নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেইল : [email protected]

বিপ্লব০০৭

...

বিপ্লব০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দা গ্রান্ড ইউনিফায়েড থিওরি : মানুষকে ব্যাখ্যা করা যাবে কি?

২৫ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ২:২২



হকিং তার A Brief History of Time-এ দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন The Grand Unified Theory (প্রধান চারটি মৌলিক ফোর্সের ইউনিফাইড কাঠামো) দ্বারা একদিন মানুষকে ব্যাখ্যা করা যাবে ঠিক নিউটনিয়ান বস্তুর গতির মতনই। তবে ব্যাপারটি করতে হয়তো আরো মিলিয়ন মিলিয়ন বছর লেগে যাবে। ষাটের দশকেরপ্রোগ্রাম এলিজা (Eliza) এক্ষেত্রে স্মরণীয়। সাইকোলজিস্ট ড. এলিজা যখন প্রথম বেরিয়েছিল তখন এটি কী-বোর্ড থেকে ইনপুট নিয়ে মানুষের সাথে কথা বলতে পারতো টেক্সট্ আউটপুট দিয়ে।



দু:খের ব্যাপার হল, প্রোগ্রামটি ফান করে ছাড়া হলেও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত একজন মহিলা প্রতিদিন এলিজার সাথে কথা বলতে বলতে একপর্যায়ে বিশ্বাস করে ফেলেছিলেন এলিজা রক্তমাংসের মানুষ। তারপর যখন একদিন তিনি জানলেন, এটি জাস্ট একটি প্রোগ্রাম তখন প্রচন্ড ক্রুদ্ধ আর হতাশ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এলিজার জাভা ভার্সন নেটে এইচটিএমএলে এমবেডেড পাওয়া যায়।



সেই ভার্সনটা মডিফাই করে এলিজাকে নিজের মনমত বানাতে গিয়ে প্রথম আমারও মনে হয় আসলে মানুষের মস্তিষ্কের নিউরোসাইকোলজিক্যাল রেন্সপন্সিব সিস্টেমটা আসলে ড. এলিজার মতনই একটি প্রোগ্রাম, তবে অতি-জটিল প্রসেসিং এবং ডেটাবেইজ প্রোগ্রামের সমন্বয় যার পরবর্তী আচরণ একদিন নিউটনিয়ান পদার্থবিজ্ঞানের মতই ব্যাখ্যা করা যাবে (কী ভয়ঙ্কর তাই না!)। কারণ ড. এলিজা ইনপুট টেক্সট্ অ্যানালাইজ করে বেশ কয়েকটি উত্তর থেকে একটি উত্তর বেছে নিত, অথবা তার ডিকশনারীতে রাখা ওয়ার্ড ইংলিশ গ্রামাটিক্যাল সিস্টেম অনুসরণ করে সাজিয়ে সেনটেন্স তৈরি করতো।

রিপিটেশনের উত্তর, বিরক্তির পরিবর্তে অবাক হওয়া, নেগেটিভ ওয়ার্ড ইউজ করলে নানানরকম প্রতিক্রিয়া- ইত্যাদি নানান ফাংশন এলিজার অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রচন্ড জটিল এবং বর্তমানের সাপেক্ষে প্রায়-ব্যাখ্যাতীত একটা পথে মানুষও কি তাই করে না? তবে আমি মনে করি, এলিজার প্রোগ্রামিং কোড যদি একটি সন্তোষজনক লেভেল পর্যন্ত জটিল করা যায় তবে মানুষ ও কম্পিউটারের মাঝে পার্থক্য ঘোচানোর সমস্যাটির সমাধান হবে। এ প্রসঙ্গে টিউরিং টেস্টের কথা বাদ দিলে চলে না।



একজন মানুষকে একটি ঘরে তিনটি কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ করতে দেয়া হবে। এই তিনটি কম্পিউটারের দু'টির সামনে থাকবে দুই জন মানুষ, বাকি যেকোন একটিতে থাকবে এলিজার মতন কোন একটি ইন্টার-অ্যাকটিভ প্রোগ্রাম। মানুষটি তিনটি কম্পিউটারের সাথে লিখে যোগাযোগ করবে। বিভিন্ন টপিকসের উপর কথা বলার পর যদি সে বুঝতে না পারে যে তিনটি কম্পিউটারেরএকটি থেকে তার সাথে যোগাযোগ করেছিল জাস্ট একটি প্রোগ্রাম তাহলে ধরে নিতে হবে কম্পিউটার আর মানবমস্তিষ্কের পার্থক্য ঘুচে গেছে। অবশ্য এখানে মানুষটির বুদ্ধিমত্তার উপরও পরীক্ষাটির সাফল্য নির্ভর করার ব্যাপার আছে। তবে আজ পর্যন্ত কোন প্রোগ্রামই এ পরীক্ষায় উৎরাতে পারেনি।




সাইন্স ফিকশনগুলো মানুষের আবেগ-অনুভব, মানুষ আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পার্থক্য নিয়ে বেশ আলোচনা করেছে। জাফর ইকবালের অধিকাংশ বইতেই এ মানবিক অনুভবের মধ্যকার সংকট তুলে ধরা হয়। প্রকৃতিবিজ্ঞানীর চোখে সংকটটা অনেকটা এরকম-- ব্যক্তি-আমিটার দু:খ-কষ্ট, অনুভব- সবইতো মস্তিষ্কের রাসায়নিক কৌশলমাত্র! তাই নয় কি? শিশু যখন পৃথিবীতে আসে তখন তার মস্তিষ্ক অগঠিত বিধায় বেশি অনুভবের সাথে সে পরিচিত ছিল না। কান্নাই ছিল তার একমাত্র সম্বল। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে নানান ধরনের অনুভূতির সাথে তাকে পরিচিত করালোটা কে? অনুকরণ বা সামাজীকিকরণ প্রক্রিয়া।

স্পিলবার্গ এআই (AI) ছবিটিতে দক্ষতার সাথে তুলে এনেছেন এই ব্যাপারটি। তার ছবিটি দেখলে যে কেউই স্বীকার করতে বাধ্য হবে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার সাথে মানুষের পার্থক্য জৈবিক দিক দিয়েই। ম্যাট্রিক্সেও এই ব্যাপারগুলো দুর্দান্তভাবে তুলে আনা হয়েছে। ভাববাদীদের সাথে তর্ক বাদ দিলে সবই আসলে জৈবিক অথবা বৈদ্যুতিক ইমপালস।

খৃষ্টধর্মকে শক্তি ভিতের উপর দাঁড় করানোর জন্য বিশপ বার্কলে যে থিওরি নিয়ে আসেন তার সাথে ম্যাট্রিক্সের প্রচুর সাযুজ্য আছে। ভাবুনতো- আমি তাই, যা আমার মস্তিষ্কে আছে। সুতরাং, একজন ফুটবলারের দক্ষতা আসলে পাঁয়ে নয়- মস্তিষ্কে। একই কারণে যাকে আমি ভালোবাসি তার প্রতি আমি অনুভূতিশুন্য হয়ে পড়বো যখন রোড-অ্যাক্সিডেন্টে আমার সমস্ত স্মৃতিশক্তি আমি হারিয়ে ফেলবো যদিও সস্তা বাংলা চলচ্চিত্র বাদে বাস্তবে এটা খুবই কম ঘটে। কিন্তু তারপরও আমরা ভাবতে বাধ্য হই যে,স্মৃতিশক্তি হারানো মানেটা কি? তারমানে স্মৃতিগুলোই কি আমি? স্মৃতি যখন নেই তখন "আমি"-টা কোথায়? কোথাও নেই! শিক্ষক আসার আগে ব্ল্যাকবোর্ড যেরকম শুন্য থাকে, সেই শুন্য ব্ল্যাঙ্ক মস্তিষ্ক সদ্যজাত শিশুর; সময়, পরিবেশ, মানুষ, অভিজ্ঞতার আঁচড় পড়তে পড়তে সে হয়ে উঠে সামাজিক জীব।



আমার সমস্ত "স্মৃতি" নিয়েই "আমি" গঠিত, যা আমি অর্জন করে এসেছি কিংবা সঞ্চয় করেছি চারিপাশে থেকে জন্মলগ্ন থেকে। এই স্মৃতিগুলোর স্থানে যদি অন্য স্মৃতি রিপ্লেস করা যায় তবে "আমি"-টাও কি পরিবর্তন হবে না? মানতে কষ্ট হলেও এটাই সত্য।

সমস্যা হল, হকিংরা সমস্যায় পড়েছেন কোয়ান্টাম মেকানিক্সের অনিশ্চয়তা তত্ত্বে এসে। ক্ষুদ্র স্তরে বস্তুর আচরণ অবশ্যই ম্যাক্রোওয়ার্ল্ডের মতন অতি-সরল নয়। ফলে আসে সম্ভাব্যতার সূত্র, যে সম্ভাব্যতার কারণে একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে বস্তুর পরবর্তী অবস্থান ভ্যারি করে, তাকে কোন একটি ফিক্সড্ স্থানে পাবার নিশ্চয়তা সম্পূর্ণ নাকচ হয়ে যায়। তাহলে আমরাইবা কিভাবে মানবমস্তিষ্কের নিউরন ও সাইন্যাপসের গভীরে গিয়ে লক্ষ্য-কোটি-বিলিয়ন কণিকাগুলোর নেক্সট আচরণ ব্যাখ্যা করবো? এ ব্যাপারটি হকিংকে বেশ ভাবিয়েছে, মৃত্যুর আগে এর কোন সমাধান দেয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি।



তবে মানুষ আশাবাদী হতে পারে এই অর্থে যে সভ্যতার ইতিহাসের গ্রাফ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে মানুষ ব্যাখ্যাযোগ্য হয়ে উঠছে ধীরে ধীরে। কিন্তু তারপরও কথা থেকে যায়। আমার নীতি-নৈতিকতা, অন্যের জন্য সহানুভূতি- এসবই কি কিছু অতি-জটিল সমীকরণ দ্বারা ব্যাখ্যাযোগ্য যা একসময় আমিই বুঝে যাবো? হকিং নিজেও বিভ্রান্তিতে পড়ে যান : বিভ্রান্তিটা হল এই যে, দা গ্র্যান্ড ইউনিফায়েড থিওরি বলে যে, "আপনি আপ্নার নিজের দিকেই তাকাবেন!" মানুষকে যতই না রহস্যময় ভাবুন সময়ই যতই পেরোচ্ছে ততই কি আপনি বড় হওয়ার সাথে সাথে উপলব্ধি জ্ঞানের বিস্তৃতির সাথে অনুভব করেন না যে, প্রতিটি মানুষই আসলে ব্যাখ্যাযোগ্য সরল প্রাণীমাত্র? এ হল পাশ্চাত্য জ্ঞানের অনুভব-উপলব্ধি।



আবার মানবিক মানুষের জায়গায় পাশ্চাত্যের এই নৈর্ব্যক্তিক যৌক্তিক যান্ত্রিক মানুষকে স্থান দিতেও কেন যেন বাঁধে "মানুষ" হিসেবে তাই না? পাশ্চাত্যের প্রাচ্যের মতন হৃদয়বৃত্তি নাই,তারা মানুষকে লজিক ও বুদ্ধিবৃত্তির সর্বোচ্চ রূপ ভাবতে ভাবতে মানবিক মানুষকে হারিয়ে ফেলেছে। এ কারণেই ইয়স্তেন গার্ডারের ভাষায় সোফির জগতে মানুষ শেষপর্যন্ত হয়ে উঠে নক্ষত্রচূর্ণ। কার্ল সাগানরা নক্ষত্রচূর্ণের বেশি কোন তাৎপর্যই মানুষকে দিতে রাজি নয়। পশ্চিমা বৌদ্ধিক জগতে এই একই সমস্যা যার পুরো বিপরীতে দাঁড়িয়ে লালন ঘোষণা করেন, মানুষ অপার সম্ভাবনাসময়...

"অনন্তরূপ সৃষ্টি করলেন সাঁই,
বুঝি মানুষের উত্তর কিছুই নাই!"

কিন্তু প্রাচ্যের সমস্যা হল- ধর্মতত্ত্ব, কুসংস্কার আর নানান অপবিশ্বাস একে আষ্ঠেপৃষ্ঠে মুড়েরেখেছে। কিন্তু তারপরও আশাবাদী হওয়া যায় কারণে প্রাচ্যের সম্ভাবনা এখনও রয়ে গিয়েছে। তার সামনে এখনও সুযোগ আছে নিজস্ব ধর্মতত্ত্বের উন্নতি করেপরবর্তী দর্শন বা তত্ত্ব হাজির করার যেহেতু তার মানবিক মন এখনও বেঁচে আছে। ফলে মানুষকে একটি অতি উন্নত সুপার-কম্পিউটারের মতন ব্যাখ্যা করা যাবে কি যাবে না- এ নির্ভর করছে মানুষের মন আর হৃদয়-বৃত্তিকে প্রাচ্য কোন মডিফাইড রূপে ভবিষ্যতে সম্ভাবনাময় করে তুলবে তার উপর।

মন্তব্য ৪৩ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:১৩

কিশোর মাইনু বলেছেন: হুম।।।
ভাল লিখেছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।

২৫ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:৩৭

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: হুমম...ভালো লেখার পরেও পাঠক কম, ভালো লিখেও ভালো থাকতে পারলাম না!

২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:১৩

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: হ্যা, মস্তিষ্ক জটিল এবং উন্নত একটি প্রোগ্রাম। যার ভাষা সম্পূর্ণভাবে হয়তো একটাসময় মানুষ পড়তে বা ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করতে পারবে।এবং তখন মানুষ আর কম্পিউটারের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য থাকবেনা।

তথ্যবহুল পোস্ট। ধন্যবাদ।

২৫ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:৪৫

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: দ্বন্ধটা এ্খানেই...সেই সুপারকম্পিউটার কি সম্ভব যেটা টিউরিং টেস্টে উৎরে যাবে, কম্পিউটারটি একটি ভিন্ন রুমে থাকবে; অপর রুমে একজন মানুষ যে তার সাথে যোগাযোগ করবে কী-বোর্ড ইনপুট দিয়ে, এবং মানুষটি বুঝতেই পারবে না সে আসলে একটা সুপার-কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ চালিয়েছে। আবার ওদিকে দেখেন- গ্র্যান্ডমাস্টার কাসপারভ সুপারকম্পিউটারের সাথে দাবা খেলায় হারার পর মেনেই নিতে পারেননি ঘটনাটা, তাঁর অভিযোগ ছিলো কোন মানুষের হাত ছিলো এর পেছনে!

৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৪:০৪

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: হুম। এটা আসলেই কঠিন। আর কম্পিউটার যদি পুরোপুরি মানুষের মতো চিন্তা করার ক্ষমতা পেয়ে যায় তাহলে জঞ্জালও তো বেড়ে যাবে! সেটা হবে বলেও মনে হয় না। তবে সময়ের প্রয়োজনে কম্পিউটার আরো আরো উন্নত হবে, এবং এর নিয়ন্ত্রণও মানুষের হাতে থাকবে।

২৫ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৪:১৬

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: কম্পিউটারের উন্নতির রিসেন্ট ফেজে এসে আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মুখোমুখি হয়েছি। এআই ঠিক চিন্তা করে না, বলা চলে কোন একটা স্টেটমেন্টকে অ্যানালাইসিস করে বুদ্ধিদীপ্ত ফিডব্যাক দেয়। রোবট সোফিয়ার অভিজ্ঞতা থেকেই বোঝা যায় এটা এখন সন্তোষজনক একটা লেভেলে ডেভেলপ করেছে। তবে কম্পিউটার যতই উন্নত হোক, মেশিনের নিয়ন্ত্রণ মানুষের হাতে থাক এটা মানুষের লজিক্যাল চাওয়া। কারণ ক্রিয়েটর কখনও চাইবেনা ক্রিয়েশন তার বিরুদ্ধে কন্ট্রোল কার হাতে থাকবে সেটা নিয়ে রিভুলুশন ঘটাক, আর সে কারণে নিরাপত্তার সকল ব্যবস্থাই সে নিয়ে রাখবে। যদিও সায়েন্স ফিকশনের গ্র্যান্ডমাস্টার আসিমভের রোবটরা অবশ্য বলছে, তারা নাকি অনুভব করতে পারে! মানুষের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত হয়ে নিজেদের বিশ্ব গড়ার স্বপ্নও তারা দেখছে!

৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৪:১৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ব্লগে এমন গভীর বুদ্ধিদীপ্ত লেখা পাবো যে আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। ২০০৭।২০০৮ এ এরকম লেখা আসতো। এরপর মাঝে মাঝে কেউ লিখতো কিন্তু তারা ধুমকেতুর মতো হারিয়ে ফেসবুকে নিজের একটা অবস্থান করতো। আর তাই তো ব্লগে আজ স্বঘষোষিত সনেট, ইসলামী স্কলার এমনকি গবেষক রাজত্ব করলেও তাদের লেখায় কোনো ন্যুনতম বেসিক মেরিট নেই।

কোয়ান্টাম ফিজিক্সের পলির অনিশ্চিয়তা সূত্রানুসারে আমরা নির্দিস্ট শর্তানুশারে ইলেক্ট্রনের অবস্থান জানতে পারলেও হাইজেনবার্গ সেটার মধ্যে প্রোবাবিলিটির ধারনা দেন এজন্য যে সময় যার আস্টেপৃষ্ঠে আমরা জড়িয়ে আছি অথবা এই আইনস্টাইনের স্পেশিয়াল রিলেটিভিটিতে আটকে থাকা। স হজ ভাষায় বললে আমরা যখনই t সময়ে ইলেক্ট্রনের অবস্থান জানতে পারবো তখন ঐ ফ্রেমে অবজার্ভারের সাপেক্ষে ইলেক্ট্রনের অবস্তান হয়ে গেছে t+1 সময় পড়ে। তার মানে ঐ সময়ে আমরা ইলেক্ট্রন টিকে আর দেখছি না। যদি আমরা t-1 সময়ের সাপেক্ষেই ধরি তখন সেটা চলে গেছে t সময়ে। কেন চলে গেছে সেটা জানবার জন্য আপনাকে আর ইলেক্ট্রন খুজে পাওয়া লাগবে না। এর একমাত্র কারন হলো কোয়ান্টাম ফিজিক্সে সময়ের কোনো ভূমিকা নেই। যেখানে কনিকার তরঙ্গ বৈশিস্ট্য এবং কনিকার বৈশিষ্ট্য একই সময়ে পাওয়া যায় সেখানে চলমান ঘটনার ব্যাখ্যা প্রচলিত ম্যাক্রো ওয়ার্ল্ডের সাপেক্ষে দেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তার জন্য আমরা যদি প্রতিসাম্য বা বিভিন্ন ফেজের এর এনার্জী ব্যান্ডের কি অবস্থা সেটা নির্নয়ন করে এগোনো যায় সেক্ষেত্রে এটার একটি গতি হতে পারে।


আপনি যে সমস্যাটার কথা বলছেন এআই, যতদূর জানি এআই এর মূল চালিকা শক্তি হলো আপনি তাকে কতবড় ডাটাবেজ দিচ্ছেন। থিওরী হিসেবে সেই স্ট্যাটিক্সিসের থিওরী যারা মাধ্যমে ডাটা গুলো সংশ্লেষ করে প্রোগ্রাম একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আপনার কিন্তু গানিতিক পরিসংখ্যানের তত্ব অপরিবর্তনশীল কিন্তু তার সিদ্ধান্ট পরিবর্তিত হয় তাকে কতটুকু ডাটা দিচ্ছেন। যতবেশী ডাটা দিচ্ছেন তত বেশী সে ট্রায়াল এন্ড ইরোর এই কাজটা সম্পাদন করে তার ডিসিশন তত নিঁখুত করতে পারে।
সেক্ষেত্রে বলা যায় যদি গ্রাভিটির সাথে বাকি তিনটি বলের একীভুতকরন, মোটকথা আমরা যদি জানতে পারি কালুজা ক্লেইন কোয়ান্টাম লুপ গ্রাভিটি না গ্রাভিটনোনিয়ান ফিজিক্স বা অন্যকিছু তাহলেই কিন্তু সময়ের ব্যারিয়ারটা ভাঙ্গা হয়ে গেলো। তখন আপনি কোয়ান্টাম ওয়ার্ল্ডে জায়গায় বসে সুদূর মহাশূন্যের ওমুক গ্রহে কি হচ্ছে সেটা আন্দাজ করতে পারছেন। আপনার কাছে সময়টা হবে আপেক্ষিক কিছু ফাস্ট ফরোয়ার্ড।

আশা করি আপনার ভাবনা শেয়ার করে আরো সুন্দর আলোচনা করা যেতে পারে

২৫ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৫:০৭

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: অনেক পরে একটা মনমতন কমেন্ট পেলাম। এইরকম কমেন্ট পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার। যাকগে--- কোয়ান্টাম ফিজিক্সের বাস্তবতাকে প্রচলিত ম্যাক্রোওয়ার্ল্ডে আনার বিশ্রী একটা ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। পদার্থের (পার্টিকলের) ক্ষুদ্রতর স্তরে আচরণের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত থিওরিগুলো দিয়ে আমাদের দৈনন্দিন বাস্তব জীবনের বিভিন্ন উদাহরণ টানা হচ্ছে যেটা আমার পছন্দ না। ইলেকট্রনের পজিশন জানা থাকলে মোমেন্টামের ভ্যালু নিশ্চিত করা যাচ্ছে না- এই অনিশ্চয়তার কারণে অনেকগুলো ইলেকট্রন দিয়ে গঠিত কোন ভারি ধাতব গোলকের অবস্থান বা মোমেন্টাম নিয়ে ম্যাক্রোওয়ার্ল্ডে অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে না। আমাদের চেনা-জানা জগতকে নিউটনিয়ান গতিসূত্র দিয়েই ব্যাখ্যা করা যায়, আর্থের বাইরে গেলে আইনস্টাইনের ৪-ডি -ই যথেষ্ট- অথচ এরপরও হকিং বলেন যে, এমন একটি ইতিহাসও (বাস্তবতা বা জগৎ) থাকতে পারে যেখানে হিটলার বিজয়ী হয়েছেন এবং মিত্রপক্ষ পরাজিত হয়েছে! পার্টিকলের এক বা একাধিক ইতিহাস মাইক্রোলেভেলেই সীমাবদ্ধ, এইটা দিয়ে প্যারাল্লেল ইউনিভার্স কিভাবে জাস্টিফায়েড হয়...!

৫| ২৫ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৪:১৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: প্রিয়তে। এরকম আরো লিখলে ব্লগে একটু বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনা করার সুযোগ হয়। প্লিস, এরকম কিছু লিখবেন

২৫ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৫:১০

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: আমি নিজেই এখনো স্টুডেন্ট, কোয়ান্টাম ফিজিক্স আর জেনারেল রিলেটিভিটি হৃদয়ঙ্গম করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি! :)

৬| ২৫ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৪:২৬

অক্পটে বলেছেন: চমৎকার একটা লেখা পড়লাম। গতানুগতিক ভাবনার মাঝে ছেদ পড়লো। তবে আপ্লুত হলাম লেখার মাঝে তুখোর যুক্তিতে এবং আরো মন ছুঁয়ে গেল সাইজিকে উল্লেখ করায়।

আপনার আরো আরো লেখা চাই। লেখায়++++

২৫ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:১২

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: বেঁচে থাকলে আরো লেখাতো আসবেই! :) ভালো থাকুন।

৭| ২৫ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৪:৫০

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: লেখক বলেছেন: কম্পিউটারের উন্নতির রিসেন্ট ফেজে এসে আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মুখোমুখি হয়েছি। এআই ঠিক চিন্তা করে না, বলা চলে কোন একটা স্টেটমেন্টকে অ্যানালাইসিস করে বুদ্ধিদীপ্ত ফিডব্যাক দেয়। রোবট সোফিয়ার অভিজ্ঞতা থেকেই বোঝা যায় এটা এখন সন্তোষজনক একটা লেভেলে ডেভেলপ করেছে। তবে কম্পিউটার যতই উন্নত হোক, মেশিনের নিয়ন্ত্রণ মানুষের হাতে থাক এটা মানুষের লজিক্যাল চাওয়া। কারণ ক্রিয়েটর কখনও চাইবেনা ক্রিয়েশন তার বিরুদ্ধে কন্ট্রোল কার হাতে থাকবে সেটা নিয়ে রিভুলুশন ঘটাক, আর সে কারণে নিরাপত্তার সকল ব্যবস্থাই সে নিয়ে রাখবে।- সেটাই। প্রচণ্ড ঘুম চোখে। আলোচনা চলুক।
পরে সময় পেলে আসবো।

শুভ রাত্রি।

৮| ২৫ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৫:২৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: প্যারালাল ইউনিভার্স তথা এম ইউনিভার্সের ১১ টা ডাইমেনশন হলো একটা গানিতিন সৌন্দর্য্য। এসব ব্যাপারে গানিতিক কাহিনীটা হলো এক মূখী তবে এর সত্যতা প্রমানের ইতিহাস বেশ কার্যকর। যার সবচেয়ে বড় উদাহরন হলো স্ট্যান্ডার্ড মডেল। কিন্তু সমস্যা হলো এটা গ্রাভিটির ব্যাখ্যাটা দেয় না যদিও আইনস্টাইন কালুজা ক্লেইনের বাকানো তত্বের ওপর বিশ্বাস রেখেছিলেন যার ওপর ভাগ্যের শিকে এখনো খোলেনি।

সমস্যা হলো আমরা আমাদের জাগতিক বিশ্ব যেভাবে অনুভব করি আদতে মাইক্রোওয়ার্ল্ড সেভাবে গঠিত হয়। এর কারন একটাই হতে পারে সেটা হলো বাবল ইউনিভার্স যার দুটো প্রমান আমাদের সামনে একটা হলো রেডশিফটের মাত্রাতিরিক্ত প্রলম্বিতকরন যার ফলে আমরা জানতে পারি আমাদের এই ইউনিভার্স লিক করতেছে যেটা শক্তির নিত্যতা সূত্রের লঙ্ঘন (যদি আমরা আমাদের ইউনিভার্সকে ক্লোজ সিস্টেম ধরি) আরেকটা হলো সিএমবির সাম্প্রতিক ছবি। ঘটনা হলো একটার ভেতর একটা বা একের ওপর এক যখন কিছু প্রতিষ্ঠিত হয় তখন আদি সেটের একই উপাদান সমূহের পারস্পরিক উপাদান সমূহ ভিন্নতর মিথস্ক্রিয়ায় লিপ্ত হয়। এটা মূলত একটা গানিতিক রূপ যেটা আপনার ছোট ছোট গোত্র বা সেটের ক্ষেত্রে কার্যকর যার ফলে বৈশ্বিক বৈচিত্র‌্য লক্ষ্য করি এবং কেওস থিওরীর সাথে একটা সম্পর্ক খুজে পাই।

এখন কথা হলো ঠিক একই ব্যাপারটা মাইক্রোওয়ার্ল্ডে ঘটছে কিনা। সমস্যা হলো কোয়ান্টাম ফিজিক্স যখন আমাদের সামনে উপস্থাপিত হলো তখন এটা সম্পূর্নই নতুন। স্বভাবতই প্রচলিত সায়েন্টিফিক মেথোডলোজী দিয়ে বুঝতে হলে আমাদের চেনা জানা ফিজিক্সের সূত্র দিয়েই বুঝতে হবে। কারন দর্শন তখনই অকার্যকর হয়ে যায় যখন শ্রোয়েডিঙ্গারের অনিশ্চিয়তা আলোর মুখ দেখে।

হতে পারে পয়ারালাল ইউনিভার্সটাও সেরকম। তবে এটার সত্যতা তখনই প্রমান করা যাবে যখন আমরা ল্যাবে একটা ব্লাক হোল বানিয়ে তার কোয়ান্টাম টানেলিংটা খুজে পাবো। সমস্যা হলো টার আগে ঐ একটাই বাধা সেটা হলো গ্রাভিটি। সবকিছুতে বাধা ঐ আইন্সটাইনের স্পেশাল রিলেটিভিট মানে আলোর গতির ব্যারিয়ার

২৫ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: ১১ ডাইমেনশন!! পদার্থবিজ্ঞান যতই উচ্চস্তরে যায় ততই বিমূর্ত হতে থাকে। এইটাকে পদার্থবিদ্যার সৌন্দর্য বলা যেতে পারে, কিন্তু আমি এর তাত্ত্বিক জটিলতায় কিছুটা পথহারা। আমি কোনমতে চারটা ডাইমেনশন পর্যন্ত কল্পনা করতে পারি, যদিও মানুষের ইনটুয়িশনে থ্রিডিই ধরে...এক্ষেত্রে আমারও বহুদিন ধরে জানার ইচ্ছে ডাইমেনশন নির্দেশকারী তিনটা অ্যাক্সিস যদি পরস্পরের সাথে সমকোনে থাকে তাহলে চার নম্বর অ্যাক্সিসটাও অপর প্রতিটা অ্যাক্সিসের সাথে সমকোনে থাকলে কিভাবে তার অবস্থান সম্ভব হয়? মানবিক ইনটুয়িশন থেকে তাই চার নম্বর অ্যাক্সিসটা কল্পনা করা আমার পক্ষে খুব কষ্টকর হয়। ৪-ডি যেখানে কল্পনার করতে হিমশিম খাচ্ছি সেখানে ১১ ডাইমেনশন মাথায় কুলোয় না। একই সমস্যায় পড়েছি টেসারেক্ট-কে কল্পনায় আনতে গিয়ে। অনেক থ্রিডি ইনস্ট্যান্স, অনেক ইনটুয়িটিভ ডেসক্রিপশন পড়েও টেসারেক্টকে কল্পনায়/ইনটুয়িশনে আনতে পারছি না! :)

বাই দা ওয়ে, "কোয়ান্টাম ফিজিক্সে সময়ের কোনো ভূমিকা নেই।"- আপনার এই মন্তব্যে একটু কনফিউজড হলাম। শ্রডিঙ্গারের ইকুয়েশনের টাইম-ডিপেন্ডেন্ট ফর্মে টাইম একটা ভ্যারিয়েবল ছিলো বলে মনে আছে।

৯| ২৫ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে কুসংস্কার থেকে বের হতে পারলেই অনেক কিছু জয় করা সম্ভব।

২৫ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: ঠিক বলেছেন। কুসংস্কার একটা সমাজ বাস্তবতা, এর থেকে বের হতে হলে দার্শনিক লড়াইয়ের প্রয়োজন হয়।

১০| ২৫ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৫৬

ইনাম আহমদ বলেছেন: ফিজিক্স, সাইকোলজী আর কম্পিউটার সায়েন্স সম্ভবতঃ এক জিনিস নয়। এখন প্রাকৃতিক চারটি ফোর্সকে ইউনিফাইড ফিল্ড থিওরীতে আনা আর মানবমস্তিষ্কের কাজকর্মকে ব্যাখ্যা করা কীভাবে একরকম হবে?
আর মানুষ প্রাণী হিসেবে যথেষ্ট উন্নত, আমাদের মস্তিষ্কের ওজন গড়পড়তা ১৫০০ গ্রাম। দশগ্রাম মস্তিষ্কের ইঁদুরের কাজকর্ম, চিন্তাক্ষমতা যেখানে সবসময় কম্পিউটার প্রেডিক্ট করতে পারেনা, সেখানে আমরা আপাতদৃষ্টিতে যথেষ্ট জটিল প্রাণী।
ইউনিফাইড ফিল্ড থিওরী নিয়ে প্রচুর কাজ আজকাল হচ্ছে। ইতোমধ্যে এই থিওরীতে ইলেকট্রিক ও দুর্বল শক্তির মাঝে ( প্রকৃতিতে চারটি মূল শক্তি হচ্ছে electromagnetic, gravitational, weak, and strong) সম্পর্ক বের করা গেছে।
তবে মানব মস্তিষ্ক সত্যি বলতে গেলে এরচেয়েও কঠিন। কারণ আমাদের চিন্তাশক্তি অজস্র জিনিস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। প্রকৃতির মতো খালি এখানে চারটিমাত্র আলাদা শক্তি নেই।

২৫ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৭

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: মানুষ যদি প্রকৃতির অংশ হয়- চারটি মূল শক্তির ইউনিফায়েড রূপ আবিষ্কৃত হলে মানবমস্তিষ্কের আচরণও সে থিওরি দিয়ে প্রেডিক্ট করা যাবার কথা। প্রকৃতিবিজ্ঞানের দার্শনিক সঙ্কট এখানে ধরা পড়ছে। ভাবার বিষয় হল: মানুষ ও প্রকৃতি- দু'য়ের একে অপরের সাথে সম্পর্ক কি? এক কি অপর হতে আলাদা? সম্পর্কিত হলে কিভাবে সম্পর্কিত? এর উত্তর প্রকৃতিবিজ্ঞানে নেই। কারণ প্রকৃতিবিজ্ঞানে মানুষ নিজেই অবজার্ভারের ভূমিকায় দাঁড়িয়ে প্রকৃতিকে ব্যাখ্যা করতে চাইছে। অথচ মানুষতো প্রকৃতি থেকে আলাদা কিছু নয়! এ কারণেই প্রকৃতিবিজ্ঞানের জ্ঞান আমার কাছে খন্ডিত জ্ঞান বলে মনে হয়। আমারও ঠিক বিশ্বাস হয় না শুধুমাত্র প্রকৃতিবিজ্ঞানেই মানবিক সকল ক্রিয়াকর্মের ব্যাখ্যা সম্ভব (দ্রষ্ট্যব্য: হকিং তার প্রবন্ধগুলোতে আবার বারবার বলেছেন, প্রকৃতিবিজ্ঞানই মানুষের শেষ উপায়, দর্শনের প্রয়োজনীয়তা নেই, বর্তমান শতকে ফিলোসফি ইজ সিম্পলি ডেড)।

দেখা যাচ্ছে, শুধুমাত্র প্রকৃতিবিজ্ঞান দিয়ে আসলে কুল-কিনার করা যাচ্ছে না। প্রকৃতিবিজ্ঞানের সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী ছাত্রটিকেও নিতে হয় ডক্টর অব "ফিলোসফি" নামক উপাধি! কী আশ্চর্য! নিরেট কাট্টাখোট্টা বিজ্ঞান, অথচ উচ্চস্তরে গিয়ে সেই হয়ে গেলো আবার ফিলোসফি!! ফলে ঘুরে-ফিরে চলে আসে দর্শন যেখানে সাইকোলজি তার ক্ষুদ্র একটি অংশ। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সাথে মানুষের ইন্টারঅ্যাকশন আবার কম্পিউটার সায়েন্স বাদে সম্ভব নয়। আমাদের চিন্তাশক্তি অজস্র ফ্যাক্টর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হলেও এখানে শুধু ভয়েস কিংবা টেক্টট-বেইজড এআই-এর সাথে মানুষের মিথস্ক্রীয়া কিভাবে হতে পারে সেইটা নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছি। এআই মানবমস্তিষ্কেরই একটি ক্ষুদ্র প্রতিফলন। আমাদের প্রতিদিনকার কথোপকথনের প্যাটার্ন, কথপোকথন কিভাবে সামনের দিকে এগোয়, প্রশ্নোত্তর প্রক্রিয়া- এগুলোকে না বুঝলে এআই তৈরির কাজ এগুচ্ছে না।

মানবমস্তিষ্ক প্রচন্ড জটিল সাইকো-বায়োলজিক্যাল ক্রিয়েশন, এর কাজকর্মকে ব্যাখ্যা করা প্রায় অসম্ভব। তবে একেবারেই অসম্ভব নয়। যেমন: তথ্যভিত্তিক প্রশ্ন করা হলে একজন মানুষ তার মেমরিতে সার্চ দেবে, বোঝাই যাচ্ছে মানুষেরও তার মস্তিষ্কে নিজস্ব ডাটাবেইজ আছে; যদি সংশ্লিষ্ট কোন তথ্য তার কাছে না থাকে তবে সে নিরুত্তর থাকবে বা তার অজ্ঞতা প্রকাশ করবে...আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যেগুলো শুধুমাত্র মানুষের সাথে রেন্সপন্স করে সেগুলোও কিন্তু একই প্রক্রিয়ায় কাজ করে।

১১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৩

গরল বলেছেন: আত্মা বলুক আর রুহ বলুক, মানুষ আসলে তার মস্তিষ্কে ধারণকৃত স্মৃতি ছাড়া আর কিছুই না। এর প্রমাণ হল স্ট্রোক করে মস্তিষ্কের মোটর নিউরণ ক্ষতিগ্রস্থ হলে মানুষ পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে যায় বা পঙ্গু হয়ে যায় যদিও তার অঙ্গ(হার্ডওয়ার) সম্পূর্ণ অক্ষত। আবার পক্ষাঘাত গ্রস্থ অঙ্গ ফ্লেক্স-এক্সটেন্ড করে উৎপন্ন সিগনাল বার বার মস্তিষ্কে প্রেরণ করলে ব্রেইন সেটা রিরাইট করে নেয় মানে আবার সে হাটতে চলতে পারে। তার মানে হচ্ছে মানুষের ব্রেইনের স্মৃতিগুলো কোনভাবে সংরক্ষন করতে পারলেই মানুষটাকে বাচিয়ে রাখতে পারব তবে পরে আবার উপযুক্ত হার্ডওয়ার দিয়ে মানে শরীর বা অন্তত ব্রেইন দিয়ে সেই স্মৃতিকে চালাতে হবে।

@উদাসি স্বপ্ন: এআই নিজের ডাটাবেজ নিজেই সমৃদ্ধ করতে পারে, যাকে বলে মেশিন লার্নিং। আর প্রকৃত এআই হচ্ছে যে শুধু ডাটাবেজই নয় প্রগ্রাম নিজেই নতুন নতুন লজিক ডেভলপ করতে পারে।

২৫ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: গড়ল, সাবধানে থাকবেন; ধার্মিক ভাববাদী ভাইয়েরা আপনাকে পেলে কোপাবে।

১২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিপ্লব০০৭ ,



বেশ জ্ঞানগর্ভ একটি পোস্ট । কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আপনার সংশয় অমূলক নয় । কারন কোয়ান্টাম তত্ত্ব নিয়ে ফিজিসিষ্টরা নিজেরাই একটা ভোরটেক্স এর ভেতরে রয়েছে । পদার্থের কনা নিয়ে যে হরেক রকমের গবেষণা হচ্ছে , হরেক মতবাদ হচ্ছে যা আমাদের মতো সাধারন পাঠকের বোধবুদ্ধির বাইরে । তারা নাকি একই সময়ে যে কোনও অবস্থানের দিকে ছুটতে পারে আবার দুটি কনা ( এটম বা পার্টিকল ) নাকি অসীম দূরত্বে থেকেও একে অপরকে আলিঙ্গন করে থাকতে পারে । কোয়ান্টাম এনট্যাঙ্গেলমেন্ট এর এই "স্পুকি এ্যাকশন" নাকি আবার প্রমান করেও ফেলেছেন কেউ কেউ ।
আপনার ও উদাসী স্বপ্নর মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্য তাই আগ্রহ ভরে খেয়াল করছি । এসব তো আর গল্পের বিষয় নয় তাই বুঝে উঠতে সময় লাগছে ।
আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি মানুষের মস্তিষ্কের বুদ্ধিমত্তাকে কব্জা করতে পারবে কিনা এটা নিয়েও আপনার সংশয় বুঝতে পারছি কারন লক্ষকোটি স্নায়ুকোষ (নিউরোন) এর ভেতরে ডুব দিয়ে আসল কোয়ান্টাম মুক্তোটাকে তুলে আনা সহজ নয় । প্রাসঙ্গিক হবে মনে করে এই প্রসঙ্গে একটি লিংক দিলুম ---- ঠিক দুক্কুর বেলা ভুতে মারে ঢিল....

সবশেষে বলি - দারুন পোস্ট ।

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪০

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: অসীম দূরত্বে থেকে একে অপরকে আলিঙ্গনও করতে পারে- ঠিক! উদাসী স্বপ্ন তার কমেন্টেই বলেছেন যে কোয়ান্টাম জগতে বসে সুদূর মহাশুন্যের কোন গ্রহের ঘটনাও পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে। কোয়ান্টাম জগত (পদার্থের ক্ষুদ্রতর স্কেল) আমাদের চেনা-জানা বাস্তব জগতের সমীকরণ মেনে চলে না। আর "হরেক রকম মতবাদ"-এর উদ্ভবগুলি মূলত পদার্থবিদ্যার থট এক্সপেরিমেন্ট আর গবেষণাগারে প্রাপ্ত বিভিন্ন পর্যবেক্ষণের ডিডাকশন; আমাদের চেনা-জানা বাস্তব জগতের বোধবুদ্ধি দিয়ে এগুলোকে ধরা যাবে না। এক্ষেত্রে ইমাজিনেশন/ইনটুয়িশনই শেষ ভরসা! :)

১৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৪:৩৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: শ্রোয়েডিঙ্গারের ঐ ডিরাইভেশনটা ছিলো ননরিলেটিভিস্টিক সিস্টেমের জন্য যখন একটা পার্টিক্যাল যদি ইলেক্ট্রিক ফিল্ডের ভিতর দিয়ে যায় তখন তার স্ট্যাশনারী ওয়েভ টাইম অপারেটর দিয়ে কিভাবেখিসেব করা যায়। পরে সেটাই আইজেনভ্যালু অপারেটরের সাপেক্ষে ডিরাইভেশনে তার টোটাল এনার্জির সাথে কোয়ান্টাইজড বা হ্যামিলটোনিয়ান অপারেটরের সম্পর্ক নির্নয়।

কিন্তু বাস্তবের টাইম রিলেটিভিস্টিক তাই না? সমস্যা তো এখানেই।

আর মনে হচ্ছে আপনি ফিজিক্স বা ম্যাকানিকালের ছাত্র। আপনাদের ইএমএফ কোর্স পড়ায় নাই? ওখানে স্পেসিয়াল থ্রি ডাইমেশনের স্ফেরিক্যাল ও সিলিন্ড্রিক্যালের অংক শোয়াম সিরিজ ফলো করলে তো কঠিন লাগার কথা না। গ্রাফ টানা খাতায় শুধু রুল টেনে হিসাব করা। একটা সম্পাদ্য উপ পাদ্য ভাব আছে। যার যতো কল্পনা করার ক্ষমতা তার তত ভালো লাগবে এই সাবজেক্ট। আমার মতো লাস্ট বেঞ্চার পোলাপান এতে বি+ উঠাইছিলো।

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:১৯

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: আমি ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্সের ছাত্র, এ সুবাদে অল্প-বিস্তর যা কিছু ফিজিক্স পড়া। স্ফেরিক্যাল আর সিলিন্ড্রিক্যালের অংক করছি- তবে ওইটা সম্ভবত ইলেট্রোম্যাগনেটিজমে, ফিজিক্সে নয়- শোয়াম সিরিজ বলে কিছু পড়ি নাই। নিজ গরজে পড়ে নেবো, সমস্যা নেই। :)

১৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৫১

আশরাফুল অ্যাস্ট্রো বলেছেন: সামু ব্লগে এরকম লেখাই আমি হদিস করছিলাম ।অনেক দিন পর পেয়েও গেলাম। ধন্যবাদ ,সামু যেন মৌলবাদের আখড়া না হয় সেদিকে নজর রাখার পাশাপাশি বিজ্ঞান ভিত্তিক লেখার পরিমান আরও বাড়াতে হবে ।

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: গোঁড়া রক্ষণশীলরা মূলকে আঁকড়ে ধরে মৌলবাদী হয়, স্বাভাবিক নিয়মেই তারা সংখ্যায় বেশি হয়। বিজ্ঞানবাদী লেখকরা সংখ্যালঘু। লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে নাম্বারও একটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর।

১৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:২৮

মহসিন ৩১ বলেছেন: মানুষ আসলে নিজের দিকেই তাকাবে। সত্যি মনে হচ্ছে। এখানে কিছু যুক্তির কারসাজী আছে বটে। যেমন মানুষের লেজ নাই, কিন্তু ল্যাজের মতই ভারসাম্য বুঝতে হয় তাকে প্রত্যেক মুহূর্ত। তার creative পরিবেশের সকল অসামঞ্জস্যের মধ্যে সে নিজের ল্যাজকে দেখে প্রতিদিন । সময় নিয়ে দেখে, যেমন ঢাকার লোকেরা মাওয়ার লোকেদের দেখে, ধনীরা গরিবদের এবং গরীবরা ধনিকদের দেখে। এই ল্যাজটা অত্যন্ত জরুরী , এটা না দেখতে পেলে বহু মানুষই ভেঞ্চি কাটে, কেউ কেউ গাল ফোলায়।

মানুষের গঠনতন্ত্রে তিনটি মৌলিক সমস্যা রয়ে গেছে , সব মানুষেই সেটা এখনও জানতে পারে নাইঃ---
১) ভাইরাস এবং এর সৃষ্টি ২) রসুন এবং এর গঠন এবং ৩) ভাষা ও এর উপাদান।

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৫

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: :) ভাইরাস আর রসুন!! লা-জওয়াব। ;)

আমার কাছেতো প্রতিটা স্টেটমেন্টই এক ধরনের ভাষাভিত্তিক ট্রিক বলে মনে হয়। শিশু জন্মের পর আনকনশাস একটা ওয়েতে ভাষাকে আয়ত্ত্ব করে, সচেতন ভাবে এর উপাদানগুলোকে খুঁটিয়ে দেখার প্রয়োজনীয়তা তার জীবনে খুব কমই আসে। দু'য়ে দু'য়ে চারই জীবনের বেসিক ধ্রুব সত্য, অথচ ফ্যালাসিটা এখানে যে আমরা ২ আর ৪ -এর সংজ্ঞাটাই এমনভাবে দিয়েছি যে, ২ আর ২ -এর যোগফল ৪-ই হবে; একই কথাটাকে ট্রিকিভাবে ঘুরিয়ে বলা। নিজের ল্যাজ দেখাটা মনে হয়, সারভাইবাল প্রক্রিয়ায় মানসিকভাবে টিকে থাকার জন্য এক ধরনের স্বান্ত্বনা।

১৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪১

মহসিন ৩১ বলেছেন: না ট্রিক না। ভাষা কিছু বোঝায়। এটার প্রত্যেক শব্দগুচ্ছের ডেফিনিশান আছে। বাক্যকে আমরা ভেরিফাই করে থাকি , বুঝতে থাকি , বুঝাতেও ! এখন প্রশ্ন উঠতে পারে শুরুটা জানি কবে থেকে হয়েছিল ! ---- আমরা যারা আকাশকে দেখতে দেখতে মনে মনে ভাবছিলাম যে এই আকাশটা কোন একদিন আলোকিত হতে হতে সাদা হয়ে যাবে একদম। তারা কি কোনদিন এটাও ভেবেছিল যে; ব্ল্যাক হোল আমাদের সমস্ত ইনফরমেশান কে মুছেও দিতে পারে। অর্থাৎ ইনফরমেশান বিহীন অবস্থা। তাহলে আমাদের কমন বুদ্ধিমত্তাকে কিভাবে ডিফাইন করা যায়।

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:২০

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: ব্ল্যাকহোল প্রথমে একটা তাত্ত্বিক কনসেপশন ছিলো, পরে পরীক্ষার মাধ্যমে এর অস্তিত্ব সত্য (এ বিষয়ে আমার পড়াশোনা কম) প্রমাণিত হয়েছে, যদিও আমার মানবিক ইনটুয়িশনে ব্ল্যাকহোলের এনটিটি কিভাবে সম্ভব তা এখনো বুঝি না। আমরা আকাশ খালিচোখেই দেখি, ব্ল্যাকহোল খালিচোখে দেখি না (প্যারাডক্সটা এখানেই- ডেফিনেশন অনুযায়ী তা খালিচোখে দেখা সম্ভবও না, কারণ চোখ প্রতিফলিত আলোর মাধ্যমে বস্তু বা কোন এনটিটিকে পর্যবেক্ষণ করতে পারে, ব্ল্যাকহোল কোন আলো প্রতিফলিত করে না; {যদিও হকিং- শেষের দিকের লেখাগুলোয় বলছেন, ব্ল্যাকহোল পুরোপুরি ব্ল্যাক নয়; অ্যাবজর্বড তথ্য/আলোর স্বল্প পরিমাণে কিছুটা সে নি:সরণ করে})। সুতরাং, নিজের বেসিক সংজ্ঞানুযায়ীই ব্ল্যাকহোলের অস্তিত্ব সরাসরি প্রমাণিত নয়, এর অস্তিত্ব কিছু সায়েন্টিফিক অবজার্ভেশন থেকে প্রাপ্ত ডিডাকশনের উপর ভর করে দাঁড়িয়ে। বিস্তারিত সময় থাকলে, বেঁচে থাকলে কথা হবে...

১৭| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৩৭

এখওয়ানআখী বলেছেন: এটি সম্ভব - মানুষ নিজেকে ব্যাখ্যা করতে পারবে কোনো একদিন।

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:২৬

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: ত্রিশ-চল্লিশের দশকে উন্নত বিশ্বের কেউ কল্পনা করতে পারেনি ষাটের দশকের মধ্যেই মানুষ চাঁদে পা দিবে!

১৮| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ২:৪৩

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: বেশ জ্ঞান গভীর একটা লেখা। অনেক বিশ্লেষণ করেছেন অবশ্যই এটা লিখতে যেয়ে........

১৯| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:৪৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ইএমএফ ই ই ই এরই একটা সাবজেক্ট। আমি এটার ওপরই অনার্স করেছিলাম চুয়েট থেকে, যদিও ব হু আগে। শোয়াম সিরিজের অংক আর ওয়াজেদ মিয়ার থিওরীর বই আরেকটা বই ছিলো যেখান থেকে এন্টেনার আরএফটা পড়ানো হইছিলো। একটা আরএফ এন্টেনাও ডিজাইন করে বানাতে হয়েছিলো এলুমিনিয়ামের পাত কেটে। সেটা মোবাইলেও কাজ করতো যদিও তখন আমার নিজেরই মোবাইল ছিলো না। ২০০০ সালের দিকের কথা


বেস্ট অব লাক

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:২৪

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: রেডিও ট্রান্সমিটারের ওপর ভালো কোন বই সাজেস্ট করতে পারেন আমাকে? যেখানে, মানুষের ভয়েসকে কিভাবে ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালে কনভার্ট করে সেই সিগনালকে অ্যান্টেনার মাধ্যমে ভ্যাকুয়ামে ছেড়ে দেয়ার ডিটেইলস পাওয়া যাবে?

২০| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:২৩

নতুন বলেছেন: এআই অবশ্যই মানুষের চিন্তার কাছাকাছি চলে আসবে এক সময়.... তখন সাধারন মানুষের বুঝতে কস্ট হবে এটা আসলে মানুষ না এএই।

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:২৯

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: মানবিক অনুভূতিগুলো কি তবে এআই -এর দ্বারা প্রতারিত হবে না?

২১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৪১

নতুন বলেছেন: কিছুটা তো অবশ্যই হবে....

কিছু অনুভুতি অবশ্যই এআই বুঝতে পারবেনা। কাউকে বাচাতে নিজের জীবন বিপন্নকরা, জীবন সেকরিফাইজ করা, ভালোবাসা...

আমার মনে হয় মানুষের সাথে ইন্ট্রিগেট করতে হলে অন্য রকমের কম্পিউটার লাগবে যেটা হবে নেচার বেইজড। বত`মানের সিলিকন চিপের কম্পিউটারে হবেনা।

২২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সেটা তো যেকোনো ডিপো মানে ডিপ্লোমা ওয়ালাগার বই বা ইলেক্ট্রনিক্সের হ্যান্ডবুকেই পাবেন। আর যদি নিজে ডিজাইন করতে চান তাহলে বয়েল স্টাড দেখতে পারেন মড্যুলেশন ডিমড্যুলেশনে। আরেকটা বই ছিলো কিন্তু সেটা এখন আর মনে নাই। তবে এখন আর মনে নাই। এনালগ ইলেক্ট্রনিক্সের চল চলে গেছে। এখন সব মাইক্রোকন্ট্রোলারের যুগ। এবং এর জন্য সবচে ভালো জিনিস সি নইলে ভিএইচডিএল আর জাভা আর ইলেক্ট্রনিক্স সেকশনের জন্য রাত দিন প্রাকটিসয। টুলকিট আমার ছিলো এভিআর। জইলগ ও ভালো শেখার জন্য

২৯ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৫৯

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: মাইক্রোকন্ট্রোলার পাসমার্ক তুলতে বহুত কষ্ট হইসে। তবে আমাদের চাপ কম ছিলো। প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শিখতে হয় নাই। :)

২৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:২১

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম । লেখকের জন্য শুভ কামনা ।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৫৭

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: অবশ্যই! সে আর বলতে... :) B-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.