![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে নতুন এই ট্রেন সেবার উদ্বোধন করে অভিযোগ করেন, বিরোধীদল হরতালের নামে রেলপথে নাশকতা চালাচ্ছে।
কুমিল্লায় বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটানোর জন্য রেল লাইনের ফিশপ্লেট খুলে রাখলেও চালকের সর্তকতায় রক্ষা পাওয়া গেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “এক হাজার লোককে হত্যার জন্য ফিশপ্লেট খুলে ফেলা হয়েছিল।”
রেলওযের যে সব সদস্যের জন্য এই দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে- তাদেরকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
দেশের বিভিন্ন স্থানে রেল লাইনে আগুন এবং নাশকতা সৃষ্টির জন্য ফিশপ্লেট খুলে রাখার মতে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
রেলওয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং রেল লাইনের দুই পাশের জনগণকে সজাগ থাকার আহবান জানিয়ে হাসিনা বলেন, “আমরা তো করে দিচ্ছি। জনগণকে এই সম্পদ রক্ষা করার দায়িত্ব নিতে হবে। পাহারাদারের দায়িত্ব নিতে হবে।”
প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলের রাজনৈতিক কর্মসূচির সমালোচনা করে বলেন, “এদের আন্দোলন মানেই মানুষ হত্যা। এরা পাকিস্তানিদের মতো মানুষ হত্যা করছে।”
“ইট দিয়ে মাথা থেতলে মানুষ হত্যা করছে। কী জঘন্য তাদের মনোবৃত্তি”, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিরোধীদলের হরতালের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “হরতাল ডাকছেন। এটা আপনাদের অধিকার। কিন্তু যারা দিন আনে দিন খায়- তাদের কী সুবিধা হচ্ছে? উৎপাদিত পণ্য তো বাজারজাত হচ্ছে না।”
“এরা হরতাল ডেকে এয়ারকন্ডিশন ঘরে মুরগির ঠাং চিবান আর সিনেমা দেখেন”, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিরোধীদলের বিরুদ্ধে হরতালসহ ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালনোর অভিযোগ এনে শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা তো যুদ্ধাপরাধীদের ধরে ধরে গুলি করছি না। তাদের বিচার হচ্ছে।”
দুটি ডিজেল ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট দিয়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে এ ট্রেনসেবা দেওয়া হচ্ছে। অনুষ্ঠানে বলা হয়, এই ট্রেন চালুর ফলে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের যাত্রীদের আসা-যাওয়া সহজতর, দ্রুততর ও আরামদায়ক হবে।
রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানান, প্রায় ৪২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০ টি ডিইএমইউ ট্রেন চীন থেকে আমদানি করা হচ্ছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে সবগুলো ডিজেল ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট দেশে আসবে। এই প্রকল্পের জন্য সরকারের ব্যয় হবে ৬৫৫ কোটি টাকা।
ধাপে ধাপে চট্টগ্রাম, জয়দেবপুর, লাকসাম, কুমিল্লা, আখাউড়া, সিলেট, রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও লালমনিরহাটে মিটারগেজ রেলপথে নতুন এই ট্রেন চালু করা হবে।
ডিজেল ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিটের প্রত্যেকটিতে দুই পাশে দুটি ইঞ্জিনসহ তিনটি বগি থাকে।
শেখ হাসিনা বলেন, “ট্রেন সার্ভিস বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী যোগাযোগ ব্যবস্থা। ব্রিটিশ আমল থেকেই দেশজুড়ে ট্রেন নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে। মানুষ ট্রেনে কম খরচে ও নিরাপদে বিভিন্ন গন্তব্যে আসা-যাওয়া করতে পারে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা চাই সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা সহজ, উন্নত এবং যোগাযোগ সহজ করা। আমরা ধনীকে ধনী বানাতে ক্ষমতায় আসি নাই।”
“রেল ও নৌপথ সবচেয়ে অবহেলিত ছিলে। কিন্তু, সবচেয়ে কম খরচে মানুষ যাতায়াত করতে পারে রেল ও নৌপথে। কিন্তু, দুঃখজনক হলো, এই খাতে বাজেটে সবচেয়ে কম বরাদ্দ দেওয়া হতো”, যোগ করেন হাসিনা।
রেলওয়ের উন্নয়নে বর্তমান সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলোর কথা প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে তুলে ধরেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, স্থানীয় সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আবুল কালাম আজাদ এবং রেলের মহাপরিচালক আবু তাহের।
২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫১
এই আমি সেই আমি বলেছেন: ক্ষমতা হারাইলে আবার তারাই হরতাল ডেকে এই ট্রেনে আগুন দিবো।[/sb
কি করবে সেটা কলপনা করে এখনই ......................। কিন্তু বর্তমানে কারা কি করছে সে ব্যপারে কোন বিকার নেই । যেন সবই ঠিক আছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯
ভিটামিন সি বলেছেন: বা**র ট্রেন আনছো। ছয়মাস পরে এই ট্রেন একটা ধোলাইখাল, একটা কমলাপুর, একটা সৈয়দপুর, একটা মৈনসিং, একটা পাহাড়পুর, একটা মায়ানমার আর ৩টা ভারতে থাকব সার্ভিসিং এর জন্য। অথচ এই টাকা দিয়ে ৪টি বড় ইঞ্জিন আর ১০০টি বগি কেনা যেত মিটার গেজ বা ব্রডগেজের জন্য। ক্ষমতা হারাইলে আবার তারাই হরতাল ডেকে এই ট্রেনে আগুন দিবো।