নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১. আসলে হঠাৎ করেই মাথায় চিন্তাটা আসল 'কাল্পনিক ভালোবাসা'র পোস্টে মন্তব্য করতে গিয়ে। মন্তব্যর চুম্বক অংশ - "একই ভিকারুননেসা-তেই এক ছাত্রী ধর্ষণের পর লজ্জা বা আত্মহত্যা না করে সত্য প্রকাশ করে ঐ শিক্ষককে আইনের আওতায় নিয়েছে। তাহলে অরিত্রির জন্য তো ঐ ছাত্রীও প্রেরণা হতে পারত! আর আমরা শুধু শিক্ষকের দোষ দেখছি। আমরা কী আদৌ জানি বাবা মা-কে স্কুলে ডাকার পর বাবা-মাও অরিত্রিকে কোন বকা ঝকা করেছিল কিনা। বাবা বলেছিলেন কিনা এই মেয়ের জন্য এত লাখ খরচ করেছি, মা বলেছিলেন কিনা পাশের বাসার ভাবীকে কীভাবে মুখ দেখাব..."
২. কোন রোগী মারা গেলে যেমন তার স্বজনরা ঘটনা বিশ্লেষণ করার আগেই ডাক্তারদের দোষারোপ করে, ঠিক তেমনি অরিত্রি আত্মহত্যা করার জন্য শিক্ষকদের দায়ী করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, অরিত্রির সামনে তার বাবা মা-কে অপমান করার কারণে সে আত্মহত্যা করেছে। অরিত্রি কি কোন সুইসাইড নোট লিখে গিয়েছিল? তাহলে নিজের অপমান নাকি অভিভাবকের অপমান-এর কারণে আত্মহত্যা করেছিল তা কী করে বোঝা গেল? পত্রিকায় এসেছে, অরিত্রি নিজেও পা ধরে মাফ চেয়েছিল, সেই অপমানও তো আত্মহত্যার কারণ হতে পারে...
৩. পত্রিকার ভাষ্যমতে, "অরিত্রির মা-বাবার অভিযোগ, প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করায় তার মেয়ে দ্রুত বাসায় চলে যায়। পরে তারা গিয়ে দেখে অরিত্রি নিজ রুমে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় আছে।" এই ব্যপারটার জন্য আমরা কি অরিত্রির অভিভাবককে দায়ী করতে পারি না? স্কুলে মেয়েকে নিয়ে গেল এক সাথে। আর মেয়ে নাকি বাবা মাকে রেখে একাই বাসায় চলে আসে। তাহলে বাবা মা কেন সাথে সাথেই থামাল না বা বাসায় চলে আসল না? বাসায় তখন আর কে ছিল? স্কুল থেকে একা এসে রুমে একটা ১৫ বছরের মেয়ে ওড়না নিয়ে ফ্যানের সাথে বাঁধা এরপর ঝোলা ব্যপারগুলো এত সহজ নয়। বাবা মা কীভাবে এতটা কেয়ারলেস হলেন? আগের রাতে বাবা মা তাকে সান্ত্বনা দিয়েছিল নাকি গালি দিয়েছিল?
৪. বটমলাইন হল, অরিত্রি একটা সিস্টেমের শিকার। শিক্ষকও বাড়াবাড়ি করেছে রাগের মাথায়(অভিভাবকও উল্টা পাল্টা কিছু বলেছিল কিনা জানি না)। অভিভাবকরাও তথাকথিত সামাজিক প্রতিযোগীতার কারণে সন্তানদেরকে সব সময় চাপে রাখেন। সন্তানরাও ছোট থেকেই বুঝে যায়, রেজাল্ট ভাল না হলে অভিভাবকদের বকা শুনতে হবে, আত্মীয়দের সামনে লজ্জা পেতে হবে। শিক্ষকরাও কড়াকড়ি করেন, শৃঙ্খলা আনার জন্য। অাত্মহত্যাকারী নিজে মুক্তি পায় কিন্তু পিতা, মাতা, ভাই, বোন, বন্ধুদের চিরদিনের জন্য কষ্টে রাখে - এটা মনে করে আর কেউ যেন এই পথে না যায় সেই কামনা করি...
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৩৫
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: পুরো পরিবেশটাই ইডিয়টিক। শিক্ষক, অভিভাবক দুই পক্ষই সব কিছুতে চাপ সৃষ্টি করেছে। আমাদের দেশের শিক্ষক ও অভিভাবকরা এখনও চাইল্ড সাইকোলজি বিষয়ে অজ্ঞ...
২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:০০
স্বপ্নীল ফিরোজ বলেছেন:
স্কুলের প্রিন্সিপাল ও আরো বেশ কজনের ফাঁসি হওয়া উচিত ।
কসাই হবার আর শিক্ষক হবার যোগ্যতা এক রকম না। এরা কসাই হবার যোগ্যতা নিয়ে শিক্ষক সেজে বসে আছে।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৩৭
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: খালি শিক্ষকের দোষ দিয়ে লাভ নেই। মন্ত্রী, এমপি, অভিভাবক সবাই এই ব্যবসার সাথে জড়িত...
৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: ঘটনাটি আমি নিতে পারছি না!
আমার একটি মেয়ে আছে।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৪
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: পড়ালেখার জন্য বেশী চাপে রাখা যাবে না...
৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: কোন ক্ষমা নেই। দুঃখিত আমি ক্ষমা করতে পারছি না। শিক্ষকের কাজ আর কসাইয়ের কাজ এক নয়। উনারা যোগ্যতায় কসাইয়ের চেয়েও নিম্নতর। তাদের অতিরিক্ত অহমিকা আমাকে ব্যথিত করেছে। উনাদের কঠোর শাস্তি এক প্রাপ্য হয়ে গেছে। উনাদেরকে শাস্তি দেয়া এখন দেশ ও সমাজের কর্তব্য হয়ে গেছে।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৭
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কিছু শিক্ষকেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির সময় হয়েছে...
৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৬
মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: ধর্মীয় শিক্ষার অনুশীলন হতে আমরা যতো দূরে ছিটকে পড়ছি ততই এইসব সমস্যা জোড়ালো হচ্ছে। তাই ধর্মীয় শিক্ষার অনুশীলন বাধ্যতামূলক করা উচিত বলে মনে করি।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪১
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: মনের কথা বলেছেন। এখনকার অভিভাবকরা মনে করে ছাত্রাবস্থায় ধর্ম কর্ম করলে পড়ালেখায় সমস্যা হবে। কেউ ধর্ম কর্ম শুরু করলেও অভিভাবকরা চিন্তায় পড়ে যায়...
৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০১
হাবিব বলেছেন: এর ধায় শিক্ষকদের নিতেই হবে
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: শিক্ষক কি জানত ১৫ বছরের মেয়ে সিনেমা স্টাইলে ওড়না দিয়ে ফাঁস দিবে?
৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪১
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
ভিকারুন্নেসা স্কুলের ছাত্রী অরিত্রি'র সুইসাইড আসলেই দুঃখজনক।তবে এ ঘুড়ির নাটাই'টা ওর বাবা মায়ের হাতে ছিল। যেটা কিনা অন্য হাত দিয়ে সুতো'টা তারাই কেটে দিয়েছিল। শিশু একটা মেয়ে'কে মোবাইল কিনে দিয়ে। এখন না ঘুড়ি'কে দোষ দিয়ে লাভ হবে, না হাওয়ার গতিকে। প্রতিটি স্কুলে কিছু আইন-কানুন বা শাসন থাকাটাও জরুরী, না হলে পোলাপান মানুষও হবে না। শুধু প্রশ্নপত্র ফাঁসের অপেক্ষায় থাকবে। এখানে শিক্ষিকা তার শুধুমাত্র দায়িত্ব পালন করেছে, অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি বা তার প্রতি সহানুভূতি দেখাননি,এখানে শিক্ষিকার দোষ নেই বা কোন ব্যক্তি স্বার্থে তাদেরকে অপমান করেছে।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৩
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এসব বলতে গেলেই সুশীলদের গালি শুনতে হয়। এখন সব দোষ শিক্ষকের...
৮| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৫
জাতিস্মরের জীবনপঞ্জী বলেছেন: ঢাকার এক নামীদামি স্কুলে শিক্ষকতা করার দুর্ভাগ্য হয়েছিল। সেখানকার ছোট একটি ঘটনা বলব। সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্র টার্ম পরীক্ষায় গণিতে ফেল করে। ছাত্রের মা স্কুলের নিচে সপ্তম শ্রেণির অন্যান্য ছাত্রদের অভিভাবকদের সাথে মিটিং করে এই এজেন্ডা নিয়ে যে শিক্ষক তার ছেলেকে পাশ করালে তাদের কোন আপত্তি আছে কিনা। টার্ম পরীক্ষায় ফেল করা আমার কাছে খুবই সাধারণ মনে হয়। ৫-৭ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে টার্ম পরীক্ষায় গণিতে ফেল করার রেকর্ড আছে আমার। আমার ধারাবাহিকতায় মুগ্ধ হয়ে বাবা বিশাল বড় বইয়ের সেটও কিনে দিয়েছেন। তাতে যে আমি পঁচে গিয়েছি তা তো নয়। সেই ফেলগুলো পরবর্তীতে গণিতে ভাল করার প্রেরণা দেয়। বিদ্যালয়গুলো আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই, রাজনীতির পর সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। অভিভাবকেরাও যে দুধে ধোয়া তুলসি পাতা তাও না। শিক্ষকতা করার সময় অভিভাবকদের আচরণে যারপরনাই বিরক্ত হয়েছি। ইগোর স্টীমরোলার তারা সন্তানদের উপর চালান। শিক্ষকদের ব্যাপারে দ্রোনাচার্যকে উদ্দেশ্য করে বলা কৃষ্ণের একটি বাণী তুলে ধরব- "আপনি শিক্ষকই থেকে গেছেন, কখনো গুরু হতে পারেন নি"।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৪
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: পাশের বাসার ছেলে/মেয়ের থেকে কম নম্বর পেলে সন্তানের চেয়ে অভিভাবকের লজ্জাই বেশী হয়। এই হল অবস্থা...
৯| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৮
চোরাবালি- বলেছেন: ভাই আমার মনে হয় অভিভাবকই বেশী দায়ী। কেননা বিভিন্ন পরীক্ষার রেজাল্টের পর প্রতিবছরই কিছু আত্মহত্যা হয় যার জন্য দায়ী অভিভাবক।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৫
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কিছুদিন আগেই একটা ছেলে এসএসসি-তে খারাপ করার পর লিখেছিল বাড়ির সবাই তাকে গালমন্দ করাতে সে আত্মহত্যা করেছে...
১০| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৮
করুণাধারা বলেছেন: আমার একটি মেয়ে আছে, যে বছর বছর দশেক আগে ভিকারুন্নেসা স্কুলে পড়তো। এই স্কুলে কিছু নিয়মকানুন মানতে হয়, বছরের শুরুতে, নতুন ক্লাস শুরু হবার মুখে একটা ছাপানো কাগজ দেয়া হয়, যেখানে লেখা থাকে স্কুলে কি কি করা যাবে না, তার মধ্যে একটা হচ্ছে স্কুলে মোবাইল ফোন নেয়া যাবে না। তারপরও মেয়েরা মোবাইল ফোন নিয়ে যায়, সেটা টিচাররা ধরতে পারলে বাজেয়াপ্ত করেন, কিন্তু তার জন্য টিসি দেয়া হয় না। আমি আমার মেয়ের অন্তত তিনজন সহপাঠীকে টিসি পেতে দেখেছি নানা কারণে। এটা শুধু ভিকারুন্নেসা স্কুলের সিস্টেম নয়, ঢাকার যেকোনো নামি স্কুল, যেখানে তীব্র প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ঢুকতে হয় সেখানে এটাই সিস্টেম, যে সিস্টেম তৈরি করে স্কুলের গভর্নিং বডি, সহযোগিতা করেন শিক্ষকরা। ফলে যেকোনো কারণে স্কুল কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা থাকে ডিসিপ্লিনারি একশন নেবার, অর্থাৎ ছাত্রকে সরাসরি টিসি দেবার। আমার ছেলে যে স্কুলে পড়তো, সেখানেও অনেককে টিসি দেয়া হতো ডিসিপ্লিন ভঙ্গের অপরাধে। এই সিস্টেম গভর্নিং বডি তৈরি করে এ কারণে যে একজনকে টিসি দেওয়া মানে ডোনেশন নিয়ে আরেকজনকে ঢোকানো; এটা এসব স্কুলের একটা লাভজনক ব্যবসা। (পত্রিকার খবরে প্রকাশ, প্রিন্সিপালের সাথে গভর্নিং বডির মেম্বারও উপস্থিত ছিলেন, যখন অরিত্রির মা-বাবাকে অপমান করা হয়)। অভিভাবক হিসেবে স্কুলের সিস্টেম আমার জানা ছিল, আমার সন্তানদের তাই ভালো করে বুঝিয়েছিলাম, ডিসিপ্লিন ভঙ্গ করলে যদি শাস্তি দেয়া হয়, তবে আমাদের কিছু করার থাকবে না; কিন্তু অন্যায় ভাবে যদি কোন শাস্তি দেওয়া হয়, তা হলে আমি নিশ্চয়ই তার পাশে থাকবো।
এখন ধরা যাক আমার মেয়ে নকল করতে গিয়ে ধরা পড়ল, তারপর আমাকে স্কুল থেকে ডেকে পাঠানো হলো। এটা সহজেই বোধগম্য, কোনরকম দয়া দেখানোর জন্য স্কুল আমাকে ডাকে নি, কেন ডেকেছে সেটা যাবার আগেই আমি অনুমান করতে পারব। একটাই ভাবনা থাকবে- স্কুলে অপমানিত হতে হবে, তাছাড়া চেনাজানা সকলের কাছে মাথা নীচু হতে হবে যখন মেয়েকে অন্য স্কুলে নিয়ে ভর্তি করতে হবে।
আপনার কি মনে হয়, এই অবস্থায় আমি মেয়েকে আহ্লাদ করে বলব যে এটা কোন ব্যাপার না, নাকি নিজের মনের জ্বালা মেটাতে সারারাত বকাঝকা করে সকালে স্কুলে নিয়ে যাব? নিজের মনকে প্রশ্ন করুন এবং অকপট উত্তর দিন। আমার উত্তর- আমি তাকে খুব বকাঝকা করব, লোকের কাছে কিভাবে মুখ দেখাবো সেটা ভেবে। তারপর স্কুলে যাওয়ার পর শিক্ষক যখন অপমান করলেন, আমার মেয়েটি শিক্ষকের পায়ে ধরেও ক্ষমা পেল না, তখন শিক্ষকের ঘর থেকে বের হয়ে আরেক দফা বকাঝকা করব, তারপর আমি মেয়ে সহ বাড়ি ফিরে আসব।
কিন্তু এখানে কি ঘটলো! পত্রিকার খবরের দেখা যাচ্ছে, অরিত্রি মা বাবার আগেই বাড়ি ফিরে এলো এবং মা বাবা পৌঁছে দেখলেন অরিত্রি গলায় ফাঁস দিয়েছে, যেটা আপনি তিন নাম্বার পয়েন্টে উল্লেখ করেছেন। এখন আমারও প্রশ্ন, মেয়ে তো মা বাবার সাথে ছিল, সে যখন একা বাড়ি ফিরলো, সে সময় মা বাবা কোথায় গেলেন? অরিত্রি একা বাড়ি ফিরল কেন এবং কি করে? তার কাছে কি বাড়ির চাবি ছিল যে ঘরে ঢুকলো, নাকি অন্য লোকজন বাসায় ছিল যারা দরজা খুলে দিয়েছিল? অরিত্রি যখন ঘরে ঢুকে ফাঁস দিচ্ছিল তখন সেই লোকজন কি করছিলেন? যদি ঘরে অন্য কেউ দরজা না খুলে দিয়ে থাকে, সে নিজে চাবি দিয়ে খুলে থাকে তাহলে মা-বাবা তাকে চাবি দিলেন কেন, একা একা ঘরে ফেরার জন্য? এই প্রশ্নগুলোর উত্তরও জানা দরকার।
আপনার বক্তব্যের সাথে আমি পুরোপুরি সহমত। একজন মা হিসেবে আমি জানি, কতটা ধৈর্য, পরিশ্রম আর স্বপ্ন নিয়ে আমরা সন্তানকে বড় করে তুলি। সেই সন্তানের এমন মৃত্যু সারা জীবনের জন্য যেকোনো মা বাবার জন্য দুর্বহ কষ্টকর বোঝা হয়ে থাকে। এই ঘটনার দায় শুধু শিক্ষকদের উপর চাপিয়ে দিলেই চলবে না, দায় সিস্টেমেরও। আর আমাদের প্রত্যেকের একবার ফিরে তাকানো উচিত- সন্তানদের আমরা কিভাবে মানুষ করছি! জীবনে বহু রকম অপমান, আঘাত, দৈন্য, অসুস্থতা আসতে পারে, আসবেই- সেসব সামলাবার মত শক্তি কি আমরা সন্তানদের জোগাতে পারছি!!!
৭ নং মন্তব্য ভালো লেগেছে।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৯
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আমাদের সমাজে ঘটনার বিশ্লেষণ করার আগেই আমরা সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাই। অভিভাবক হিসেবে সন্তানের ব্যর্থতার জন্য বকা ঝকা হয়তো বা জিনগত কারণে আমিও করব। তাই বলে, এমন কথা বলব না যে সন্তান নিজেই একটা অপরাধবোধে ভূগে ভুল কিছু করে বসে(এই ঘটনার পর তো আরও সতর্ক হতেই হবে...)
১১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪০
জাতিস্মরের জীবনপঞ্জী বলেছেন: সম্প্রতি ভারতে একটা নতুন আইন চালু করেছে- শিশুদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত বই বহন করতে দেয়া যাবে না কারণ এতে আছে তাদের মেরুদণ্ডে চাপ পড়ে। অত্যান্ত যুগপোযোগী সিদ্ধান্ত। আর আমাদের দেশের সিস্টেম হল যার ব্যাগ যত ভারি সে তত পড়ুয়া ও মেধাবী। অস্বীকার করছি না যে সন্তানকে শিক্ষিত করতে বাবা-মাকে প্রচুর ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। তাদের এই ঋণ কখনো পূরণ করা যাবে না। কিন্তু অভিভাবকদের কাছে আমার একটা প্রশ্ন- তাদের ত্যাগ কি সঠিক পাত্রে ফেলা হচ্ছে? আমাদের দেশে সিস্টেমে মারাত্মক সমস্যা আছে,বিদ্যালয়গুলো ব্যবসার স্মার্থে সেগুলোর আরো অপব্যবহার করে। সন্তানদের স্বার্থেই বাবা-মার উচিৎ বিদ্যালয়গুলোর স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদ করা। মোবাইল বর্তমান যুগে অপরিহার্য বস্তু। সব অভিভাবক বাচ্চাদের স্কুলে পৌছে দেন না, সুতরাং তাদের নিরাপত্তা অভিভাবকদের দুশ্চিন্তার বিষয় হওয়াই স্বাভাবিক। যোগাযোগের জন্য মোবাইলের বিকল্প নেই। এজন্য স্কুলে মোবাইল সম্পর্কিত নীতিমালা থাকা প্রয়োজন। আর বিদ্যালয়গুলো যদি ব্যবসাই করতে চায় তাহলে তাদের মনে রাখা উচিৎ অভিভাবকরা তাদের কাস্টমার। কাস্টমারের সাথে কি ধরণের আচরণ করা উচিৎ তথাকথিত শিক্ষকদের অজানা থাকার কথা না।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমাদের সময় বাবা মা বলত, রেজাল্ট টাই আসল, স্কুল যাই হোক। পড়ালেখা নিজের উপর। আর এখন অভিভাবকরা ভাবছেন অমুক স্কুলে ভর্তি হতে না পারলে জীবনই শেষ! এই চিন্তা থেকে না সরে আসলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। ভর্তি ব্যবসা আরও বৃদ্ধি পাবে...
১২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০২
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: এই কবিতা পোষ্ট করেছিলাম তাই অনেকে বিভিন্ন কথা বলেছিলেন। ঘুরে অাসতে পারেন অামার ব্লগটি...
ধর্ষণে কাতর বাংলাদেশ
১৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪০
সাহাবুব আলম বলেছেন: আপনার প্রশ্ন গুলি গত কাল থেকে ঘুরছে দায়ি কে ,হয়তো আপনার প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই তবে দায়ি সকলেই ।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৫
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: একক ভাবে কেউ দায়ী নয়...
১৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০
কবির নাঈম দোদুল বলেছেন: অরিত্রির এ বিষয়টি এত বেশি আলোচিত কেন হয়েছে, সে কারণ আলোচনা করে আমি একটি ব্লগ লিখেছিলাম। ব্লগটি আমার ব্লগ সাইট মুক্ত রসুই থেকে পড়ে আসে পারেন, এখানে যান] পড়তে। চায়লে আমার লেখাগুলোও পড়ে আসতে পারেন।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৮
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ধন্যবাদ। পড়লাম...
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:৪৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
মেয়েটি এই ধরণের অপরাধ কতবার করেছে? কতবার করার পর, মা-বাবাকে জানানো হয়েছে? ছাত্রছাত্রীরা কি ধরণের অপরাধ কতবার করলে, এতবেশী চাপের সৃষ্টি করা হয়? শিক্ষাংগণের জন্য এগুলো ফ্যাক্টর!
মনে হচ্ছে, কম অপরাধে গুরুতর মানসিক চাপ সৃষ্টি করেছে ইডিয়ট শিক্ষিকাটি