নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অশিক্ষিত মাইনষ্যের ব্লগ, সাধু তুমি সাবধান!

বিশ্বাস বদলের সময়ে স্বাগতম।

বেতাল

বৃত্তান্ত বাই ডিফল্ট আসেও না। থাকলেও সবাই পড়ে না।

বেতাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানবাধিকার অবমূল্যায়নে মৌলবাদ ও শরিয়া আইন: প্রসংগ বিয়েবিহীন যৌনতা

০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:১১





প্রশ্ন: বিয়েবিহীন যৌনতা শরিয়াভিত্তিক শাস্তি কি?



উত্তর: সোজা কথায় মৃত্যুদন্ড। মুহম্মদের (সাঃ) এর জীবনদশায় শুধুমাত্র বিয়েবিহীন যৌনতার একমাত্র শাস্তিই ছিল, মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া। সত্যি বলতে কি, এখনো এটাই হয়।

যেমন- কিছুদিন আগেও নাইজেরিয়াতে অর্ধেক শরীর মাটিতে পুতে পাথরের আঘাতে এক মহিলা কে জীবন দিতে হয়েছে।



এবিষয়ে কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত তথ্যসূত্রসমূহ নিচে দেওয়া হলো।



হাদিস থেকে-

Bukhari (6:60:79) - Two people guilty of "illegal intercourse" are brought to Muhammad, who commands that they both be stoned. Apparently their act was out of love, however, since the verse records the man as trying to shield the woman from the stones.



Bukhari (83:37) - Adultery is one of three justifications for killing a person, according to Muhammad.



Muslim (17:4196) - A married man confesses that he has adultery. Muhammad orders him planted in the ground and pelted with stones. According to the passage, the first several stones caused such pain that he tried to escape and was dragged back.



Muslim (17:4206) - A woman who became pregnant confesses to Muhammad that she is guilty of adultery. Muhammad allows her to have the child, then has her stone.



Muslim (17:4209) - A woman confesses adultery and is stoned to death on Muhammad's order.



Ibn Ishaq (970) - "The adulterer must be stoned." These words were a part of Muhammad's farewell address to his people on the occasion of his final pilgrimage to Mecca.



এখানে লক্ষণীয়, কোরআনে এই সম্পর্কে সরাসরি কোন রেফারেন্স নেই। তবে, সুরা ২৪:২ অনুসারে, অবৈধ যৌনতার জন্য ১০০ দোর্রা মারার বিধান আছে। ঠিক এর পরের সুরাতেই দোষী সাবস্তদের বিয়ে করারও সমর্থন পাওয়া যায়। কিন্তু, এখানে মোহম্মদ (সাঃ) এর শাস্তি দেবার প্রক্রিয়াটির ধরণটি ছিল, মাটিতে অর্ধেক পুরে পাথর দিয়ে মারা। যেটা কিনা পুরোপুরি খোদ কোরআনেরই অনুপস্থিত।



যাই হোক, বিচার প্রক্রিয়াতে নিজে থেকে কেউ যদি স্বীকার করে না থাকেন যে তিনি দোষী অথবা চারজন পুরুষের ভাষ্য যদি না পাওয়া যায় ঐ ব্যক্তির ( পুরুষ বা নারীর) বিরুদ্ধে তবে, কার্যত এই আইনের প্রয়োগ হয়না।



সমস্যাটা গভীর হয় অন্য জায়গায়।

১। পুরুষতান্ত্রিক শরিয়া সমাজ ব্যবস্থায়, সাধারণত কোন পুরুষকেই এই ধরণের শাস্তিতে মৃত্যু পর্যন্ত যেতে হয়না।

২। ধর্যণের শিকার হওয়া কোন নারীকেই এই আইনের থেকে প্রয়োগ থেকে বাচানোর উপায় নেই। যেই কেউ এতে ব্যাভিচারের আওতায় ফেলে দিতে পারে। কারণ, শরিয়া এই আইনে একজন ধর্ষিতার কথা বিশ্বাস করার বা তার কথা মেনে নেবার কোন অবকাশ নেই।

৩। একজন ধর্ষণকারী বা কারীরা নিঃশ্চয় চারজন সাক্ষী রেখে ধর্ষন করে না। অথবা, চারজন ধর্ষণকারী নিশ্চয় ধর্ষণের পরে স্বীকার করবে না।

৪। চারজন ধর্ষণের সাক্ষী নিঃশ্চয়ই ধর্ষণ চেষ্টা চলাকালীন অবস্থায় একজন অবলা নারীকে সাহায্যে এগিয়ে আসবে, যদি কাপুরুষ না হয়। সেইক্ষেত্রে সরাসরি ধর্ষণ না হলেও ঘুরে ফিরে ব্যাভিচার আরোপ করা যেতে পারে।

৫। যদি শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধি কেউ ধর্ষনের শিকার হন, তাহলে কিছুই করার নেই। ধরুন, সম্পূর্ণ অপরিচিত কোন মানুষের দ্বারা কোন অন্ধ নারী যদি পাশবিকতার শিকার হন, তাহলে সঠিক বিচার পাওয়া মহিলাটির জন্য কোনভাবেই সম্ভব নয়। এই ধরণের দূর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতিতে, আধুনিক মেডিকেল সায়েন্স ছাড়া কিছুই করার নেই। কিন্তু, মাদ্রাসা পাস করা মৌলবাদপুস্ট মানুষদের আগ্রহ এখনো অন্যখানে।



অতএব, আধুনিকযুগে অমানবিক এই ধরণের মূল্যবোধের গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু - প্রশ্ন রইলো।

ধন্যবাদ

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +৪/-৪

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:১৯

জটিল বলেছেন: হুমম

০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৩৮

বেতাল বলেছেন: হুমটা কি, জটিল। বুঝলাম না তো....

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:২৬

অপ্রিয় সত্য বলেছেন: এইবার ইসলামে "মুতা বিয়া" সম্পকে কিছু লেখেন...........অনেক পাবলিকের উপকার হইবো.............।

০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৩৯

বেতাল বলেছেন: ওক্কে ওক্কে!!!

৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৩৩

রাজা সরকার বলেছেন: ভাবতে কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু এর শেষ কোথায় ।

০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৪০

বেতাল বলেছেন: এর শেষ আছে কি? :(

৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৫১

বিপ্লবী চেতনা বলেছেন: খন্যবাদ।

৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৫৭

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেন " আমি যখন ইসলাম প্রচার করছি তখন একটা অসভ্য, বরবর জাতির জাতির সাথে কাজ করছি। তাই আমাকে অনেক সময়ই অনেক কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। কঠিন আর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির বিদান করতে হয়েছে। এক সময় মানুষ শিক্ষীত ও সভ্য হবে তখন এসব আইনের অনেক কিছুই পরিবর্তন যোগ্য"।
সূত্রঃ হিলালী রচনাবলী, ডঃ মোহাম্মদ হিলালী।

অবৈধ যৌনাচার নিশ্চয় সভ্য মানুষের কাজ নয়। মানুষ এবং পশু উভয়ই প্রানী কুলের সদস্য হলেও দুটোর মধ্যে বিস্তর ব্যাবধান আছে। তার একটি হল যথেচ্ছা যৌনাচার, যা পশুর জন্য। কিন্তু মানুষ যদি পশুর আচরন করে তবে শাস্তি অমানবিক হওয়ায় বাঞ্চনীয়।

০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:৫৭

বেতাল বলেছেন: ধন্যবাদ, বাবুই। তবে এখানে আরেকটি কন্ট্রিডিকশান সৃষ্টি হচ্ছে। যেমন, আপনার লেখায় বলেছেন- "এক সময় মানুষ শিক্ষীত ও সভ্য হবে তখন এসব আইনের অনেক কিছুই পরিবর্তন যোগ্য"। তাহলে কোরআনের আইন কি পরিবর্তন ও পরিবর্ধনযোগ্য?

"অবৈধ যৌনাচার নিশ্চয় সভ্য মানুষের কাজ নয়।" - ঠিক বলেছেন। তবে, মাটিতে পুরে অসহায় মানুষকে পাথর আঘাতে মেরে ফেলা কোন সভ্য মানুষের কাজ, বলবেন কি?

৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৩৫

সত্যান্বেষী বলেছেন: বর্বর ধর্ম, বর্বরদের ধর্ম ইসলামের মৃত্যু হোক যুক্তির মাটিতে অর্ধেক পুতে সভ্যতার পাথর ছুড়ে ছুড়ে।

৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ ভোর ৫:৪১

রামন বলেছেন: এই পাশবিক ঘটনাটি ঘটেছিল গত ২৭ শে অক্টোবর সোমেলিয়াতে। ইসলামীক মৌলবাদীরা ব্যাভিচারের অভিযোগে ২৩ বছর বয়েসী এই তরণীকে নির্মমভাবে পাথর মেরে হত্যা করে। পিশাচ ধর্মান্ধরা মহিলার শত আকুতির প্রতি কর্নপাত করেনি। যেখানে অভিযোগ প্রমান করার জন্য ৪জন স্বাক্ষীর প্রয়োজন, সেই পরিমান স্বাক্ষীও তারা মেয়েটির বিপক্ষে সংগ্রহ করতে পারেনি।অথচ সেদিন ধর্মান্ধরা ইসলামী আইন ভংগ করে মেয়েটিকে হত্যা করে। ধন্যবাদ লেখককে সুন্দর ভাবে ব্যখ্যা দেয়ার জন্য।

০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:৫৮

বেতাল বলেছেন: রামনকে ধন্যবাদ, ঘটনাটি তুলে ধরার জন্য

৮| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ ভোর ৬:১৮

আরিফুর রহমান বলেছেন: বাবু গরু,

মুহম্মদ ভাই কি করেছিলেন, বলেন তো?

ব্যাটা তো তার জীবনে প্রচুর নারীগমন করেছে, বিবাহিত, এবং দাসীদের সঙ্গে।

এগুলি হালাল করার জন্য আবার ষরিয়া টাইপের আইনও করে রেখে গেছে।

এখন বলেন তো! , আসল পশুটা কে? ;)

০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:০৮

বেতাল বলেছেন: হুম!!

৯| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:১৬

একে ৪৭ বলেছেন: আরে আরিপ দেকি !! অনেক দিন পর দেকা।
.........
ভাই সব আসেন আমরা অনেক নারি গমন করি আর আরিপের মতন দুই চার তা যারজ তৈরী করি

০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:২১

বেতাল বলেছেন: @একে ৪৭, এটা কি বললেন???

১০| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:২৭

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: "১০০ দোররার শাস্তিটা অবিবাহিত ব্যাভিচারীদের জন্য, মৃত্যুদন্ডটা বিবাহিত ব্যাভিচারীদের জন্য।"

ব্যাভিচার কে সকল বিশ্বাসীরা একটা মধ্যযুগীয় বর্বরতা বলে মানে। তাই তার শাস্তি যথাসম্ভব বর্বরভাবেই হওয়া উচিত বলে ধর্ম শাস্ত্রের বিবেচনা।

ব্যাভিচার/ধর্ষন নিরূপনে যদি ডি এন এ টেস্ট এর শরাণপন্ন হন, তাতে ধর্ম বিশ্বাস অশুদ্ধ হয়ে যায়না, বা সাক্ষীর অভাবের কারণে মামলা তামাদি হয়ে যায়না।

কিন্তু, এখানে মোহম্মদ (সাঃ) এর শাস্তি দেবার প্রক্রিয়াটির ধরণটি ছিল, মাটিতে অর্ধেক পুরে পাথর দিয়ে মারা। যেটা কিনা পুরোপুরি খোদ কোরআনেরই অনুপস্থিত।

****আপনি কি বলতে চাচ্ছেন নবী কোরআনের মূল সুর বিরোধী কোন কাজ করেছেন? যেখানে নবীর জীবনকে বলা হচ্ছে কোরআনের জীবন্ত প্রতিলিপি।

এ বিষয়ে বিশিষ্ট সুশীল ব্লগার আমার বন্ধুবর নরাধমের বিস্তারিত মন্তব্য ও আলোচনা কামনা করছি।

০১ লা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৪৯

বেতাল বলেছেন: "মৃত্যুদন্ডটা বিবাহিত ব্যাভিচারীদের জন্য"- এই রেফারেন্সটার উৎস দিলে ভালো হতো।

"তার শাস্তি যথাসম্ভব বর্বরভাবেই হওয়া উচিত বলে ধর্ম শাস্ত্রের বিবেচনা" - পোস্টে প্রদানকৃত তথ্যসূত্রও তাই বলে। প্রশ্ন থাকে, এটা আপনার কাছে কতটুকু মানবিক মনে হয়?

"ব্যাভিচার/ধর্ষন নিরূপনে যদি ডি এন এ টেস্ট এর শরাণপন্ন হন, তাতে ধর্ম বিশ্বাস অশুদ্ধ হয়ে যায়না" - হাসালেন। আমাদের দেশেই বর্তমানে ইমামরা এখনো মসজিদে কি বলেন জানেন???? সেদিন, সামো'র এক ব্লগার ভাইয়ের পোস্টটি পড়ে দেখুন।
Click This Link

"কিন্তু, এখানে মোহম্মদ (সাঃ) এর শাস্তি দেবার প্রক্রিয়াটির ধরণটি ছিল, মাটিতে অর্ধেক পুরে পাথর দিয়ে মারা। যেটা কিনা পুরোপুরি খোদ কোরআনেরই অনুপস্থিত। "- আমি বলতে চেয়েছি , মোহম্মদ (সাঃ) এর শাস্তি দেবার প্রক্রিয়াটি কোরআনে সরাসরি কোন রেফেরেন্সে নেই।

এ বিষয়ে আমিও বিশিষ্ট সুশীল ব্লগার নরাধমের বিস্তারিত মন্তব্য ও আলোচনা কামনা করছি।

১১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:১৮

কাজরী... বলেছেন: হাদিসের কথায় কান দিয়েন না তো।

একে তও নবী(সাঃ) হাদিস লিখতে মানা করছিলেন।
২য়ত হাদিস সংগ্রহ করা হইছে নবী(সাঃ) এর ওফাতের ২০০ বছর পরে।
এত দিন পর হাদিস ঠিক থাকে কেমনে? ফাইজলামি আর কি!

হাদিস রাখার এত শখ থাকলে নবী(সা) তখনি বলতেন হাদিস লিখে রাখতে।

২৬ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:৩৯

বেতাল বলেছেন: নবী(সা) নিজে যেটা করে গেছেন সেটার ব্যাপারে আপনি কি মনে করেন? হাদিসের ব্যাপারটায় পরে আসা যাবে।

১২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৩২

পদ্মপুকুর বলেছেন: হাদীস না লিখতে বলার ভিন্ন পার্সপেক্টিভ ছিল @ কাজরী। আপনারতো সেটা ভাল জানার কথা।

আর ছবিটা না দিলেই বোধহয় ভালো হত @ বেতাল, গা শির শির করছে দেখে

২৬ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:৩৮

বেতাল বলেছেন: পোস্টের বিষয়টা যে কতটা ভয়াবহ তার খানিকটা আন্দাজ অনুভব করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে পদ্ম পুকুর।

১৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:১২

এস.কে.ফয়সাল আলম বলেছেন: +++++++

১৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৪

েরজাউল ফারুক বলেছেন: জনাব আরিফুর রহমান,
আপনি কি নাস্তিক? ভাই নিজে নাস্তিক হও সমস্যা নাই, কিন্তু নাস্তিকতা প্রচার করার দরকার কি? নাস্তিকতা প্রচার কর, কিন্তু কারও ধর্মবিশ্বাসে আঘাত কর কেন?
অন্যের ধর্মবিশ্বাসকে শ্রদ্ধা করা উচিত নয় কি?

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:২৮

বেতাল বলেছেন: ধন্যবাদ ফারুক আপনার মন্তব্যের জন্য।
তবে, আস্তিকতা নিয়ে প্রচার যদি বৈধ হয়, তবে আরিফের নাস্তিকতার প্রচারে সমস্যা কোথায়? এখানে ধরে নিলাম, আরিফের কথায় তাকে আপনার নাস্তিক মনে হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.