নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহিত্যপ্রেমী, কবিতানুরাগী নিজেকে ভাববার প্রয়াস পাই। facebook.com/bikrampori

আবদুল হান্নান বিক্রমপুরী

করি আঁধারের সাথে খুনসুটি/ থাকি অভাজন নীরব শমিত/ ডাকি অদৃশ্য নিরাকার সত্বা

আবদুল হান্নান বিক্রমপুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাসূল-যোগে কবিতার প্রমাণ

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৬

ডানকান ব্লাক ম্যাকডোনাল্ড The religious Attitude and life in Islam (পৃ. ১৮-১৯.শিকাগো ১৯০৮) বইয়ে লিখেন—হযরত মুহাম্মদ (সা.) কাব্যের সমর্থক ছিলেন না। তবে হযরত হাসসান (রা.) নিজের কাব্যে তাঁর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পূর্ণভাবে বজায় রাখতেন। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি তাঁর শত্রদের কুৎসা এবং ধিক্কারের দাঁতভাঙা মোক্ষম জবাব দিতেন। আর হযরত হাসসান (রা.) এ বিষয়ে ছিলেন সিদ্ধহস্ত বাতিলের বিরুদ্ধে ছিলেন খড়গহস্ত। হযরত মুহাম্মদ (সা.) তার জন্য মসজিদে মিম্বরের ব্যবস্থা করতেন। হযরত হাসসান যখন মিম্বরে দাঁড়িয়ে কাব্যের মাধ্যমে ইসলামের শত্রুদের বুকে তীর বিদ্ধ করতেন, তখন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তার পাশে বসে মনোযোগ সহকারে শুনতেন এবং সাবাশ দিয়ে তাকে আরো উৎসাহী করে তুলতেন। এ ধরনের অল্প কিছু ঘটনাতেই তিনি কাব্য সমর্থন করেছেন। ইসলাম কাব্যের বিপক্ষে নয়। তবে কাব্যের অর্থ বা ভাবধারা অশ্লীল হলে তার প্রতি ধিক্কার জানায় এবং তাকে অত্যন্ত ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখতে বলে। পক্ষান্তরে কাব্যের ভাবধারা এবং অর্থ ভাল হলে তার প্রতি শুধু সার্বিক সমর্থনই জানায় না বরং তা প্রশংসার দৃষ্টিতেও দেখে। আল-কুরআন শুধু কল্পনার জগতে বিচরণ করা কবি ও তাদের কাব্যের নিন্দা করেছে। পাশাপাশি ইসলামী ভাবধারার, সৎস্বভাবের ঈমানদার কবিদেরকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে। আরবের কবিসম্রাট ইমরাউল কায়েসের যখন নিন্দাবাদ ব্যক্ত করে জাহান্নামী কবিদের নেতা বলে আখ্যায়িত করেন, তখন নিজের দরবারের কবি হযরত হাসসান (রা.)-এর প্রশংসাও করেছিলেন। যখন হযরত মুহাম্মদ (সা.), ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাব্যে দুর্নাম ছড়ান হতো, তখন নবী (সা.) হযরত হাসসান (রা.)কে বলতেন, হাসসান! রাসূলের মিনারে শত্র“দের দাঁতভাঙ্গা জবাব দাও। দরবারে নববীর এই বিখ্যাত কবি নবীর গুণাবলী এবং বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করতেন, ইসলামের চিরস্থায়ী সৌন্দর্য তুলে ধরতেন। আর এর মাধ্যেমে শত্র“দের এমনভাবে জবাব দিতেন যে, তাদের মুখে কোন সাড়া-শব্দ থাকতো না। যে কোন বিষয়ে যে কোন জ্ঞান হোক না কেন তা যদি সততার উন্নতি, সুষ্ঠু জীবন যাত্রা এবং সমাজ সংস্কারের কারণ হয় তাহলে তা প্রশংসনীয় এবং গ্রহণীয়। নইলে তা সর্বাবস্থায় বর্জনীয় এবং নিন্দনীয়। কাব্যে সর্বপ্রথম হযরত হাসসান বিন সাবিত (রা.) না’তে-রাসূলের বুনিয়াদ রাখেন। তারপর আরবী, ফারসী, উর্দূ, পাঞ্জাবী এবং পৃথিবীর অসংখ্য ভাষায় নাতে-রাসূল নিজস্ব স্থান করে নেয়। ফার্সী, ভাষায় মাওলানা রূমী, শেখ সাদী, আল্লামা জামী, জান কুদসী, আমীর খসরু; উর্দূ ভাষায় আমীর মীনাঈ, মাওলানা হালী, আল্লামা ইকবাল, যফর আলী খান, হাফিজ জলন্ধরী বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৮

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার একটি পোষ্ট দিয়েছেন। ধন্যবাদ

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৯

আবদুল হান্নান বিক্রমপুরী বলেছেন: আপনাকে শত-সহস্র ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.