নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্ত্যজ বাঙালী, আতরাফ মুসলমান ...

বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্‌উক, হে ভগবান।রবীন্দ্রনাথ

ইমন জুবায়ের

জীবন মানে শুধুই যদি প্রাণ রসায়ন/ জোছনা রাতে মুগ্ধ কেন আমার নয়ন। [email protected]

ইমন জুবায়ের › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাচীন ভারতে নারী (প্রথম পর্ব)

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৪৫

প্রাচীন ভারতে নারীর স্থান খুব একটা সম্মানজনক ছিল না। সদ্যোজাত শিশুকন্যাকে রাখা হত মাটির ওপর আর শিশুপুত্রকে তুলে ধরা হত। এ কারণে সোমযোগের একটা পর্বে যজ্ঞের কয়েকটি পাত্রকে মাটিতে রাখা হত আর বাকি কয়েকটিকে ওপরে তুলে ধরা হত। ( তৈত্তিরীয় সংহিতা।৬/৫/১০/৩) প্রাচীন ভারতে জন্মের পর থেকেই নারীর স্থান পুরুষের নীচে। নারীর সে অবস্থানটি আর বদলায়নি, বরং অবনতি হয়েছে।

প্রাচীন ভারতীয় সমাজটিতে বেদ-এর কঠোর অনুশাসন ছিল বলে প্রাচীন ভারতীয় সমাজ বৈদিক সমাজ নামেও পরিচিত। প্রাচীন ভারতে যে সময়টায় বৈদিক সাহিত্য রচনা করা হয়েছিল তাই বৈদিক যুগ। ঋদ্বেগ হল বৈদিক সাহিত্যের প্রথম গ্রন্থ। ঋদ্বেগ-এর রচনাকাল খ্রিস্টপূর্ব দ্বাদশ শতক থেকে নবম দশক বলে পন্ডিতেরা অনুমান করেন । ঋদ্বেগ ছাড়াও সংহিতা, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক, উপনিষদ ও সূত্রসাহিত্য বৈদিক সাহিত্যের অর্ন্তভূক্ত । সূত্রসাহিত্যের মধ্যে শ্রৌত, গৃহ্য এবং ধর্মসূত্র প্রধান। ব্রাহ্মণ এবং উপনিষদগুলি খ্রিস্টপূর্ব অষ্টম থেকে পঞ্চম শতকের রচনা। সূত্রসাহিত্য সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব দ্বাদশ থেকে খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতকের মধ্যে রচিত। সুতরাং খ্রিস্টপূর্ব দ্বাদশ শতক থেকে খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতকের সময়কালই বৈদিক যুগ এবং ওই সময়টায় সমাজে নারীর স্থান যে খুব একটা সম্মানজনক ছিল না, তার প্রমাণ বৈদিক সাহিত্যে রয়েছে।

প্রাচীন কালে বর্তমান ইরানের নাম ছিল পারস্য। ওই প্রাচীন পারস্যে ছিল আর্যদের আদি বাসভূমি। নানা কারণে আর্যরা পূর্বদিকে অগ্রসর হয়ে ১৫০০ খ্রিস্টপূর্বের দিকে প্রাচীন ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে অনুপ্রবেশ করে। এই ঘটনাটি ঘটেছিল ঋগ্বেদ রচনারও ২০০ বছর পূর্বে। সে যাই হোক। ক্রমশ বহিরাগত আর্যরা স্থানীয় দ্রাবিড় জনগোষ্ঠীকে পরাজিত করে আর্যাবর্ত অধিকার করে নেয়। (আর্যাবর্ত প্রাচীন ভারতের অপর নাম) ...

যাযাবর জীবন ত্যাগ করে আর্যরা চাষবাস করতে শেখে । তারা ভারতবর্ষে সঙ্গে করে লোহা এনেছিল। কাজেই কৃষিকাজে তা সহায়ক হয়েছিল। উল্লেখ্য, হরপ্পা সভ্যতা ছিল ব্রোঞ্জ সভ্যতা। যে কারণে, আর্য আক্রমন দ্রাবিড় জাতি প্রতিহত করতে পারেনি। এই বিষয়টিই বেদে অন্যভাবে উল্লেখিত হয়েছে।

সে যাই হোক। ক্রমশ আর্যরা চাষাবাদে জড়িয়ে পড়ে এবং গ্রামীণ সভ্যতার বনিয়াদ রচনা করে। এর আগে যাযাবর আর্যদের সমাজকাঠামোটি ছিল ট্রাইবাল এবং তারা বিভক্ত ছিল কৌমে । কৃষিকাজে জড়িত হওয়ার পরই এ কাঠামোটি অর্থনৈতিক সর্ম্পকের পালাবদলের কারণেই ভেঙে পড়েছিল এবং আর্যসমাজে ‘কুল’ এর উদ্ভ হয়েছিল। কিন্তু, কুল কি? কুল মানে একটা বাড়িতে তিন চার পুরুষের ডালপালা ছড়ানো বড় পরিবার যে বাড়ির প্রতিটি বয়স্ক পুরুষ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত, অর্থাৎ যে বাড়ির প্রতিটি বয়স্ক পুরুষ ফসলের মাঠে কাজ করে। এই সময়ে সমাজে নারীর মর্যাদা হ্রাস পেতে থাকে। কেননা, নারী উৎপাদন প্রক্রিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। যদিও বৃহৎ পরিবারে নারীর সাংসারিক কাজকর্ম ছিল। সংসারের নিত্যদিনের কাজের মধ্যেই নারীর ভূমিকা সীমাবদ্ধ ছিল । নারীর প্রধান কাজ ছিল পশম পাকানো ও বোনা। অন্যান্য কাজের সঙ্গে এ দুটো কাজ তাকে করতে হত। তা সত্ত্বেও নারীকে বলা হল ‘ভার্যা’। অর্থাৎ, স্বামীর অন্নে প্রতিপালিত। ‘ভৃত্য’ এবং ‘ভার্যা’ শব্দ দুটির অর্থ একই - যাকে ভরণ করতে হয়। স্ত্রী অন্ন উৎপাদন করে না বলেই স্ত্রী ভরণীয়া। ভরণীয়া নারী তখনও ঠিক অসূর্যষ্পশ্যা হয়ে ওঠেনি। বৈদিক যুগের শেষের দিকে বৈদেশিক আক্রমনের সময়ে নারীহরণ ও বর্ণসংকর রোধ করতে নারীকে অন্তঃপুরে ঠেলে দেওয়া হয়। বৈদিক নারী তখন অসূর্যষ্পশ্যা হয়ে উঠেছিল।

বৈদিক সমাজে নারীর শিক্ষালাভের পথ ছিল রুদ্ধ। কেননা যে ব্রহ্মচর্য ছিল বেদ অধ্যয়নের প্রবেশদ্বার, সেটি নারীর জন্য প্রাচীনকাল থেকেই নিষিদ্ধ ছিল। তবে ঋগ্বেদে কয়েকজন ঋষিকার (নারীঋষি) নাম উল্লেখ রয়েছে। বিশ্ববারা, ঘোষা, অপালা ও গোধা। এ থেকে বোঝা যায় নারীদের মধ্যে কেউ কেউ শিক্ষালাভের সুযোগ পেতেন। যেমন: বাক, গার্গী, মৈত্রেয়ী, শাশ্বতী-এরাও জ্ঞানচর্চা করে আর্যসমাজে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তবে নারীশিক্ষা ছিল একেবারেই সীমাবদ্ধ। শিক্ষিতা নারী সম্বন্ধে পরিহাস করে বলা হয়েছে,‘নারী হয়েও তারা পুরুষ।’ (তৈত্তিরীয় আরণ্যক ১/১১/৪) ... সঙ্গীত, নৃত্য ও চিত্রশিল্পে কিছু কিছু কুমারী নারীর অধিকার থাকলেও অন্যান্য শিক্ষা থেকে তারা ছিল বঞ্চিত। অবশ্য পুরুষের মন যোগাতে গণিকারা নানা শিল্পে পারদর্শী ছিল।

আগেই বলেছি, ঋগ্বেদ হল বৈদিক সাহিত্যের প্রথম গ্রন্থ। ঋগ্বেদে অবশ্য সরাসরি নারীর স্থান সম্বন্ধে সেরকম কোনও উক্তি নেই। তবে আদি বৈদিক যুগে নারী যে অপেক্ষাকৃত স্বাধীন ছিল সেরকম ইঙ্গিত ঋগ্বেদে রয়েছে । সেকালে নারী নিজেই তার জীবনসঙ্গী বেছে নিতে পারত । ঋগ্বেদে নিষিদ্ধ সর্ম্পকের মিলনের বিষয়টিও উল্লেখিত রয়েছে।তৈত্তিরীয় সংহিতায় রয়েছে, ‘যজমান দীক্ষার দিনে গণিকাসাহচার্য বর্জন করবেন, তার পরদিন পরস্ত্রীর এবং তৃতীয় দিনে নিজের স্ত্রীর।’ (৬/৬/৮/৫) অর্থাৎ দীক্ষার দিনেও পরস্ত্রীর সান্নিধ্য নিষিদ্ধ ছিল না এবং গণিকাগমনের জন্য দীক্ষার দিনেও কোনও প্রায়শ্চিত্ত করতে হত না।

ঋদ্বেদে এমন কী নারীহরণের কথাও রয়েছে। কোনও পুরুষ রাত্রে একটি নারীকে হরণ করতে যাবে, তাই প্রার্থনা করছে মেয়েটির ভাইয়েরা যেন জেগে না যায়, কুকুরগুলি যেন না ডেকে ওঠে।

যৌতুক প্রথা বা কন্যাপণের প্রথা সেই খ্রিস্টপূর্ব ১০০০ অব্দেও ছিল! ইন্দ্র আর অগ্নি ভক্ত কে ধন দেন, অবাঞ্ছিত জামাতা যেমন প্রচুর ধন দিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকদের অনুকূল করে তাদের প্রীতিভাজন হয়।

তবে বৈদিক সমাজে সব মেয়েরই যে বিয়ে হত তা কিন্তু নয়-যে মেয়েরা বাপের বাড়িতে বুড়ি হয়ে যায় তাদের ‘বৃদ্ধকুমারী’ বা ‘জরৎকুমারী’ বলা হয়েছে।

পুরুষতান্ত্রিক বৈদিক সমাজে যজ্ঞ ছিল অন্যতম ধর্মীয় কৃত্য। সুতরাং যজ্ঞে নারীর ভূমিকা ছিল নিষ্ক্রিয়। যজ্ঞে পুরুষ যজমানের ভূমিকাই ছিল প্রধান! নারীর উপনয়ন নেই বলে নারী হোম করতে পারত না। গৌতমধর্মসূত্রে রয়েছে,‘অস্বতন্ত্রা ধর্মে স্ত্রী।’ অর্থাৎ ধর্মবিষয়ে নারীর কোনও স্বাতন্ত্র নেই!

বৈদিক সমাজে পুরুষের একাধিক স্ত্রী ছিল। স্ত্রীদের শাসনের (অর্থাৎ বশে রাখার) মন্ত্রও রয়েছে বেদে। অবশ্য আদি বৈদিক সমাজে নারীরও একাধিক বিবাহের কথা জানা যায়। তবে তা অল্প সময়ের জন্য। তৈত্তিরীয় সংহিতা ও ব্রাহ্মণে রয়েছে,‘যজ্ঞে একটি দন্ডকে বেষ্টন করে থাকে দুটি বস্ত্রখন্ড; তাই পুরুষ দুটি স্ত্রী গ্রহণে অধিকারী; একটি বস্ত্রখন্ডকে দুটি দন্ড বেষ্টন করে না, তাই নারীর দ্বিপতিত্ব নিষিদ্ধ।’ ( তৈত্তিরীয় সংহিতা ৬/৬/৪/৩ এবং তৈত্তিরীয় ব্রাহ্মণ ১/৩/১০/৫৮)

শতপথ ব্রাহ্মণে রয়েছে-



‘একস্য পুংসো বহ্ব্যো জায়া ভবন্তি।’





অর্থাৎ, এক পুরুষের বহু পত্নী হয়।



এভাবে পুরুষের জন্য সুবিধাজনক আচরণের সমর্থন জুগিয়েছে মানবরচিত শাস্ত্র। প্রাচীন ভারতের রাজাদের চারজন বৈধ স্ত্রী থাকত । মহিষী, বাবাতা, পরিবৃক্তি (বা পরিবৃত্তী) ও পালাগলী। এ ছাড়াও বহু উপপত্নী থাকত রাজঃঅন্তপুরে। মৈত্রীয়ণী সংহিতায় রয়েছে যে মনুর দশটি এবং চন্দ্রের সাতাশটি স্ত্রী ছিল।

মানসিক বা সামাজিক কোনও কারণে নয়- একমাত্র সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্যই নারীকে পুরুষের অর্ধাঙ্গিনী বলা হত । বিবাহে কন্যাকে দান করা হত স্বামীকে নয়-স্বামীর পরিবারকে। এই অধিকারেই শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বধূকে নির্যাতন করত! ‘সূর্যোদয় হলে প্রেত যেমন করে ছুটে পালায়তেমন করে পুত্রবধূ শ্বশুরের সামনে থেকে ছুটে পালায়।’ (অর্থববেদ ৮/৬/২৪)

ঋগ্বেদে সহমরণ বা সতীদাহ প্রথার কোনও উল্লেখ নেই। বিধবা নারী বেঁচে থাকত। কখনও-বা বিধবা নারীর বিয়ে হত দেওরের সঙ্গে কখনও-বা বিয়ে হত না। তবে সে বৈধব্যের জীবন মোটেও সুখের ছিল না। বিধবা নারীর তাই প্রার্থনা: ‘যেন ইন্দ্রাণীর মতো অবিধবা হই।’ সহমরণ এর উল্লেখ রয়েছে অর্থববেদে। ‘দেখলাম জীবিত নারীকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মৃতের বধূ হতে।’(অর্থববেদ ১৮/৩/৩) অনেক ঐতিহাসিকের মতে সহমরণ আর্যরীতি নয় বরং প্রথাটি অনার্য । কেননা, ইন্দো-ইউরোপীয় সভ্যতায় সহমরণ-এর বিষয়টি নেই।

সহমরণ কি তাহলে হরপ্পা অর্থাৎ সিন্ধসভ্যতার উত্তরাধিকার?



ক্রমশ ...





তথ্যসূত্র:



সুকুমারী ভট্টাচার্য; প্রাচীন ভারত: সমাজ ও সাহিত্য

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৫৭

রোজেল০০৭ বলেছেন: হুম জানলাম।

১ম ++

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:০০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:১৩

রাজদরবার বলেছেন: গণিকাবৃত্তি সম্ভবত তখনকার যুগে নারীদের জন্য একটি সম্মানজনক(!) পেশা ছিল।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: সম্ভবত কিংবা পেশাটাকে সম্মানজনক করে রাখা হয়েছিল।
ধন্যবাদ।

৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:১৫

রাজদরবার বলেছেন: দক্ষিণভারতে এখনও এরকম আদিম প্রভাব রয়ে গিয়েছে। মন্দিরগণিকা সেখানে স্বাভাবিক বিষয়। তবে উত্তরভারত মুসলমানদের সাহচর্যে অনেকখানি সভ্য দক্ষিণের তুলনায়।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: এটা আপনার নিজস্ব মত ...

৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:২২

পদ্ম।পদ্ম বলেছেন: ++++

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৩১

ঈষাম বলেছেন: ++

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৩৭

শিশিরের শব্দ বলেছেন: Janlam onek kichu :)

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৩৮

শর্বরী-শর্মী বলেছেন: আরো বিস্তারিত হলে ভালো হতো।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: বিস্তারিত লিখব বলেই ধারাবাহিকভাবে লিখছি।
ধন্যবাদ।

৮| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৭

রাজদরবার বলেছেন: আজকে প্রথমআলোর খবরটা পড়েছেন? আধুনিক ভারতে কি তারা খুব ভালো আছে?

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:২৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: গ্রামে নারীর সংখ্যা এত কম হওয়ার কারণ হিসেবে পদ্মা বলেছে, এখানে মেয়েরা মরে যায়।দেবদা ও আশপাশের গ্রামের মেয়েরা এমনি এমনি মরে যায় না। ওদের হত্যা করা হয়। মেয়েশিশু হত্যা করা প্রাচীন রীতি। দেবদা গ্রামের এক কৃষকের নাম রাজন সিং। ভাট্টি রাজপুত বংশের দুই ছেলের জনক রাজন সিং গর্ব করে বলেন, ‘আমরা ছেলেশিশুর জন্য উন্মুখ থাকি, আর কন্যাশিশুর জন্ম হলে শোক প্রকাশ করি।’


দুঃখজনক।

সম্প্রতি আফগানিস্তানে এক লোক তার স্ত্রীকে হত্যা করল পর পর তিনটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ায় ...

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৩১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: Click This Link

৯| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:১৪

তিথির অনুভূতি বলেছেন: ++

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:২৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

১০| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:১৪

রাশমী বলেছেন: এমন কেন ছিল?? আইয়ামে জাহেলিয়াতের বাতাস লেগেছিল নাকি?? মেয়েদের মানুষ মনে হয় না?? ( ভিতরের ''ফেমিনিসম' জেগে উঠল বলে)

তথ্যবহুল সুন্দর পোস্ট!!

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:২১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: কেবল প্রাচীন ভারত কিংবা ইসলাম-পূর্ব আরব কেন-সর্বত্রই নারীর দশা ছিল করুন। কেবল প্রাচীন মিশর নারীর অবস্থান তুলনামূলকভাবে ভালো ছিল।

রোমান সভ্যতায় নারী
Click This Link

প্রাচীন মিশরে নারী
Click This Link

১১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:২৪

ইমন জুবায়ের বলেছেন: @ রাশমী ...রোমান সভ্যতায় নারী (আগের লিঙ্কটা কাজ করছে না :#> )
Click This Link

১২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৪৮

সজীব রায় ০০৭ বলেছেন: +++

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৫০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৫০

রাশমী বলেছেন: আমি ফেসবুকের মাধ্যমে ওপেন করতে পারলাম!!

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ!!

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৫৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:৩৬

সানজিদা হোসেন বলেছেন: ভাল লাগলো।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:০৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:২০

মঈনউদ্দিন বলেছেন: +++++++++++

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:০৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:২৩

~মাইনাচ~ বলেছেন: ১০ম ভাল লাগা



আপনার পোষ্টে অনেক কিছুই জানা যায়

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:০৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:২৪

নুভান বলেছেন: আমি শুনেছিলাম সতিদাহ সহ যত ধরনের কু-প্রথা ছিলো সনাতন ধর্মে ওগুলো নাকি সেন রাজাদের অবদান? (ভূল-ও হতে পারে)

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:০১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: সেন রাজা বলতে বঙ্গ বোঝায়। অথচ, ভারতজুড়ে সতীদাহ প্রথাটি ছিল। কাজেই সেভাবেই ভাবা ঠিক না। কারণ সেনযুগের ধর্মসংস্কৃতি স্থানীয় অর্থাৎ বাংলার; সেটি সর্বভারতীয় ছিল না।
ধন্যবাদ।

১৮| ০৭ ই মার্চ, ২০১২ দুপুর ১২:১৩

Observer বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম

০৭ ই মার্চ, ২০১২ দুপুর ১:৪৫

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৯| ০৭ ই মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৯

আকাশ_পাগলা বলেছেন: রাজদরবার বলেছেন: গণিকাবৃত্তি সম্ভবত তখনকার যুগে নারীদের জন্য একটি সম্মানজনক(!) পেশা ছিল।

এইটা কী? গণিকাবৃত্তি মানে কী প্রস্টিটিউশান বুঝায়?
(ভুল হইলে স্যরি)।


অনেক কিছু জানলাম বস।

০৭ ই মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: Yes. গণিকাবৃত্তি মানে প্রস্টিটিউশান...
thanks!

২০| ০৭ ই মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৯

মুনতাশীর বলেছেন: ভাল লাগল।

০৭ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৮:১৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

২১| ০৭ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৯:৪১

ছায়াপাখির অরণ্য বলেছেন: বরাবরের মত অয়ানন্দপূর্ণ পাঠ।

অনেক শুভেচ্ছা, ভাই!

০৭ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১০:৩৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

২২| ০৭ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৯:৪৭

গাধা মানব বলেছেন: জানলাম অনেক কিছু।


++++++

০৭ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১০:৩৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৩| ২২ শে মার্চ, ২০১২ ভোর ৬:১৬

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: "প্রাচীন পারস্যে ছিল আর্যদের আদি বাসভূমি।"

এটা কি আপনি কোন নিশ্চিত সূত্র থেকে পেয়েছেন? এটা নিয়ে আমার ব্যাপক কৌতূহল আছে। রাহুল সাংকৃত্যায়নের ভলগা থেকে গঙ্গাতে বলা আছে- আর্যরা রাশিয়া/মধ্য এশিয়া থেকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে যায়। পারস্যের আর্যরা ভারতীয় আর্যদের সবচেয়ে নিকটাত্মীয়। কারণ আদি আবাস থেকে পূর্ব দিকে অগ্রসর হবার সময় একটি গ্রুপ পারস্যের দিকে যায়- যাকে বলা হয় শতম (এথনো লিঙ্গুইস্টিক ক্লাসিফিকেশন) এবং যে গ্রুপটি ভারতে আসে সেটি কেন্তম। কেন্তমদের ভাষা থেকেই বিবর্তিত হয়ে আমরা আমাদের ভাষাও পেয়েছি। এই মত অনুসারে পারস্য আর্যদের আদি নিবাস হতেই পারেনা; বরং ভারতীয় আর্যদের মতোই তারাও কোন প্রাথমিক বা আদি নিবাস থেকে বিচ্যুত হয়ে ওখানে বসতি গড়ে।

পিয়ার্স এনাক্লোপেডিয়া এবং অন্য একটি ইলাস্ট্রেটেড হিস্টোরি বইতে (বইটি সাথে নেই; নাম বলতে পারছিনা এখন) আর্যদের বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ার যে রুট চিত্রায়িত করা হয়েছে, সেখানেও আর্যদের উৎপত্তিস্থল হিসেবে রাশিয়াকেই দেখানো হয়েছে। সেখান থেকে ওরা ৫ ভাগে ভাগ হয়ে যায়, যথা: গ্রীক, ইউরোপিয়, টার্কিশ, ইরানি, ও ভারতীয় (ইউরোপিয় ও টার্কিশ ভাগ দুটি নিয়ে একটু কনফিউশন আছে; অনেক বছর আগে পড়েছি)।

অসূর্যষ্পশ্যা বানানটি ভুল। 'অসূর্যম্পশ্যা' হবে।

একটি কমেন্টের উত্তরে সেন দেরকে বাঙ্গালি বলেছেন- তীব্র প্রতিবাদ জানাই। সেনরা কর্ণাক থেকে এসে আগ্রাসনের মাধ্যমে প্রগতিশীল বাঙ্গালি পালদেরকে ক্ষমতাচ্যুত করে। তারাই বাংলায় ব্রাক্ষণ্যবাদের প্রচার প্রসার ঘটায়। ওদের হাত ধরেই এখানে বর্ণভেদ, সতিদাহর মতো কুপ্রথা প্রচলিত হয়।

আমাদের মনে রাখা দরকার আদি মুসলমানরা যেমন এখানে বহিরাগত, আদি হিন্দুরাও তা-ই। বিষয়টি মাথায় রেখেই আধুনিক বাঙ্গালির জাতিয়তাবাদি চেতনার উন্মেষ ঘটানো প্রয়োজন।

লেখা ভাল হয়েছে।

২২ শে মার্চ, ২০১২ সকাল ৭:১৭

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১১:১৫

যাযাব৮৪ বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম

২৪ শে এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ২:০৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.