নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই দিন হব শান্ত....

বিদ্রোহী ভৃগু

সকল অনাচার আর অনিয়ম জাগায় দ্রোহ.....

বিদ্রোহী ভৃগু › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপ্রকাশিত পান্ডুলিপি

১৪ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৪৪

জীবনের প্রাপ্তি কি?
প্রশ্নের মূখে নিজেকে বড়ই অসহায় মনে হয়!
কেঁচোর মতো গুটিয়ে যাই নিজের ভেতর!

ভাবনা তো ভার্চুয়াল
চেতনা তো অদৃশ্য
আসলেইতো! নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করে হাঁপিয়ে উঠি!

সততা: দুর্বলতা হিসেবে প্রতিপন্ন
কৃচ্ছতা- ব্যার্থতার অনুফল হিসেবে গণ্য
সন্দিহান হই নিজেই- আসলেই তো, কই জিয়ন কাঠি!


ছা-পোষা চাকুরী আর ক্ষুদ্র ব্যবসা
টানাপোড়েনের দিন শেষে সবার প্রশ্নে
বিব্রত বটে! বস্তু জগতে অবস্তুজাত ভাবনা মূল্যহীন;

অসদুপায়, দূর্ণীতি, প্রতারণা বাদ দিলে
সম্পদ আর স্বপ্ন আকাশ জমিন ব্যবধান
ভাব নেই যার সেইতো অভাবী, হাসির তোড়ে বিলীন।

কত যাতনা সয়ে, কত অংগারে পুড়ে
ভাবনায় নিত্য সংগম সূখ; সব পলকে হারায়
হায়! পূঁজিবাদের ভীরে বুদবুদ হয়ে স্বপ্নরা উড়ে যায়;

গুটিয়ে থাকা মনে মানস ভ্রমনে
প্রতিশ্রুতি ভংগে আজো মলাট বদ্ধ হলোনা স্বপ্নেরা
চকচকে শো অফের ভীরে ম্রিয়মান ভাবনারা লাজে লুকায়!

ডায়রীর ধুসর পাতা, আঁকিবুকি শত কথা
অগণন স্বপ্নের বুনন আর জীবনের হিসেব-নিকেশে
খুঁজে পাই কিছু ‘অপ্রকাশিত পান্ডুলিপি’ জীবনের বিনিময়।

ছবি কৃতজ্ঞতা: গুগল


মন্তব্য -৬৮ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (-৬৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৫২

ফয়সাল রকি বলেছেন: প্রকাশিত হোক বা অপ্রকাশিত হোক, কর্মই প্রাপ্তি। অন্তত নিজের কাছে।
লেখায় +++

১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:২০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম
লেখকের কাছে তা পরম পাওয়া।
কিন্তু বস্তাবাদী সমাজ যখন সবকিছূকেই অর্থমূল্যে পরিমাপ করে, তখন তা হয়ে যায় ধুসর পান্ডুলিপি মাত্র।

অনেক অনেক ধন্যবাদ
শুভেচ্ছা আর শুভকামনা অন্তহীন

২| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: যার কর্ম সুন্দর তার সব সুন্দর।
জীবন কিছুই না কিন্তু জীবনকে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে যাপন করতে হয়।

১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া

হুম।
শুভেচ্ছা রইল

৩| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:১৬

করুণাধারা বলেছেন: জীবনের প্রাপ্তি কী!! আমিও তাই ভাবি...

দরকার হবে সাড়ে তিন হাত ভূমি। অন্যের ভূমি দখল করে তাকে পথে নামানোর সময় এই কথা কি মনে পড়েছিল!!

১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৩৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জীবেনর ধ্রুব সত্য!

কিন্তু ক্ষনিক সময়ের প্রয়োজন বড্ড বেশি কাতর করে তোলে!
আবার না হলে চলেও না। আবার হওয়া না হওয়া সামাজিক কোন একক মাত্রা নেই
ফলে চলে অন্তহীন উর্ধমূখি রেস..........
নি:শ্বাস বন্ধ হবার পূর্ব পর্যন্ত!

৪| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:২৪

অর্ণব তনয় বলেছেন: অপ্রকাশিত পাণ্ডুলিপি কষ্টের শিলালিপি

১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যথার্থ অনুভব করেছেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।

লেখকের যতটা তৃপ্তি তার সৃষ্টিকর্মে...
ততটাই ধূসর হয়ে পড়ে মহাকালের প্রয়োজনের বাটখাড়ায়

৫| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




জীবনের মূল্য কি তুমি ছাড়া !
- সেই তুমিটা যে কোনো তুমি হতে পারে! (নারীর জন্য পুরুষ/পুরুষের জন্য নারী হতে হবে জরুরী নয়) সময়ে এক মুঠো ভাতও সেই তুমি হতে পারে!

জীবনে মূল্যবান কিছু পেতে হলে যোগ্য মূল্য দিয়েই তা পেতে হয়।
কবিতা খুব ভালো হয়েছে। +++

১৫ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:৩৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাল বলছেনে ঠাকুর মাহমুদ ভায়া :)
জীবনে মূল্যবান কিছু পেতে হলে যোগ্য মূল্য দিয়েই তা পেতে হয়।

কবিতা ভাললাগা আর প্লাসে অনুপ্রানীত হলাম্
শুভেচ্ছা অফুরান

৬| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:০৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: দিন শেষে সবাই সাড়ে তিন হাত মাটির ঘরে, তবুও আমাদের হুশ হয়না।
শুভ কামনা জানবেন কবি।

১৫ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:৩৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম
সেতো বিয়ন্ড দা রিয়েলিটি - - -
অন্যপারের অজানা ভয়

রিয়েল লাইফই যে ত্যানা ত্যানা কইরে ফেলে ভায়া, তার কোন পারাবার নেই
হা হাহা

অনেক অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা

৭| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৭:৩৪

সোহানী বলেছেন: লাভ নাই বিগু, সব চলে গেছে নষ্টদের দখলে। তুমি ভালো থাকতে চাও তাহলে একাই লড়াই করে যেতে হবে। অবশ্য লড়াই করার মতো শক্তি থাকলেতো.................

১৫ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:৪৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম। জানিতো
জীবনের পল পল দিয়ে দেখছি, শিখছি আর অনুভব করছি
এ লড়াই একারই!

ডাকাত থেকে আউলিয়া হবার ঐ কাহিনিতো জানোই-
সম্পদ লুটের দায় কেউ নেবে কিনা জানতে চাইলে কেউই নিতে চাইলো না। মা, স্ত্রী, পুত্র কন্যা
অথচ এদের সবার জন্যই তো প্রাণপাত!
অত:পর সর্বত্যাগী হয়ে সন্যাসব্রত!

সন্যাসেও এখন স্বস্তি কই! পাহাড়েও রক্ত ঝড়ে !!!
গালোয়ানে ভারত চীন মুখোমূখি
হেরার দখল শয়তান ইবনে সউদদের দখলে!!!!

৮| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু,




মানুষের সারাটা জীবনই আসলে যে এক একটা অপ্রকাশিত পান্ডুলিপি! এখানে কতো যে কাঁটাচেরা , কতো জটিলতা, হাতের লেখা বিদঘুটে হওয়ায় কতো যে পড়তে না পারা অধ্যায়, কতো যে মিলন-বিরহ, কতো যে দ্বন্ধ-সংঘাত, কতো যে বন্ধুত্ব: পাতার পর পাতা উল্টে গেলে যার দেখা মেলে।

তেমন একটি পান্ডুলিপির কথা পাঠককে বলে গেলেন কি এক জটিলতা বিহীন অনবদ্যতায়, সহজ সরলীয়া লেখায়............

১৫ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৩৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কি দারুন করে পুরো কবিতার ছবি এঁকে গেলেন অল্প কথায় :)

অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভায়া
অনুপ্রাণীত, প্রীত এবং কৃতজ্ঞ

শুভেচ্ছা আর শুভকামনা অন্তহীণ

৯| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৩৩

কাছের-মানুষ বলেছেন: জীবন এক বহমান নদী! পাওয়া, না পাওয়া, দুংখ বেধনার নামই জীবন। জীবন মানে প্রবাহ, স্থির মানে এর সমাপ্তি। কেউ পরিপূর্ণ নয় এই জগতে। তবে পুঁজিবাদ আর আমাদের দেশের মত দুর্নীতিপূর্ণ সমাজে ভাল মানুষদের চলা কঠিন, প্রতিনিয়ত ধাক্কা খেতে হয়, ছিটকে যেতে হয়।

কবিতায় ভাল লাগা রইল, মুগ্ধ হলাম।

১৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:১২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কাছের মানুষ ।

চলতি নাম জিন্দেগী
সত্য। কিন্তু অসংখ্য মৃত মানুষের ভীরে প্রাণবন হওয়া কঠিনই বটে!

কবি মজিদ মাহমুদের ভাষায়
এত এত মরা মানুষের সাথে থাকি বলেই কি আমার মরে যেতে ভয়
পুনরায় মরে কিভাবে প্রমাণ করব আমিও মরেই ছিলাম
যে-সব লাশের সঙ্গে বসবাস করি- তাদের খুব কমই সদ্যমরা
তাদের শরীর থেকে কবেই খসে পড়েছে কাফনের বস্ত্র
এমনকি হাড্ডিগুলো প্রায় নেই বললেই চলে
তবু তারা প্রত্যেকে ভাবছে তাদের কাপড় আব্রু ঢাকার মতো অক্ষত
অথচ তারা কেউ মারা গেছে আদম ও ঈভের জীবদ্দশায়
কেউ আব্রাহামের অগ্নিকুণ্ডে
কেউ মারা গেছে সক্রেটিস কিংবা তার শিষ্যদের সাথে
দু’একজন এমনও আছে যারা যিশুর সাথে ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিল
অথবা কেউ কুষ্ঠরোগী, কেউবা বদ্ধ-উন্মাদ
মৃত্যুর পরেও ভাবছে ঈশ্বরপুত্র তাদের সুস্থ করে তুলবেন
হাজার দু’হাজার বছরের মৃত্যুর ভেতর দিয়েই তো আমি হাঁটছি
অবশ্য দু’একবার কেউ জেগে উঠতেও চেষ্টা করেছে
ঘুমের ঘোরে স্লোগান দিয়েছে ইনকিলাব জিন্দাবাদ
কিন্তু তারাও তো আজ মৃত
এই সব সদ্য-মরার দুর্গন্ধে আমি আজ দিশাহারা
আমরা মৃতরা শব সাফসুতর না করে
গলিত শবের উপর ছড়াচ্ছি গোলাপ-জল
এখানে মৃতরাই বহন করছে মৃতদের কফিন
মৃতদের কাছ থেকে দু’এক পয়সা কামিয়েও নিচ্ছে
কেন ভাই তুমি এখনো দাবি করছ জীবিত
তুমি তো ঘুমের মধ্যে হাঁটছ
স্বপ্ন দেখছ

মৃতেদর শহরেই যেন বেঁচে আছি প্রমাণের অন্তহীন চেষ্টা।

অনুপ্রাণীত হলাম।
শুভেচ্ছা আর শুভকামনা অন্তহীন

১০| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:২৮

তারেক ফাহিম বলেছেন: পাঠে মুগ্ধতা।

১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া :)

অন্তহীন শুভেচ্ছা আর শুভকামনা রইল

১১| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মৃত্যু অবশ্যম্ভাবি জেনেও মানুষ অসৎ পন্থা অবলম্বন করে । চমৎকার লিখেছেন ।

১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া

হুম। জীবনকে সম্পূর্ণ আয়নায় দেখতে পায়না বলেই বোধকরি!
শুভেচ্ছা রইল

১২| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৪

জুন বলেছেন: ভৃগু আমিও এমন করেই একটা সময় পর্যন্ত নিজের জন্য অনেক ভেবেছি , কেদেছি পর্যন্ত । তারপর ছেলের সাফল্যের জন্যও । তার প্রতিষ্ঠার জন্য । পরে নিজেই নিজের মনকে স্বান্তনা দিয়েছি । বলি অনেকের চেয়ে ভালো আছি , মাথার উপর ছাদতো আছে , দু বেলা দু মুঠো জুটেতো যাচ্ছে অনেকের তো তাও নেই। এ ব্যাপারে অনেক বড় বড় মনিষীর বানী পড়েছি । কিন্ত গতকাল আনন্দবাজার পত্রিকায় বলিউড অভিনেত্রী সোহা আলী খানের কথাটি ভালোই লাগলো । আসলে আমরা কিসের পেছনে দৌড়ে যাচ্ছি সারাটি জীবন ।
জীবনের মুখোমুখি হতে ভালবাসেন সোহা। সাফল্যের পাশাপাশি ব্যর্থতাকে মেনে নেন জীবনের অংশ হিসেবেই। তাঁর কাছে জীবন উপভোগ করার। সাফল্য আর খ্যাতির পিছনে দৌড়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতা নয়।
কবিতাটিতে ভালোলাগা রইলো অনেক :)
+

১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম। ভাবনার গভীরতা চোখে জল আনে বৈকি।
জীবনের পূর্নচিত্র কেউ এঁকে দেয়না বলেই এত শুন্যতা
ভোগবাদে বা পূজিবাদেও একটা সময় পরে এই শুন্যতা তীব্র ভাবে গ্রাস করে।
তখন তারা ডুবে থাকে এলকোহলে বা ডিজেতে!

সোহা আলী খানের ভাবনা শেয়ারে কৃতজ্ঞতা।
ভাললাগা আর প্লাসে অনুপ্রাণীত হলাম
শুভেচ্ছা আর শুভকামনা রইল অফুরান

১৩| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কবিতায় দারুণ বাস্তবতা ফুটে উঠেছে। সত্যিই তো ছাপোষা জীবনের অনেক চাওয়া-পাওয়া পাণ্ডুলিপি হিসেবে অপ্রকাশিতই থেকে যাবে।
পতৌদি কন‍্যার কথা যেমন জুনাপু উল্লেখ করলেন, আবার ব্লগার জুলেভার্ন ভাইয়ের বাসায় তালা ঠিক করতে আসা মেকানিক যে কিনা মাত্র কয়েক বছর আগে এক সার্কিটে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কোনক্রমে জীবন যুদ্ধ উতরে গেছে।আগাছার মত বেঁচে না থেকে ঠিকই করেছিল জীবনকে সমর্পণ করতে।কিন্তু মুহূর্তের মূল্যবোধের​ঝলকানিতে সে জীবনকে নতুন করে দেখতে শিখলো।"জীবন তো একটাই... তাহলে নিজ থেকেই মরবো কেন? "
কবিতায় ভালো লাগা। ++
শুভেচ্ছা নিয়েন শ্রদ্ধেয় কবিভাই।

১৬ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:১৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় পদাতিক দা'

হুম, জুলভার্ণ ভায়ার শেয়ার করা তালা মেকানিকের দারুন দর্শন উজ্জিবীত করে বটে।
মানুষ কোন অবস্থাতেই হেরে যায় না। অবিরাম চেষ্টার নামইতো জীবন!

কবিতা ভাললাগা আর প্লাসে প্রীত ও কৃতজ্ঞ
অনেক অনেক শুভকামনা রইল

১৪| ১৭ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৪৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: কি দারুন লেখাটা! জীবন মানেই অপ্রকাশিত পান্ডুলিপি।

১৭ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ কবিতা পড়ার প্রহর

প্রতিটি জীবনই এক গোপন মহাকাব্য !
অন্তহীন শুভেচ্ছা রইল

১৫| ১৭ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



একেই বলে গনমুখী কবিতা । সরসরি প্রিয়তে ।
সমাজ সংসার ও গনজীবনের সাথে সংম্লিল্ট অনেক গুপ্ত, সুপ্ত ও প্রকাশিত ইতিকথা উঠে এসেছে অসাধারণ কাব্য গাথায়।
কবিতাটি পাঠে মনে ভেসে উঠে ইরানের প্রাচীন তুস শহরের যে এলাকায় মহাকবি ফেরদৌসী বাস করতেন, সেখানে তিব্র অভাব ছিল পানির। জনসাধারণের পানির সেই অভাব দূর করার জন্য কবির ইচ্ছা ছিল সেখানে একটি খাল কাটার। কিন্তু পয়সার অভাবে তা করতে পারছিলেন না। ঠিক সে সময় গজনির সুলতান মাহমুদ কবিকে একটি মহাকাব্য রচনার অনুরোধ জানান। আর প্রতিশ্রুতি দিলেন মহাকাব্যের প্রতিটি শ্লোকের জন্য তিনি কবিকে একটি করে স্বর্ণমুদ্রা দেবেন। সুলতানের প্রতিশ্রুতি শুনে কবির মন আনন্দে ভরে উঠল। তিনি ভাবলেন, মহাকাব্য রচনা শেষে সুলতানের কাছ থেকে একসঙ্গে মুদ্রাগুলো নেবেন, যাতে ওই মুদ্রা খরচ করে পানির জন্য খাল কাটা যায়। তিনি লিখতে বসলেন। কেটে গেল মাসের পর মাস, বছরের পর বছর । অবশেষে দীর্ঘ ত্রিশ বছরে ৬০ হাজার শ্লোক লিখে তিনি শেষ করলেন তার মহাকাব্য রচনার কাজ।

এবার পাওনা বুঝে নেওয়ার পালা। সুলতান মাহমুদ কবিকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে ৬০ হাজার স্বর্ণমুদ্রাই দিতে চাইলেন। কিন্তু রাজদরবারের হিংসুটে কয়েকজন কবি ও উজির সুলতানকে পরামর্শ দিলেন, কবিকে ৬০ হাজার স্বর্ণমুদ্রার পরিবর্তে ৬০ হাজার রৌপ্যমুদ্রা দিলেই যথেষ্ট হবে।(এখনো গনমুখী কবিদের কৃর্তীতে শুধু সভাসদ নন খুদ সুলতান শুধু ঈল্মান্বিতই নন কুপিতও হন ) । যাহোক সুলতান তার সভাসদদের ঈর্ষা বুঝতে না পেরে কবিকে ৬০ হাজার রৌপ্যমুদ্রাই দিলেন। কিন্তু কবি দুঃখে, ক্ষোভে সেই রৌপ্যমুদ্রাগুলো অভিনব কায়দায় প্রত্যার্পন করেন ।সুলতান কবির আচরনে রাগান্বিত হন ও ফেরদৌসীকে ধরে আনার নির্দেশ দেন। পরে সুলতান তার ভুল বুঝতে পারে এবং তাকে স্বর্ণমুদ্রা পাঠিয়ে দেন। কিন্তু ততদিনে কবি মৃত্যুবরণ করেছেন। তার কন্যা সে স্বর্ণ মুদ্রা গ্রহণ করেন নি। অনেক ভাল কাজ করার পরেও শুধুমাত্র তার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ ও কবির প্রতি এমনতর আচরনের কারণে হাজার বছরের ইতিহাসে সুলতান হয়ে থাকলেন কুক্ষাত আর কবি পরম শ্রদ্ধা ভরে জগত মাঝে চীরভাস্কর হয়ে আছেন সগৌরবে।

তাই প্রিয় কবিবর, দুঃখ মনে না পুষে রেখে সানন্দ চিত্তে লিখে যান অবিরত । হাজার ভক্ত কুলের কাছে চীর ভাস্কর হয়ে রবেন জনম ভরে ।

শুভেচ্ছা রইল


১৭ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জীবনের সকল দু:খ ক্লেশ, কষ্ট যন্ত্রনা, পাওয়া না পাওয়া কষ্ট সব মুছে যায় এমন কিছু ক্ষনে, কথায় আর ভালবাসায় :)
হ্যাটস অফ প্রিয় ড. এম এ আলী

আপনার বৃহৎ হৃদয়ের মহত অনুভবের অনন্য প্রকাশে বো করছি।
এমন উৎসাহ আর অনুপ্রেরণাই দিন শেষে লেখনিতে বুদ করে রাখে
মূল্যায়নের পর্বান্তরে সম সাময়িকতাকে উৎরিয়ে মহাকালের স্বপ্নে ছবি আঁকে মন
একটি হৃদয়েও যদি রয়ে যায় সামান্য স্মরণ - আহা বুঝি ধন্য জীবন।

আবারো অনেক অনেক ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
হৃদয়ে গাঁথা রইল আপনার অমর অনুপ্রেরনা গাথা।
অন্তহীন শুভেচ্ছা আর শুভকামনা রইল

১৬| ১৭ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


হৃদয় নিংরানো প্রতি মন্তব্যটি দেখে গেলাম ।
আর আগের বার যাওয়ার পথে প্রিয় বাটনটি
চাপার কথা ভুলে গিয়েছিলাম । এখন সংশোধন
করে গেলাম । নীজ ভুলের জন্য দুঃখিত ।
শুভেচ্ছা রইল

১৯ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পুন: মন্তব্যে আবারো কৃতজ্ঞতা

আহা, অমন করে বলবেন না প্রিয় ভায়া
টুপি খোলা অভিবাদন নিন

আপনার জন্যেও অন্তহীন শুভকামনা

১৭| ২০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ভাবনারা অদৃশ্য হতে পারে, তাতে কি তাদের মূল্য কমে? প্রেমও তো অদৃশ্য, কিন্তু সেটা ছাড়া তো পৃথিবী থেমে যাবে!

ভাবুকরা ভাববে, হিসেবকারীরা হিসেব কষবে। তাতে কোন সমস্যা নেই, কিন্তু একে অন্যের সাফল্য মাপতে গেলে বড়ই সমস্যা। যারা এভাবে অন্যের সাফল্যের হিসেব করতে যায়, তাদেরকে কিছু কথা শুনিয়ে দেবেন। আপনি উল্টো নিজের ওপরে ক্যালকুলেটর/মেজরিং টেপ/প্রটেকটর নিয়ে বসে গেলেন! এসব আপনাকে মানায় না। সাধকের সাধনা, কবির ভাবনা তো এসবের ঊর্ধ্বে চলার ক্ষমতা তৈরী করে নেয়। নিচের কথাগুলো আপনার সাথে খুব যায়;

The Road Not Taken - Robert Frost

Two roads diverged in a wood, and I—
I took the one less traveled by,
And that has made all the difference.

শেষ লাইনটা অসাধারণ। আমাদের সবার জীবনের গল্প যেন এক লাইনে লিখে দিলেন। অর্থ/ক্ষমতা/প্রেম এগুলো থাকুক না থাকুক, সকল মানুষেরই কমন একটা জিনিস থাকে, সেটা হলো, একটি অপ্রকাশিত পান্ডুলিপি!

পোস্টে ++++++++++!

২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন মন্তব্যে মনটা ভরে গেল।

তবে ক্যালকুলেটর/মেজরিং টেপ/প্রটেকটর পড়ে হাসলাম প্রাণখুলে :)
দারুন বলেছো সখি, সাধকের সাধনা, কবির ভাবনা তো এসবের ঊর্ধ্বে চলার ক্ষমতা তৈরী করে নেয় -
তা নিয়েইতো চলে সাধক কবিগণ!

রবার্ট ফ্রষ্টের উদ্ধৃতিতে হ্যাটস অফ শুভেচ্ছা :)
"আই টুক দা ওয়ান লেস ট্রাভেলড বাই
এন্ড দ্যাট হ্যাজ মেইড অল দা ডিফারেন্স!"

হাজার অবহেলার পর, হাজারো অবজ্ঞার পর
এমন একটি কথা - ফিনিক্স চেতনায়
দেয় অন্তহীন প্রেরণা চড়াই উৎরাই পেরুতে
হিসেবের খাতা ছুড়ে ফেলে, আবারো
ডুবে যায় মন - অন্তহীন ভাবনার অসীম সমুদ্রে।

সদ্য প্রয়াত শিল্পপতি বাবুলের শেষ সময়ের কিছু বর্ণনা এসেছে কোন এক জার্নালে।
ফেসবুকে দেখলাম ঘুরছে ওয়ালে ওয়ালে. . .
আপ্রাণ আকুতিতে ডাক্তারদের বলছিলেন- আমার সব সম্পদ নিয়ে যান, তবুও আমার যন্ত্রনা একটু কমান
আর এক বাস্তবতা- আপনজন কেউ ছিল না পাশে! না স্ত্রী, পুত্র, কন্যা কেউ না! ছিলেন যারা তারা কেউ
পেইড এটেন্ডেন্ট আর অফিসের চাকুরীজীবি কর্তারা!

মনটা আপনাতেই বিষন্ন হয়ে যায়, এমন ক্ষনে। নয়?
হায় কিসের জন্য তবে সারাটা জীবনের এই উদভ্রান্ত দৌড়!
সেইতো জীবন খাতায় শেষ পাতায় কেবলই শুন্যতা, অসীম শুন্যতা!!!

এত্তগুলান প্লাসে এত্তগুলান কৃতজ্ঞতা

অনেক অনেক ভাল থেকো জনম জনম
ভাল রাখুন সকল কালে, তোমায় পরম।।



১৮| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:০১

এস এম ইসমাঈল বলেছেন: দিঘ্য দিন বিরতির পর ফিরে এসে আপনাকে পেয়ে আমি আননদিত

২৩ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আস সালাম ভাইজান
হুম অনেক দিন পর। আমারও ভাল লাগছে আপনি এসেছেন।
করোনায় নিরাপদ আছেন আশা করি।

১৯| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৮

লরুজন বলেছেন: মিয়া বাই, বাস্তবতা নিয়া কবিতা লেখছেন গো।

২৪ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অমন কইরা ডাকলেন!!!
মনটা কিরাম হইয়া গেল!

আমারে তো শের শায়রী ভাই ডাকে ম্যা’ভাই। আপনিও কইলেন !

অনেক অনেক ধন্যবাদ।
হুম
চেষ্টা করেছি। আপনাদের অনুভবে আসায় কিছুটা সার্থক হয়েছে মনে হলো।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর শুভকামনা রইল

২০| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩১

লরুজন বলেছেন: @সাড়ে চুয়াত্তর আমারে ব্লক কইরা রাখছে।
মনে লয় ইসলাম ধর্ম তার ব্যক্তিগত ধর্ম।
যাওকগা, আমার বক্তব্য তারে জানায়া দিবেন দয়া কইরা।

“এক দল কহে নূরের তৈয়ারী আর এক দল কহে তিনি সাধারন মাটির তৈয়ারী।
আমরা কোন দলে যামু?

এক কাম করেন আফনারা দুই দল মিল্যা মাইরপিট করেন।
যেই দল জিতব তারে সাপোর্ট করুম।
ঠিক আছে........”

২৪ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা

আমি আলাপ শুরু করছি। দেখি কতদূর যাওন যায়! নাকি ব্লক খাই ;)

মনে লয় ইসলাম ধর্ম তার ব্যক্তিগত ধর্ম।
ভালা কইছেন। ইরাম অনেক গ্রুপ আছে। কেউ রিয়াল খাইয়া কেউ না বুইঝা তিন নাম্বার
বাচ্চার মতো লাফায়! ইগনোর করা ছাড়া উপায় নাই।



আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.