫| ০৭ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: বোন সোহানী,
বুঝলামনা কি করে আয়নাপুতুল লিখে ফেললাম।
গলতিসে মিস্টেক হয়ে গেছে। মাফ করে দেন মেরা বহিন।
০৮ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৫৩
সোহানী বলেছেন: জ্বী বুঝতে পেরেছি, আয়নাপুতুল এর প্রতি অধিক ভালোবাসা কাজ করছে
১৬| ০৯ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:১৪
মিরোরডডল বলেছেন:
সোহানী আপুর পোষ্ট আর বাঁকা ছবি থাকবে না এটা হতেই পারেনা।
বাঁকা ছবি আপুর সিগনেচার
অন্ধকারে টর্চ নিয়ে জঙ্গলের মাঝে বাথরুমে যাওয়া
এটুকু পড়ে ভাবলাম লিটারেলি তুমি আদিম লাইফে চলে গেছো, আই মিন জঙ্গলেই .....
পরে দেখলাম তোমাদের বাথরুম জঙ্গলে, তার পাশে দাঁড়িয়ে আবার ছবিও তুলেছো
তবে যাই বলো ছবিতে কালি ঝুলি মেখে ঠিক করোনি।
তোমাকেতো আমরা চিনি, বই নিয়ে পোষ্টে ছবি দেখেছি, ইনফ্যাক্ট আমাদের কাছে তোমার ছবিসহ বই আছে।
তাহলে আর আড়াল কেনো! ছবি দেখলে বুঝতাম সত্যি তুমি ক্যাম্পিং করেছো
ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক এনজয় করেছো।
দুধ চায়ের সাথে গরম পেয়াজু মিস করছি আপু।
১৪ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:০০
সোহানী বলেছেন: হেহেহেহে আমার সিগনেচার কেমনে মিস করি বলো
বাথরুম জঙ্গলে পাশে দাঁড়িয়ে ছবিতে আমি না। ওওওও ওই ছবিতে কালি লাগাতে ভুলে গেছি।
আমার ছবিতে কালি লাগাই নাই, অন্যের ছবিতে লাগিয়েছি। ধরো, এদের কেউ বললো যে আমি তাদের অনুমতি ছাড়া ছবি পোস্ট করেছি। আর পিপিইডি আইনে আমার বিরুদ্ধে মামলা করে দিলো। তখনতো আমার বারোটা
দুধ চায়ের সাথে গরম পেয়াজু, সাথে বারবিকিউ ও মার্সমেলো রোস্ট। পাশে বসে গান শোনাচ্ছে কেউ............. অসাধারন।
লাইফ ইজ বিউটিফুল।
১৭| ১৬ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৫০
নীল-দর্পণ বলেছেন: বনে বাদারের ছবিগুলো দেখে এখন ইচ্ছে করছে এমন করে একটা দিন কাটাতে। তবে বনে তাবা খাটিয়ে ঘুমাতে দেখলে আমার খুব ভয় হয়, বড় প্রাণী ন হোক নিচ থেকে জোঁক, কেঁচো, চ্যালা, বিছা…কত্ত কী উঠতে পারে…
১৭ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৪৫
সোহানী বলেছেন: হে নীলু, কেমন আছো? তোমার পিচ্চিগুলা কেমন আছে। এখন কেমন দুস্টুমি করে?? তোমার লেখা অনেকদিন পড়া হয় না। আসবো সময় করে।
কানাডায় জোঁক মনে হয় নাই। আর সবই আছে। তবে সে সব ভয় করলেতো ক্যাস্পিং হলো না। এ সব নিয়েইতো ক্যাস্পিং...... হাহাহাহা
১৮| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৩০
নীল-দর্পণ বলেছেন: আমি ভালো আছি । আমার পিচ্চিগুলা প্রচুর দুষ্টুমী করে আপু, একজনের বোনের জন্যে খুব ভালোবাসা কিন্তু অপরজন খামচি, কামড়, চুলটানা কিছু বাদ রাখেনা বোনকে দিতে। খুব হেল্পলেস লাগে! সময় সুযোগ করতে পারিনা ইদানিং লেখার জন্যে।
১৮ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৫:৩১
সোহানী বলেছেন: তারমানে একজন নেতা হবে.......... হাহাহাহা
এরা যদি মারামারি না করতো তাহলে তুমি শাসন করার সুযোগ কিভাবে পাবে? একটু করুক না।
আমারগুলা বদের হাড্ডি ছিল। দুস্টুমি করার পর যখন আমি বকা তেবার জন্য তৈরী হতাম অমনি তারা আমাকে জড়িয়ে ধরতো। তখনতো আর কিছুই করার থাকতো না।
লেখালিখির দরকার নেই এখন। ওদেরকে সময় দাও। তারপর লেখালিখির অনেক সময় পাবা। যেমন এই যে আমি, ওরা যখন ছোট ছিল আমি চাকরী করতাম, পড়াশোনা করতাম, ট্যুরে যেতাম। সময়ই পেতাম না ঠিকভাবে। এখন সময় পাই কিন্তু ওরা বড় হয়ে গেছে, ওদের নিজস্ব জগৎ তৈরী হয়েছে। কাছে আসার সময় পায় না।
তাই এ সময়টুকু উপভোগ করো।
১৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:১১
খায়রুল আহসান বলেছেন: ছবি কাৎ হওয়া রোগটা আর সারলো না!
যাহোক, স্মৃতি জাগানিয়া পোস্টটা ভালো হয়েছে। আমারও ইচ্ছে হয়, দূরে কোথাও, কোন পাহাড়ের পাদদেশে গিয়ে কয়েকটা দিন তাঁবু গেড়ে থেকে আসি। চূড়ায় নয়, পাদদেশে। পাহাড়ের পাদদেশ আমার কাছে মায়ের কোলের মত মনে হয়।
আপনাদের তাঁবুর চারপাশে সর্প-নিরোধক কোন ব্যবস্থা নিয়েছিলেন কি?
পোস্টে পঞ্চদশ প্লাস। + +
২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৫৪
সোহানী বলেছেন: কাৎ হওয়া ছবি আমার সিগনেচার (মিরোরডর বলেছে )
সর্প-নিরোধক কোন ব্যবস্থা নেইনি। কানাডার সাপ বিষাক্ত না। তবে যেটা করেছি, রাতে জঙ্গল এড়িয়ে চলেছি। অনেক লাইট নিয়ে বাথরুমে গেছি দলবল নিয়ে। তাই সাপ বা বণ্যপ্রানী ধারে কাছে ঘেষেনি। তার উপর সাউন্ড সিস্টেম নিয়ে সবাই যেভাবে গান শুরু করেছিল যা দুএকটা প্রানী আমার চিন্তা করেছিল তারাও সম্ভবত পালিয়ে বেচেঁছে..............হাহাহা
"পাহাড়ের পাদদেশ আমার কাছে মায়ের কোলের মত মনে হয়।" আমারো তাই মনে হয়। তবে আমার পছন্দ নদী বা পানির কাছাকাছি থাকা। পানির পাশে বসে গান শুনতে শুনতে বই পড়া আমার প্রিয় কাজ। নেক্সট চলে আসেন, একটা ক্যাম্পিং এর আয়োজন করি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৩৭
করুণাধারা বলেছেন: দুয়েকটা ছবি ঘাড় ঘুরিয়ে দেখতে হলেও ছবিগুলো চমৎকার এসেছে।
তাঁবু, বিছানা, বালিশ, লন্ঠন, হাঁড়ি- পাতিল, খাবার, কম জিনিস তো না! এগুলো সব কাঁধে করে বয়ে নিয়ে কতদূর হাঁটতে হয়েছিল?
এই বনে বাঁদাড়ে পানির ব্যবস্থা কেমন ছিল?
মাঝে মাঝে প্রকৃতির মাঝে কিছু সময় কাটাতে পারলে মনটা প্রফুল্ল হয়ে ওঠে!!