নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেইল : [email protected]

বিপ্লব০০৭

...

বিপ্লব০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোরানে বিজ্ঞান!

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২৭



একবিংশ শতক প্রকৃতিবিজ্ঞানের জয়-জয়কারের শতক। ধর্মে অন্ধবিশ্বাসীদের মতনই প্রকৃতিবিজ্ঞানের যা কিছু অবদান, আবিষ্কার সবকিছুর ওপর এক ধরনের বিশ্বাস (trust) এই শতকের মূলবৈশিষ্ট্য। যদিও প্রকৃতিবিজ্ঞানও উচ্চস্তরে গিয়ে ফিলোসফির কাছে হাত পাততে বাধ্য হয়, তবুও প্রকৃতিবিজ্ঞানের বহু উদ্ভাবন (যেমন : মেশিনারি ডিভাইসগুলো) -এর উপর মানুষের আস্থা আর নির্ভরতা অনেক বেশি। প্রকৃতিবিজ্ঞানের এইসব আবিষ্কারের সুফল ধার্মিকরাও ভোগ করছেন। প্রকৃতিবিজ্ঞানের সাথে যদিও ধর্মের বিরোধ স্পষ্ট, তারপরও নির্লজ্জ ধার্মিকরা প্রকৃতিবিজ্ঞানীদের আবিষ্কারগুলোর সুফল উপভোগ করেই, সেগুলোর মাধ্যমেই প্রকৃতিবিজ্ঞানের বিরুদ্ধে প্রচার চালাতে কসুর করে না। যদিও হাল-আমলে এসে তাদের অনেকেরই বোধদয় হয়েছে, তারা বুঝতে পেরেছেন ধর্ম আর প্রকৃতিবিজ্ঞানের লড়াইয়ে প্রকৃতিবিজ্ঞানই জয়ী। ফলে তারা এবার নতুন পন্থা ধরলেন। সেটা হল ধর্ম আর প্রকৃতিবিজ্ঞানের সমন্বয়

প্রকৃতিবিজ্ঞানে ধর্ম নাই। প্রকৃতিবিজ্ঞান তথ্য, উপাত্ত আর পর্যবেক্ষণনির্ভর। ওদিকে ধর্ম (আব্রাহামিক ধর্মগুলো আপাতত) আমাদের বলে, "বিশ্বাস" টিকিয়ে রাখতে; বিজ্ঞানীর পরিশ্রমলব্ধ তথ্য, উপাত্ত কিংবা পর্যবেক্ষণের কোন দাম তার কাছে নাই। কিন্তু বিশ্বাসীরা টের পেলেন, এতে আসলে হাল-আমলে এসে আর চলছে না। এমনকি তাদের দৈনন্দিন জীবনেও প্রকৃতিবিজ্ঞানের আবিষ্কারগুলোর এত প্রভাব যে তারা বুঝতে পারলেন কিছু একটা করতে হবে। কারণ প্রকৃতিবিজ্ঞানের নিত্য-নতুন তত্ত্ব, তথ্য আবিষ্কারগুলোকে অবজ্ঞা করে আর কতকাল খড়ের গাদায় মুখ বুঁজে থাকবেন? তাদের গৌরবের বিষয় একটাই- আজ থেকে হাজারখানেক বছর আগেকার মুসলিম বিজ্ঞানী ও দার্শনিকদের অবদান, সেই সোনালী অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করে জাবরকাটা ছাড়া ভিন্ন কিছু করার উপায় নাই

মুসলিমদের জ্ঞানের এই অধ:পতিত দশা থেকে উদ্ধার করতে ধূমকেতুর মতন উঠে এলেন অপবিজ্ঞানী ড. শমসের এবং শমসের-সদৃশ কতিপয় চ্যালা-চামুন্ডা। এরা কোরানকে সবকিছুর ওপরে স্থান দিলেন, এবং প্রমাণের চেষ্টা করলেন যে কোরানেই বিগব্যাং হতে শুরু করে কোয়ান্টাম মেকানিক্সসহ, বায়োলজি-নিউরোবায়োলজি, গণিত, পদার্থ, রসায়নের সব জ্ঞান বিদ্যমান। অবশ্য এতে একটু সমস্যা দেখা দেয়। কোরানে যদি বিজ্ঞানের সব জ্ঞানই বিদ্যমান থাকে তবে মুসলিম বিজ্ঞানীরা কি করছেন? তাই শমসের-গংদের যুক্তি হল, কোরানে ঠিক বিজ্ঞান নেই, আছে "ইন্ডিকেশন" অব বিজ্ঞান! (বিশ্বাসীদের জন্য এইই হল নিদর্শন, ভাষার চাতুরিটা লক্ষ্য করুন)।

কোরানে বিজ্ঞানকে প্রতিষ্ঠা করতে কতরকম চৌর্যবৃত্তি, ছল-চাতুরি, বাক্যের খেল আর আরবী শব্দগুলোর বিভিন্ন অর্থে প্রয়োগসৃষ্ট ধোঁয়াশার সাহায্যই না নেয়া হল সেইটা সাতশ-আটশো পৃষ্ঠার সায়েন্টিফিক ইন্ডিকেশনস ইন দা হোলি কোরান না পড়লে বোঝা যাবে না। যেখানে যখন যেভাবে ইচ্ছে শব্দের অনুবাদ করা হল, কাজ না হলে বাক্যের অর্থ বদলে দেয়া হল। সেভেন হেভেনকে কখনো বলা হচ্ছে সাত আসমান, আবার আধুনিক যুগে এসে তাই হয়ে গেল স্তর, তারপর সেখান থেকে এবার বায়ুমন্ডলীয় স্তর!! খালি চোখে যে আকাশ আমরা দেখি, নবীর আমলে ছিলো সেই প্রথম আসমান। বিশ্বাসীদের বিশ্বাস ছিলো সেইটা ছাড়িয়ে আরো ছয় অাসমানে...আধুনিক যুগে এসে তারা পড়ে গেলেন দ্বন্ধে, বিজ্ঞান ব্যাখ্যা দিলো এই নীলাকাশ আলোর বিচ্ছুরণের কারণে দৃশ্যমান। তবে কোথায় বাকি আসমানগুলো! ফলে নতুন তত্ত্ব হাজির হল- প্রথম আসমান মূলত আমাদের দৃশ্যমান আকাশের আরো অনেক উপরে।

বিজ্ঞান আপডেট হয় প্রকৃতিকে পর্যবেক্ষণ করে, ওদিকে ধর্ম (মূলত ধর্মীয় ব্যাখ্যাগুলো) আপডেট হয় বিজ্ঞানকে ভর করে।
তারপর সে আবার কর্তৃত্ব ফলাতে চায় বিজ্ঞানের ওপর।

নবীর আমলে পৃথিবী গোলাকার- এই জ্ঞান তখনও আরবে প্রচলিত ছিলো না; ফলে কোরানেও আমরা পাই আল্লাহ বলছেন- তুমি কি দেখ না কিভাবে পৃথিবীকে তিনি বিস্তৃত করেছেন সমতল চাদরের ন্যায়...শমসের গংরা এখানে এসে সমস্যায় পড়েন, তারা আবার পাল্টা যুক্তি দিতে বাধ্য হন, পৃথিবী এত বিশাল যে ক্ষুদ্র স্থানে স্ফিয়ারের বক্রতা না ধরলেও চলে! এই হল, বিশ্বাসের মূলসমস্যা। তথ্য, উপাত্ত কিংবা পর্যবেক্ষণ যাই থাকুক, ঈমানের তেজে ভাষাভিত্তিক কূটচালে সে পরাস্ত হয় না। সকল প্রাণীকে আল্লাহ জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন, এখান থেকে শমসের আবিষ্কার করেছেন, ইলেকট্রন-প্রোটনের প্রতিঅনুকণাগুলিকে (অবশ্যই পশ্চিমা বিজ্ঞানীদের আবিষ্কারের পরে)।

কোরানে বিজ্ঞান আবিষ্কারের প্রক্রিয়াটা একটু দেখি। প্রকৃতিবিজ্ঞানীরা কোন একটি তত্ত্ব দেন যা পরে পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়, অথবা পরীক্ষা, পর্যবেক্ষণজাত তথ্য, উপাত্তের সাহায্যে কোন তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করেন; আর তারপরই অপবিজ্ঞানীরা কোরানের যেকোন একটি বাক্যকে ঘুরিয়ে-প্যাঁচিয়ে এই বৈজ্ঞানিক তাত্ত্বিক বা প্রায়োগিক আবিষ্কারের সাথে একে লিঙ্কড করে বলে, এইতো পাওয়া গেল কোরানে বিজ্ঞান।

তবে ইদানিং পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে। বিশ্বাসীদের মধ্যে অনেকেই এই ব্যাপারে প্রথমে সংশয়াচ্ছন্ন ছিলেন। কোরানে কোয়ান্টাম মেকানিক্স থেকে শুরু করে বিগব্যাং-ব্ল্যাকহোলসহ বিজ্ঞানের ব্যাপক ও বিপুল আবিষ্কারকে তারা একরকম দৌদুল্যমান অবস্থা থেকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। এখন তাদের অধিকাংশই নিরব কবি। তারা মূলঘটনা ধরতে পেরেছেন...একবিংশ শতক প্রকৃতিবিজ্ঞানের জয়-জয়কারের শতক। ধর্মতাত্ত্বিকের ঈমান নিয়ে চিন্তা নেই, কিন্তু ধার্মিকের নিজের ঈমান প্রচলিত সমাজব্যবস্থা আর বিশ্বাসের সাথে খাপ খাইয়েই আপডেটেড হয়। এ কারণেই আমেরিকার কোন একটি সি-বিচে, যেখানে বিকিনি-পরিহিতা স্বর্নকেশীরা সানবাথ করছে, সেখানে একজন খাটি ধার্মিক মুসলমানের অস্তিত্ব অসম্ভব। ধার্মিককে তার পারিপাশ্বিক পরিস্থিতি কিংবা দর্শনের ব্যাখ্যা দিতেই হয়, সেই সি-বিচেও তাই পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে তার একটাই বক্তব্য থাকতে পারে-- কেয়ামত আসন্ন!!

কোরানে বিজ্ঞানের আবিষ্কার আর কিছুই নয়- এই অতিবিশ্বাসী ঈমানদার বান্দাদের প্রচলিত দর্শনের (প্রকৃতিবিজ্ঞান) সাথে নিজেদের খাপ খাইয়ে নেওয়ার এক ব্যর্থ প্রচেষ্টা

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫৪

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আপনি কোন দলে?? :P

মেশিনারি ডিভাইস কী?? ল্যাপটপ, মোবাইল.....

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০২

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: মেশিনারি ডিভাইস না বলে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ডিভাইস বললে মনে হয় আরো ভালোভাবে বুঝানো যেত। যাকগে, আমি কোন দলে? এইটা জানতে চান আপ্নে, কত্তবড় সাহস!! কোথায় হাত দিছেন জানেন? ১৯৭১- সালের সিআইএর ক্লাসিফায়েড ডকুমেন্টসের তথ্য আজ ২০১৭-১৮ --তে এসে খোলা হচ্ছে...আর আপ্নে জানতে চান আমি কোন দলে! X(

২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ধর্ম একটি বিশ্বাসের বিষয়।
বিজ্ঞান গবেষণাগারে প্রমাণ করতে হয়।
বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহু দূর।

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০৫

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: কিন্তু ধর্ম কেন এই আধুনিক যুগে এসে বিজ্ঞানের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হল? কেন সে বিজ্ঞান যা বলে সে অনুযায়ী তার নিজের মধ্যেও একই জ্ঞান আছে বলে জাহির করতে বাধ্য হচ্ছে?

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৯

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: বিশ্বাসে মিলায় বস্তু- কথাটি ত্রুটিপূর্ণ! খেয়াল করে দেখেন, বিশ্বাসে "বস্তু" মিলাবে কেন? "বস্তু" শব্দটাইতো বিশ্বাসীদের কাছে খুবই নেতিবাচক। বিশ্বাসীরা বস্তুময় জগৎ-কে দেখেন "ভাব"-এর এক পরম আধার হিসাবে। বিশ্বাসী বা ভাববাদী বা আস্তিকদের সম্পূর্ণ বিপরীতে (একশো আশি ডিগ্রি কৌনিক অবস্থানে) দাঁড়িয়ে আছে বস্তুবাদী অবিশ্বাসী নাস্তিকরা। সুতরাং, বিশ্বাসে বস্তু মিলায় না বলে, বিশ্বাসে মিলায় "ভাব", তর্কে বহুদূর!- বললে এই কথাটি সঠিক মনে হয়।

৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৮

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: শান্ত হো মেরে ভাই।


ঈমানদার?
না প্রচলিত দর্শন?(প্রকৃতিবিজ্ঞান)
নাকি জগাখিচুড়ী??:P

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২৮

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: প্রকৃতিবিজ্ঞান বলতে- মূলত পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, বায়োলজি-- এসবের উদ্ভাবন, আবিষ্কার বা জ্ঞানকে বুঝিয়েছি। প্রকৃতিবিজ্ঞান যত উচ্চস্তরে যায় ততই সে বিমূর্ত হতে থাকে, শেষপর্যন্ত এমনকি ফিজিক্সের মতন একটা সাবজেক্ট যা প্রকৃতিবিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত, সেই সাবজেক্টের অধিকারীকেও সর্বোচ্চ ডিগ্রিটি নিতে হয় ডক্টর অব ফিলোসফি নামে।

৪| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধর্ম একটি বিশ্বাসের ব্যাপার।
যার যার ধর্মবিশ্বাস নিজের কাছে রেখে পালন করুন, না পাড়লে আংশিক পালন করুন, না পাড়লে নেই।
ধর্ম বিরোধিতা করা ঠিক নয়।
একজনের বিশ্বাস অন্যের উপর জোরপুর্বক চাপিয়ে দেয়াও ঠিক নয়।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১৫

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: মুসলিমদের দরকার কোরানের বাণীকে যুগের সাথে খাপ খাইয়ে মডিফায়েডরূপে হাজির করা। আপনি চৌদ্দশ বছর আগে যা বলা হয়েছে, সেই একই কথারই পুনরাবৃত্তি করছেন। বলেন দেখি, অ্যান্ড্রয়েডে যদি কোরান শরীফ পড়ি তবে আমাকে অযু করতে হবে কিনা?

৫| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



পৃথিবীর যে ধর্মের কথাই বলি না কেন, ধর্মের প্রাথমিক ধারণা হলো মানুষ কোন এক মহাশক্তিশালী স্রষ্টার সৃষ্টি। সেই স্রষ্টাই এই পৃথিবীসহ যাবতীয় সকল কিছুর কারণ। নৈতিকতা ও মানুষের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির নিশ্চয়তা একমাত্র সম্ভব এই স্রষ্টার হস্তক্ষেপে। এই মূল কথার উপর ভিত্তি করেই ধর্ম সেই প্রাচীনকাল থেকে মানুষের মন ও সমাজকে প্রভাবিত করে আসছে। ভৌগলিক ও রাজনৈতিক কারণে, আমরা ধর্মের বৈচিত্র্য দেখতে পাই মাত্র, কিন্তু সকল ধর্মের স্বরূপ ও প্রকৃতি প্রায় একই রকম।

বিজ্ঞানের স্বরূপ পরিস্কার। আইনষ্টাইনের ভাষায়, মানুষের শতাব্দী পুরোনো পদ্ধতিগত চেষ্টা, যার মাধ্যমে জগতের দৃশ্যমান ঘটনাবলীকে যোগসূত্রের মধ্যে দিয়ে ব্যাখ্যা করে বর্তমানের চিত্রায়ন ও ভবিষ্যৎ এর সম্ভাবনাকে তুলে ধরার নামই বিজ্ঞান। বিজ্ঞান কখনই মানুষকে বা তার কর্মকান্ডকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়নি, বরং চেষ্টা করেছে মানুষের মানবিক সীমাকে বাড়িয়ে নিতে, যেখানে মানুষ তার বর্তমান জ্ঞান ও বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে সম্ভাবনার নতুন নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে এই পৃথিবী ও এর বাসযোগ্যতাকে আরো উপোযোগী করে তুলতে। বিজ্ঞান এর লক্ষ্য অজানাকে জানা, জানার পথকে রুদ্ধ করা নয়।

দর্শনের নানা শাখা প্রশাখা মানব সভ্যতার আদি থেকে বিজ্ঞানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কাজ করে আসছে। আজকের দিনে যুক্তি ও দর্শনের সাথে মানবসমাজের দূরত্ব অনস্বীকার্য। দর্শন ও যুক্তির সাথে বিজ্ঞানের ধনাত্মক যোগসূত্রের কমতি আর ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের ঋণাত্মক যোগসূত্রের প্রাবল্য। এজন্য বিজ্ঞানের মাঝে ধর্মকে খোঁজলে হবে না।

নিরঙ্কুশ বিশ্বাসের সাথে যুক্তি, গবেষণা, আবিষ্কার, সাহিত্য-দর্শন ও পরিবর্তনকে এক করলে হবে না; দুটি বিপরীত মুখী ধারা।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:১২

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: তীব্র দ্বিমত পোষণ করি। আজকে তেল প্রায় শেষ...সময় হলে কথা হবে।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪৭

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে প্রাসঙ্গিক ৮ আর ১৩ নং মন্তব্যের প্রত্যুত্তর।

"দর্শন ও যুক্তির সাথে বিজ্ঞানের ধনাত্বক যোগসূত্রের কমতি আর ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের ঋণাত্নক যোগসূত্রের প্রাবল্য"- কি বোঝাতে চাইলেন পরিষ্কার না। "ধনাত্নক যোগসূত্র" -এই শব্দদ্বয়ের অর্থ পরিষ্কার করবেন কি?

৬| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ফিজিক্স, কেমেষ্ট্রি, বাইোলজি, ফিজিওলোজীর অনার্স ক্লাশে ১০০ মার্কের বিজ্ঞান ক্লাশ হিসেবে কোরানের অন্তর্ভুক্তি রিকেন্ড করবেন কিনা?

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০৭

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: নাহ্। কারণ ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বায়োলজি কিংবা ফিজিওলজি-- এগুলা একটা ক্যাটাগরিতে পড়ে; যেমনটা জাভা, ওরাকল, পাইথন, সি প্লাস প্লাস- একটা ক্যাটাগরিতে পড়ে। কম্পুটার প্রোগ্রামারের কোরানের জ্ঞান না থাকলেও তার টেকনিক্যাল কাজ চালাতে কিংবা প্রোগ্রামিং কোড লিখতে কোরানে হাফেজ না হলেও চলবে।

(তবে মানুষতো শুধু নিষ্প্রাণ জ্ঞানের ডাটাবেইজ নয়; তার নিজস্ব জীবনদর্শন বা জীবন সম্পর্কিত বোধ আছে যেইটার সাথে ধর্মীয় জ্ঞান অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িত হয়ে আছে। তাই ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি বা বায়োলজির ছাত্রের কোরান পড়ার দরকার আছে কিনা এইটা সম্পূর্ণ দর্শনের প্রশ্ন। আমার উত্তর হল অপশনাল হিসেবে রাখা যায়। যার দরকার সে এই সাবজেক্ট নিবে। সেইসাথে বাস্তব পরিস্থিতি অনুযায়ী কিভাবে কোরান আরবদেশ থেকে প্রবাহিত হয়ে মানুষের নিকট হাজির হল, সেই ঐতিহাসিকতা জানাও প্রয়োজন। তাছাড়া যুগ আধুনিক হলেও, scripture হিসেবে দা বুক অব দা ডেড, বেদ কিংবা কোরানের নৃতাত্ত্বিক মূল্য সমাজবিজ্ঞানীদের কাছে সবসময়ই থাকবে।)

৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:২৩

ঈশ্বরকণা বলেছেন: ব্যাপক জ্ঞানমূলক লেখা মনে হলো ! কিন্তু " বিজ্ঞান আপডেট হয় প্রকৃতিকে পর্যবেক্ষণ করে, ওদিকে ধর্ম (মূলত ধর্মীয় ব্যাখ্যাগুলো) আপডেট হয় বিজ্ঞানকে ভর করে" এই কথার অৰ্থতো বুঝলাম না I অবিশ্বাসীদের একটা মূল আর্গুমেন্টেটইতো হলো ধর্ম স্থবির I হাজার বছর আগে আসা ধর্ম এখন অচল I আপডেট হলেতো এই অবস্থা হবার কথা না ? তাছাড়া এটাও আশ্চর্য আপনি যে বললেন ধর্মের আপডেটেড ব্যাখ্যা ! সেটা দিয়ে নিরাকার একজন ঈশ্বরের কোনো অবস্থান চেঞ্জ হলো কি এতো বছরেও ?তাহলে মূল ব্যাপারটাতেইতো আপডেট হচ্ছে না I তাহলে অন্য পেরিফেরাল আপডেটেরতো কোনো মানে থাকার কথা না I বিজ্ঞান ক প্রমান করতে পারলো একজন নিরাকার ঈশ্বর নেই ? কুরআন কোনো বিজ্ঞানের বই না I কুরআনে বিজ্ঞান সম্পর্কে যতটুকু থাকা দরকার সেটুকুই আছে I কুরআন হাজার বছর আগে যে ভাবে এসেছে সেভাবেই আছে I মানুষ কিভাবে তার ব্যাখ্যা করছে তাতে কি আছে না আছে সেটা নিয়ে যাই বলুক না কেন সেটা দিয়ে কুরআনকে ক্রিটিসাইজ করলেতো হবে না I যারা কুরআনকে বিজ্ঞানের সাথে মিলিয়ে ফেলতে চাইছে বা যারা বিজ্ঞানকে কুরআনের ওপরে স্থান দিচ্ছে সেটা তাদের সমস্যা, কুরআনের না I কুরআন ধর্মীয় গ্রন্থ হিসেবে এসেছে, এখনো তাই আছে I আপনার লেখাটার টাইটেলটা তাই ভালো লাগে নি I পারলে চেঞ্জ করুন I শমসের আলী সাহেবের এপ্রোচ আপনার ভালো লাগে নি সেটা ঠিক আছে কিন্তু সেটার জন্য কুরআনকে দায়ী করে এই শিরোনামের লেখার দরকার ছিল না বলেই মনে হয় I

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:০৪

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: বিজ্ঞান বলতে প্রকৃতিবিজ্ঞান (ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বায়োলজি, নিউরোলজি...ইত্যাদি) যেইটা প্রকৃতিকে, প্রকৃতিতে অবস্থিত যা কিছু আছে- সেগুলোকে পর্যবেক্ষণ করে প্রাপ্ত তথ্য, তত্ত্ব, উপাত্তের ভিত্তিতে নতুন থিওরি পেশ করে (প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করে নিউটনের প্রাপ্ত সূত্রসমূহ) অথবা উল্টোভাবে বিভিন্ন থট এক্সপেরিমেন্ট (শ্রডিঙ্গারের বিড়াল কিংবা আইনস্টাইনের স্পেস-টাইম কার্ভেচার দিয়ে মহাকর্ষ বলকে ব্যাখ্যা) যেসব এক্সপেরিমেন্টগুলো মাথার ভেতর চালিয়ে তত্ত্ব পেশ করে, তারপর প্রকৃতিকে পর্যবেক্ষণ করে বা ল্যাবে সংগঠিত পরীক্ষার মাধ্যমে সেই তত্ত্বকে জ্ঞানে প্রতিষ্ঠিত করে--- প্রকৃতিকে পর্যবেক্ষণ না করা ছাড়া প্রকৃতিবিজ্ঞান আপডেট হতে পারে না।

জগৎ ছিলো রহস্যময়, অস্পষ্ট, ধোঁয়াশাপূর্ণ; মঞ্চে এলেন নিউটন, তিনি মহাকর্ষ বল দিয়ে সূত্রবদ্ধ করে ব্যাখ্যা করলেন প্রাকৃতিক সব নিয়মাবলীকে। ঈশ্বরের অবস্থান তাহলে কোথায়!! বাইবেলের তল্পিবাহকরা তখন পড়লো বিপদে, তাদের ছিলো একটাই উপায় তখন পরিত্রাণ পাওয়ার...তারা বলতে লাগলো, এই মহাকর্ষ বলের মাধ্যমেই ঈশ্বর নিজেকে প্রকাশ করছেন। আইনস্টাইন তারও পরে এসে মহাকর্ষ বলকে ব্যাখ্যা করলেন স্পেস-টাইমের কার্ভেচার থিওরি দিয়ে...এবার ধার্মিকরা সৌৎসাহে লাফিয়ে নামলেন কোরানে কোয়ান্টাম মেকানিক্স থেকে শুরু করে ব্ল্যাকহোলের অস্তিত্বের ঈঙ্গিত পাওয়া নিয়ে!!! এভাবেই প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণজাত তথ্য, উপাত্ত বা থট এক্সপেরিমেন্টের তত্ত্বের সম্মিলনে আপডেট হয়ে আসছে প্রকৃতিবিজ্ঞান, আর পেছন পেছন এই প্রক্রিয়াকে অনুসরণ করে ধর্ম।

ধর্ম অচল হলো কিভাবে! আমি ভাই বাংলাদেশে থাকি। আমার বাস্তবতা স্পেস-টাইম নির্ভর। অ্যান্ড্রয়েডে কোরানের অ্যাপস নামাচ্ছে আধুনিক মুসলিমরা- আর আপনি বলছেন ধর্ম অচল!

কোরান বাণী আকাশ থেকে নাযিল হয়েছে, কিন্তু আমাদের হাতে এসেছে মানুষের পথ দিয়েই...কোরানের বাণী কি কোরানের সেই ঐতিহাসিক বিকাশ থেকে বিচ্ছিন্ন? আপনি কোরানের বাণীকে অক্ষত, অভ্রান্ত রায় দিতেই পারেন, কিন্তু তাতে ইতিহাসের যে প্রক্রিয়ায় কোরানের বাণী পরিবর্তিত, সংশোধিত ও বিবর্তিত হয়েছে সেসব মিথ্যা হয়ে যায় না। কোরান মানে শুধু কোরানের বাণী নয়, বরং তার বিকাশের ইতিহাসসহ আজকের আধুনিক মানুষ তাকে কিভাবে গ্রহণ করছে- সেটাও। বিশেষ পরিস্থিতিতে (যেই পরিস্থিতিগুলোর ক্রিয়েটর হলো মানুষ) এমনকি আল্লাহ নিজেই বলেছেন, তিনি কোরানের এক আয়াতের স্থলে অন্য নাযিল করতেই পারেন!! তাই কোরানকে মানুষের দিক থেকেই দেখতে হবে, পৃথিবীতে বসে একে মানববিচ্ছিন্ন কোন "কিছু" ভাবলে চলবে না।

৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:১২

ঈশ্বরকণা বলেছেন: Carl Sagan -এর কথাটা মনে আছেতো "If you wish to make apple pie from scratch, you must first create the universe"? মানে সব প্রশ্নের সমাধানের আগে ইউনিভার্সটা কিভাবে কি ভাবে হলো সেটার সমাধান না করে অন্য প্রশ্ন নিয়ে টানাটানি করলেতো হবে না I মানে বেসিক প্রশ্নটা হলো একটা ঈশ্বর ইউনিভার্সটা ক্রিয়েট করলো কিনা সেটা জানা জরুরি I আপনি যদি মনে করেন বিজ্ঞান জেনে ফেলেছে কিভাবে ইউনিভার্সটা হলো অ্যাবসলিউট সার্টিনীটির সাথেই তাহলে আপনার সাথে কথা বলারতো মানে হয় না I তবে একটা ইউনিফাইড থিওরি খুঁজে পাবার আগেই আপনাদের এই কথাগুলো খুব এমেচার লাগে I যাহোক আপনি এমআইটি -র থিওরিটিক্যাল ফিজিক্সের প্রফেসর অ্যালেন লাইটম্যানের লেখা পরে দেখতে পারেন যিনি নিজেকে একজন 'ঈশ্বর বিশ্বাসী না' হিসেবে পরিচয় দিলেও বিজ্ঞানের এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত প্রমানের ভিত্তিতে ঈশ্বর নেই সেই কথাটা বলতে চান না I ঠিক এই কথাটা Carl Sagan -ও বলতেন I সেই তুলনায় আপনাদের জ্ঞান অনেক বেশি অগ্রসর বলেই মনে হচ্ছে I

কিন্তু তাতে ইতিহাসের যে প্রক্রিয়ায় কোরানের বাণী পরিবর্তিত, সংশোধিত ও বিবর্তিত হয়েছে সেসব মিথ্যা হয়ে যায় না। এই কথাটা কোন বিজ্ঞান বইয়ে পেলেন ? কুরআন মানে তার বাণী আর তার রাসূল (সাঃ) কিভাবে তার ব্যাখ্যা করেছে সেটা I আপনি কি বলেছেন বা আমি কি ভাবি সেটা না I আল্লাহ নিজেই বলেছেন, তিনি কোরানের এক আয়াতের স্থলে অন্য নাযিল করতেই পারেন! হ্যা সেটাতো সত্যি I আল্লাহই সবচেয়ে ক্ষমতাধর I কুরআন আল্লাহর বাণী ছাড়াতো কিছু না I আল্লাহ চাইলে সেটার চেঞ্জ হতেই পারে I যেমন প্রথমে এলকোহল সম্পর্কে মানুষকে ভালো মন্দ দুই আছে বলে সতর্ক করা হয়েছে (মানে সেই সময়ে এলকোহল পান করা নিষিদ্ধ ছিল না)I তারপর এলকোহল নিষিদ্ধ করা হয়ে হয়েছে মুসলিমদের জন্য I এটাই সেই পরিবর্তন I এক আয়াত বাতিল (মর্মার্থ বা আদেশ বাতিল )করে অন্য আয়াত নাজিল I কুরআন রাসূলের থেকে একই আছে I আরবে -যেখানে কুরআন নাজিল হয়েছিল বা ইসলামের কেন্দ্রগুলি গত হাজার বছরে কখনো মুসলিম ছাড়া অন্য কারো
হাতে পরাধীন ছিল না I তাই স্বাভাবিক ভাবেই কুরআনের কোনো প্রবর্তন হয়নি I ইতিহাসের বিরোরীতধারায় অনেক কিছুই আপনি বিশ্বাস করতে পারেন কিন্তু তাতে সত্য পরিবর্তন হবে না I

কোরান প্রসংগে আপনার কথা খুবইআনাড়ির মতো I দেখুন, এখনো কিছু প্রথাবিরোধী সাইন্টিস্ট আছেন যারা বলছেন মানুষের সূচনা হয়েছে ভিনগ্রহের মানুষদের দিয়ে I তারা কেউ কিন্তু ধর্মতাত্বিক না I বিজ্ঞান পড়া মানুষই I এখন এদের কথাবার্তার জন্য কি প্রথাগত বৈজ্ঞানিকদের দোষ দেওয়া যাবে ? আমেরিকার আইভি লীগ স্কুলের ২৫% বিজ্ঞানের শিক্ষক ঈশ্বর বিশ্বাসী ! এরাই কিন্তু ওখানকার টপ সাইন্টিস্ট ! ধর্ম নিয়ে আরো একটু পড়াশোনা করুন I সময় আছে আরো অনেক I অনেক কিছু জানার এখনো বাকি আছে I এতো তাড়াতাড়ি ইনফরমেশন ছাড়াই ঈশ্বর, ধর্ম বাতিল করে হাবিজাবি লিখতেই পারেন কিন্তু সত্য তাতে থাকবে না I ও ভুলে গেছি নোবেল লরেট প্রফেসর সালামের কথা মনে আছে ? ফিজিক্সের ইতিহাসে যার স্থান সব সময়ের জন্য নির্ধারিত হয়ে গেছে সেই প্রফেসর সালামের সব একাডেমিক লেকচারের/কনফারেন্স টকের স্লাইডের ওপরে "বিসমিল্লাহহির রাহমানির রাহিম" লিখা থাকতো I নোবেল লরেট বেকুব তাই না ?

কুরআন নিয়ে আপনার পড়াশোনা কেমন আছে সেটা না বললেতো আপনার সাথে কথা বলার মানে হয় না I কিছু অনুবাদ পরে কুরআন নিয়ে বিতর্ক করলেতো সেটা খুব বেশি ফ্রুটফুল হবে বলে আমার মনে হয় না I

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৪৩

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: আমার আলোচনার বিষয় খুবই সীমাবদ্ধ। সেটা হল, কোরানে কেন বিজ্ঞান খোঁজার প্রয়োজন দেখা দিল সেইটা দেখাতে চাওয়া। আপনার মন্তব্যের সাথে আমার পোস্টের কোন সম্পর্কই নাই। নিউটন যখন অভিকর্ষের তত্ত্ব দিলেন তখন এর জন্য তাকে ইউনিভার্স কিভাবে ক্রিয়েট হল সেই প্রশ্ন সমাধান করতে হয়নি। ব্যাপারটা এইরকম যে আমাদের চারপাশে আমরা যা পর্যবেক্ষণ করি, সেগুলোকে সূত্রবদ্ধ করতে, এগুলি নিয়ে বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব প্রদানে কিংবা দার্শনিক আলাপ-আলোচনা চালানোর জন্য ক্রিয়েশন নিয়ে মাথা ঘামাতে হয় না। কেপলারের গ্রহ-উপগ্রহের গতি সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণজাত সূত্রগুলো প্রণয়নের জন্য বিগব্যাং কিংবা ইনফ্লেশন থিওরি জানতে হয়নি। এমআইটির থিওরিটিক্যাল ফিজিক্সের প্রফেসারের পদে কেউ বসলেই সেই পদে আসীন থাকাটা তার প্রদত্ত কোন স্টেটমেন্টের জাস্টিফিকেশন হতে পারে না। হকিং বলছেন, আধুনিক শতকে ফিলোসফি ইজ ডেড- তাঁর এই কথায় ফিলোসফি ডেড হয়ে যাচ্ছে না।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:১২

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: প্রফেসর সালামের "বিসমিল্লাহ্" লেখাটি ইসলাম ধর্মের প্রতি তাঁর ভক্তির বহি:প্রকাশ, ধর্মকে যারা ভক্তির সাথে দেখেন তাদের সাথে আমি তর্ক করতে চাই না। আইনস্টাইনও নোবেলজয়ী ছিলেন যিনি বলতেন, তিনি কোন ধরনের অ্যানথ্রোমরফিক গডের অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন না। আইনস্টাইন কান্টের ঈশ্বরের কথা বলেছিলেন, যিনি এই অপূর্ব মহাবিশ্বের প্রাকৃতিক নিয়মকানুনের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত। এমনকি সেই ঈশ্বর সম্বন্ধে আরেকটু এগিয়ে আইনস্টাইন এও বলেছিলেন, "আমি বিশ্বাস করি না এই ঈশ্বরের পক্ষে এই প্রাকৃতিক নিয়মগুলোর বাইরে যাওয়া সম্ভব।" আইনস্টাইনের কথানুযায়ী নবীর চাঁদ দ্বিখন্ডিত করার ঘটনাটি সত্যি হতে পারে না। আপনিই তাহলে বলেন, প্রফেসার সালাম বেকুব নাকি আইনস্টাইন বেকুব ছিলেন?? (ধর্মকে যারা ভক্তির সাথে দেখেন, তাদের সাথে তর্ক করায় আমার আগ্রহ নাই।)

২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৩৭

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: কোরান প্রসঙ্গে আমার কথা আনাড়ির মতন কেন মনে হচ্ছে সেইটা আপনার কমেন্টে উঠে আসেনি। আমাকে "আনাড়ি" খেতাব দিয়ে দিলেন, অথচ নিজেই প্রফেসর সালামের মতন বিতর্কিত একজন ব্যক্তিকে নিয়ে আনাড়ির মতন মন্তব্য করেছেন। আপনার কথিত কিছু প্রথাবিরোধী সায়েন্টিস্ট (?) যারা বলে মানুষের সূচনা হয়েছে ভিনগ্রহের মানুষদের নিয়ে তাদেরকে সুডোসায়েন্টিস্ট বলা হয়ে থাকে। আপনি দানিকেনের কথা বলছেন, সে প্রমাণিত ছদ্মবিজ্ঞানী; তার ভিনগ্রহের দেবতা-তত্ত্বের উদ্ভাবন বহু আগের পরিত্যক্ত একটা ঘটনা- আপনি এখনো সেটা নিয়ে পড়ে আছেন। দানিকেনের রচনাগুলো একধরনের ইন্টারন্যাশনাল ঠাকুর্মার ঝুলি, এন্টারটেইনমেন্ট দেয় যথেষ্ট ড্যান ব্রাউনের থ্রিলারের মতন, যা নিজেকে একশোভাগ সত্য দাবি করে...তবে এ শুধুই বিনোদনের জন্য, বিশ্বাসের জন্য নয়। আপনি নিজে আশা করি আরো পড়াশোনা করে কমেন্ট করবেন। কোরানের কিছু অনুবাদ পড়েই ব্লগ লিখতে বসে গিয়েছি- এতটা ইডিয়ট ভাবছেন কেন আমাকে!

৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:১৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: দুনিয়ার মধ্যে মাসলম্যানরা হইলো সবচেয়ে বড় চশমখোর। উপ্রে একজন স্বঘোষিত মহাপন্ডিত প্রফেসর সালামের কথা বললেন কিন্তু তার হিস্টোরী পইড়া জানা যায় তিনি কাদিয়ানী ছিলেন এবং নোবেল পাওয়ার পর এক সাক্ষাৎকারে বলছিলেন মানবজাতীর উদ্ভব মঙ্গল গ্রহ থিকা। আর যায় কই, পাকিস্থানের বর্বর মাসলম্যানরা তার মাথার দাম ৫০০০০ পাকিস্থানী রূপী ধার্ষ করে। এই সেই একমাত্র হতভাগা নোবেল লরিয়েট যার কিনা তার নিজের ইউনি কোনো সম্মান জানায় যাই। তার কবর দিতে হইছে বিশেষ নিরাপত্তায়। আর স্বর্নযুগ ইসলামে কই পাইলেন? যে কয়জন খলিফা যা একটু ভালো আছিলো তারা ভালো রাখতে পারছে এই কারনে যে ইসলামের অনেক বর্বর মিথ্যা নিয়ম কানুন রদ করছে। এই যেমন হারুনুর রশীদের আমলে চুরির শাস্তি হাত কাটা দোররা মারা নিষিদ্ধ করছিলো। তার আমলে জাবির সাহেব ইসলাম বিরোধী বৈজ্ঞানিক কাজ যেমন পরশপাথর দিয়া অমরত্ব ইত্যাদি জিনিস নিয়া গবেষনা হইতো। তার সভায় মদ ও বেলী ড্যান্সের প্রচলন ছিলো। আরেকজ সবচেয়ে সফল বাদশা আছিলো নামটা মনে নাই শালায় ক্ষমতা পাইয়াই জিযিয়া কর রদ করে। অথচ জিযিয়া কর আদায় করা সুন্নত। আর বাকি যে কয়টা ছিলো সব হাড়ে হারামজাদা, প্রত্যেকে নিজের সম্রাজ্য বাড়াইতে গিয়ে দেশের ভিতরে দুর্ভিক্ষ, রোগ বালাই লাগায় দিছে, হাজার হাজার আম জনতা লিচু হইয়া পটল তুলছে। সব ইতিহাসে আছে।

আর কোরানে কিসের বিজ্ঞান? জাবির অথবা নওফেল অথবা মানুষের কাছ থিকা শুইনা শুইনা কোরানের নামে চালায় দিতো। প্রথম প্রথম কোরানের আয়াত ছিলো লাখ খানেক। যার বেশীর ভায় নাসেক মানসুখ। এই কারনে তা ৬ হাজারে নাইমা আসে। তাও বর্তমান পৃথিবীতে দুই ধরনের কোরান সৌদীর কোরান কলকাতার ছাপানো কোরানের সাথে মেলে না। কয়েকটা আয়াত কম বেশী। আবার কয়টা আয়াত ছাগলে খাইছে যেইখানে ব্যাভিচারের শাস্তি কি ছিলো সেইটা বলা আছিলো। আবার একটা মোহাম্মদের শ্বশুড় বক্কর মিয়া নিজের ঢুকাইছে। সীরাত লেখক সা'দ কোরান টুকতে গিয়ে প্যাগান গড আল্লার নামে দুইটা কথা কইলে সেইটা মোহাম্মদের পছন্দ হয়, তারে কয় ওরে সা'দ লাইন তো দারুন কইছো, আয়াত হিসেবে ঢুকায় দেও। দুস্টু সা'দ সেটা সীরাতে ঢুকায় দিছে।

বাংলাদেশের জঙ্গি অশিক্ষিত মাসলম্যানরা তাফসীর সীরাত তো পড়ে কোরানটাই ঠিক মতো পড়ে না। পড়বো কি? একেক জায়গায় একেকরকম অনুবাদ। পিকথাল একটা কয় তো কনভিক্টেড চোর ক্রিমিনাল হারুন ইয়াহিয়ার অনুবাদে কয় আরেকটা। এমন বিনোদন কেবল ইসলামেই আছে

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৫

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: আপনার পুরো কমেন্টের পাঞ্চলাইন একটাই, সেইটা হইলো আর কিছু না হোক- ইসলামে বিনোদনের অভাব নাই!! ইসলামের স্বর্নযুগ বলতে একটা পিরিয়ডতো গেছিলো যখন ধরেন তারা দ্শনে-বিজ্ঞানে বেশ সক্রিয় ছিলো। জাবির ইবনে হাইয়্যান, আল-ফারাবী, আল-কিন্দি, গাজ্জালী (গাজ্জালিতো রক্ষণশীল ভাববাদী ইসলামের পতাকাবাহী ছিলো)...তারপরও ওই সময়টাতে মুসলিম জ্ঞানমহলে নানা ধরনের দার্শনিক অ্যাটাক-কাউন্টার অ্যাটাক দেখা যায়! যেমন ধরেন খারেজি, মুতাযিলা কিংবা আশারিয়াদের ধর্মতাত্ত্বিক তর্ক-বিতর্ক-- কোরান কি অনন্ত নাকি সৃষ্ট, যদি কোরান অনন্ত হয় তাহলে আল্লাহওতো অনন্ত, এভাবে আমরা দু'টি অনাদি অনন্ত অস্তিত্ব পাচ্ছি, সে কিভাবে সম্ভব! আবার ধরেন আল রাজি, ফারাবী- এনাদেরতো একেকটা মাস্টারপিস মনে হয়। পশ্চিমা দর্শনের জন্ম যখন প্রাক-গ্রীসে (এথেনিয় কিংবা মিলেটাস) সম্পন্ন হচ্ছিলো, দর্শনের বিকাশের একটা পর্যায়ে আমরা পাই সক্রাতেইস, প্লাতন আর আরিস্ততেলেসকে ইসলামের ক্ষেত্রেও ঘটনাটা শুরু হয় রাশেদিন যুগে খারেজি, মুরযিয়া আর মুতাযিলীদের দিয়ে। ইসলামে দর্শনের অবস্থান কি, ইসলাম কি দর্শন বা জ্ঞানের অনুসন্ধিৎসাকে সমর্থন দেয় কিনা এইটা নিয়ে মুসলিম দার্শনিক মহলের তর্ক-বিতর্ক আর আমারও আগ্রহের বিষয়। আল্লাহ, আল্লাহর সত্তা, মানুষের ইচ্ছা কি স্বাধীন নাকি তা আল্লাহর অধীন- এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ টপিকসগুলা নিয়ে মুসলিমদের মধ্যে একটা ধারাবাহিক দার্শনিক ঐক্য-অনৈক্যের যৌক্তিক প্রবাহ দেখা যায় যেইটার কফিনে গদাম করে পেরেক ঠুকেন ভাববাদী গাজ্জালী, পশ্চিমা দর্শনেও একই র‍্যাশনালিটির চর্চা আমরা পাই দেকার্তে, স্পিনোজা, লক হয়ে হিউম পর্যন্ত; ভাববাদী গাজ্জালীর মতন এক্ষেত্রে এগিয়ে আসেন বিশপ বার্কলে যিনি দর্শন বা যুক্তিযুক্ত আলোচনা কিংবা অনুসন্ধিৎসার কবর খোঁড়েন ভাববাদী থ্রি ডায়ালগস প্রকাশ করে। গাজ্জালী লিখলেন, তাহাফুতুল ফালাসিফা (দার্শনিকদের অসংলগ্নতা) যেইটার জবাব দিলেন রুশদ তাহাফুত আল-তাহাফুত (অসংলগ্নতার অসংলগ্নতা) বইটা লিখে, ওইসময়কার এই যে দার্শনিক অ্যাটাক-কাউন্টার-অ্যাটাক-- এইটা আজকের এই শতকে দেখা যাচ্ছে না।

১০| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: খুব কঠিন বিষয়।
এই বিষয় নিয়ে তর্ক করা ঠিক না।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৪১

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: না, তেমন কঠিন নয়। তর্ক করা ঠিক হবেই বা না কেন? B:-)

১১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:০৭

বিজন রয় বলেছেন: আপনার আরেকটি লেখা পড়লাম। এটিও অনেক তাৎপর্যপূর্ণ।

তবে ধর্ম কি আপডেট হচ্ছে? নাকি আপনার কথায় অপডেট করাতে যেয়ে ব্যর্থ হচ্ছে?

তবে আপনার লেখা ৯৫% মুসলিমদের দেশে ব্যর্থ হবে।
কেননা, এখানে ১১০% ধার্মিক লোক বাস করে।

শুভকামনা রইল।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:০৯

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: খৃস্ট ধর্ম আপডেট হয়েছে, খৃস্ট ধর্মে নবীরা যেমন এসেছেন, পরবর্তীকালের ইয়োরপীয়ান দার্শনিকদের অবদানে খৃস্ট ধর্মের নীতি, বিধান, ঈশ্বর, ন্যায়-নৈতিকতা-- এগুলো নিয়ে চিন্তা-ভাবনা, দর্শন এগিয়ে গিয়েছে। নবীর যুগ শেষ, এতকাল যা গায়েব হতে নাযেল হয়েছিলো, তা তারপর থেকে মানুষের চিন্তা নামে পরিচিত। প্রফেটরা নিজেদের চিন্তায় যা পেয়েছিলেন সেইটাকে তাঁরা নিজেদের চিন্তা বলে স্বীকৃতি দিতে সাহস পাননি, গ্রীক দার্শনিকরা সেই সাহসী কাজটি করে গেলেন, দেকার্তে ঘোষণা দিলেন- আসলে ঘটনাটা হল আমি চিন্তা করি, ওখান থেকেই দর্শনের, সর্বপোরি পারিপার্শ্বিক বাস্তবতার একটা ব্যাখ্যার উদ্ভব ঘটে। পশ্চিমা ফিলোসফাররা এভাবে ঈশ্বর, নীতি-নৈতিকতা, ব্যক্তি হতে রাষ্ট্র সবকিছুর ব্যাখ্যা দিতে চেষ্টা করলেন। এই প্রক্রিয়াটিতে ধর্ম, বিশেষ করে খৃস্ট ধর্ম একটা প্রধান ফ্যাক্টর হিসেবে জড়িত ছিলো।

খৃস্ট ধর্মের ধর্মতাত্ত্বিক আলোচনা-পর্যালোচনা-সমালোচনা করে... খৃস্ট ধর্মের বিকাশের এই ঘটনাটাকে ভাববৃক্ষের একটা বিকাশ প্রক্রিয়া হিসেবেও দেখা যায়। তবে এইটা পুরোটাই পাশ্চাত্য ধর্ম, ওদের ইতিহাস, ওদের থিওলজির দিক থেকে দেখা; এক ধরনের একপেশে দেখা যেখানে প্রাচ্যের কোন নাম-গন্ধ অস্তিত্ব নেই।

ইহুদিদের ঐশ্বরিক ওল্ট টেস্টামেন্ট, তারপর ওল্ড টেস্টামেন্টের ধারাবাহিকতায় জেসাস এবং তার সাথীদের (অনেকটা ইসলামের সাহাবীদের মতন) আমরা পাই-- সবের উৎসই কিন্তু ঈশ্বর। কিন্তু পাশ্চাত্য দর্শনের যে ধারা আদি গ্রীস থেকে শুরু হয়ে ইউরোপের মধ্যযুগে এসে খৃস্ট ধর্ম প্রভাবিত হয়ে ভাববাদ আর বস্তুবাদের অ্যাটাক-কাউন্টার অ্যাটাক দিয়ে এগিয়ে গিয়ে হেগেল-মার্কস হয়ে শেষপর্যন্ত পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদের তত্ত্বে স্থির হয়ে আছে- সেখানে এই আব্রাহামিক ঈশ্বরের তেমন ভূমিকা নেই। ফলে বলা চলে, ধর্ম আপডেট হয়েছে। তবে সে যুগোপযুগী কি না- এই প্রশ্ন তোলা যেতে পারে।

ইসলামের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা পুরোটা না হলেও কিছুটা ঘটেছে, খোলাফায়ে রাশেদিনের আগের কঠোর ইসলামের নীতি অনেকটাই পরবর্তীতে শিথিল হয়ে এসেছে, মুসলিম দার্শনিকরা বহু দার্শনিক প্রশ্ন নিয়ে সময় দিয়েছেন যেইটা নবীর আমলে এক প্রকার অনুপস্থিত ছিলো। কিন্তু ইসলাম শেষপর্যন্ত ভাববাদের খপ্পরে পড়ে গেছে, আপডেট বলতে আমরা এখন বুঝি পশ্চিমের সভ্যতা, ওদের আধুনিক আবিষ্কার, উদ্ভাবন, জ্ঞান আর প্রযুক্তি যেইটার সাথে তাল মেলানো ইসলামের পতাকাবাহীদের পক্ষে সম্ভব হয়নি।

বর্তমানে শেষ চেষ্টা হিসেবে আপডেটের উদাহরণ হল, বেদে-বাইবেলে, গীতায়, কোরানে কিছু ধর্মমনষ্ক মানুষের আধুনিক বিজ্ঞানের নানা আবিষ্কার, উদ্ভাবন খুঁজে পাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা। উপনিষদে আছে, "সূর্য কখনো অস্ত যায় না, সে উদয়ও হয় না, সূর্যের উদয়-অস্ত আসলের মানুষের মনে...!!!"- এই উদ্ধৃত থেকে ইচ্ছে করলেই সিদ্বান্ত টানা যায় যে, উপনিষদে লুকিয়ে আছে সায়েন্সের আধুনিক আবিষ্কার যা হল- পৃথিবী মূলত সমতল নয়, গোলাকার; আর সূর্যকে কেন্দ্র করে সে ঘুরছে। কিছু কিছু অপবিজ্ঞানীরা এই কাজটাই আধুনিককালে করছেন। বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থের কিছু আধ্যাত্নিক বাণীকে তারা আধুনিক বিজ্ঞানের আবিষ্কারের সাথে লিঙ্কড্ করে প্রমাণের ব্যর্থ চেষ্টা করছেন যে ধর্মগ্রন্থগুলো বাতিল হয়ে যায়নি। ফলে যুগের সাথে আপডেট করাতে গিয়ে ধর্ম ব্যর্থই হয়নি, একপ্রকার হাস্যকর হয়ে পড়ছে বৌদ্ধিক এবং দার্শনিক মহলে। তবে দোষ ধর্মের নয়; ধর্ম এসেছিলো সামাজিক-রাজনৈতিক প্রয়োজনে; একে প্রযুক্তিগত আবিষ্কার, উদ্ভাবনের লিঙ্ক করে আপডেট করাতে গেলে সমস্যা হবেই।

১২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৩২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: প্রকৃতি বিজ্ঞানীর কি ধর্ম ? মানুষ কি প্রতিটি প্রাণীর প্রতিটি মিনারেলের ধর্ম আছে।

২৩ শে মে, ২০২০ রাত ১২:১০

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: এই প্রসঙ্গে আমি "মুখোমুখি ধর্ম ও বিজ্ঞান" পোস্টে লিখেছি।

১৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৩৮

সোনালি কাবিন বলেছেন: দুপুর ১:৩২০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: প্রকৃতি বিজ্ঞানীর কি ধর্ম ? মানুষ কি প্রতিটি প্রাণীর প্রতিটি মিনারেলের ধর্ম আছে


## ঠিক বুঝলাম না। রিলিজিয়ন বা ধর্ম আর পদার্থের ভৌত ধর্ম এক নাকি?

০২ রা মে, ২০২০ রাত ১:০২

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: আপনার মন্তব্যটা ডিলিট হয়ে গেছে। আর ব্লগে লগ ইন করিনা বলে রিপ্লাই দিতে দেরি হয়ে গেল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.