নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/bicharmani

বিচার মানি তালগাছ আমার

বিচার মানি তালগাছ আমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

চলমান মেডিক্যাল ভর্তির প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে মিশ্র কথন

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৭

১. আমি ছিলাম এভারেজ স্টুডেন্ট। সে বছর কলেজে ভর্তি পরীক্ষার বদলে নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তি নেয়া হয়েছিল। যে কারণে ভালো মানের কলেজে চান্স না পেয়ে নিম্ণ মানের কলেজে ভর্তি হলাম। যে কলেজে পড়তাম সে কলেজে নকল করা ছিল ওপেন সিক্রেট একটা ব্যপার। সবাই দেদারছে নকল করে। কারণ, ছাত্র রাজনীতির প্রভাব। শিক্ষকরাও মেনে নিয়েছে ব্যপারটা। শুধু ম্যাজিস্ট্রেট আসার আগে সবাইকে বলে দেয় সব ফেলে দেয়ার জন্য। বাকী সময় নিশ্চিন্ত প্যাকেজ। কিন্তু আমি তো আবার নীতিবান(!) ছাত্র। আমি সুযোগ পেয়েও নকল করবো না। করিওনি প্রথম কয়েকটা পরীক্ষায়। পরে এক বন্ধু বললো, তোর এসব নীতি’র কোন দাম নেই। সবাই করতেছে। আমিও শেষের কয়েকটিতে নকল করেই পরীক্ষা দিলাম। নকল করা মানে উত্তরগুলো ঠিক মত করে লেখা। কারণ, সব তো পড়া ছিলই। হয় আমার ভাগ্য খারাপ না হয় আমি মেধাবী ছাত্র নই। আমি ফেল করেছিলাম সে বছর। যে বিষয়ে ফেল করেছিলাম সে বিষয়ে আমি নকল করিনি। নীতিবান আমি চ্যালেঞ্জ করেছিলাম বোর্ডে। কিন্তু লাভ হয়নি। পরের বছর প্রথম পরীক্ষা থেকেই নকল শুরু। পাস করেছিলাম।

২. আমার ছোট ভাই এম বি এ করে এখন বড় ব্যাংকার। সে বলেছিল, তাদের ফাইনাল পরীক্ষাগুলোতে অনেকেই টয়লেটে যাওয়ার নাম করে বাইরে গিয়ে বই দেখে এসে পরীক্ষা দিত। কিন্তু তারা কয়েকজন নীতিবান (!) ছাত্র এটা করতো না। আসলে ওরাও ভালো ছাত্র(যারা একটু দেখে আসতো) । কিন্তু সুযোগের সদ্ব্যবহার করতো উত্তরটা আরেকটু ভালো করে লেখার জন্য।

৩. বিদেশে ছিলাম অনেকদিন। এক বড় ভাইয়ের সাথে নৈতিকতা নিয়ে কথা হচ্ছিল। তিনি হঠাৎ আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার সামনে যদি একটা উলঙ্গ মেয়ে থাকে, তুমি কি তার সাথে সেক্স না করে থাকতে পারবে? আমি বলেছিলাম , পারবো। কারণ, আমি ধার্মিক । গুনাহর ভয় আমাকে বাধা দিবে।

৪. ধর্মীয় কাজ আর দুনিয়াবি কাজের নীতি নৈতিকতা এক নয়। 'থ্রি ইডিয়টস' ছবিতে আমির খানকে তার বন্ধুরা প্রশ্ন এনে দিয়েছিল, আমির খান প্রশ্ন দেখেনি, ফেলে দিয়েছে। ছবিতে আমির খান নীতিবান(!)। কিন্তু বাস্তবে কারো সামনে প্রশ্ন এসেছে আর সে না দেখে থেকেছে – এমনটা হতেই পারে না। survival of the fittest –এর দুনিয়ায় যে মেধাবী সেও দেখবে , আর যে আমার মত টেনেটুনে পাস সেও দেখবে। এটা মানুষের সহজাত বৈশিষ্ট্য। আজ যারা প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে বলে আন্দোলন করছে তারা যদি প্রশ্ন পেত তাহলে যারা প্রশ্ন পেয়ে পাস করে বসে আছে তাদের মত চুপচাপ থাকতো। কারণ, আপনি বাঁচলে বাপের নাম।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৮

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: শিক্ষাঙ্গনে প্রশ্নফাঁস এখন অহরহ । আসলে এর জন্য দায়ী শিক্ষাবোর্ড কর্ত্রীপক্ষ । ভেবে দেখুন এতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ কমে যায় ২য় সেশনজটের ভুগান্তি ।
অত্যাধুনিক যুগে উচিৎ আগের যুদের চালকদের বদলে দিয়ে সব ডিজিটাল পদ্ধতিতে রুপান্তর তাহলেই অনেকটা সহজ হবে । পোস্টে ধন্যবাদ ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: হয় চরম শাস্তি না হয় নতুন পদ্ধতি। কিছু একটা তো করতেই হবে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: দুনিয়ার নিকৃস্টতম শিক্ষাব্যাবস্হা এদেশে। এত এক্সপেরিমেন্ট এত নিয়মের পরিবর্তন তাও আবার অশিক্ষিত গর্দভ মার্কা নকল করে পাশ করা আমলাদের দ্বারা! পৃথিবীর আর কোথাও নেই!

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সরকারের মত সচিবরাও আগের সচিবদের কাজ বদল করে!

৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১৫

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সুযোগের অভাবে অনেকেই ভালোমানুষ তবে অল্প কিছু ভালোমানুষ থাকবেই।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: তাতো থাকবেই। তবে এরা পেলেও যে প্রশ্ন পড়তো না তাতো নয়। এমনকি ফেসবুকের কল্যাণে এরাও কম বেশি পেয়েছেও! খালি টিকতে পারেনি!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.