নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১. ব্লগ, ফেসবুক আসার আগে থেকেই বাংলাদেশের প্রগতিশীল গোষ্ঠী নামের এক প্রকার রেসিস্ট বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে এমন একটা ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছে যে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা কষ্টে আছে। কষ্ট মানে যেন তেন না। বলতে গেলে আফগানিস্তান, সিরিয়া, ফিলিস্তিন টাইপ কষ্টে আছে সংখ্যালঘুরা! এই সংখ্যালঘুদের মধ্যে আবার বেশীরভাগ হিন্দু! আমাদের প্রগতিশীল (মুসলমান) দের দাবী বাংলাদেশীদের(অবধারিতভাবেই মুসলিম) অত্যাচারে নাকি হিন্দুদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। কমছে তো কমছেই। এর দায়ভার বাংলাদেশের মুসলমানদের না মুসলমান সরকারের তা তারা স্পষ্ট করে কখনোই বলেন না। ব্লগ, ফেসবুকেও মাঝে মাঝে মাতম উঠে বাংলাদেশে নাকি সংখ্যালঘুরা খুব খুব খুব ঝামেলায় আছে...
২. আমি এ যাবৎ বিহার, কেরালা, উত্তর প্রদেশ, মাদ্রাজ, হায়দ্রাবাদ, ব্যাঙ্গালোর, কলকাতা, মুম্বাই, রাজস্থান, ঝাড়খন্ড, জামশেদপুরের মুসলমান কলিগদের সাথে পরিচয়ের কিছুদিন পরই জিজ্ঞেস করেছিলাম, তোমাদের(মুসলমান) কেমন অবস্থা ভারতে? প্রায় সবাই বলেছিল, কোন সমস্যা নেই। সব স্বাভাবিক। গরু নিয়ে ২/১ টা ঝামেলা হয়, আর বড় কিছু না। নামাজ, রোজাতেও ঝামেলা নেই। সবাই মিলে মিশেই আছি। তোমরা যা শুন বা দেখ তার বেশীরভাগ স্থানীয় রাজনীতি আর মিডিয়ার বাড়াবাড়ি।
৩. আমি বিশ্বাস করি, ব্লগের বাংলাদেশী নন-মুসলিম(সংখ্যালঘু শব্দটাই খারাপ) যারা আছেন তারা ২/১ টা গ্রামের ঘটনা ছাড়া বলতে পারবেন না তারা বাংলাদেশে অনেক কষ্টে আছেন। কোন ব্লগার বলতে পারবেন না অমুসলিম হওয়ার কারণে স্কুল, কলেজ, চাকুরিতে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক কোন বঞ্চনার শিকার হয়েছেন তারা। আমাদের পাশের বাসায় ছিল বড়ুয়া পরিবার। আমার নানার বাড়ির পাশেই ছিল ধোপা বাড়ি। আমার স্কুল, কলেজ, কর্ম জীবনের অনেক হিন্দু বন্ধু ছিল এবং আছে। আমি বড়ুয়া বন্ধুর সাথে এক প্লেটে সৌদি খেপসা খেয়েছি, হিন্দু কলিগের সাথে এক রুমে থেকেছি। আমি হিন্দু ব্যবসায়ীর সাথে এক সাথে শেয়ার করে(টাকা এবং তরকারির প্লেট) লাঞ্চ করেছি অনেকদিন। কই তারা তো দিব্যি বাংলাদেশে জীবনযাপন করছে?
৪. তাহলে কেন এত মাতম? কেন বাইরের দেশে প্রচার করা যে, আমাদের দেশে সংখ্যালঘু(বিশেষ করে হিন্দু)রা কষ্টে আছে? যদিও বি এন পি হিন্দুদের কষ্টে রাখে তার ভিত্তি নেই তবুও গত ৯ বছর ধরে হিন্দুদের প্রতি সহানুভূতিশীল বলে বাজার পাওয়া আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। সেই আওয়ামী লীগও পারছে না এই অপপ্রচার বন্ধ করতে। আওয়ামী লীগের জন্য করুণা হয়। তাদের আমলেও সংখ্যালঘুরা খারাপ আছে বলে ট্যাগ খেতে হচ্ছে তাদের...
৫. তাই মাতম বন্ধ করুন। নিজ দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধ করুন। দেশে আইন আছে। আমরা সবাই ভালো না। আমাদের কেউ কেউ কোন কোন অজুহাতে মুসলিম কিংবা অমুসলিমদের(অথবা নাস্তিক) হত্যা করবে, বাড়ি জ্বালাবে আবার ধরা খাবে, মারাও যাবে। এগুলো বিশ্বের সব দেশেই আছে। এসব চলমান প্রক্রিয়া। মাতম করে, নিজের দেশের বদনাম করে, নিজের দেশী ভাইদের বা সরকারের বিরাগভাজন হওয়ার কী দরকার?
২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১৭
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এরকম স্থানীয় অত্যাচার যে কোন প্রভাবশালীর দ্বারাই হতে পারে। ভূমি দস্যুতা মুসলমান জমিতেও হয়। তোমাদের দেশকে আমাদের কিছু হিন্দু ভাই ভালো মনে করে ধর্মীয় কারণে, আর কিছু না। তাছাড়া দেশ ভাগের সময় অনেক আত্মীয় ওখানে থাকার কারণে সবসময় সম্পর্ক ও সুযোগ থাকে চলে যাওয়ার।
গ্রামের হিন্দুদের উপর অত্যাচার সরকারী ভাবে হয় না এটা বুঝতে হবে তাদের...
২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০৬
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: একটা কথা নোমান ভাই বলেছিলেন। সেইটাই বলি। "আমি কাল্লু চোরার চেয়ে ভালো এটা আমার ভালত্বের পরিচয় হতে পারে না।"
ইয়েমেনে আজ দুর্ভিক্ষ হচ্ছে। আমাদের দেশে দুর্ভিক্ষ নেই। তাই বলে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে গেছি এমন তো নয়! আরো উন্নতির অনেক কিছু আছে।
ধরেই নিলাম, আজ ভারতে মুসলমানের উপর চরম অত্যাচার চলছে। তাই বলে কি এদেশের হিন্দুদের উপরও তাই করতে হবে। ওদেশে সংখ্যালঘুরা কেমন আছে, সেটার সাথে তো আমাদের সংখ্যালঘুরা কেমন আছে, তার তুলনা হতে পারে না! আমাদের এখানে রাস্ত্রধর্ম আছে। মুসলমান ছাড়া এখানে অন্য সবাই ২য় শ্রেণির নাগরিক। একটি দেশে জন্ম নিয়ে সেদেশের ২য় শ্রেণির নাগরিক হওয়ার মত বঞ্চনা আর কিছু আছে কী? আজ তো হচ্ছে এদেশে মন্দিরে মন্দিরে হামলা। এটা অস্বকীকার করতে পারবেন?? আচ্ছা ধরেই নিলাম ভারতে মুসজিদ ভাংা হচ্ছে। ভালো নেই তারা। তাদের সাথে তুলনা করে, এদেশেও করতে হবে মন্দির ভাঙা?? এটা কেমন কথা ভাই?
আর আপনি সংখ্যালঘু পরিচয় হিন্দুদের দিতে চাননা। ভালো কথা। তো ভারতের মানুষেরা যদি মুসলমানদের নন-হিন্দু বলে ডাকে, কেমন লাগবে শুনতে আপনার? কিংবা আমেরিকায় তাকে নন-ক্রিস্চান বলা হলে?
এসব তুলনা করে নিজের ব্যর্থতা আর দায়িত্ব থেকে পার পাওয়ার উপায় নেই কোন।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১৯
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: না। আমি কখনোই অন্য দেশের কথা টেনে নিজের দেশের অত্যাচারকে বৈধতা দিতে চাইছি না। আমার লেখাতেও সেটা নেই। মুসলমান ছাড়া অন্যরা ২য় শ্রেণীর নাগরিক - এটা কি সংবিধানের কথা নাকি বুদ্ধিজীবিদের কথা? যদি রাষ্ট্রীয়ভাবে মুসলমান ছাড়া অন্যদের ২য় শ্রেণীর নাগরিক বলা হয় তাহলে আমি অবশ্যই তার প্রতিবাদ করব...
৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০৬
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমরাই ভাল না।। এসব ব্যাপারে কোন ভারতীয়কে জিজ্ঞাসা করেন, এক কথায় জবাব পাবেন, গভমেন্টকা পলিসি হ্যায়!! সেখানে আমরা ।
আমার অনেক বন্ধু ভিন্ন মতালম্বী।। কিন্তু তা বন্ধুত্বের পথে কখনো বাধা হয়ে দাড়াতে পারি নি।। আমি যেমন ওদের অনুষ্ঠানে গিয়েছি, তেমনি সমান আনন্দ নিয়েই ওরাও এসেছে।। কেন??
এটা শুধু কিছু মিডিয়া আর রামভক্তদের প্রচার/প্রপাগান্ডা
২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ধন্যবাদ। এটাই মূল কথা। ওনাদের পাশের দেশ ভারত না হয়ে যদি পাকিস্তান হতো তাহলে কি উনারা যেতেন? ভৌগলিক ও ধর্মীয় কারণে উনারা সেখানে মাইগ্রেট করেন আবার কেউ কেউ স্থানীয় অত্যাচারের ভয়ে চলেও যেতে পারেন। এরকম অনেক মুসলমানও পালায় দেশ ছেড়ে। কিন্তু এটাকে পূঁজি করে সংখ্যালঘুরা কষ্টে আছে বলা যায় না...
৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
সাধারণ জনতার মাঝে হিন্দুরা অপেক্ষাকৃতভাবে ভালো আছে; কিন্তু তাদের জমিজমা দখল করা হচ্ছে; প্রতিবছরই প্রতিমা ভাংগা হচ্ছে; প্রতিবেশীরা নিজেদের মতো হিন্দুদেরকে বাংগালী হিসেবে দেখলে সমস্যা থাকবে না।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৩
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সব জায়গাতে নয়। প্রতিমা ভাঙার বেশীর ভাগ ঘটনা স্যাবোটাজ ছিল। তাদের ক্ষতি করতে গিয়েতো মুসলমানরা আইন অনুযায়ী শাস্তি পাচ্ছে, ধরা খাচ্ছে। আইন শক্ত হতে হবে। ঐসব স্থানীয় সুযোগ সন্ধানী মুসলমানদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে...
৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৫০
অর্ক বলেছেন: আপনার সাথে আমি সবিনয়ে দ্বিমত পোষণ করছি। এ দেশের সংখ্যালঘু (শব্দে কোনও দোষ নেই, বহু ধর্ম আছে সমাজে, কোনও একটা ধর্মের মানুষ সংখ্যাগগরিষ্ঠ হলে বাকিগুলো স্বাভাবিকভাবেই সংখ্যলঘু হবে। আমাদের ব্যথা হচ্ছে এই শব্দটা কেন বারবার ব্যবহার করতে হচ্ছে) সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার শুরু থেকেই হয়ে আসছে। এ অঞ্চলে ইসলাম যারা গ্রহণ করেছে, তারা ধর্মহীন ছিল না, তারা মূলত হিন্দু থেকেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। মোঘল আমলে এখানে ইসলাম ধর্মের ব্যাপক প্রসার ঘটে। এর মধ্যে অনেক নিম্ন বর্ণের হিন্দুরা বর্ণবাদ প্রথার অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে ইসলামে আসেন, অনেকে বিশেষ লোভে পড়ে আসেন, অনেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ইসলাম ভালবেসেও ইসলাম গ্রহণ করেন ইত্যাদি। মূলত বর্ণ বৈষম্যটাই প্রধান। শুনতে আজ আশ্চর্য শোনালেও, আমাদের পূর্ব পুরুষদের মাঝে এমন বর্ণ বৈষম্য ছিল যে, ছোট বর্ণের হিন্দুদের অনেক রাস্তায় চলাচলের অনুমতি ছিল না এক সময়। তাদের বিকল্প ঘোরা পথের রাস্তা ছিল। কারণ এসব রাস্তায় বাবুলোকরা হাঁটা চলা করেনন! যাই হোক বিস্তারিত লিখতে গেলে মন্তব্য বিরাট হয়ে যাবে! অল্প কথায় বলছি, ইসলাম এসেছেই এখানে একটা ধর্মের বিরুদ্ধে, নিজে শ্রেষ্ঠ এরকম একটা ধারণা নিয়ে। শুরু থেকে আজ পর্যন্ত এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের মধ্যে সুক্ষ্মভাবে হলেও এক হিন্দু বিদ্বেষী মনোভাব চলে আসছে। আপনি নিজেকে বা আপনার পরিচিত দশজন দিয়ে সারাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার, লাঞ্ছনার ধারাবাহিতা অস্বীকার করলে তা আপনার ভুল হবে। এ দেশের আপামর মানুষ কোনদিনও অসাম্প্রদায়িক ছিল না, এখনও নেই।
এদেশ থেকে যে হিন্দুরা ভারতে গেছে, তারা শখ করে বাপ দাদা চোদ্দ পুরুষের ভিটেমাটি ছেড়ে যায়নি! আপনার বোঝা উচিৎ, এটা কোনও উন্নত দেশে উন্নত জীবনের আশায় পাড়ি জমানো নয়। যারা গেছে তারা কোনও না কোনভাবে এখানে বঞ্চনার স্বীকার হয়েই গেছে। বাংলাদেশ থেকে অত্যাচারিত হয়ে অনেক দরিদ্র হিন্দু ভারতে যেয়ে উদ্বাস্তু হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করেছেন। এদের মধ্যে অনেকেই হয়তো পরে নিজেদের অবস্থা ফিরিয়েছেন। এখনও ওপার বাংলার ছিন্নমূল দরিদ্র মানুষের কাছে জিজ্ঞেস তারা বাংলাদেশি উদ্বাস্তু। ২০০১ সালেই বি.এন.পি জামাতের পৈশাচিক অত্যাচারে প্রায় এক কোটির মতো হিন্দু দেশ ছাড়ে, বাঁশখালি, বাগেরহাট আরও অসংখ্য হিন্দুদের বিরুদ্ধে বীভৎস পৈশাচিক আক্রমণের ঘটনা আমরা ভুলে যেতে পারি না। প্রতিদিন খবরের কাগজ ভরে সংখ্যালঘু অত্যাচারের খবরে। মায়ের সামনে কন্যা, পুত্রবধূ ধর্ষণ, যুবকদের হাত পা কেটে দেয়া আরও ভয়ঙ্কর সব অত্যাচার সংঘটিত হয়েছিল হিন্দুসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর।
আপনি যেভাবে এক বাক্যে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ব্যাপারটা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলেন। বাস্তবতা তার ধারেকাছেও নেই। আপনি আমি বাংলাদেশের শেষ কথা না।
যাই হোক পোস্টের জন্যে ধন্যবাদ আপনাকে। নিশ্চয়ই আপনি একজন অসাম্প্রদায়িক উদার মানুষ। কিন্তু সবাই আপনার মতো না। আমিও ছোটবেলায় হিন্দু বন্ধুদের কটাক্ষ করে ছড়া কাটতাম 'হিন্দু হিন্দু গরুর মাথা...' তখন যে যৎসামান্য হিন্দু ছিল, তাদেরকেও কেমন যেন হীন চোখে দেখা হতো। একটা নাক সিটকানো ভাব ছিল সাধারণ মানুষের, 'ওরা হিন্দু!' ধরণের।
ভালো থাকবেন। শুভকামনা।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:২৪
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য। ঐতিহাসিক ভাবে এই অঞ্চলের মানুষ কিছুটা কট্টর। যে কারণে ব্রিটিশ আমলে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা হতো প্রায়ই। দেশ তো ভাগ হলো ধর্মের ভিত্তিতেই! তাই সংখ্যাগুরুদের প্রভাবশালী মনোভাব সহজাত প্রবৃত্তি। বলতে গেলে আশে পাশের সব দেশেরই মানুষগুলো এরকম। দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার সবসময়ই হয়। হিন্দুদের উপর অত্যাচার হচ্ছে না - এটা আমি তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেইনি। তবে যেভাবে হাইলাইট করা হয় সেটার ব্যপারে আমার আপত্তি আছে। খুন, ধর্ষণ, মারামারির শিকার হচ্ছে সব ধর্মের মানুষেরাই। সেটার জন্য আইনকে ঠিক করতে হবে। প্রভাবশালীদের জেলে পুরতে হবে...
৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২৪
শাহিন-৯৯ বলেছেন: আপনার লেখা সাথে আমি একমত, আমার খুলনা অঞ্চলে প্রায় প্রতিটি পরিবারের কেউ না কেউ ভারতে বসতি গড়েছে। ৯০%ভাগ ধমীয় কারণ। কারণ আমি গত ২৫ বছরের মধ্যে আমাদের এলাকায় কোন হিন্দু নিযার্তন দেখিনি।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: প্রগতিশীল প্রজাতি এটা মানতে নারাজ...
৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২৭
শাহিন-৯৯ বলেছেন: ২৫ বছর বলছি এ কারনে আমার বয়স অনুযায়ী।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৪
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ভারত বলেই তারা যাচ্ছে। এটা সিম্পল ইকুয়েশন...
৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৫
শাহিন-৯৯ বলেছেন: প্রগতিশীল শব্দটি আমাদের দেশের এক শ্রেণীর মানুষের বেঁচে থাকার খোরাক।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৪
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: হুমমম। প্রগতিশীল, চেতনা, বুদ্ধিজীবি এগুলো এখন ব্যবসা...
৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০৬
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বাংলাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা কেমন আছেন ? তা নিয়ে কলকাতার Sukriti Ranjan Biswas তার ফেসবুকে লিখেছেন-
ঢাকায় এসে উত্তরায় ছিলাম। এক জামাই-মেয়ে থাকে। জামাই উকিল, ভাইঝি ল' এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর। বিচারকের চাকরির জন্য লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেছে এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে বললো --- চাকরি পেয়ে যাবে। তাদের কর্মজীবন, সামাজিক জীবন --- এসবের মধ্যে হিন্দু বলে সমস্যা হয় কিনা জানতে চাই। তারা বললো -- কোনো সমস্যা নেই, নিজের দেশে আছে, ভালো আছে। বিল্ডিংয়ে ১০টা ফ্লাট, ৩ টি হিন্দু পরিবার থাকে। ভাইঝি সারাদিন একা থাকে, কোনো দুশ্চিন্তা হয় না বলে জানালো। কলকাতায় একই বিল্ডিংয়ে বাস করা অনেক দূরের ব্যাপার, হিন্দু পাড়া/এলাকায় কোনো মুসলমানকে কেউ বাড়ি ভাড়া দেবে না।
আরেক মেয়ে- জামাই থাকে যাত্রাবাড়ী, এখন সেখানেই আছি। জামাই কলেজে পড়ায়, ভাইঝি হাইস্কুলে। নাতি পড়ে ইঞ্জিনীয়ারিং। বললাম, পাড়ায় আর কতঘর হিন্দু আছে? বললো, নেই, কাউকে তেমন জানে না। নাতিটা প্রাথমিক থেকে এই অঞ্চলে, আছে, পড়েছে। ওর দুই যমজ বোনও ১১/১২ ক্লাসে পড়ে। ওরা ৫ জন হিন্দু হিসাবে কোনো সমস্যা জানে না। ভালো থাকে, ভালো আছে।
বিচ্ছিন্ন দুএকটি ঘটনা ছাড়া তাঁরা এদেশে সত্যিকার অর্থেই ভালো আছেন তারপরও তাঁদের নিয়ে ভারতের উদ্বেগ উৎকণ্ঠা এবং সরকারি দলের দায়িত্ত্বশীলদের কথাবার্তা শুনলে যে কারো মনে প্রশ্ন জাগবে বাংলাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা কি ভারতীয় নাগরিক!!
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: স্ট্যাটাসটি আমিও পড়েছিলাম ফেসবুকে। আমি তো বললাম, একটা ঘটনা দেখাতে পারবে না তারা যে, সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের কোন কিছু থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বা অধিকার হরণ করা হয়েছে। ২/১ টা ঘটনা হয় সেটা ঐ পাড়া বা গ্রামের সমস্যা। এটা যে কোন গোষ্ঠীর বেলাতেই হতে পারে। অবাক লাগে, ভারত আমেরিকা/ইউরোপের কোন পরাশক্তি না হয়েও বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের মারামারির ঘটনাতেও রাষ্ট্রদূত পাঠিয়ে দাদাগিরি করে! আমাদের সরকারকে অবশ্যই সুযোগ সন্ধানী মুসলিম যারা এসব ফ্যাসাদ করে তাদের শাস্তি দিতে হবে পাশাপাশি যারা ব্লগ, ফেসবুক বা অন্য কোন মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের উসকে দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করছে তাদেরও শাস্তির আওতায় আনতে হবে...
১০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৩
আবু তালেব শেখ বলেছেন: সংখ্যা লগুদের সংখ্যাগরিষ্ঠ খেতাব দিয়ে দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় বসায়ে দেখা যাক। তাহলে হইতো এই ঝামেলার অবসান ঘটবে
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৯
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকলেও একই সমস্যা হবে সংখ্যালঘুদের উপর। এটা এই উপমহাদেশের মানুষের চরিত্র। এটা বুঝতে হবে তাদের...
১১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:১৭
আমি তনুর ভাই বলেছেন: Really very happy to say,your post is very interesting to read.I never stop myself to say something about it.You’re doing a great job.Keep it up
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:২৬
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: Thank you..keep in touch...
১২| ০২ রা মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩৭
মাহের ইসলাম বলেছেন:
আমি মনে করি বাংলাদেশের অনেক স্থানেই বিভিন্ন কারণে মানুষ অত্যাচারিত হচ্ছে- অনেক মুসলমানও অত্যাচারিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে পরে। হিসেব করলে হয়ত, তাদের সংখ্যা অনেক বেশিই হবে। এর মধ্যে ব্যক্তিগত লোভ, লালসা , ব্যবসায়িক কারনের পাশাপাশি ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক কারনও আছে। অত্যাচারের মাত্রা কোথাও তেমন বেশী না, আবার অনেক ক্ষেত্রে মারাত্নক।
তবে হিন্দুদের দেশ ত্যাগের বিষয়টি পুরোপুরি ধর্মীয় দৃস্টিভঙ্গিতে মুসলমানদের হাতে নৃগৃহিত হওয়ার কারণে ঘটছে – তা কিন্তু নয়। এখানে আরও কারণ আছে।
০২ রা মে, ২০১৮ রাত ৯:১৩
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: জ্বি ধন্যবাদ। আমিও তাই মনে করি...
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০৪
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: বাংলাদেশে প্রতিদিন কোথাও না কোথাও সংখ্যালঘুরা অত্যাচারিত হয় । এটা বাংলাদেশের পেপার থেকেই আমরা জানতে পারি । সমস্যাটা বাংলাদেশে শহরে না । চাকরিতে না । কোন ধর্ম বন্ধুতেবন্ধুতে না । সমস্যাটা মূলত গ্রাম সাইডের হিন্দুদের উপর এসব হচ্ছে । জমি দখল , বাড়ি দখল , ধর্ষণ ও পাওনা টাকা না দেওয়া এসব নিত্য দিনের ঘটনা গ্রাম বাংলায় । তারপর তো ফেসবুক হয়েছে ঘটা করে হামলার হাতিয়ার ।
তোমার বয়স কত জানি না । এই অত্যাচার আজকের না বংশপরম্পরায় চালাচ্ছে । এমনি এমনি ৩৫% হিন্দু আজ ৮% এসে দাঁড়িয়েছে । শখ করে কেউ জন্মভূমি ছাড়ে না । ডন্মভূমি এমন একটা জিনিস তা বাস্তব উপলব্ধি ছাড়া বোঝানো কঠিণ ।