নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্ত্যজ বাঙালী, আতরাফ মুসলমান ...

বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্‌উক, হে ভগবান।রবীন্দ্রনাথ

ইমন জুবায়ের

জীবন মানে শুধুই যদি প্রাণ রসায়ন/ জোছনা রাতে মুগ্ধ কেন আমার নয়ন। [email protected]

ইমন জুবায়ের › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাচীন বাংলায় দ্রাবিড় জাতি

৩০ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৫০

বাঙালি মিশ্ররক্তের অধিকারী বর্ণশঙ্কর জাতি। সুপ্রাচীন কাল থেকেই প্রাচীন বাংলার অধিবাসীদের দেহে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর রক্তধারার সংমিশ্রণ ঘটেছিল বলেই কালক্রমে বাঙালি একটি বর্ণশঙ্কর জাতিতে পরিনত হয়েছে। বাঙালি তার অবয়বে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্যচিহ্ন বহন করে চলেছে বলেই বাঙালিদের মধ্যে আর্য-সুলভ গৌড়বর্ণ যেমন দেখতে পাওয়া যায়, তেমনি নিগ্রোয়েড-সুলভ মোটা কোঁকড়া চুল ও পুরু ঠোঁটও দেখা যায়।

পন্ডিতদের মতে, অস্ট্রিকভাষী আদি-অস্ট্রেলীয়রাই বাংলার প্রাচীনতম জাতি । অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের আদিবাসীদের সঙ্গে অস্ট্রিকভাষী আদি-অস্ট্রেলীয়দের নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য ও ভাষার মিল রয়েছে বলেই ওই নাম। তবে এরা যে কেবল মাত্র বাংলায় ছিল তা কিন্তু নয়। প্রায় তিরিশ হাজার বছর আগেই অস্ট্রিকভাষী আদি-অস্ট্রেলীয়া ভারতীয় উপমহাদেশে ছড়িয়েছিল। প্রাচীন বাংলায় (বা বলা ভালো: প্রাগৈতিহাসিক বাংলায়) অস্ট্রিকভাষী আদি-অস্ট্রেলীয়দের আরও এক নিকটতম প্রতিবেশি ছিল। এরা কিরাত নামে পরিচিত। কিরাতরা ছিল মঙ্গোলয়েড জনগোষ্ঠীর মানুষ। এবং এরাও প্রাচীন বাংলায় অস্ট্রিকভাষী আদি-অস্ট্রেলীয়দের পাশাপাশি অরণ্যচারী জীবন যাপন করত। পরবর্তীকালে আর্যরা তাদের বৈদিক সাহিত্যে অস্ট্রিক ও কিরাতদের অনেকটা ঘৃনাসূচক ‘নিষাদ’ বলে অবহিত করেছিল। তবে প্রকৃতিপ্রেমি বাঙালি আজও নিজেদের ‘নিষাদ’ বলে পরিচয় দিতে তীব্র আকর্ষন বোধ করে।

সে যাই হোক। অস্ট্রিক ও কিরাতদের পর, তার মানে নিষাদজাতির পর, দ্রাবিড়ভাষী জনগোষ্ঠী প্রাচীন বাংলায় এসেছিল । বাংলার ভাষা ও সভ্যতায় এই দ্রাবিড়ভাষী জনগোষ্ঠীর গভীর অবদান রয়েছে। এই পোস্টে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত ভাবে তারই পর্যালোচনা করা হয়েছে ।

এবারে আমরা দেখব দ্রাবিড় শব্দের মানে কী। দ্রাবিড় শব্দের দুটি অর্থ হয়। একটি তার সংকীর্ণ অর্থ; অন্যটি তার প্রসারিত অর্থ। সংকীর্ণ অর্থে - তামিল শব্দ দিয়ে দক্ষিণ ভারত ও শ্রীলঙ্কার তামিল ভাষা ও জাতিকে বোঝানো হয়। বৃহত্তর বা প্রসারিত অর্থে- তামিল শব্দ দিয়ে দক্ষিণ ও মধ্য এবং পশ্চিম ভারতে অবস্থিত একটি বিশাল ভাষাগোষ্ঠী ও সেই ভাষাগোষ্ঠীর মানুষকে বোঝানো হয়।

আর্যরা ভারতবর্ষে আসার আগেই ভারতীয় উপমহাদেশ দ্রাবিড়-অধ্যুষিত ছিল। আর্যরা-পন্ডিতদের মতে- ইরান থেকে প্রাচীন ভারতে এসেছিল ১৫০০ খ্রিস্টপূর্বে। আর্যরা যে ধর্মগ্রন্থ রচনা করেছিল তাইই ‘বেদ’ নামে পরিচিত। বেদ চারটি। যেমন: ঋক, যজু, সাম ও অর্থব। এর মধ্যে ঋকবেদই প্রাচীনতম। ঋকবেদ এর রচনাকাল আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব দশম শতাব্দী। (দ্র: ড. আর এম দেবনাথ; সিন্ধু থেকে হিন্দু) কিন্তু, বেদ নিয়ে এত কথা বলার কারণ হল এই যে- ঋকবেদ এর যুগ থেকে ভারতে দ্রাবিড়ভাষী জনগোষ্ঠীর প্রমান পাওয়া যায়। যে কারণে বলছিলাম যে আর্যরা ভারতবর্ষে আসার আগেই ভারতীয় উপমহাদেশ দ্রাবিড়অধ্যুষিত ছিল। এখানে উল্লেখ্য যে, বেদভিত্তিক বৈদিক সাহিত্যে দ্রাবিড় শব্দটি সংকীর্ণ অর্থে বোঝানো হয়েছে। তার মানে, আর্যরা দ্রাবিড় বলতে দক্ষিণ ভারত ও শ্রীলঙ্কার তামিল ভাষা ও জাতিকে বুঝত।

বহিরাগত আর্যদের তুলনায় দ্রাবিড় সভ্যতা ছিল উন্নত। ঐতিহাসিক শ্রীনিবাস আয়েঙ্গার লিখেছেন, ‘প্রাচীন দ্রাবিড়গণ বৈদিক আর্যদের অপেক্ষা সভ্যতায় কোনও অংশে হীন ছিল না। বরং বিষয়াবিশেষে আর্যগণ অপেক্ষা তাহারা অধিকতর উন্নত ছিল । বিজ্ঞানে, শিল্পে, যুদ্ধবিদ্যা ও বুদ্ধি কৌশলে তাহারা আর্যদের সম্যক প্রতিদ্বন্দী ছিল।’ (দ্র. লাইফ ইন এনসিয়েন্ট ইন্ডিয়া।)

এখন প্রশ্ন হল-দাবিড়রা কি ভারতবর্ষে সব সময়ই ছিল? নাকি তারাও কোনও এক সময়ে আর্যদের মতোই বাইরে থেকে ভারতবর্ষে এসেছিল?

এই প্রশ্নে পন্ডিতেরা দু ভাগে বিভক্ত।

(ক) একদল পন্ডিত মনে করেন যে দ্রাবিড় জনগোষ্ঠী ভারতবর্ষের বাইরে থেকে এসেছে । এদের আদি বাসভূমি ছিল ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল। (খ) আরেক দল পন্ডিত মনে করেন- দ্রাবিড় জনগোষ্ঠী ভারতবর্ষের আদি অধিবাসী।

তবে প্রথম মতটিই অধিকতরো গ্রহনযোগ্য। অবশ্য এর যথার্থ কারণও আছে। দ্রাবিড় জনগোষ্ঠীর বর্তমান বাসস্থান দক্ষিণ ভারত। সেখানকার সমাধিক্ষেত্রে যে কঙ্কাল পাওয়া গেছে তার সঙ্গে ভূমধ্যসাগরীয় নরগোষ্ঠীর (ডিএনএ ইত্যাদির) মিল রয়েছে । তাছাড়া মিশরীয়দের সঙ্গেও দ্রাবিড়দের নৃতাত্ত্বিক মিল রয়েছে। এসব কারণে দ্রাবিড়ভাষী জনগোষ্ঠী কে ভূমধ্যসাগরীয় নরগোষ্ঠীর মানুষ বলে মনে করা হয়।

নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্টের দিক থেকে দ্রাবিড়রা দীর্ঘমুন্ড ( নৃতত্ত্বের পরিভাষায় বলে ডলিকোসেফালিক!) নাক চওড়া ও মোটা; ঠোঁট পুরু; মুখ চওড়া ও মাংসল; শারীরিক গঠনে তেমন সমন্বয় নেই; গায়ের রং বলাবাহুল্য যে কৃষ্ণকায়।

এই দ্রাবিড়রাই প্রাচীন বাংলায় এসেছিল। কখন? সেটা আজ হিসেব কষে বলা মুশকিল। তবে সে সময় প্রাচীন বাংলায় বাস করত অস্ট্রিক-ভাষী আদি-অস্ট্রেলীয় এবং কিরাতগণ। কিরাতগণ অরণ্যক জীবন যাপন করলেও (আজও তারা রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির পাহাড়ে এক রকম অরণ্যক জীবন যাপনই করছে!) অস্ট্রিক-ভাষী আদি-অস্ট্রেলীয়রা প্রাচীন বাংলায় গড়ে তুলেছিল গ্রাম। যে কারণে আজও বাঙালির জীবনে অত্যন্ত গভীর অস্ট্রিক-প্রভাব অনুভূত হয়। কারণ প্রাচীন বাংলায় কৃষিকাজের সূচনা এই অস্ট্রিক-ভাষী আদি-অস্ট্রেলীয়রাই করেছিল। কৃষিকাজের জন্য যে লাঙ্গল-এর দরকার হয়, এবং যে লাঙ্গল আজও বাংলার কৃষকের প্রতীক- সেটি ওই অস্ট্রিকরাই তৈরি করেছিল। কৃষিকাজের পাশাপাশি তারা মাছ ধরত। নদী কিংবা খাল-বিল পাড় হত ডোঙা, ডিঙা কিংবা ভেলায় চড়ে । তবে পাশাপাশি এদেরই একাংশ অরণ্যচারী জীবন যাপন করত। তারা কিরাতদের মতোই তীরধনুক দিয়ে অরণ্যের পশুপাখি শিকার করত ।

প্রাচীন বাংলায় অস্ট্রিক-ভাষী আদি-অস্ট্রেলীয়দের অবদান যেমন গ্রামীণ সভ্যতা- তেমনি প্রাচীন বাংলায় দ্রাবিড়ভাষী জনগোষ্ঠীর অবদান হল- নগরসভ্যতা। কেননা, দ্রাবিড়ভাষী জনগোষ্ঠীই প্রাচীন ভারতবর্ষে নগরসভ্যতার সূত্রপাত করেছিল। দ্রাবিড়ভাষী জনগোষ্ঠী ছিল অস্ট্রিকদের তুলনায় সভ্য এবং তাদের সাংগঠনিক শক্তিও ছিল বেশি । যে কারণে নগরকে কেন্দ্র করে দ্রাবিড় সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। আসলে মিশর থেকে ভূমধ্যসাগর অবধি দ্রাবিড়ভাষী জনগোষ্ঠীর সভ্যতায় নরগকেন্দ্রিক উপাদানই বেশি। বিশিষ্ট বাঙালি ঐতিহাসিক নীহাররঞ্জন রায় লিখেছেন, ‘নব্যপ্রস্তরযুগের এই দ্রাবিড়ভাষাভাষী লোকেরাই ভারতবর্ষের নগর সভ্যতার সৃষ্টিকর্তা।’ ( বাঙালির ইতিহাস। আদিপর্ব। পৃষ্ঠা; ৭৫) বহিরাগত আর্যরা ১৫০০ খ্রিস্টপূর্বে সিন্ধুসভ্যতার যে সব উন্নত নগরসমূহ ধ্বংস করেছিল সে সসব নগরের নির্মাতা ছিল দ্রাবিড়গণ।

তবে নগর জীবনের পাশাপাশি দ্রাবিড়রা বাংলায় কৃষি কাজও করত। সংস্কত ভাষায় ‘ব্রীহি’‘তন্ডুল’ শব্দ দুটি দিয়ে ধান্য (ধান) বোঝায়। ভাষাতাত্ত্বিকদের মতে- এই দুটি শব্দে মূলে রয়েছে দ্রাবিড় ভাষা। এতে বোঝা যায়-প্রাচীন বাংলায় দ্রাবিড়রা ধান চাষ করত। ধান ছাড়াও দ্রাবিড়রা গম ও যব এর আবাদও করত। দ্রাবিড়রা অস্ট্রিক-ভাষী আদি-অস্ট্রেলীয়দের মতোই মাছ খেত। মাছ ধরা ছাড়াও তারা নদীতে কিংবা সমুদ্রের ধারে মুক্তা ও প্রবাল আরোহন করত । সংস্কৃত ভাষায় মুক্তা, নীর (পানি), মীন (মাছ) এসব শব্দের মূলে রয়েছে দ্রাবিড় শব্দ।

বাঙালি সনাতনধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মে দ্রাবিড়দের রয়েছে গভীর প্রভাব। শিব, উমা, বিষ্ণু, শ্রী- প্রমূখ দেবদেবী প্রাচীন বাংলায় দ্রাবিড় জনগোষ্ঠীর দ্বারা পূজিত হতেন। এ ছাড়া দ্রাবিড়দের ধর্মীয় ঐতিহ্য থেকে গঙ্গাপূজা, লিঙ্গপূজা, জগন্নাথ পূজা, শক্তিপূজা, বৃক্ষপূজা, শীতলা, বাসুদেব ও যুগলমূর্তির পূজার ধারণা এসেছে । দ্রাবিড়রা ছিল গভীর আধ্যাত্মিক চেতনাসম্পন্ন এবং মিস্টিক। দ্রাবিড়দের সাধনমার্গ ছিল যোগসাধন পদ্ধতি । বলা যায় বাঙালি তার মরমি ভাবনা লাভ করেছে দ্রাবিড়দের কাছ থেকেই। তবে দ্রাবিড়দের ধর্মীয় কৃত্যে নরবলির প্রথা ছিল বলে অনেক পন্ডিত অনুমান করেন।

তবে দ্রাবিড়দের সবচে বড় অবদান হল বাংলা ভাষার ক্ষেত্রে। বাংলা ব্যকরণ অনেক নিয়ম দ্রাবিড় ভাষাতত্ত্বের ওপর গড়ে উঠেছে । তা ছাড়া দ্রাবিড় ভাষার প্রচুর শব্দ বাংলা শব্দ ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেছে। একটা সময় ছিল যখন- ভারতীয় উপমহাদেশে দ্রাবিড়ভাষাই ছিল সর্বসাধারণের ভাষা। এ কারণেই প্রাচীন বাংলার অধিবাসীদের ভাষায় দ্রাবিড় ভাষার প্রভাব পড়াই ছিল স্বাভাবিক । দ্রাবিড় ভাষা থেকে এসেছে বাংলা ভাষায় এমন কিছু শব্দ হল: অণু, অরণি, অগুরু, অনল, কাল (সময়), কলা, পুষ্প, মুকুল, মল্লিকা, পূজা, গণ, কোণ, নীল, পন্ডিত, শব, অর্ক, অলস, ফল, বীজ, উলু, রাত্রি, অটবী, আড়ম্বর, তন্ডুল, খড়গ, কুন্ড, চন্দন, দন্ড, খাল, বিল, ময়ূর, কাক, কাজল, কোদাল, কেয়া, বালা, পল্লী, বেল, তাল, চিকণ, চুম্বন, কুটির, খাট, ঘূণ, কুটুম্ব ...ইত্যাদি।

শব্দই তো তুলে ধরে জীবন কে।

আজও এরকম অনেক দেশি শব্দ তুলে ধরে প্রাচীন বাংলার দ্রাবিড়জীবন ...



তথ্যসূত্র:



কাবেদুল ইসলাম; প্রাচীন বাংলার জনপদ ও জনজাতিগোষ্ঠী

আহমেদ শরীফ; বাঙলা বাঙালী ও বাঙালীত্ব

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৫৯

মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। অনেক কিছু জানা গেল দ্রাবিড় সম্পর্কে।

৩০ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: প্লাস!

প্রাচীণ বাংলার জাতি নিয়ে কথা... অসাধারণ বিষয় ভাই। ধন্যবাদ।

৩০ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০২

বাউল মোহর বলেছেন: চমৎকার, অনেক প্রশ্নর উত্তর মিলল, অনেকের প্রশ্নের উত্তর মিলল।

৩০ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৫

থাবা_বাবা বলেছেন: আরো জানার খায়েশ হচ্ছে...

৩০ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: জানবেন।
ধন্যবাদ।

৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৭

মুয়াজ বলেছেন: valo laglo

৩০ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪২

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪০

শুক তারা বলেছেন: খুবই পছন্দ হয়েছে গত বছর national cultural heriage r bangladesh political history নামের ২ টা কোর্স করার সুবাদে এসব আরো বিস্তাড়িত পড়েছিলাম, আমার কাছে ইন্টারেস্টিং লেগেছে অনেক ,,পোস্ট প্রিয়তে :)

৩০ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪২

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৪

যাদব সূত্রধর বলেছেন: Comotkar post. aro likhben, amader janaben. suveccha ebong dhonyobad.

৩০ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৬

যাদব সূত্রধর বলেছেন: bangla vasha totter ekti post cai apnar kach theke. thanks

৩০ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: লিখব। সময় করে। অনেক ধন্যবাদ।

৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:৩৭

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম , এসে পড়ব :)
জানার আছে অনেক কিছু মনে হচ্ছে :)
ভালো থাকবেন :)

৩০ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:৩৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১০| ৩০ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:০৪

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: অসাধারণ। অসাধারণ।

৩০ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:০৭

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ। ধন্যবাদ। ধন্যবাদ।

১১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:৪৯

যাদব সূত্রধর বলেছেন: ভাই পোষ্টটা প্রিয়তে নিবো কিভাবে ? পারছিনা। একটু বলবেন ?

৩১ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ৭:৪৭

ইমন জুবায়ের বলেছেন: পোস্টের শেষে দেখবেন এডিট করুন/ড্রাফট করুন/মুছে ফেলুন এর নীচে একটি হলুদ তারকা রয়েছে। ওকে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ।

১২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:০৮

যুদ্ধবাজ বলেছেন: হাজার টা +++
আমার একটা প্রশ্ন ছিল, আর্যরা যেমন যুদ্ধবাজ ছিল, দ্রাবিড়রা কি তেমন যুদ্ধবাজ ছিল না নিরীহ ছিল?

৩১ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ৭:৪৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: যুদ্ধ প্রত্যেক জাতিকেই করতে হয়েছে টিকে থাকার জন্য।
ধন্যবাদ।

১৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:২৮

থাবা_বাবা বলেছেন: এইবার একটু সমালোচলনা করি... আপনার লিখাটা পড়তে গেলে ঘুম আসে...যারা আপনার প্রশংসা করছেন তারা কজন পুরোটা পড়ে তার পর বুঝে বলছেন সেটাও আমার প্রশ্ন! আপনি প্রাপ্ত তথ্যগুলোকে যেভাবে পেয়েছেন, সেভাবেই দিয়ে বসেছেন, সাজান নি... আপনার নিজের লেখনীতে দিলে ভাল লাগতো!

১৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:৩৪

ইমরান হাসান ক বলেছেন: না আসলে আমি একমত হতে পারলাম না থাবা বাবা এর সাথে। আসলে আমাদের অনার্য যে রুট টা আছে সেটা এতটাই অস্পষ্ট যে আমরা সেটা থেকে সঠিক ইতিহাস বের করতে পারব কিনা সন্দেহ। সেখান থেকে ১০০% ইতিহাস বের করা প্রায় অসম্ভব একটা কাজ ধরা হয়, এইজন্য ভাব এর ক্ষেত্রেও সেখানে কিছু ঘাটতি থেকে যায়।

৩১ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:৩৪

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:২৯

থাবা_বাবা বলেছেন: ইমরান... আমি ইতিহাস নিয়া কি কিছু কইছি যে আপনি দ্বিমত পোষন করবেন?

১৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:১৫

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: জুবায়ের ভাই ভালো লাগলো। কিন্তু আমরা জাতি হিসাবে কোনোদিন এক হতে পারবো না। শুধু এই মিশ্র জাতি বলে। আর্য আর দ্রাবিড় জাতির পরে আরো কত রক্ত যে মিশেছে এই জাতির রক্তে। এটা একটা জগাখিচুড়ি জাতি।

সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হলো এর মতো পরশ্রীকাতর জাতি পৃথিবীতে আর আছে কিনা আল্লাহ পাকই জানেন।

এই ধরনের পোস্ট সাধারনত অনেকেই পড়েনা, কিন্তু আমার খুব ভালো লাগে। ইতিহাস, নিজেদের মূলের সন্ধান এতো সচরাচর বই কিনেও পড়া হয়না। খুব ভালো লাগলো।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:৩৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৫৬

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব ভাই, বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় সব জাতিই মিশ্র জাতি। এত মিশ্রণের পরেও প্রতিটি জাতির (এথনিক গ্রুপের) একটি সাধারণ রূপ দাড়িয়েছে। বাঙ্গালিও তার ব্যতিক্রম নয়। তাই আমরা কখনো এক হতে পারবনা এমনটি মনে করিনা। অন্যান্য সব জাতি পারলে আমরাও পারব ইনশাআল্লাহ। শুধু আমাদেরকে আমাদের ঐক্যের মূলসূত্র খুজে বের করতে হবে; বিভাজনের নয়। আর এজন্য প্রয়োজন নিজেদের ইতিহাস ঐতিহ্যকে গভীর ভাবে জানা; যে কাজে অনবদ্য ভূমিকা রেখে চলেছেন ইমন জুবায়ের ভাই।

বাঙ্গালির খারাপ দিক পরশ্রিকাতরতার কথা যেমন বলেছেন, তেমনি এ জাতির অনেক ভাল দিকও রয়েছে, যেমন অতিথিপরায়ণতা। অনেক বিদেশির মুখেই বাংলাদেশের বিমুগ্ধ সুনাম শুনেছি। ভাল মন্দ মিলিয়েই প্রত্যেকটি জাতি।

ওপরে একজন মন্তব্য করেছেন, "লিখাটা পড়তে গেলে ঘুম আসে...যারা আপনার প্রশংসা করছেন তারা কজন পুরোটা পড়ে তার পর বুঝে বলছেন সেটাও আমার প্রশ্ন!" একজন পাঠক হিসেবে এমন মন্তব্য পড়ে অপমানিত হয়েছি। ইমন জুবায়েরের এমন সহজপাচ্য লেখাও যদি কারো কাছে নিদ্রাবর্ধক মনে হয় তাহলে সেই পাঠকের রুচিবোধ এবং পাঠাভ্যাস নিয়েই সংশয় দেখা দেয়।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:৪০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:২০

জুবেরী বলেছেন: ওপরে একজন মন্তব্য করেছেন, "লিখাটা পড়তে গেলে ঘুম আসে...যারা আপনার প্রশংসা করছেন তারা কজন পুরোটা পড়ে তার পর বুঝে বলছেন সেটাও আমার প্রশ্ন!" একজন পাঠক হিসেবে এমন মন্তব্য পড়ে অপমানিত হয়েছি। ইমন জুবায়েরের এমন সহজপাচ্য লেখাও যদি কারো কাছে নিদ্রাবর্ধক মনে হয় তাহলে সেই পাঠকের রুচিবোধ এবং পাঠাভ্যাস নিয়েই সংশয় দেখা দেয়।

সহমত

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:২৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: :)

অনেক দিন পর। কেমন আছেন?

১৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:১৭

পদ্ম।পদ্ম বলেছেন: ++

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:০৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

২০| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:১৯

অর্ণব আর্ক বলেছেন: ভাবছি কাবেদুল ভাইয়ার সাথে কথা বলতে হবে। যতোদূর জানি উনি একজন পরিশ্রমী পাঠক ও নিবেদিতপ্রাণ গবেষক। তবে এই বইটির শেষে উনি কিভাবে এই ধরণের বর্ণবাদী বিষয়কে সমর্থন দিয়ে গেলেন সেটা কখনই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। বিশেষ করে হাজার বছরের প্রত্নতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধারণকারী বাঙালি জাতিকে সংকর বলা ঠিক হচ্ছে না মনে হয়।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১২ ভোর ৬:৩৪

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.