![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন মানে শুধুই যদি প্রাণ রসায়ন/ জোছনা রাতে মুগ্ধ কেন আমার নয়ন। [email protected]
না। পার্বতীর পরবর্তী জীবন সম্বন্ধে শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায় লিখে যাননি কিছু। এসবই অনুমানের বিষয়। উপন্যাসে ক্লাইমেক্স তৈরি স্বার্থেই পার্বতীর শ্বশুরবাড়ির সামনে দেবদাস-এর মৃত্যু দেখালেন শরৎচন্দ্র- উনিশ শতকের রক্ষণশীল পরিবার। তারাই-বা কি ভাবল? শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায় একবারও ভাবলেন না দেবদাসের মৃত্যুর পর পার্বতীর পরবর্তী জীবন কেমন বিষাদক্লিষ্ট হতে উঠতে পারে?
আসলে এসব নিয়ে ভেবে লাভ নেই। কেননা, দেবদাস নিছক একটি গল্পই। কিন্তু, আসলেই কি দেবদাস নিছক একটি গল্প মাত্র? ১৯১৭ সালে ‘দেবদাস’ প্রকাশ হওয়ার পরপরই ‘দেবদাস-এর বিষয়বস্তু সত্য ভেবে’ বাংলাসহ গোটা ভারতবর্ষে কি তোলপাড় ওঠেনি। চলচ্চিত্র তো পরের কথা, তার আগে ক’টি ভারতীয় ভাষায় দেবদাস অনূদিত হয়েছে সে খবর কি আমরা রাখি? দীর্ঘদিনব্যাপী বাংলার মানসিক জগতে দেবদাস মিলে মিশে একাকার হয়ে আছে। দেবদাস বলতে বিরহ কাতর এক যুবককে বোঝায় ... এবং আরও অনেক কিছুই বোঝায় ... যেমন, পার্বতীর অসহায় কান্না ... একটি মাত্র শব্দের এত শক্তি!
শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায় জন্ম ১৫ সেপ্টেম্বর ১৮৭৬ এবং দেবদাস রচনাকাল ১৯০১, প্রকাশকাল ১৯১৭ ... দেবদাস লিখে এই সাদামাটা মানুষটিই কিনা একুশ শতকের বিশ্ব কাঁপিয়ে দিলেন ...
প্রায়শ ভাবি, শেকসপীয়রের রোমিও জুলিয়েট যেমন ইটালির সত্য ঘটনার ওপর রচিত তেমনি দেবদাসও কি তেমনি বাংলার কোনও সত্যি ঘটনার ওপর রচিত? রচনার সময় শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায় এর বয়স কম না, প্রায় তিরিশের কাছাকাছি। শরৎচন্দ্র কি কোথাও শুনেছেন বিয়োগান্তক কাহিনীটি? সম্ভবত। তার কারণ জীবনের প্রতিমুহূর্তে ঘটনা ঘটে চলেছে, শিল্পীরা সেসব ঘটনার রূপায়ন করছেন লেখায় কবিতায় ছবিতে।
যদি তেমন না হয় তো?
পার্বতীর পরবর্তী দুঃখী জীবনের কথা মাঝে-মাঝে ভাবি। উনিশ শতকের রক্ষণশীল পরিবার। সব জানাজানি হল। বউয়ের বিবাহ-পূর্ব সম্পর্ক ছিল। ছিঃ ছিঃ ছিঃ ...এমন কেমন কথা! এ যুগে কারও কে বিশ্বেস নেই। যা হোক। পার্বতীর তৎকালীন মানসিক অবস্থার কথা কল্পনা করা তেমন কঠিন না।
বড় কঠিন ছিল সে মুহূর্তগুলি। আমৃত্যু, পার্বতীর ...
মাঝে-মাঝে আমার এও মনে হয় যে কেবলই উপন্যাসে ক্লাইমেক্স সৃষ্টির স্বার্থেই পার্বতীর শ্বশুরবাড়ির সামনে দেবদাস-এর মৃত্যু দেখান নি শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়, শরৎচন্দ্রের অভিপ্রায় ছিল আরও গভীর। দেবদাস এর মূল বিষয়বস্তু দেবদাসের বিরহ ও করুন মৃত্যু নয় ... দেবদাস এর মূল বিষয়বস্তু পার্বতীর পরবর্তী বিষাদক্লিষ্ট
জীবন। তার মানে দেবদাসের কাহিনী যেখানে শেষ সেখানেই দেবদাসের আসল গল্পের শুরু! যে গল্পের মূল আখ্যান পার্বতীর পরবর্তী বিষাদিত জীবন। হাজার হলেও পাবর্তীর সেই পরবর্তী বিষাদিত জীবনের জন্য দায়ি একজন পুরুষ! এইসব ভেবে ভেবে কেমন যেন চমক লাগে মনে। ভাবি যে, এ রকম প্লট-পরিকল্পনা কেবল শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের মতো একজন অসম্ভব শক্তিশালী কথা-সাহিত্যিকের পক্ষেই সম্ভব।
নারীর সুখ-দুঃখকে অনুভব করতে সক্ষম এই মহান সাহিত্যিককে শ্রদ্ধা
২৪ শে মে, ২০১০ সকাল ১১:২৩
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ কবি।
২| ২৪ শে মে, ২০১০ সকাল ১১:২৩
শিরীষ বলেছেন:
হ্যাঁ, তাই তো! এভাবে তো কেউ ভাবে নি! এই প্লট নিয়ে কিছু একটা করা যায় কিনা সংশ্লিষ্ট মহল ভেবে দেখতে পারেন।
২৪ শে মে, ২০১০ সকাল ১১:২৬
ইমন জুবায়ের বলেছেন: বিষয়টি নিয়ে অনেকদিন ধরে ভাবছি। সবাই মনে করে দেবদাস মৃত্যুর আগে পার্বতীর শ্বশুরবাড়ির দিকে নিরুপায় হয়ে কিংবা প্রেমের টানে ছুটে চলেছে। সে একবারও ভেবে দেখল না এর পরিনতি!
আর, দেবদাস এর মূল বিষয়বস্তু পার্বতীর পরবর্তী বিষাদক্লিষ্ট
জীবন। তার মানে দেবদাসের কাহিনী যেখানে শেষ সেখানেই দেবদাসের আসল গল্পের শুরু!
৩| ২৪ শে মে, ২০১০ সকাল ১১:৩৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দেবদাস মরে যেয়ে শ্রীকান্তরূপে জন্মেছিল। মাঝখানে কিছু গোঁজামিল দিয়ে মিলিয়ে দেখুন, পার্বতী পরবর্তী সময়ে রাজলক্ষ্মীরূপে বঙ্কুর মা-তে পরিণত হয়েছিল শ্রীকান্তের ঘরে একদিন রাতে দরজা ঠেলে চুপি চুপি রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্তের শিয়রের কাছে গিয়ে বসলো... শ্রীকান্ত তখন ঘুমাচ্ছিল
... এরপর যা হবার হয়ে গেলো, অর্থাৎ শ্রীকান্তের বুকে হাত দিয়ে গায়ের জ্বর মেপে তেমনি চুপি চুপি রাজলক্ষ্মী বেরিয়ে গেলো। বড় প্রেম যেভাবে কাছে টানে, তারও চেয়ে বেশি জোরে দূরে ঠেলে দেয়।
দেবদাস আর শ্রীকান্ত ভিন্ন কেউ নয়; পার্বতী আর রাজলক্ষ্মীও এভাবেই পার্বতীর পরবর্তী জীবনকাহিনী সম্পর্কে আমরা জানি
২৪ শে মে, ২০১০ সকাল ১১:৩৯
ইমন জুবায়ের বলেছেন: আসলেই।
ধন্যবাদ।
৪| ২৪ শে মে, ২০১০ সকাল ১১:৪৫
সব্যসাচী প্রসূন বলেছেন: আমার তো মনে হয় প্রায় গল্পই শেষ থেকে আবার শুরু করা যায়... জীবন যেমন থেমে থাকে না তেমনি জীবনের লেখচিত্র গল্পেরও থেমে থাকার কথা না..
২৪ শে মে, ২০১০ সকাল ১১:৫৭
ইমন জুবায়ের বলেছেন: প্রতিটি সমাপ্ত উপন্যাসেরই দ্বিতীয় পর্ব লেখা যায়।
৫| ২৪ শে মে, ২০১০ সকাল ১১:৫০
রেনেসা বলেছেন: ''দেবদাস এর মূল বিষয়বস্তু দেবদাসের বিরহ ও করুন মৃত্যু নয় ... দেবদাস এর মূল বিষয়বস্তু পার্বতীর পরবর্তী বিষাদক্লিষ্ট
জীবন।''
আপনার লেখাটি সুন্দর হয়েছে। বিচারের দৃষ্টিভঙ্গিও।
যে কোন ভাল উপন্যাসের পারিপার্শ্বিক চরিত্র গুলো তার সময়ের চরিত্র বহন করে। যেটা গল্পের মুল থিম নয়।
ঠিক একই ভাবে আপনার দৃষ্টিভঙ্গিতে যে বিষয়টি এসেছে এটাও পারিপুরক। কোন ভাবেই মুল উদ্দেশ্য নয়।
যদি শরৎএর বিচারবুদ্ধি সম্পর্কে আপনার আস্থা থাকে তবে এভাবে চিন্তা করতে পারেন যে শরৎবাবু উপন্যাসটির নাম দিয়েছে দেবদাস। পাবর্তী নয়।
কারন কি?
২৪ শে মে, ২০১০ দুপুর ১২:০৭
ইমন জুবায়ের বলেছেন: যদি শরৎএর বিচারবুদ্ধি সম্পর্কে আপনার আস্থা থাকে তবে এভাবে চিন্তা করতে পারেন যে শরৎবাবু উপন্যাসটির নাম দিয়েছে দেবদাস। পাবর্তী নয়।
আপনার এ কথাটি বেশ ভাবার মতো বটে। দেবদাস নিয়ে এ যাবৎকালের ভাবনা ঠিকই আছে। তবে আমার বলার বিষয়টি আসলে পার্বতীর পরবর্তী বিষাদক্লিষ্ট জীবন। এরপরও আমি লিখেছি দেবদাস এর মূল বিষয়বস্তু পার্বতীর পরবর্তী বিষাদক্লিষ্ট জীবন। তার কারণ সাহিত্যকে নানা আঙ্গিকে বিচার করা চলে। আর এখানেই সাহিত্যের প্রধান আকর্ষন। আমার ভাবনাই যে সত্য সেরকম দাবী কিন্তু আমার নয়। আমার এ পোস্টের উদ্দেশ্য একটি ভাবনাকে উশকে দেওয়া।
ধন্যবাদ।
৬| ২৪ শে মে, ২০১০ দুপুর ১২:১৮
রুদ্র তুফান বলেছেন: ভাল লাগ্লো লেখাটি
২৪ শে মে, ২০১০ দুপুর ১:২১
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ২৪ শে মে, ২০১০ দুপুর ১২:২১
মামন বলেছেন: +
২৪ শে মে, ২০১০ দুপুর ১:২১
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।
৮| ২৪ শে মে, ২০১০ দুপুর ১২:৪৮
হিরম্ময় কারিগর বলেছেন: দেবদাস লিখে এই সাদামাটা মানুষটিই কিনা একুশ শতকের বিশ্ব কাঁপিয়ে দিলেন ........................ একমত হতে পারলাম না বলে দুঃখিত। দেবদাস কোনমতেই শরৎচন্দ্রের শক্তিশালী লেখার মধ্যে পড়ে না। তবে এই উপন্যাস যে প্রচন্ড জনপ্রিয় সেকথা অনস্বীকার্য। সমালোচকরা গৃহদাহ, চরিত্রহীন কিংবা শ্রীকান্তকে দেবদাসের চেয়ে এগিয়ে রাখেন অনেকখানি।
তবে আপনার পোস্টের বিষয়বস্তু ভালো লেগেছে।
২৪ শে মে, ২০১০ দুপুর ১:২৪
ইমন জুবায়ের বলেছেন: দেবদাস লিখে এই সাদামাটা মানুষটিই কিনা একুশ শতকের বিশ্ব কাঁপিয়ে দিলেন ...
আমি আসলে বলিউডি সেই ছবির ইঙ্গিত দিয়েছি। অস্বীকার করার উপায় নেই যে বলিউডি সেই ছবির পর দেবদাস ও শরৎচন্দ্র সম্বন্ধে পশ্চিমা বিশ্বে ব্যাপক কৌতূহল সৃষ্টি হয়। যদ্দূর জানি অক্সফোর্ডেও উপন্যাসটি টেক্সট হয়েছে।
ধন্যবাদ।
৯| ২৪ শে মে, ২০১০ বিকাল ৪:৪০
ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার লেখটা আইডিয়াটাও খুব ভাল লাগলো!! আরো বড় পরিশরে আসলে ভাল হত! পাঁচ নং কমেন্টাও একটা ইম্পোর্টেন্ট কোশ্চেন!!
========
বলিউডি সেই ছবিটা দেক্সিলাম, একটা ডাইলোক মনে পড়লোঃ 'বাবুজীনে কাহা গাঁও ছোড় দো, পারুনে কাহা শরাব ছোড় দো, মা' নে কাহা ইস হাবেলী ছোড় দো, এক দিন আয়েগা যাব ওভি বোলেগা দুনিয়া হি ছোড় দো ..."
২৪ শে মে, ২০১০ বিকাল ৪:৪২
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।
১০| ২৪ শে মে, ২০১০ বিকাল ৫:৩২
দীপান্বিতা বলেছেন: সেই তো! দেবদাসের মৃত্যুর পর পার্বতীর পরবর্তী জীবন অন্তরে এবং বাহিরেও দুঃসহ হয়ে ওঠে...এতে কোন ভুল নেই!
তাই আমার দেবদাসের চেয়ে শ্রীকান্তকে বেশি ভাল লাগে .... সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই -এর মন্তব্যটা দারুন লাগলো!
ইমনভাই, শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের ২য় ছবিটা আমার সংগ্রহে ছিল না, নিয়ে গেলাম!
২৪ শে মে, ২০১০ বিকাল ৫:৪৩
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ঠিক আছে।
১১| ২৪ শে মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৯
ভাঙ্গন বলেছেন: দারুন একটা বিষয় তুলে আনার জন্য ইমন ভাইকে অভিবাদন!!
২৪ শে মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৬
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ভাঙ্গনের জন্যও রইল শুভেচ্ছা।
১২| ২৪ শে মে, ২০১০ রাত ৯:৩৯
রাইছুল বলেছেন: আমি ভাবছিলাম আজকে শরতের বই ডাউনলোড লিংক চেয়ে পোষ্ট দিব। আপনার কাছে কোন লিংক থাকলে দিবেন প্লিজ। এইখানে বই আনা খুব কষ্টের।
২৪ শে মে, ২০১০ রাত ১০:০০
ইমন জুবায়ের বলেছেন: দেখি কি করা যায়।
ধন্যবাদ।
১৩| ২৫ শে মে, ২০১০ রাত ১২:১৭
আকাশ অম্বর বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দেবদাস মরে যেয়ে শ্রীকান্তরূপে জন্মেছিল।
২৫ শে মে, ২০১০ ভোর ৬:২৪
ইমন জুবায়ের বলেছেন: হুমম।
১৪| ২৫ শে মে, ২০১০ রাত ২:১০
নাজিম উদদীন বলেছেন: শরৎচন্দ্র যেরকম নারীবাদী ছিলেন, তাতে এরকম করে একজন নারীকে কষ্ট দিতে চাইবেন সেটা ভাবা যায় না।
২৫ শে মে, ২০১০ ভোর ৬:২৫
ইমন জুবায়ের বলেছেন: আসলেই।
১৫| ২৫ শে মে, ২০১০ ভোর ৬:৩৮
করবি বলেছেন:
দারুন একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন!! ভাবনা গুলো হয়ত ছিল কিন্তু আপনার মত এত সুন্দর করে প্রকাশ সম্ভব ছিলনা।
ধন্যবাদ।
২৫ শে মে, ২০১০ ভোর ৬:৫১
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৬| ২৫ শে মে, ২০১০ সকাল ১০:৪৭
রেজোওয়ানা বলেছেন: এমন করে তো কখনো ভাবিনি!!
সত্যিই তো পার্বতীর অবস্থা ভয়াবহ হবার কথা, সব দিকে থেকেই
২৫ শে মে, ২০১০ সকাল ১০:৪৮
ইমন জুবায়ের বলেছেন: আসলেই।
১৭| ২৬ শে মে, ২০১০ রাত ১০:৫৮
তারার হাসি বলেছেন:
পার্বতীর ভালবাসার মানুষ নেই হয়ে যাওয়ার পর পার্বতী তার মনের গভীরে স্মৃতিতে তার ভালবাসাকে নিয়ে তেমন খারাপ হয়তো ছিল না।
মনোজগত খুব বিচিত্র...
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে মে, ২০১০ সকাল ১১:২২
আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেছেন: +++