![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কথা যদি অন্তর থেকে বের হয় তবে তা অন্তরে প্রবেশ করে। কিন্তু তা যদি শুধু মুখ থেকে বের হয় তা কান অতিক্রম করে না। জনৈক জ্ঞানী বলেন: সব কিছুই ছোট আকারে শুরু হয় পাপ ছাড়া। কারণ, কেউ বড় পাপ করতে শুরু করলে আস্তে আস্তে তা তার নিকট ছোট মনে হয়। আর কোন কিছু অতিরিক্ত হলে তার মূল্য কমে যায় আদব বা ভদ্রতা ছাড়া। কারণ, আদব যতই বৃদ্ধি পায় তার মূল্য ততই বেড়ে যায়।
তাওয়াফ কি ? মুসলমানরা কেন কাবা কে ঘিরে তাওয়াফ করে ? ক্বাবাকে ঘিরে কেন ৭ বার তাওয়াফ ?
উত্তর :
তাওয়াফ হল কাবা ঘরের চারপাশে ৭ বার প্রদক্ষিণ করা, ঘড়ির বিপরীতমুখী ( Counter clock-wise direction) হয়ে । কাবার চারদিকে একত্রে ঘুরে মুসলমানেরা এক আল্লাহ্র একাত্মতা প্রকাশ করার জ্বলন্ত উদাহরন । সপ্ত আসমানের উপরে বায়তুল মামুর নামক একটা মসজিদ আছে যেখানে ফেরেশতারা নিয়মিত তাওয়াফ করে। হযরত আদম আলাইহিস সাল্লাম যখন জান্নাতে থাকতেন তখন উনি ফেরেশতাদের তাওয়াফ করার স্থান বায়তুল মামুর কে লক্ষ্য করেছিলেন। দুনিয়াতে আসার পর হযরত আদমের ইচ্ছা হয় এই পৃথিবীর মাটিতেও এরকম একটা বায়তুল মামুর থাকবে যেখানে উনার সন্তানরা নিয়মিত তাওয়াফ করবে। মেরাজ রজনীতে রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও বায়তুল মামুর কে দেখেছিলেন। -“ এরপর আমাকে বায়তুল মামুরে উঠান হল। বললামঃ হে জিবরাঈল! এ কি? তিনি বললেন, এ হচ্ছে ‘বায়তুল মামুর’। প্রত্যহ এতে সত্তর হাজার ফেরেশতা তাওয়াফের জন্য প্রবেশ করে। তারা একবার তাওয়াফ সেরে বের হলে কখনও আর ফের তাওয়াফের সুযোগ হয় না তাদের। ” গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, অধ্যায়ঃ ১/ কিতাবুল ঈমান হাদিস নাম্বার: 313 ] আর কাবা ঘর হল বায়তুল মামুরের ঠিক সোজাসুজি নিচে। কিন্তু দুনিয়ার জীবনে যেহেতু আমরা আল্লাহর আরশকে সামনে পাবো না ও আল্লাহর আরশের সামনে সিজদা দিতে পারবো না তাই আমরা মুসলমানরা এই কাবা ঘরের চতুর্পাশ্বে একসাথে তাওয়াফ করি। কারন কাবাঘর হচ্ছে দুনিয়ায় বায়তুল মামুরের প্রতিনিধি। ফেরেশতাদের মূল ইবাদতের ক্ষেত্র যেমন বায়তুল মামুর ঠিক তেমনি আমাদের জন্য কাবাঘর। ফেরেশতারা যেমন আল্লাহ্র আরশ ও বায়তুল মামুরকে কেন্দ্র করে তাওয়াফ করে ঠিক তেমনি আমরাও কাবাঘর কে কেন্দ্র করে তাওয়াফ করি। কাবা ঘর হচ্ছে আল্লাহর আরশের একদম নিচে। কাবা ঘর হচ্ছে আল্লাহর ঘর। কাবা ঘর হচ্ছে দুনিয়াতে আল্লাহর আরশের প্রতিনিধি। আল্লাহর আরশ কে কেন্দ্র করে যেমন এই মহাবিশ্বের সব গ্রহ নক্ষত্র ঘুরছে ঠিক তেমনি আমরা মুসলমানরা এক সাথে এই কাবা ঘরের চতুর্পাশ্বে ঘুরি। আর এটাকেই তাওয়াফ বলে। আর এই তাওয়াফ করার আমলটা আল্লাহ সুবহানাতায়ালা হযরত ইব্রাহিম কে শিখিয়ে দিয়েছেন।
কাবা কে ঘিরে কেন তাওয়াফ করি:
কাবাঘর আমাদের কেবলা বা ইবাদতের কেন্দ্র ভূমি। ঐক্যবদ্ধভাবে ইবাদতের জন্য একটি কেন্দ্রের প্রয়োজন। কাবাঘর হল আমাদের সেই কেন্দ্র। আর এই কেন্দ্রটিই কারনেই কাবাঘর আমাদের কাছে এত গুরুত্ব পূর্ণ। যদি অন্য কোথাও কাবার সদৃশ বা আরো দারুন ভাবে কাবাঘরের ন্যায় কোন ইবাদত গৃহ বানান হয়, তাইলে আমরা কি সেটিকে কেন্দ্র করে ইবাদত করব না । কারন কাবাঘর কে মুসলমানদের কেন্দ্র রুপে নির্ধারন করেছে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা, মানুষ নয়। তাই আল্লাহ সুবহানাতায়ালার নির্দেশেই আমরা কাবাঘর কে কেন্দ্র করে নামায পড়ি ও সালাত আদায় করি।
আল্লাহ বলেছেন : " তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র। সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে।"- আম্বিয়া ২১ : ৩৩ ।
এই আয়াত মহাবিশ্বের সিস্টেমের একটি বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের সত্যতাকে প্রমাণ করে :
চাঁদ প্রতি লুনার মাসে একবার পৃথিবীর কাছাকাছি ঘুরে, পৃথিবী বছরে একবার সূর্যের চারিদিকে বৃত্তাকার ঘুরে, এবং সোলার সিস্টেমের অন্যান্য গ্রহ গুলোও নিজস্ব কক্ষপথে সূর্যের চারিদিকে বৃত্তাকার ঘুরে. এছাড়া, যেসব গ্রহের নিজস্ব যে চাঁদ আছে প্রতিটি তাদের কক্ষপথে একই ভাবে ঘুরছে (যার সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬০ এর ও অধিক ) । ঠিক তেমনি ছায়াপথের ১৩০ বিলিয়ন নক্ষত্র গুলোও একটি কেন্দ্রে ঘুরছে । এমনকি , পরমাণুও একটি কক্ষপথে বৃত্তাকারে ইলেকট্রন দ্বারা বেষ্টিত থাকে । ঠিক তেমনি কোষ এর ভেতর সাইতপ্ল্যাজ্ম নিউক্লিয়াসের চারদিকে ঘুরে । সেক্ষেত্রে মহাবিশ্বের সব বিষয়ে এই আইন প্রযোজ্য ( Cosmic law)।
কাবা প্রদক্ষিন করা ইসলামের একটি মৌলিক রীতি । যেটি হজ্ব এবং ওমরাহ্ এর সময় মৌলিক ইবাদাত । আল্লাহর ঈমান এনে, তার কিতাবের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, তার সাথে কৃত অঙ্গীকার পূরণের জন্য - নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাতের অনুসরণ করে মুসলমানরা তাওয়াফ কার্যটি করে থাকে ।
যার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আমরা উপরিল্লিখিত বিষয়বস্তু থেকে বুঝতে পারি । মহাবিশ্বের সবকিছুই প্রদক্ষিন করে বাধ্যতামূলক Laws of Nature এর উপর ভিত্তি করে কিনতু মানুষের ক্ষেত্রে সামান্য পার্থক্য হল - মানুষ করে নিজের ইচ্ছায় ( Free Will - যেটা আল্লাহ্ মানুষকে দিয়েছেন ) , নিজস্ব যুক্তি খাটিয়ে তার জ্ঞান-বুদ্ধি , চিন্তা-শক্তি কাজে লাগিয়ে ভাল -মন্দ নির্বাচন করতে পারে । যার মাধ্যমে বিশ্বাসীরা নিজেকে পুরোদস্তুর এক আল্লাহ্র কাছে সমর্পণ করে । আর অবিশ্বাসীদের কথা না ই বললাম ...........................
এইসব কিছু এটিই ইঙ্গিত দেয় যে , ইসলামে খোদার ইবাদত এর বাধ্যবাধকতা এবং মহাবিশ্বর প্রাকৃতিক নিয়মের মধ্যে যে ঐক্য - দুটোরই ক্ষমতার উৎস এক, সেটি হচ্ছে মহান আল্লাহ্ তায়ালা ।
ক্বাবাকে ঘিরে কেন ৭ বার তাওয়াফ :
নামায যেভাবে ৫ ওয়াক্ত ,বাধ্যতামূলক ১৭ রাকাত ফরজ আল্লাহ্ দিয়ে দিয়েছেন ঠিক তেমনি তাওয়াফ ও আমাদের জন্য ইবাদত এর শামিল । আল্লাহ্ আমাদের সঠিক উপায়টিই বলে দিয়েছেন এবং চান আমরা জেন সেই ভাবে আদায় করি ।
হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) যেভাবে দেখিয়ে দিয়েছেন আমরা সে ভাবে অনুসরণ করে আসছি ।
…::::: BillBoard::::…….
২| ২০ শে মে, ২০১৫ সকাল ৯:৩১
রাঘব বোয়াল বলেছেন: আপনার যুক্তি ভালোই মনে হোল।ধন্যবাদ।
৩| ২০ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০২
বিলবোর্ড বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে মে, ২০১৫ ভোর ৪:২৮
বিলবোর্ড বলেছেন: আমি আলেম না । তবে নিজে যতোটুকু বুজেছি সেটাই লিখেছি । ধন্যবাদ