নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিষক্ষয়

Bengal_gypsi

বিষক্ষয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুলিশের নীরব সহযোগিতায় কেন্দ্র দখল করে ব্যালটে সিল, আগুন

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:১৮





ঢাকা : ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কেন্দ্র দখল, ব্যালটে আগুন, হামলা, অস্ত্রের প্রদর্শন করেছে আওয়ামী লীগের কর্মীরা। তবে এসময় নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
ঢাকা সিটি দক্ষিনের যাত্রাবাড়ী, টিকাতুলি, মতিঝিল ও পল্টনের ৬টি ভোটকেন্দ্রে ২০ দলীয় জোট সমর্থিত পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়ে গণহারে ব্যালটবাক্স ভর্তি করেছে যুবলীগের কর্মীরা। ভোটারদের এসময় কোন কেন্দ্রেই ভোট দিতে ঢুকতে দেয়া হয়নি। এতকিছু ঘটলেও পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও আনসারসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ছিল নির্বিকার।



দাঁড়িয়ে থেকে শুধু দর্শকের ভূমিকাই পালন করতে দেখা গেছে।

সকাল ৯টার দিকে যাত্রাবাড়ীর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটারদের বের করে দেয় স্থানীয় যুবলীগের ক্যাডার বাহিনী। গলায় ঝুলানো মাছ মার্কার নীল রঙের কার্ডের নিচে লেখা যুবলীগ। ৫০ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা হারুনের নেতৃত্বে কেন্দ্রের সকল বুথ দখল করে নেয় তারা।



সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারের নিকট থেকে ব্যালট পেপারের বই ছিনিয়ে নিয়ে গণহারে সিল মারতে থাকে। এভাবেই চলে বেলা ১০টা পর্যন্ত। পুরো কেন্দ্রেই যুবলীগের কার্ড গলায় ঝুলিয়ে শতাধিক কর্মীরা কেন্দ্র দখল করে।

বেলা সোয়া দশটার পরে যাত্রাবড়ীর মুরাদপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রটিও দখলে নেয় স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মীরা। রাস্তা দখল করে ভোট কেন্দ্রে যেতে দেয়নি কাউকেই। এসময় চলে জাল ভোটের উৎসব। সাড়ে দশটার পরে নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের একটি বিদেশী টিম কেন্দ্র এলাকায় পৌঁছালে পুলিশের টনক নড়ে। বাঁশি বাজিয়ে রাস্তা ফাঁকা করে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সরানোর পরে কেন্দ্রে ঢুকে পর্যবেক্ষক টিমটি।

একই সময়ে পাশের কেন্দ্র সমিরুন্নেসা উচ্চ বিদ্যালয় ও মুরাদপুর মাদ্রাসা কেন্দ্রের ভিতরে ভোটকক্ষেই সিল মারে আওয়ামী লীগের কর্মীরা।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির অপর কেন্দ্র টিকাটুলির শের এ বাংলা মহাবিদ্যালয়ে কেন্দ্রে ঢুকে সকল পোলিং এজেন্টকে বের করে দেয় যুবলীগের ক্যাডাররা। এর নেতৃত্ব দেয় পলাশ নামের এক যুবলীগ নেতা। সে যাত্রবাড়ী এলাকার যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এসময় তাকে জালভোটের বিষয়ে এ প্রতিবেদক জিজ্ঞাসা করলে যুবলীগের এ ক্যাডার বলেন, বাধা দেয়ার কেউ নেই, সবাইরে বাইর কইরা দিছি। এডা আমাগো এলাকা। ভোট যত দরকার, তাই লমু।

সবচেয়ে আলোচিত কেন্দ্র পল্টনের গার্লস উচ্চ বিদ্যালয়। এ কেন্দ্রে সাংবাদিকদের সামনেই ব্যালট বই দখলে নেয় যুবলীগের ক্যাডাররা। সবার সামনেই চলে লাগাতার সিল মারা। শেষে ব্যালট বাক্সে ফেলে সব ভোট।

অপরদিকে কমলাপুর শের-এ-বাংলা রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে পুলিশের উপস্থিতিতেই চলে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ। ব্যালট বই দখল, হামলা, মারামারি শেষে ব্যালটে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। বন্ধ হয়ে যায় ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া।

তবে সবগুলো কেন্দ্রেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই এ ঘটনাগুলো ঘটে। এ সময় পুলিশ ছিল নীরব দর্শকের ভুমিকায়। -

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:২৯

ফাহাদ ইবনে মুরতাযা বলেছেন: একটি অবাধ কারচুপির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল!!

২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৭

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: তবে সবগুলো কেন্দ্রেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই এ ঘটনাগুলো ঘটে। এ সময় পুলিশ ছিল নীরব দর্শকের ভুমিকায়। -

আমি ও আছি দর্শক হয়েই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.