![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন মানে শুধুই যদি প্রাণ রসায়ন/ জোছনা রাতে মুগ্ধ কেন আমার নয়ন। [email protected]
আমার হাতের
জোনাকি যেন
ঠান্ডা আলো ।
ঝিঁঝি ডাকছে;
মনে হয়
জুতার আলমীরার পিছনে।
নিঃসঙ্গ শব্দ
জ্বলন্ত আগুনের মুখ
তার ওপর তুষারাচ্ছন্ন কাঠ!
অলস ভাবে
মোজা খুলে
বিছানায় যাই।
জলের ওপরে
হলদে প্রজাপতির
পাখনার আন্দোলন।
গ্রীস্মের ঝড়ে-
আমার টেবিল থেকে
খালি পৃষ্ঠাগুলি সব উড়ে গেল।
গ্রামের পথ
ছেলেরা সাপ তাড়াচ্ছে
হেমন্তের গমক্ষেত।
ভোরের কুয়াশা
আগুনের পাশে একটা মানুষ
নির্মান শ্রমিকের ছাউনি।
পেয়ারা কাটার সময়
রস পড়ে
চাকু থেকে।
গ্রীষ্মের ঘাস
দূরের পথ
লোকেরা বেসবল খেলছে।
একটি বাউন্ডুলে বেড়াল
আমার শীতের বাগানে
হেগেছে।
ঝিঁঝিরা
বাগানের কোণে-
যেখানে কুকুরটির কবর।
ছেঁড়া চামড়ায় আটকে
ছড়িয়ে আছে
শীতের ধান।
এই হাইকুগুলো লিখেছেন মাসাওয়াকা শিকি। তিনি ছিলেন জাপানের জবরদস্ত হাইকু-লিখিয়ে। তাঁর সময়কাল: ১৮৬৮-১৯০২।
হাইকু হল:short Japanese poem: a form of Japanese poetry with 17 syllables in three unrhymed lines of five, seven, and five syllables, often describing nature or a season
অবশ্য হাইকুতে nature or a season নাও হতে পারে। কেননা, ২য় সংখ্যক হাইকুতে মাসাওয়াকা শিকি লিখেছেন-
ঝিঁঝি ডাকছে
মনে হয়
জুতার আলমীরার পিছনে।
কিংবা, ৪র্থ সংখ্যক হাইকু -
অলস ভাবে
মোজা খুলে
বিছানায় যাই।
এখানে প্রকৃতি বা ঋতু কই?
আর যে সিলেবলের কথা বলা হল তা আসলে জাপানি সিলেবল। কাজেই, বাংলায় হাইকু হল তিন লাইনের অনুভূতি গুচ্ছ কিংবা তেমন কোনও দৃশ্যের বর্ননা। যেমন,
জলের ওপরে
হলদে প্রজাপতির
পাখনার আন্দোলন।
১৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৪
ইমন জুবায়ের বলেছেন: সরেশ? বটে!
২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪২
রুবাইয়াত ইসলাম সাদাত বলেছেন: অনুবাদ গুলো আপনার জুবায়ের ভাই? খুব ভালো অনুবাদ হয়েছে। নতুন একটা ফর্ম শিখলাম-হাইকু। আমাদের পয়ারের মত।
১৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৪
ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনুবাদ আমিই করি। শেখা যখন হল তখন হাইকুর অপেক্ষায় রইলাম।
৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫০
ভাবারূ বলেছেন: একটি বাউন্ডুলে বেড়াল
আমার শীতের বাগানে
হেগেছে।
-.. অসাধারণ..!
১৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ইংরেজিটা -
A stray cat
shits in my
winter garden.
৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫২
রুবাইয়াত ইসলাম সাদাত বলেছেন: আমি লিখবো হাইকু? তাহলেই সেরেছে! ছিটেফোটাঁ পুঁথি লিখি, তাও ফানপুঁথি। খুব খুব ভালো অনুবাদের জন্যে আবারো বাহবা জানাই।
১৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৭
ইমন জুবায়ের বলেছেন: আচ্ছা।
ড. শাহাদাত আর আকাশ (ডাবলিন ফেরত) তোমার কথা খুব বলে।
৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৩
কাকশালিখচড়াইগাঙচিল বলেছেন:
রেশ সহ।
১৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৭
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ওরে -কী শুরু করেছিস?
৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৮:০০
কাকশালিখচড়াইগাঙচিল বলেছেন:
র্যাশ না কিন্তু বস যে চুলকুনি হবে, ঘা হবে।
১৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৯:২৩
ইমন জুবায়ের বলেছেন: হলে -কী আর করা রে।
৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৮:০৭
রুবাইয়াত ইসলাম সাদাত বলেছেন: জুবায়ের ভাই, আপনি আমাকে চেনেন?? ওরে আল্লা!
আকাশ কে খুব ভালো করে চিনি। খুব ভালো বন্ধু। তবে ড.শাহাদাত কে চিনতে পারলামনা। আপনি কি করছেন জুবায়ের ভাই?
১৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৯:২৪
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ড.শাহাদাত আকাশের ঘনিষ্ট। ওরা বলল -তুমি নাকি ফাটাফাটি রেজাল্ট করস ...
৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৮:১১
খলিল মাহমুদ বলেছেন:
প্রথমে ভেবেছিলাম আপনার লেখা এবং অবাক হয়ে পড়ছিলাম আর মুগ্ধ হচ্ছিলাম (যেমন 'গোগ্রাসে' আপনার গদ্য গিলি)। যদিও পরে জানলাম এটা আপনার অনুবাদ, তথাপি পুরো কৃতিত্ব আপনারই- এতো সাবলীল অনুবাদ খুব বিরল।
হাইকুর সাথে আমার পরিচয় এই ৩-৪ দিনে আগে ওখানে , যদিও এটা এখানেও ছাড়া হয়েছিল।
শুভ কামনা।
১৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৯:২৫
ইমন জুবায়ের বলেছেন: শুভ কামনা।
৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৮:১৬
খলিল মাহমুদ বলেছেন: স্যরি ইমন ভাই, ভুল রেফারেন্স লিংক ওটা। সঠিক লিংক এটা ।
১৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৯:২২
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ঠিক আছে।
১০| ১৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৯:৩৪
অহনা বলেছেন: ইমন গ্রুপে জয়েন করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার হাইকু দেখে ভেবেছিলাম সিরিয়াস কিছু...
অনেক ভালোর ভিতর কিছু মন্দ না ঢুকালেই কি নয়?
আমিতো ভেবেছিলাম সব ভালো ভালেঅ গল্পই শুধু পাবো। অথবা কবিতা!
একটা লিমেরিক মনে পড়ছে আপনার হাউকাউ পড়ে
রাজার দেশে রাণী
চলছে বীনা পানি
অতিথি আসে রোজ
তাই সংসারে টানাটানি।
ভাই আছে বোন নাই
মা আছে বাবা নাই
আসলে নেই কিছু
সব আছে শুধু চাই যা নাই তা।
ভোরের হাওয়ায় ঘুম ভাঙে
কাকের ডাকে রাগ ভাঙে
কোলাহল নেই শুধু রাতে
চুপি চুপি কতো মেয়ে
বদলায় হাতে হাতে।
ভার্সিটির ছাত্ররাও আসে পললিতে
রোকেয়া হলেও হয় পর্ণো
ওরা জানে বিদ্যা সবি
দেশটা জরাজীর্ণ।
থাক মন্তব্যে আর কিছু নাই বলি...
১৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৯:৫২
ইমন জুবায়ের বলেছেন: হাইকু নিজে লিখিনি। জাপানি এক কবির সঙ্গে সবার পরিচয় করিয়ে দিতেই অনুবাদ। অন্য উদ্দেশ্য তো নয়-অনুবাদ ভালো না লাগলে বা জাপানি হাইকু ভালো না লাগলে অবশ্য অন্য কথা। আপনার এ হেন প্রতিক্রিয়ায় আমি খানিক বিস্মিত।
১১| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:৪৫
নাজিম উদদীন বলেছেন: হাইকুর কনসেপ্ট এখন অন্যত্র ছড়িয়ে গেছে, পিএটিসি তে আমরা হাইকু বাগান করেছিলাম।
বাংলায় এরকম তিন-চার লাইনে অখন্ড ভাব প্রকাশের কোন মাধ্যম নাই কেন? আমরা কি তাহলে ইনিয়ে-বিনিয়ে (কবর কবিতা ! )বেশি কথা বলতে চাই।
হাইকুর কাছাকাছি মনে হয় উর্দূ শের-শায়েরী। আপনার কাছ থেকে কিছু শের-শায়েরী চাই।
২০ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:৪৮
ইমন জুবায়ের বলেছেন: হাইকু বিশ্বব্যাপী ভীষনই জনপ্রিয়।
জাপান অল্প কথায় অনুভূতি প্রকাশে অদ্বিতীয়; আমাদের কথা যেন বেশি।
উর্দূ শের-শায়েরীর অনুবাদ করব। এখন কার্ল মার্কসের কবিতা অনুবাদ করছি।
ধন্যবাদ।
১২| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: দারুন কাজ করেছেন জুবায়ের ভাই। আসেন বিসমিল্লাহ বৈলা শুরু করি মৌলিক বাংলা হাইকু..
২০ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:৫৯
ইমন জুবায়ের বলেছেন: করেন। আমিও করি। এই যে প্রথমটা
বৃষ্টির পর
ইলেকট্রিক তারে
একটা কাক।
কেমন লাগল?
১৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৫
ভাবারূ বলেছেন: হাইকুর সাথে আমার পরিচয় হয় মাত্র কয়েক বছর আগে। খুব সম্ভবত দৈনিক প্রথম আলোর সাহিত্য সাময়িকী পাতায়। ঠিক তখন থেকেই হাইকু নিয়ে বন্ধুদের ভিতর বেশ মাতামাতি শুরু হয়। কিছু ঘটলেই হাইকু লিখে বন্ধুরা ফেসবুকে পাঠানো শুরু করে। মাত্র তিন লাইনে অনুভূতি প্রকাশের এই রসাল ধারা বেশ মজাই লাগে।
সেই প্রথম আলোর সাহিত্য সাময়িকী তে আমার প্রথম পড়া হাইকু টি আপনাদের সবার সাথে share করলাম।
ডোবা পুকুর
ব্যঙের ঝাপ
জলের শব্দ
(প্রকৃত লেখক কিংবা অনুবাদক কারও নাম মনে নেই, দুঃখিত..!)
২২ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৮:৩১
ইমন জুবায়ের বলেছেন: প্রকৃত লেখক Matsuo Basho ( 1644 1694)
প
A frog leaps
into the ancient pond
-plop!
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪১
কাকশালিখচড়াইগাঙচিল বলেছেন:
বেশ বেশ বেশ সরেশ