নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা শুনি- যা দেখি - যা ভাবি - তা লিখতে ইচ্ছে করে ।

কিবরিয়া জাহিদ মামুন

শহুরে ফোকলোর

কিবরিয়া জাহিদ মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শহুরে ফোকলোর

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫

পুল কিতো !
আনন্দিতো !
অভি ভুতো ।
সমাহিত,
বিমোহিত,
আপ্লুত ।
আর পারিনা ।

শেরাটনের ইডুকেশন ফেয়ারে গেলাম বেশ আগের কথা । অস্ট্রেলিয়ার, আম্রিকার, বৃটেন, কানাডার বিভিন্ন ভার্সিটির প্রতিনিধিরা তাদের দেশের ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির নসিহত করছেন । একজন বল্লাম, আমার দিশি ভাই বাংগালী আর কি , জনাব - এসব দেশে এমন ছাত্র ভর্তির ফেয়ার আমাদের ঢাকা, রাজশাহী, সিলেট, চিটাগং ইউনিভার্সিটির হয় কিনা ?
তিনি আমার মুখের দিকে এমন ভাবে তাকালেন মনে হল চাপকিয়ে সব দাত ফেলে দেবেন । আমি এমন খারাপ কোন কথা বলেছি । বড় বাবু ভেবে ভয়ে ভয়ে কেটে পড়লাম । পাছে সিকিউরিটি ডেকে দু চার ঘা উওম মধ্যম বসিয়ে দেয় ।


গুলশানে যখন কামলা ছিলাম তখন প্রতিদিন গুলশান ১ নম্বরে নাভানা টাওয়ারের গেটে লেখা দেখতাম উরি ব্যাংক, আরও ইতি উতি তাকালে হাবিব ব্যাংক, স্টেট ব্যাংক অফ ইনডিয়া, । পরে উরি ব্যাংক, হাবিব ব্যাংকের খোজ নিয়ে জানলাম একটা সাউথ কোরিয়ার আর একটা পাকিস্তানের ।

ব্যাংকের এক বড় বাবুকে বল্লাম ইসলামাবাদে, সিউলে, দিল্লীতে কি আমাদের সোনালী, রুপালী, জনতা ব্যাংকের কোন ব্রান্চ আছে ? বড় বাবু আমার দিকে তাকিয়ে এমন করুনা করে হাসলেন । আমিও সাথে হাসবো কিনা একটু কাপঝাপের মধ্যে পড়ে গেলাম । কয়েকদিন আগে পত্রিকায় বিগ্গ্যাপন দেখলাম ইনডিয়ার পান্জাব ব্যাংকের ব্রান্চ ঢাকাতে নুতন ওপেন হচ্ছে । আবার যদি প্রশ্ন করি তাহলে কাপঝাপ শুরু হবে প্রশ্নের দরকার নাই ।

উপরে গামেন্টস নীচে পানের দোকান । আহ....., ডিপামেন্ট । ইস...... ডিপামেন্ট । বেইমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স (বিবিএ), ম্যালয়শিয়ান বিমান এয়ারলাইন্স (এমবিএ) এইসব ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকিতে, সমাবর্তনে বড় বড় বাবুরা বানী দেয় পত্রিকায় । আমি পত্রিকার সেইসব বানী পড়ি । সেখানে লেখা থাকে শিখ্খার বিস্তারে এই ইউনিভার্সিটি এক অনন্য নজির সাধন করেছে ।


এইরকম ভার্সিটির এক ছাত্র এসে আমাকে নরওয়ে, সুইডেন, কানাডা, আম্রিকা কোন দেশে কি করে সে এডমিশন নিতে পারবে সব জানতে চাইল । ডানে গেলে কি হবে? বামে গেলে কি হবে ? ওই দেশের নারীকে বিয়ে করলে কি হবে ? মোটামুটি আমি হেল্পলাইনের মত উওর দিলাম । ভাবলাম গ্যানি ছেলে, ইসমার্ট ছেলে । শেষ প্রশ্ন করলাম আইএলটিএস, জিআরি এগুলো আছে কি না ।
ইসমার্ট ছেলে উওরে বল্ল - আইএলটিএস, জিআরি, এগুলো কি ?

রাগে দু:খে ওকে দুটো সাদা কাগজ আর কলম ধরিয়ে দিয়ে বল্লাম এখানে একটা দরখাস্ত লেখেন । চেয়ারম্যানের কাছে নলকুপ চাহিয়া । একটা বাংলায়, একটা ইংরিজিতে । সে বলে এটা কি বললেন । আমাদের চেয়ারম্যানরা কি এত শিখ্খিত যে ইংরেজিতে দরখাস্ত বুঝবে । তাহলে বাংলায় লেখেন । তখন উওর - দেশের সব গভীর নলকুপ তো বন্ধ পানির স্তর অনেক নীচে লিখে লাভ কি ? আবার কাপঝাপের মধ্যে পড়লাম ।

একবার জাতীয় ভার্সিটিতে একটা এমন একটা দরখাস্ত ইংরিজিতে লিখে আর একজন দিয়ে এডিট করিয়ে পাঠিয়েছিলাম । কেন ইংরিজিতে দরখাস্ত লিখলাম । এটার কৈফিয়ত দিতে হবে । তাদের কে আমি মুর্খ ভেবেছি কিনা ? পরিশেষে কাশেম মানে ক্যাশ দিয়ে কাপঝাপ থেকে রখ্খা পাওয়া গিয়েছিল । আমার কাছের মানুষ বুলবুল ভাই তিনি আরও এক ডিগ্রী উপরের কাজ করেছিলেন ইংরিজিতে জিডি লিখে থানায় নিয়ে গিয়েছিলেন । পুলিশের উওর ছিল পুলিশকে এত মুর্খ ভাবলেন কি করে আপনি ? পরে বুলবুল ভাই বাংলায় জিডি নুতন করে লিখে মনে হয় সে যাত্রায় রখ্খা পেয়েছিলেন ।


রখ্খা পাওয়া যাচ্ছেনা আম্রিকান এমবেসী আর কানাডিয়ান হাইকমিশন এর কাছে । ৭০ বছর বয়স্ক ভদ্রমহিলা তার ছেলে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে পড়ে, ছেলের বউ বিশ্ব ব্যাংকে চাকুরী করে আম্রিকাতে , ভিজিট ভিসাতে ভদ্রমহিলা এপ্লাই করেছে ব্যাস রিফিউজ । একি অবস্থা কানাডিয়ান হাই কমিশনের । সেদিন রাতে গুলশান যেতে দেখি ইন্ডিয়ান কমিশনের সামনের রাস্তা অর্থাত কেএফসি, সুটিং ক্লাবের সামনে দিয়ে রাস্তাটা যেটা তেজগাও লিংক রোড ও হাতির ঝিলে মিশেছে সেটা বন্ধ ।


এখন তো মনে হচ্ছে আম্রিকান এমবেসী, কানাডিয়ান হাইকমিশন এরা পাশাপাশি । এদের সামনে দিয়ে হেটে যেতে গেলে কি আবার কাপঝাপে পড়বো কিনা ? তাদের ওয়েবসাইটে লেখা এই দুদেশের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুবি ভাল । সব সম্ভবের বাংলাদেশ কে, মানুষ কে তাদের চিন্তাকে অনেক সন্মান করে । আহ....., ডিপামেন্ট । ইস...... ডিপামেন্ট, ইউনিভার্সিটির সমাবর্তনের মত চমতকার বানী । কিন্তু জিডি ইংলিশে লিখলে ভুল ধরে । কি এক কাপঝাপের মধ্যে পড়লাম ।
ইকবাল রোড, মোহাম্মদপুর ।
৩১/০১/২০১৬
ইকবাল রোড, ঢাকা
www.sedonabd.com

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.