নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা শুনি- যা দেখি - যা ভাবি - তা লিখতে ইচ্ছে করে ।

কিবরিয়া জাহিদ মামুন

শহুরে ফোকলোর

কিবরিয়া জাহিদ মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জয়নালের পেছনের গল্প ২

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:১৫

একদিন নুড়ির সাথে মফিদুল দেখা করে বল্ল চিঠি লিখবার জন্য ধন্যবাদ । নুড়ি বল্ল কোন চিঠি ? মফিদুল বল্ল জয়নাল তোমার একটা চিঠি আমাকে দিয়েছে । নুড়ি বল্ল আমি আপনাকে কোন চিঠি লিখিনি, বা লেখার ইচ্ছাও নেই । মফিদুল কোন কথা না বাড়িয়ে সোজা উল্টো হাটাা শুরু করেছিল । বেশকিছুদিন নুড়ির নাম মুখে পর্যন্ত নেয়নি । প্রায় মাস ছয়েক পরে একদিন নুরি দেখা করতে এসেছিল । সেই শুরু ।

নুড়ি ইন্টারমেডিয়েট শেষ করে কোচিং করতে গেল । মফিদুল কে ডিগ্রী পাশ করে একটা এনজিওর চাকুরী নিতে হল । ছুটিতে মফিদুল নুড়ি কে ছাত্রী হোস্টেল থেকে ডেকে নিয়ে সারা শহর টো টো করে রিকশায় ঘুরত । দুপুরে একসাথে খেত । বেশ চলছিল জীবন । হঠাত একদিন নুড়ির বাসায় ধরা পড়ল মফিদুলের সাথে সম্পর্ক । নুড়িকে তার বাবা মা বল্ল ও যে চাকুরী করে তার চেয়ে ট্রাক ড্রাইভারের বেতন বেশি । নুড়ির মা নুড়িকে মাথার দিব্বি দিল । সম্পর্কটাকে শেষ করবার জন্য । এরপর থেকে নুড়ি কেমন যেন বদলে গেল ।

হোষ্টেলে গিয়ে মফিদুল কল দিলে নুড়ি আর বের হতনা । বিফল মনোরথ হয়ে মফিদুল ফিরে আসত হোস্টেল থেকে । একদিন মফিদুল ওর অফিসের ঠিকানায় নুড়ির একটা চিঠি পেল । চিঠিতে নুুড়ি যা লেখার লিখেছে । মফিদুল চিঠি পড়ে নুড়ির না আসবার কারন টা জানল । নুড়ি সম্পর্কের ইতি টেনেছে । শুধু মফিদুল মনে মনে বলেছিল ধরে বেধে তো আর পীড়িত হয়না । আর ঘষে মেজে রুপ হয়না ।

সময় চলে গেল তার নিজের নিয়মে । কত সময় গেল তা আর হিসেব করার সময় হয়নি । মফিদুল চাকুরী ইস্তফা দিয়ে মাস্টার্স করার জন্য ঢাকাতে পাড়ি দিল । নুড়ি রাজশাহী ইউনিভার্সিটিতে অনার্সে ভর্তি হল । একবার কি কাজে মফিদুল রাজশাহী গিয়েছিল । গিয়ে উঠেছিল জোহা হলে বন্ধু সাগরের রুমে । সাগর তখন জানিয়েছিল তোর নুড়ি ডার্লিং হেভি হ্যান্ডসাম ছেলের সাথে চুটিয়ে প্রেম করছে । মান্নাফের মোড়ে সাগরের যে বন্ধু মেসে থাকে সেই মেসে নুড়ি ডেটিং করতে যায় । দোস্ত নুড়ির আশা ছেড়ে দাও । মফিদুল উওরে বলেছিল সে আশা তো কবেই ছেড়েছি ।

তারপর আরও কত সময় গড়িয়ে গেছে । নুড়ির সেই হ্যান্ডসাম ছেলের সাথেই বিয়ে হয়েছে । সংসার হয়েছে । ফুটফুটে একটা মেয়ে হয়েছে । নুড়ি ঢাকায় থাকে । ঈদ পুজাতে জামাইয়ের গাড়ী নিয়ে বাড়ী যায় । মফিদুল এমন খবর কখনো জানতে চায়নি । কিন্তু গায়ে পড়ে মফিদুলের অনেক বন্ধুরা মফিদুল কে এমন খবর দিয়েছে ।


রিকশায় সোহেল ভাই মফিদুল কে বল্ল মফিদুল সাহেব তুমি একটু অন্যমনস্ক হলে মনে হয় । মফিদুল বল্ল না ভাই । আমি অফিসের তার টানার কথা ভাবছিলাম । পাচটা লাইন যাবে একটা বিল্ডিং এ । কি কেরে সেটাকে নেব । জয়নাল কে দেখে আজ বহুদিন পর নুড়ির কথা মনে হল কেমন আছে নুড়ি ? ভাল থাকলেই ভাল । যে ছেলে ডিশের কেবল টানার কাজ করে তাকে দিয়ে তো আর বিয়ে হতনা । এ জীবনে বিয়ে করাও ঠিক হতনা । এমন অভাবের মাঝে নুড়িকে না ফেলে বরং ভালই হয়েছে ।

সোহেল ভাই বিদায় নিয়ে বাসায় যাবার আগে বল্ল অফিস যেদিন ফৃ থাকে আমাকে একটা ফোন দিও । একটু জরুরী বাতচিত করতে হবে ।

সোহেল ভাই এর সাথে মফিদুল কে পরিচয় করে দিয়েছিল বাবু । সেই বাবুর সাথে এখন সোহেল ভাই আর কোন যোগাযোগ নেই বলা যায় । কিন্তু মফিদুলের সাথে সোহেল ভাইয়ের অন্তত সপ্তাহে দুদিন দেখা হবেই । শুক্রবারে সোহেল ভাই নিজেই এল । মফিুদলের ফেমাস ডিশ অফিসের নীচে । মফিদুল আর দুই লাইনম্যান অফিসেই থাকত । মফিদুল নীচে নেমে এল । সোহেল ভাই জানাল সে আর তার আর এক ফ্রেন্ড সাইয়েদ ভাই মিলে একটা ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা দেবে । সাইেয়েদ ভাই কোন একটা হাইকমিশনে কাজ করত । চাকুরী ছেড়ে দিয়েছে । এখন নিজেই একটা ভিসা এবং এয়ার টিকেটিং অফিস দিতে চান । অফিস লোকেশন দেখা শেষ এখন এডভ্যান্স আর অফিস ডেকোরেশন করা বাকী । একজন বিশ্বস্ত মানুষ দরকার ম্যানেজার হিসেবে । সোহেল ভাই বল্ল তুমি ওই অফিসেও থাকতে পারবা । আমি অফিস লোকেশন দেখছি ।

চলবে

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.