নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/bicharmani

বিচার মানি তালগাছ আমার

বিচার মানি তালগাছ আমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মসজিদের শহর, ৩য় বৃহত্তম মুসলিম দেশ নিয়ে গর্ব, কিন্তু টয়লেটের কী অবস্থা?

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫৩

১. স্কুলে থাকতে সাধারণ জ্ঞান বইতে পড়েছি ঢাকাকে 'মসজিদের শহর' বলা হয়(চেতনাজীবিদের একটু কষ্ট হতে পারে)। আরো জেনেছিলাম, সংখ্যার দিক দিয়ে ২য় বৃহত্তম মুসলিম দেশ বাংলাদেশ। অবশ্য এখন ৪র্থ (ইন্দোনেশিয়া, ইন্ডিয়া, পাকিস্তানের পরে)। এই মুসলিম দেশেই মসজিদগুলোতে টয়লেটের অবস্থা দেখলে খুব খারাপ লাগে...

২. বেশীরভাগ মসজিদেই দেখা যায় কোন রকমে টয়লেট বানানো হয়েছে। মসজিদের ভেতর প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত চাকচিক্য থাকলেও টয়লেটগুলোর অবস্থা থাকে জরাজীর্ণ। বেশীরভাগ মসজিদ কর্তৃপক্ষের ধারণা মনে হয় যারা নামাজ পড়তে আসে তাদের সবার বাসা আশে পাশেই আছে! কোন মসজিদে হাই কমোড ওয়ালা টয়লেট পাইনি আমি। একজন পুরুষ জিন্স পরা থাকলে কিংবা সু পরা থাকলে তার বসে প্রস্রাব করা যে কত কঠিন তা সে নিজেই জানে। আর দাঁড়িয়ে করলে তো লো কমোডে প্যান্ট নাপাক হওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। এটা নিয়ে কোন মুসলমানের চিন্তাই যেন নেই। কোথাও কোথাও বদনার ব্যবস্থা নেই। দিনের পর দিন অপরিস্কার থাকে। এভাবে পবিত্রতা অর্জন করা যায়? গ্রাম/শহর সব মসজিদেই এই অবস্থা...

৩. এতো গেল মসজিদের টয়লেটের কথা। এবার আসি বিভিন্ন মার্কেট, প্রতিষ্ঠান বা পাবলিক টয়লেটের কথা। এখানেও কম বেশী একই রকম চিত্র। আনিসুল হক সাহেব নাকি কয়েকটা আধুনিক টয়লেট বানিয়েছেন উত্তর সিটি তে। তবুও সার্বিকভাবে মানসম্মত টয়লেট ও টয়লেট পরিস্কার রাখার ব্যপারে সব কর্তৃপক্ষেরই যেন অনীহা। হাই কমোড এখনো শুধু আপার ক্লাসদের প্রতীক হয়ে আছে। অথচ বর্তমান বাস্তবতায় কর্মজীবিদের জন্য হাই কমোড-ও খুব জরুরী...

৪. মসজিদের জন্য সাহায্য কখনো বন্ধ হয় না। মসজিদে যে কোন উন্নয়নের জন্যই মুসুল্লীরা সাহায্য করে থাকে। তাহলে মুসুল্লীদের স্বার্থে কেন টয়লেট আধুনিক করে রাখা যাবে না? মসজিদ তো আর সরকারী প্রতিষ্ঠান নয় যে, সেখানেও অদক্ষতার ছাপ রাখতে হবে? মসজিদ ছাড়াও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে ঘরের বাইরে পাবলিক টয়লেট, মার্কেট টয়লেট কেন এত নোংরা থাকবে? আমরা কি ইন্ডিয়ার চেয়ে খারাপ হয়ে গিয়েছি যে, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে বলতে হবে, নেতাদের প্রচার চালাতে হবে? পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা তো এমনিতেই ঈমানের অঙ্গ...

বিঃদ্রঃ এয়ারপোর্টের টয়লেট ঢাকার সাধারণ পাবলিক টয়লেটের চেয়ে সামান্য ভালো হলেও বিশ্বমানের নয়। বিদেশীদের সামনে এটাও একটা লজ্জা। আর ইচ্ছে করেই পোস্টে নোংরা টয়লেটের ছবি দিলাম না...

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:০৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আমার ছেলে বেলার পুরোটাই কেটেছে গ্রামে। দেখতাম, গ্রামের পায়খানার ময়লাগুলো কোন কোন ভাবে জলাশয়ে গিয়ে পড়ে। এখনো যখন গ্রামে যাই অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করি, এখনো অবস্থার খুব একটা পরির্ব্তন হয়নি। গ্রামের পুকুর বা খালে পায়খানার ময়লা তো যাচ্ছেই সেই সাথে ছোট শিশুদের মলযুক্ত কা্থা বা কাপড় সরাসরি খালে বা পুকুরে ধোয়া হচ্ছে। ফলে পানি দূষিত হচ্ছে। সেই পানি আবার মহিলারা কলসী করে বাড়িতে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে।সেই পানি দিয়ে তারা ভাত তরকারী রান্না করবে।

আমরা কবে সচেতন হবো বলতে পারেন?

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:০৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: গ্রামের কথা না হয় নাই বললাম। আমার মূল চিন্তাটা হল কর্মজীবি পুরুষদের নিয়ে। তারা একই সাথে চাকুরি ও পবিত্রতা রাখাটা কঠিন হয়ে যায় শহরে। আর গ্রামেও মসজিদের কাছে টয়লেট হয় শুধু দুই পা রাখার জন্য দুইটা ইট। এভাবে কী পাক থাকা যায়?

২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৩৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ভাই তালগাছ, এই মসজিদ নিয়ে লিখে আমার কল্লা যায় যায় অবস্থা তারপর পোষ্ট মুছে দিয়েছি আর আপনি আবার একই কাজ করলেন - হেলম্যাট আছে তো ?

আরেকটি কথা না বললেই নয় বাংলাদেশে টয়লেট হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেম সেই ১৯৫২ থেকে - এখানে ফোন নাম্বার ও ঠিকানা দেওয়া থাকে !!!

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: তাই নাকি? তাহলে আপনি মনে হয় ঠিক পথেই ছিলেন! না হলে, কল্লা যাবে কেন?
আর যারা টয়লেটকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করে তাদের তো পাক/নাপাকের কোন প্রশ্ন নেই!

৩| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৪৭

দি এমপেরর বলেছেন: পোস্টের সাথে সহমত।

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ...

৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৪৯

নাজিম সৌরভ বলেছেন: হেই আজব, আসল কাম ফালাই টয়লেট! বুঝলাম না ভাই! :)

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কোন কোন সময় টয়লেটও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়...

৫| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:১০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বেশীরভাগ মসজিদেই দেখা যায় অবহেলায় কোন রকমে টয়লেট বানানো হয়েছে।
মসজিদের ভেতর দামী টাইলস চকচকে মেঝে প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত এসি থাকলেও টয়লেটগুলোর অবস্থা সংকির্ন জরাজীর্ণ।
হাই কমোড হয়তো হারাম, নইলে থাকতো।
সব মসজিদে ওজুর টাইম ছাড়া বাকি সময় তালা মারা। বিশাল তালা! শুধু তাই না। টয়লেট এলাকায় প্রবেশ পথেও মোটা শিকের গ্রীল দেয়া গেইট ও তালা।
পরে শুনলাম বার বার বদনা চুরি হওয়াতে এই দুই স্তরের নিরাপত্তা।

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: হাই কমোড হারাম - এগুলো কাঠমোল্লাদের ফতোয়া। তবে স্বাস্থ্যগত কিছু সমস্যার কথা জানা যায়। ওযুর সময় ছাড়া বাকী সময় তালা মারা থাকে - এটাও কঠিন সত্য কথা। তবুও যদি আধুনিক টয়লেট সিস্টেম চালু হয় তাহলে বদনার ব্যবহারও কমে যাবে। তবে এসব দিন দেখে যেতে পারব না হয়ত...

৬| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:১৯

ঢাকার লোক বলেছেন: নিদারুন ভাবে অবহেলিত একটা বিষয় তুলে ধরেছেন, সকল মসজিদ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে একটু যত্নবান হবেন আশা করছি ।

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: অথচ আমরা একটা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের বাসিন্দা...

৭| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:২৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
যে কোন মানুষের টয়োলেট দেখে বুঝা যাবে সে কতটা রুচিবান আর কতটা স্বাস্থ্য সচেতন। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য টয়োলেট থাকা চাই বেডরুমের মতো সুন্দর।

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সহমত। একই মানসিকতা ঘরের বাইরেও যার যার কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে...

৮| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:



ঢাকা শহরে পাবলিক টয়লেট না থাকায়, পুরো শহর টয়লেটে পরিণত হয়েছে।

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এই শহরে এত টোকাই, এত ছিন্নমূল, এত ভিখারী কোথায় টয়লেট করবে এটা নিয়ে কর্তাব্যক্তিদের কোন মাথা ব্যথা নেই...

৯| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: পৃথিবীতে এমন কোনো হরর মুভী তৈরি হয়নি যা দেখে এতোটা ভয় পাওয়া সম্ভব !!! - ঢাকা’র বিক্ষ্যাত সব মসজিদের টয়লেটে ঢুকে ভয়ে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসলে আশ্চর্য্য হবার কোনো কারণ নেই - ওজু তো দুরে থাক সোজা গোসলে যাওয়া ফরজে কেফায়া । - ট্রেনের টয়লেট দেখে মনে হতে পারে চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাপ দিয়ে বাঁচি। ব্লগে ইদানিং জ্বীন ভুতের গাল গপ্প বলে জাহির হচ্ছে ভয়ের গল্প - আমি বলবো ভয় তারা কোনো কালে দেখেনি, দেখলে এই সব বস্তা পঁচা ভয়ের গল্প লিখতো না ।

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ট্রেনের টয়লেট - হ্যাঁ ভালো একটা বিষয় মনে করেছেন। যথা সম্ভব চেষ্টা করি বাইরে টয়লেট না সারতে। সামান্য কিছু টাকা দিয়েই মসজিদ আর মার্কেটের টয়লেট পরিস্কার রাখা যায়...

১০| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:১১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তুলে ধরেছেন এখানে। আসলে আমরা জাতি হিসাবে নোংরা এজন্য টয়লেট আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা নিজেরা নোংরা থাকতে পছন্দ করি; এজন্য সমাজেও এর প্রভাব পড়ে।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:২৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ঠিক তাই। আমাদের এসব সয়ে গিয়েছে। একটা চোট শহরে ২ কোটি মানুষ থাকে। কোন ক্লাস নেই। কোন শৃঙ্খলা নেই। মসজিদ যাও পবিত্রতার জায়গা সেখানেও এই অবস্থা করে রেখেছে...

১১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন।

বেশির ভাগ মসজিদের টয়লেট থাকে বন্ধ। আর বন্ধ না করেই বা কি করবে বাইরে থেকে এত এত্ত লোক এসে নোংরা করে রেখে যায়।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বাইরের লোকই আসলে সমস্যা। তার উপর পুরো দেশে এত ভিখারী, ছিন্নমূল, টোকাই, চোর, ডাকাত। কিন্তু নামাজের সময় খোলা রাখলেও ভালো টয়লেট দিতে সমস্যা কোথায়?

১২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:১৩

হাঙ্গামা বলেছেন: একটা চমৎকার বিষয়ের অবতারনা করছেন। :)
আমার মতামত হলঃ
ঢাকা শহরের সব মসজিদের টয়লেটই পাবলিক টয়লেট হিসাবে ব্যবহার করতে দেয়া বাধ্যতামূলক করা উচিত।
মিনিমাম ছোট কাজ মানে প্রস্রাব করার ব্যবস্থা থাকা এবং সেগুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকা উচিত।
প্রয়োজনে সিটি কর্পোরেশন এ কাজে সহযোগিতা করবে।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সব কিছু নির্ভর করছে স্বদিচ্ছার উপর। টয়লেটের জন্য রুটিন করে ক্লিনার রাখলেই এটা সম্ভব। আর বর্তমানের এই ছোট ছোট প্রস্রাবখানা পাল্টে আধুনিক টয়লেট দিতে হবে...

১৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:১৭

মোগল সম্রাট বলেছেন: এখন অধিকাংশ মসজিদের পরিচালনা কমিটির ধান্ধা থাকে মুসল্লিদের পোন্দাইয়া কেমনে পয়শা আদায় করা যায়। আর সেই পয়সা দিয়া মসজিদের সিড়িতে ইটালিয়ান মার্বেল লাগাবে আর তাতে পাড়া মহল্লায় তাদের নাম উজ্জল হবে, কমিটির সভাপতি হয় এলাকার গুন্ডা, মানষের জমির আইলঠেলা লোক, । এসব লোকদের কাছ থেকে জনহিতকর কোন কিছু আশা করা অর্থহীন।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: দুঃখজনক হলেও সত্যি যে অনেক মসজিদ এখন ব্যবসার উৎস(আসতাগফিরুল্লাহ)। সিঁড়িতে টাইলস, ভেতরে এসি, প্রতি সপ্তাহে লাখ টাকা দান অথচ টয়লেটে অন্ধকার, বদনা নেই, ময়লা...

১৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:১৭

সিগন্যাস বলেছেন: হে হে হে আরো হুজুরেরা বলে যা আছে তাই নিয়ে সন্তুষ্ট থাকো

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: হুজুরেরা বেশী এসব নিয়ে বললে তাদের মিলাদ আর দাওয়াত বন্ধ হয়ে যাবে...

১৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:১৯

গরল বলেছেন: খুব উচ্চমাণের রেস্তোরা ছাড়া দেশের রেস্তোরাগুলোতে টয়লেট নেই, ঠিক সেরকম নতুন নতুন কিছু লাক্সারী শপিং মল ছাড়া গাউছিয়া, হকার্স মার্কেট বা মিরপুর এক ও দশ নং এর শপিং মলগুলোতে টয়লেট নেই। এমনকি সিটি কর্পরেশনের টাউন হল গুলোর টয়লেটগুলো ব্যাবহারযোগ্য না। বাস স্ট্যান্ডগুলোতেও টয়লেটগুলো এতই জঘন্য যে পূরুষেরাও যেতে ভয় পায়। পাবলিক প্লেসগুলোতে মাণসম্মত টয়লেট থাকা বাধ্যতামূলক করা উচিৎ।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: অবশ্যই। এগুলো তো এমনিতেই নাগরিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। আর আমি যেটা পয়েন্ট করতে চেয়েছি যে, সরকারীভাবে এসব না করলেও মসজিদের মুসুল্লীদের পবিত্রতার স্বার্থে তো মসজিদের টয়লেট উন্নত করা যায়। এটা মসজিদ কমিটির দায়িত্ব...

১৬| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯

অর্ক বলেছেন: আপনার পোস্টটি পড়লাম। ভালো লাগলো। এক্কেবারে নির্দোষ পোস্ট। ধর্মের বিরুদ্ধে এমনকি ধর্ম নিয়েও তেমন কিছুই বলা হয়নি। এখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার কথা বলা হয়েছে, যার সঙ্গে বিরাটকার একটা জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যগত দিক জড়িত। ২ নং মন্তব্যকারী পোস্ট যথাযথভাবে না পড়ে বা না বুঝে অহেতুক ভীতিসঞ্চারক আবোলতাবোল মন্তব্য করলেন কেন ঠিক বোধগম্য হলো না! মনে হলো যেন ভীতি প্রদর্শন করে আপনাকে ব্লগিং থেকে বিরত রাখাই তার উদ্দেশ্য। আগে কোনওসময় হলে রিপোর্ট করতাম।

সবই সত্য কথা বলেছেন। একটা মসজিদে দেখলাম লেখা, "মুসুল্লি ছাড়া কেউ মসজিদের টয়লেট ব্যবহার করবেন না।" এবং আরেকটা কথা যা বলা হয়নি, স্বাস্থ্যকর দিক ছাড়াও ইদানীং বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় দেখছি, মসজিদের টয়লেট ব্যবহারের জন্যে টাকা নেয়া হচ্ছে। বেশ কিছু রাষ্ট্র প্রশাসন পরিচালিত মসজিদেও দেখেছি এরকম করতে। ব্যাপারটা যে আগাগোড়া অবৈধ তা বলাই বাহুল্য।

এসব টয়লেটের অপরিচ্ছন্নতা নিয়ে বলে শেষ করা যাবে না। কীটাণু জীবাণুর আখড়া এগুলো। সেভাবে নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। এগুলো যারা নিয়মিত ব্যবহার করে, দেখা যাবে তারা বিভিন্নরকম স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভুগছে।

ইন্ডিয়ার মুম্বাই শহর বা মুম্বাইয়ের মানুষের থেকে এসব বিষয়ে সচেতনতায় একশো বছর পিছিয়ে আছি আমরা। ওখানকার চার্চ গেট স্টেশনের রেল স্টেশনের টয়লেট বাংলাদেশের যমুনা, বসুন্ধরা শপিং মল’র টয়লেটের থেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। ওই দেশের প্রধানমন্ত্রী যদি সেখানে এসব নিয়ে প্রচার প্রচারণা চালায়, তাহলে এখানে...

"পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঈনানের অঙ্গ" এই ধরণের ধর্ম কথা নীতিকথা এই দেশে ফাকা বুলি ছাড়া আর কিছুই না। জন্মের পর থেকে এগুলো শুনে আসছি। এখানে ধর্ম হচ্ছে দু নাম্বারি, ভেজাল, দুর্নীতি, অনিয়ম, অবিচার কালো টাকার দৌরাত্ম্য ইত্যাদি।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ। যে দেশের প্রধান এয়ারপোর্টের টয়লেট-ও 'আপ টু দ্য মার্ক' নয় সে দেশের রেল স্টেশন, বাস স্টেশনের টয়লেটের কী হাল হবে বোঝাই যায়। একটা দেশের রাজধানী এত জঘন্য, নোংরা হতে পারে অথচ এসব নিয়ে কর্তাব্যক্তিদের কোন খেয়াল নেই...

১৭| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩৫

কাইকর বলেছেন: সুন্দর পোস্ট++

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৪২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.