![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দোষ তাদের নয় যারা ইসলামের বিরোধিতা করছে। দোষ তাদের যারা পুরোপুরি না বুঝেই এ বিষয়ে অন্যকে তর্কে ডাকছে এবং তর্কের সময় সঠিক যুক্তি উপস্থিত থাকা অবস্থায়ও জ্ঞানের অভাবে উপস্থাপন করতে পারছে না। এবং যারা ইসলামের পক্ষ নিয়ে তর্ক করছেন তাদের বাচন ভঙি দেখে মনে হয় না যে তারা ব্যাক্তিগত জীবনে নিজেরা যথেস্ট ইসলামিক।(তাদের পোস্টে যথেস্ট গালি দেখতে পাই)।
আর দ্বিতীয় কথা হল- বিজ্ঞানের যে কোন বিষয় নিয়ে দুই একটা বই পড়ে কেউ কিন্তু নিজেকে মহা জ্ঞানী মনে করে তর্কে জড়ায় না। কিন্তু ইসলামের ব্যাপারে দুই একটা বই পড়েই আমরা নিজেদের কে যথেস্ট জ্ঞানী মনে করে অযথাই পক্ষে-বিপক্ষে তর্কে জড়িয়ে পড়ছি।
যেকোন সিস্টেমের ই ভাল মন্দ দুই দিক দিয়ে বিচার করা সম্ভব। কিস্তু বিচার করার আগে তো পুরো সিস্টেম সম্পর্কে আমাদের বিস্তারিত জানতে হবে। আংশিক জ্ঞান নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে কোন দিকেই তর্ক করা ঠিক নয়।
“কোরান একটা বই, লেখক মোহাম্মদ নামের এক লোক প্রায় ১৪০০ বছর আগে। আরবীতে লেখা। বাংলা এবং ইংরেজী অনুবাদ দুইটাই পড়া আছে।”
আরিফুর রহমান এর এই উক্তি নিয়ে যারা ক্ষুব্ধ তারা কিন্তু এটা ভুলে যাচ্ছেন যে কথাটা মোটেও নতুন নয়। শত শত বছরের পুরাতন। আর এত দীর্ঘ সময়েও এর ফলে ইসলামের মোটেও কোন ক্ষতি হয় নি। আর এ কথার কি জবাব দিতে হবে তাও কুরআনেই দেওয়া আছে। কিন্তু ক্ষুব্ধ ব্যাক্তিরা কেউই যেহেতু জবাবটা দিতে পারেন নাই তাই আপনাদের নিজেদের ইসলামের জ্ঞান নিয়ে যথেস্ট চিন্তার অবকাশ আছে। আর এভাবে না জেনে তর্ক করার ফলে ইসলামের ইমেজ নস্ট করার কারনে আপনাদের নিজেদের গুনাহ হতে পারে কি না সে ব্যাপারে একটু চিন্তা করতে পারেন।
অন্যদিকে, কিছু লোক যদি মনে করেন যে কোন ধর্ম বিশ্বাস ছাড়াই তাদের জীবন চলবে তবে তা একান্তই ব্যাক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু যারা ধর্মে বিশ্বাস করতে চায় তাদেরকে বেহুদা আঘাত করে এরাইবা কোন উদার মনবৃত্তির পুরিচয় দিচ্ছে। দুই একটা ধর্মের বই পড়ে যেমন ধর্মে পক্ষে তর্ক করা ঠিক নয়, ঠিক তেমনি দুই একটা এথিইস্ট এর বই পড়েই ধর্মে বিপক্ষে তর্ক করাটাও ঠিক নয়। তর্ক করতে হলে দুই দিকেই পুর্ন জ্ঞান থাকা বাঞ্চনীয়।
২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ১০:৪৮
কোলাহল বলেছেন: আপনার কথাটা ভেবে দেখার মত। অহেতুক বিতর্ক ডেকে আনা কোন বুদ্ধিমানের কাজ নয়। পৃথিবীতে আস্তিক নাস্তিক সব ধরনের লোক আছে এবং প্রত্যেকেরই নিজস্ব চিন্তা ভাবনা আছে। এখানে একজনের কথা আরেকজনকে মানাতেই হবে এমন কোন কথা নেই। চ্যালেঞ্জ দেয়ার দ্বায়িত্ব কে কাকে দিয়েছে ?
৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ১০:৪৯
চে বলেছেন: যঃঃঢ়://িি.িসঁশঃড়-সড়হধ.পড়স/অৎঃরপষবং/শধংবস/রহফবী.যঃস প্প্ব প্প্ব েপ্প্বক্ষ্মপ্প্ব্ত্রপ্প্ব্যপ্প্ম প্প্বঙ্প্প্মপ্প্বেক্ক প্প্বক্ষ্মপ্প্মপ্প্বেুপ্প্বজ্জপ্প্ব্তপ্প্ম প্প্বক্ষ্মপ্প্ম্ক প্প্ব্রপ্প্ম্নপ্প্ম েপ্প্ব্বপ্প্মপ্প্বেুপ্প্বমপ্প্ম েপ্প্ব্রপ্প্বজ্জপ্প্বক্কপ্প্মপ্প্ব্যেপ্প্মম
৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ১০:৫৩
কানা বাবা বলেছেন: সত্যদার পোস্টে এইবিষয়ে একটা মন্তব্য করেছিলাম।
স্বতন্ত্র পোস্ট হিসেবে দেয়ার জন্য ৫।
৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ১০:৫৭
আবুল কালাম বলেছেন: -----একটা ধর্মের বই পড়ে যেমন ধর্মে পক্ষে তর্ক করা ঠিক নয়, ঠিক তেমনি দুই একটা এথিইস্ট এর বই পড়েই ধর্মে বিপক্ষে তর্ক করাটাও ঠিক নয়। তর্ক করতে হলে দুই দিকেই পুর্ন জ্ঞান থাকা বাঞ্চনীয়।
--আপনার কথাটাই মহা সত্য কথা । যারা একথার সাথে একমত নয়, তাদের জন্য আমার লেখা 'একটি লাল মরিচ'-এর উপহার রইলো । আপনার লেখার জন্য অবশ্যই ৫ দিব ।
৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১২:২৮
আইকোনাস ক্লাস্টাস বলেছেন: @ আবুল কালাম, কানাবাবা, কোলাহল, চে, আর অবশ্যই বিজন ব্যাথা,
আবুল কালামের দেওয়া “একটি লাল মরিচ” আমি সানন্দে গ্রহন করলাম। বুঝতেই পারছেন, কানাবাবা, কোলাহল, চে, আর আবুল কালাম সমর্থিত বিজন ব্যাথার লেখার বিরোধিতা করার জন্যেই লিখছি।
ধরে নিলাম নিচের প্যারাটাই বিজন ব্যাথার মূল বক্তব্য:
“দুই একটা ধর্মের বই পড়ে যেমন ধর্মে পক্ষে তর্ক করা ঠিক নয়, ঠিক তেমনি দুই একটা এথিইস্ট এর বই পড়েই ধর্মে বিপক্ষে তর্ক করাটাও ঠিক নয়। তর্ক করতে হলে দুই দিকেই পুর্ন জ্ঞান থাকা বাঞ্চনীয়”।
আমার বিরোধিতার কারন আমি আশা করছি আমার explication থেকেই বেরিয়ে আসবে... আর তা যদি না হয়, তাহলে I will definitely spell it out. এই explication এর কাজটা করতে হলে আমাকে প্রথমে এই বক্তব্যের ভিতরে কি আছে সেটা একটু পরিস্কার করতে হবে...
১। ধর্মের দুই একটা বই পড়ে ধর্মের পক্ষে তর্ক
এই কথাটা কি নির্দেশ করে যে আমাদের সবাইকে রীতিমত আলিম বা মুফতি বা সেই জাতীয় কেউ হতে হবে ধর্মের পক্ষে তর্ক করার জন্য? আমার নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা, সমাজ, পরিবার, স্কুল, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, নিজের চিন্তা-ভাবনা – এই সব কি কিছুই না?
দুই একটা বই পড়লে তো আমি দুই একজনের point of view জানতে পারলাম, কিন্তু তার চাইতে ঢের বেশীতো আমি অন্যভাবেই জেনেছি – সেটাকে না count করার পেছনে যুক্তিটা আমার কাছে একেবারেই পরিস্কার না। এমন ভাবার কি কোন স্বতঃসিদ্ধ কারন আছে যে বই এ লেখা আছে বলেই তা মুখের কথার চাইতে বেশী দামি বা কিছু? তাছাড়া, বই তো শুধু একটা মতেই লেখা হয় না... যার যা মত, সে সেই মতের উপর ভিত্তি করেই এক একটা বই লেখে। শেষমেষ পাঠকরা নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে, বিভিন্ন মতের প্লাস-মাইনাস দেখেশুনে (এই যে “দেখেশুনে নেওয়া” – এটাই আমার argument এর মূল বিষয়) নিজেই নিজের সিদ্ধান্তে আসে। এক ই রকম একটা প্রসেস এর ভিতর দিয়ে আমরা সবাই বেশীর ভাগ সময় যাই... এই জীবন যাপন ই এক ধরনের বই পড়া... সেটাও একদম কম কিছু না মোটেই। সঠিক ভাবে নিজের অভিজ্ঞতার উপর আলো ফেলতা পারলে আর কোন বই ই হয়তো পড়ার দরকার হবে না কারো কোনদিন! (আবারো – এই “সঠিক ভাবে নিজের অভিজ্ঞতার উপর আলো ফেলতে পারা” টাই কিন্তু আসল ব্যাপার, at least আমার এই লেখার ক্ষেত্রে।)
২। এথিইস্ট এর দুই একটা বই পড়ে ধর্মের বিপক্ষে তর্ক
ধর্মের বিপক্ষে তর্ক করাটাও আমার কাছে এক ই রকম। একটা উদাহরন দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করি: আমার এক বন্ধুর মাকে আরো অনেক মহিলাদের সাথে উনাদের নিজেদের গামেই একটা গাছের তলায় নির্মম ভাবে brush fire করে মেরে ফেলে পাকিস্তানী সৈন্যরা। তখন আমার বন্ধুটা ওর মায়ের কোলেই ছিল। মা তার শেষ চেষ্টায় উপুড় হয়ে তার বাচ্চাকে ঠিকই বাচিয়ে ফেলেছিলেন... মায়ের রক্তমাখা জীবন নিয়ে ও এখনো বেচে আছে – হয়েছে দুইটা ফুটফুটে বাচ্চার বাবা।
বড় হতে গিয়ে আমার এই বন্ধু জানতে পেরেছে খোদাতায়ালার অসীম দয়ার কথা – জানতে পেরেছে খোদার চাইতে দয়ালূ আর কেউ নেই, জানতে পেরেছে খোদা সর্বজ্ঞ, জানতে পেরেছে খোদা সর্বক্ষমতাময়... কিন্তু এর সাথে সাথে সে আরো জানতে পেরেছে যে দুনিয়াতে অনেক অনেক খারাপ কিছু হয়, যা জানতে ওর বেশীদূর যেতে হয়নি... নিইজের জীবনের শুরুর দিকে তাকিয়ে যা বুঝার ও বুঝে নিয়েছে। এতো কিছু জানার পর, ওর মনে প্রশ্ন জেগেছে – খোদা যদি সব ই জানেন, সব ই করতে পারেন, আর সেই সাথে উনি যদি অসীম দয়ালু হন, তাহলে কেন এই পৃথিবীতে এত খারাপি থাকবে। কেন তাহলে ৭১ এর সেই দিনটাতে ওর মা সহ অন্য অনেক মহিলা-শিশুকে সেই প্রান দিতে হয়েছিল? উত্তর খুব সহজে আসেনি – সমাজ সংস্কার অনেক বাধা হয়ে দাড়িয়েছিল, কিন্তু তারপর ও উত্তর এসেছে ওর কাছে... সেই উত্তর তার নিজের মনের ভিতর থেকেই উঠে এসেছে, যা নাকি পরে সে দস্তয়েভস্কির Brothers Karamazov পড়তে গিয়েও পেয়েছিল... উত্তর হল, খোদার ব্যপারে ঐ সব তথ্যের নিশ্চই কোনটা না কোনটা ঠিক না। হয় খোদা যা চান তার সব করতে পারেন না, না হয় তিনি সব কিছু জানেন না তাই করার ক্ষমতা থাকলেও করা হয় না, অথবা তিনি সন ই জানেন আর পারেন কিন্তু করেন না কারন তিনি অত দয়ালু না যত না আমরা ভাবছি।
আমার বন্ধুর তেমন কোন বই পড়তে হয়নি এসবের কিছুটা বুঝতে... যদিও দস্তয়েভস্কির লেখায় সে সেটাই পেয়েছিল অনেক পরে। তার নিজের উপলব্ধিই তাকে জ্ঞানের বিভিন্ন পথের দিকে তাকে চালিয়েছে এর পর থেকে... অনেক মানুষের সাথেই তার এসব নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্ক হয়েছে, অনেক যায়গাতেই তাকে অনেক ই নাজেহাল হতে হয়েছে এই কারনে, কিন্তু মুক্ত বুদ্ধি চর্চার এক অদম্য বাসনা তাকে তাড়িয়ে নিয়েছে... সে থেমে থাকেনি। অথএব, সম্ভব – বই খুব একটা না পড়েও তর্ক করা সম্ভব। তর্ক বিতর্ক আর জ্ঞান সাধনা শুধু একাডেমিক শিক্ষা প্রাপ্ত এলিটদের বাপের সম্পত্তি না!
৩। দুই পক্ষের পূর্ন জ্ঞান
পূর্ন জ্ঞান, তাও আবার দুই পক্ষের ই – ওরে বাবা! এই রকম জ্ঞান কার আছে? আমার তো মনে হয়, পূর্ন-জ্ঞান এজগতে কোন দিন ই কারো ছিল না... humanly impossible একটা ব্যপার এটা। আমরা যদি পূর্ন জ্ঞানের অপেক্ষায় থাকি, তাহলে আমরা কেউ ই কোন দিন কোন কথা বলতে পারবো না... তর্ক-বিতর্কতো দূরের কথা। কিন্তু কেন আমাদের সেই দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে সেটাই তো বুঝতে পারলাম না। আরে মানুষ কি তর্ক করে শুধুমাত্র নিজের পয়েন্টটা আরেকজন কে গলাদ্ধকরন করানোর উদ্দেশ্যে? আমার তো তা মোতেই মনে হয় না। বরং, আমার ধারনা, তর্ক বিতর্কের মুল কথা হল একটা informed judgment এ পৌছানো। এতে argument এর দুই পক্ষেরই লাভ হয়... দুপক্ষই জ্ঞানের পথে এক ধাপ এগিয়ে যায়। সকম জ্ঞান নিয়েই যদি আমি তর্ক করা শুরু করি, তাহলে তো তর্-বিতর্কের মূল উদ্দেশ্যই তাতে ব্যাহত হবে, তাছাড়া, যে সব ই জানে, সে কেন আরেকজন সব-জানা মানুষের সাথে কথা বলতে যাবে বা interested feel করবে?
Response:
আমার মনে হয়, জ্ঞান বলতে আসলে আমরা simply information এর কথা বলি... যেখানে বলা উচিত তথ্য, সেখানে আমরা বলি জ্ঞান। জ্ঞান আসলে অনেক তথ্য থাকলেও অনেকের ঠিক তখনো আসে না (প্রেসিডেন্ট বুশ), আবার অনেকের তেমন কোন তথ্যের ভান্ডার না থাকা সত্তেও অনেক জ্ঞান থাকে (লালন)। আর যার কিছুটা হলেও জ্ঞান আছে, সেতো নির্বিগ্নে তর্ক করতে পারে তার সেই জ্ঞানের ভিত্তিতেই, তাই না? জ্ঞানহীন অথচ তথ্যে ভরপুর একডেমিক্স দের সংখ্যা তো প্রচুর – ওদের নিয়েই তো সমস্যা বেশী, তাই না?
আমার চিন্তায়, তর্ক করার জন্য প্রয়োজন শুধু মাত্র জ্ঞান আহরনের সদিচ্ছা, একটু যুক্তি জ্ঞান, আর অভিজ্ঞতা। অনেকে বলেন এই অভিজ্ঞতা না থাকলেও চলে, যদি তার যুক্তি জ্ঞান ভাল থাকে। আমার কাছে অভিজ্ঞতা না থাকা ব্যপারটাই একটু অদ্ভুত – অভিজ্ঞতা তো বেচে থাকলে হবেই... সেটা না থাকার কোন প্রশ্নই আসলে নেই...
তবে কি দাড়ালো এখন? আমরা কি তর্ক বিতর্ক করতে পারি নির্ভয়ে (তা সে যেই বিষয়েই হোক না কেন – ধর্ম, বিজ্ঞান, সমাজ, দর্শন, ইত্যাদি ইত্যাদি)? নাকি, তর্কের শুরুতে বলে নিয়ে হবে আমি কোন পক্ষের কি কি এবং কয়টা বই পড়েছি?
৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১২:৩৭
অচেনা বাঙালি বলেছেন: ব্যাং! আইকোনাস।
তবে মনে হয়না পাত্রে ধরবে।
৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১২:৪৬
আইকোনাস ক্লাস্টাস বলেছেন: ধরাতে না পারার মত তেমন কিছুই তো লিখি নি... কিন্তু, আসল কথা মনে হয়... ধরাতে চাওয়া। কি জানি?
৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:০৭
শাহীন - চট্টগ্রাম বলেছেন: ভাল পোষ্ট, সবার বক্তব্যই গঠলমূলক, যৌক্তিক ও শালীন হওয়া উচিত।
১০| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:১০
`হাসান বলেছেন: ভালো পোষ্ট পরে সময় পেলে পড়ে নিব
১১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:১৮
দ্বিধা বলেছেন: আইকোনাস ক্লাস্টাস, আপনাকে স্টিকি করা হলো ।
১২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:৩৪
চে বলেছেন: আইকোনাস, এত প্রান্জলভাবে লেখেন কি করে! আমি সত্যিই অভিভূত। তথ্য এবং জ্ঞান আমরা প্রায়ই গুলিয়ে ফেলি। তবে বিজন ব্যাথার মন্তব্যে আমার সমর্থনের একটা উদ্দেশ্য ছিল, তা হচ্ছে ধর্ম বিষয়ে তর্ক করতে আমরা প্রায়ই রেফারেন্স ছাড়াই একটা বিষয়ে কোট করি, আরেকজন এসে বলে ঐটা সঠিক না কারন এর কোন দলিল নেই ইত্যাদি ইত্যাদি। তাই ভাল মত জ্ঞান (তথ্য) অর্জন করেই ভাল বিতর্ক সম্ভব যেটাতে সত্যের কাছাকাছি না পৌছুতে পারলেও বিভ্রান্তি কাটানো যায়। আমি পরের মন্তব্যে সেটা পরিস্কার করার চেস্টা করেছিলাম কিন্তু একটি লিংকের কারনে মন্তব্যটা পড়া যাচ্ছে না।
১৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:১০
আলমগীর আহসান বলেছেন: সবার মন্তব্যই খুব ভালো লেগেছে। আমার প্রিয় পোষ্টে যোগ করলাম।
১৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:২৩
অচেনা বাঙালি বলেছেন: আইকোনাস , আপনার এইখানের কমেন্টটা নিয়া একটা পোস্ট দেন তো। প্রিয়তে এড করে রাখি।
১৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:৩৯
বিজন ব্যাথা বলেছেন: আইকোনাস ক্লাস্টাস :
অনেক ধন্যবাদ আপনার সুদীর্ঘ কমেন্ট এর জন্য।
**“বিজন ব্যাথার লেখার বিরোধিতা করার জন্যেই লিখছি।”**
আপনার বিরোধিতা স্বাদরে গ্রহন করছি।
**“এই কথাটা কি নির্দেশ করে যে আমাদের সবাইকে রীতিমত আলিম বা মুফতি বা সেই জাতীয় কেউ হতে হবে ধর্মের পক্ষে তর্ক করার জন্য? আমার নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা, সমাজ, পরিবার, স্কুল, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, নিজের চিন্তা-ভাবনা – এই সব কি কিছুই না?”**
আপনি বোধ হয় একটু বুঝতে ভুল করছেন! আমি কোথাও বলিনি যে কারো নিজের চিন্তা শক্তি পাশে সরিয়ে রেখে শুধুমাত্র ধার করা মতের সাহায্যে তর্ক করতে। আমি বলছি কোন বিষয়ে অল্প জ্ঞান নিয়ে তা সম্পর্কে গোড়া তর্ক করাটা ঠিক নয়। কারন তাতে অমঙলই বাড়ে।
ধরেন কেউ জীববিজ্ঞান সম্পর্কে জানতে চায়। শুধু বাড়ির আশেপাশের টিকটিকি আর তেলাপোকাদের পর্যবেক্ষন করে কি তার জ্ঞান পরিপক্ক হবে? তার সামনে দুটো পথ আছে -১) জীববিজ্ঞান মেজর নিয়ে ভর্তি হয়ে যাওয়া অথবা ২) সেলফ স্টাডি। এর মাধ্যমে তাকে এ বিষয় সম্পর্কে তথ্য আহরন করতে হবে। তার পরে সে আহরিত তথ্যের উপর নির্ভর করে নিজের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এবং অনেক ক্ষেত্রেই তা যুক্তি সঙত কারনে অনেকের সাথেই দ্বিমত পোষন করতে পারে। তা না করে সে যদি শুধু মাত্র নিজের পর্যবেক্ষন এর উপর নির্ভরশীল থাকে তবে তার জ্ঞান চিরকাল শিশু অবস্থায়ই থেকে যাবে। আর এ ধরনের স্বল্প জ্ঞান নিয়ে তর্ক করার ফল খারাপ ।
এ কথাটি যদি বিজ্ঞান এর জন্য সত্য হয়ে থাকে তবে ধর্মের ক্ষেত্রেও তা নয় কেন?
আর এ ধরনের স্বল্প জ্ঞান নিয়ে তর্ক করার ফল খারাপ তার উদাহরন এ সাইট এ প্রচুর।
ধর্ম নিয়ে তর্ক করার জন্য মুফতি হওয়া হয়ত বাধ্যতামূলক নয় তবে তর্কের সময় নির্ভরযোগ্য তথ্যের উপস্থাপনের জন্য ন্যুন্যতম ধমীয় জ্ঞান থাকা উচিত। সেটা কেউ ধর্মের পক্ষে বলুক বা বিপক্ষে।
আপনি মওলানা হন অথবা এথিইস্ট , কোনটাতেই আমার ব্যাক্তিগত কোন সমস্যা নাই। আমি এ ব্লগে ধর্ম প্রচার করতে আসি নাই। কিন্তু, এখানে দেখি ধর্ম এবং এন্টি ধর্ম এদের নিয়ে প্রচুর কাদাজল ছোড়া ছুড়ি করছে। তাতেও আমার কোন সমস্যা নাই। কিন্তু যারা এবিষয়ে এত তর্ক করছেন তারা নিজের পক্ষের বিষয় সম্পর্কে কত টুকু জেনে তর্ক করছেন ?
যারা ধর্মের পক্ষে বলছেন তাদের অনেকের পোস্টে আমি গালি দেখতে পাচ্ছি। ধর্ম ভাল কি মন্দ তা না হয় নাই বলি কিন্তু কোন ধর্মইত গালিদিয়ে ধর্মের পথে আহব্বান করতে বলে বলে আমার জানা নাই।
অন্যদিকে যারা ধর্মের বিপক্ষে তাদের পোস্ট গুলোতে যুক্তি নির্ভর মন্তব্য দুর্লভ।
প্রত্যেকেই কেবল নিজের অবস্তানে থেকে চিতকার করছে।
যে কেউ ই তর্ক করবে পারে। তবে তাতে যেন নির্ভরযোগ্য তথ্যের উপস্থাপনের মাধ্যমে যুক্তির ভিত গুলোকে দৃঢ় করা হয়। আর নির্ভরযোগ্য তথ্যের জন্য কি করা দরকার তা আপনি আমার চেয়ে ভালই জানেন......আশাকরি।
১৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৩০
ফিরোজ খান বলেছেন: বিজন, আপনি ও তো কোন যুক্তির আয়াত দিলেন না, নিজে প্রতিবাদ করতে পারেন না, আবার পন্ডিতি করেন, আমরা যা জানি তাই নিয়ে প্রতিবাদ করেছি, সেটা হয়তো অল্প কিন্তু কোথায় অল্প আর কোথায় স্বল্প তা কিন্তু আপনি বলেননি। আল্লাহ আপনাকে অধিক জ্ঞানী হবার তৌফিক দান করুন, আর বিজন যেহেতু আপনি কুরআনের কথা বললেন, তাহলে আপনাকে আলী (রা একটা হাদিস বলি-আল্লাহ যাকে ইচ্ছা দ্বীন সর্ম্পকে গভীর ও সুষ্পস্ট জ্ঞান দান করেন, বলছি না যে- আমার মধ্যে জ্ঞান আছে, কিন্তু সীমিত জ্ঞানের মাঝে প্রতিবাদের ভাষা আছে, আপনার কি আছে? আর আপনি এও জানেন, দ্বীন আর দুনিয়া দুটোরই জ্ঞান মহানবী (স) এর মধ্যে ছিল, এক্ষেত্রে একটু চাষাবাদ নিয়ে বির্তক থাকতে পারে, তার একটা উদহারন আছে, আপনি যদি বলেন পীথাগোরাসের সুত্র তাহলে হয়তো মানতাম তা আমি পারিনা, যদি বলেন জটিল কোডিং এর ভয়ানক কে ল্যাঙগুয়েজ প্রোগাম, তাহলে হয়তো পারি না, কিন্তু ভাইজান আপনারা যারা পারেন, তারা কেন করেন না।
১৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬
কানা বাবা বলেছেন: @আইকোনাস ক্লাস্টাস,
সত্যদার পোস্টটা রিলেভ্যান্ট মনে হওয়ায় লিন্ক অ্যাড্রেস দিলাম।
Click This Link
মন্তব্যগুলি দেখতে পারেন। বই পড়া না পড়া কোনো ফ্যাক্টর না সেটা আমিও বলেছি; ধর্মপ্রবক্তাদের কয়জন লাইব্রেরী ওয়ার্ক করে ধর্মবিষয়ক দীক্ষা দেয়ার রসদ সংগ্রহ করেছেন? বই পড়লে নানাজনের নানান মত জানা যায় মাত্র (এটা প্রধান কিংবা উপেক্ষনীয় কোনোটাই নয়); বই থেকে তথ্য ব্যাপন কিংবা অভিস্রবন প্রক্রিয়ায় পাঠকের মগজে ঢুকামাত্রই জ্ঞানে পরিণত হয়না ('অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন'মাত্রই কি 'শিক্ষিত'?)। হাজারো পথ থেকে নিজের পথটাকে বেছে নেয়ার কাজটা বিস্তর আয়াসসাধ্য (যদি নিতেই হয়)। অন্য যে পথগুলোকে আমি হাঁটার অযোগ্য মনে করলাম সেই অযোগ্যতার কারনগুলো অন্তত আমার কাছে 'ক্রিস্টাল ক্লিয়ার' থাকতে হবে। এটাই প্রকৃত জ্ঞান। আর সেটা অর্জন করতে চাইলেই আমাকে নিরপেক্ষ মানদন্ডে যাচাই করে দেখতে হবে অন্য পথ ও মতের উপযুক্ততা; কারন যুক্তির কষ্টিপাথরে যাচাই না করা'তক ভিন্নমতকে হীন (কিংবা হীনতর) বলাটাই অযৌক্তিক এবং জ্ঞানের ধারনার পরিপন্থী। প্রকৃত উপলব্ধি আসার পূর্বে (পরে তো অবশ্যই) আপাতঃউপলব্ধির চর্চা করতে বাধা নেই কিন্তু চাইলেই আমি আমার উপলব্ধিকে (এমনকি আমার মতে তা চূড়ান্ত হলেও) অন্যের চেয়ে শ্রেয় প্রমান করতে পারবো না; কারন আমি যে প্যারামিটারের সাপেক্ষে আমার পথের শ্রেষ্ঠত্ব খুঁজে নিয়েছি সে প্যারামিটার কি ধ্রুব? উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে কুরআন কিংবা ত্রিপিটক কিংবা বাইবেল-এর কথা। আমি হয়তো বাইবেলকে অভ্রান্ত ধরে নিয়ে তার আলোকে "হেদায়েতের পথ" পেলাম কিন্তু যে বাইবেলকে বেইস হিসেবে নিচ্ছেনা তার সাথে তো আমার কোনোদিনই মিলবে না, তাইনা? ধরুন আমি ব্যক্তিগতভাবে ইসলামের ব্যাপারে কোনো হাদিস*কে প্রামাণ্য হিসেবে গণ্য করিনা; তাহলে আমাকে কে 'আশারায়ে মুবাশশারা' সম্পর্কিত প্রচলিত ধ্যানধারনা গেলাতে পারবে? বিশেষ করে ভিন্নমত বিবেচনা করার মিনিমাম সহনশীলতা যদি আমার না থাকে (আপনি যেটাকে বলেছেন "আহরণের সদিচ্ছা")?
@বিজন,
মন্তব্যটা আরো বড় হতে চাচ্ছে; কিন্তু ক্ষ্যান্ত দিলাম। ইতোমধ্যেই হয়তো দৃষ্টিকটু রকমের বড় হয়ে গেলো। দুঃখিত এবং ধন্যবাদ।
১৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:০৭
আরিফুর রহমান বলেছেন: @কানা বাবা
দৃষ্টিকটু তো হয়ই নি বরং চালিয়ে যাবার জন্য বলতে চাই।
১৯| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ৭:৪৯
সূর্য বলেছেন: ঠিক, দুই-তিনটা বই পইড়া নিজেরে সবজান্তা মনে না কইরা, শুধু একটা পড়লেই আলমের সব জ্ঞান পাওয়া যায়, এইটাও জানে না এইসব মুর্খরা!
সব লাইব্রেরী পুইড়া লাও, স্কুল-কলেজ বন্ধ কর।
২০| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:১০
সারওয়ারচৌধুরী বলেছেন: চমতকার পোস্ট
চমতকার আলোচনা
৫
সেই সাথে অধমের দু'টি কথা-
মানুষকেই প্রজ্ঞার চর্চা করা উচিত আমৃত্যু। আবার ব্যক্তি বা সামস্টিক মানুষের প্রজ্ঞা সব সময়ই প্রশ্নবিদ্ধ থাকে। পূর্ণতা প্রাপ্তি হয় না। শুধু দেখতে হয় অন্বেষণে সততা আছে কি না। আর গোঁয়াতুমি করে, রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে মেধা চর্চা করলে তা আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবেই।
২১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:২৪
অন্যরকম বলেছেন: নীল বাটনে টিপ দিলাম!
২২| ০৫ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৮:৩৩
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: অতীত আর বর্তমানের ব্লগিং এ আকাশ পাতাল পার্থক্য মন্তব্য দেখেই বুঝা যায়। এরকম পোস্ট এখন দিলে গালির বন্যা বয়ে যেত!
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ১০:৪৬
চে বলেছেন: দুই একটা ধর্মের বই পড়ে যেমন ধর্মে পক্ষে তর্ক করা ঠিক নয়, ঠিক তেমনি দুই একটা এথিইস্ট এর বই পড়েই ধর্মে বিপক্ষে তর্ক করাটাও ঠিক নয়। তর্ক করতে হলে দুই দিকেই পুর্ন জ্ঞান থাকা বাঞ্চনীয়
ঠিক বলেছেন। ৫