![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন মানে শুধুই যদি প্রাণ রসায়ন/ জোছনা রাতে মুগ্ধ কেন আমার নয়ন। [email protected]
বাংলার লোকসংগীত যে কত সমৃদ্ধ সে কথা আর নতুন করে কী কব। ভাওয়াইয়া, জারি-সারি-মুর্শিদি ...একেক অঞ্চলের ভাবের প্রকাশ একেক ধরনের-সবই শ্রুতিমধুর; দার্শনিক। এবং, মনোমুগ্ধকর। রাজশাহী ও (চাঁপাই)নবাবগঞ্জে তেমনি গম্ভীরা গান অত্র অঞ্চলের জনমানসের ভাবের প্রকাশক। অত্যন্ত আকর্ষনীয় সে গান-যে গানের কথা ও সুরে ফুটে ওঠে গ্রামীন সমাজের অনিবার্য সঙ্কট।
সনাতন ধর্মালম্বীদের অন্যতম পূজ্য দেবতা শিব। শিবের এক নাম, ‘গম্ভীর’। কাজেই এককালে শিবের উৎসবে শিবের বন্দনা করে যে গান গাওয়া হত- সেই গানের নামই কালক্রমে হয়ে যায়; ‘গম্ভীরা’। শিব> গম্ভীর> গম্ভীরা।
পরে, যেমন হয়-গম্ভীরা গানের ধরন যায় বদলে।
গানের সুরে সুরে দেবদেবীকে সম্বোধন করে বলা হতে থাকে গ্রামীণ দারিদ্রক্লিষ্ট মানুষের সুখ-দুঃখ। কখনও কখনও সারা বছরের প্রধান প্রধান ঘটনা এ গানের মাধ্যমে আলোচিত হত। পালা-গম্ভীরায় অভিনয়ের মাধ্যমে এক একটা সমস্য তুলে ধরা হত। চৈত্র-সংক্রান্তিতে বছরের সালতামামি উপলক্ষে পালা-গম্ভীরা পরিবেশন করা হত।
এসবই বিভাগ-পূর্ব সময়ের কথা।
এই কথা বলার কারণ আছে।
গম্ভীরা গানের উৎপত্তি পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলায়। পাকিস্তান সৃষ্টির পর পূর্ব পাকিস্থানের রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ অঞ্চলে গম্ভীরা টিকে রইল। তারপর থেকে গম্ভীরা গানের পৃষ্ঠপোষক হয় মুসলিম সমাজ। ফলত, গানের আঙ্গিক ও বিষয়বস্তুর পরিবর্তন হয়ে ওঠে অনিবার্য। যেমন -আগে গম্ভীরা গানের আসরে শিবের অস্তিত্ব কল্পনা করা হত। বর্তমানে গম্ভীরা গানের আসরে শিবের পরিবর্তে ‘নানা-নাতি’র ভূমিকায় দুজন অভিনয় করে। কাজেই, গানটা সর্ম্পূনতঃ মর্ত্তের মানুষের হয়ে গেল। দেবতারা সব তফাতে গেলেন। যাগ গে। নানার মুখে পাকা দাঁড়ি, মাথায় মাথাল,পরনে লুঙ্গি; হাতে লাঠি। আর নাতির পোশাক ছেঁড়া গেঞ্জি, কোমরে গামছা ইত্যাদি। একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের ছবি। ‘নানা-নাতি’র সংলাপ ও গানের মধ্য দিয়ে দ্বৈতভাবে গম্ভীরা গান পরিবেশিত হয়।
এভাবেই দেশবিভাগের পর থেকেই রাজশাহী নবাবগঞ্জ ও নওগাঁ অঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে গম্ভীরা।
বাংলার লোকসঙ্গীতের মধ্যে গম্ভীরাই সবচে বেশি জনমানুষসংশ্লিষ্ট গান। কেননা, গানে গ্রামীণজীবনের সমস্যা তুলে ধরা হয় ও সমাধানও বলে দেওয়া হয়। আঞ্চলিক ভাষায় রচিত সংলাপ ও গানের মাধ্যমে কোনও একটা বিষয় তুলে ধরা হয়। গানের একটি ধুয়া থাকে; সংলাপের ফাঁকে ফাঁকে গানগুলি ধুয়ার সুরে গীত হয়। গম্ভীরা গানে প্রধানত গ্রামীণসমাজের নানা দোষ-ক্রটি উঠে আসে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের কুতুবুল আলম, রকিবউদ্দীন, বীরেন ঘোষ, মাহবুবুল আলম প্রমূখ গম্ভীরা গানের বিশিষ্ট শিল্পী। এঁরা গম্ভীরাকে বাংলাদেশে জনপ্রিয় করে তুলেছে।
তথ্যউৎস: বাংলাপিডিয়া।
২৭ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ৯:৫৪
ইমন জুবায়ের বলেছেন: হ্যাঁ ...
২| ২৭ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ১০:০৯
সহেলী বলেছেন: ছোটবেলা থেকেই নানা - নাতির প্রসঙ্গ এলেই চোখে ভাসত গম্ভীরা ।
২৭ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ১০:১২
ইমন জুবায়ের বলেছেন: তখন বুঝতাম না। এখন বুঝি যে গান হিসেবে গম্ভীরা অনেকই ব্যতিক্রমী। সমাজসচেতন বলেই।
৩| ২৭ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ১০:০৯
আইরিন সুলতানা বলেছেন: এক সময় বিটিভি তে নিয়মিত দেখানো হতো নানা-নাতির এই আঞ্চলিক ক্যাচাল...অনেক শিক্ষনীয় বিষয় উঠে আসতো তাদের আলোচনায়, উপহাসে ...
হে নানা....
২৭ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ১০:১৩
ইমন জুবায়ের বলেছেন: হ্যাঁ।
৪| ২৭ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ১০:৩৩
ধ্রুবমেঘ বলেছেন: আমার মনে আছে, প্রথম গম্ভীরা শুনি কোনো এক মেলায়। তখন থেকেই আমি গম্ভীরার ভক্ত।
২৭ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ১০:৩৭
ইমন জুবায়ের বলেছেন: এমন গানের ভক্ত হওয়াই যায়। বাঙালির সৃজনশীলতা আরেক নিদর্শন।
৫| ২৭ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:১৫
পজিটিভ২৯ বলেছেন: আমাদের ভার্সিটিতে আমরা প্রশাসনের টনক নাড়াতাম গম্ভীরা দিয়ে।
২৭ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:২২
ইমন জুবায়ের বলেছেন: অতি উচ্চমার্গের শিল্প গম্ভীরা। প্রকৃত গণশিল্প।
৬| ২৭ শে মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৩
অপ্সরা বলেছেন: আমি নিজে চোখে দেখেছিলাম একবার গম্ভীরা পালাগান নাটোরের এক অনুষ্ঠানে। খুবই মজার অভিনয় ও সমস্যা ও সমাধান নিয়ে বানানো এই গান গুলো।
৭| ২৭ শে মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৪:৪২
ইমন জুবায়ের বলেছেন: খুবই মজার অভিনয় ও সমস্যা ও সমাধান নিয়ে বানানো এই গান গুলো ...
তাই।
৮| ২৭ শে মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪০
প্রচ্ছদ বলেছেন: +
২৭ শে মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০১
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদম।
৯| ২৭ শে মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০৭
কাকশালিখচড়াইগাঙচিল বলেছেন: এক শিল্পীর নামই হইয়া গেছে গম্ভীরা সিং
২৭ শে মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৩
ইমন জুবায়ের বলেছেন: তাই নাকি?
১০| ২৯ শে মার্চ, ২০০৯ ভোর ৬:০৪
তনুজা বলেছেন: খুব প্রিয় জিনিস , 'গম্ভীরা' নামের কারণ জানতাম না
ধন্যবাদ ইমন ভাই
নানা হে...
১১| ২৯ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:৪৯
মে ঘ দূ ত বলেছেন: 'গম্ভীরা'-র নামের উৎস জেনে উপকৃত হলাম সাথে ধর্মের কারণে এর তাৎপর্য পালটে যাওয়াতে একটু মর্মাহত ও হলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে।
২৯ শে মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১২:০২
ইমন জুবায়ের বলেছেন: মর্মাহত হওয়ার কিছুই নেই। এই কালের নিয়ম।
ধন্যবাদ মেঘদূত।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ৯:৫৩
যুগান্তকারী বলেছেন: নানা হে.......................।