নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা শুনি- যা দেখি - যা ভাবি - তা লিখতে ইচ্ছে করে ।

কিবরিয়া জাহিদ মামুন

শহুরে ফোকলোর

কিবরিয়া জাহিদ মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শহুরে ফোকলোর - ব্যানানা রিপাবলিক অফ হানুলুলু ।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৫

দুটো দেশকে হেনরী কিসিন্জার তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছিল একটা বাংলাদেশ আর একটা ব্যানানা রিপাবলিক অফ হানুলুলু ।বাংলাদেশ তার যোগ্য নেতৃত্বে দিয়ে সেখান থেকে আধুনীক বাংলাদেশে পরিনত হয়েছে । বাংলাদেশের এমন উন্নয়ন নিয়ে সারা বিশ্বের বিভিন্ন স্কুলে যেমন হার্ভাটের জন এফ কেনেডি স্কুল, ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন ক্যালিফরনিয়া , জর্জটাউন, ওয়াটারলু, সায়মন ফ্রেজার, ম্যাকয়রি, উপছালা, লুন্ড এ আলোচনা চলে ।

কিন্তু ব্যানানা রিপাবলিক অফ হানুলুলু তেমনটা পারেনি । সর্বখেত্রে হানুলুলুর দুরাবস্থা । হানুলুলুর গদীনশীন দলের প্রেসিডেন্ট শাহ আবজেল মোহাম্মদ । তার পার্টির নাম ওলাহুকতু । আবজেল মোহাম্মদের বাবা শাহ কবজেল মোহাম্মদ কলাবাগানে যুদ্ধ করেছিলেন তাই দেশের নাম রেখেছিলেন ব্যানানা রিপাবলিক ।
আবজেল মোহাম্মদের আগে যিনি যিনি গদিনশীন হয়েছিলেন তিনি প্রেসিডেন্ট শাহ ম্যালাউ মোহাম্মদ । ম্যালাউ মোহাম্মদের দলের নাম উলুলুমুতু ।

হানুলুলুর রপ্তানী যোগ্য পন্য ফ্রেশ গনতন্ত্র । যে গনতন্ত্র তিনি ইউরোপ আম্রিকাতে রপ্তানী করেন কিন্তু তার দেশের ডিপসিপোর্ট নাই ।
হানুলুলু পোষ্টের সাংবাদিক ফালিয়া কুরতু নিজেদের ডিপসিপোর্ট নাই বলে একটা রিপোর্ট করেছিল । শিরোনাম ছিল লাইটার ভ্যাসেল টু মাদার ভ্যাসেল ।
লাইটার ভ্যাসেলে গনতন্ত্র লোড করে অন্যদেশের সাগরসীমাতে সেটা আনলোড করে আবার লোড করে রপ্তানী করতে হয় । হাজার হাজার ডলার খতিগ্রস্ত হয় । এমন রিপোর্ট করবার কারনে প্রেসিডেন্ট শাহ আবজেল মোহাম্মদের মাতোয়াল মানে পুলিশ । পুলিশ কে হানুলুলুতে মাতোয়াল বলে । মাতোয়াল কুরতু কে উঠিয়ে নিয়ে ছিল । উঠিয়ে নেবার চারমাস পর গ্রেপ্তার দেখিয়েছিল ইন্টারন্যাশনাল প্রেসারে ।

সবাই ভেবেছিল অন্যসব গুমের মত কুরতু গুম হয়েছে । চারমাস পর কুরতু কে এক নালা থেকে অচেতন আবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল । ষেখান থেকে হসপিটালে চিকিৎসা করে আবার গ্রেপ্তার করে পুলিশ । প্রায় তিনবছর বিনাবিচারে জেল খাটবার পর কুরতু কে ছেড়ে দেয়া হয় । কুরতুর স্ত্রী সরকারী চাকুরী করতেন । সেখান থেকে তাকে বহিস্কার করা হয় ।

জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার দিনই আবার গ্রেফতার করবার একটা ভয় ছিল । কুরতু কে অন্তবর্তী জামিন দিয়েছিল । কুরতু যেন কোথাও পালাতে না পারে সেজন্য কুরতুর ও কুরতুর স্ত্রী বুরং এর পার্সপোর্ট জব্দ করে রেখেছিল হানুলুলু সরকারের স্বরাস্ট্র দপ্তর ।

কিন্তু আমেরিকান এমবেসীর একদিনের প্রেসারে হানুুলুলুর সরকার পাসপোর্ট আমেরিকার এমবেসীর কালচারাল এটাসে ডগলাস হোসেল এর হাতে দিয়ে দেয় ।

ডগলাস কে ল্যাংলী হেড অফিস থেকে কালচারাল এটাসে বানিয়ে পাঠিয়েছিল সিআইএ । এইসব কাজে ডগলাস ভিষন পারদর্শী । ডগলাস জানে এসব তৃতীয় বিশ্বে কাজ করতে গেলে যাকে দিয়ে কাজ করবেন তার উপর লেবেলের কোন বড় বাপ কে দিয়ে ফোন দিতে হয় কেননা এরা নিজের বাপকে না চিনলেও উপরওয়ালা বাপ কে চেনে । বা ডলার দিতে হয় । নতুবা বলসের মত দুর্বল জায়গায় লাথি দিতে হয় । ডগলাস তিন নম্বর অপশন বেছে নিয়েছিল । কাজ হয়েছে । তিন নম্বর অপসন দিয়ে ।

স্বরাষ্ট্র সচিব বা যেটাকে হানুলুলুর ভাষায় বলে ভ্যালু সেকরো তার রুমে বসে হানুলুলুর ভাষায় বলেছিল (আনাভো তালাভ কুরতু বুরং পাসপোর্ট বশা মিনোতো) । অর্থাত আমার বিশ মিনিটের মধ্যে কুরতু আর বুরং এর পার্সপোর্ট দরকার । স্বরাস্ট্র সচিব বালাখা মাতারু একটু চোতনা হয়ে ডগলাসের মুখের দিকে তাকিয়ে ছিল । এত চমতকার করে হানুলুলুর ভাষা ডগলাসের মুখে শোনাতে । একটু ত্যানা প্যাচাইতে চাচ্ছিল । মুলঘটনা শুনবার পর ।

ডগলাস, মাতারু কে বলেছিল আমি জানি তোমার মেয়ে স্কটল্যান্ডে এডিনবার্গ ইউনিভার্সিটিতে বিজনেসে আনডার গ্রেড করছে । মাতারুর কথা আটকে গিয়েছিল এ কথা শুনবার পর । আটারো মিনিট বায়ান্ন সেকেন্ডে পাসপোর্ট হাজির হয়েছিল । ডগলাস পাসপোর্ট হাতে নিয়েই হানুলুলুর আমেরিকান এমবেসীর ডিপুটি এমবেসেডরের রুমে গিয়ে ভিসা লাগিয়ে বুরং কে ওর বাপের বাড়ী থেকে উঠিয়ে নিয়ে দাড়িয়ে ছিল হানুলুলু আর ছামভালুর সীমান্তের কাছাকাছি জনমানবহীন রাস্তায় । ডগলাস বুরং কে বলেছিল কোন ব্যাগ ছাড়া নরমাল কাপড় চোপড় পড়ে বের হয়ে আসতে ।

আমেরিকান এমবেসী এই জামিনের অপেখ্খায় ছিল । জেল গেটে পাঠিয়ে ছিল আমেরিকান এমবেসীর লোকাল স্টাফ নাফারা জাফ কে । যাতে সন্দেহ করতে না পারে । জাফ ডগলাসের কথা মত একটা সাদা সেডান কারে যেটার লাইসেন্স প্লেট ছিল এমবেসীর ভিআইপি গাড়ীর সেটা লাগিয়ে কুরতু কে উঠিয়ে নিয়ে হানুলুলু ছামভালুর সীমানার সেই জনমানবহীন রাস্তায় হাজির হয়েছিল । কুরতু কে গাড়ীতে উঠিয়েই জাফ বলেছিল । ভয় নেই । মগে চা আছে আর প্যাকেট থেকে সিগারেট নিয়ে টানুন ।

জাফ কুরতু কে ডগলাসের গাড়ীতে দিয়েই ইউ টার্ন মেরেছিল । পাজেরোতে উঠেই কুরতু বুরং কে দেখে যেন তার সমস্ত শক্তি ফেরত পেল । ডগলাস শুধু বল্ল হাই । এরপর ড্রাইভার কে ইশারা দেয়া মাত্র পাজোরো ছামভালুর সীমানার দিকে রওনা দিল ।
ছামভালুর সীমানায় হাজির হয়ে সেখানে ছামভালুর আমেরিকান এমবেসীর কালচারাল এটাসের গাড়ীতে কুরতু বুরং কে উঠিয়ে দিয়েই ডগলাস দ্রত ফিরে এসেছিল এমবেসীতে । আর মেসেজ সেন্ড করেছিল প্যাকেজ ডেলিভার ।

হানুলুলু পোস্ট থেকে ভাষান্তরীত ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০১

বনসাই বলেছেন: এগুলো কি ধরণের বাংলা! ভাষান্তরে নিজের সামর্থের ওপর জোর দিন, গুগল নয়। ভালো কিছু শিখতে পারবেন।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২০

কিবরিয়া জাহিদ মামুন বলেছেন: গুগল পাইলেন কোথায় ? সব নিজের ।

২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: হানুলুলু দেশটি নিয়ে আমি আজ একটি পোষ্ট দিব। পড়ার আমন্ত্রন।

৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৯

শরীফ আতরাফ বলেছেন: পোস্টটা এখনো হনলুলুতেই রয়ে গেছে বাংলা হয়নি।তাই সব মাথার উপর দিয়ে গেলো।

৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: এই লেখাটা আমি আগেও পড়েছি। কোথায় ঠিক মনে করতে পারছি না। কিন্তু আমি নিশ্চিতভাবেই পড়েছি। আপনি কি অন্য কোথাও দিয়েছিলেন লেখাটা?

৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৩

কিবরিয়া জাহিদ মামুন বলেছেন: আমার ফেসবুকে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.