নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা শুনি- যা দেখি - যা ভাবি - তা লিখতে ইচ্ছে করে ।

কিবরিয়া জাহিদ মামুন

শহুরে ফোকলোর

কিবরিয়া জাহিদ মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শহুরে ফোকলোর

১৪ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৫৭

ঢাকার বাসার লিফটে নামবার সময় এক প্রতিবেশি জানাল তার ভাগ্নির কানাডা আসবার কথা । টরোন্টো পিয়ারসন এয়ারপোর্ট থেকে বাইরে আসবা মাত্র তার ভাগ্নির পায়ের আংগুল ফেটে রক্ত পড়া শুরু করেছিল ।
বল্লাম কেন ?
উওরে বললেন কেন মানে ? ঠান্ডার ঠেলায় । আর আপনারা তো যাবেন ঠান্ডার ভিতরেই । কলিজাটা হুক হুক করে উঠল । আংগুল ফাটার কথা শুনে । আমরা না হয় যেমনে হোক ঠান্ডা সামলাতে পারবো কিন্তু চার বছরের মেয়েটার কি হবে ? যদি এমন আংগুল ফেটে যায় ? কল্পনায় আকতে লাগলাম বরফে আচ্ছাদিত একটা এয়ারপোর্ট । সেখান বের থেকে বাইরে বের হওয়া মাত্র মেয়ে পায়ে হাত দিয়ে বসে পড়েছে ।

ফ্লাই করবার আগে সবার এমন ঠান্ডার গল্প শুনে ডিসিশন নিলাম প্লেনে হাত ব্যাগে শুধু শীতের কাপড় থাকবে সাথে মেয়ের বরফের জুতা যাতে করে আংগুল ফেটে না যায় । আর কিছু না । বরফের জুতা কেনা হয়েছিল বসুন্ধরার মোস্তফা মার্ট থেকে ।
অাসবার আগে ঢাকা থেকে কানাডার দু একজনের সাথে কথা হয়েছে । অনেক বিষদ কথা বলবার সুযোগ হয় নাই । ফেসবুকের কানাডার একটা গ্রপে জয়েন রিকোয়েস্ট দিলাম । একসেফট করেনা । পরে তাদের মেইল দিলাম । সেটারো উওর নেই । কি আর করা । শুধু ভাবলাম প্লেন তো আর আমাদের নিয়ে একা যাবেনা । আরও যাত্রী থাকবে । সবার যা হবে আমাদেরও তাই হবে ।
“সবার যা হবে আমাদেরও তাই হবে” মনে হতেই মনোয়ারের কথা মনে হল ।

ঢাকা কলেজে মাস্টার্সের পড়বার সময়ের বন্ধু মনোয়ার । আমরা মনোয়ার কে ডাকতাম কনস্টেবল জানোয়ার বলে । কনস্টেবল জানোয়ার ডাকলে সে মাইন্ড করত না । উওর দিত । মনোয়ার পুলিশের কনষ্টেবল ছিল । শাহবাগে পুলিশের ট্রিপল নাইনে কাজ করত । ডিউটির ফাকে এসে ক্লাশ করত । টেলিফোনের ডিউটির কারনে চুল সামান্য বড় ছিল যেটাতে পুলিশ মনে হতনা । আমার সাথেই সখ্যতা বেশি হয়েছিল মনোয়ারের । ঠাডা পড়া রোদের দুপুরে মনোয়ার কে বলতাম কনস্টেবল জানোয়ার তোমার পকেটে কত টাকা আছে ? মনোয়ার উওর দিত সাড়ে বত্রিশ টাকা । আমি বলতাম আমারো আছে ত্রিশ টাকা । তাহলে চল নীলখেত মারি । মনোয়ার উওর দিত চল ।

নীলখেতের চিপার হোটেল সালাদিয়াতে বিশটাকায় সাদা ভাত, এক পিছ ফরেন চিকেন, আলু ভর্তা ও ডাল দিয়ে পেট ভরে ভাত খেয়ে নেভী সিগারেট টানতে টানতে ক্যাম্পাসে ফিরতাম । ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারের নীচে বসে মনোয়ার বলত হুুন আমি তখন পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে । রেগুলার রাতের খাবারে মাংসর পিছ ছোট থাকত । একদিন কুক রে কইলাম এই মিয়া ছোট মাংসর পিছ দ্যান কিয়ামতের দিন কি জবাব দেবেন ?

কুক উওর দিল বেডা তোর মত কত সিপাইরে এই হাতে খাওয়াইলাম কেউ কোনদিন কইল না । তুই কইলি । ব্যাডা কিয়ামতের দিন আমার মত মাংস কম দেয়া কুকের আলাদা লাইন হইবো । আমি কি সবার প্রথমে থাকমু । আমার আগেও মেলা কুক থাকবো । বৃটিশ আমলের কুক, পাকিস্তান আমলের কুক, বাংলাদেশ আমলের আমার সিনিয়র কুক । তারা যা উওর দিব আমিও তাই দিমু । সবার যা বিচার হইবো আমারো তাই হইবো । মনোয়ারের এমন গল্পে হো হো করে হাসতাম । মনোয়ার এক নাগাড়ে এমন গল্প বলেই যেত । মনে হত সে বিচ্ছিন্ন কোন দ্বীপের গল্প বলছে ।

আর একবার ট্রেনিং সেন্টারে আমগোরে রাত দুইটার সময় বাশি দিয়া নীচে আইতে কইল । আমি আর ছয় সাতজন আইলাম । আসা মাত্র হাওলদারজি কইল তোমাগো কার কার রক্তের গ্রপ এ পজেটিভ ? আমি সহ তিনজন হাত উঠাইল । হাওলদারজি কয় গাড়ীতে প্যাকেট হও । রক্ত দেওন লাগবো এসপি সাহেবের বউরে । রক্ত দেওয়ার কথা শুইন্ন্যা প্রথমজন কয় আমি কিছুদুর দৌড়াইলে চোখে অন্ধকার দেখি । দ্বিতীয় জন কইল আমার শরীর খুব দুব্বল । তৃতীয় জন কয় বইসা উঠলে আমি জোনাকী পোকা দেখি । আমার পালা আমি কইলাম সেম কেস । হাওলদারজি কয় সেম কেস মানে ? আমি কইলাম সেম কেচ মানে হ্যাতারা দিতনা তাই আমিও দিতাম না ।

শেষবার মনোয়ারের সাথে দেখা হয়েছিল তখন মনোয়ার পুলিশের চাকুরীতে ইস্তফা দিয়ে একটা প্রাইভেট ব্যাংকের ক্যাশ অফিসার হিসেবে যোগদান করেছে । সময়ের ফেরে নেভীর বদলে বেনসন সিগারেটে টান দিয়ে মনোয়ার বলে সেই ২০ টাকায় ভাত, ফরেন চিকেন, ডাল, আলু ভর্তা, নেভী সিগারেট খাওয়া দিনগুলাই কি ভাল ছিল ? নাকি এখন । পরিবার পরিজন নিয়া চলছি । ভাল একটু রুটি রুজির সন্ধান পাইছি । নাকি আবার পনের বছর পর এই পরিবার পরিজন নিয়া রুটি রুজি কইরা খাইতাছি এইটারে ভাল কমু ?

মনোয়ারের কথার শেষ উওর আমার জানা ছিলনা । মনোয়ার টিমটিমে নিয়ন আলোতে মিলিয়ে গেল । শেষ কথাটা কানে বাজতে লাগল । জিয়াউদ্দানের এক আংকেল সেও এমন কথা বলেছিল । তার দাদা বৃটিশ পিরিয়ডের জন্য কাদত । বাংলাদেশ হলে সে পাকিস্তান পিরিয়ডের জন্য কাদত । আইয়ুব খানের জন্য কাদত । পুরাতন বোধহয় এম্নি । মহিরুহ কে বাচিয়ে রাখবার জন্য । শেকড়ের মত জড়িয়ে যায় । ইট, পাথর, শেওলা ধরা প্রাচীর, এ যেমন করে জড়িয়ে যায় । সহজে ছেড়েনা ।

বারান্দায় দাড়িয়ে তামাক জ্বালিয়ে একা একাই হাসছিলাম মনোয়ারের পুরাতন গল্পের কথা মনে করে । সব পুরাতন যেন স্মৃতি যেন এক এক করে হাজির হচ্ছে । একবার বিটিভির আনন্দমেলাতে এক আলোচক কে উপস্থাপক জিগ্গেস করলেন জীবনের এই পৌঢ় বয়সে এসে কি ফেরত চান ? আলোচক উওর দিলেন ফেরত চাই শৈশব । যদি আবার শৈশবে ফিরতে পারতাম । সেই ছোট্ট বয়সে আলোচক কে আমার ঢিল মারার ইচ্ছা জেগেছিল । মনে হয়েছিল সামনে পেলে মাথা বরাবর একটা ঢিল ছুড়তাম । আমি চাচ্ছি বড় হতে আর সে শৈশবে ফেরত যেতে চায় । আজ শৈশব হারিয়ে বুঝি সেটার কি মানে ।

ক্লাশ সিকচ বা সেভেন এ পড়ি । পাশের বাসার বন্ধু মানসের দাদা আমাকে দেখলে ডাকত আন্ডা বলে । একদির রাস্তায় দেখা হলে বল্ল এ আন্ডা এদিক আয় । গল্প শুনবি । বল্লাম বলেন । শোন আমার বয়স যখন তোর মত সেসময় একদিন পাকিস্তান পুলিশের এক হাবিলদার বল্ল বেটা ইয়ে দিন নেহি রেহেগা । তখন আমি মানে বুঝি নাই । এখন বুঝি । তুইও আমার এই কথার মর্ম বুঝবি নারে আন্ডা । যখন বুঝবি তখন আর ফেরার সময় থাকবেনা । আজও সেই রোদেলা সকালটার কথা মনে পড়ে । মনে হয় এই তো সেদিনের কথা । চোখ বন্ধ করে ফেরা যায় সেই দিনে । কিন্তু চোখ খুললে বর্তমান । আজব এক সমিখ্খন । হয়তোবা সামনেরটা দেখতে পাইনা বলে ।
এই বারান্দার গ্রিলের ভেতর দিয়ে সামনের গার্মেন্টসটা দেখা যেত । আজ এই বারান্দাতে শেষ দিন । এই বাসার সবচেয়ে প্রিয় জায়গা ছিল বারান্দাটা । রাত বিরাতে ঘুম ভাংলে এখানে এসে সিগারেট খেতাম । সামনে গার্মেন্টস ছিল । গভীর রাত অবধি দেখতাম ছেলেমেয়েরা কাজ করত । মেশিনের শব্দ হত । নামাজের ওয়াক্ত হলে একজন মুয়াজ্জিন হয়ে খালি গলায় আজান দিত । অনেকেই ছাদে এসে জামাতে নামাজ পড়ত । দুপুরের খাবার সবাই ছাদে এসে খেত । খাওয়া শেষে ছাড়া ভাত ফেলে দিত সামনের টিনের চালে । কাক, কবুতর, শালিক, চুুড়ুই পাখিরা মজা করে খেত । হঠাত একদিন গার্মেন্টসটা বন্ধ হয়ে গেল । গার্মেন্টসের ছেলেমেয়ে গুলো কোথায় যেন হারিয়ে গেল । সাথে পাখি গুলো্ ।

গার্মেন্টসটার সামনে দুএকদিন ব্যানার হাতে দাড়িয়ে শ্লোগান দিল । আর একদিন বিজিএমই ভবনের সামনে দিয়ে যাবার সময় ওদেরকেই দেখলাম ব্যানার হাতে । গার্মেন্টেসের সামনের দোকানটাতে মাঝে মাঝে চা খেতাম । সেই দোকানদার জানাল বকেয়ার টাকা পাইয়া সব্বাই আইয়া বাকীর টেহা মিটায় দিয়া গেছে গা । কই গেছে গা কইতে পারিনা । দোকানদার মামার শেষ কথাটা কানে পুনরাবৃত্তি হতে লাগল বাকীর টেহা । কত বাকীর টেহা কত বাবুরা তসরুপ করে বুক ফুলিয়ে হাটে । আর মনে হল সাত বছরের দেখা কোলাহল এক নিমিষেই বিলীন । হারিয়ে যাওয়া সভ্যতার মত ।

এই বারান্দা থেকে নিয়মিত প্লেনের চলে যাওয়া দেখতাম । আর ভাবতাম, প্লেনের সিটে বসলে জানালা দিয়ে এই বারান্দাটা শেষবারের মত চোখে পড়বে কি? প্লেনে চড়বার পর কত আলো আধারী চোখে পড়ল শুধু আমার সেই বারান্দাটা বাদে । বারান্দাটা হয়ে গেল মনোয়ারের দীর্ঘশ্বাসের মত । মানসের দাদার বলা সেই রোদেলা সকালের মত । আনন্দমেলার আলোচকের ফিরতে চাওয়া শৈশবের মত ।

বিমানটা হঠাত লোকাল গাড়ীর মত ঝন ঝন করে কাপতেই ভাবনার রেশ কাটল । বেশ ভয় পেলাম । দোয়া ইউনুস পড়া শুরু করলাম । পাইলট বল্লেন আমরা এখন মিয়ানমারের আকাশসীমাতে । এখানকার অাবহাওয়া খারাপ । সিট ব্যাক টিভিতে মিয়ানমারের ম্যাপ দেখছিলাম । মনে হচ্ছিল কেন তাড়াতাড়ি শেষ হয়না মিয়ানমারের আকাশ সীমা । রোহিংগা দিয়ে জ্বালাইয়া এবার প্লেনেও জ্বালাচ্ছে বেটারা । আবার মনে হল যদি ম্যালয়শিয়ান এয়ারের মত কেউ নীচে থেকে আমাদের প্লেনটাকে ভুপাতিত করার চেষ্টা করে । কোন রোহিংগা রিবেল গ্রুপ । সারা পৃথিবীর এটেনশন নেবার জন্য । ভয় আর যায়না ।

শেষবার এমন কাপা দেখেছিলাম আটবছর আগে দিল্লী এয়ারপোর্টে । পরে জেনেছিলাম দিল্লী এয়ারপোর্টে ল্যান্ডিং এর সময় এমন টারবুলেন্স অনেক পুরনো । যাহোক মনের ভয় কেটে গেল । প্লেন স্বাভাবিক হল ।
কেবল চোখে ঘুমটা লাগল পাইলট ঘোষনা দিলেন আমরা হংকং নামবো । হংকং এয়ারপোর্ট নিয়ে ডকুমন্টোরী দেখেছিলাম । কি করে সাগরে এয়ারপোর্ট বানিয়েছে । মেগা ষ্ট্রাকচারের মধ্যে এটি একটি । নামার পরই এয়ারপোর্টের মহিলা এমপ্লয়ী বুকে সিল মেরে দিল । দেখি পার্সপোর্ট । অবগ্যার সুরে বল্ল ও বাংলাদেশী । আরও দুটা সিল বেশি করে মারল । সবাই বোর্ডিং পাস নিয়ে চলে যাচ্ছে । আমরা একজন কে রিকোয়েকস্ট করে বল্লাম একটু বাথরুমে যাব । সন্দেহের চোখ ভাগি কিনা । পারমিশান দিল । বাথরুম এক ইতিহাস । টয়লেট পেপার আছে কিন্তু কোন অতিরিক্ত পানির লাইন নেই । অর্থাত পানি ছাড়া টিসু পেপার দিয়ে পশ্চাতদেশ মুছতে হবে । যস্যিন দেশে যদাচার । মেনেই নিতে হল ।

পরে ওয়েটিং লাউন্জে নাশতা সেরে চলে গেলাম নির্ধারিত গেটে । আর পুরো এয়ারপোর্ট দেখতে লাগলাম । মজার বিষয় হলো পুরুষ কর্মীর চেয়ে মহিলা কর্মী অনেক বেশি । এয়ারপোর্ট টা দেখে হিংসা হল । ডিজনী শপ. সারা পৃথিবীর ফুড চেইন । আর আমাদের ভিআইপি লাউন্জে মশা মারতে হয় । এরাইভাল, ল্যান্ডেড লেখা মনিটর গুলো নষ্ট । সারা পৃথিবী পারে আমরা পারিনা । আমরা সাদ হুযুর নিয়া ব্যস্ত । মোনাজাত কি হ্যাতে করাইবো না শফি হুযুর করাইবো ।

ছয় ঘন্টার যাত্রা বিরতি হংকং এ । পকেটে সিগারেট ছিল । স্মোকিং জোনের বাইরে সিগারেট জ্বালালে লেখা ৫০ হাজার হংকং ডলার জরিমানা । এক কাপ কফি কিনে স্মোকিং জোনে গিয়ে সিগারেট জ্বালালাম । বাথরুমের পশ্চাদদেশ মোছার কথা মনে হতেই ছোট্টবেলার বন্ধু মতির কথা মনে হল ।
মতি নানাবাড়ীতে গরু চড়াত । ডিসেম্বর মাস বার্ষিক পরীখ্খা শেষ হলে আমার মতির সাথে দেখা হত । মতির জোড়া ভ্রু ছিল । গায়ে থাকত সোয়েটার, গলায় মাফলার । সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে মতি খড় দিয়ে আগুন জ্বালাত যেটাকে গ্রামে পোড় বলে । পোড়ের কাছে মতি নিয়ে আসত খেজুরের রস । খেজুরের রস খেয়ে হাত বাড়িয়ে আগুন তাপাত আর মাড়ি কাপাতো । মাঝে মাঝে মুখে বলত হাইরে হ্যাল (শীত) পড়চে রে ।

একটু বেলা বাড়লে মতি গরু নিয়ে চলে যেত সানচড়ার পাথারে । সানচড়াতে গরু গুলোকে ছেড়ে দেয়া হত । বেলা দশটার দিকে মতি ফিরে আসত ভাত খেতে । ভাত খেয়ে আবার সানচড়া । মতির এই রুটিনে ডিসেম্বর জানুয়ারীতে আমি যোগ দিতাম ।
মতির জীবন দেখে আমার খুব হিংসে হত । ইস - মতির কোন পড়াশুনা নাই । বার বার মনে হত আমি যদি মতির মত রাখাল হতে পারতাম । কোনদিন মতি আর আমি মিলে মামার ইট ভাটাতে সকালে ইট বানানো দেখতে যেতাম । কাঠের ফর্মাতে কাদা ঢুকিয়ে সেটাকে কি করে ইটের অাকৃতি দেয়া হয় ।

মতির কমন একটা গালি ছিল হ্যার হে নাউয়াই । নাউয়াই এর আভিধানিক মানে অাজে জানা হয়নি । মতির সাথে আমার আরও বন্ধু ছিল ধলা বাবু, জাবেদ আলী, মান্নান, ইয়াসিন, চেংটু ।
রাতের আধারে গোসান জার্নির বৃজে ডাকাতি হলে কুয়াশাভেজা ভোরে আমি মতি ছুটতাম ঘটনা স্থল দেখতে । বৃজের নীচে দেখতাম পড়ে আছে ডাকাতদের ফেলে যাওয়া পাউরুটির টুকরা, কলার ছাল, লাঠি । বেলা হলে মতির আর আমার বৃজের নীচে এই দেখার গল্প সবাই ঘিরে ধরে শুনত ।

মাঝে মাঝে মতি কানে কানে বলত ডিম সিদ্ধ খাবু ? মুই একটা রাজহাসের ডিম কুড়া পাছো ? সিদ্ধ ধানের পাতিলে ডিম ঢুকিয়ে দেয়া হত । আবার খুরমা ওয়ালা কটকটি ওয়ালা এলে বলত খাবু ? তাহালে তোর নানীর ঘরত থাকা ধান চুরি করে আন । ব্যাস । কথা অনুযায়ী কাজ । চুরি করা ধানের কটকটি খুরমা কালি তোলার বাশের আড়াতে গিয়ে বসে বসে খাওয়া হত । সবার চোখের আড়ালে ।
দুপুরে সানচড়ার পাশের নদীতে হাফ প্যান্টটা নদীর পাড়ে রেখে গোসলে নামতাম সবাই মিলে । গোসল শেষে দুপুরের খাওয়া শেষ করে আবার সানচড়া । বিকেলে গরু নিয়ে বাড়ী ।

একবার আমার এক নানার মা মারা গেল । দাফন শেষে সবাই দোয়া পড়ার পর হুযুর মোনাজাত ধরেছে । এমন সময় একটু দুরের রাস্তা দিয়ে একটা ছোট ট্রাক থেকে কিছু কার্টুন উড়ে রাস্তায় পড়ল । জানাজার নামাজের দোয়া ছেড়ে অনেকেই দৌড় সেই সেই কার্টুন নেবার জন্য । হঠাত পাশে তাকাতেই দেখি মতিও সেই দলে । হুযুর মোনাজাত শেষ করে বললেন এদের চাবগানো উচিত । এতবড় বেহায়া লোকজন । মরার মোনাজাত ছেড়ে দৌড়ায় । মতি ফিরে এলে বল্লাম কি পেলি ? মতি বল্ল পাচিনু ফাইভ ফাইভ সিগারেটের কার্টুন । ডাইভর কান্দন শুরু করল তাই আর নিনুনা ।

আর একবার মতি আর আমি মিলে অাবিস্কার করলাম মামার ইট ভাটার পাশে সদ্য জন্মানো এক মৃত শিশু কে বা কারা ফেলে রেখে চলে গেছে । একটা বাশের কন্চি জাতীয় কিছু দিয়ে মৃত বাচ্চার মুখ বের করলাম আমি আর মতি । সাথে গ্রামের এক দংগল ছেলে মেয়ের দল ।
যখন ফিরে এলাম নানাবাড়ী । নানীর স্টিক অর্ডার ওরা যেন বাড়ীতে না ঢোকে । বাড়ীতে ঢুকতে হলে স্যাভলন, সাবান দিয়ে গা ধুয়ে তারপর ঢুকতে হবে । যাহা ফরমান মানতেই হবে । না হলে দুপুরের ভাত বন্ধ । ফরমান মত আমি মতি নদী থেকে গোসল সেরে আসবার পর আবার নানা বাড়ীর কুয়ার পানি দিয়ে স্যাভলন দিয়ে গোসল করবার পর ভাত দেয়া হল ।

মাঝে মাঝে সানচড়াতে মতি প্রাকৃতিক কম্ম সেরে ফেলত । সদ্য হাল দেয়া খোলা জমির ভিতরে । দুর থেকে বলা হত মতি কি করিস মতি বলত জমিত সার দেও নাউয়াই ।
পানি নিবুনস মতি ?
মতি উওর দিত হ্যার হে ঢেল আছেনা । পানি না থাকলে কি করবু কাম সারবা নস ।
হংকং এয়ারপোর্টে এমন করে মতিকে মনে পড়বে । কে জানত । ত্রিশ বছর আগের মতি । কোথায় আছে ? কেমন আছে ? বেচে আছে না মরে গেছে কিছ্ছু জানিনা । মতিরা হারিয়ে যায় । এমন করেই । মতিরা জানেনা ওরাও ফেরে দেশ কাল ভেদে । ইতিহাস হয়ে, গল্প হয়ে । মতি তো আর চার্চিল নয় ইতিহাস তৈরি করবে । দুটো সিগারেট শেষ করলাম । এমন ভাবনা চিন্তার মাঝে । কেননা আগামী ১৫ ঘন্টা নো স্মোকিং ।

পরের প্লেনে চড়ে বসলাম । হংকং এ বোর্ডি পাসে পাশাপাশি সিট হয়নি । আমি আর মেয়ে পাশাপাশি । জানালার দিকে । বউ তিন সিট সামনে । পাশের ভদ্রলোক, ভদ্রমহিলার জন্য অপেখ্খা । যদি যেতে রাজী না হয় বউ এর সিটে । বউ এর সিট দুজনের মাঝখানে। কারন আমার পাশের সিট আইলের উপরে । আইলের উপরের সিট সহজে কেউ ছাড়েনা ।
ভদ্র তরুন হংকং এর বাট বৃটিশ সিটিজেন । তিনি এলেন । টরেন্টটোতে ইয়র্ক ইউনিভাসির্টির ছাত্র । শেষ এমন অনুরোধ কাকে করেছিলাম জানিনা । তরুন রাজী হল বউ এর সিটে যেতে । বল্ল বিমান উপরে উঠুক আমি চলে যাব । আল্লাহ ভাল করুক সেই তরুনের টরোন্টো এয়ারপোর্টে নেমে ধন্যবাদ জানানোর জন্য খুজেছিলাম পাইনি ।

জার্নি শেষ হয়না । সাউথ কোরিয়া, জাপান, এলাসকার আকাশসীমা স্পর্শ করে কানাডা ইন করলাম । পিয়ারসন টরোন্ট এয়ারপোর্ট নামবার আগে বিমান থেকে ফাটা বরফ দেখে কলিজা ফাটার উপক্রম । মনে পড়ল প্রতিবেশির ভাগ্নীর আংগুল ফাটার কথা । প্লেনের ভিতরেই মেয়েকে বরফের জুতা পড়ানো হল । চেক ইনের লাইনে শত শত চাইনিজ আর ইন্ডিয়ান । চেক ইন করতে প্রায় এক দেড় দুই ঘন্টা চলে গেল । বরফের জুতা পড়ে মেয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাটছে । আমাদের মত নরমাল জুতা পড়ালে কোন সমস্যা হতনা । থার্মাল ফুলহাতা টিশার্ট, তার উপর সোয়েটার, তার উপর মাইনাস ডিগ্রীতে পড়া জ্যাকেটের ভিতর দিয়ে পিঠে হাত দিয়ে দেখি ঘামে চিপ চিপ করছে । শুধু থার্মাল টিশার্টের উপর জ্যাকেট হলেই চলত ।

হঠাত মনে হল ব্যাগের কথা । ব্যাগ কি সব গুলো আছে ? দুটা একটা ব্যাগ তো নাই হয়ে যাবার কথা । বা ব্যাগের ভিতরের জিনিস । না কিছুই নাই হয়নি সুন্দর ভাবে হুইল থেকে ছয়টা ব্যাগ আলাদা করে রাখা । একজিট গেটের দিকে আগাতে মনে হল এদের আবার আমাদের মত ট্যাকসি ধর্মঘট বিষয়ক কিছু নাইতো ? তাহলে তো আর এক বিপদ হবে ।

অর্ধেক লাগেজ আমি নিলাম সাথে মেয়ে অর্ধেক লাগেজ বউ এর হাতে । একজিট গেটের দিকে এগিয়ে গিয়ে দাড়ালাম । আমি মেয়ে সহ । বউ বাইরে গিয়ে ট্যাকসি ভ্যান ঠিক করল । নাহ ধর্মঘট নাই । ট্যাকসি পাওয়া গেছে ।
বাইরে আসতেই মাইনাস ১৫ বা ২০ ডিগ্রীর ধাক্কা । কোন আংগুল ফাটল না । ওই ধাক্কাটাই যা । মেয়েকে কোলে করে দৌড় দিয়ে ট্যাকসিতে উঠলাম । ট্যাকসিতে উঠবার পর ভয় । যদি অন্য কোনদিকে নিয়ে পশ্চাতদেশে দুটা বারি মেরে সব ডলার পাসপোর্ট কেড়ে নেয় ।

খ্রিষ্টান দ্যাশ ইমান নাই, আমল নাই, সুন্নত, হাকিকত, তরিকত, মাজহাব, কলেমা, নবী, খলিফা, ইমানে মোজাম্মেল, মোফাছ্ছেল, দরুদ শরীফ, তাহাজ্জুদ, পান্জেগানা নামাজ, কালাম, শবে বরাত, শবে কদর, শবে মিরাজ কিচ্ছু নাই । ছোট কাম, বড় কাম করে পানি নেয়না । বিশ্বাস করি কেমনে ? এই ঠান্ডায় এক বারীতেই তো কাইত হয়ে যাব । পরিবার পরিজন নিয়া কি হবে ? আবার দোয়া ইউনুস পড়তে লাগলাম । আর আড় চোখে দেখতে লাগলাম ড্রাইভারের দিকে । ঠিক দিকে নিয়ে যাচ্ছে তো ? আসলে ঠিক কোনটা নিজেও তো জানিনা ।
নাহ, টরোন্টোর হিলটন চেইনেই নিয়ে গেল । হোটেলের সামনে গিয়ে দাড়াল । নিজেই ব্যাগ নামিয়ে দিল । দু ডলার বেশি টিপস দিতেই ভিষন খুশি হল । আমাদের মত মিটারের চেয়ে বেশি ভাড়া নিলনা । বেশ অবাক হলাম । বুকের কাপঝাপ কমলো ।
হোাটেল রিসেপশনে বুকিং ডট কমে হোটেল বুকিং এর কপি দিলাম । আইডি হিসেবে সবার পার্সপোর্ট ফটোকপি করল । রুম নাম্বার, কার্ড সব দিল । মজার বিষয় হল এরা কোন ক্যাশ নেয় না । ঢাকা থেকে আনা ক্রেডিট কার্ডে পেমেন্ট নিল । স্টিলের লাগেজ কার্ট আছে কিন্তু কোন বেল বয় নাই । ইতি উতি তাকিয়ে সব লাগেজ নিয়ে লিফটের সুইচে চাপ দিতেই শক খেলাম । পরে বিষয়টা আবিস্কার করলাম । বাইরে থেকে ঠান্ডা হাত ঘরের ভিতরের যেটাতে লাগবে সেটাতেই শক খেতে হয় । হোটেলের জানালা দিয়ে বাইরের সব সাদাকালো টেলিভিশনের ছবির মত মনে হল । বরফের কারনে । একটু দুরেই চোখে পড়ল বুনোহাসের ঝাক ।

পরের দিন রওনা দিলাম সেন্ট ক্যাথেরিন ফোর পয়েন্ট শেরাটন । টরোন্টটো থেকে সেন্ট ক্যাথারিন প্রায় এক ঘন্টা বিশ মিনিটের রাস্তা । প্রায় বিশ লেনের রাস্তা । পৃথিবীর সবচেয়ে পুরাতন যোগাযোগ ব্যবস্থা রাস্তা, সেটা যে কত জরুরী বিষয় সেটা বোঝা গেল এই দেশে এসে আরও বেশি । সব উন্নত দেশে রাস্তা সবার আগে । এটা ব্যাংকক বুঝল, ম্যালশিয়া বুঝল, সিংগাপুর বুঝল, ইনডিয়া বুঝল খালি বাংলাদেশ বাদে ।


ট্যাকসি ক্যাবের ভয়টা কমেছে । সাইডে ভুল রাস্তায় নিয়ে গিয়ে সব কেড়ে নেবার । ড্রাইভার কে বল্লাম হিটিং সিসটেম টা বন্ধ করতে । গরমে গা গুলিয়ে আসছিল । লেক অনটারিও দেখতে দেখতে চলে এলাম ফোরপয়েন্ট শেরাটনে ।হোটেল থেকে বউ এর ইউনিভার্সিটি হাটা দুরত্বে ।

এখানে রাত তিনটা চারটার সময় মেয়েরা গাড়ী চালিয়ে কাজে আসছে যাচ্ছে নিরাপদে। কেউ বলছেনা চারিত্রিক সমস্যা আছে । এত রাতে কাজে যায় । আমাদের শহরে রাত আটটায় নিউ মার্কেটে থাকলে দশবার ফোন দিতে হয় নিরাপত্তার কারনে । সিএনজি পাওয়া গেল রিকশা পাওয়া গেল । ঠিক মত আসতেছ ।

নাশতার টেবিলে কথা হচ্ছিল এক কানাডিয়ান চাইনিজ প্রফেসরের সাথে এখানকার ইউনিভার্সিটিতে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস পড়ান । উদাহরন দিলেন ১৯৭২ সালে উগান্ডা আর সাউথ কোরিয়ার ইকোনমী একি ছিল ? আজ সাউথ কোরিয়া কোথায় ? উগান্ডা কোথায় ? এপেল ফোন কোম্পানী ইনডিয়া যাচ্ছে । দশ বছর ট্যাকস ফৃ ফোন তৈরি করবে । মনে মনে ভাবলাম আমরা সেই ফোন কিনে বগল বাজাবো । আর মনে মনে বল্লাম আমাদের ৯০% মানুষের পছন্দ টয়োটা আমরা টয়োটার কোন প্লান্ট করতে পারিনি । কয়েক কোটি মানুষ ফোন ব্যবহার করে কোন ফোন বাংলাদেশে তৈরি হয়না ।

প্রফেসর সাহেব আরও বললেন কানাডার নিজস্ব কোন ব্রান্ড নেই । টেক কোম্পানীদের অানতে পারেনি । আমি তাদের নীতিনির্ধারক দের বুঝাচ্ছি বিষয়গুলো । আমাদের দেশের প্রফেসর রা রাতের আধারে তালা ভেংগে কি করে ভিসি হবে, প্রোভিসি হবে ? কার পশ্চাতদেশে লাথি দিয়ে কাকে সরাবে, কোন সরকারী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মেম্বার হওয়া যাবে । পিএইচডি বাগা্য়া উন্নত দেশে বসতি গড়া যাবে । বসতি না গড়লে অন্তত ছেলে মেয়ে জন্ম দেয়া যাবে সেই দেশের নাগরীক হিসেবে । লোক সমাজে আলোচনায় বলা যাবে আমার ছেলে মেয়ে মি রিকান, ওজি, ক্যানেডিয়ান এগুলোতেই ব্যস্ত ।

কানাডা থেকে

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার সৃতি কথা।
বন্ধুকে দুষ্টমি করে কনেস্টবল জানোয়ার ডাকা যায়। আমাকেই বন্ধুরা নানান নামে ডাকতো। রাগ করতাম না।

চার বছরের মেয়েটার ঠান্ডায় আঙ্গুল ফেটে রক্ত পড়ছে !!! কি ভয়ানক ঠান্ডা!!! ও মাই গড।

মনোয়ার নামের লোকেরা দুষ্ট হয়। বদ হয়।
আমার অফিসেই এই নামে একজন আছে। বিরাট বদ।

২| ১৪ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: সুন্দর স্মৃতিচারণ, মনোয়ারের মত সবারই দুএকজন বন্ধু থাকে যাদের ভোলা যায় না।

৩| ১৪ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারন!

ভ্রমনের সাথে দারুন হিমারাস গল্প, স্মৃতি, দর্শন বিশ্বাসের ককটেলে
উপাদেয় সুস্বাদু এক পোষ্টে মুগ্ধতা

আমাদের সবই আছে শুধু নেই পরিবেশ। পরিবেশ পেলে এই সোনার বাংরা বিশ্বে যো কোন দেশের পাশাপাশি মাথা উচু করে থাকা সময়ের ব্যাপার মাত্র! কিন্তু আমাদের মিথ্যে দলান্ধতা, স্বার্থান্ধতা তাও ক্ষুদ্রবৃত্তাবদ্ধতায়, অপ রাজনীতি আমাদের আটকে রেখেছ।

তারপরও বেঁচে থাকার জন্যই আশা বাঁচিয়ে রাখতে হয়। নিশ্চয়ই হবে একদিন।

পোষ্টে ++++++++++

৪| ১৪ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৯

নাজিম সৌরভ বলেছেন: লিফটের সেই ভদ্রলোককে বলে দিয়েন আপনাদের পায়ের চামড়া ফাটে নাই । উনার ভাগিনার পাটা ভালো করে চেক করে দেখতে কইয়েন, আসলেই ওটা ফাটছিল নাকি ?

৫| ১৪ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:১০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন।আপনার স্মৃতিচারনা পড়ে আমারও অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল।
দিন গুলো কেমন কেমন করে যেন হারিয়ে যায়।
লেখার মাধ্যমে এদেশের অনেক চরম সত্য তুলে ধরেছেন তার জন্যও ধন্যবাদ।
এদেশের রাজনীতি যেদিন থেকে মানুষের কল্যানে হবে সেদিন থেকে হয়তো দেশে ভাল কিছু হবে।

৬| ১৪ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৬

অশুভ বলেছেন: অদ্ভত সুন্দর একটি লেখা। স্মৃতিচারণ, দর্শন আর ভ্রমণের দুর্দান্ত কম্বিনেশন। অনেক ভালোলাগা।

৭| ১৫ ই মে, ২০১৮ ভোর ৬:১৫

কিবরিয়া জাহিদ মামুন বলেছেন: আপনারা কষ্ট করে লেখাটি পড়েছেন । মন্তব্য করেছেন । আমি বাধিত । ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন ।

৮| ১৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:০৯

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার স্মৃতিচারনা পড়ে ভালো লাগলো। কানাডায় এখন কোথায় থাকেন ?

১৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৪৩

কিবরিয়া জাহিদ মামুন বলেছেন: টরোন্ট

৯| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: ইদানিং ব্লগ পড়তে ভালো লাগছে না। তার মধ্যেও আপনার অনেকগুলো ফোকলোর পড়ে ফেললাম। একটুও আটকালো না কোথাও। এক কথায় অসাধারণ। আর এই লেখাটা একই সাথে ভ্রমণ, রম্য, স্মৃতিকাতরতা এবং সমসাময়িক পারিপার্শ্বিকতাসহ বিভিন্ন বিষয় ছুঁয়ে গেলো।
লেখা প্রিয়তে। প্লাস।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.