![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিএনপি নেতা নাসিরউদ্দিন পিন্টুকে কারাবন্দি থাকা অবস্থায়ও হুমকি মনে করত সরকার। কারাগার থেকেও আন্দোলন কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিলেন পিন্টু। গত ১৯ এপ্রিল সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় কারাগারে মিটিংয়ের জন্য রাজশাহী কারাগারে স্থানান্তরে বাধ্য হয় সরকার।
একাধিক বিএনপি নেতা, কাারাগারের সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য কয়েকটি সূত্র জানায়, বিএনপির ডাকসাইটের নেতা নাসিরউদ্দিন পিন্টুর বাড়ি কেন্দ্রীয় কারাগারের কাছে, ছোট বেলা থেকে ওই এলাকায় বড় হওয়া এবং রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় সেন্ট্রাল জেলের কর্মকর্তা -কর্মচারিরা তাকে ভিন্ন চোখে দেখতো। বন্দি পিন্টুকেও সবাই সমীহ করে চলত। পিন্টুর কর্মী-সমর্থকরা সুযোগ পেলেই তার সঙ্গে দেখা করে আসতো। নেতাকর্মীদের সঙ্গেও এই সাক্ষাতের সময় আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে কথা হয়েছিল। সর্বশেষ ঢাকা দুই সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত ১৯ এপ্রিল কারাগারের অভ্যন্তরে পিন্টু তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিটিং করেন। দুই মেয়র প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সব ধরনের কর্ম-কৌশল নিয়ে দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন তিনি।
এ ঘটনা প্রকাশ পেলে এবং তা সরকার জানতে পারলে ২০ এপ্রিল তাকে রাজশাহী কারাগারে পাঠিয়ে দেয়। শুধু তাই নয় পিন্টুর অসুস্থতার জন্য তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এবং ঢাকা থেকে অন্য কোথাও পাঠানো যাবেনা এমন নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু নির্বাচনে যে কোন মূল্যে বিএনপি নেতাদের বিজয়ী করতে কর্মীদের নির্দেশ দেয়ায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে রাজশাহীতে পিন্টুকে পাঠানো হয়। রাজশাহীতে পাঠানোর পরেও তার সঙ্গে কারা দেখা করতেন সে ব্যাপারেও সার্বক্ষণিক নজরদারী রাখা হয়েছিল। আন্দোলন কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত তার অনুসারী ৬/৭জন ছাত্রদল নেতা এখনো পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে বলেও জানায় বিএনপি।
আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন সময়ে নাসিরউদ্দিন পিন্টটুকে জেল খাটতে হয়েছে। এমনকি বিএনপি ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর হাইকমান্ডের নির্দেশে তাকে একবার জেল খাটতে হয়েছিল। বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচিতে পিন্টুর কর্মী-সমর্থকরা সব সময় সক্রিয় ছিল। আন্দোলন কর্মসূচিতে যারা ঢাকায় ব্যাপক লোক সমাগম করতে পারতেন তাদের মধ্যে সাদেক হোসেন খোকা, মির্জা আব্বাস, সালাউদ্দিন আহমেদ( ডেমরা) এবং নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু অন্যতম। তাদের মধ্যে পিন্টু কারাগারে থাকলেও কর্মীদের সক্রিয় ভূমিকার জন্য তার অনুপস্থিতির অভাব ধরা পড়েনি। এসব কারণে পিন্টুর ওপর সরকারের কড়া নজরদারী আর চাপ ছিল।
বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহম্মেদ পিন্টু ‘স্বাভাবিকভাবে মারা গেছেন নাকি তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে’ এমন প্রশ্ন ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। অবশ্য তার পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে চিকিৎসা না দিয়ে পরিকল্পিতভাবেই পিন্টুকে হত্যা করা হয়েছে। অনেকে এ মৃত্যুর ঘটনাকে রহস্যজনক বলেও মনে করছেন।
তবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পিন্টুর চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি এও বলেছেন, এটা নিয়ে কেউ যেনো কোন রাজনৈতিক বক্তব্য না দেন। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। পিন্টু হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। তাকে কারাগার থেকে রাজশাহী মেডিকেলে নেয়া হলে সেখানে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পিন্টু একজন বন্দি ছিলেন। বন্দি হিসেবে যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা, তাকে তা দেয়া হয়েছে বলেও তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
এদিকে পিন্টুর মৃত্যুর ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোববার রাতে কারা অধিদপ্তর এই তদন্ত কমিটি গঠন করে। ঢাকা বিভাগের ডিআইজি (প্রিজন) গোলাম হায়দারকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন, কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মিজানুর রহমান এবং ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল চৌধুরী। আজ সোমবার থেকে তদন্ত শুরু হবার কথা রয়েছে। ৭ মে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
পুরান ঢাকার সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক ছাত্র নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর মা হোসনে আরা, ছোট ভাই রিন্টু ও স্ত্রী নাসিমা আক্তার কল্পনা এমনকি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও অভিযোগ করে বলেছেন, নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
পিন্টুর মা হোসনে আরা বলেছেন, তার ছেলে বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহম্মেদ পিন্টুকে পরিকল্পিতভাবে রাজশাহীতে নিয়ে সরকার খুন করেছে। রোববার বিকেলে হাজারীবাগের বাসায় কান্নাজড়িত কণ্ঠে পিন্টুর মা- হোসনে আরা এ দাবি করেন। তিনি বলেন, এই সরকার যেভাবে গুম-খুন করছে, সেভাবেই তার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে রাজশাহীতে নিয়ে হত্যা করেছে। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চান। তিনি আরও বলেন, তার ছেলেকে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জড়িয়ে মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে। এরপর তাকে কারাগারে নিয়ে হত্যা করা হলো।
পিন্টুর ছোট বোন ফেরদৌসী আখতার মিষ্টি বলেন, তার ভাই অসুস্থ অবস্থায়ও লোকজনের মাধ্যমে আমাদের খোঁজ-খবর নিয়েছেন। মুত্যুর আগের দিনও খোঁজ নিয়েছেন। জানিয়েছেন, তিনি অসুস্থ। তারপরও তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়নি। পিন্টুর স্ত্রী নাসিমা আখতার কল্পনা বলেন, ‘আমার স্বামী কিছুতেই মরতে পারে না। তাকে হত্যা করা হয়েছে। তাকে মেরে ফেলা হয়েছে।’
রোববার দুপুর মৃত্যুর খবর প্রকাশের পর সাবেক এমপি নাসির উদ্দিন আহম্মেদ পিন্টুর ২৫ মনেশ্বর সড়কের বাসায় লালবাগ, হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচরের কয়েকশ’ নেতাকর্মী জড়ো হতে থাকেন। পিন্টুর স্ত্রী কল্পনা দুপুরে বাসায় আসার পর এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা-নেত্রীরা বাসায় গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন।
এ সময় পিন্টুর ছোট ভাই নাসিম আহম্মেদ রিন্টু তার ভাই পিন্টুর মৃত্যুকে ‘পরিকল্পিত হত্যা’ বলে অভিযোগ করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, তার ভাই অসুস্থ হওয়ার পরে হাইকোর্টের আদেশ ছিল বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বা এর সমমানের কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার। গত ২০ এপ্রিল পরিকল্পিতভাবে তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে হার্টের সমস্যায় আক্রান্ত হলে পিন্টুকে কোনো চিকিৎসা দেয়া হয়নি। মৃত্যুর পর তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকগণ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। এদিকে নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর আইনজীবী আমিনুল ইসলাম জানান, কোনো কারণ ছাড়াই পিন্টুকে রাজশাহী কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এটা সন্দেহজনক।
রাজশাহী হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, নাসিরউদ্দিন পিন্টুকে দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। এসময় পিন্টু মৃত ছিলেন। পিন্টুর মারা যাওয়ার কারণ সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত নন বলে সাংবাদিকদের জানিয়ে বলেন, হাসপাতালে আনার পথে বা কারাগারেই পিন্টু মারা যেতে পারেন।
জানা গেছে, গত ২০০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পিন্টুর বিরুদ্ধে রাজধানীর লালবাগ থানায় পিলখানা হত্যা মামলা করা হয়। একই বছরের ১ জুন তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর গত ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর পিলখানা হত্যা মামলায় নাসিরউদ্দিন পিন্টুর যাবজ্জীবন ও আরো ১০ বছর কারাদণ্ড দেন ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালত। তবে বিএনপি এই মামলাকে প্রত্যাখ্যান করে। পিন্টুও এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।
আর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অভিযোগ করে বলেছেন, রিমান্ডে নিয়ে পিন্টুর ওপর অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের প্রধান ডা. রইস উদ্দিনও দাবি করেন, হাসপাতালের বাইরেই পিন্টু মারা গেছেন। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ডা. রইস উদ্দিন আরও বলেন, শনিবার কারাগার থেকে রামেক হাসপাতালের পরিচালকের কাছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। ওই চিঠির ভিত্তিতে তিনি শনিবার কারাগারে নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর চিকিৎসার জন্য কারাগারে যান। কিন্তু সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম তাকে পিন্টুর চিকিৎসা করতে দেননি।
রাজশাহী কারাগারের এক সূত্র জানায়, বর্তমান জেল সুপার শফিকুল ইসলাম রাজশাহীতে যোগদানের পর থেকে সেখানে মাদক ব্যবসা, আসামিদের কেনা-বেচা, দুর্নীতি, অনিয়ম ও বন্দিদের নির্যাতনের মাত্রা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি সরকার দলের নাম ভাঙিয়ে দাপটের সঙ্গে এসব অনিয়ম করে যাচ্ছেন।
তবে রাজশাহীর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের জানান, নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু নানাবিধ অসুখে ভুগছিলেন। রোববার বেলা ১২টার দিকে তিনি কারাগারের মধ্যে বুকের ব্যথা অনুভব করেন ও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত কারাগার থেকে রামেক হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পিন্টুকে মৃত ঘোষণা করেন। কারা চিকিৎসক এসএম সায়েম জানান, রোববার বেলা ১১টার দিকে নাসিরুদ্দিন পিন্টু অসুস্থ বোধ করেন। তার বুকের ব্যথা তীব্র হলে দুপুর ১২টার দিকে তাকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তিনি আরও জানান, ২৫ এপ্রিল তার ফলোআপ চিকিৎসার ডেট ছিলো। ওই দিন তাকে রামেক হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার চিঠি দেয়ার পরেও কেনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে নাসির উদ্দিন পিন্টুর চিকিৎসা করা হয় নি এ প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র জেল সুপার কোনো কথা না বলেই রামেক হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মতিউর রহমান মন্টু কারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ করে বলেন, গত শনিবার নাসির উদ্দিন পিন্টুর সঙ্গে দেখা করেছি। এ সময় পিন্টু তাকে জানান যে, কারা কর্তৃপক্ষ ঠিকমতো তাকে ওষুধ দিচ্ছে না।
অপরদিকে পিন্টুকে হত্যার জন্য একদিন শেখ হাসিনার বিচার হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, পরিকল্পিতভাবে পিন্টুকে হত্যা করা হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ বলেছেন, সরকার বিনা চিকিৎসায় নাসির উদ্দিন পিন্টুকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। সোমবার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নাছির উদ্দিন পিন্টুর জানাজার পূর্বে তিনি এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, চিকিৎসার বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও সরকার তা মানেনি। বিনাচিকিৎসায় সরকার তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ এবং রাজশাহী কারাগারে নেয়া হয়। গত ২৫ তারিখ পিজি হাসপাতালে তার চিকিৎসা করার কথা ছিল। কিন্তু সরকারের নির্দেশে কারা কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা করেনি। পিন্টুর এই মৃত্যুর জন্য তাদেরকে একদিন বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
জেল-জুলুম ও নির্যাতনের মধ্য দিয়েই ছাত্র রাজনীতিতে আবির্ভাব হয়েছিলো নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুর। তিনি রাজনৈতিক জীবনের বেশির ভাগ সময় কারাগারেই কাটিয়েছেন। আর কারাগার থেকেই শেষ বিদায় নিয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি। তৃণমূল থেকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। মহানগরের ওয়ার্ড থেকে শুরু করে ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি এবং পরে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক, সিনিয়র সহ-সভাপতি, হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের নেতৃত্বাধীন ছাত্রদলের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক ও পরে সভাপতি নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগ আমলে চার দফায় ২৩ মাস কারাভোগ করেন। ছাত্রদলের সভাপতি থাকা অবস্থায় ২০০১ সালের নির্বাচনে ঢাকার লালবাগ-কামরাঙ্গীরচর আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন তিনি। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পাঁচবছরে নানা ঘটনায় বহুবার পত্রিকার শিরোনাম হন। বিএনপি সরকারে থাকা অবস্থায়ও কারাগারে যেতে হয় তখনকার এমপি পিন্টুকে। ওয়ান-ইলেভেন সরকারের আমলে গ্রেফতার হয়ে প্রায় দুইবছর কারাভোগ করেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের কাছে পরাজিত হন পিন্টু। সর্বশেষ কাউন্সিলে পিন্টুকে ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। সদ্য সমাপ্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে কারাগারে থেকেই তিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। পরে কমিশন তা বাতিল করে।
লিংক: Click This Link
২| ০৬ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:১২
রাতুলবিডি৪ বলেছেন: এক - নেতার এক দেশ - গণতন্ত্রের দিন শেষ ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:১১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনার একক হোলসেলার দাবীদারদের এহেন পরিণতি ভেবে আফসুসই হচ্ছে!!!!!!!!!!!
৭২-৭৫ এর কলংক মুছতে ২ যুগেরও বেশী সময় লেগেছে!!! মানুষ যখন প্রায় ভুলতে বসেছিল- নতুন প্রজন্ম যখন ভবাছিল এসব কেবলই বলা বোধহয়- সত্যিই কি এমন হয় নাকি- তখনই তারা ডিজিটাল বাকশালের প্রমাণ রেখে প্রমাণ করল ইল্লত যায়না ধুইলে খাসলত যায়না মরলে!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!