নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/bicharmani

বিচার মানি তালগাছ আমার

বিচার মানি তালগাছ আমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

তারেক রহমানের মোটিভ কী?

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৬:৩২



১. যে কোন খুন/হত্যাকান্ড হলেই গোয়েন্দা/পুলিশের কর্ম পদ্ধতি অনেকটা এরকম(যতটুকু গল্প/উপন্যাস বা ক্রাইম সিরিজ দেখে বুঝেছি) -
* খুনের মোটিভ(কারণ) কী?
* কেউ সন্দেহের বাইরে নয়।
* মৃতের শত্রুদের প্রাথমিক তদন্তে রাখা।
* ইমিডিয়েট বেনিফিশারি কে?
* যাকে জোরালো ভাবে খুনী বলা হচ্ছে সে ধরা পড়ার মত কোন ক্লু রাখবে কিনা বা কাজ করবে কিনা।

২. শেখ হাসিনাকে কারা হত্যা করতে চাইবে? প্রথমেই সন্দেহের তালিকায় আসবে যারা তার পিতাকে হত্যা করেছে তারা। কারণ, শেখ হাসিনা যে বাবার খুনীদের বিচার করবেন সেটা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেই জানিয়ে দিয়েছেন ইনডেমনিটি বাতিল আর খুনীদের গ্রেফতারের মাধ্যমে। তারও অনেক আগে ফ্রিডম পার্টি(বঙ্গবন্ধু হত্যার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত ফারুকের দল) এরকম একটা চেষ্টাও করেছিল। উগ্র মৌলবাদীরাও শেখ হাসিনাকে(উল্লেখ্য ইসলামিক দৃষ্টিতে এপিয়ারেন্সের ক্ষেত্রে খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার চেয়ে নিম্নমানের হলেও মৌলবাদীরা শেখ হাসিনাকে অপছন্দ করে) দেখতে পারে না। কারণ, আওয়ামী লীগের ধর্ম নিরপেক্ষতা ও হিন্দু সখ্যতা অনেক সময় ইসলামের ক্ষতি করে। ২০০০ সালে কোটালীপাড়াতে বোমাও পুঁতে রাখা হয়েছিল শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে। যা পরে প্রমাণিত হয়েছে হরকাতুল জিহাদ করেছিল...

৩. ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল না। ঐ বছর আবদুল জলিলের ৩০শে এপ্রিলের ট্রাম্পকার্ড তারেক আর কোকো ক্রিকেট খেলে উপভোগ করেছেন। বিএনপি-ও ক্ষমতা থেকে সরেনি। জামায়াতের বড় নেতারা তখনও জীবিত ও মন্ত্রীও বটে। বিএনপি তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়ে কথা বলে(তবে এখনকার হাসান, হানিফ, ইনুদের মত না)। তারেক রহমান সিএনজি আর কোকো সিম্যান্স নিয়ে ব্যস্ত। ইন্টারনেট, প্রাইভেট চ্যানেল ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। এখনকার মত তখনও প্রিন্ট ও ভিজ্যুয়াল মিডিয়াতে আওয়ামীদের দাপট। এখনকার মত তখনও সংখ্যাগরিষ্ঠ বুদ্ধিজীবি আওয়ামী পন্থী। আর এখনকার আওয়ামী লীগের মত বিএনপি-ও ভাবত ১৫ বছর তারা ক্ষমতায় থাকবে...

৪. তাই শেখ হাসিনাকে হত্যা করার মত কোন মোটিভই নেই বিএনপি'র জন্য। আর তারেক জিয়া হাওয়া ভবনে বসে শেখ হাসিনাকে হত্যার প্ল্যান করবেন, তার সাথে আরো অনেক সংসদ সদস্য - সিনারিওটা শুধুমাত্র অন্ধ আওয়ামী লীগার রাই ভাবতে পারে। এখন যদি শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়(আল্লাহ না করুক) তাহলে প্রথমেই সন্দেহ যাবে জামায়াতের উপর কারণ, তাদের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি দেয়া হয়েছে অথবা হেফাজতে ইসলামের উপর, কারণ, তাদের অনেক কর্মীকে শাপলা চত্বরে হত্যা করা হয়েছে। ২০০৪ সালে বিএনপি'র জন্য শেখ হাসিনা কোন থ্রেটই ছিল না...

৫. নিকট অতীতে এমপি হওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বীকে খুন করার ঘটনা ঘটিয়েছেন জাতীয় পার্টির কাদের খান, মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে হত্যা করিয়ে। কিন্তু একজন সিটিং প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করাবেন বা প্ল্যান করবেন এতটা বোকা তারেক রহমান নন(পড়ালেখায় যতই দুর্বল হন না কেন)। শেখ হাসিনাকে হত্যা করে বাবর, কায়কোবাদের কী লাভ জানি না। হাইপোথেটিক্যালি মাওলানা তাজউদ্দিন না হয় তার ভাই আবদুস সালাম পিন্টুর সহযোগীতা পেলেও পেতে পারেন। হারিস চৌধুরী ছিলেন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব তিনি তারেক রহমানের সাথে এত মিশতেনও না। তবে জিয়াউর রহমানের(বঙ্গবন্ধু উৎখাতের ব্যপারে) মত এদের কেউ কেউ মুফতি হান্নানের প্ল্যান জেনেও চুপ থাকলেও থাকতে পারেন(হাইপোথেটিক্যালি)...

৬. এটা বাংলাদেশ। এখানে ক্ষমতায় থাকলে দুর্নীতির মামলার সাজা পেয়েও মন্ত্রীত্ব যায় না বরং খালাস দেয়া হয়। আবার খুনীকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা দেয়া হয়। অন্যদিকে চূড়ান্ত রায়ের আগে ক্ষমতার বাইরে থাকা জনপ্রিয় নেতাকে জামিন না দিয়ে জেলে রাখা হয় মাসের পর মাস।

পুনঃশ্চ - এর আগে চাঁদগাজীর এক পোস্টে লিখেছিলাম, জজ মিয়া নাটকের জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ, ডিজিএফ আই-এর বিচার হোক এটা আমি চাই। আর ফেসবুকে বিএনপি পন্থী গ্রুপগুলোতে যে প্রশ্ন গুলো করা হয়েছে সেগুলো এখানে আর দিলাম না...

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:০৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: দেশ থেকে বিতারিত প্রধান বিচারপতি বলেছেন এদেশে সব রায় ফরমায়েশি রায়। বিচারপতিদের কাজ শুধু রায় পড়ে শোনানো। বিচার বিভাগ যেহেতু প্রশ্নবিদ্ধ তাই তাদের কোন রায়ের ওপড়ই জনগনের আস্থা নাই। আওয়ামিলীগএর লোকজন কি বলছে না বলছে সেটার গ্রহনযোগ্যতা কেবলই তাদের দলের মধ্যে , দেশের মানুষের কাছে তার কোন গ্রহনযোগ্যতাই নাই।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:১৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: অ‌নেক গুরুত্বপূর্ণ একটা মন্তব্য ক‌রে‌ছেন। বিচারপ‌তি সিনহা অ‌নেক সত্য কথা ব‌লে‌ছেন। কিন্তু আওয়ামী লী‌গের বিপ‌ক্ষে যাওয়ায় তারা বল‌ছে জামায়া‌তের টাকা খে‌য়ে সিনহা সা‌হেব এসব লি‌খে‌ছেন...

২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:২৪

শিমুল_মাহমুদ বলেছেন: ২১ শে আগষ্টের নারকীয় হত্যাকান্ডের বিচার না করা, জর্জ মিয়া নাটক, অথবা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর উক্তি শেখ হাসিনার ভ্যানেটি ব্যাগে গ্রেনেড ছিল এগুলো এই হত্যার সাথে বি এন পির জড়িত থাকার ইঙ্গিত দেয়।

তারেক বাবা মেজর জিয়ারও জানতেন বঙ্গবন্ধু হত্যার ব্যাপারে কিন্তু খুনিদের তিনিই পুরস্কৃত করেছিলেন।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বিপথগামী বিএন‌পি নেতা জ‌ড়িত থাক‌লেও শীর্ষ নেতা থাকার সম্ভাবনা কম...

৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৩১

ঢাবিয়ান বলেছেন: আওয়ামিলীগের দুঃশাশনের কারনে হয়ত এই ফরমায়েশি রায় জনগনের ওপড় তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না তবে এই রায় আল্টিমেটলি দেশের উপকারে আসবে। এই রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীদের মধ্য আছে লুৎফুজ্জামান বাবর, মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুর রহিম।এছাড়া পুলিশের সাবেক তিনজন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) রয়েছেন যাদের বিভিন্ন মেয়াদের সাজা দেয়া হয়েছে তারা হলেন- শহুদুল হক, মোহাম্মদ আশরাফুল হুদা ও খোদাবক্স চৌধুরী।

আমাদের দেশে রাজনীতিবিদদের সকল অপকর্ম সম্পন্ন করা হয় সেনাবাহিনী ও পুলিশের উচ্চপদস্থ অফিসারদের দ্বারা।এদের আসলেই কঠিন শাস্তি হওয়া উচিৎ।এই ধারা শুরু করার জন্য সরকার একটা সাধুবাদ পেতে পারে।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: দেখা যাক কোথাকার পা‌নি কোথায় গড়ায়। ২ দিন আ‌গে মায়া খালাস পেল...

৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৪

কলাবাগান১ বলেছেন: রাজাকার বান্ধব এক্সরে নিয়ে গুজব ছড়ানো ব্যক্তিরা হাসিনা ভ্যানিটি ব্যাগে করে বোমা এনেছিলেন সেই 'বিশ্বাসযোগ্য' কথাকে কখন গুজব হিসাবে ছড়াবে সেই অপেক্ষায় রইলাম।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এখন কোনটা গুজব, কোনটা ফ্যাক্ট, কোনটা রাজ‌নৈ‌তিক সেটা যাচাই করা যায়...

৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:২৮

চোরাবালি- বলেছেন: সমাবেশের স্থল মুক্তাঙ্গন থেকে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে চলে আছে। তবে বিএনপি কঠোর হলে এর একটা দফারফা হত যে জড়িত থাক না কেন

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:১৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সহমত। বিএনপি তখন অবহেলা করেছিল ব্যপারটা। তবে এফবিআই এবং অন্যান্য তদন্ত সংস্থাকে আওয়ামীলীগও সহায়তা করেনি তখন। আর কেন মুক্তাঙ্গন ছেড়ে আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে(পর্যাপ্ত সিকিউরিটি ছাড়া) সমাবেশ করেছিল তার ব্যাখ্যা আওয়ামী লীগ কখনো দেয়নি...

৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৮

নীল আকাশ বলেছেন: খালেদা-তারেকের নাম বলিনি বলে আমার ফাঁসি - বাবর
সুত্র: 'http://www.mzamin.com/article.php?mzamin=139660'
এটা আমার ভাষ্য না, দৈনিক মানব জমিনে এসেছে......

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:১৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: পড়েছি। সরকার বদল হোক। অনেক রহস্য এখনো বাকি...

৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৫

আবু হাসান লাবলু বলেছেন: তারেক রহমানের মোটিভ কী?[/sb
তারেক রহমান বিএনপির ভবিষত কর্ণধার এটাই মোটিভ।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:১৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আপাতদৃষ্টিতে তাই মনে হয়। কিন্তু তাই বলে সে শেখ হাসিনাকে খুন করাবে আর তার মা সহ উপরের দিকে কোন নেতা জানবে না এটা ভাবা যায় না...

৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


গ্রেনেড আক্রমনের পর, কত ঘন্টা, কতদিনের মাঝে গোয়েন্দারা, ডিজিএফআই বাবর, তারেক ও বেগম জিয়া'কে আক্রমণকারীদের সম্পর্কে জানায়েছিলো বলে আপনার ধারণা?

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:২৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ঐদিন রাতেই খালেদা জিয়া শেখ হাসিনাকে দেখতে গিয়েছিল। তবে আওয়ামী লীগ কর্মীদের বাধার মুখে খালেদার গাড়ি ৩২ নম্বরে যেতে পারেনি। ২/৩ দিনের মধ্যেই এফবিআই এসেছিল তদন্ত করতে। তাদের শেখ হাসিনা সাক্ষাৎকার দেননি। শেখ হাসিনার বুলেটপ্রুফ গাড়ি দেখার অনুমতিও দেয়া হয়নি। তবে আমার মনে হয় এ ধরনের হামলার পর কী করণীয় তা কারোই জানা ছিল না। তার উপর কিছু নেতার 'ষড়যন্ত্র তত্ত্ব'-তে ঐ সময় খালেদা জিয়াও বিশ্বাস করেছিল। সবচেয়ে বড় কথা প্রথমেই সবার দৃষ্টি চলে গিয়েছিল মৌলবাদী গ্রুপের উপর। গোয়েন্দা, ডিজিএফআই, পুলিশ নিশ্চয়ই ধারণা করেনি তারেক রহমান, হারিস চৌধুরী মিলে এটা করেছে। পরবর্তী বছর মানে ২০০৫ সালে আবার দেশ জুড়ে বোমা হামলা ঘটায় জেএমবি। এর পর বিএনপি জঙ্গি দমনে দিশেহারা হয়ে যায়। মুফতি হান্নান, বাংলা ভাই, শায়খ আবদুর রহমানকে গ্রেফতারও করে। এরই মাঝে জজ মিয়া নাটকের অবতারণ করা হয়। এর পরের বছর নির্বাচনী বছর হওয়াতে ২১শে আগস্ট মামলা আর গতি পায়নি...

৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:১৮

সাইন বোর্ড বলেছেন: খুব ভাল বিশ্লেষণ ।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:২৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে...

১০| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:২৩

কে ত ন বলেছেন: আমার প্রশ্ন একটাই,
১) আওয়ামী লীগকে ২০০৪ সালে বিএনপির এত হালকাভাবে নিয়েছিল কেন? তাহলে ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে এত নাটক করল কেন? তখন আওয়ামী লীগকে স্রেফ উপেক্ষা করলেই পারত!
২) গ্রেনেড হামলার তদন্তের নামে এত গড়িমসি করল কেন?

আওয়ায়ামী নাপিতদের কাছে আমার প্রশ্নঃ
- সরকার যখন বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল ঘটনা তদন্তে, তখন আওয়ামী লীগের কোন নেতাই সেই কমিটিকে কোন রকম সহায়তা করেনি। কেন?

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ১) বিএনপি ২০০১ সালে দুই তৃতীয়াংশ আসন জেতাতে ধরাকে সরা জ্ঞান করতে শুরু করে। তারা ভেবেছিল আওয়ামীলীগের পক্ষে আরো অনেকদিন ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব নয়। তার উপর জলিলের ট্রাম্প কার্ড-ও ব্যর্থ হয়ে যায়। ২০০৬ সালে মওদুদের বুদ্ধিতে কে এম হাসানকে তত্ত্বাবধায়ক প্রধান বানাতে চাওয়াতেই যত ঝামেলার সৃষ্টি হয়। তার উপর শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ কে এম হাসানকে বিএনপি পন্থী হিসেবে আন্দোলন শুরু করে দেয়। বাকীটা ইতিহাস...
২) ২০০৪ সালে ২১ আগস্টের ভিডিও ফুটেজ গবেষণা করতেই সময় চলে যায়। ২০০৫ সালে আবার হয় জেএমবি'র এক যোগে বোমা হামলা। নতুন আতংক জঙ্গি হামলা। তখন জঙ্গিদের ধরতেই সময় পার হয়। ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে প্যারা। তাই মনে হয় গড়িমসি করছিল বিএনপি। আর ঐ সময়ের বিএনপি নেতারা ২১ আগস্ট নিয়ে যে 'ষড়যন্ত্র তত্ত্ব' আবিস্কার করেছিল সেটাতে মনে হয় খালেদা জিয়া কনভিন্সড ছিল। তাদের গড়িমসির শাস্তি তো তারা পাচ্ছে এখন...

আওয়ামী লীগারদের কাছে আমারও একই প্রশ্ন...

১১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৮

মো: মাসুদ রানা (এম আর) বলেছেন: বর্তমানে যে সব বিশ্লেষন করা হয় সবগুলো পক্ষ্যপাতিত্ব করে করা হয়।এমনকি যেনারা বিভিন্ন লজিক দেখানো শুরু করছেন এর মধ্যে ২-৩ জন সরাসারি দল কানা, পা চাটা কুত্তা আছে এখানে। নিরপেক্ষ্য যুক্তিমূলক লেখা দেখতে চাই আপনার নিকট হতে।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যে যে দলই করুক না কেন কেউ তাদের টাকা দেয় না ব্লগ লেখার জন্য। দল ক্ষমতায় গেলেও কোন প্রাপ্তি নেই। তবে সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলার দৃঢ়তা আওয়ামী লীগারদের নেই। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করি নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে দেখতে সব কিছু। এক সরকারের আমলে আগের সরকারের নেতার শাস্তি হবে এটাই সাধারণ ঘটনা এই দেশে। তাই আমাদের আরো অনেক দিন অপেক্ষা করতে হবে মূল রহস্য ভেদ করার জন্য...

১২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: পাপ বাপকেও ছাড়ে না।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: তা ঠিক...

১৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:১১

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: সাবেক প্রধান বিচারপতি বলেছেন এদেশে সব রায় ফরমায়েশি রায়।
...................................................................................................
যখন এটা বলা দরকার ছিল তখন বলেন নাই,
এখন ফরমায়েশি কথা উনিও বলছেন ।
যার একাউন্টে একই সময়ে অন্যের লোন খাত থেকে চার কোটি টাকা আসে
তাকে অন্তত কোন রেফারেন্সে না আনাই উত্তম ।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: মন্দ বলেননি। তেনার অমর্যাদা না হলে এত কথা বলতেন না সেটাও সত্য। তবে কিছু সত্য নিজেদের ফেভারে গেলে তা গ্রহণ করতে দোষ নেই...

১৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:২৭

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: সাবেক প্রধান বিচারপতি বলেছেন এদেশে সব রায় ফরমায়েশি রায়।

এইটা সম্পূর্ন বিশ্বাসযোগ্য। বিশেষত তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিচারপতি খায়রুল হকের সংক্ষিপ্ত রায়ে ছিল আরো দুই মেয়াদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকতে পারে, যা পরে বিস্তারিত রায়ে বাদ দেয়া হয়। সরকারী ইচ্ছা বাস্তবায়নের এতটা উৎকৃষ্ট প্রমান থাকার পরে আমরা আর এসব রায় নিয়ে মাথা না ঘামাই।

বিএনপি আমলে তবুও বিচার বিভাগ কিছুটা স্বাধীন ছিল। ৫ম সংশোধনী বাতিলের রায় বিএনপি আমলেই বিচারক ঘোষনা করেন। তার জন্য বিচারককে দেশ ছাড়তে হয় নি। কিন্তু আওয়ামী আমলে এটা চিন্তাও করা যায় না। রায় সরকারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গেলে কি হয় তার প্রমান বিচারপতি সিনহা।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সহমত। যেখানে আওয়ামী লীগের সাথে একটু মত বিরোধ হলেই তাকে রাজাকার, যুদ্ধপরাধী গালি শুনতে হয়। তাদেরই নিয়োগকৃত হিন্দু প্রধান বিচারপতিকেও দেশ ছাড়তে হয়, সেখানে সহজেই বোঝা যায় আওয়ামী লীগের মানসিকতা...

১৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৪১

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন:
"কে ত ন বলেছেন: আমার প্রশ্ন একটাই,
১) আওয়ামী লীগকে ২০০৪ সালে বিএনপির এত হালকাভাবে নিয়েছিল কেন? তাহলে ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে এত নাটক করল কেন? তখন আওয়ামী লীগকে স্রেফ উপেক্ষা করলেই পারত!
২) গ্রেনেড হামলার তদন্তের নামে এত গড়িমসি করল কেন?"

@কেতন, ক্ষমতার রংগিন চশমায় সব কিছুই তুচ্ছ মনে হয়। সেবার বিএনপি ২০০১ সালে এত বেশী ভোট পেয়ে ক্ষমতায় এসেছিল যে ভুলে গিয়েছিল সামনে কঠিন দিন থাকতে পারে। ২০০৬ সালে নির্বাচন নিয়ে সেই বদমায়েসী করে বিএনপি নিজের পায়ে নিজে সবচেয়ে বড় কুড়ালটি মেরেছে। আওয়ামী লীগের মত সাচ্চা ভোট ব্যাংক বিএনপির নেই। বিএনপিকে ক্ষমতায় আসতে হয় সাধারনের ভোটে। সেইটা সেবার ভুলে গিয়েছিল।

গ্রেনেড হামলার তদন্ত নিয়ে বিএনপির গড়িমসির কারন নিয়ে অনেক থিওরি দেয়া যায়। মনে রাখা দরকার বিএনপি কোন ফেরেশতা দল নয়। এখনকার মত বিএনপি আমলেও রাষ্ট্রপতির ক্ষমায় খুনীরা পার পেয়েছে। সুতরাং ২১ শে অগাস্টের বিচার না করার বিষয়টির মানে এই নয় যে গ্রেনেড হামলার সাথে বিএনপি জড়িত। বিশেষত এই গ্রেনেড হামলা বিএনপি আমলের ভিত কাপিয়ে দিয়েছিল। সব মানুষের মনে এক ধরনের ভীতি আর নিরাপত্তাহীনতা কাজ করেছিল। বিএনপি কেন নিজের পায়ে কুড়াল মারবে?

বরং ৫ই মে শাপলা চত্ত্বরের হত্যাকান্ডটি ছিল সরাসরি ক্ষমতাসীনদের মদদে করা।


তা আরেক আলোচিত মামলা কিবরিয়া হত্যা মামলার কি হল? আওয়ামী লীগকে তো এই বিষয়ে বেশী উৎসাহী মনে হচ্ছে না।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ...

১৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: মধ্যম শক্তি মানের চারটি নিউট্রিনো বোমা পৃথিবীর চার কোনায় যদি একই সময়ে বিষ্ফোরণ ঘটানো হয় তাহলে ৯ মিনিট পরে কতটুকু ক্ষয়ক্ষতি হলো তা জানার জন্য পৃথিবীতে একটি প্রানীও জীবিত থাকবে না।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:০৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আপনার তো ৩০ অনেক আগেই পার করেছেন। আরো ৩০ বছর কী পাবেন? তাছাড়া মৃত্যুর সাথে সাথেই সব কিছু দেখা শেষ হয়ে যাবে। তখন পৃথিবী ধ্বংস হোক আর না হোক...

১৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৪৭

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: সকল হত্যাকান্ডের বিচার হওয়া দরকার

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৫৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বিচার কেন হবে না? বিচার না হলে কোন সভ্য দেশ টিকে থাকতে পারবে না...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.