নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি উপহার বিড়ম্বনার গল্প :-B

৩০ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৭:১৪



যাহোক, ছ'মাসের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বিশাল অংকের ফান্ডটা আমরা পেয়েই গেলাম। যেহেতু বিশাল অংকের ফান্ড তাই আনুষ্ঠানিক চুক্তি সই করার জন্য মন্ত্রী-মিনিস্টার সহ দেশের বেশ হোমড়া-চোমড়ারা পোটলা-পুটলি বেঁধে রওনা দিলেন। আর সাথে আমরা ক'জন চুনোপুটি রওনা দিলাম যারা এ নিয়ে কাজ করেছি। যা বলছিলাম, যেহেতু মন্ত্রী মহোদয় যাচ্ছেন তাই সৈাজন্য উপহার দিতে হয় দাতা সংস্থার প্রধানকে। তো মন্ত্রী মহোদয় এর সেক্রেটারী জানালেন উনিই উপহার কেনার দায়িত্ব নিবেন। আমরাতো মহা খুশি, ঝামেলা মাথা থেকে দূর হলো।

যথারীতি নিজের গাট্টি বোঁচকা বেঁধে টেধে রওনা দেবার আগের দিন মন্ত্রী মহোদয় এর পার্সোনাল সেক্রেটারী, অফিসের বড় স্যারকে ফোন দিয়ে জানালেন উপহার কেনা হয়েছে তবে তা সুইজারল্যান্ডে নিয়ে যাবার দায়িত্ব আমাদের মতো চুনোপুটিদের নিতে হবে। এবং সেখানে পৈাছে তা উনার হোটেল হস্তান্তর করার জন্য যথারীতি আদেশ দেয়া হলো। উপায় নাই হোলাম হোসেন.... তাই বড় স্যার আদেশ দিলে মাঝারি স্যারকে উপহার কালেক্ট করার জন্য। তো সেই মাঝারি স্যার পড়ি কি মরি হয়ে ছুটলেন সচিবালয়ে। আর আমাদেরকে পরেরদিন যথারীতি এয়ারপোর্টে হাজিরা দিতে বললেন। এবং আরো জানালেন উনি উপহারটা নিয়ে সরাসরি এয়ারপোর্টে চলে যাবেন।

যাহোক, পরদিন এয়ারপোর্টে পৈাছেই দূর থেকে দেখি আমার মাঝারি স্যার ইয়া বড় একটা আড়ং এর প্যাকেটে রেপিং সহ বাঁধাই করা ছবি ট্রলিতে ঠেলে ঠেলে সামনের দিকে যাচ্ছেন। একদিকে বিশাল দুই ব্যাগ, অন্যপাশে বিশাল ছবি সামলাতে উনার জান কাবাব হয়ে যাচ্ছে। এক হাতে ছবি ধরলে ব্যাগ কাঁত হয়ে পরে যাচ্ছে, অন্যদিকে ব্যাগ ধরলে ছবি কাঁত হয়ে পরে যাচ্ছে। আর যেহেতু স্বয়ং মন্ত্রী মহোদয় এর দেয়া উপহার তাই বেচারা জীবন বাজি রেখে তা সামলিয়ে চলছে। আর আমি দূর থেকে এ দৃশ্য দেখে উল্টা দিকে ভোঁ দৈাড়। কারন আমি মনে মনে হিসাব কষছি, এ গ্রপের সর্ব কনিষ্ঠ আমি। অফিসিয়াল পজিশানে বড় হলেও সাইজে এবং বয়সে সবচেয়ে ছোট। তাই কোনভাবে আমাকে সামনে পেলে এ ডায়নোসার আমাকে ধরিয়ে দিবে। তাই আমি তক্কে তক্কে ছিলাম উনার ব্যাগটা চেক ইন হয়ে গেলে ঝামেলা শেষ আমি হাজির হবো সবার সামনে।

এভাবে এয়াপোর্টের অলিগলি ঘুরে আমি সবার শেষে চেক ইন করে প্লেনে উঠে দেখি বিশাল জটলা। একটু উঁকি দিয়ে দেখি আমার মাঝারি স্যার সে বিশাল ছবির প্যাকেট মাথার উপরের লাগেজ ব্যাগে উঠানোর চেস্টা করছেন। আর উনাকে সাহায্য করার চেস্টা করছে দুই সুন্দরী বিমানবালা। কিন্তু তারা বার বার বলছে, এত বড় প্যাকেট কোনভাবেই উপরে জায়গা হবে না, আপনি আপনার সাইডে রাখুন। কিন্তু স্যার কোনভাবেই শুনবে না, বার বার বলে যাচ্ছেন মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় এর উপহার, এটা কোনভাবেই নীচে সাইডে রাখা যাবে না। এটা নষ্ট হয়ে যাবে। এভাবে টানা হ্যাচড়ার মাঝে, এবং দীর্ঘ লাইনের জটলা হয়ে যাওয়াতে সুন্দরী বিমানবালারা ছবির প্যাকেটটা পাশে রেখে স্যারকে এক সাইডে সরে যেতে বলেন যাতে সবাই ঢুঁকতে পারে। তা দেখে আমি চোখ বন্ধ উল্টো দিকে ভো দৈাড়। হেঁটে পরের সারিতে চলে যাই এবং চুপচাপ নিজের সিট খুঁজে চোখ বন্ধ করে বসে পরি।

সেবার আমরা গিয়েছিলাম এ্যামিরাটস্ এ। তাই সর্ট জার্নি শেষে দুবাই পৈাছাই। দুবাই এয়ারপোর্টে আমাদেরকে প্রায় সাড়ে আট ঘন্টার ট্রান্জিট তাই হোটেল পাবো না, এয়ারপোর্টেই রাত কাটাতে হবে। অত:পর চেক আউট করতে করতেই দেখি স্যারের সাথে দেখা। বেচারা সারারাত এ ছবরি প্যাকেট ধরে বসে ছিল কোনভাবেই হাতছাড়া করেনি। যদি কেউ এটা নষ্ট করে ফেলে সেই ভয়ে। যার কারনে এক ফোঁটাও ঘুমাতে পারেনি। আমিতো উনাকে দেখে আকাশ থেকে পড়লাম। স্যার, আপনি এতো বড় ছবিটা নিয়ে ঘুরছেন কেন? লাগেজে দেননি কেন? স্যার জানালেন, এটা সাইজে অনেক বড় তাই লাগেজে নেয়নি। তারপরও তারা জানালো, লাগেজে দিলে এটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে তাই হাতে নেয়াই ভালো।

আমি আহারে উহারে বলে কোন চিপা থেকে পালানো যায় তার পথ খুঁজছিলাম। কিন্তু স্যার আমাকে বললেন, আপনি একটু প্যাকেটটা ধরবেন, আমি বাথরুমে যাবো। সারারাত প্যাকেটটা ধরে বসে ছিলাম বাথরুমেও যেতে পারিনি। এ শুনে পাশ থেকে একজন হোমড়া চোমড়া বলে উঠলেন, ঠিক করেছেন। মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় এর উপহার বলে কথা। একটু রকমফের হলেইতো বান্দরবনে ট্রান্সফার......

কি আর করা, হাতের লাগেজটা পাশে রেখে অতি যত্নে ছবিটা ধরে রাখলাম যাতে কোনভাবেই তা ব্যাথা না পায়। এভাবে কিছুক্ষন দাঁড়ালাম, আরো কিছুক্ষন দাঁড়ালাম, তারপর অনেকক্ষন দাঁড়ালাম কিন্তু স্যার মহোদয়ের আর দেখা নাই। আমি বুঝিতে পারিলাম, ইহা সেই রুপকথার গল্পের মতো। তুমি যাহাকে ছুঁইবে সেই পাথর হইয়া যাইবে ও তোমার মুক্তি মিলিবে...........। এদিকে আমি ফাঁন্দে পড়িয়া বগা কাঁন্দে অবস্থা। এ বোঝা ফেলেও যেতে পারছি না, কাঁধে নিয়ে ঘুরতেও পারছি না। প্রথমে ফ্লোরে বসে পড়লাম, তারপরে কাঁত হয়ে শুয়ে পড়লাম অত:পর। কতক্ষন আর দাঁড়ায়ে থাকা যায়। প্রায় ঘন্টা খানেক অপেক্ষার পর ছবিটা বোগলদাবা করিয়া গাঁটতি বোঁছকা সহ আল্লাহর নাম নিয়া উনাকে খুঁজতে বাহির হইলাম।

এক হাতে বিশাল ছবির প্যাকেট, অন্য হাতে ট্রলি ব্যাগ, পিঠে ল্যাপটপের ব্যাগ, অন্য কাঁধে ঝুলানো ব্যাগ........... আমি মোটামুটি হিমালয় পর্বত ঠেলা শুরু করলাম। বিশাল দুবাই এয়াপোর্টের এ গলি থেকে ও গলিতে খুঁজতে লাগলাম। মনে হলো একবার চিৎকার দিয়া ডাকি, স্যারগো কই গেছেন গা!!! আরেকবার মনে হইলো, চাকরীর গুষ্ঠি কিলাই। এটারে গার্বেজে ফেলে দেই। যাহোক, আমার এ দূরবস্থা দেখিয়া একজন ভদ্রলোকের বেশ দয়া হলো। সে দেখি কোথা থেকে একটা ট্রলি এনে আমাকে দিয়ে বললো, টেক ইট। ইট উইল হেল্প ইউ। আরে তাইতো, এ সহজ বুদ্ধি এতক্ষন কই ছিল!!!! তাহারপর সে ট্রলি ঠেলিয়া রাস্তায় রাস্তায় খুঁজতে শুরু করলাম। প্রায় ৪০ মিনিট খোঁজার পর দেখি উনারা ম্যাক এ বসে বার্গার খাচ্ছেন আয়েশে। আমি পাশে অগ্নিমূর্তি নিয়া দাঁড়াইতে স্যার বললেন, ক্ষিধা পেয়েছিলতো তাই চলে এলাম খেতে। আমি ছবিটা তার পাশে দিয়েই হাঁটা শুরু করলাম। আর তা দেখে উনি জিজ্ঞাসা করলেন, কোথায় যাচ্ছেন? আমি গম্ভীর হয়ে বল্লাম, বাথরুমে!!!

এরপর থেকে হোটেলে পৈাছানো পর পর্যন্ত আমি আর উনার আশে পাশে হাঁটি নাই। পরদিন অফিসে যাবার জন্য রেডি হয়ে নীচে যেয়ে দেখি লবিতে সবাই জটলা বেধেঁ আছে। কি ব্যাপার কোন ঝামেলা? এমন সময় বড় স্যার বলে উঠলেন, গিফটটাতো মাঝারি স্যার সাহেব বহন করে এনেছেন কিন্তু এভাবে আনতে আনতেতো এর রেপিং ছিঁড়ে গেছে। এখন এ ছেঁড়া রেপিং এ মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় এর উপহারতো আর এভাবে দেয়া যায় না। দেখুনতো আপনি কিছু ব্যাবস্থা করতে পারেন কিনা? কারন উনি জানেন আমি হইলাম সব মুশকিলের আসান.......... হাহাহাহা। কি আর করা ছবিটা আবার মাথায় করে রুমে রেখে আসলাম।

অফিস শেষ করে জেনেভার এক অফিস কলিগকে বল্লাম, কওতো কোথায় রেপিং পাবো। সে খুব একটা গুড়ুত্ব দিলো বলে মনে হলো না। বললো, এ আর এমন কি সবখানেই পাবা। অফিসের উল্টা দিকে Balexert, Geneva Shopping Centre। সেখানেই পাবা।

অফিস থেকে বের হয়ে সেই শপিং সেন্টারের দিকে হাঁটা দিলাম। হায়, সে বিশাল শপিং সেন্টারের অলিতে গলিতে ঘুরে কোথাও রেপিং পেলাম না। যেখানেই জিজ্ঞেস করি তারা বলে গিফট কিনলে আমরা রেপিং ফ্রি করে দেই। কিন্তু আলাদাভাবে এটা করি না। হায় হায় কি অবস্থা........। এভাবে দোকানে দোকানে জনে জনে জিজ্ঞাসা করতে করতে একজন একটু দিসা দিলো যে তুমি কুওপ এ যেয়ে দেখতো পারো। সুইজারল্যান্ডে চেইনসপ কুওপ খুব জনপ্রিয়, অনেকটা আমাদের ওয়ালমার্টের মতো।

তারপর সেখানে যেয়ে দেখি একই অবস্থা। তারাও তা বিক্রি করে না। এভাবে ঘন্টা খানেক কুওপ এর এখানে সেখানে ঘুরে বুঝলাম এইভাবে হইবেক না, আমাকে অন্য পথ ধরিতে হইবে..........। অত:পর ক্যাশ কাউন্টারে এসে দাঁড়ালাম। তারপর ক্যাশের মেয়েটাকে কাঁদো কাঁদো সুরে বল্লাম, দেখো আমি খুব বিপদে পড়েছি। তুমিই একমাত্র আমাকে উদ্ধার করতে পারো। তারপর তাকে কিছু সত্য, কিছু মিথ্যা, কিছু করুন কাহিনী তুলে ধরলাম। এবং আরো বলিলাম, এইটা আমাগো দেশের মান-ইজ্জতের প্রশ্ন। এখন একমাত্র তুমিই পারো আমারে উদ্ধার করিতে....। আমার বিশাল বক্তব্য এবং সেই সাথে করুন চাহনী দেখে মেয়েটি সাথে সাথে আমাকে দুইটা রেপিং পেপার দিয়ে দিলো। শুধু তাই না, সাথে ছোট একটা কাঁচি, স্কচটেপ সবই দিয়ে দিলো ফ্রি। টাকা দিতে চাইলে বললো, ইটস্ গিফট্ ফ্রম মি।

অত:পর উপহার কাহিনীর এভাবেই মধুর সমাপ্তি ঘটিল।

সবাইকে ধন্যবাদ এ দীর্ঘ লিখাটি পড়ার জন্য।

সোহানী
জুলাই ২০২৩


মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৭:৪৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শুরুতেই আপনাকে দায়িত্ব দিলে এতো বিড়ম্বনা হতো না। :)

৩০ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:০৮

সোহানী বলেছেন: জ্বী ভাই তার ব্যাখ্যাও দিয়েছি B:-/

২| ৩০ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৭:৪৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,




হা...হা.....
শেষটাতে যা বললেন সেটার জন্যেই তারা সভ্য একটি দেশ!

৩০ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:১১

সোহানী বলেছেন: আরে জ্বী ভাই, এরকম কাজ উদ্ধারের বহু ঘটনা আছে আমার, দেশে বা বিদেশে।

তবে এরকম উপহার বিড়ম্বনা আমি আরো পড়েছিলাম বিভিন্নভাবে............ :P

৩| ৩০ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:২৫

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: যাহোক, আপনার আর আমার লেখায় একটা মিল আছে। আমরা দু'জনেই নিজেরা কাজকাম খুব ভালো পারি, আমরা না হলে বহু কিছু উদ্ধার করা সম্ভব হতো না টাইপের লেখা লিখি। এ বাবদ চিমটি।

যা বলছিলাম, আপনার মত জনপ্রিয় লেখকের পোষ্টে এমন মন্তব্য করবো নাকি চোখ বন্ধ উল্টো দিকে ভো দৈাড় দিবো ভাবছিলাম। শেষমেষ ভাবলাম যে লিখেই ফেলি।

আপনার জন্য শুভকামনা।

৩০ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:১৩

সোহানী বলেছেন: নিজের ঢোল বিজেরেই পিটাতে হয়। অন্যের কাছে দিলে তা আস্তে বাজার কিংবা ফাটায়ে ফেরার সমূহ সম্ভাবনা.......... ;)

জনপ্রিয় লেখক!!!!!!!!!!!! এইটা আবার কি জিনিস ভাই??????????

৪| ৩০ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৩১

সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: আপু আপনি তো অনেক উচু পর্যায়ের লোক মনে হচ্ছে।

৩১ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৩:৪৮

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা......... "উচু পর্যায়ের লোক" !!!!!!!!!!

৫| ৩০ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি ভাগ্যবতী।

৩১ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৩:৫৯

সোহানী বলেছেন: শুনেন রাজীব নুর ব্রাদার, যারা অলস এবং লোভী তারা ভাগ্যের অন্বেষন করে। এরা যৈাতুকের হিসাব করে, বাবার সম্পত্তি নিয়ে ক্যালুকলেশানে বসে, ভাই-বোন/আত্বীয়-স্বজন থেকে কি পাবে তার হিসাব কষে।

আপনি কি জানেন আমার পরিশ্রমের কাহিনী? এই লিখাটা পড়লে কিছু আন্দাজ করতে পারবেন...
একটি চ্যালেন্জ কিংবা সাফল্যের গল্প

আরেকটি অপ্রাসঙ্গিক কথা, আপনি কি জানেন আমার ঝুলিতে কতগুলো দেশি/বিদেশী সার্টিফিকেট আছে? প্রায় ডজনের উপরে। এগুলোর বেশীরভাগই কোন প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু শুধুমাত্র আমার জ্ঞানকে আপগ্রেড করার জন্য নিয়েছি।

ধন্যবাদ, ভালো থাকুন।

৬| ৩০ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:০৩

কামাল১৮ বলেছেন: লেখাতে মুন্সিয়ানা আছে।পড়ে ভালো লাগলো।

৩১ শে জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:০৩

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কামাল ভাই। আপনিই মনে হয় একমাত্র মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন।

৭| ৩০ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু ইতিপূর্বে পোস্টটি টড়েছি। সেখানে যে কথা বলেছিলাম সেই মত থেকে এখন সড়ে এসেছি। আপনি মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন মানে নিঃসন্দেহে গৌরবের বিষয়। অভিনন্দন আপনাকে। এখন সেই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মাঝারি সাহেব বা বড় সাহেবের সঙ্গে একটু কাজ ভাগাভাগি না করে একটু এড়িয়ে গেছেন এক্ষেত্রে বাথরুম ফ্যাক্টর উভয়ের মধ্যে রীতিমতো গুরুত্বপূর্ণ নন প্লেয়ার হিসেবে কাজ করেছে তা মানতেই হবে। র্যাপিং মুড়টে একপ্রকার ব্যর্থ হতে হতে একদম শেষে কুড়িয়ে পাওয়া চৌদ্দ আনার মতো ক্যাশ কাউন্টারের মেয়েটি মুশকিল আসান হয়ে সুন্দর দুদুটি র্যাপার কাঁচি সহ যাবতীয় ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য জীবনের গল্প রীতিমতো প্রাণ পেলো। ধন্যবাদ সেই অচেনা অদূরের বন্ধুকে।
তবে গল্প এখনো বাকি বৈকি। উপহারের উপসংহার দেখার অপেক্ষায় রইলাম।

৩১ শে জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:১৪

সোহানী বলেছেন: ভিন্ন মন্তব্যে ধন্যবাদ পদাতিক ভাই।

এ গল্প অনেক বছর আগের। তারপরও অভিনন্দনে ধন্যবাদ।

মাঝারি সাহেব বা বড় সাহেবের সঙ্গে কাজ ভাগাভাগি না করে এড়িয়ে যেতে বাধ্য হয়েছি ব্রাদার। এবার হিসাব করেন, ১৩ জন টিমে আমিই একমাত্র মহিলা ছিলাম। পুরো টিমের এ ট্রিপের প্রতিটা কাজ আমি একাই করেছি। আর যে ফান্ডের জন্য সবাই নাচতে নাচতে যাচ্ছিল তা আমার কঠিন পরিশ্রমের ফসল। উল্টো সরকারী আমলাদের ফুট ফরমাস খাটাখাটিতো ফাও। এরপরও ছবি মাথায় করে নেবার মতো যথেস্ট ইচ্ছা ছিল না। :(

উপহারের উপসংহার বড্ড বিরক্তিকর ছিল। একটা মজার লেখায় সেটা এনে পরিবেশ নষ্ট করতে চাইনি। তবে লিখবো নিশ্চয় অন্য কোন সময়। ইদানিং স্মৃতিচারন লিখা লিখতে ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে বয়স হয়েছে, মরার আগে এ দুনিয়া্ই সবার পাপ পূণ্যের হিসাবটা এবার বরং দেয়া শুরু করি..................হাহাহাহাহা

৮| ৩১ শে জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:১২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



বেশ বড় সর একটি মন্তব্য লিখেছিলাম ।
সাবমিট বাটনে চাপ দিতেই দেখি লেখা মন্তব্যটিসহ
পুরা ব্লগটাই উধাও । খুঁজে পেলামনা কোথাও ।
পরে সময় করে আর একবার আসতে হবে ।
বিরম্বনার উপর মন্তব্য লিখে নিঝেই বিরম্বনার
শিকার হয়ে গেলাম ।

যাহোক, উপহার বিরম্বনাকে সাফল্যের সহিত সামাল
দেয়ার জন্য নীজের বসার ঘরে জানালার পাশে ফুটে
থাকা কিছু ফুল মোবাইলে তুলে উপহার দিলাম ।

শুভেচ্ছা রইল

৩১ শে জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:২০

সোহানী বলেছেন: ও মাই গড!!! কি সুন্দর ফুল ফুটেছে আপনার লিভিং রুমের গাছে।

এবার সামারে আমি ব্যার্থ চাষী। তেমন করে কিছু করতে পারিনি। যাও করেছি তাতে এক প্রকার পোকার আক্রমনে বিধ্বস্থ। একমাত্র লিলি মনে হয় ঠিক ছিল। টমেটু গাছে বিশাল হয়েছে কিন্তু কোন টমেটু নাই।


আমার দূর্ভাগ্য, আপনার চমৎকার মন্তব্য থেকে বঞ্চিত হলাম। আশা করি আবার আপনাকে পাবো।

৯| ০১ লা আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:১১

রানার ব্লগ বলেছেন: বোঝা যাচ্ছে পুরা ভ্রমনেই আপনি ভোঁ দৌড়ের উপর ছিলেন কিন্তু তারপরেও রক্ষা পান নাই । শেষের অভিজ্ঞতার চিত্রটা উল্ট করে ভাবুন তো ? দেশটা বাংলাদেশ ।

২০ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৩:০১

সোহানী বলেছেন: হুম ভাইরে অভিজ্ঞতার কথা আর বইলেন না। ভারে এখন আমি নুয়ে পড়ছি তাই কিছু ব্লগ/ফেবু লিখে কমাচ্ছি............হাহাহাহা

১০| ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:০৫

করুণাধারা বলেছেন: অনেক আগেই পড়েছি অফলাইনে, কিন্তু কোন কারনে মন্তব্য করা হয়নি এবং তারপর ভুলে গেছি!

আমাদের দেশের বিভিন্ন চরিত্রের মানুষের ছবি স্পষ্ট দেখা গেল। ‌ মন্ত্রী মহাশয় কারো সাথে আলোচনা করতে পারতেন উপহার সম্পর্কে তা না করে তিনি বেঢপ সাইজের উপহার কিনলেন, একবারও ভাবলেন না এটা বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ড নিয়ে যেতে কোন অসুবিধা হতে পারে কিনা। স্যার সাহেব তেলবাজ এবং সুবিধাবাদী, এমন জিনিস প্লেনে হাতে করে বসে থাকেন!! তারপর চাপিয়ে দিলেন আপনার ঘাড়ে!

আপনি হচ্ছেন এমন মানুষ, যে বিভিন্ন বিরূপ পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে নিয়ে আসতে পারেন। যেভাবে র্যাপিং পেপার সমস্যার সমাধান করলেন সেটা আর কেউ পারত কিনা সন্দেহ!!

যদি আপনিও হাত গুটিয়ে বসে থাকতেন, তাহলে অবস্থাটা কি দাঁড়াতো তাই ভাবছি!

২২ শে আগস্ট, ২০২৩ ভোর ৬:০৩

সোহানী বলেছেন: আপু, আপনি যদি সরকারী কোন বিদেশী প্রজেক্টে কাজ করে থাকেন তাহলে অস্পষ্টই বুঝতে পারছেন কি ধরনের গেইম চলে বিদেশ ট্যুর নিয়ে। আর একজন দেশী চামড়ার মানুষ বিদেশী প্রজেক্টে কাজ করে তার উপর সে যদি আবার মেয়ে হয়, এর উপর যদি অল্পবয়সী হয় কিন্তু উপরের পজিশনে থাকে তাহলে কি ধরনের চামড়া তার গায়ে চড়াতে হয় তা আপনি নিশ্চয় বুঝতে পারছেন।

দেশে থাকতে আমার চামড়া খুলে সবাই লবন লাগিয়েছে বলা যায় সবাই মিলে। এরা জ্বলে পুড়ে মরে যেত আমি কেন ডলারে বেতন পাবো? আমার বেতনের হিসাব করতে করতে ওদের দিন যেত। তাই ওরা সবসময়ই তেতে থাকতো...............। যাকগা, দেশ সহজে চেইন্জ হবে না কারন এ মানুষগুলোর কোন মানসিক পরিবর্তন হবে না সহজে।

অনেক ভালো থাকুন।

১১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: স্যারদের মাপ অনুযায়ী স্যাররা আনুপাতিক হারে তেলবাজ হয়ে থাকেন। বড় স্যার বড় তেলবাজ, মাঝারি স্যার মাঝারি তেলবাজ, এভাবে। যত বড় স্যার, শিরদাঁড়া তার তত নড়বড়ে।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:১০

সোহানী বলেছেন: খায়রুল, তেলবাজি কত প্রকার কি কি, তা দেখতে হলে সরকারী অফিসে যেতে হবে। মাগো মা, এদের একটুও লাজ লজ্জা, আত্মসন্মানবোধ কিছুই যেন নেই। কি করে মানুষ এতো নির্লজ্জ হতে পারে তা অবিশ্বাস্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.