![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তনিমা রোজ বসে থাকে ড্রইং রুমের সোফায় একটি টেলিফোনের অপেক্ষায়। যার সূত্র পাত ঘটে রং নাম্বার থেকে। রং নাম্বার মানেই অপরিচিত কোন আপদ কখনো বিপদ। সে ভয় কেটে গেছে তনিমার। যদিও তনিমা এখনো মাধ্যমিকের গন্ডি পেরোয়নি। একটি টেলিফোনের অপেক্ষায় ড্রইং রুমই এখন তনিমার বেডরুম। খাওয়া দাওয়া সব কিছুই এখনে সারে সে। এ নিয়ে মা যথেষ্ট বকা বকি করলেও আজমল মাহেব মেয়েকে বুঝতে চেষ্টা করে। বোঝাতেও। কারন তনিমার অপরিনত বয়সের কারনেই অজমল সাহেব এটাকে আমলে নেয়নি। তনিমা আজও বসে আছে রোজকার মত। আজমল সাহেব অফিস থেকে এস দেখে তিনিমা ড্রইং রুমে বসে আছে।
কিরে বুড়ি এখনো ঘুমোসনি ? আজমল সাহেব সামনে গিয়ে আবার পেছনে তাকায়। এখনো ভাত খাসনি নিশ্চয় ?
তনিমা কথা বলেনা। আজমল সাহেব তনিমার মাথায় হাত বুলিয়ে বলে,
তুই তো এখনো ছোটরে বুড়ি। ছোট মানুষের অত টেনশন কিসের ? চল এক সাথে খাব। তনিমা আজমল সাহেবের সাথে উঠে দাঁড়ায়। অমনি টেলিফোন আসে। দু’জন দু’জনের দিকে তাকায়। ফোনটা রিসিভ করে তনিমা। তার কোন কথা নেই। টুপচাপ শুনে আছে সে। তনিমার চোখে মুখে টেনশান। কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে যায়। আজমল সাহেবের চোখে হতাশার চাহনি। টেলিফোনের অপর প্রান্ত থেকে ভেসে আসে-
তোমার সাথে আর দেখা হলোনা। হলোনা মানে হবেনা। কথাও হবেনা। কালই আমি চলে যাচ্ছি অস্ট্রেলিয়ার ক্যানভারা ইউনিভার্সিটিতে। একটি সুন্দর স্বপ্ন নিয়ে জীবনকে গড়তে। ভেবেছিলাম হয়তো এটা নিয়তির একটি নিষ্ঠুর বৈরিতা। এমন কিছু ভেবে আবার জীবনের স্বপ্নকেও মিথ্যে করওেত চাইছিনা। মাঝে মাঝে ভাবি ,হয়তো একদিন দেখা হবে আবারো তোমার সাথে। আবারো কথা হবে। সেদিন আর তুমি ছোট্ট বন্ধুটি থাকবেনা। মনে রেখো হারানোর বেদনার চেয়ে যদি অনন্তকাল অপেক্ষায় থাকতে হয় তাও ভালো।
তনিমার মুখে কোন ভাষা নেই। চোখে হতাশার চাপ। কেঁপে কেঁপে হাত থেকে রিসিভার পড়ে যায়। আজমল সাহেব এসে তনিমাকে ধরে। তনিমা জিজ্ঞেস করে-
বাবা, অপেক্ষার আনন্দ কি ?
আজমল সাহেব অবাক চোখে তনিমার দিকে তাকায়।
২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৮
বেলায়েত হােসেন ইমন বলেছেন: ধন্যবাদ অপূর্ণ রায়হান। আপনার ভালো লাগা আমাকে কৃতজ্ঞতায় আবদ্ধ করলো। ভালো থাকুন। আপনার জন্যও শুভকামনা।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৩০
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালো লাগলো ।
শুভকামনা