![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভারতীয় বন্যহাতির আক্রমণে শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী গারো পাহাড় এলাকায় গত দুইদিনে এক উপজাতি নারীর মৃত্যু এবং শিশু ও নারীসহ ৭ জন আহত হয়েছে। এ সময় সীমান্ত এলাকার ১৫টি বাড়ি ভাংচুর করেছে হাতির দল। নিহত উপজাতি নারী হলেন শ্রীবর্দী উপজেলার সীমান্তবর্তী হাড়িয়াকোনা গ্রামের নেস্পালি মারাক (২৫)। আহতরা হলেন নিহতের স্বামী সন্দীপ সাংমা, তার মা ফেমিনা মারাক, বাবা দানিয়েল সাংমা, ঝিনাইগাতী উপজেলার একই পরিবারের রমেন কোচ, মালতি কোচ ও পূজা এবং নালিতাবাড়ি উপজেলার পোড়াগাও ইউনিয়নের আন্ধারু পাড়া গ্রামের জুরেন সাংমা। জানা গেছে, বুধবার ও বৃহস্পতিবার ভোর রাতে প্রায় একই সময়ে ভারতীয় বন্য হাতির পৃথক ৩টি দল জেলার নালিতাবাড়ি, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবর্দী উপজেলার সীমান্ত গ্রামগুলোতে হামলা চালায়। হাতির দল বৃহস্পতিবার ভোরে শ্রীবর্দী উপজেলার হাড়িয়াকোনা গ্রামের নেস্পালি মারাকের ঘরে হামলা চালালে ঘুমন্ত অবস্থায় নেস্পালি মারাক হাতির পায়ে পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। অপরদিকে ৯ জানুয়ারি ভোরে প্রায় একই সময়ে ঝিনাইগাতী উপজেলার নকসি বানাইপাড়া গ্রামে এবং নালিতাবাড়ি উপজেলার পোড়াগাও ইউনিয়নের আন্ধারুপাড়া গ্রামে পৃথক দুটি ভারতীয় বন্য হাতির দল হামলা চালিয়ে বানাইপাড়া গ্রামের ৩টি কোচ বাড়িতে ভাংচুর করে ঘরের ভেতর রাখা গোলার ধান ও চাল খেয়ে ফেলে। এসময় ঘরের ভেতর ঘুমন্ত কোচ পরিবারের ৩ সদস্য আহত হয়। অপরদিকে নালিতাবাড়ির আন্ধারুপাড়া গ্রামের আরেকদল হাতি হামলা চালিয়ে ৮টি বাড়ি ভাংচুর করে।
©somewhere in net ltd.