![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গ্রামের তরুণ-তরুণীরা সেজেছেন। ভিন্নরূপে সাজিয়েছেন বর-কনেকে। নবদম্পতিকে বরণ করতে ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে হলুদের ডালা। এরপর নেচে-গেয়ে আনন্দ-উল্লাস করে দেয়া হলো বিয়ে। এমনই ঘটা করে এক ব্যাঙ দম্পতির বিয়ে অনুষ্ঠিত হলো কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের হাওরাঞ্চলে। ওই অঞ্চলের প্রায় ৯৫ শতাংশ অধিবাসীর দৃঢ় বিশ্বাস চৈত্রের খর তাপে ব্যাঙের বিয়ে না হলে বৃষ্টি হবে না। তাই তো গ্রামেরপাড়া মহল্লার ছোট্ট ছেলে মেয়েরা চালায় বরুণ ফুল ডালায় সাজিয়ে ব্যাঙ এবং ব্যাঙিকে বসিয়ে কাঁদায় লুটো ফুটো খেয়ে সংগ্রহ করছে ছাল, ডাল, টাকা । ওসব দিয়ে শিরনি তৈরি করে বৃষ্টির জন্য পালন করবে মানত। আঞ্চলিক ভাষায় গেয়ে থাকেন নানা রংগের গীত । যেমন বড় বাড়ির বউ বড় আশা করি, একশের দুই শের চাল না দিলে কিশের আশা করি, নবী শূন্যের শীতল মেঘও হইলো না-আল্লা মেঘ দে পানি দে ছায়া দেরে তুই আল্লা মেঘ দে- হউরি (শাশুড়ি) কয় দেম দেম বউ যে বোলে না,-কইত্যে আনছে বান্দইরে বউ চাল তো দিল না,-ঠাট্টা করা যায় এমন জনের নাম বলে হমুকের মার নাকে খালি মেঘ পড়বে ভারী ভারী,-ইত্যাদি। ওই অঞ্চলে বর্তমানে চলছে ইরি-বোরো ফসলের মওসুম । মাঠের পর মাঠ নীল-সবুজের কোলাহল। তীব্র খরতাপে পুড়ে যাচ্ছে ক্ষেতের ফসল। চলছে বিভিন্নভাবে প্রার্থনা।
©somewhere in net ltd.