নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।
আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে আসলাম পাঠকদের জন্য। কারন হঠাৎ মরে টরে গেলে কেউই জানবে না কি চ্যালেন্জ আমি ফেইস করেছিলাম। তবে সব দেশে সব খানেই মেয়েদের এমন চ্যালেন্জ খুব স্বাভাবিক। একটি প্রফেশনাল মেয়ে একটি ছেলের চেয়েও হাজার গুন বেশী চ্যালেন্জ ফেইস করে ঘরে বা বাইরে, রাস্তা বা ঘাটে....।
যা বলছিলাম;
কাজ শুরু করেছিলাম দেশের খুব নামকরা একটা ননপ্রফিট সেক্টরে। কিন্তু হঠাৎ করে সেখানে থেকে রিজাইন করার কারনটা অনেকেই জানতে চেয়েছিল কিন্তু তখন রুচিতে কুলায়নি এটা নিয়ে কথা বলতে। তাই আজ থেকে গুনে গুনে ১৪ বছর পর তা নিয়ে লিখতে বসলাম।
পুরো ইন্টাভিউ প্রসেসে আমি ঘুণাক্ষরেও জানতে পারিনি যে এক সময় যে ছেলেটি সরাসরি আমার এ্যাসিসটেন্ট হিসেবে কাজ করেছে সে এখানের আমার বস হবে। এটা জানলে কখনই আমি সেখানে জয়েন করতাম না। কারন আমার এ্যাসিসটেন্ট এর আন্ডারে কাজ করার মতো যথেস্ট মানসিক শক্তি আমার নেই। তার উপর আমি যে ক'বছর তাকে দেখেছি, একজন প্ররিশ্রমী বা অনেষ্ট হিসেবে দেখেনি। তাকে দেখেছি একজন তেলবাজ হিসেবে। এবং সে যে এ প্রতিষ্ঠানে কাকে কিভাবে তেল ঘি মেখে ঢুঁকেছে এবং সে বস কেন তাকে ঢুঁকিয়েছে তা আমি ভালো ভাবেই জানি। তারচেয়েও বড় কথা যে ছেলেকে আমি সকাল বিকেল ধমকের উপর রাখতাম, তাকে এখন স্যার স্যার বলবো সেটা কখনো আমার দ্বারা হবে না।
যাহোক,পুরো ইন্টাভিউ প্রসেসে সে কোনভাবেই আমার সামনে আসেনি। কারন সে জানে আমি তাহলে আমি জয়েন করবো না। সব মিলিয়ে সে আমার সাথে একটা গেইম খেলার সুযোগ নিলো।
কিন্তু কেন সে এমন একটা গেইম প্লেন করলো?
কারন, সে আমাকে বোঝাতে চেয়েছে, দেখ এখন আমি তোর বস। খুবতো ভাব নিছোস আমার সাথে, এবার তোর একদিন কি আমার একদিন!! এছাড়াও, মফস্বলের কলেজ থেকে পড়াশোনা করে সে এখন আমার বস পজিশনে ও আমাকে বিট করেছে। আমি ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়ে কি এমন করলাম!!!
জয়েন করার পর তাকে দেখেতো আমি থতমত খেলাম। কিন্তু কিছু করার নেই তখন, ইউএন এর জব ছেড়ে এখানে জয়েন করেছি। তাই আপাতত সে সব চিন্তা মাথা থেকে দূর করে কাজ শুরু করলাম। দেখা যাক কত দূর গড়ায়....... এ চিন্তা করলাম।
আমি ছিলাম একটা প্রজেক্টের প্রজেক্ট ম্যানেজার এবং অফিস ম্যানেজার। এবং আমার অফিস ছিল অন্য এরিয়ায় তাই ভাবলাম হয়তো কিছুটা বেচেঁ গেছি। তার সাথে ডে টু ডে মুখোমুখি হতে হবে না। যদিও পরে বুঝলাম তার হাত থেকে আমার বাঁচার কোন পথ ছিল না।
তো আমার প্রথম ধাক্কা:
যারা এনজিও সেক্টরে কাজ করেন তারা জানেন যে দেশের প্রতিটি প্রজেক্টের আইএমইডি রিপোর্ট জমা দিতে হয় প্রতি বছর বাজেটের আগে। আমার প্রজেক্টের সে রিপোর্ট গত অনেক বছর জমা হয়নি বলে সেখান থেকে কড়া চিঠি আসলো। তো সে চিঠি পাওয়া মাত্রই ভদ্রলোক আমাকে কড়া ভাষায় বিশাল চিঠি পাঠালো কেন রিপোর্ট জমা হচ্ছে না বছরের পর বছর? কিন্তু সে চিঠির কোথাও সে উল্লেখ করেনি যে আমি মাত্রই জয়েন করেছি এ প্রজেক্টে, এটা তারই দায়িত্ব ছিল এতোটা বছর।
"বস ইজ অলওয়েজ রাইট" তাই কথা না বাড়িয়ে রাত-দিন খেটেখুটে সব বছরের রিপোর্ট শেষ করার পর অফিসের প্রটোকল অনুযায়ী প্রজেক্ট ডিরেক্টর এর সই এর আগে তাকে দেখাতে গেলাম। তো সে তখন রিপোর্ট হাতে নিয়ে বললো, আপনি বসেন আমি একটু আসছি। ঠিক তার দশ মিনিট পর দেখি স্বয়ং প্রজেক্ট ডিরেক্টর এসে রিপোর্টটা আমার হাতে দিয়ে বেশ কড়া সুরে বললো, মিস নাহিদ, এবারের মতো রিপোর্টে সই করে দিয়েছি। কিন্তু আপনি প্রজেক্টের দায়িত্বে আছেন, এ রিপোর্ট করার দায়িত্ব আপনার, উনার না। আপনি উনাকে দিয়ে আপনার প্রজেক্টের রিপোর্ট করাচ্ছেন কেন? আর এরপর থেকে রিপোর্ট দিতে দেরী হলে আপনাকে কারন দর্শনার নোটিশ দেয়া হবে।
আমি এতেটাই হতভম্ব হলাম যে কথাই হারিয়ে ফেললাম।
দ্বিতীয় ধাক্কা:
আমার অফিসের জন্য একজন পিয়ন নেয়া হবে। সুতরাং রিক্রুটমেন্ট বোর্ডে আমি একজন মেম্বার ছিলাম। তো ভদ্রলোক আমাকে ডেকে বললো যে অমুক ডেপৃুটি সেক্রেটারীর ভাই এখানে এপ্লাই করেছে তাকে যেন আমি সিলেক্ট করি। তারপর তার সিভিটা আমার হাতে ধরিয়ে দিলো। আমি তার সিভি দেখে হতভস্ব হয়ে গেলাম, ইউনিভার্সিটি থেকে পাস করা ছেলে এবং যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আছে বিশেষকরে আইটি সেক্টরে। আমি তাকে জানালাম, ছেলেটি ওভার কোয়ালিফাইড। আর তার উপর একজন সেক্রেটারীর ছোট ভাইকে দিয়ে অফিসের বাথরুম পরিস্কার করানো বেশ কঠিন হবে। পান থেকে চুন খসলেই সবার চাকরী ধরে টান দিবে। তারপরও বললাম, ওকে যদি ফেয়ার রিক্রুটমেন্টে সে আসে তাহলে তাকে নিতে আমার আপত্তি নেই।
কিন্তু দু:খের বিষয় ছেলেটিকে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের বাকি মেম্বাররা সিলেক্ট করেনি। তারচেয়ে অনেক অভিজ্ঞতা সম্পর্ন একটা উপজাতি ছেলেকে সিলেক্ট করা হয়েছিল। তারপর বাকি গেইম খেললো ভদ্রলোক। তো সেই সেক্রেটারী সাহেবকে জানালো যে আমিই সে কালপ্রিট তার ভাইকে সিলেক্ট হওয়ার পরও যে চাকরী দেইনি।
তারপর আর যায় কোথায়, এর পর থেকে পুরো প্রজেক্টের কাজ মোটামুটি বন্ধ ও আমার জীবন সে সেক্রেটারী সাহেব মোটামুটি তেজপাতা বানায়ে ছাড়লো। যায়ই মিনিস্ট্রতে সাবমিট করি না কেন তাই ফেরত পাঠায়। প্রজেক্টের ফান্ড আটকে দেয়, সমস্ত খরচের হিসাব বাতিল করে দেয়। এ দিকে ডোনার থেকে কড়া চিঠি কেন কাজ হচ্ছে না আবার মিনিস্ট্রি থেকে ধাতানী কেন কিছু হচ্ছে না। মাঝখান থেকে সে ভদ্রলোক দারুন মজা নিচ্ছে সব দেখে আর ডিরেক্টর সাহেবকে আমার নামে অভিযোগের পর অভিযোগ করে যাচ্ছে।
যাহোক, প্রজেক্টের এর নিয়ম অনুযায়ী স্টেকহোল্ডারদের মিটিং কল দিতে হয় প্রতি বছর। যেহেতু এতােটা বছর কিছুই করা হয়নি তাই আমি ভদ্রলোককে বললাম মিটিং কল দেয়ার কথা। ভেবেছিলাম মিটিং এ সবকিছু খোলাসা করে ঝামেলা মিটিয়ে নিবো। তা্ই মিনিস্ট্রিতে মিটিং কল দিলাম। মিটিং এর আগ মূহুর্তে ভদ্রলোক আমাকে বললো, যেহেতু সেক্রেটারী এবং স্বয়ং প্রজেক্ট ডিরেক্টর মিটিং প্রিসাইড করবেন সেহেতু আমি যেন কোন কথা না বলি। যদি কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় তাহলে প্রটোকল অনুযায়ী উনিই দিবেন। আমি ওকে বলল্লাম।
তারপর, যখন সিটিং শুরু হলো এবং এবার সেই ডেপুটি সেক্রেটারী মোক্ষম সুযোগ পেলো আমাকে ঘায়েল করার। একের পর এক আক্রমণ করে যেতে লাগলো মিটিং এ। কেন প্রজেক্ট এতোদিন কিছু করেনি, কেন প্রজেক্ট এর টাকা আনা হচ্ছে না, কেন প্রজেক্ট বন্ধ আছে? ব্লা ব্লা ব্লা......
তখনই সে ধান্ধাবাজ ভদ্রলোক তার আসল চেহারা প্রকাশ করলো, বলে উঠলেন, এটা আমাদের প্রজেক্ট ম্যানেজার এর দায়িত্ব এবং এটা তার ব্যার্থতা, আমরা অফিসিয়ালি প্রজেক্ট ম্যানেজার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিবো।
আমি আবারো হা হয়ে গেলাম তার সুন্দর এ গেইম প্লান এ। এক ঢিলে দুই পাখি না, সে কয়েক'শ পাখি মেরেছে। কারন সবকিছু তারই দায়িত্বে ছিল এতোদিন। কিছুই করেনি সে। আমি বরং সে মরা প্রজেক্ট জীবিত করেছি। যদি ব্যাবস্থা নিতে হয় তাহলে তার বিরুদ্ধেই নিতে হবে, আমি মাত্রই জয়েন করেছি।
তারপর!! তারপর আর কি হবে?? ত্যাক্ত বিরক্ত হয়ে চাকরীটা ছেড়ে দিলাম।।
তবে অবশ্যই ভালো হয়েছিল আমার জন্য, এর চেয়ে দ্বিগুন বেতনে ফিরে গেছিলাম ইউএন এ।
সোহানী
মার্চ ২০২৪
বি:দ্র: একটা কথা প্রায় জিজ্ঞাসা করবো বলে মনে করি কিন্তু করা হয়ে উঠে না। একবার আমি দেশে যেয়ে ব্লগার নীল সাধুর কাছে বেশ কিছু ব্লগারদের নাম লিখে চকলেট এর প্যাকেট ও ফ্লেভারড চা এর প্যাকেট দিয়ে এসেছিলাম। এ চা প্যাকেটগুলো কানাডায় খুব জনপ্রিয়, ডেভিস টি বলি আমরা। উনাকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম সবাইকে যেন কষ্ট করে বুঝিয়ে দেয়। আর বাড়তি কয়েক কেজি চকলেট দিয়ে এসেছিলাম যেন যতটুকু পারা যায় সবাইকে দেয়। কিন্তু কেউ কোন জানান দেয়নি যে তারা তা পেয়েছে কিনা। যাদের নাম লিখে দিয়েছিলাম তারা হলো, জাদিদ, মনিরা, বিদ্রোহী ভৃগু, লিটন ভাই, আহমেদ জি এস ভাই, খায়রুল ভাই, করুণাধারা আপু, সেলিম ভাই, শেরজা ভাই, অপু তানভীর, ছবি আপু, রজিব সহ আরো ক'জনের জন্য । এখন সবার নাম ভুলে গেছি। (শায়মার নাম নেই কারন সে কারো সাথে দেখা করে না)।
কেউ কি পেয়েছিলেন?????????????
২৯ শে মার্চ, ২০২৪ ভোর ৬:৪৪
সোহানী বলেছেন: জীবন কঠিন বা সহজ তা পরিস্থিতির উপর। তবে যাই হোক ধৈর্য্য রাখা উচিত অবশ্যই।
২| ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৪২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
চা আর চকোলেট পেলে খারাপ হতো না!
২৯ শে মার্চ, ২০২৪ ভোর ৬:৪৪
সোহানী বলেছেন: কখনো সুযোগ হলে পাবেন নিশ্চয়ই।
৩| ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:০০
শায়মা বলেছেন: ঐ আপুনি !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
আমাকে ভুয়া মফিজ ভাইয়া চকলেট পাঠালো গিফট পাঠালো!! আমি সব পেলাম !!! খেলাম!!!! ছবি তুলে পোস্টও দিলাম!!!!!!!১ভুয়া ভাইয়াও কি আর দেখা করে !!! কাজেই সোনায় সোহাগা!!!!!!!
তুমি আমাকে পাঠিয়েই দেখতে কেমনে আমি চকলেত নিয়ে আতি!!!!!!!!!!!!! আমি না সকল কাজের কাজী!!!!!!!!!
যাই করেছো করেছো!! আমার ধারনা নীল ভাইয়া একাই সব চকলেট খেয়ে ফেলেছে নয়তো স্কুলের বাচ্চাদেরকে দিয়ে দিয়েছে! হা হা হা হা নাইলে কেউ না কেউ তো বলতোই!!!!!!!!!
ভালো হয়েছে আমাকে দাওনি তাই তো কেউ খেতে পাললো না!!!!!!!!!
আর তোমার জবের ঐ বদমাইস লোকের কথা পড়ে তার মাথায় দশটা বাড়ি দিতে ইচ্ছা করছে। নাম ঠিকানা পাঠায় দিও তো দেখি বেটারে কেমনে সাইজ করা যায়!!!!!!!! তেলবাজরা কিছুই পারে না কুটনামী আর বদনামী ছাড়া কিন্তু যারা সত্যিকারের কাজের তাদের এসবের কোনো দরকারই পড়ে না।
২৯ শে মার্চ, ২০২৪ ভোর ৬:৫১
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা আমি জানি তুমি সবই পারো। তেলবাজ ছাড়া দেশে কোথাও টিকা যায় না।
তবে তখন চিন্তা ছিল একটা দিন বইমেলায় সবার সাথে আড্ডা দিবো তাই এতো আয়োজন করে এতো কিছু নিয়ে গিয়েছিলাম। তারপর একে একে সবাইকে ম্যাসেন্জারে নক দিলাম কিন্তু তেমন কারো রেসপন্স পেলাম না। তাই নীলসাধুর কাছে পৈাছে দিয়েছিলাম। তুমি আড্ডায় আসবে না জানি তাই তোমার নাম লিখিনি প্যাকেটে।
আমার জীবনে এরকম বদমাস লোক শত শত। আমি হয়তো সুযোগ দেই তাই তারা আমার মাথায় কাঁঠাল ভাঙ্গে। যাকগা, আমি কিছু নিয়ে দু:খ রাখি না। কারন আমি ঠিকই ভালো কিছু পেয়ে যাই। আমার চাহিদা খুব কম। যা পাই তাতেই আমি সন্তুষ্ট থাকি।
৪| ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২৪
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: লেখাটা পড়লাম । বেশ মনোযোগ দিয়েই পড়লাম । পড়ে কষ্ট লাগলো ।
এবং বুঝলাম আপনি সবকিছু হজম করতে অভ্যস্ত । বর্তমান যুগের মেয়েরা এমনটা হয় না । উল্টো বসকে পটিয়ে ফেলে সব নিজের দখলে নিয়ে নেয় যদি বস পটনেবাজ হয় । আবার ওপড়তলা মানে বসের বসকে ম্যানেজ করে নিজের বসের জীবন ত্যানাত্যানা করে ফেলে । কথা কথায় রুলস এন্ড রেগুলেশন এবং সেই সাথে সেক্সুয়াল হেরেজম্যান্টের ব্যাপার তো বোনাস হিসাবে থাকে ।
যাই হোক , বস ওল ওয়েজ রাইট নয়, এটা পুরাতন ধারনা ।
আপনার জায়গায় আমি হলে জানার পরে এমন লোকের আন্ডারে জয়েন্ট করতাম না ।
২৯ শে মার্চ, ২০২৪ ভোর ৬:৫৭
সোহানী বলেছেন: আমি জয়েন করার পর জেনেছি।
হাঁ, আমি ধৈর্য্য রাখার চেষ্টা করি সবসময়ই। আরো নোংরা পলিটিক্সে আমি থাকি না। আমার যা পারিবারিক বা সামাজিক ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল বা আছে তা দিয়ে ওই লোকের শায়েস্তা করা কোন ঘটনাই ছিল না। এর আগেও আরেকটা ঘটনা লিখে ছিলাম। এক মহিলা আমার জীবন ভাজা ভাজা করে দিয়েছিল। কিন্তু আমি কিছুই বলিনি। চ্যালেন্জ হিসেবে নিয়েছিলাম।
এতো পলিটিক্স করে চাকরী আমার দরকার ছিল না কখনই। কারন আমি জানি আমার চাকরী পাওয়া কোন ঘটনা না।
৫| ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমার জন্য চকোলেট পাঠানোতে ধন্যবাদ। পাওয়া না পাওয়া ভাগ্যের বিষয়। তবে শায়মার ঠিকানা না জানা থাকলেও গিফট পাওয়ার ক্ষেত্রে তার ভাগ্য অসাধারণ বলতে হবে । তার কমেন্ট থেকে সেটা সুনিশ্চিৎ।
চকোলেট পাঠানোতে ভালোলাগা । আপনার কর্মজীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন । সুন্দর শেয়ার।
২৯ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৭:০২
সোহানী বলেছেন: আপনি একবার ম্যাপল সিরাপ খেতে চেয়েছিলেন। আমি তা আনার চিন্তা করেছিলাম। কিন্তু বেশী ভারী বলে শেষ পর্যন্ত আনতে পারিনি। তাই চা এনেছিলাম আপনার জন্য। তাও ভাগ্যে জুটলো না। কি আর করারে ভাই................
৬| ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:২০
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ব্লগে আপনার লেখা গুলি মানুষ খুব মন দিয়ে পড়ে, আপনাকে সম্মানও করে। এজন্য আপনি অনেক সহানুভুতি পাবেন। তবে আমি একটু ভিন্ন ভাবে বলতে চাই। ভালো হয় আপনি যদি কমেন্টটি না পড়েন। তার থেকে বেশী ভালো হতো যদি আমি কমেন্টটি না করতাম। তবুও করছি।
----------
প্রথমত, আপনি যদি হঠাৎ মারা যান, তখন আমরা আপনার স্ট্রাগলের কথা জেনে ঠিক কি করবো বুঝে উঠতে পারি নি।
দ্বিতীয়ত, আপনার মানসিকতা আমার ভালো লাগে নি। আপনার সাবঅর্ডিনেট আপনার বস হয়ে গেছে। পুরা বিষয়টা আপনি তেলবাজি বলে চালিয়ে দিয়েছেন। এটা ওয়ান সাইডেড স্টোরী। তাছাড়া আপনি কর্মক্ষেত্রে "ঝাড়ি" দিয়ে চলা লোক। বিশ্বাস করেন, যে সব ম্যানেজার ঝাড়ি দিয়ে চলে, তারা কখনোই, কখনোই ভালো ম্যানেজার না। ম্যানেজারের কাজ হচ্ছে ম্যানেজ করা, ঝাড়ি দেওয়া না।
তৃতীয়ত, আপনিই লিখছেন ঐ লোক আপনার নিচে ছিলো, আবার আপনিই লিখছেন কিছু রিপোর্ট ঐ লোকেরই করার কথা ছিলো এত বছর, কিন্তু করে নি। তার মানে দাড়ায় আপনিই ব্যর্থ হয়েছেন ঐ লোককে দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে! দায় তো অটোমেটিক আপনার ঘাড়ে এসেই পড়ে, নাকি আমার ঘাড়ে পড়ে?
আর সব থেকে খারাপ লেগেছে আপনি মেয়ে বলে নিজেকে ভিক্টিম হিসাবে উপস্থাপন করবার একটা খুব বাজে চেষ্টা করেছেন। কোন প্রফেশনাল মানুষ এইটা করবে না, কক্ষোনই না।
----------
গতমাসে আমার অফিস থেকে তিনজনকে ছাটাই করা হয়েছে, তারা মূলত তেলবাজ ও ঐ ঝাড়ি দিয়ে চলা লোক ছিলো। তাদের প্রথম প্রথম ম্যানেজমেন্ট খুব তোয়াজ করলেও হঠাৎই গতমাসে তিনজনকে এক সাথে ছাটাই করা হয়েছে। এরা কখোনই টিকতে পারে না। আজকে দুপুরে তাদের বিদায় অনুষ্ঠান।
প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান দুনিয়ায় পয়দা হয়েছেই ব্যবসার জন্য (সে হোক নন প্রফিট বা ফর প্রফিট)। সেখানে আজেবাজে লোক টিকে না, টেকার কথা না। আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে আপনার ঐ লোকের কি হয়েছিলো।
শেষ প্রশ্ন, আপনি কি কখনও নিজেকে ঐ লোকের স্থানে রেখে দেখেছেন?
২৯ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৭:১৪
সোহানী বলেছেন: হয় আপনি আমার লিখা পড়েননি ঠিকভাবে নতুবা আপনি বুঝেননি আমি কি বলতে চেয়েছি।
আমি একটা প্রশ্ন করি আপনাকে। কত বছর আপনি চাকরী করছেন? এ চাকরী কি নিজের যোগ্যতায় জোগাড় করেছেন কোন রকম ধরাধরি ছাড়া? আর কি দেশে আছেন?
আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে আপনি খুব বেশী দিন চাকরী করেননি। এবং আপনার চাকরীর পিছনে লম্বা চওয়া হাত আছে। আর প্রফিট সেক্টর ছাড়া আপনার আর কোন অভিজ্ঞতা আছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ পোষন করছি।
যাহোক, আমি বলিনি আমার কথা আপনাকে বিশ্বাস করতে। আর এটা অবশ্যই ওয়ান সাইডেড স্টোরী। কারন এটা আদালত না যে আরেক সাইডকে কাউন্টার দিতে হবে।
যাই হোক, আমার উত্তর শুনে মন খারাপ করার কিছু নেই। অভিজ্ঞতা যেদিন বাড়বে সেদিন আমার লিখাটা আবার এসে পড়েবন। তখন বুঝতে পারবেন।
আর হাঁ, মরার আগে লিখার প্রশ্ন আসছে কারন অনেকেই তখন জানতে চেয়েছিল যে এরকম ৬ ডিজিটের বেতন, গাড়ি, ড্রাইভার, এ্যাসিসটেন্ট সহ এতো আরামের চাকরী আমি কেন ছেড়ে দিলাম। উত্তরটা এতো বছর দেইনি। বা কোন ব্যাখাও দেইনি। ১৪ বছর পর লিখছি। কারন গত বছর থেকে আমি খুব রিলাক্সে আছি। সবার সব প্রশ্নের উত্তর দেয়া শুরু করেছি।
ভালো থাকেন।
৭| ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:১৫
মিরোরডডল বলেছেন:
কারন, সে আমাকে বোঝাতে চেয়েছে, দেখ এখন আমি তোর বস। খুবতো ভাব নিছোস আমার সাথে, এবার তোর একদিন কি আমার একদিন!! এছাড়াও, মফস্বলের কলেজ থেকে পড়াশোনা করে সে এখন আমার বস পজিশনে ও আমাকে বিট করেছে। আমি ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়ে কি এমন করলাম!!!
সোহানীপু এই ভাবনাটা কিন্তু তোমার।
এমনও হতে পারে, সে এসব কিছুই ভাবছে না।
মফস্বলের কলেজ আর ঢাকা ইউনিভার্সিটির তুলনা করাটাও ঠিক হয়নি।
ভার্সিটি হলেই বেস্ট হবে আর মফস্বল হলেই মফু এর কিন্তু গ্যারান্টি নেই।
এটা যেমন সত্যি ঢাকা ভার্সিটির ছাত্ররা মেধাবী, আবার এটাও সত্যি রাজনৈতিক দলের রেফারেন্সে বহু রাম শাম যদু মধুও ওখানে পড়ে। একইভাবে মফস্বলেও অনেক মেধাবী আছে।
ইন্সটিটিউট দিয়ে সবসময় ছাত্রছাত্রীর মেধা জাজ করা যায়না।
পোষ্টে উল্লেখিত ঘটনায় দৃষ্টিভঙ্গির কনফ্লিক্ট ছিলো।
কার স্টাডি কোথায় সেটা মনে হয় ম্যাটার করেনি।
তাই ওটা মেনশন করা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে।
২৯ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৭:৩৬
সোহানী বলেছেন: মিরোরডল, এটা যদি আমি উপন্যাস হিসেবে লিখতাম তাহলে তার সাথে দীর্ঘ ১০ বছরের প্রতিটি কনফ্লিক্ট বোঝাতে পারতাম। যেহেতু ১০ বছরের সামারি তাই এরকম মনে হচ্ছে। কারন ঢকু ও মফু নিয়ে দীর্ঘ কনফ্লিক্ট ছিল। যেখানে সে আমার ফাইনান্স এ্যাসিসটেন্ট হিসেবে কাজ করতো সেখানে বড় বড় পজিশান দখল করেছিল মফুরা। তারা কোনভাবেই ইউনিভার্সিটির কাউকে ঢুকতে দিচ্ছিল না। আমরা যে অল্প ক'জন ছিলাম তারা কর্নারে ছিলাম। সে কনফ্লিক্ট এর জের আমি বল্লাম এভাবে।
এখন কে কিভাবে রাজনৈতিক দলের রেফারেন্সে বহু রাম শাম যদু মধুও ইউনিভার্সিটিতে পড়ছে তা নিয়ে আমি ব্যাখ্যা দিতে যাবো না। কিন্তু ওই যদু মধু ছাড়া সাধারন মেধাবীর সংখ্যায়ই বেশী। সে কারনেই তা ইউনিভার্সিটি মফস্বলের কলেজ না।
আর সে কি ভাবছে তা আমি জেনেছি আমার বেশ কিছু পুরোনো কলিগের কাছে। তারাই আমাকে জানিয়েছে। কারন তার অধীনে জবে ঢোকার পর সে তা ঢোল পিটিয়ে সবাইকে জানায়। অসংখ্য ফোন পাই তখন এবং সবাই জানতেে চেয়েছে আমি কিভাবে ওই ছেলের আন্ডারে চাকরী করছি। এ নিয়ে তখন খুব হাসাহাসি হয়েছিল আমাদের মাঝে। কারন তারাই আমাকে চ্যালেন্জ করেছিল যে আমি বছরও টিকতে পারবো না তার পলিটিক্সে।
আর হাঁ ঘটনায় দৃষ্টিভঙ্গির কনফ্লিক্ট থাকতেই পারে। কিন্তু ওই যে বল্লাম, ১০ বছরের সামারি। তাই আমার প্রতিটা ভাবনার পিছনে দীর্ঘ কাহিনী আছে তা এ মূহুর্তে লিখার ইচ্ছে নেই।
আর এ লিখাটা লিখেছি গুটি কয়েক মানুষের অনুরোধে। কারন তারা জানতে চেয়েছিল। তোমরা যদি পড়ে বিশ্বাস করো তাহলে ধন্যবাদ আর যদি বিশ্বাস না করলে তাতেও কিছু যায় আসে না। আমি লিখি নিজের আনন্দের জন্য কারো বিশ্বাস বা অবিশ্বাস এর জন্য না।
ভালো থাকো।
৮| ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:২৭
মিরোরডডল বলেছেন:
বি:দ্র: দিয়ে যা বললে, এতে করে কিছু ব্লগার ভীষণভাবে বিব্রত হবে।
তোমার উপহার পেয়েও যদি তারা তোমাকে থ্যাংকস না জানিয়ে থাকে, তাহলে তারা লজ্জিত হবে।
আবার যদি এমন হয় তারা পায়নি, নীল তাদেরকে কোন কারণে দিতে পারেনি, এখন নীল তারজন্য লজ্জিত হবে।
এ বিষয় পোষ্টে এভাবে না বললেও হতো।
যতদূর জানি তোমরা সবাই কম বেশি ফেইসবুকে আছো।
ওখানে ইনবক্সে নীলের সাথে ফলো আপ করতে পারতে।
এনিওয়ে আপু, আমি বললাম বলে আবার আমাকে যেনো ভুল বুঝো না।
ভালো থেকো সোহানীপু।
২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮
সোহানী বলেছেন: সরি সবাইকে স্কিপ করে তোমার মন্তব্যের উত্তরটা দিলাম।
ঘটনা ২০২০ সালের। আমি কখনই কাউকে এ কথা বলিনি কারন আমি ভেবেছিলাম কেউ না কেউ পেয়েছে অন্তত সবাই না হোক। কিন্তু একের পর এক জানতে পারলাম জী এস ভাই ছাড়া কেউই পায়নি। নীল সাধুকে কিছু সত্য প্রশ্ন করায় সে আমাকে ম্যাসেন্জারে ব্লক করে ও আনফ্রেন্ড করে সে ২০২১ এ।
তারপরও লিখতাম না। সামান্য একটু জিনিস দিয়ে খোঁজ নিতে ইচ্ছে হয়নি। লিখছি কারন সেদিন লিটন ভাই এর সাথে কথা প্রসঙ্গে এ কথা উঠলো। তাই আবারো অবাক হলাম। আমি অন্তত ব্লগারদেরকে প্রচন্ড বিশ্বাস করি। তাদের কাছ থেকে খারাপ কিছু আশা করিনি। এমন কিছু যখন দেখি তখন নিজের কাছে খারাপ লাগে।
ভালো থাকো। বাকি প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আসবো রাতে। ৪ দিন অফিস বন্ধ। মহা খুশী.....
২৯ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৭:৩৭
সোহানী বলেছেন: আশা করি তুমি তোমার উত্তর পেয়ে গেছো।
নীল সাধু সাহেব লজ্জিত হবেন কিনা তা জানি না। তবে আমি খুব লজ্জিত এরকম একটা বিষয় সামনে আনার জন্য।
৯| ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনার চাকুরি জীবনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা পড়লাম।কর্মক্ষেত্রে এত ভয়াবহ পরিবেশ বিশ্বের আর কোথাও আছে কি না সন্দেহ! বিদেশে বহু জাতির সাথে কাজ করেছি । সৌভাগ্যশত কোন বাংলাদেশীর সাথে একত্রে কাজ করার অভিজ্ঞতাও কখনও হয়নি। দুই চারটা হালকা তিক্ত অভিজ্ঞতা যা হয়েছে তা ঐ ইন্ডিয়ান ও পাকিস্তানিদের সাথে। বহির্বিশ্বে যেহেতু বাংলাদেশের কোন পজিটিভ ইমেজ নাই তাই , উপমাহদেশের ইন্ডিয়ান ও পাকি কিছু ফাজিল কয়েকবার আমার বাংলাদেশি পরিচয়টা হাইলাইট করে নীচু দেখানোর চেষ্টা করেছে । কিন্ত লাভ হয় নাই একেবারেই। সভ্য দেশের মানুষ এসব আচরনকে রেসিস্ট আচরন মনে করে।
২৯ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:০০
সোহানী বলেছেন: আমার ভাই বহু দিনের অভিজ্ঞতা। তার উপর দেশে বিদেশে, বিভিন্ন জাতীর সাথে কাজের অভিজ্ঞতা। এ মূহুর্তে কোন মন্তব্য করছি না এ নিয়ে। কারন কিছু বললে সবাই এ নিয়ে আদালত বসাতে চাইবে। উপরের কয়েকটা কমেন্ট দেখে মনে হচ্ছে তারা সবাই প্রথমেই ধরে নিয়েছে আমি মিথ্যেবাদী। তারপর পড়া শুরু করেছে।
যাহোক, সেটা যার যার পছন্দ। আমার লিখাতে আমি আমাকেই ডিফেন্স করবো সেটাই কথা। কারো ভালো না লাগলে সেটা তার সমস্যা। আর যথেস্ট বয়স এবং অভিজ্ঞতা হয়েছে। ভালো মন্দ কুটিলতা জটিলতা মানসিকতা বোঝার মতো যথেস্ট মানসিক পরপিক্কতা এসেছে।
তবে বহির্বিশ্বে কিন্তু আস্তে আস্তে বাংলাদেশের পজিটিভ ইমেজ তৈরী হচ্ছে। আমি অন্তত কানাডার ক্ষেত্রে সত্য বলবো।
১০| ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:১০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: আর লোক পেলেন না? নীল সাধুর কাছে দিলেন??
উনি তো আমাদের কিছুই জানান নাই।
চকলেট পাই নাই। কেউ পায় নাই সম্ভবত। পাওয়ার কথাও না।
আপনি যেদিন মেলায় গিয়েছিলেন তার পরদিন আপনি যাদের নাম উল্যেখ করেছেন তাদের প্রায় সকলে সাধুর দোকানের সামনে একত্রিত হয়েছিলাম এবং দীর্ঘ সময় ছিলাম। আফসোস প্যাক তো অনেক দূর,একটা চক্লেটও পেলাম না। চক্লেট রেখে গেছেন এমন কথাও শুনলাম না।
দু'চারটা চক্লেট হলেও নাহয় কথা ছিল,কয়েক কেজি চক্লেট ভেবেই আশ্চর্য হচ্ছি।সাত সমুদ্র তের নদীর পার থেকে নিয়ে আসা আপনার ভালো বাসা লুন্ঠিত হয়েছে দেখে আমার নিজেরই খারাপ লাগছে।
২৯ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:১১
সোহানী বলেছেন: রাজীব নুর এর কমেন্টস মুছে দেয়া হয়েছে। কি ছিল জানি না।
আপনি সেদিন না বললে তো জানতেই পারতাম না যে কেউই পায়নি। তাইতো ভাবছিলাম কেন কেউ কিছু বলেনি। আমি ভেবেছিলাম হয়তো দু'একজন পায়নি। কিন্তু কাউকেই দেয়নি তা শুনে খুব মন খারাপ হয়েছে। কি যে কষ্ট করে এ ২৩ কেজির দুই স্যুটকেস বহন করেছি শুধু তাই না, বইমেলার গেইট থেকে টেনে টেনে প্যাকেট নিয়ে ওই স্টল খুঁজে বের করা ছিল আরো চ্যালেন্জের। যদি কিছুও পেতেন তাহলে ভালো লাগতো।
বিশ্বাস ও সন্মান এর মূল্য বুঝলো না ভদ্রলোক। আরো অনেক কিছু সে পেতে পারতো সে আমার কাছ থেকে। কারন আমার প্লান ছিল তার ঘুড়ি স্কুলের জন্য এখান থেকে ফান্ড কালেক্ট করা। বাচ্চাদের জন্য কিছু করতে আমার বরাবরেই ভালো লাগে।
আমার জন্য ভালো হয়েছে। নতুবা হয়তো আরো বড় ধরা খেতাম তার কাছে। তার সন্মান না থাকতে পারে কিন্তু আমি যাদের সাথে চলি তাদের কাছে আমার সন্মানটা অনেক বড়।
ভালো থাকেন। দেখা হবে হয়তো কখনো।
১১| ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:২৬
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার উপহার পাওয়ার ব্যাপারে সবচেয়ে চমৎকার লিখেছেন, সেলিম আনোয়ার ভাই। বুদ্ধিমান মানুষ তিনি।
তবে কয়েকজন বেশ সিরিয়াস হয়ে গিয়েছেন দেখি
এই জীবনে চাকরি বাকরি করি নাই তাই সুখ কিংবা তিক্ত অভিজ্ঞতা নাই! আপনার তিক্ত অভিজ্ঞতার বয়ান শুনে আতঙ্কিত হলাম।
এখন বেশ ভাল আছেন- তাই না?
ভাল থাকুন নিরন্তর।
২৯ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:২৯
সোহানী বলেছেন: এই জীবনে চাকরি বাকরি করেন নাই তাই এ ধরনের প্যারা টের পান নাই। আমার অভিজ্ঞতার ভয়াবহ। আমার সমস্যা হলো আমি কাউকেই জড়াই না কোন কিছুতে। নিজের সমস্যার সমাধান করার চেস্টা করি অসীম ধৈর্য্য নিয়ে। কারো কাছে কিছু নিয়ে সাহায্য চাইতে ভালো লাগে না। হয়তো এটাও একটা সমস্যা।
এখন বেশ ভাল আছেন- তাই না?
আমি সবসময়ই ভালো থাকি যে কোন সময় যে কোন স্থানে। আনন্দ খুঁজে নিতে পারি আমি যে কোন কিছুতে। এটাই আমার ভালো থাকার রহস্য।
১২| ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮
করুণাধারা বলেছেন: একটি প্রফেশনাল মেয়ে একটি ছেলের চেয়েও হাজার গুণ বেশি চ্যালেঞ্জ ফেস করে ঘরে বা বাইরে, রাস্তা বা ঘাটে...।
আমি একশোটা ঘটনার কথা লিখতে পারি, যা এই বাক্যটিকে ব্যাখ্যা করবে। কিন্তু এখন আমার সময়ের অভাব তাই করতে পারছিনা। তবে বাক্যের শুরুতে "আমাদের দেশে" এই শব্দ দুটি থাকলে অর্থ আরো ভালোভাবে বোঝাতো!
হীনমন্যতায় আক্রান্ত মানুষেরা হীনমন্যতা কাটাতে এভাবে অন্যকে হেয় করার পথ খুঁজতে থাকে। এই ছেলেটাও তাই ই করেছে। বুঝতে পারছি কি প্রচন্ড হতাশা আর গ্লানির মধ্যে দিয়ে গেছে তোমার সেইসব দিনগুলো। তবে জীবনে এমন অভিজ্ঞতা থাকারও দরকার আছে।
বি: দ্র: সত্য যতই তিক্ত হোক সেটা ঢেকে রাখা উচিত না। এই breach of trust কেও একটা অভিজ্ঞতা অর্জন হিসেবেই ধরে নাও... মনে হয় চার বছর মনের সাথে লড়াই করেছ এটা জানতে চাইবে কিনা তাই ভেবে... না, আমি পাইনি। সম্ভবত কেউই পায়নি। তুমি বিদেশের কর্মব্যস্ততার মাঝে ফুরসত করে দোকানে কিনলে, সেটা প্যাকেট করলে, সুটকেসে ভরলে, সেই ভারী সুটকেস টানলে উঠালে নামালে, দেশে এনে আনপ্যাক করে সেগুলো একজনের কাছে পৌঁছে দিলে আমাদের দেবার জন্য, তোমার সেই ভালোবাসার উপহার পাবার পর তোমাকে জানাবো না, এতটা যান্ত্রিক তো আমরা না! আমার প্রিয় একটা বাক্য এখন শেয়ার করি: Keep your face to sunshine, you won't see the shadow.
২৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:০৮
সোহানী বলেছেন: আপু, আমাদের দেশ বলিনি কারন আমার অভিজ্ঞতা বলতে গেলে সবখানেই এরকম। আগে ভাবতাস বিদেশে মনে হয় এতো সমস্যা নেই মেয়েদের। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সবখানেই একই, কম বা বেশী।
আপনি খুব সহজভাবেই ঘটনাগুলো বিশ্লেষন করতে পেরেছেন। অভিজ্ঞতা এবং সময় একটি মানুষকে অনেক গভীরে বুঝতে সাহায্য করে। ধন্যবাদ আপু, আমিও চেষ্ট করি ঘটনার বিশ্লেষন আগে করতে তারপওর জাজমেন্ট।
আমি আসলেই কোনভাবেই বিশ্বাস করিনি যে এ লোক একজন কেও দিবে না। আমি ভেবেছিলাম ১০% হয়তো মিসিং হবে কিন্তু ১০০% মিসিং খুব পীড়াদায়ক। আর সবচেয়ে বড় কথা, আমি মাত্র এক সাপ্তাহের ডিসিশানে দেশে গিয়েছিলাম বিশেষ প্রয়োজনে। এই এক সাপ্তাহে উচ্চ মূল্যে টিকেট কাটা, সবার জন্য গিফট কেনা, নিজের ব্যাগ গোছানো............. কঠিন ছিল। আমার সে সব কষ্ট ভেস্তে গেল এই আর কি।
অনেক ভালো থাকুন।
১৩| ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৫
জনারণ্যে একজন বলেছেন: জাস্ট স্মৃতি রোমন্থন -
- লেখা চুরি করে যে - লেখা চোর
- ছাগল চুরি করে যে - ছাগল চোর
- ঘটি-বাটী চুরি করে যে - ছিঁচকে চোর
- সিঁদ কেটে চুরি করে যে - সিঁদেল চোর
...........
...........
- মন্তব্য চুরি করে যে - মন্তব্য চোর
- চকলেট চুরি করে যে - চকলেট চোর
শিশুকালে আমিও চকলেট চুরি/ছি*নতা^ই করেছি সমবয়সীদের কাছ থেকে; মাগার পরিণত বয়সে কেউ এই আকাম করতে এই প্রথম শুনলাম। সম্ভবতঃ বৃদ্ধ বয়সে যারা চকলেট চুরি করেন, ওনারা অন্তরে একজন শিশু লালন করেন।
কিংবা কে জানে - হয়তো স্বভাবদোষ!
২৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১০
সোহানী বলেছেন: আমি ভদ্রলোকের ব্যাপারে যথেষ্ট হতাশ। চার বছর পরে বল্লাম হতাশার কথা। তবে সত্য, এটা আমার জন্য ধাক্কা। অন্ধের মতো ব্লগারদেরকে বিশ্বাস করা উচিত না তা বুঝলাম। কারন ব্লগ আমার কাছে ভীষন পজিটিভ একটা জায়গা।
১৪| ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৪৪
নিমো বলেছেন: অতি কঠিন ও বাস্তব কথা খুব সহজে করে লিখে ফেলেছেন। এই পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যে না গেছে, তার পক্ষে এটা অনুভব করা রীতিমত দুরুহ। আমার মা আমার চল্লিশ দিন বয়সে কর্মক্ষেত্রে যুক্ত হয়েছিলেন, তারপর একটা দীর্ঘ সময় সংসার ও কর্মক্ষেত্রের ভারসাম্যটা বজায় রাখার অক্লা্ন্ত পরিশ্রমটা চালিয়েছেন। আপনাকে অন্তস্থল থেকে শ্রদ্ধা। আর বিঃদ্রঃ প্রসঙ্গে রবি ঠাকুরের ভাষায় বলি কত বড় আমি’ কহে নকল হীরাটি, তাই তো সন্দেহ করি, ‘ নহ ঠিক খাঁটি ‘।
২৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১২
সোহানী বলেছেন: আমি আমার প্রথম বাচ্চার ক্ষেত্রে ২২ দিন পর জয়েন করি। দ্বিতীয় বাচ্চার ক্ষেত্রে ১৫ দিন পর জয়েন করি অফিসে.............।
সে আরেক কাহিনী........।
ধন্যবাদ নিমো।
১৫| ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১:০৭
কাছের-মানুষ বলেছেন: আপনার চাকরি জীবনের অভিজ্ঞতা বেশ ভয়াবহ! অফিসের সেই ছেলেটির এখন কি অবস্থা? জানতে ইচ্ছে করছে!
২৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩
সোহানী বলেছেন: আমি খুব কমই পিছন ফিরে তাকাই। কি দরকার!
১৬| ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:৪২
এমজেডএফ বলেছেন: একটি প্রফেশনাল মেয়ে একটি ছেলের চেয়ে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জ ফেস করে ঘরে বা বাইরে, রাস্তা বা ঘাটে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কথাটা সঠিক হলেও কিছু কিছু প্রফেশনে মেয়েরা প্রিভিলেজ পায়। প্রায় প্রতিটি চাকরিতে আপনি যুদ্ধ করে গেছেন জেনে মর্মাহত হয়েছি। কারণ চাকরিতে স্বাচ্ছন্বোধ করতে না পারলে ও প্রশান্তি না থাকলে তা ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
আমাদের সবার ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও চাকরি জীবনে বিভিন্ন কারণে দ্বন্দ্ব বা মতবিরোধের (Conflict) সৃষ্টি হয়। এই দ্বন্দ্বকে যথাসময়ে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে তা অনেক সময় বড় যুদ্ধে পরিণত হতে পারে। কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে আপনার লেখা অনেক পোস্ট আগেও পড়েছি। দুর্নীতিবাজ, তেলবাজ ও তোষামোদী না হওয়ার কারণে বেশিরভাগ চাকরিতে আপনার সাথে সহকর্মী বা সিনিয়র কর্মকর্তাদের সাথে দ্বন্দ্ব বা মতবিরোধের (Conflict) সৃষ্টি হয়েছে যা অনেক ক্ষেত্রে যুদ্ধে পরিণত হয়েছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ঠিকে থাকার এই সাহসী মনোভাবের জন্য আপনাকে অভিনন্দন!
আপনার অনেগুলো ভালো গুণের সাথে গুটি কয়েক দুর্বলতাও আছে বলে আমার মনে হয়েছে। এগুলো একান্ত আমার ব্যক্তিগত অভিমত এবং তা আপনার দৃষ্টিতে সঠিক নাও হতে পারে।
যুদ্ধার্থী
সব দ্বন্দ্ব বা মতবিরোধে জেতার জন্য যুদ্ধ করার প্রয়োজন হয় না। বিকল্প অনেক ভাবে দ্বন্দ্ব বিরোধ করা যায়। সবচেয়ে ভালো হয় যাতে কোনো রকমের কনফ্লিক্ট সৃষ্টি না হয় সেজন্য আগে থেকেই সজাগ থাকা। এক সময়ের আপনার সাবঅর্ডিনেট এখানে আপনার বস হয়ে গেছে - এটা আপনি মেনে নিতে পারেন নি। অর্থাৎ কনফ্লিক্টটা শুরু হয়েছে আপনার থেকেই। সেটি পারপার্শ্বিক কারণে পরে যুদ্ধে পরিণত হয়েছে।
Superiority Complex
শিক্ষা ও কর্ম যোগ্যতা বেশি থাকলেও পদ-পদবীর কারণে সিনিয়রিটি মেনে নিতে হবে। মানতে না পারলে কনফ্লিক্ট সৃষ্টি হবে। মফস্বলের কলেজ আর ঢাকা ইউনিভার্সিটির তুলনা করাটা আমার কাছে Superiority Complex মনে হয়েছে। ব্যাপারটা এমনও নয় যে তেলবাজীর কারণে আপনাকে ডিঙ্গিয়ে তাকে প্রমোশন দেয়া হয়েছে। সে আগে থেকেই এই পোস্টে ছিল। যেটি আপনি মেনে নিতে না পারায় কনফ্লিক্টের সৃষ্টি হয়েছে। সে এখানে আপনার সাথে বসগিরি দেখাবার সুযোগটি কাজে লাগিয়েছে। এটা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি।
কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
মিরোরডডলের ৭ নম্বর মন্তব্যের প্রতিউত্তরে আপনার দেওয়া তথ্যগুলো পড়ে খুবই হতাশ হলাম! উত্তরটি আগাবাগে দিয়ে খুবই বুদ্ধিমানের কাজ করেছেন। অন্যথায় অনেকে আপনাকে ভুল বুঝতো। আমিও ভুল বুঝে মনে করেছিলাম - সামান্য কিছু চকলেট নিয়ে এতদিন পরে পোস্ট দেওয়ার কোনো প্রয়োজন ছিল না! আপনি তিন বছর এ ব্যাপারে ব্লগে কিছু বলেননি, অনেক ধৈর্য্য ধরেছেন। যে কোনো ব্লগারের অনৈতিক ও অসাধু কার্যকলাপকে গোপন করা বা পক্ষে সাফাই গাওয়া মানে অন্যায়কে প্রশয় দেওয়া। আমাদের সবার উচিত যে কোনো ব্লগারের এ ধরনের প্রতারণা বা অসাধু কার্যকলাপ জনসন্মুখে প্রকাশ করে সবাইকে সাবধান করা।
মানুষ নিয়ে আমার জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি এই ব্লগে ৯৫% ব্লগার ভন্ড, বহুরুপী, ও ভাওতাবাজ! এরা এখানে একেকজন দেশপ্রমিক, দানশীল, সমাজসেবক, সুশীল, সভ্য, ভদ্র, সংস্কৃতিবান, প্রগতিশীল, সাহিত্যিক, কবি, লেখক, ধর্মপরায়ন ইত্যাদি লেবাস নিয়ে নিজেকে জাহির করছে - এগুলো সব ভন্ডামী। এদের আসল চরিত্র দেখলে আপনি টাশকি খাবেন! ব্লগের পোস্ট ও মন্তব্য নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করলে ৯০% ব্লগারের ভন্ডামী অনায়াসে বুঝা যায়। ব্যক্তিগত যোগাযোগ ও অর্থ/চকলেট লেনদেন করলে বাকী ৫%-এর ভন্ডামী চরিত্রও এভাবে প্রকাশ পায়।
নীলসাধুর ব্যাপারে অনেক আগে কিছু ব্লগার বই প্রকাশের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেছিলেন। মডারেটর সেই অভিযোগকারীদের অভিযোগ ডিলিট করে ওল্টো ওদেরকে ব্লক করেছিলেন। তখন ব্যাপারটাকে অন্য ব্লগাররা খুব একটা গুরুত্ব দেয় নাই। চকলেট কেলেঙ্কারি ঘটনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, নীলসাধুর বিরুদ্ধে অতীতের সেসব অভিযোগও হয়তো সত্য ছিল।
যাইহোক, এখানেও দেখা যাচ্ছে যে, মডারেটর বিভিন্ন মন্তব্য মুছে দিয়ে নীলসাধুকে রক্ষা করার মানবিক(!) দায়িত্ব পালনে আবারও সক্রিয় হয়েছেন! যাইহোক এ ব্যাপারে নীলসাধুর মতামত জানার অপেক্ষায় রইলাম।
২৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:২১
সোহানী বলেছেন: শতভাগ শুদ্ধ মানুষ নেই। আমিও শতভাগ শুদ্ধ নই। সুপিরিয়র কমপ্লেক্স বা যুদ্ধার্থী মনাভোব হয়তো আছে বা ছিল। তা স্বীকার করেই আমার দীর্ঘ প্রফেশনাল জীবন কাটিয়েছি। তবে শুধু ধাক্কাই না, অনেক অনেক পুরস্কারও পেয়েছি এ জীবনে। যার কারনে প্রফেশনাল জীবন এতো দীর্ঘ। তবে যেটা আমি করি, সহজে হাল ছাড়ি না, হতাশ হই না। কোন না কোন ভাবে উপায় বের করি।
আর নীলসাধুর ব্যাপারে যা বললেন বা আরো অনেকে বলেছে তা আমিও সমর্থন করি। একজন ব্লগার এ ধরনের মানসিকতার তা ভাবলে খারাপ লাগে।
আমি হয় তো মানি আপনার কথা তারপরও বলবো জীবনের অন্য দিকে যাই থাকুক, ব্লগিং প্লাটফর্মে একটি মানুষের কোমল দিকই দেখা যায় বেশী।
১৭| ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০১
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা চকলেট আমি পেয়েছি।
খুব মজার চকলেট ছিলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
২৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:২২
সোহানী বলেছেন: তাই নাকি। আপনাকেও ধন্যবাদ।
১৮| ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: শুরুতেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আপু আপনার আন্তরিকতা পূর্ন যত্নে এত দূর থেকে বহন করে নিয়ে আসা উপহার এর ব্যাপারে আপনাকে আপডেট দেইনি বলে।
আপনি আমাকে ইনবক্সে জানিয়েছিলেন যে এক রঙা ঘুড়ির স্টলে রেখেছেন আমার গিফট। আমি দু একদিন পর বই মেলায় ঘুড়ি স্টলে ব্লগার নীল সাধু’র কাছে চেয়েছিলাম। ব্লগার নীলসাধু বলছেন অল্প কিছু চকলেট সেগুলো ছোটরা প্রায় সব শেষ করে ফেলেছে। যা আছে সেখান থেকে আপনি নিবেন? নাকি স্টলের বাচ্চারা খেয়ে ফেলবে ?
বুঝতেই পারছেন আমার উত্তর কী ছিলো !
সুতরাং কাজীর গরু কেতাবেই রইলো, গোয়ালে আর এলো না।
২৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৩০
সোহানী বলেছেন: মনিরা, ৮/১০ কেজি চকলেট আর ১৫টা টি ব্যাগের প্যাকেট যদি অল্প কিছু হয় তাহলে নীলসাধুর কাছে জানতে হবে অল্পের সংজ্ঞা। এটা সে আগে বলে দিলেই পারতো তাহলে আরেকটু বেশী দিতাম ।
আমি কোনভাবেই তাকে এরকম ভাবিনি। শিশুদের নিয়ে কাজ করে তাকে সৎ আশা করেছিলাম। যাক, অনেকদিন পর কথাগুলো বলতে পেরে ভালো লাগছে।
দেখা হবে, আসো এখানে।
১৯| ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১১
মিরোরডডল বলেছেন:
এমজেডএফ বলেছেন:
মিরোরডডলের ৭ নম্বর মন্তব্যের প্রতিউত্তরে আপনার দেওয়া তথ্যগুলো পড়ে খুবই হতাশ হলাম! উত্তরটি আগাবাগে দিয়ে খুবই বুদ্ধিমানের কাজ করেছেন। অন্যথায় অনেকে আপনাকে ভুল বুঝতো। আমিও ভুল বুঝে মনে করেছিলাম
কথা সত্যি, প্রতিমন্তব্য বিস্তারিত না দিলে আমার মতো অনেকেই তোমাকে ভুল বুঝতো।
পোষ্টে এমনভাবে বলেছো যেন সম্প্রতি ঘটে যাওয়া, এখানে আপডেট নিচ্ছো পেয়েছে কিনা।
আসলে চার বছর আগের কাহিনী।
যে কথা তুমি প্রতিমন্তব্যে বলেছো সেটা যদি পোষ্টে উল্লেখ থাকতো, তাহলে আমার সেই মন্তব্য করারই দরকার হতো না।
আগের মন্তব্যে বলেছিলাম অন্যদের অস্বস্তির কথা কিন্তু ঘটনার যতটুকু জানলাম সেটা এতোটাই বিব্রতকর, কি আর বলবো আমারই লজ্জা লাগছে।
২৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৩৩
সোহানী বলেছেন: আবারো ফিরে আসার জন্য ধন্যবাদ।
আমি অবশ্য "ট্রাস্ট" শব্দটা বলবো। ব্লগে কেউ কিছু লিখলে আমি প্রথমেই তাকে বিশ্বাস করি তা সে যাই লিখে থাকুক। তারপর তা বিশ্লেষন করি। কারন ব্লগিং আমরা করি নিজের মনের আনন্দে, একটা বৃহৎ পরিবারের মাঝে নিজের কথা শেয়ার করা।
২০| ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৩৯
মিরোরডডল বলেছেন:
লেখক বলেছেন: তোমরা যদি পড়ে বিশ্বাস করো তাহলে ধন্যবাদ আর যদি বিশ্বাস না করলে তাতেও কিছু যায় আসে না।
কেনো বিশ্বাস করবো নাহ?
পোষ্টে উল্লেখিত তোমার জবের অভিজ্ঞতা নিয়ে আমি মন্তব্য করিনি, শেয়ার করেছো তাই থ্যাংকস। পড়লাম, জানলাম।
আমার কমেন্ট ছিলো ভিন্ন বিষয় নিয়ে।
কে কোথায় পড়ালেখা করেছে সেটা দিয়ে ব্যক্তিকে জাজ করিনা।
মফস্বলের ছাত্রও মেধাবী হতে পারে, আবার ঢাকা ইউনিতেও পড়েও অনেক অমানুষের দৃষ্টান্ত আছে।
মানুষের মতো মানুষ হওয়াটা জরুরী, কোত্থেকে হচ্ছে সেটা বিষয় না।
আমি এটাই হাইলাইট করতে চেয়েছি মাত্র।
থ্যাংকস আপু, ভালো থেকো।
০২ রা মে, ২০২৪ ভোর ৫:৫৫
সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ মিরোরডডল। দেরীতে রিপ্লাই এর জন্য দু:খিত।
২১| ৩০ শে মার্চ, ২০২৪ ভোর ৫:৪৩
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: চা আর চকোলেট পেলে খারাপ হতো না!
....................................................................
এটা সবাই আশা করতে পারে । তবে এ নিয়ে যা ঘটেছে
তার প্রকাশ খুবই যুক্তিযুক্ত । আমদের মানসিকতার উন্নয়ন দরকার ।
তোমরা যদি পড়ে বিশ্বাস করো তাহলে ধন্যবাদ আর যদি বিশ্বাস না করলে তাতেও কিছু যায় আসে না।
আমি লিখি নিজের আনন্দের জন্য কারো বিশ্বাস বা অবিশ্বাস এর জন্য না।
বিষয়টি অবশ্যই বিশ্বাস করার মতো ।
চাকুরী জীবনে এমন ঘটনার অভাব নেই ।
তবে একটা বিষয় আমি বুঝতে পারছিনা ।
এসব প্রতিষ্ঠানে প্রতিটি পদের বিজনেস অব রুলস থাকে ।
এবং কেঊ ব্যাত্যয় করলে তার প্রতিকারের কৌশল অবল্নন করা ।
০২ রা মে, ২০২৪ ভোর ৫:৫৬
সোহানী বলেছেন: সবখানেইতো রুলস্ আছে কিন্তু মানে ক'জন??? সবাই মানলেতো পৃথিবীই স্বর্গ হতো।
দেরীতে রিপ্লাই এর জন্য দু:খিত।
২২| ৩০ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:০৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার ছেলে তো আপু আপনাদের শহরে পড়তে গেলো।ইনশাআল্লাহ কখনো গেলে দেখা হবে।
০২ রা মে, ২০২৪ ভোর ৫:৫৭
সোহানী বলেছেন: তোমাকেতো আমার ফোন নাম্বার দেয়া আছে। ওকে দিয়ে দিও। যদি প্রয়োজন হয় কল দিতে বলোভ
দেখা হবে নিশ্চয়।
২৩| ৩০ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: স্তম্ভিত এবং মর্মাহত হলাম। সত্যিই, ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল আপনাকে।
০২ রা মে, ২০২৪ ভোর ৫:৫৮
সোহানী বলেছেন: এটাই বাস্তবতা। আরো ভয়ংকর দিন গেছে সোনাবীজ ভাই। তারপরও অনেক ভালো আছি।
২৪| ৩১ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৪২
জনারণ্যে একজন বলেছেন: “মানুষ নিয়ে আমার জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি এই ব্লগে ৯৫% ব্লগার ভন্ড, বহুরুপী, ও ভাওতাবাজ! এরা এখানে একেকজন দেশপ্রমিক, দানশীল, সমাজসেবক, সুশীল, সভ্য, ভদ্র, সংস্কৃতিবান, প্রগতিশীল, সাহিত্যিক, কবি, লেখক, ধর্মপরায়ন ইত্যাদি লেবাস নিয়ে নিজেকে জাহির করছে - এগুলো সব ভন্ডামী। এদের আসল চরিত্র দেখলে আপনি টাশকি খাবেন! ব্লগের পোস্ট ও মন্তব্য নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করলে ৯০% ব্লগারের ভন্ডামী অনায়াসে বুঝা যায়। ব্যক্তিগত যোগাযোগ ও অর্থ/চকলেট লেনদেন করলে বাকী ৫%-এর ভন্ডামী চরিত্রও এভাবে প্রকাশ পায়।”
- @ এমজেডএফ এর উপরোক্ত মন্তব্যের সাথে শতভাগ একমত। ব্যক্তিগত জীবনে আদার ব্যাপারী; এমন অনেককেই ভার্চুয়াল লাইফে এসে জাহাজ কিনে তাতে আবার ঘুরতেও দেখেছি।
মন্দ কি! এতে করেও যদি দুধের স্বাদ ঘোলে মিটিয়ে ভালো থাকা যায়..... থাকুক নাহয়।
০২ রা মে, ২০২৪ ভোর ৬:০০
সোহানী বলেছেন: থাক না যে যার মতো শুধু ভদ্রবেশে বাটপারী না করলেই হলো।
তারপরও বলবো, আছে অনেকেই যাদেরকে আপনি বিশ্বাস করতে পারবেন।
২৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনার এখানে ঠগ কে নিয়ে মন্ত্যব্য করায় সামু রাজিব নুরকে ব্যান করেছে বলে রাজিব সামুর ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়েছে। সেই পোস্ট দেখে আজকে আবার এই পোস্টে এলাম।
ছিন্নমূল শিশু,স্কুল আদতে এসব হচ্ছে ভন্ডামি, মুল হচ্ছে ভবঘুরের ধান্দাবাজি। যাক অল্পের উপর দিয়ে ফাড়া কাটা গেছে আপু।অন্যথায় ৩৫ কেজি চক্লেটের স্থলে ৩৫শ ডলারও হতে পারতো
০২ রা মে, ২০২৪ ভোর ৬:০৯
সোহানী বলেছেন: লিটন ভাই, দীর্ঘদিন লোকাল এনজিও নিয়ে কাজ করেছি। তারউপর ছিলাম ফাইনান্স এ। এদের নাড়ি নক্ষত্র আমার চেনা।
লোকাল এনজিওগুলো কাইন্দা কাইটা কিছু ফান্ড জোগাড় করে। তারপর নিজে হয় ডিরেক্টর, বউরে বানায় হেড মাস্টার কাম ম্যানেজার, পোলারে বানায় এ্যাকাউনটেন্ট................... এরপর সবার বেতন ভাতা দেবার পর দু-চার টাকা থাকে যা আদৈা ভবঘুরে বাচ্চাদের পিছনে খরচ হয় কিনা সন্দেহ। রাস্তা ঘাটের কয়েকটা বাচ্চা নিয়া ছবি তুলে। তারপর বছর শেষে একটা এ্যানুয়াল রিপোর্টে সে সব ছবি দিয়ে লম্বা চওড়া ফিরিস্তি দেয়।.................
আসলেও অল্পের উপর দিয়ে ফাড়া কাটা গেছে। এ লোক কিভাবে এখনো বড় বড় ডায়ালগ দেয় তা দেখে অবাক হই, সামান্যতম লজ্জাবোধও নেই
২৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রফেশনাল জীবনে নারীগণ পুরুষের চেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেন, এ কথা সত্য। অতীতে এ সমস্যটা নারীদের জন্য বর্তমানের চেয়ে অনেক বেশি প্রকট ছিল। আশার কথা, ধীরে হলেও অবস্থার উন্নতি হচ্ছে, অনেক অফিসেই এখন নারীবান্ধব পরিবেশ বিরাজমান।
দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে আমি আমার নামে বরাদ্দকৃত চকোলেট উপহার পাই নি; তবে এটাও জানাচ্ছি যে আমি নিজ থেকে সেই উপহারের ব্যাপারে যোগাযোগ করিনি। ভেবেছিলাম, প্রতিদিনই যেহেতু ব্লগে কিছুক্ষণের জন্যে হলেও উপস্থিত থাকি, কেউ না কেউ হয়তো আমাকে জানাবেন। আর পাইনি বলে লজ্জায় সে কথাটা আপনাকেও জানাইনি। আপনাকে অনেক, অনেক ধন্যবাদ, অনেকের সাথে আমার কথাও আপনি স্মরণ করেছেন এবং এতদূর থেকে সে উপহার বয়ে এনেছিলেন।
"সাত সমুদ্র তের নদীর পার থেকে নিয়ে আসা আপনার ভালো বাসা লুন্ঠিত হয়েছে দেখে আমার নিজেরই খারাপ লাগছে" -- গিয়াস উদ্দিন লিটন এর এ উষ্মার সাথে একাত্ম বোধ করছি।
"Keep your face to sunshine, you won't see the shadow" - চমৎকার এই বাক্যটির জন্য করুণাধারা কে ধন্যবাদ।
'কত বড় আমি’- কহে নকল হীরাটি, তাই তো সন্দেহ করি, ‘নহ ঠিক খাঁটি‘ - নিমো এর এ উদ্ধৃতিটিও চমৎকার।
বাকি মন্তব্যগুলোর উত্তর দিচ্ছেন না কেন? আপনি তো সাধারণতঃ এমন করেন না।
০২ রা মে, ২০২৪ ভোর ৬:১৯
সোহানী বলেছেন: একটু ব্যাস্ত ছিলাম আকাজে, তাই ব্লগে ঢুঁ দিতে পারছিলাম না। আন্তরিকভাবে দু:খিত দেরীতে উত্তর দেবার জন্য।
কবে আসবেন কানাডায় আবার। এবার আসলে অবশ্যই আমার শহরে থাকবেন ২/১ দিন।
আসলে, ব্লগ বা ব্লগের মানুষগুলো আমার জন্য বিশেষকিছু। প্রফেশনাল জীবনে এতো বিড়ম্বনার মাঝে থাকতাম বলে ব্লগের মানুষগুলোকে হয়তো বিশ্বাস করতাম। যাহোক, এটা তেমন কিছু না। কিছু লোক হয়তো বিশ্বাস, ভালোবাসা, আন্তরিকতার মূল্যই বুঝে না। কারন সে শিক্ষায় হয়তো সে পায়নি জীবনে। এরকম কত শিক্ষাইতো আমরা পাই না।
অনেক ভালো থাকেন।
২৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:২৫
আলাপচারী প্রহর বলেছেন: আমার বিশ্বাস আপনি পারতেন।
তবুও চাকরি ছাড়ার আগে তাকে সাইজ করলেন না, বুঝলাম না।
০২ রা মে, ২০২৪ ভোর ৬:২০
সোহানী বলেছেন: পারতাম কিন্তু করিনি। অফিস পলিটিক্স ভালো লাগে না।
২৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:০১
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,
ব্লগে তেমন সময় করে ঢোকা হয়না তাই এমন কষ্টকর অভিজ্ঞতার পোস্টটি ঠিক সময়ে দেখা হয়ে ওঠেনি, দুঃখিত।
আপনার সেই সব দিনগুলো কি প্রচন্ড হতাশা আর গ্লানির মধ্যে দিয়ে গেছে বুঝতে পারছি।
করুণাধারার কথাটিই তুলে ধরছি - "হীনমন্যতায় আক্রান্ত মানুষেরা হীনমন্যতা কাটাতে এভাবে অন্যকে হেয় করার পথ খুঁজতে থাকে।"
এই চর্চ্চাই আমাদের দেশে প্রকট, অন্যকে হেয় করা।
যাক, বেঁচে গেছেন এমন সব লোকের হাত থেকে।
আপনার ভালোবাসার স্মারক চকলেট এবং চা যে আমি পেয়েছি তা আপনাকে জানিয়েছি। তবে অবাক হচ্ছি, এখানের অনেকের মন্তব্যে দেখলুম; তারা নাকি সেসব পাননি। কি কান্ড!!!!!!!!
ভালো থাকুন এবং নির্বিবাদে..................
০২ রা মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৭
সোহানী বলেছেন: আপনি পেয়েছেন জেনে আমি ভেবেছিলাম বাকিরা নিশ্চয় পেয়েছে। কারন আমি প্যাকেটের গায়ে সবার নাম লিখে দিয়েছিলাম। তাই অপেক্ষা করছিলাম সবার জন্য। আবার কাউকে জিজ্ঞাসা করতেও খারাপ লাগছিল পাছে নীল সাধু (মাসুদ) সাহেবকে ছোট করা হয়। কারন তাকে এ দায়িত্ব দিয়েছিলাম। যাহোক, অনেকদিন পর পুরো বিষয়টা ক্লিয়ার হওয়াতে ভালো লাগছে যে লোকটির পরিচয় সবাই বুঝতে পারছে।
"হীনমন্যতায় আক্রান্ত মানুষেরা হীনমন্যতা কাটাতে এভাবে অন্যকে হেয় করার পথ খুঁজতে থাকে।" এই চর্চ্চাই আমাদের দেশে প্রকট, অন্যকে হেয় করা। যাক, বেঁচে গেছেন এমন সব লোকের হাত থেকে।
আলহামদুলিল্লাহ্.....। সত্যিই বেঁচে গেছি। আমার জীবন থেকে এ ধরনের লোকদের ঝেঁটিয়ে বিদেয় করেছি।
২৯| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনার প্রফেশনাল জীবনের এক সময়কার কিছু মনুষ্যসৃষ্ট দুর্গতি
আর পোষ্টের ফুটনোটে থাকা চকলেট কাহিনী শুনে মর্মাহত হলাম।
কোনটাই ছিল না কাম্য তাও ঘটে গেল ।
প্রায় মাস খানেক হতে চলল । ব্লগে নেই কেন ।
শরীর ভালতো , নাকি পুরানো সেরকম কোন
প্রফেশনাল ঝামেলায় ব্যস্ত সময় যাচ্ছে ।
নাকি হলিডে পার করছেন সবকিছু
থেকে বিরতি নিয়ে ।
যাহোক, ভাল থাকুন , সুস্থ থাকুন
এ কামনাই করে গেলাম ।
শুভেচ্ছা রইল
০২ রা মে, ২০২৪ ভোর ৬:৩৩
সোহানী বলেছেন: অকাজে বিজি ছিলাম আলী ভাই। তাই ব্লগে আসা হয়নি।
কোনটাই কাম্য ছিল না তবে অফিস নিয়ে আমি এতো বেশী দেখেছি তাই কমপ্লেইন নেই। কিন্তু চকলেট কাহিনী নিয়ে আমিও প্রচন্ড হতবাক হয়েছি। সামান্য ক'টা চকলেট বা চা প্যাকেট এর লোভ সামাল দিতে পারলো না!!! লোভ থেকেও বিশ্বাসভঙ্গ ছিল আরো ভয়ংকর।
আপনার শরীর কেমন এখন? নিউইয়র্ক ছাড়া অন্য শহরে যাবার সময় করতে পারছি না তাই আপনাকে জানাইনি। গেলে জানাবো নিশ্চয়।
অনেক ভালো থাকেন।
৩০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৮
আরাফআহনাফ বলেছেন: লে বাবা , লিস্টিতে আমার নাম নাই - তাই চকলেট জুটলো না কপালে আর তাই টেনশানও নাই - পাইলাম, কী পাইলাম না!!
জোকস এ পার্ট।
আপনার জবের পুরো কাহিনী শুনে যতটা না কস্ট পেয়েছি তারচেয়ে ঢের বেশি কস্ট পেলাম গিফটগুলো সঠিক জায়গায় পৌঁছেনি জেনে - এমনও করে কেউ - ভাবতেই পারছি না !!!
বিশ্বাস আসলে কী? এর মর্যাদাই বা কী???
ভালো থাকুন অজস্র।
০২ রা মে, ২০২৪ ভোর ৬:৩৮
সোহানী বলেছেন: ভাইরে, বিশ্বাস আসলে কী? এর মর্যাদাই বা কী? তা যদি এ লোক জানতো তাহলে কি আর এ কাজ করে????
এরই মাঝে পোস্ট দেখলাম যে লোকটি সবাইকে বিদেশী চকলেট বিতরন সহ আড্ডার আহবান জানিয়েছে। তো আমার দেয়া চকলেট এর হিসাব দিবে কি সে আড্ডায়?? জানতে চাইলাম আর কি
গিফটগুলো সঠিক জায়গায় পৌঁছেনি জেনে আমি ও প্রচন্ড অবাক হয়েছিলাম।
ভালো থাকুন। গতবার পাননি তো কি হয়েছে, কানাডায় চকলেট এর দাওয়াত থাকলো।
৩১| ০৩ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৭
নীলসাধু বলেছেন: আমি ব্লগে নিয়মিত নই বলে আপনার এই পোষ্ট দেখিনি।
চকলেট বিষয়ে আমার যা মনে আছে তা বলছি।
প্রথম কথা আপনি ২/৩ কেজি চকলেট দেননি। এটি মিথ্যা। ভুল তথ্য দিয়েছেন।
আমাদের স্কুলের বাচ্চাদের জন্য একজন ২/৩ বস্তা চকলেট দিয়েছিলেন। আয়ারাল্যান্ড থেকে। আমাদেরই এক বন্ধু। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা সহ আমরা বহু মানুষ মিলে ২/৩ মাস সেই চকলেট খেয়েছি। যাকে পেয়েছি তাকেই দিয়েছি।
তো ২/৩ মন যেহেতু আমি চিনি ২/৩ কেজির হিসবাটাও আমার জানা।
আমি চকলেট সবাইকে দিয়েছি।
যেইসব ব্লগার আমাদের স্টলে এসেছিলেন তাদের সবাইকে। বিশেষ করে সামু এবং প্রথম আলর ব্লগার রা।
কে পেয়েছে কে পায়নি সেই হিসাব আর এতো বছর পরে মনে নেই।
যারা এসেছিলেন তারা পেয়েছে।
আপনি যাদের নাম দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে যারা গেছেন তাদেরকে দিয়েছি এটা আমার স্পষ্ট মনে আছে। সবাইকে দেয়া যায়নি কারণ সকলে স্টলে যায়নি।
জাদিদ জানে। সেও পেয়েছে।
কানাডা আর চকলেট অনেকের কাছে বিশেষ কিছু হতে পারে।
এই সাধুর কাছে কিছু না। জি, আমার কাছে নস্যি সবই।
আপনার জানা নেই সম্ভবত।
প্লিজ জেনে রাখুন।
আমি সবার কমেন্ট পড়িনি। এইসব নিয়ে এতো আলাপ আমার জানা ছিল না। সদ্যই আরেক পোষ্টের মন্তব্যে জানলাম।
এই এক পাল ইয়েহ নিয়ে আপনি ভালো আছেন।
হা হা।
ধন্যবাদ।
০২ রা জুন, ২০২৪ সকাল ৯:৩০
সোহানী বলেছেন: শুনেন মি: মাসুদ সাহেব ওরফে সাধু সাহেব, আপনার মতো বাটপার, ফালতু, বেহায়া লোক যেন আমার ব্লগে না আসে। আপনার সাথে কথা বলতেও আমার রুচিতে বাঁধে। ধন্যবাদ
৩২| ০৪ ঠা মে, ২০২৪ ভোর ৬:৫৬
সোহানী বলেছেন:
৩৩| ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:১৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: সোহানী আপু , আমি অবাক হচ্ছি ব্লগ কতৃপক্ষের ভুমিকায়। তারা কি ঘুমিয়ে কাটাচ্ছে?
@ নীল সাধু , আপনি হয়ত বুঝতে পারছেন না যে , আপনি একজন মহিলা ব্লগারকে সম্মানহানি করছেন যা মোটেও কাম্য নয়। নিজের মান নিজেই বজায় রাখুন।
০২ রা জুন, ২০২৪ সকাল ৯:৩১
সোহানী বলেছেন: চোর ধরা খেলে চোরের মাথা খারাপ হবে এটাই স্বাভাবিক।
৩৪| ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৭
বিউটিফুল ইউ বলেছেন: সনাতন টপিক্স লইয়া পুনরায় নাড়াচাড়া কইরা মরা ব্লগরে জিবন্ত করনের চেষ্টা চলিতাছে আফা।খেল হইতাসে ফেসবুকের ইনবক্সে। ভ্লগে বেকার লোক বেশি।
ঢাবিয়ান বলেছেন: সোহানী আপু , আমি অবাক হচ্ছি ব্লগ কতৃপক্ষের ভুমিকায়। তারা কি ঘুমিয়ে কাটাচ্ছে?
@ নীল সাধু , আপনি হয়ত বুঝতে পারছেন না যে , আপনি একজন মহিলা ব্লগারকে সম্মানহানি করছেন যা মোটেও কাম্য নয়। নিজের মান নিজেই বজায় রাখুন।
~এই সাগুর দানারে লইয়া আর পারা গেলনা।হজ্ঞল সময়ে নারী পুরুষরে আলাদা মূল্যায়ন করা শিবিরগুলোর বাপদাদার শেখানো আমল। ব্লগার ব্লগারই, নারী আর পুরুষ কিরে ছা+গ+ল?
৩৫| ০৪ ঠা মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: @ বিউটিফুল ইউ , এতগুলা নিক খুলে ব্লগিং করাতো অনেক সময়ের ব্যপার।হাতে এত আজাইরা টাইম ?
নারী পুরুষ আলদাভাবে মূল্যায়নের বিষয়টা বুঝতে হলে আপনাকে বিদেশে আসতে হবে। সভ্য ও অসভ্য দেশের হাজারো পার্থক্যের মধ্যে একটি হচ্ছে নারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শনে। কোন নারীকে উদ্দেশ্য করে আজেবাজে কথা বলাতো দূরে থাক , একটূ বাজে দৃষ্টিতেও তাকালেও বিপদ। নারী যদি মনে করে সে কমফোরটেবল ফীল করছে না , তাহলে পুলিশে কল দিতে পারে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:২৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
জীবন অনেক কঠিন।