![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন মানে শুধুই যদি প্রাণ রসায়ন/ জোছনা রাতে মুগ্ধ কেন আমার নয়ন। [email protected]
দেবী দুর্গার পরিচয় দিতে গিয়ে সুধীরচন্দ্র সরকার লিখেছেন, ‘পরমাপ্রকৃতি, বিশ্বের আদি কারণ ও শিবপত্নী।’ এই বাক্যটিতে যেন দেবী দুর্গার প্রকৃত পরিচয় অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে ওঠে ... যে রূপসী মাতৃদেবী বাংলায় পূজিত হন শরৎকালে, যখন নীলাভ আকাশে ফুরফুরে হাওয়ায় ভেসে বেড়ায় সাদা সাদা মেঘের ভেলা, নদীর ধারে উজ্জ্বল রোদে ফুটে থাকে বাতাসে দোল খাওয়া শাদা শাদা কাশের ফুল আর গ্রামীণ জনপদে দেবীর আগমনী ঘোষনায় উন্মাতাল ঢাকের শব্দে বাঙালির আদিম রক্তস্রোতে জেগে ওঠে এক আদিম মাতৃভক্ত নিষাদ ...
শিল্পীর তুলিতে পরমাপ্রকৃতি, বিশ্বের আদি কারণ ও শিবপত্নী দুর্গা ।
শরৎকাল থেকে বসন্ত কাল পর্যন্ত বাঙালির পূজার সময়; শারদীয়া দুর্গা পূজা দিয়ে এই বাৎসরিক মাতৃপূজার শুভ সূচনা। মনে রাখতে হবে - প্রাচীন বৈদিক আর্যরা করত যজ্ঞ। সে যজ্ঞে পশুবলি হত। বাংলা, প্রাচীন কাল থেকেই যজ্ঞ না করে করত পূজা। ‘পূজা’ শব্দটি অস্ট্রিক ভাষার শব্দ, যে ভাষায় প্রাচীন বাংলার অধিবাসীরা কথা বলত, এবং এ কারণেই ভাষাটি অনার্য।
প্রাচীন ভারতে এক আশ্চর্য মানবিক ঘটনা ঘটেছিল ... বুদ্ধ-মহাবীর প্রমূখ অহিংসপন্থীদের প্রবল আন্দোলনের ফলে রক্তস্নাত বিভৎস যজ্ঞ পরিনত হয়েছিল পবিত্র তীর্থে। প্রাচীন মানুষের মন যজ্ঞ থেকে তীর্থে ঘুরে গিয়েছিল। প্রাচীন বাংলায় জৈন ও বুদ্ধ ধর্মের ভারি সম্মান ছিল। পুন্ড্রনগর হয়ে উঠেছিল জৈন ও বুদ্ধ ধর্মের প্রধান কেন্দ্র। এতে করে অহিংস বাঙালি মনের পরিচয় পাওয়া যায়।
দেবী মায়ের পূজার জন্য নয়নাভিরাম শরৎকালই বেছে নিয়েছে প্রকৃতিপ্রেমিক শিল্পরসিক বাঙালি
বাংলা অবৈদিক আর অনার্য বলেই চিরকালই ছিল পূজা-অর্চনার দেশ। বাঙালি সুপ্রাচীন কাল থেকেই বহু লোকায়ত দেবদেবীর পূর্জা-অর্চনা করত । গোপেন্দ্রকৃষ্ণ বসুর "বাংলার লৌকিক দেবতা" বইটি থেকে আমরা প্রায় পঁয়ত্রিশটি লৌকিক দেব-দেবীর নাম জানতে পেরেছি। এরা আসলে ছিল বৌদ্ধধর্মের দেবদেবী, বাংলায় বৌদ্ধযুগের অবসানকালে শিবের পক্ষভুক্ত হয়ে যায়।
... অস্ট্রিকভাষী নিষাদেরা প্রাচীন বাংলার গভীর অরণ্যে ‘বোঙ্গা’ দেবতার পূজা করত । কোনও কোনও পন্ডিতের ধারণা ওই ‘বোঙ্গা’ থেকেই বাংলা শব্দের উদ্ভব ।
সে যাই হোক। বাংলার লোকায়ত দেব-দেবীর রূপ কিন্তু কালের বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গিয়েছে, সেই সঙ্গে বদলেছে পূজা-অর্চনার ধরন-ধারণও । তবে সে পরিবর্তিত রূপের মধ্যেও যেন বিশ্বের আদি কারণরূপী এক মহামাতৃদেবীকে পাওয়া যায়। তিনিই শিবপত্নী দুর্গা।
শিব। দুর্গার এক পরিচয়-তিনি শিবপত্নী। শিবই সর্বভারতীয় প্রধান দেবতা। শিবের ইতিহাস কম বিস্ময়কর নয়। কেননা, শিব অনার্য দেবতা, বৈদিক দেবতা নন; ব্রহ্মা, বিষ্ণু-প্রমূখ বৈদিক দেবতাকে অপসারণ করে শিবের সর্বভারতীয় দেবতায় মর্যাদা লাভ যেন ভারতীয় অনার্য ভূমিপুত্রদের বিজয়েরই প্রতীক। শিবের স্ত্রী হিসেবে কল্পনা করা হয়েছে পার্বতী উমা গঙ্গা দুর্গা ও কালীকে। শিবের পুত্র- গনেশ ও কার্তিক। কন্যা- মনসা ও লক্ষী।
শিব ও দুর্গা। সুখতৃষ্ণার্ত মানুষের একান্ত মনের প্রতিচ্ছবি। এ রকম সুখি যুগল জীবন মানুষের জন্মজন্মান্তরের কামনা ...
দেবী দুর্গার অতি পরিচিত এই প্রতিমাটির ব্যাখ্যা দেওয়া দরকার। তবে এ ব্যাখ্যা বাংলার নয়, যদিও ব্যাখ্যাটি বাংলায় গৃহিত হয়েছে ...ব্যাখ্যাটি পৌরাণিক আর্যদের ...একবার মহিষাসুরের (মহিষ+অসুর=মহিষাসুর) ধারণা হল সে কোনও দেবতা তাকে বধ করতে পারবে না; এই অহংকারে মহিষাসুর দেবতা ইন্দ্রকে সর্তক করে দেয় যে সে স্বর্গ জয় করে নেবে। মহিষাসুরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পরাস্ত হয়ে ইন্দ্র ব্রহ্মা, শিব ও বিষ্ণুর আশ্রয় নেয়। দেবতারা ক্রোধান্বিত হয়ে ওঠেন এবং তাদের পবিত্র দেহ থেকে স্বর্গীয় সুষমায় আচ্ছন্ন অপূর্ব সুন্দরী এক নারীর জন্ম হয়। ইনিই দুর্গা! একজন দেবতা দুর্গাকে অস্ত্র দিলেন, অন্যজন দিলেন বাহন ... সিংহ, অন্যজন মদ। এরপর যুদ্ধে দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করেন। পৌরাণিক আর্যদের ব্যাখ্যায় দুর্গা কিছুটা উগ্র, স্বাধীন ও কারও স্ত্রী নন।
কিন্তু, বাংলায় দুর্গা পূজার প্রচলন কবে হয়েছে?
সুপ্রাচীনকালে বাংলায়, আজ আমরা মন্ডপে- মন্ডপে যেভাবে দুর্গা পূজা দেখছি ঠিক সেভাবে দুর্গা পূজার প্রচলন ছিল না-এই হল পন্ডিতদের অভিমত। (দ্র; ড. আর. এম দেবনাথ; সিন্ধু থেকে হিন্দু ; পৃষ্ঠা, ৮২) ... বাংলায় দুর্গা পূজার প্রচলন দ্বাদশ শতক থেকে। অর্থাৎ, ‘গীতগোবিন্দের’ রচয়িতা কবি জয়দেব যে শতাব্দীতে বেঁচে ছিলেন সেই শতাব্দীতে। অবশ্য দুর্গা পূজার বিধান রচিত হয়েছে আরও অনেক পরে। দুর্গা পূজার বিধান সম্বলিত রঘুনন্দনের (১৫০০/১৫৭৫) ‘দুর্গাপূজাতত্ত্ব’ গ্রন্থটি রচিত হয় ষোড়শ শতাব্দীতে। রঘুনন্দন ভট্টাচার্য নবদ্বীপের বিশিষ্ট তান্ত্রিক পন্ডিত ছিলেন।
মনে রাখতে হবে, বাংলার হিন্দুধর্মটি হল তান্ত্রিক হিন্দুধর্ম। তন্ত্র হল বেদবিরোধী এবং সাধনার বিষয়। যে কারণে বাঙালি তান্ত্রিকেরা দুর্গাকে পরমাপ্রকৃতি, বিশ্বের আদি কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। আর পৌরাণিক আর্যদের মতে দুর্গা ব্রহ্মা,শিব ও বিষ্ণুকর্তৃক সৃষ্ট দেবী!
বাংলা ভাষা যেমন সংস্কৃত ভাষার সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকেও নিজস্ব স্বরূপের জন্য সদাসর্বদা সংগ্রাম করে চলেছে, বাংলার হিন্দুধর্মও ঠিক সেরকমই তার স্থানীয় বৈশিষ্ট্য প্রকাশের জন্য সদাসর্বদা বৈদিক ধ্যানধারণা বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে চলেছে। এ কারণেই ভারতবর্ষের পশ্চিমের আর্যপ্রভাবিত অঞ্চলে শিব ও দুর্গার পুত্র গনেশ পূজার চল থাকলেও (তান্ত্রিক) দুর্গার পূজার চল নেই।
দ্বাদশ শতক থেকে বাংলায় দুর্গা পূজার প্রচলন হলেও বর্তমানরূপে পাওয়া যায় ওই ষোড়শ শতাব্দী থেকেই।
তবে ঐতিহাসিকেরা যাই বলুক না কেন-ধান ও শস্যের এই দেশে দেবী দুর্গার প্রাচীনতা নিয়েও সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই। প্রাচীনকালে দুর্গাপূজা শস্যপূজারূপে বিরাজমান ছিল। পৃথিবী প্রাণশক্তি ও প্রজনন শক্তির প্রতীক হিসেবে প্রাচীনকাল থেকেই পূজিতা। প্রাচীন বাংলার কৃষিজীবি জনগন পৃথিবীকে মনে করত শস্যোৎপাদিনী মাতৃদেবী। এই ‘পৃথিবীদেবীর’ পূজা থেকেই পরবর্তীকালে ‘শস্যদেবী’ ও শস্যপূজার উৎপত্তি হয়েছে। এ কারণে পৃথিবীর দান শস্য দুর্গাপূজার একটি বড় দিক। দুর্গা পূজায় দেবীর বোধন হয় ষষ্ঠীর দিনে। বোধনের প্রতীক বিল্বশাখা (বা বেলগাছের ডাল) । পরে দেবীর স্নান, প্রতিষ্ঠা ও পূজা হয় নবপত্রিকায়। ‘ নবপত্রিকা’ হচ্ছে ‘শস্যবধূ’। একটি কলাগাছের সঙ্গে কচু, হরিদ্রা, জয়ন্তী, বিল্ব (বেল), ডালিম, মানকচু, অশোক ও ধান একত্রে বেধে এই শস্যবধূ তৈরি করা হয়। এই নবপত্রিকা বা শস্যবধূকেই ‘দেবীর’ প্রতীক হিসেবে প্রথম পূজা করতে হয়।
বাঙালি নারীর ভিতরে যেন সহজাত দুর্গাভাব রয়েছে ... কেননা প্রাচীনকালে দুর্গাপূজা শস্যপূজারূপে বিরাজমান ছিল। পৃথিবী প্রাণশক্তি ও প্রজনন শক্তির প্রতীক হিসেবে প্রাচীনকাল থেকেই পূজিতা।
শস্যপূজার ধারার সঙ্গে পার্বতী-উমার ধারা মিশ্রত হয়েছে। দুর্গার আরেক নাম উমা। উমাকে বলা হয় হিমালয়-দুহিতা। যার বাহন সিংহ। সিংহবাহিনী পর্বতকন্যা উমা-পার্বতীই ভারতবর্ষের শক্তি দেবীর প্রাচীন রূপ। (এর আর্য পৌরাণিক ব্যাখ্যা আমরা জেনেছি) এই সিংহবাহিনী পর্বতকন্যা উমা-পার্বতী র সঙ্গে শস্যপূজার ধারা মিশে এক মহাদেবীর সৃষ্টি হয়েছে। ইনিই দুর্গা।
শস্যপূজার ধারা এবং উমা-পার্বতীর ধারার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরেকটি ধারার। অসুরনাশিনী ধারা। (এরও আর্য পৌরাণিক ব্যাখ্যা আমরা জেনেছি) যে কারণে বিশ্বাস করা হয়- যিনি দুর্গতিনাশিনী তিনিই দুর্গা। যিনি দুর্গম ভবসাগরে নৌকাস্বরূপ তিনিই দুর্গা। এসবই অসুরনাশিনী ধারার অর্ন্তগত। এবং বর্তমানকালেও স্বীকৃত। যদিও এটি ব্রাহ্মণ্য সংযোজন। যা হোক। এভাবেই দুর্গার রূপ বহুমূখী হয়েছে। একদিকে রয়েছে দেবীর কল্যাণরূপী, স্ত্রীরূপী ও মাধুর্যমন্ডিত রূপ অন্যদিকে আছে ব্রাহ্মণ্য সংযোজন অসুরনাশিনী রূপ। অবশ্য অসুরনাশিনী (চন্ডী) এবং ‘যুদ্ধং দেহী’ দুর্গারূপ বাঙালি হিন্দুরা গ্রহন করেনি। বাঙালি গ্রহন করেছে দেবীর কোমল-স্নিগ্ধ মাতৃরূপকে।
ফসল ওঠার পূর্বে শরৎকালে দুর্গা তাঁর পুত্র-কন্যা নিয়ে স্বামীর গৃহ কৈলাস থেকে পিতৃগৃহে আসেন। এই রূপটিতে বাঙালি হিন্দুর দৈনন্দিন জীবনের একটি প্রতিফলন ঘটেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলায় দুর্গা পূজাই সবচে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। একটা সময় ছিল যখন দুর্গা পূজা পারিবারিক ভাবে পালন করা হত। জমিদার ও ধনাঢ্য বৈশ্যরাই ছিল এর উদ্যোক্তা-বাকিরা দর্শক। কালক্রমে সেই পারিবারিক পূজাই হয়ে ওঠে বারোয়ারি পূজা। আজকাল এই পূজার রূপ সর্বজনীন। প্রতিমা তৈরি, পূজার মন্ডপ নির্মাণ, চাঁদা সংগ্রহ, দেবী দর্শন, আরতি দর্শন ও প্রতিমা বিসর্জন -এসবই উৎসবমূখর সাধারণ হিন্দুদের ব্যাপক অংশ গ্রহনের ফলেই সম্ভব হয়েছে।
মানচিত্রের দিকে তাকালে বোঝা যায় উপমহাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে সিন্ধু ও বেলুচিস্তানে শিবকে দিয়ে যে হিন্দুধর্মের যাত্রা শুরু হয়েছিল, পূর্বাঞ্চলে, বিশেষ করে বাংলায় দুর্গা ও কালীকে দিয়ে সে ধর্মযাত্রার সমাপ্ত হয়...
এ আনন্দ যেন চিরকালের
তথ্য নির্দেশ:
১. সুধীরচন্দ্র সরকার; পৌরাণিক অভিধান
২. ড. আর. এম দেবনাথ; সিন্ধু থেকে হিন্দু
৩. James B. Robinson সম্পাদিত Hinduism.
৪. Kim Knott; Hinduism: A Very Short Introduction
ছবি: ইন্টারনেট।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:২৮
ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:১৭
নুরুজ্জামান মানিক বলেছেন: +
১৪ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:২৬
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:১৮
পীরসাহেব বলেছেন: আপনার পওষ্ট গুলো দেখে মনে হচ্ছে গবেষক কেউ, শিক্ষক নাকি? ভালো বর্ননা।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:২৭
ইমন জুবায়ের বলেছেন: না, আমি শিক্ষক নই, বইটই পড়ি আর লেখার চেস্টা করি।
অনেক ধন্যবাদ।
৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:২১
তারেক মাসউদ বলেছেন: অপেক্ষা করুন ।
আপনাগো এ দূর্গাপূজার হাক্বীকত আমি দিতাছি।
৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:২৬
অজঅমি বলেছেন: আপনে বইয়া বইয়া .. ছিরেন @তারেক মাসউদ
৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:২৮
ক্যারিক্যাচাল বলেছেন:
আমি যতদূর জানি , সারদীয় দূর্গা পূজা শুরু হয়েছে ১৯৫৭ সালে , পলাশী যুদ্ধে ইংরেজদের বিজয় কে অভিনন্দিত করার জন্য ।
এব্যাপারে কেউ কিছু জানলে দয়া করে শেয়ার করুন ।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৩২
ইমন জুবায়ের বলেছেন: আমি এ বিষয়ে কোনও তথ্য পাইনি।
ধন্যবাদ।
৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৩১
সোমহেপি বলেছেন: একটা বিপদে পড়ছি ভাইজান
ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের উপর একটা লেখা লেকতে চাইছিলাম।সবকিছু গুছাইয়া আনছিলাম।ডকুমেন্ট হঠাৎ হারায় ফেলছি।
উনার উপর বিস্তারিত জানতে পারব এমন কোন সোর্স আছেনি আপনের কাছে?
১৪ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৩৩
ইমন জুবায়ের বলেছেন: দেখি কি করা যায়?
১৪ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৩৬
ইমন জুবায়ের বলেছেন: এখানে দেখেন
Click This Link
৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৪০
ক্যারিক্যাচাল বলেছেন:
দুঃখিত , ১৯৫৭ নয় , ১৭৫৭ সাল হবে ।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৪৭
ইমন জুবায়ের বলেছেন: হ্যাঁ। সেটা বোঝা গেছে।
ধন্যবাদ।
৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:৩৯
মাহী ফ্লোরা বলেছেন:
একসঙ্গে দেবীদূর্গা সম্পর্কে আনেক কিছু জানলাম।কিছুদিন আগে কোথায় যেন পড়ছিলাম এই পূজার প্রচলন নিয়ে।সেখানে বলা হয়েছিল বাঙলার কোনো এক রাজা এ পূজা অগ্রহায়ন মাসে চালু করতে চেযেছিলেন,যেহেতু সে সময় কৃষকের ঘরে ফসল ওঠে।এ বিষয়ে কিছু পেয়েছিলেন লিখতে গিয়ে?
১৪ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:৫১
ইমন জুবায়ের বলেছেন: হুমম। আকবর বাদশার আমলে (ষোড়শ শতক) রাজা কংসনারায়ন ৯ লক্ষ টাকা খরচ করে দুর্গা পূজা করেন। আরেকটি সূত্রে পেয়েছি রাজা প্রতাপ সিংহ ১৬১১ খ্রিস্টাব্দে দুর্গোৎসব চালু করেন। (সূত্র: রজনীকান্ত চক্রবর্তীর গৌড়ের ইতিহাস)
ধন্যবাদ
১০| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:৩৭
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: জানার খোরাক
১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৬:৫৬
ইমন জুবায়ের বলেছেন: হুমম, জানার খোরাক।
অনেক ধন্যবাদ।
১১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:৫০
দীপান্বিতা বলেছেন:
দারুন! আপনি কতো তথ্য জানেন! আমি যে গল্পটা জানতাম-রামচন্দ্র লঙ্কা জয়ের আগে দেবীর পূজা করেন...এসময় একটি নীলপদ্ম কম পড়লে নিজের নীল আঁখি দেবীকে তুলে দিতে চান...আরো পরে এখনকার বারোয়ারী পূজো সম্ভবত ইংরেজদের সময় শুরু হয়...
খুব ভাল লাগল ইমনভাই! অনেক অনেক শুভেচ্ছা...এমন সুন্দর লেখা যেন আরো পাই
১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৬:৫৭
ইমন জুবায়ের বলেছেন: বাহ্, জানব না! আমি যে ইতিহাসের ছাত্র হই
১২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৫০
শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: ++++++++
১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৬:৫৭
ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
১৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৫৫
সোমহেপি বলেছেন: বাঙালি গ্রহন করেছে দেবীর কোমল-স্নিগ্ধ মাতৃরূপকে।
আমার তো মনে হলো বউরূপটি গ্রহণ করেছে।ছবিতে দেখেন মায়ের মত লাগেনা।
১৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৬:৫০
সোমহেপি বলেছেন: কপালের মাঝখানে একটা চোখ দেখা যায় এটার কোন তাৎপর্য আছে?না কি এমনি শিল্পীর ইচ্ছায় আকা হয়েছে।
১৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:৪১
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "বাংলার হিন্দুধর্মটি হল তান্ত্রিক হিন্দুধর্ম। তন্ত্র হল বেদবিরোধী এবং সাধনার বিষয়।"
বিষয়টি বুঝলাম না ইমন জুবায়ের ভাই। বাংলার হিন্দুদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ তো বেদ।
পুরান নিয়ে আপনার মন্তব্য বুঝতে পারলাম না। পুরান কি আর্যদের ধর্মগ্রন্থ, নাকি অনার্যদের?
বাংলার হিন্দুরা কি তবে আর্য বৈদিক এবং অনার্য সিন্ধু - দুই সভ্যতারই বাহক?
শিবের মূর্তি সম্ভবত অনার্য সিন্ধু সভ্যতায় রয়েছে। কিন্তু শিবের উল্লেখ কি বেদে একেবারেই নেই?
১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৬:৫৬
ইমন জুবায়ের বলেছেন: বাংলায় বৈদিক আর্য ধারা বরাবরই ছিল। বাংলায় বৈদিক আর্য ধারার আগমনের সময়কাল ধরা যেতে পারে ২৫০০ খ্রিস্টপূর্ব বা তারও আগেই। এটি বৈদিক আর্য পূর্বমূখি সম্প্রসারণের সঙ্গে জড়িত। ২৫০০ খ্রিস্টপূর্বের পর বাংলায় বৌদ্ধধর্মের প্রসার ঘটে তবে পাশাপাশি বৈদিক আর্য ধারাও ছিল। বাংলায় সপ্তম শতাব্দী নাগাদ বৌদ্ধধর্ম তান্ত্রিক হয়ে ওঠে। বুদ্ধ জীবদ্দশায় কিছু প্রশ্নের ব্যাখ্যা দেন নি। তাঁর মহাপরিনির্বানের পর কিছু মূল প্রশ্ন নিয়ে বৌদ্ধ দার্শনিকেরা ব্যাখ্যা দিতে থাকেন। যেমন, জগতের মূলে কি আছে? উত্তর ভারতের বৌদ্ধ দার্শনিকেরা বললেন, শূন্যতা। বাংলার বৌদ্ধদার্শনিকেরা বললেন, ব্জ্র। বজ্র হল নারীর শক্তি। এভাবে বাংলায় বৌদ্ধধর্ম তান্ত্রিক হয়ে ওঠে। দশম শতকের বিক্রমপুরের অতীত দীপঙ্কর এই তান্ত্রিক বৌদ্ধধর্মের বিশিষ্ট পন্ডিত ছিলেন। বাংলায় হিন্দুধর্মেও এই তান্ত্রিকতা প্রভাব বিস্তার করে। যে কারণে বাংলার প্রধান আরাধ্য এক জন দেবী (দুর্গা)। যাকে বলা হয়েছে -‘পরমাপ্রকৃতি, বিশ্বের আদি কারণ ও শিবপত্নী।’ প্রথম দুটি দুর্গার তান্ত্রিক বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ, শেষেরটি, অর্থাৎ 'শিবপত্নী' হল আর্য প্রভাবের ফল। যে কারণে বললাম, বাংলায় বৈদিক আর্য ধারা বরাবরই ছিল। এ কারণেই বাঙালি হিন্দুর বেদ প্রধান ধর্মগ্রন্থ হলেও এর পাশাপাশি তান্ত্রিক বিধান বাংলায় প্রচলিত রয়েছে।
আর পুরাণ হল আর্যপ্রভাবিত উপাখ্যান যেখানে প্রচুর অনার্য উপাদানও রয়েছে।
আপনি যেমন লিখেছেন,..."বাংলার হিন্দুরা কি তবে আর্য বৈদিক এবং অনার্য সিন্ধু - দুই সভ্যতারই বাহক?" এই কথা বলার চেয়ে বাংলার হিন্দুরা আর্য বৈদিক এবং অনার্য তান্ত্রিক ধারার বাহক বলাই ভালো। কেননা, তন্ত্রের সঙ্গে হিন্দুর ধর্মের সম্পর্ক ব্যাখ্যা করেছি। বাংলার হিন্দুরা তান্ত্রিকতার ধারণা পেয়েছে বৌদ্ধদের কাছ থেকে। বাংলার লোকায়ত দেবদেবীও ছিল মূলত বৌদ্ধদের দেবদেবী।
না, শিবের উল্লেখ বেদে নেই। তার কারণ, খ্রিস্টপূর্ব ১০০০ অব্দে বেদ এর সঙ্কলন সমাপ্ত হয়ে গিয়েছিল। শিব সর্বভারতীয় দেবতা হয়ে ওঠেন আরও পরে। এমন কী উপনিষদেও শিব এর উল্লেখ নেই। ভারতে বৌদ্ধযুগের অবসানকালে পুরাণের উদ্ভব হতে থাকে। এসব পুরাণে শিব এর উল্লেখ প্রথম দেখা যায়।
ধন্যবাদ।
১৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৭:১১
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আরেকটি প্রশ্ন: তন্ত্র বিষয়টি প্রকৃতপক্ষে কি?
শিব পৌরানিক দেবতা, যার উল্লেখ বেদে নেই বলছেন। তাহলে বেদ এবং পুরান - এই দুটি ধর্ম গ্রন্থের মধ্যে সনাতন ধর্মে বিশ্বাসীরা সমন্বয় কিভাবে করে?
বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাবে বাংলার হিন্দুরা প্রভাবিত হয়েছে বলছেন, কিন্তু এতদিন জানতাম বৌদ্ধ ধর্মে কোন ঈশ্বর নেই।
আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট ও আলোচনার জন্যে।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৭:৫৩
ইমন জুবায়ের বলেছেন: এক কথায় তন্ত্র হল গোপন সাধনা, যেখানে নারী কে আদ্যশক্তি মনে করা হয়। উত্তর ভারতে তন্ত্রের উদ্ভব খ্রিস্টাব্দ তৃতীয় শতকে আর বাংলায় বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দ্বারা ওই সময়ের কিছু পরে। বুদ্ধ ঈশ্বরের অস্তিত্ব সম্পর্কে নীরব ছিলেন। কিন্তু বৌদ্ধপরবর্তী যুগের মানুষ এ নীরবতা মেনে নিল না। তারা জগতের আদি কারণ বা উৎপত্তি নিয়ে ভাবতে লাগল। সেসময় বাংলার বৌদ্ধ ভিক্ষুরা বলল: জগৎ উৎপত্তির কারণ বজ্র, যা নারীর একান্ত শক্তির প্রতীক। এভাবেই বাংলায় তান্ত্রিক বৌদ্ধধর্মের উৎপত্তি। বৌদ্ধদের একজন বিশিস্ট দেবীর নাম তারা। ইনি তিব্বতের প্রধান দেবী। অতীশ দীপঙ্কর ছিলেন তান্ত্রিক বৌদ্ধধর্মের বিশিষ্ট ব্যাখ্যাকার। এই তান্ত্রিক বৌদ্ধধর্মই পরে হিন্দুধর্মকে প্রভাবিত করেছিল।
আসলে সনাতন ধর্মটি একটি সমন্বয়বাদী ধর্ম। আমরা যাদের সনাতন ধর্মাবলম্বী বলি আসলে তারা বৈষ্ণব, শৈব প্রভৃতি ধারায় বিভক্ত। শৈব ধারার প্রধান শৈব এবং বৈষ্ণব ধারার প্রধান কৃষ্ণ (ইনি বৈদিক দেবতা বিষ্ণুর অবতার।)এখন একজন বৈষ্ণব শিবের পূজা না করলেও দেবতা হিসেবে শিবের গুরুত্ব স্বীকার করেন; অপরদিকে একজন শিবভক্ত শৈব ও কৃষ্ণের ভজনা না করলেও কৃষ্ণের গুরুত্ব স্বীকার করেন, এবং কৃষ্ণকে দেবতা মানেন। এ কারণেই একই হিন্দু পরিবারে শৈব ও বৈষ্ণব মতের অনুসারী থাকা সম্ভব। যেনম আমরা সুন্নীরা ইরানের প্রেসিডেন্ট আহমেদনিজাদের পলিসির সমর্থক, কিন্তু তিনি শিয়া ...
আদি বৌদ্ধধর্মের সঙ্গে পরিবর্তী যুগের বৌদ্ধ ধর্মের বিস্তর ফারাক আছে যেমন খেলাফায়ে রাশিদুনের সঙ্গে পরবর্তী যুগের ইসলামী রাস্ট্রের ফারাক আছে। ইসলামের নবীর ওফাতের পর ইসলামে যেমন শিয়া সুন্নীর বিভেদ লক্ষ করি তেমনি বুদ্ধের মহাপরিনির্বানের (অর্থাৎ মৃত্যুর পর) বৌদ্ধধর্ম হীনযান ও মহাযানপন্থায় বিভক্ত হয়ে পড়ে। মহাযানী বৌদ্ধধর্মে বুদ্ধের মূর্তির আরাধনা হয়। বাংলায় বৌদ্ধযুগ এর সময়কাল খ্রিস্টপূর্ব ২৫০০ থেকে দশম শতক অবধি। এ সময় বৌদ্ধসমাজে বাংলায় প্রচুর লৌকিক দেবদেবীও গড়ে ওঠে। বৌদ্ধযুগের পতনের পর এরা দেবতা শিব এর গোত্রভূক্ত হয়ে পড়ে।
ধন্যবাদ।
১৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৮:৫২
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ধর্ম দেখছি অনেক বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। বিশেষত বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাবে প্রভাবিত হওয়াটা বেশ চমকপ্রদ।
আচ্ছা, বাংলার সাধারন হিন্দুরা সম্ভবত বৈদিক ধারার প্রতি অনুরক্ত। কারত বেদেই শ্রেনীপ্রথার উল্লেখ রয়েছে এবং বাংলাদেশে আমি এই বিষয়টি বেশ প্রত্যক্ষ করেছি।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৯:১১
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধর্ম সামাজিক 'ফেনমেনা' হওয়ায় একে বিবর্তনের মধ্যে যেতেই হবে। যে কারণে ইসলামের আদি যুগের "সালাফ" ইসলামের সঙ্গে বাংলার সুফি তরিকার পার্থক্য বিস্তর ... অথচ উভয় ধারাই ইসলামের অর্ন্তগত।
বাংলায় সেনরা একাদশ ও দ্বাদশ শতকে হিন্দু ধর্মকে রাষ্টীয় ধর্মে পরিনত করে। সেনরা ছিল বৌদ্ধবিরোধী এবং বৈষ্ণব। সেনযুগের বাংলার সমাজজীবনে বৌদ্ধপ্রভাব বিদ্যমান ছিল।আসলে বাংলায় তান্ত্রিক বৌদ্ধপ্রভাব আজও রয়েছে গেছে। মাঝে-মাঝে আমরা বাংলাকে বলি মাতৃতান্ত্রিক বাংলা; এর কারনও নারীপ্রধান তান্ত্রিক বৌদ্ধধর্ম।
হিন্দুধর্ম বা সনাতন ধর্মের ভাষা সংস্কৃত। অনুরাগের প্রধান কারণ এটাই। শুধু বাংলাদেশ কেন সারা ভারতেই জাতপাত একটি বড় সমস্যা। আজও বাংলায় পূজার অধিকার ব্রাহ্মণের, পূজার ভাষা সংস্কৃত-যা একটি মৃত ভাষা, যে ভাষায় কেউই কথা বলে না। রামকৃষ্ণ মিশন যে কুমারী পূজা করে সেই কুমারী সব সময়ই ব্রাহ্মণের ঘরের। অথচ, রামকৃষ্ণ মিশন এর প্রতিষ্ঠাতা স্বামী বিবেকানন্দ ১৮৯৮ সালে কাশ্মীরে ৭/৮ বছরের এক মুসলিম জেলের মেয়েকে মাতৃজ্ঞানে পূজা করেন! (দ্র. ড. আর এম দেবনাথ রচিত সিন্ধু থেকে হিন্দু। পৃষ্ঠা, ৯০)
১৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:০৭
রেজোওয়ানা বলেছেন: বাংলায় দূর্গার পুজা জনপ্রিয় হয়ে ওঠার পিছনে স্বদেশী আন্দোলনের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে।
মহারাস্ট্রে যেমন গনপতির পুজোর সময় লোকসামগকে বেছে নেয়া হয়েছিল আন্দোলনের মন্ত্র সবার কাছে পৌছাতে, কিন্তু বাংলায় যেহেতু গনপতি তেমন প্রচলিত নন তাই দূর্গাকে বেছে নেয়া হলো। তারপর থেকেই সমারোহের সাথে সার্বজনীন ভাবে এই পুজো করা হয়।
আরেকটা কথা ভাইয়া, দূর্গা পুজো কিন্তু বসন্তকালেও করা হতো আগে।
এটা বলা হয় বাসন্তী পুজা, আর শাস্ত্র মতে বসন্তই দূর্গা পুজোর আসল সময়। এখন যেহেতু শরৎ কালে অর্থাৎ অকালে পুজো করা হয়, তাই পুজো শুরুর আগে দেবী 'অকাল বোধন' করতে হয়।
যথারীতি চমৎকার লেখা........
১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:৩৪
ইমন জুবায়ের বলেছেন: যথারীতি চমৎকার মন্তব্য
১৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:৩৮
প্রদীপ মিত্র বলেছেন: মনে রাখতে হবে, বাংলার হিন্দুধর্মটি হল তান্ত্রিক হিন্দুধর্ম। তন্ত্র হল বেদবিরোধী এবং সাধনার বিষয়। যে কারণে বাঙালি তান্ত্রিকেরা দুর্গাকে পরমাপ্রকৃতি, বিশ্বের আদি কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। আর পৌরাণিক আর্যদের মতে দুর্গা ব্রহ্মা,শিব ও বিষ্ণুকর্তৃক সৃষ্ট দেবী!
বাংলা ভাষা যেমন সংস্কৃত ভাষার সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকেও নিজস্ব স্বরূপের জন্য সদাসর্বদা সংগ্রাম করে চলেছে, বাংলার হিন্দুধর্মও ঠিক সেরকমই তার স্থানীয় বৈশিষ্ট্য প্রকাশের জন্য সদাসর্বদা বৈদিক ধ্যানধারণা বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে চলেছে।
-------------------
এই ব্যখ্যাটা ভুল মনে হয়েছে।
আর্যাগ্রাসনের ফলে যে চর্তুবর্ণের সৃষ্টি হয় তার প্রভাব বাংলায় একটু কমই পড়েছে। আমাদের এইখানে সাদা চামড়ার মানুষ কম, মানে বাঙ্গালী রক্তে প্রাচীনতর রক্তের প্রভাবই বেশি। আর আমাদের জনসংখ্যার মধ্যে ব্রাক্ষন, ক্ষত্রিয়ের সংখ্যা সামান্য। তাই ধারনা করা যায় যে এদিকে আর্য প্রভাব একটু কমই পড়েছে। তাই হয়ত, এই দিকে হয়ত, স্ত্রীশক্তির আরাধনা বেশী হয়। আর যদি শক্তিপুরাণ পড়ে দেখেন, তবে এমন অনেক শব্দ পাবেন যা সংস্কৃত ভাষা বা তদ্ভব শব্দ নয়। সেসব শব্দ আরো প্রাচীন ভাষার হতে পারে। তবে বাঙ্গালী হিন্দু ধর্মে শাক্ত প্রভাবের চেয়ে বৈষ্ণব প্রভাবও বেশী যা মূলত শুরু হয়েছে শ্রীচৈতন্যর সময় থেকে।
২১ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:৪৩
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।
২০| ০২ রা নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:২৬
শুভ রহমান বলেছেন: ব্লগার বেশি, পাঠক কম, মনোযোগ দিয়ে পড়েন আরো কম। যারা পড়েন, তাদের কেউ কেউ উপযুক্ত চর্বনের মাধ্যমে হজম করতে পারেন। এখানে চর্বন হলো প্রশ্ন করা। সবাই প্রশ্ন তুলতে পারেন না। উম্মু আবদুল্লাহ কিছু প্রশ্ন তুলেছেন। তার কল্যাণে কিছু বিষয় পরিষ্কার হলো। ধন্যবাদ উম্মু আব্দুল্লাহম, ধন্যবাদ লেখক।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:০২
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।
২১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৩৯
নষ্ট কবি বলেছেন: ধন্যবাদ////////////
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:০৩
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।
২২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৪:১১
মোমেন বলেছেন: "১৭ শতকের আগ পর্যন্ত বর্তমান বাংলাদেশ শাসকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল না, মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল লক্ষণাবতী, পান্দুয়া ও গৌড়সহ বর্তমান পশ্চিম বঙ্গ বা বলা চলে গঙ্গা হুগলি ভাগিরথী অঞ্চল।এই অঞ্চলসমূহ আদিবাসীদের কাছে দখল করে দিকু তথা আর্য প্রভাবিত হিন্দুরা।ভিনদেশী গৌরি এক নারী মা দুর্গা অচেনা এক বাহন সিংহে চড়ে খুন করে মহিশ ও মুণ্ডাসহ অনেককে।"
আমি কোন জায়গায় আমার এই ধারণার রেফারেন্স পাই নি। সুযোগ পেয়ে আপনার সাথে শেয়ার করলাম। আর ইন্টারেস্টিং যে সব তথ্য আমার এই মতামত কে প্রভাবিত করেছে- ইণ্ডিয়ান ওয়াটার বাফেলোর কেন্দ্র হলো গৌড়। আর আমার এক বন্ধুর কাছে শুনেছি রাজশাহীর পুঠিয়ায় নাকি গরুর চেয়ে মহিষের মাংসের দাম বেশী।
আমার পুরো লেখাটির লিংক
Click This Link
আপনার মতামত জানাবেন।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:০৩
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ। দেখব।
২৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:০১
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
অনেক সুন্দর পোস্ট।
অনেক কিছু জানা গেলো।
০৯ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:৩০
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:১০
লুকোচুরি বলেছেন: আদালত পাড়ায় আর সাব্রেজিস্টারী অফিসে একশ্রেনীর লোক আছে-যাদের কাজ শুধুই কপি করা।যাদেরকে বাংলায় বলে "নকল নবীস"! আপনাকে ব্লগের ১ নং "নকল নবীস" আখ্যায়িত করা যায়।