নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্ত্যজ বাঙালী, আতরাফ মুসলমান ...

বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্‌উক, হে ভগবান।রবীন্দ্রনাথ

ইমন জুবায়ের

জীবন মানে শুধুই যদি প্রাণ রসায়ন/ জোছনা রাতে মুগ্ধ কেন আমার নয়ন। [email protected]

ইমন জুবায়ের › বিস্তারিত পোস্টঃ

জৈন কারা?

২১ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:২৮

বর্তমানকালের ভাস্করে নির্মিত বর্ধমান মহাবীরের মার্বেল পাথরের ভাস্কর্য।

জৈনদের একটি প্রার্থনা এরকম-Namo Loe Savva Sahunam: -

এর অর্থ: I bow to all saints and sages everywhere in the world!

খ্রিস্টপূর্ব যুগে প্রাচীন ভারতে যে ক’টি বেদবিরোধী ধর্মের উদ্ভব হয়েছিল তার মধ্যে জৈন ধর্মটি অন্যতম। জৈন ধর্মটির প্রাথমিক ধারনা যদিও অনেক প্রাচীনকাল থেকেই ভারতবর্ষে প্রচলিত ছিল- প্রকৃত প্রস্তাবে বর্ধমান মহাবীরই ছিলেন জৈনধর্মের মূল স্থপতি।তিনি যদি খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ট শতকে জৈনধর্মটির সংগঠিত না করতেন- তা হলে হয়তো জীবন ও জগৎ সম্বন্ধে প্রাচীন জৈন সাধুদের দার্শনিক মতমতটি চিরকালের মতো হারিয়ে যেত। মহাবীরের ঔদার্য এই যে; তিনি যথেস্ট মেধা ও মৌলিক চিন্তার অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও নতুন ধর্ম প্রচার করেননি; বরং, ২৩জন প্রাচীন সাধুর অহিংস দর্শনই জীবনভর প্রচার করে গিয়েছেন জগতের অহিংমতের জন্মভূমি প্রাচীন ভারতবর্ষে।



সুপ্রাচীন কাল থেকেই প্রাচীন ভারতে তেইশ জন সাধু মোক্ষলাভের উপায় সম্বন্ধে প্রায় অভিন্ন এক অহিংস মতবাদ প্রচার করে আসছিলেন। এঁরা হলেন-ঋষব (বা আদিনাথ), অজিত, সম্ভব, অভিনন্দন সুমতি, পদ্মপ্রভূ, সুস্পর্শবন্ত, চন্দ্রপ্রভূ, সুবিধি, শীতল, অংশ, বসুপূজ্য, বিমল, অনন্ত, ধর্ম, শান্তি কুন্থ, আরা, মল্লি, মুনিসুব্রত, নামি, নেমি এবং পার্শ্বনাথ। এই ২৩জন প্রাচীন আচার্যকে বলা হয় তীর্থঙ্কর। তীর্থঙ্করের এক অর্থ-যে জলস্রোত পাড়ি দেয়। মানে, যে মোক্ষের দিকে যায়। তীর্থঙ্কর শব্দটির অন্য এক মানে হল- পবিত্র সাধু -বা জৈন পবিত্র সাধু। ভারতবর্ষের ভাষাগুলি প্রতিশব্দময়। কাজেই সাধু শব্দের আরও দুটো প্রতিশব্দ হল- অরহৎ এবং জিনা (Jina)। যিনি কামক্রোধ জয় করে গ্রন্থিমুক্ত হয়েছেন- তিনিই অরহৎ । যেহেতু গ্রর্ন্থিমুক্তির কথা রয়েছে। কাজেই, জৈনসাধুদের নির্গ্রন্থও বলা হয়ে থাকে। অন্তত, বৌদ্ধেরা সেই সময় তাই বলত।

যিনি কাম ক্রোধ লোভ আবেগ গর্ব অহঙ্কার জয় করেছেন তিনিই জিনা। Jina শব্দটি সম্ভবত মাগধী। কাজেই জিনার অনুসরণকারীই জৈন। জৈনদের বিশ্বাস এই যে- জৈনধর্মটি ২৪ জন তীর্থঙ্করের জীবনদর্শনের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন পার্শ্বনাথ ও মহাবীর। বাকিরা নাকি ঐতিহাসিক ব্যাক্তি নন, সব কাল্পনিক চরিত্র!

জৈনধর্মের ২৪তম তীর্থঙ্কর হলেন মহাবীর । তাঁর পরে আর তীর্থঙ্কর আসেনি। কাজেই মহাবীরই জৈনধর্মের সর্বশেষ তীর্থঙ্কর। কাজেই, জৈন কারা-এই প্রশ্নটির উত্তর জানতে হলে আমাদের মহাবীরের জীবনের দিকে ফিরে তাকাতে হবে।

প্রাচীন ভারতের বৈশালী নামে একটি রাজ্য ছিল। বৈশালী জায়গাটি বর্তমান বিহারে। সেই বৈশালী রাজ্যে ছিল কুন্ড নামে একটি গ্রাম। সেই কুন্ডগ্রামেই মহাবীরের জন্ম । সময়টা ৫৯৯ খ্রিস্টপূর্ব। মহাবীরের মায়ের নাম ছিল ত্রিশলা। ত্রিশলা ছিলেন জ্ঞাতৃক জনগোষ্ঠীর রানী । কেননা, মহবীরের বাবা সিদ্ধার্থ ছিলেন জ্ঞাতৃক জনগোষ্ঠীর রাজা। এরা ছিলেন জাতে ক্ষত্রিয়; গোত্রে নট। মহাবীরের এক মামা ছিল; নাম চেটক। চেটক ছিলেন বৃজি জনগোষ্ঠীর প্রধান। কাজেই, সোনার চামচ মুখে নিয়েই জন্মেছিলেন মহাবীর।

জন্মের পরই ত্রিশলা ছেলের নাম রাখলেন-মহাবীর। ইচ্ছে-ছেলে বীরের মতন জীবন যাপন করবে। ত্রিশলার সেই ইচ্ছে কালে কালে পূর্ন হয়েছিল। তবে সে বীর ক্ষত্রিয় বীর নয় - পরবর্তীকালে মহাবীর হয়ে উঠেছিলেন আধ্যাত্বিক যুদ্ধের মহৎ এক যোদ্ধা।

ছেলের আরেকটি নামও রেখেছিলেন ত্রিশলা- বর্ধমান। মানে-ক্রমবর্ধমান; মানে- যে যুগের চেয়ে এগিয়ে। তাই কিন্তু হয়েছিল। মহাবীর ছিলেন যুগের চেয়ে এগিয়ে।

যা হোক। বালক বয়েস থেকেই বর্ধমান যেন কেমন। গম্ভীর, চুপচাপ-সারাক্ষণ কী যেন ভাবছে। তো, সেকালে বর্ষকালে খুব বৃষ্টি হত বৈশালীতে- একালের মতোই। বৃষ্টিভেজা দিনের অন্ধকার ঘরে বসে বালক বর্ধমান কত কী যে ভাবত। ভাবত কে আমি? আমি কোত্থেকে এলাম? আমি যেখানে আছি-কী এটা? এই ঘর, এই অন্ধকার, এই বৃষ্টি, ওই নিমের ডালের বৃষ্টিভেজা কাক; এই কুন্ডগ্রাম। আমি এখানে কী করব? আমার কি করা উচিত? এসব ভেবে ভেবে বালক বর্ধমান হয়ে উঠত অস্থির।

আর ওর মনও খারাপ হয়ে যেত প্রায়ই।

কেননা, দিন কয়েক আগে পাথর ছুঁড়ে একটা বকের ছানা মেরে ফেলল শ্রাবক । শ্রাবক ওরই এক জেঠাতো ভাই। কী ছটফট করেই না মরে গেল বকের ছানাটি। বালক বর্ধমান ঐ করুণ দৃশ্যটি দেখে কেঁদে ফেলেছিল। মানুষ কেন যে পাখির ছানাদের ঢিল ছুঁড়ে?

পশু পাখিকে সামান্যতম আঘাতও না করার পন করল বর্ধমান।

ত্রিশলা ছেলের মন খারাপ ঠিকই টের পেয়েছিল। তিনি জানতেন যে তাঁর ছেলে একদিন সন্ন্যাস নেবে। তিনি প্রমাদ গুনলেন। ছেলে বলে কথা। চোখের আড়াল হলে মায়ের বুকের ব্যথা কে বুঝবে?

বর্ধমান কিশোর বয়েসে পৌঁছলে ছেলের বিয়ে দেওয়ার কথা ভাবলেন ত্রিশলা। পাত্রী কৌন্ডিন্য গোত্রের মেয়ে যশোদা (কতিপয় জৈন অবশ্য বিশ্বাস করে যে-মহাবীর অবিবাহিত ছিলেন ! তাদের বলি-বিবাহিত না হলেই কি শুদ্ধতা বৃদ্ধি পায়?)

কিশোর মহাবীরের ঘরে বউ এল । বউকে নিয়ে প্রেমকামে ডুবল ঠিকই মহাবীর-তবে তার মোহভঙ্গ হতেও সময় লাগল না। ততদিনে একটি মেয়েও হল-অনুজা। মেয়েকে কোলে নিয়ে বসে থাকে মহাবীর। প্রশ্নগুলি মাথার ভিতরে ডালপালা মেলছিল। মহাবীর ভাবছিল। কেবল ভাবছিল। ভাবছিল, আমি কেন শ্রাবকের মত কিশোরী মেয়েদের সঙ্গে খুনসুটি করতে পারি না? কেন আমি গুরুজনদের মুখের ওপর কড়া কড়া কথা শুনিয়ে দিতে পারি না? কেন আমি মনে করি নিঃস্ব শূদ্রও সম্মান পাবার অধিকারী! কেন আমি শস্তায় কোথায় গরু পাওয়া যায় সে খবর রাখি না।



আমার কেন ভালো লাগে না ভিড়?

হাটের ভিতর মানুষ মানুষ ভিড়?

হাটের ভিড়ে পায়ের নিচে ধূলা।

ধূলায় গড়ায় ভাঙ্গা করুন কূলা!

আমার কেন ভালো লাগে রাত?

রাতের ভিতর রাতের নির্জনতা?

আমার কেন বুকটা করে হু হু?

শীতের দিনের নম্র দুপুর বেলায়।

আমি কেন এমন একা- ফাঁকা?

বুকে আমার কেন এত প্রেম?

মানুষ যখন ছোঁড়ে কঠিন ঢিল?

মানুষ যখন হাটের ভিড়ে হা হা ...



আর, ভাবল সে:





1. All worldly things are temporary.



2. The Soul alone is the sole resort.



3. This world is beginningless and crooked.



4. There is nothing to help the Soul, but the Soul itself.



5. Body, mind, etc., are essentially separate from the Soul.



6. The Soul is essentially pure and the body, etc., are essentially impure.



7. The Soul’s bondage is due to the inflow of Karma in it.



8. Every being ought to stop this inflow.



9. Emancipation is attained when Karma is absolutely got rid of.



10. The emancipated Souls remain fit the foremost top of the filled spaces.



11. In this world, to have the birth of a human being and to meditate on the nature of the Soul are the greatest blessings.



12. To have the three jewels as described by the Omniscient is the only morality.







মনের ভিতরে ভারি অশান্তি জমেছে। ঘরে আর ভাল লাগছিল না। আমি যা জানতে চাই, সেসব এই কুন্ডগ্রামে বেঁচে থেকে জানা সম্ভব নয়

খ্রিস্টপূর্ব ৫৬৯। শরৎকাল। ভোর। বাড়ির বাইরে পা রাখলেন মহাবীর।

মহাবীরের বয়েস তখন ৩০। না; ছেলেকে বাঁধা দেননি ত্রিশলা। এ ছেলেকে যে ধরে রাখা যাবে না, তা তো তিনি অনেক আগেই জানতেন-। তিনি চোখ মুছলেন। যশোদা প্রথমে শ্বাশুড়িকে জড়িয়ে ধরলেন। তারপর মূর্চ্ছা গেলেন।

গৃহত্যাগের সময় স্ত্রীকন্যার কথা মনে পড়েছিল কি মহাবীরের?

কে জানে! সে যুগে স্ত্রীকন্যারা ছিল তুচ্ছ।







হাঁটছেন মহাবীর। প্রাচীন ভারতের পথে পথে। প্রথম ১২ বছর আমি মৌন হয়ে থাকব। কারও সঙ্গে কথা বললেন না। কারও সঙ্গে কথা না বললে যদি আমার ভিতরের কথারা জেগে ওঠে। তাই করলেন। ওই মৌনী সময়টার সারাটা সময়টায় নির্জনে ধ্যান করে কাটালেন। কামক্রোধ লোভ অহঙ্কার-ইত্যাদি শব্দ নিয়ে খেলা করলেন। তখনকার দিনের রাজারা প্রায় প্রতি নগরেই ধর্মশালার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সাধুসন্ন্যাসীদের সুবিধের জন্য। তারপরও প্রায়ই অনাহারে থাকলেন মহাবীর। চুপচাপ নিরীক্ষণ করতেন নিসর্গপ্রকৃতি। ছোটবেলা থেকেই এক গভীর মায়া বোধ করতেন পশুপাখির জন্য। সে মায়াবী বোধ আরও প্রবল হল ঋতু ও নিসর্গপ্রকৃতির দিকে তীক্ষ্ম চোখে চেয়ে; প্রবল এক অহিংস বোধে আক্রান্ত হলেন মহাবীর। পশু পাখিকে আঘাত না করার পন ছেলেবেলাতেই করেছিলেন। এবার সে মায়া মমতা গড়াল কীটপতঙ্গের দিকে।

৫৫৭ খ্রিস্টপূর্ব। নিজেকে কেমন নির্ভার মনে হল তাঁর । মনে হল জীবজগৎ সম্বন্ধে জ্ঞান যেন আরও স্বচ্ছ হয়েছে। হ্যাঁ, ঐ সময়েই পরমজ্ঞান লাভ করলেন মহাবীর। শরীরের পোষাক খুলে ফেললেন। কারণ, কীটপতঙ্গের প্রতি প্রবল এক অহিংস বোধে আক্রান্ত হয়েছিলেন মহাবীর। শরীরের পোষাকে কীটপতঙ্গ থাকতে পারে। যদি তারা পিষ্ট হয় তো!

পরমজ্ঞান লাভ করে পথে পথে ঘুরছেন মহাবীর । নগ্ন । সেসময় লোকে এসব নগ্নতা ভ্র“ক্ষেপ করত না। কেননা- এ মাটিতেই এককালে উচ্চারিত হবে- “যত মত তত পথ।” পথে পথে হাঁটার সময় কত কথা যে মাথায় আসে তাঁর। কী ভাবে এই বিশ্বজগৎ সৃষ্টি হল? কী আছে ঐ আকাশের ওপারে? এতকাল নিজের ভিতরের দিকে তাকিয়েছিলেন মহাবীর; এখন আকাশের দিকে তাকালেন ।

তো, সেই সময়টায় পথেই এক সাধুর সঙ্গে পরিচিত হল মহাবীরের। তারা পরস্পর পরস্পরের দিকে আকৃষ্ট হলেন। তারা একটা ছায়াময় গাছতলায় বসলেন। সাধুটি ছিলেন বৃদ্ধ। তিনি ছিলেন পার্শ্বনাথের অনুসারী। পার্শ্বনাথ ছিলেন জৈনদের ২৩তম তীর্থঙ্কর। দুশো বছর আগে নাকি বেঁচে ছিলেন পার্শ্বনাথ। মহাবীর কথাটা শুনে অবাক হলেন না। কেননা, অনেক আগেই তিনি শুনেছিলেন যে-আর্যাবর্তে সেই সুপ্রাচীন কাল থেকেই ঋষভ থেকে পার্শ্বনাথ-এই তেইশ জন সাধু মোক্ষলাভের উপায় সম্বন্ধে প্রায় অভিন্ন এক অহিংস মতবাদ প্রচার করে আসছিলেন। এই ২৩জন প্রাচীন আচার্যকে বলা হয় জৈন তীর্থঙ্কর। জৈন তীর্থঙ্করেরা ঠিক কী বিশ্বাস সে সম্বন্ধে আবছা ধারনা ছিল। মহাবীর কৌতূহলী হয়ে উঠলেন। সাধুটি বললেন, পার্শ্বনাথসহ জৈন তীর্থঙ্করেরা বিশ্বাস করতেন যে অনন্তকাল ধরে জীব কর্মের বন্ধনে জড়িয়ে আছে। কেননা, কর্মের বশে আত্মা খোঁজে আনন্দ, এবং তা করতে গিয়েই সে মগ্ন হয়ে পড়ে বস্তুতে। যে কারণে মানুষ হয়ে ওঠে স্বার্থপর ও হিঃস্র। সে আরও বস্তু অর্জন করার জন্য আরও কর্ম করার উদ্যোগ গ্রহন করে সে। কাজেই, কর্মের বন্ধন হচ্ছে জীবের সমস্ত দুঃখকষ্টের মূলে।

আমার আপন ভাবনার সঙ্গে কী মিল! মহাবীর অবাক হয়ে ভাবলেন।

সাধুটি আরও বললেন,কর্মের বন্ধ থেকে মুক্ত হতে হলে দরকার সঠিক বিশ্বাস, সঠিক জ্ঞান, সঠিক আচরণ। এভাবেই মোক্ষ সম্ভব। সঠিক বিশ্বাস, সঠিক জ্ঞান, সঠিক আচরণ হল- অহিংসা, সত্যবাদীতা, অপহরণ না করা, ব্রহ্মচর্য পালন ও অপরিগ্রহ, মানে কারও ওপর নির্ভরশীল না থাকা।

শুনতে শুনতে মহাবীর কেমন বিস্মিত হয়ে যেতে থাকেন। প্রাচীন তীর্থঙ্করেরা এমন মহৎ ছিলেন?

সাধুটি মাথা নাড়লেন। তারপর বলতে লাগলেন, বিশ্বের সঙ্গে সবার যোগ কর্মের মাধ্যমে । কর্মের ওপরই ভালো বা মন্দ নির্ভরশীল। আলোকিত হলেই কেবল মোক্ষ লাভ হয়। সংযমী হয়েই মোক্ষলাভ করতে হয়। সুপ্রাচীন কাল থেকেই প্রাচীন ভারতে ঋষভ থেকে পার্শ্বনাথ-তেইশ জন সাধু মোক্ষলাভের উপায় সম্বন্ধে প্রায় অভিন্ন এক অহিংস মতবাদ প্রচার করে আসছিলেন। আমি যা বললাম তা সম্মিলিত ধারনা।

ও।

আমি একজন অরহৎ। বৃদ্ধ সাধুটি বললেন।

অরহৎ? মানে?

অরহৎ হলেন যিনি কামক্রোধ জয় করে গ্রন্থিমুক্ত হয়েছেন। কাজেই, জৈনসাধুদের নির্গ্রন্থও বলা হয়ে থাকে। আমাকে নির্গ্রন্থও বলতে পার। তুমি জিনা মানে জান?

শব্দটি শুনেছি। কিন্তু এর অন্তর্গত মানে যে কী। মহাবীর ইতস্তত করলেন।

সাধুটি ইষৎ হাস্য করলেন। তারপর বললেন, জিনা হল-যিনি ক্রোধ লোভ আবেগ অহঙ্কার জয় করেছেন । কাজেই জিনার অনুসরণকারীই জৈন।

মহাবীর কী যেন ভাবলেন। এক যুগ মৌন থেকে কঠোর সাধনা করলেন। কিন্তু এখন যেন চোখ খুলে যাচ্ছে। জগৎ সম্বন্ধে তার প্রশ্নের কথা সাধুকে জানালেন মহাবীর।

সাধুটি মহাবীরকে বললেন- প্রাচীন তীর্থঙ্করদের বিশ্বাস স্বর্গমর্ত্যসহ এক ধারাবাহিক স্তরে রয়েছে এ বিশ্বজগৎ । বিশ্বজগৎশুরু নেই; শেষ নেই।

বলেন কী! মহাবীর আঁতকে উঠলেন।

হ্যাঁ। মহাবিশ্বের ওপরে রয়েছে শীর্ষ আবাস। ওখানে বাস করে এক মুক্ত আত্মা-সিদ্ধ। উচ্চ জগতে তিরিশটি স্বর্গ রয়েছে। সেখানে বাস করে সমূদয় স্বর্গীয় জীব। পৃথিবী ও বাদবাকি বিশ্ব হচ্ছে মধ্যম জগৎ। নিম্ন জগতে রয়েছে সাতটি নরক ও তার কঠিনতম শাস্তি । আর সবার মূলে বাস করে জীবনের নিম্নতম রুপ। আর রয়েছে এক বৈশ্বিক দূরত্ব: মেঘের স্তরসমূহ- যা উর্ধ্ব জগৎকে রেখেছে ঘিরে।

এসবই তীর্থঙ্করদের কথা? মহাবীর অবাক হয়ে গিয়ে শুধালেন।

তা হলে আর কার? সাধুটি ইষৎ হাস্য করলেন।

কাজেই, পরবর্তীকালে জৈনসৃষ্টিতত্ত্ব একথাগুলিই যুক্ত হয়েছিল। কেননা, পার্শ্বনাথসহ অন্য তীর্থঙ্করদের মতবাদকেই প্রচার করেছিলেন মহাবীর-নতুন কোনও মতবাদ নয়। তীর্থঙ্করদের মতবাদ অপার মানবিক বলেই মহাবীর আর নতুন ধর্মের প্রয়োজন বোধ করেননি। তীর্থঙ্করদের মতবাদে তাঁর আত্মার স্পন্দন শুনেছিলেন। কাজেই তিনি ঘোষনা করলেন-আমিই পার্শ্বনাথের পর জৈনধর্মের ২৪তম তীর্থঙ্কর।

তারপর ভারতবর্ষে ঘুরে জৈন তীর্থঙ্করদের অহিংসবাণী প্রচার করতে লাগলেন মহাবীর। His ways of meditation, days of austerities, and mode of behavior furnish a beautiful example for monks and nuns in religious life. His spiritual pursuit lasted for twelve years. At the end he realized perfect perception, knowledge, power, and bliss. This realization is known as keval-jnana.

একটানা ৩০ বছর ধর্মপ্রচার করলেন মহাবীর। বাংলার পশ্চিম সীমান্তেও অহিংসবাণী নিয়ে এসেছিলেন মহাবীর। কী কারনে প্রাচীন বাংলার একদল অল্পদর্শী লোক কুকুর লেলিয়ে দিয়েছিল মহাবীরের পিছনে। ঐ দুঃখজনক ঘটনাটি প্রখ্যাত ঐতিহাসিক নীহাররঞ্জন রায়ের “বাঙালির ইতিহাস (আদিপর্ব)” বইতে লেখা রয়েছে।

প্রাচীন ভারতের নানা জনপদে মহাবীরের নাম ছড়াল। লোকেরা তাঁর কাছে ভিড় করল। মুক্তির উপায় জানতে চাইল। তিনি বললেন-জন্মই আমাদের আজন্ম পাপ। কাজেই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত কীভাবে জন্মের চক্র থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কী করে দুঃখযন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। দুঃখযন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়াকে বলে নির্বান। মনে রাখবে নির্গ্রন্থ জৈনদের মূলকথা হল- অহিংসা, সত্যবাদীতা, অপহরণ না করা, ব্রহ্মচর্য পালন ও অপরিগ্রহ, মানে কারও ওপর নির্ভরশীল না থাকা। আর তোমরা সুন্দর হও। শরৎকালের জলের মতন নির্মল হও।

নানা শ্রেণির মানুষ তার কথা শুনল। কেউ গ্রহন করল। কেউ করল না।

মহাবীরের আগেও ভারতবর্ষে ২৩জন তীর্থঙ্করের মতবাদ ছিল। তবে তীর্থঙ্করদের কোনরুপ সংগঠন ছিল না। মহাবীরের সময়ে সময় বদলে গিয়েছিল পরিবেশ। প্রাচীনভারতে গড়ে উঠছিল একে একে ষোলটি মহাজনপদ। কৃষির পাশাপাশি স্থান করে নিচ্ছিল বানিজ্য। বাড়ছিল যোগাযোগ । জনসংখ্যাও বাড়ছিল। দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হচ্ছিল মানুষের। আর বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা যাবে না। কাজেই, তীর্থঙ্কদের বানী প্রচার ও চর্চার জন্য একটি সংঘ বা (সংগঠনের) প্রয়োজনীয়তা বোধ করলেন মহাবীর।

যারা তাঁর কাছে শিষ্যত্ব বরণ করেছিল- মহাবীর তাদের ৪ ভাগে ভাগ করলেন-



১/সাধু

২/সাধ্বী (নারী সাধু)

৩/শ্রাবক (সাধারন মানুষ [পুরুষ])

৪/শ্রাবিকা (সাধারন মানুষ [নারী])



এরাই পরে জৈন নামে পরিচিত হয়েছিল। আর সংঘটির নাম হল জৈন সংঘ। আজ আমরা জানি, মহাবীর জৈন সংঘটি দাঁড় না করালে ২৩জন তীর্থঙ্করের মতবাদটি চিরকালের মতো হারিয়েই যেত।

৫২৭ খ্রিস্টপূর্ব। মহাবীর তখন একজন শিষ্যের বাসায় (বর্তমান বিহারের কাছে) পাবাপুরীতে বাস করছেন। বয়েস হয়েছে ৭২ বছর । অনাহারে, অর্ধাহারে কাল কাটাতেন। শরীর ভালো যাচ্ছিল না। তবে মহাবীর সিদ্ধ হয়েছিলেন ঠিকই। কেমন এক সুগন্ধী অলীক জ্যোতি বেরুত তাঁর শরীর থেকে।

একদিন সে জ্যোতি ধীরে ধীরে নিভে এল।

শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা আগে মহাবীর বললেন- আমার পরে আর তীর্থঙ্কর আসবেনা। আমিই জৈনধর্মের সর্বশেষ তীর্থঙ্কর।

না। গত আড়াই হাজার বছরে জৈনদের মধ্যে থেকে কেউই দাবী করেনি যে- আমি জৈনধর্মের ২৫তম তীর্থঙ্কর কিংবা আমিই জৈনধর্মের সর্বশেষ তীর্থঙ্কর।

মহাবীরের মৃত্যুর দিনটিতে পাবাপুরীর শোকার্ত জনগন দীপ জ্বালিয়েছিল । মহাবীরকে বড় ভালোবাসত তারা।

আজও, আড়াই হাজার বছর পরেও ভারতের প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ ভালোবাসে মহাবীরকে। আজও তারা মহাবীরের মৃত্যুদিবসে দীপ জ্বেলে দীপাবলী উৎসব পালন করে ।







না। মহাবীর প্রতিষ্ঠিত সংঘটি অটুট থাকে নি। খ্রিস্টীয় প্রথম শতকের দিকে জৈনসংঘে ফাটল ধরেছিল। জৈনেরা নানা কারণে সেই সময়টায় দু’ভাগ হয়ে পড়েছিল। একদলের নাম হয়েছিল শ্বেতাম্বর। অন্যদলের দিগম্বর।

কেন?

খুলে বলছি। খ্রিস্টীয় প্রথম শতকের দিকে জৈনদের মধ্যে একদল মহাজ্ঞানী পন্ডিত বলল, পোষাক পরলে পোষাকের ভিতরে লুকানো কীটপতঙ্গের মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে। কাজেই পোষাক পরা অনুচিত। মনে নাই পরমজ্ঞান লাভ করে মহাবীর পোষাক খুলে ফেলেছিলেন?

এরাই পরে দিগম্বর নামে পরিচিত হয়েছিল।

পৃথিবীতে চিরকালই কথার পিঠে কথা চলে।

বিরোধীদল বলল, কেন পার্শ্বনাথ পোষাক পরতেন না? পোষাক পরা যেতে পারে। তবে সাবধানে চললেই হল।

এরাই পরে শেতাম্বর নামে পরিচিত হয়ে উঠল।

দিগম্বরের বলল, নারী মোক্ষলাভের অধিকারীরি নয়।

শেতাম্বরেরা বলল, কেন নয় শুনি? মহাবীর নিজে সাব্ধী সংঘ গড়ে দেন নি? তা হলে? নারীগন কেন মোক্ষলাভের অধিকারীরি নয়?

দিগম্বরেরা বলল, মহাবীর বিবাহ করেননি।

শেতাম্বরেরা তখন বলল, বিবাহিত না হলেই কি শুদ্ধতা বৃদ্ধি পায়?

তর্ক চলতেই থাকল।

তবে এসবই সব সংসারত্যাগী সাধুসাব্বধীদের বিষয়আশয়: ঠিক সংসারী লোকের নয়। সংসারী লোকের হিসেব অবশ্য আলাদা। হ্যাঁ। সংসারীরাও জৈনধর্ম গ্রহন করতে পারে। পবিত্র গ্রন্থ পাঠ করতে। পবিত্র গ্রন্থের মধ্যে অঙ্গ ও উপাঙ্গই প্রধান। সবই মহাবীর থেকে আরম্ভ করে অন্যান্য ২৩ জনতীর্থঙ্করের বানী। জৈন নির্গ্রন্থরা আহারবিহার পরিত্যাগ করলেও- সাধারণ জৈন্যদের প্রধান আহার নিরামিষ। পরম অহিংস বলে মাছমাংস খাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না! সংসারী জৈন্যদর প্রথম জীবন কাটে অধ্যয়নে, মানে ছাত্রজীবন। তারপর বিবাহ, পারিবারিক জীবন। সামাজিক জীবনও গুরুর্ত্বপূর্ন । শেষ জীবনে অনেকেই সাধু হয়ে যায় ।

ওদিকে নির্গ্রন্থ জৈনসাধুদের সময় কাটে পবিত্র গ্রন্থপাঠ ও ধর্মালোচনায়। অতি কঠোর জীবন এদের। দিনের বেলায় তো বটেই রাতেও তেমন ঘুমায় না এরা। চুল কাটে না, টেনে টেনে ছিঁড়ে ফেলে। চুল কাটলে চুলের কীট যদি মারা যায়। হাঁটার সময় ময়ূরের পালক রাখে সঙ্গে পথের কীটপতঙ্গ ঝারার জন্য।

অহিংস বলেই গত আড়াই হাজার বছর ধরে কৃষিকাজ না-করে ব্যবসা করেছে জৈনরা। কৃষিতে জমি চষতে হয়। তাতে কীটপতঙ্গের মৃত্যুর সম্ভাবনা। কেননা, তাদের বিশ্বাস জীব পবিত্র, তার বিনাশ চলবে না। ব্যবসা করার কারণেই একশ কোটি মানুষের দেশে জৈনরা সংখ্যালঘু হলেও ভারতের অর্থনীতি প্রধান নিয়ন্তা । এরা যেমন, প্রভূত ধনের অধিকারী-তেমনি প্রচন্ড রকমের দানশীলও। শেষ বয়েসে হাজার কোটি রুপী বিলিয়ে দেওয়া কোনও জৈন ব্যবসায়ীর জন্য অসম্ভব না। আজও।

জৈনরা মন্দিরে যায় উপাসনা করতে। মন্দিরের নাম জৈন চৈত্যগৃহ।

৫০ লক্ষর মতন জৈন আজও চৈত্যগৃহের ভিতরে উচ্চারন করে Namaskar Mantra



* Namo Arihantanam: - I bow to the arithantas (অরহৎ)- the ever-perfect spiritual victors

* Namo Siddhanam: - I bow to the siddhas (সিদ্ধ) - the liberated souls

* Namo Ayariyanam: - I bow to acharyas (আচার্য) - the leaders of the jain order

* Namo Uvajjayanam: - I bow to upadhyayas (উপাধ্যায়)- the learned preceptors

* Namo Loe Savva Sahunam: - I bow to all saints and sages everywhere in the world (এই বাক্যটি লক্ষ্য করুন)

* Eso Panch Namukkaro: - These five obeisances

* Savva PavapPanasano: - Erase all Sins

* Mangalancha Savvesin : - Amongst all that is auspicious

* Padhamam Havai Mangalam: - This is the foremost



In the above prayer, Jains do not ask for any favors or material benefits from their Gods, the Tirthankaras or from monks and nuns. They do not pray to a specific Tirthankara or monk by name. By saluting them, Jains receive the inspiration from the five benevolent for the right path of true happiness and total freedom from the misery of life.





(এই লেখাটা পড়ে আপনাদের কারও যদি মনে হয় মহাবীর সত্যিই একজন আলোকময় মানুষ ছিলেন; তা হলে আপনাদের একটা কথা আবারও মনে করিয়ে দিই যে: মহাবীর অহিংসবাণী নিয়ে যখন প্রাচীন বাংলার পশ্চিম সীমান্তে এসেছিলেন- তাঁর পিছনে প্রাচীন বাংলার একদল লোক কুকুর লেলিয়ে দিয়েছিল । কথাটা বলার কারণ। আজও আমাদের মহাবীরের কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়নি।)



তথ্যসূত্র:



১) নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য লিখিত-ধর্ম ও সংস্কৃতি: প্রাচীন ভারতীয় প্রেক্ষাপট।



Click This Link

http://www.religioustolerance.org/jainism.htm

Click This Link

http://www.dlshq.org/saints/mahavira.htm



মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৮

জেমসবন্ড বলেছেন: জানতাম না তাদের সম্মন্ধে, জানলাম ।

২| ২১ শে নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০৭

রাঙা মীয়া বলেছেন: কালীসাধনা ও কালীসাধকদের ব্যাপারে আপনার পোস্ট চাই । যেমনঃ হাছন রাজা ,পন্ডিত রবিশংকর ।উল্লেখ্য বিশ্বখ্যাত ব্যান্ড বিটলসের সদস্যরাও ভারতবর্ষে এসে রবিশংকরের কাছ থেকে কালীসাধনার তালিম নিয়েছিলো। অসাধারন পোস্ট পাচ্ছি আশা করি .......

২১ শে নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: রামকৃষ্ণপরমহংসদেবের ওপর লেখার ইচ্ছে রয়েছে।

৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২৯

জটিল বলেছেন: ভাই আপনার স্ট্যামিনা আছে , দিন্রাত শুধু ব্লগ ই লেখেন

২১ শে নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: লিখতে, গবেষনা করতে ভালোই লাগে।

৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪২

সাদা কাগজ বলেছেন: কও অজানা রে .................
+++++++++++++++++

৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫২

লালন অনিক বলেছেন: কিচ্ছু বলার ভাষা নেই, আমি বিমুগ্ধ....

২১ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:২০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: আপনাদের জন্যই তো লিখি-

৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:৫৪

আখসানুল বলেছেন: পরম হংসের জন্য অপেক্ষায় আছি...

২১ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:২৪

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অপেক্ষা করুন। ওঁর "কথামৃতটা" আবার পড়তে হবে। ১০-১২ বছর আগে পড়েছিলাম। বিবেকানন্দ সমগ্র (৩ খন্ড) টাও দেখতে হবে।
তবে আমি কালীতত্ত্বের চেয়ে মানুষ পরমহংসের ওপরই জোর দেব।
আর সারদা মায়ের ওপর।
সারদা মা আমার খুব কাছের ...কেন?
লেখায় বলব।

৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:৫২

ভাঙ্গা পেন্সিল বলেছেন: আপনার বিভিন্ন জাতি আর ধর্ম বিষয়ক পোস্টগুলো মজা লাগছে। জানার আছে অনেক কিছু।

২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:৫৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: জানছি আমিও।

৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২৪

নরাধম বলেছেন: প্রিয় পোস্ট। ভাল লাগল খুব।

৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৫০

নাজিম উদদীন বলেছেন: এক্সেলেন্ট। 'জন্মই আমার আজন্ম পাপ ' বলায় আধুনিক বাংলার এক কবি এখন দেশান্তরী। ভারতবর্ষের সেই নানা মত নানা পথের সেই ঔদার্য আমরা হারিয়ে ফেলিছি। মহাবীরকে কুকুর লেলিয়ে দেয়ার ঘটনায় মনে হয় বাঙালী আগে থেকেই বদমাইশী করত।

আমার দোস্ত 'হিতেশ জৈন' জীবনে কোন মাংস খায়নি, গাড়ীতে , বাড়ীতে মহাবীরের মূর্তি বসানো। এখন সব জানলাম

১০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:৪৬

পাপী বলেছেন: ভালো তো!!

১১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৩০

রশীদ খাঁন বলেছেন: ভালো

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:৩৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

১২| ০৭ ই জুন, ২০০৯ রাত ১২:৩১

আকাশ অম্বর বলেছেন: মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। আবারও।

১১ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৩| ৩০ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ২:৩২

দীপান্বিতা বলেছেন: লেখাটি খুব সুন্দর হয়েছে...অনেক কিছু জানলাম...হিস্ট্রি চ্যানেলে বুদ্ধকে নিয়ে একটা ডকুমেন্ট দেখেছিলাম...কৈশোর মহাপুরুষদের অনেকটাই এক ধরনের হয় বোধ হয়...আর মহাবীর এত বড় ঞ্জানী যে আমাদের পূর্বপুরুষদের সে অন্যায় তিনি নিজ গুণেই ক্ষমা করেছেন মনে হয়......তবু আমিও সে ঘটনার জন্য লজ্জিত বোধ করছি এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি...
আরো এমন সুন্দর লেখার আশা রইল .....:)

৩০ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৩:১৪

ইমন জুবায়ের বলেছেন: লিখব। ধন্যবাদ।

১৪| ১১ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:৫০

হুমায়রা হারুন বলেছেন: +++++++++

১১ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:২৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৫| ১১ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:৩১

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: প্রিয়তে।

১১ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৬| ২২ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১১:৪৪

কবি মৃত্যুময় বলেছেন: এক নি:শ্বাসে পড়লাম। খুবই কৌতুহলূদ্দীপক। অসাধারণ গবেষণা। কৃতজ্ঞতা।

২৩ শে জুলাই, ২০১০ ভোর ৬:৩৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.