| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাংবাদিকদের পিস্তল দেখালেন ছাত্রলীগ নেতা!
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পাঁচ সাংবাদিকের দিকে পিস্তল উঁচিয়ে ধাক্কা মেরে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা নাসিম আহমেদ সেতু।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের ক্যামেরার ছবি মুছে ফেলে অশ্লীলভাবে গালিগালাজ করেন।
সাংবাদিকরা হলেন- দৈনিক সকালের খবরের আলোকচিত্রী আজাহার উদ্দিন ও রাবি প্রতিনিধি সুজন নাজির, দৈনিক জনকণ্ঠের আলোকচিত্রী সেলিম জাহাঙ্গীর, ইংরেজি দৈনিক নিউএজের রাবি প্রতিনিধি নাজিম মৃধা ও ডেইলি স্টারের সাঈদ শুভ।
নাসিম আহমেদ সেতু রাবি ছাত্রলীগের উপ-পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অকৃতকার্য হয়ে দ্বিতীয় বর্ষে উত্তীর্ণ না হওয়ায় মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে প্রথম বিজ্ঞান ভবনের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে ভাঙচুর করেন সেতু্ ও তার সহযোগীরা। এ সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গেলে সাংবাদিকদের পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করতে এগিয়ে আসেন ওই ছাত্রলীগ নেতা।
সাংবাদিক আজাহার উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, ‘‘সেতু প্রথম বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি এমন অভিযোগে রাবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদ আল তুহিন, মাদার বখশ হল শাখার সভাপতি তানিম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত সালামের নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৪০ জন নেতাকর্মী মঙ্গলবার ওই ভবনে সেতুর বিভাগের পাঁচটি কক্ষ ভাঙচুর করেন।’’
‘‘এ ঘটনার খবর পেয়ে সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহ ও ছবি তুলতে গেলে ছাত্রলীগ নেতা নাসিম আহমেদ সেতু ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিকদের দিকে পিস্তল নিয়ে তেড়ে আসেন। এক পর্যায়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালজ করে সাংবাদিক আজাহার উদ্দীন ও সেলিম জাহাঙ্গীরকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেন। এ সময় অন্য সাংবাদিকরা এগিয়ে গেলে তাদেরও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হয়।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘এ সময় সেতু পিস্তল বের করে গুলি করতে এগিয়ে আসেন। পরে অন্য ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাকে বাধা দেন এবং ওই দুই ফটো সাংবাদিকের ক্যামেরা থেকে সংগৃহীত ছবিগুলো মুছে ফেলেন।’’
এ ব্যাপারে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মুশফিকুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ‘‘সেতু একবার প্রথম বর্ষের পরীক্ষা অকৃতাকার্য হন। দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ ২ দশমিক ১৪ পান। যেখানে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য একজন শিক্ষার্থীকে সর্বনিম্ন ২ দশমিক ৫ পেতে হয়।’’
‘‘নিয়মানুযায়ী ওই শিক্ষার্থী এবার ড্রপ আউট হয়ে যান। ফলে, কিছু উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র বিভাগে ভাঙচুর করেন।’’
এ বিষয়ে রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি আহমেদ আলী বাংলানিউজকে বলেন, “আমি বিষয়টি শুনেছি। সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করা ঠিক হয়নি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক”
এদিকে, এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে এক জরুরি বৈঠক বসে। বৈঠক থেকে এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। একই সঙ্গে ক্যাম্পাসে ত্রাস সৃষ্টিকারী ওই ছাত্রলীগ ক্যাডারকে বহিষ্কার ও তার ছাত্রত্ব বাতিলের দাবি জানানো হয়।
অন্যদিকে, এ খবরে রাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি শিপন আহমেদ, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক উৎসব মোসাদ্দেক, বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব, রাজশাহী প্রেসক্লাব, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়শনসহ সাংবাদিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতাদের শাস্তি দাবি করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া বাংলানিউজকে বলেন, “আমি ঘটনাটি শুনেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=9c2fc795e95ba45a6a1eca768032f15a&nttl=05022013171550
২|
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৬
তন্দ্রামোহ বলেছেন: প্রিন্স করিম আগা খান যাই করুক কিন্তু আওয়ামীলীগের ভন্ডামি প্রকাশ করেছে এজন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫
আগা খান বলেছেন: আজকে নাকি ৭১ সালের ২৩ বছর বয়সী ঢাকা ভার্সিটির মেধাবী ছেলেটার (ফাসির) রায়!!! যারা (বাংলাদেশ বিরোধী এবং ওদের দোসর) যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ভারতে বসে হোটেলে নারী মদ নিয়া ফুর্তি করেছে যেটা সাংবাদিক জহির রায়হানের ক্যামেরায় বন্দী হয়ে যায়। রাজাকার বাহিনীতে যোগদান করে এরাই বাংলাদেশের সাধারন মানুষের সর্বনাশ করেছিল। এই একই গ্রুপের লোকেরাই ১৪ ই ডিসেম্বর আমাদের সবচেয়ে মুল্যবান সম্পদ বুদ্দ্বীজীবিদের কে হত্যা করে। সাংবাদিক জহির রায়হানের তদন্তে এই রাঘব বোয়াল গুলো যখন ধরা খেয়ে যাচ্ছিল ঠিক তখনই তারা সীদ্দ্বান্ত নেয় জহির রায়হান কে গুম করার। যার ফলশ্রুতিতে ৩০ জানুয়ারি ১৯৭২ মিরপুরে ডেকেনিয়ে গুম করে। সেই একই গ্রুপ নতুন করে খুনের নেশায় মেতে উঠেছে। তাদেরই সহযোগী যারা ৭১ সালে আকাম-কুকাম করতে গিয়া মুক্তিযোদ্দ্বা এবং সাধারন জনতার হাতে মৃত্যু হয়েছিল সেই রকম কিছু লোকের নামকে ক্ষমতার জোরে, বে-আইনি ভাবে ইসলাম পন্থি নেতাদের সাথে জুড়ে দিয়ে তাদেরকে জুডিসিয়ারী কিলিং করার সব আয়োজন সম্পন্ন করেছে সহযোগীতায় রয়েছে শয়তানের কন্ঠ, শয়তানের আলো গংরা। তাদের মুল এজেণ্ডা ১৯৭১ সালে তারা সফল করতে পারেনাই দেশপ্রেমিক কিছু মুক্তিযোদ্দাদের কারনে। আর বর্তমানে বাধা হয়ে দাঁডিয়েছে জামায়াত নেতারা। এই জন্যে আজকের এই ট্রাইবুনাল।
যেখানে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী পিতাঃ ইউসুফ সাঈদী কে বানানো হয়েছে ৭১ সালের দেলোয়ার সিকদার পিতাঃ রসুল সিকদার।
আব্দুল কাদের মোল্লাকে বানানো হয়েছে ৭১ সালের মিরপুরের কসাই কাদের অথচ মুক্তিযুদ্দের পুরো সময় আব্দুল কাদের মোল্লা ঢ়াকাই ছিলেন না।
আরেকজন আলেম মাওলানা আবুল কালাম আজাদকে বানানো হয়েছে ৭১ সালের বাচ্চু রাজাকার।
এই রকম জালিয়াতি, জচ্চুরি এবং প্রহসন অতীতকালের জংলি রাজাদের সময়ও ঘটেছে বলে কোন ইতিহাস নেই।