নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্ত্যজ বাঙালী, আতরাফ মুসলমান ...

বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্‌উক, হে ভগবান।রবীন্দ্রনাথ

ইমন জুবায়ের

জীবন মানে শুধুই যদি প্রাণ রসায়ন/ জোছনা রাতে মুগ্ধ কেন আমার নয়ন। [email protected]

ইমন জুবায়ের › বিস্তারিত পোস্টঃ

আতেন-এর জন্য রক্তপাত!

১১ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ১০:২৯

চতুর্থ আমেনহোটেপ ছিলেন প্রাচীন মিশরের একজন ফারাও। মৃত্যু ১৩৩৬ খ্রিস্টপূর্ব। তাকে স্মরণ করার কারণ: তিনি মিশরে একেশ্বরবাদের সূচনা করেছিলেন। এবং তার একেশ্বরবাদ হিব্রুবাসী ইহুদিদের প্রভাবিত করেছিল। ইহুদিরা এককালে মিশরে বন্দি ছিল আমরা জানি। মুসা নবী তাদের মুক্ত করে সিনাই উপত্যকায় নিয়ে গিয়েছিলেন। মুসা নবীর ওপর চতুর্থ আমেনহোটেপ-এর প্রভাবের কথাও কেউ কেউ বলে থাকেন।

সে যা হোক। চতুর্থ আমেনহোটেপ-এর সময়ে মিশরজুড়ে আমুন-রে উপাসনা প্রচলিত ছিল। প্রাচীন মিশরের প্রধানতম দেবতা ছিলেন আমুন-রে। এমন কী তাকে থিবস নগরের রক্ষাকর্তাও মনে করা হত।

ফারাও চতুর্থ আমেনহোটেপ কী কারণে আমুন-রে উপাসনার পরিবর্তে একেশ্ববাদী “আতেন” উপাসনার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। আতেনকে মনে করা হত আলোর জীবনদায়ী শক্তি। কাজেই আতেন ছিল সূর্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

ফারাও চতুর্থ আমেনহোটেপ-এর আমুন-রে উপাসনার পরিবর্তে একেশ্বরবাদী আতেন উপাসনার সিদ্ধান্তে সমগ্র মিশরজুড়ে আমুন-রেপন্থি পুরোহিতদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তারা একত্র হয়ে সশস্ত্র আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেয়। ফারাও চতুর্থ আমেনহোটেপ পিছ-পা হননি। তিনি অসংখ্য আমুন-রেপন্থী উপাসনাকারী পুরোহিত ও আমুন-রে অনুসারীদের হত্যা করার নির্দেশ দেন!

একেশ্বরবাদ প্রতিষ্ঠায় রক্তপাতের সেই শুরু। যে ধারাটি আজও অব্যাহত।

এখন প্রশ্ন এই-হঠাৎ ফারাও চতুর্থ আমেনহোটেপ-এর আতেন পূজার ভূত চাপল কেন?

....তিনি আতেন শব্দটার প্রতি এমন গভীর আবেগ বোধ করলেন কেন? আতেনের প্রতি গভীর আবেগের বশবর্তী হয়ে ফারাও চতুর্থ আমেনহোটেপ তার নাম পরিবর্তনেরও সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন।

আমেনহোপেট থেকে আখেনাতেন।

আখেনাতেন মানে, “আতেন-এর দাস।”

তারপর আখেনাতেন মিশরের রাজধানী পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেন। মিশরের রাজধানী আগে ছিল থিবস, এখন নতুন রাজধানী হল- আখেটাটেন। আখেটাটেন মানে আতেন-এর দিগন্ত। (বর্তমানে এই জায়গাটির নাম আমারনা।)

ফারাও আখেনাতেন-এর উদ্যেগে ক্রমশ আখেটাটেন নগরটি হয়ে উঠল আতেন উপাসনার কেন্দ্রে। বিশাল বিশাল সব আতেন-মন্দির গড়ে তুললেন আখেনাতেন । ওদিকে আতনবাদী একেশ্বরবাদ প্রতিষ্ঠায় অসংখ্য আমুন-রে উপাসনাকারী পুরোহিত ও আমুন-রে অনুসারীদের গুমখুন চলছিল আখেনাতেন-এর নির্দেশে।

“আতেনের প্রতি সুমহান স্তব” নামে ধর্মীয়গ্রন্থও নাকি লিখেছিলেন ফারাও আখেনাতেন ।

আতেনপূজো হত খোলা সূর্যালোকে । বদ্ধ মন্দিরে নয়। আতেন মন্দিরে ছাদ ছিল না। চারিদিকে কলাম। মাঝখানে নেফারতিতি দুহাত তুলে দাঁড়িয়ে। নেফারতিতি? হ্যাঁ। নেফারতিতি ছিলেন আখেনাতেন-এর স্ত্রী। আজও সৌন্দর্যর জন্য বিখ্যাত হয়ে রয়েছেন নেফারতিতি। আতেন পূজায় আসক্ত ছিলেন জানা যায়। স্বামীর বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কজন নারী যেতে পারে? অনুমান করি- খোলা সূর্যালোকে দাঁড়িয়ে স্বামীর সঙ্গে আতন উপাসনা করতেন নেফারতিতি । নেফারতিতি সম্ভবত তার স্বামীকে একটা প্রশ্ন করেননি-আতেন-এর জন্য এত রক্তপাত কেন?

আগেই বলেছি, আখেনাতেন-এর একেশ্বরবাদ হিব্র“বাসীদের প্রভাবিত করেছিল। মনোবিজ্ঞানী সিগমন্ড ফ্রয়েড “মেজেস অ্যান্ড মনোথেইজম” (মুসা ও একেশ্বরবাদ) নামে একটি বই লিখেছিলেন। ফ্রয়েডের মতে: মুসা ছিলেন আতনবাদী পুরোহিত; আখেনাতেন-এর মৃত্যুর পর তাঁর অনুসারীসহ তাকে মিশর থেকে নির্বাসিত করা হয়েছিল। ফ্রয়েডের মতে আখেনাতেন যা অর্জন করতে পারেননি-মুসা তাই পেরেছেন। ইহুদি ধর্মের সঙ্গে পরবর্তী সেমেটিক ধর্মসমূহের সাদৃশ্য স্পস্ট। কাজেই ইহুদিদের ঈশ্বর ও আখেনাতেন-প্রবর্তিত আতেন অভিন্ন।

কাজেই, মাঝে মাঝে আখেনাতেন কে আমার মৌলবাদের জনক বলেও মনে হয়।



সূত্র: উইকিপিডিয়া।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +১০/-১

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ১০:৫১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মাঝে মাঝে আখেনাতেন কে আমার মৌলবাদের জনক বলেও মনে হয়..........আখেনাতেন কাহিনী পড়ে তো তাই-ই মনে হচ্ছে।

২| ১১ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ১১:১৪

ইমন জুবায়ের বলেছেন: আখেনাতেন মৃত্যু ১৩৩৬ খ্রিস্টপূর্ব। তখন প্রাচীন চিনে ছিল প্রকৃতি পূজা। পরে যা তাও-এ পর্যবেশিত হয়। তাও আর ঈশ্বর এক কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ আছে। প্রাচীন গ্রিসেও সেই সময়টায় নানা অলিম্পিয়ান দেবদেবীর উপাসনা প্রচলিত ছিল । প্রাচীন গ্রিস আগাগোড়া ছিল প্যাগান। অর্থাৎ কখনোই তারা একেশ্বরবাদী ছিল না। পারস্যে তখনও জরথুশত্রবাদের প্রচলন শুরু হয়নি। আর বৈদিক আর্যরা তখনও ভারতবর্ষে থিতু হয়নি। বেদ যদিও মূলত একেশ্বরবাদের কথাই বলে তবুও সেই একেশ্ববাদ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কখনোই রক্তপাত করতে হয়নি । আসলে বৈদিক সভ্যতা অনেক সহনশীল ছিল। খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ট শতকে বেদবিরোধী বৌদ্ধ ও জৈনধর্মকে কখনোই তেমন প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়নি। আর মৌলবাদী পিথাগোরাসের সময় কাল খ্রিস্টপূর্ব ৫৫০। কাজেই আখেনাতেনকেই একেশ্ববাদ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অহেতুক রক্তপাত করতে দেখি।

৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২১

শয়তান বলেছেন: ইন্টারেসটিং

৪| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:২০

সোহানা মাহবুব বলেছেন: খুব ভাল লাগল।জানতে পেলাম আরও অনেক অজানা তথ্য।
+++

১৯ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ৭:১৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ১৯ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ৭:২৯

জটিল বলেছেন: কি একটা অবস্থা , এইমাত্র ফ্রয়েডের একটা বিশ্লেষণ পড়া শেষ করলাম আর এখন এই পোস্ট শেষেও ফ্রয়েড ...
:)

১৯ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ৭:৩২

ইমন জুবায়ের বলেছেন: হা হা হা ।

৬| ১৯ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ৭:৩৩

দ্বিতীয়নাম বলেছেন: +,
ওল্ডটেস্টমেন্টের মতে মুসা কোন্‌ ফেরাউনের ঘরে বড় হয়ে উঠে?

৭| ১৯ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ৭:৩৭

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ফেরাউন বা ফারাও ২য় রামেসেস মনে করা হয় ...

http://en.wikipedia.org/wiki/Moses

ধন্যবাদ

৮| ১৯ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৩:৪৯

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: রক্তপাতের ব্যাপারে রেফারেন্স চাই। ইজিপ্টোলজিস্টরা কিভাবে নিশ্চিত হলেন এ ব্যাপারে...

১৯ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৭:০৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: http://www.mediafire.com/?feuy0i3h1ma

৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:২২

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: উপন্যাসটি পড়ে কিছুই বুঝলাম না। আপনার মৌলবাদী আখেনাতেন কি এই উপন্যাসটির উপর ভর করে দাঁড়িয়ে? খেয়াল করেছেন নিশ্চয়,ইজিপ্টোলজিস্টদের মত চাইছিলাম। মিশর নিয়ে তত্ত্ব খাড় করানোর সমস্যা সম্বন্ধে কমবেশি সবাই জানে। তাই কাট্টাখোট্টা প্রমাণ চাইছিলাম, মিশরীয় ঔপন্যাসিকের লেখায় আস্থা রাখি কি করে...

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: কাট্টাখোট্টা প্রমাণ পেলে জানাব।

১০| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:১৪

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: আপনার লেখা আর মন্তব্য থেকে যে মূলবক্তব্য পাইলাম তার আগা-মাথা কিছুই বুঝলাম না। মিশরের ইতিহাস আপনি গল্পাচ্ছলে বলুন; কল্পনা, অনুমান ইত্যাদি মেশান- সমস্যা নেই। কিন্তু সিরিয়াস কোন সিদ্বান্ত যখন টানবেন, পাঠককে আপনার চিন্তায় চিন্তিত করাবেন; তখন অবশ্যই আপনাকে শক্ত ভিত তৈরি করতে হবে। বহু পাঠক আপনার লেখা পড়ছে, এ নিয়ে ভাবছে; ফলে তাদের বিপথগামী করার দায়ভারও আপনার কাঁধেই বর্তায়।

এই পোস্টে আপনি আখেনাতেন কর্তৃক রক্তপাতের ধুয়ায় তাকে মৌলবাদী বানিয়ে দিলেন। দেখুন, প্রথমেই প্রশ্নটিই ছুড়েছি সরাসরি... "রক্তপাত" আপনি কোথায় পেলেন তার সপক্ষে রেফারেন্স নিয়ে। আখেনাতেন কর্তৃক হত্যা, খুন, গুম, রক্তপাত ইত্যাদি কর্মকান্ড যদি তাকে আপনার চিন্তায় মৌলবাদীরূপে হাজির করে তবে আপনার বয়ানে ফারাওয়ের কর্মকান্ড প্রতিষ্ঠিত করাতে পারলে আখেনাতেনের সপক্ষে বক্তব্য রাখার একটা সুযোগ পেতাম। কিন্তু এখনও যেহেতু কাট্টাখোট্টা প্রমাণ পাই নাই, তাই তার অবকাশ নাই।

একটি মন্তব্যে আপনি বিশ্লেষণ করেছেন যে, আখেনাতেনের আমলে বহির্বিশ্বে (মিশরসহ) একেশ্বরবাদের প্রবর্তন ছিল না, ফলে আখেনাতেনের উদ্যোগ অবশ্যই উগ্র ছিল। এটা ঠিক, মায়ের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আখেনাতেনকে অনেক সহনশীল দেখা গেলেও তিয়ের মৃত্যুর পর পরই বেপরোয়া হয়ে উঠেন ফারাও। এমনও হতে পারে থেবিয়ান পুরোহিতরা হয়তো বিদ্রোহ করেছিল এ সময় বা ভিন্ন কোন উপায়ে রাজাকে বাধ্য করেছিলো সরাসরি ময়দানে নামার । অবশ্য ভেইগেল (Weigall) পড়ে বুঝেছি, তিনি ঘোর আখেনাতেন-পন্থী; তাঁর বইয়ের ছত্রে ছত্রে সেটা স্পষ্ট এবং সেটা লুকোছাপার কোন চেষ্টাও তিনি করেননি, ফলে তাঁর এই অনুমানভিত্তিক মতামত আমার কাছে অসৎ পক্ষপাতদুষ্ট মনে হয়। আপনি যদি কষ্ট করে আরেকটু গভীরে গিয়ে মিশরের তৎকালীন ও আগের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতেন, তবে এটা স্পষ্ট হয়ে উঠত যে, চীন, ভারত, গ্রীসের ধর্মতত্ত্ব নিয়ে মিশরের ফারাও চিন্তিত ছিলেন না। ফলে আপনার আলোচনাটি অহেতুক, ব্যর্থ।

কেন আখেনাতেন "সহসা আতেনের প্রতি গভীর আবেগ" (আপনার ভাষায়)
অনুভব করলেন তা বের করতে হলে আগে বুঝা দরকার আখেনাতেন-পূর্ব আমলের মিশরের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক আধিপত্যের হিসাব-নিকাশ। তিয়ে ইসরায়েলী হিসেবে সিংহাসনের বৈধ উত্তরাধিকারিণী ছিলেন না। তাই তিনি রাষ্ট্রদেবতা আমনের সহধর্মীণিরূপে গৃহীত হতে পারেন না। তিয়ের সন্তান সিংহাসনের বসার অর্থই হল মিশরে অ-আমেনীয় শাসনের প্রতিষ্ঠা যা থেবিয়ান পুরোহিতের শত্রুভাবাপন্ন মনোভাবে পর্যবসিত হয়। আবার মিশরের দুই হাজার বছরের ইতিহাসে অজস্র দেব-দেবীভিত্তিক ধর্মতত্ত্বের শেকল ভেঙ্গে বেরোনোর জন্য আখেনাতেন কালের চাহিদারূপে মানুষের চিন্তার বিকাশের পথে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছিলেন- এভাবেও চিন্তা করা যায়। তখন আমরাও আখেনাতেনের "মৌলবাদিতা"-তে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখার সুযোগ পাবো।

সত্যি বলতে কি আমার্না পিরিয়ড- এক বিশাল ও ব্যাপক আলোচনার বিষয়। যাই হোক, স্যার ব্রিস্টেড হতে শুরু করে পেট্রি, ভেইগেল হয়ে আধুনিক অলড্রিড, স্যার রেডফোর্ড এবং হালের বিতর্কিত আহমেদ ওসমানসহ বাঘা বাঘা ইজিপ্টোলজিস্ট,
যাদের মধ্যে শেষোক্ত চারজনের প্রত্যেকের আমার্না পিরিয়ডের ওপর কাজ আছে, তাদের পাশ কাটিয়ে ইতিহাসবিদ হিসেবে আপনি নাগিব মাহফুজের উপন্যাসের
উপর কেন এত জোর দিলেন তাই বুঝতে পারছি না। মোজেস অ্যান্ড মনোথিয়িজম (১৯৩৯) আমার কাছে তেমন রিলায়েবল মনে হয়নি। ফ্রয়েড নিজে এই তত্ত্বের ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্থ ছিলেন ১৯৩৬- এ প্রথম প্রকাশের সময়। বইটি পড়েই আমার কাছে ফ্রয়েডের চিন্তা ঝাঁপসা মনে হয়েছে, পড়ে নেট ঘেঁটে নিশ্চিত হয়েছি যে, মেইনস্ট্রিম ইজিপ্টোলজিস্টদের কাছে ফ্রয়েড-তত্ত্ব গ্রহনযোগ্য নয়...তবে এরপরও ফ্রয়েড ফেলার মতন নন। বরং তিনি চিন্তার একটি সূত্র ধরিয়ে দিয়ে গেছেন যার চলমানতা আজও অব্যাহত।

মনে হয় বেশি বেয়াদবি করে ফেলেছি। চাপাচাপি করায় বললেন, কাট্টাখোট্টা প্রমাণ পেলে জানাবো। ইজিপ্টোলজিস্টদের সামনে লিপি, দেয়ালচিত্র, মূর্তি, স্তম্ভ ইত্যাদি নানান অবজেক্ট মূর্ত- সেখান থেকে তারা এক বিমূর্ত মিশরকে হাজির করেন আমাদের সামনে, যার কোন কাট্টাখোট্টা প্রমাণ হয় না; এটি শুধুই একধরনের অনুভব। আমি "কাট্টাখোট্টা প্রমাণ" আসলে চাই নাই। নাগিব মাহফুজের উপন্যাসেও কোথাও রক্তপাতের ব্যাপারে কিছু পাই নাই। আপনার জানা থাকলে কষ্ট করে জানাবেন।

১১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:৫০

এ্যরন বলেছেন: ভাইয়া আপনার যাযাবর দের নিয়ে লেখাটার ব্যাপারে আবার ও বিরক্ত করছি কি ভাবে সার্চ দিলে খুজে পাওয়া যেতে পারে যদি নতুন ব্লগার হিসেবে একটু হেল্প করতেন. . . ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.