নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেইল : [email protected]

বিপ্লব০০৭

...

বিপ্লব০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

"অসীমের খিড়কি খুলে..."- পুনর্পাঠ ও কিছু প্রশ্ন এবং আলোচনা

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:২৩



বিদ্রোহী ভৃগু সম্পতি একটি পোস্ট দিয়েছেন, "view this link" শিরোনামে। তার এই পোস্ট (কবিতা) - টি পড়ে প্রচুর জায়গায় হোঁচট খেলাম, এবং কিছু বিষয়ে প্রশ্ন জাগলো যেটা কমেন্ট আকারে বড় হওয়ায় আলাদা পোস্ট দিলাম।


কবিতার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে একটি কমেন্টে আপনি বলেছেন যে, "কবিতায় সময়ের ফ্রেম এবং সভ্যতার আগম নিগম বোঝাতে টাইমলাইন আঁকতে হয়েছে", আবার কবিতায় দেখতে পাচ্ছি রোমের পরে গ্রীকরা এসেছে; সুতরাং বুঝে নিলাম আপনি সভ্যতাগুলোকে প্রথম থেকে পিছনের দিকে গিয়ে কবিতায় টাইমলাইন একেঁছেন। এ পর্যন্ত বুঝতে সমস্যা হয়নি। তারপরও আপনার নিকট কিছু জানার বিষয় :

১। আপনার, "দৃশ্য অদৃশ্য বস্তুতে অবস্তুর নিত্য বিবর্তন" দিয়ে কি বুঝাতে চাইলেন পরিষ্কার হল না। বস্তু দৃশ্যমান, কিন্তু "অদৃশ্য বস্তু"- এইটার মানে কি? কোন "কিছু" যখন "অদৃশ্য" হয়, এবং অদৃশ্য থাকার পরেও আমরা যখন বুঝি যে তার অস্তিত্ব আছে (সিম্পলি ধরেন, বাতাস) তখন সেটিকে কি "বস্তু" বলা যায়? বস্তু মানেইতো চেতনায় যা প্রতিভাসিত বা দৃশ্যমান, এইটাই (দৃশ্যমান থাকাটা) বস্তুর বৈশিষ্ট্য; চেতনায় "দৃশ্যমান" হয়েই বস্তু সংজ্ঞায়িত। একজন অন্ধ ব্যক্তির নিকট একটি বস্তু দৃশ্যমান না হলেও সে স্পর্শের মাধ্যমে সেই বস্তুর অস্তিত্ব অনুভব করতে পারে, কিন্তু এইটা ব্যতিক্রমী উদাহরণ। সার্বিকভাবে কোন বস্তুর "অদৃশ্য" হওয়া বলতে কি বোঝায়?

২। "কেন্দ্রেই সকল আবর্তন"- এই পংক্তিতে "কেন্দ্র" বলতে আপনি কি বোঝাতে চেয়েছেন একটু ব্যাখ্যা দিলে বাধিত হবো।

৩। আপনার পোস্টের ৩ নং কমেন্টের প্রত্যুত্তরে বলেছেন, "ভাববাদ হল অবস্তুর সাধন"! প্রাচিন সভ্যতাগুলোর বস্তুগত দিক বলতে যদি তাদের তৈরিকৃত দালান, ভাস্কর্য, মূর্তি, পাথুরে লিপি ইত্যাদিকে ধরে নেই; তবে তাদের ভাববাদের সংজ্ঞা দাঁড়ায় তাদের চিন্তার প্রকাশগুলো যেমন : ধরেন আর্যদের বেদ, মিশরীয়দের বুক অব দা ডেড বা মেসো-আমেরিকান সভ্যতাগুলোর গাণিতিক আবিষ্কার (ধরেন, ৩৬৫ দিনে সূর্যকে ঘিরে পৃথিবীর একটি পূর্ণ আবর্তন হিসেব বের করে আবিষ্কৃত ক্যালেন্ডার)। আপনার "কবিতার দর্শন" বা অন্তর্নিহিত অর্থ অনুযায়ী এগুলিই হল প্রাচিন সভ্যতাগুলোর "ভাববাদ।" কিন্তু এগুলি আসলেই "ভাব"-এর কাজ-কারবার বলে আপনি মনে করেন? আপনার কবিতা ও কমেন্টের রিপ্লাই দেখে তাই মনে হচ্ছে।

৪। "পরম জ্ঞানে মেলে দেহাতীত সত্যের আভাস"- আপনি কবিতায় "পরম জ্ঞান" উল্লেখ করেছেন, যদিও "জ্ঞান" -এর "পরম অবস্থা" সম্বন্ধে আর কথা বাড়াননি। জ্ঞানের এই যে বিভিন্ন অবস্থা, এগুলোকে ছাড়িয়ে তার (জ্ঞানের) একটা পরম (absolute) অবস্থা বলতে আপনি কি বোঝাতে চাচ্ছেন? "পরম জ্ঞান" বলে কিছু আছে- এইটা কি সন্দেহাতীতভাবে বলা যায়? আপনার কবিতানুযায়ী পরম জ্ঞানে আবার "দেহাতীত সত্য" মেলে বলে বক্তব্য প্রকাশ করেছেন। আমার জানতে ইচ্ছে হয়, আপনার কথিত এই "দেহাতীত সত্য" কি।

আশা করি পোস্টটি আপনার চোখে পড়বে এবং আপনার সুচিন্তিত মতামত পাবো।
সময় হলে আরো কথা হবে আশা রাখি।

মন্তব্য ৯১ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৯১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৬

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: উত্তরের অপেক্ষায় B-))

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৫

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: বিদ্রোহী উত্তর দিয়েছেন :

১। মহাকাশে শুন্য স্থান বলে কিছূ নেই? কোন না কোন পার্টিকেলে পূর্ণ! বাহ্যতও যাকে আমা শুন্যস্থান বলছি- তাও শুন্য নয়।
সলিড ভ্যাকুয়ামে প্লেন যেমন ধপাস করে নেমে যায়, তরঙ্গও পরিবাহিত হয়না। সেই বাহ্যত শুন্য স্থানও অসীম মাধ্যমে পূর্ন। সেই মাধ্যম গুলােকেই অদৃশ্য বস্তু হিসেবে ভেবেছি!
সেই জন্যই তো বস্তু নয় অদৃশ্য বস্তু বলেছি। হয়তো মাধ্যমও বলা যেত!


আমার মন্তব্য : বিদ্রোহী, কিছুটা পরিষ্কার হলো, আবার কিছুটা সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। আপনি বলেছেন, অদৃশ্য বস্তু নয়, "মাধ্যম" বলা যেতো। কিন্তু "মাধ্যম"-এর দৃশ্যমানতা বলেতো কোন ক্যারেক্টারিস্টিক নেই। আপনি ন্যাচারাল সায়েন্সের "মাধ্যম" ধারণা ব্যবহার করেছেন দেখে আমিও আপনার "মাধ্যম"-কে তথাকথিত বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে বুঝে নিয়েছি। ওইজা বোর্ডে আত্না নামানোর যে "মাধ্যম" বা মিডিয়াম ধারণা ব্যবহৃত হয় সে অর্থে মাধ্যমকে বুঝছি না। যদি ঘটনা তাই হয়, তাহলে আপনার নিকট আবার আমার প্রশ্ন রইল যে, মাধ্যমতো মাধ্যমই- সে আবার দৃশ্য-অদৃশ্য কি করে হয়? ধরেন, আগে বলা হতো, "আলো" (আরো শুদ্ধ করে বললে, "আলোকরশ্নি";) প্রবাহিত হতে একটা মাধ্যম লাগে। যার নাম দেয়া হলো, "ইথার"। পরে মাইকেলসন-মর্লির পরীক্ষায় প্রমাণিত হলো- ইথার বলে কিছু নেই। আলো মূলত এম্পটি স্পেসের মধ্য দিয়ে গমন করে যাকে সিম্পলি বলতে পারি শুন্য মাধ্যম। এখানে মাধ্যম কি দিয়ে পরিপূর্ণ সেইটাই মাধ্যমের বৈশিষ্ট্য। অর্থাৎ মাধ্যম দৃশ্য নাকি অদৃশ্য তা ফ্যাক্ট নয়, ঘটনা হল মাধ্যমটা শুন্য নাকি কোন কিছু (ধরুন-পার্টিকল) দিয়ে পরিপূর্ণ সেইটা। দৃশ্য-অদৃশ্য মাধ্যম বলে কোন ধারণা নেই, মাধ্যম শুন্য বা কোন কিছু (হতে পারে অদৃশ্য পার্টিকল) দিয়ে পূর্ণ মাধ্যম হতে পারে। তাই আবার প্রশ্ন দাঁড়ায়- আপনার দৃশ্য-অদৃশ্য মাধ্যম/বস্তু আসলে কি!!!!

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৮

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: ২। কেন্দ্রেই সকল আবর্তন!
এটাতো চিরাচরিত সত্য। বৃত্তের ব্যাস যেমন কেন্দ্রকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়, সৃষ্টির সব কিছুও কেমনি যার যার কেন্দ্রকে কেন্দ্র করেই ঘুরছে। আমরাও তার বাইরে নই! যার যার স্বপ্ন, বিশ্বাস আর চেতনাকে কেন্দ্র করেই আমাদের কর্ম, জীবন, আবর্তন।
দৃষ্টিকে জুম আউট করতে করতে, মহা শুন্য, মহাকাল পেরিয়ে যেত যেতে একটু খিড়কি খুলে দেখুন! দৃশ্যমান হয়ে যাবে সব কেন্দ্রেই সকল আবর্তন!

আমার মন্তব্য : "কেন্দ্রেই সকল আবর্তন। এটাতো চিরাচরিত সত্য।" সত্যিই কি তাই? আপনি সৃষ্টির সবকিছু এবং সৃষ্টির অন্তর্ভুক্ত এই "আমরা"-- তারাও "কেন্দ্র"-কে আবর্তন করে ঘুরছি বলে মন্তব্য করেছেন।

বৃত্তের ব্যাস কেন্দ্রকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়- আপনার এই কথাটি আরেকটু শুদ্ধ করে দিতে চাই। বৃত্তের ব্যাস নয়, কথাটি হবে বৃত্তের পরিধির যেকোন একটি বিন্দু বৃত্তের কেন্দ্রকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়ে "বৃত্ত" গঠন সম্পূর্ণ করে। আমরা বৃত্তের সংজ্ঞাই এমনভাবে দিয়েছি যে সেইটা কেন্দ্রকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। দেখুন বৃত্তের সবচেয়ে কোর (core) সংজ্ঞা : বৃত্ত হল, সেই সমস্ত বিন্দুর সেট যারা একটি নির্দিষ্ট বিন্দু হতে সমান দূরত্বের অবস্থিত। অর্থাৎ আপনি যখন বৃত্ত আঁকেন, তখন আপনাকে সেই সংজ্ঞাই মেনে চলতে হয়। বৃত্ত আঁকার কম্পাস মেকানিক্যালভাবে এমন ভাবে বানানো হয়েছে যে সেটি একটি বৃত্তই আঁকবে-- ঘটনা হল এই। এইটা কোন স্বত:স্ফূর্ত স্বয়ংক্রীয় ভাবের ব্যাপার নয়। সৃষ্টির সব কিছুও যদি তাদের স্ব স্ব কেন্দ্রকে কেন্দ্র করে ঘুরে, আপনার নিকট আমার প্রশ্ন রইল : সূর্য কাকে কেন্দ্র করে ঘুরছে?

২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৯

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: The Feynman Lectures on Physics আনা লাগবে B-))

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৩

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: দেখা যাক, কদ্দুর আগানো যায়!! ;)

৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ঘটনা কি?

পুরো কমেন্ট কপি পেষ্ট করে দিলাম! কিন্তু শুধু দুলাইন এলো!!!!

৩.৪ মুছে দিন ।
আমি আবারো পুরোটা লিখছি

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৯

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: ওক্কে!!!

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০১

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: ঘটনা হল, সামুতে অনলাইনে কমেন্ট লেখার পর সম্ভবত টাইম-আউট হয়ে যাচ্ছে। আপনি ওয়ার্ডে বা নোটপ্যাডে কমেন্ট লিখুন। এইটা সবচেয়ে নিরাপদ। সামুতে এই সমস্যায় আমিও পড়ি। বড় কমেন্টে লিখার পর (অনেক সময় পেরিয়ে গেলে) কমেন্ট পোস্ট করতে গেলে টাইম-আউট হয়ে যাবার কারণে মন্তব্য হারায়ে যাই। কিছু করার নাই ভায়া!!

৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০২

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আপনার প্রশ্নের উত্তরঃ
মহাকাশের মাধ্যম হলো ডার্ক ম্যাটার। এজন্যই মহাকাশ কালো.....

সূর্য নিজেই নিজেকে কেন্দ্র করে ঘুরছে....

Google it.

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৮

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: আর্কি, আপনাকে প্রশ্ন করি নাই। ওইটা বিদ্রোহীর মন্তব্য আর মন্তব্যের রিপ্লাই। মানে বিদ্রোহীকে উদ্দেশ্য করে করা প্রশ্ন। আপনে গ্যালারিত থাকেন, আর অংশগ্রহণ করলেও আপত্তি নাই। আর সূর্যের ঘোরা সম্বন্ধে..."নিজেকে কেন্দ্রে করে-তো সবাই ঘুরছে..." কিন্তু ওইটাতো পৃথিবীর আহ্নিক গতির মতন। আমি বলতে চাইছি, কোন "কিছু" যখন নিজের "সত্তা" (বস্তুগত বা অবস্তুগত) নিয়ে বিদ্যমান থেকে বাস্তবে সেইটার সেই অস্তিত্বমান অংশ থেকে পৃথক একটা সেন্টার থাকে যাকে কেন্দ্র করে সে ঘুরে। উদাহরণ হিসেবে, পৃথিবী তার অস্তিত্বের বাইরে সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে, (যদিও এইটাও ঠিক সে নিজেও অক্ষরেখাকে কেন্দ্র করে ঘুরছে)। কিন্তু পৃথিবীর যেমন নিজের অস্তিত্বের বাইরে একটা কেন্দ্র আছে, সূর্যের ঐরকম কেন্দ্র কোথায়!! (আপনাকে নয়, বিদ্রোহীকে উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য)।

৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৮

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: মেইন জিনিসটা হলো মহাকর্ষ তরঙ্গ....

এটাই গ্রহসমূহকে একটা ফিল্ডে রাখে যাকে মহাকর্ষ ক্ষেত্র বলা হয়....

তাই সূর্যও নিজ কক্ষপথে ঘুরে....

ঘোরাটাও মহাকাশের একটা ধর্ম....

৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আপনি কোল্ড ওয়েল্ডিং এবং গ্রহগুলোর গোলাকার হওয়ার কারন জানলে পরিষ্কার হবেন...
আর আমি সাইন্স রিলেটেড এনসার দিচ্ছি... কবিতা নয়....

৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১২

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: বেশ তবে চলুক নিরাপদ আলোচনা ও কমেন্ট ব্যাখ্যা । :)

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৫

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: ঠিক আছে। নিরাপদ আলোচনা চালাতে চাইলেও বিদ্রোহী ইতিমধ্যে আমাকে উপদেশ দিয়েছেন, আমার "দৃষ্টিকে জুম আউট করতে, মহাকাল মহাশুন্য পেরিয়ে অসীমের খিড়কি খুলে দেখতে...!!!" কি করে বলেন দেখি... B:-)

৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৪

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ওকে পপকর্ন নিয়া বসলাম B-))

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৪

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: শীতে মাঠ একটু গরম রাখা দরকার!! আর মহাকর্ষ তরঙ্গ মহাকর্ষ ক্ষেত্র এইসব আর আইনেন না, ভাই। বিদ্রোহী লিখেছেন কবিতা, আর আপনে ফাইনম্যানরে আইনা ভাবটাই নষ্ট কইরা দিলেন! কবি চাদ দেখে ভাবের জগতে ডুবে কবিতা লেখে, গায়ক গান গায়- "চাঁদ বাঁকা, জনম বাঁকা, বাঁকা গাঙ্গের পানিরে..." আর আপ্নেরা বলেন, দূর! ঐ জায়গায় অলড্রিন-আর্মস্ট্রং -রা বহু আগেই ঘুরে আসছে...চাঁদ বাঁকা না, ঘটনা হইলো ওইটা আবর্তনের কারণে পৃথিবীর ছায়া---তখন কবির আর গায়কদের ভিতরের ব্যাথা- আপ্নেরা না বুঝলেও আমি বুঝি।

৯| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ঘুমিয়ে পড়েন.... স্বপ্নে খিড়কি, জানালা সব পাবেন B-))

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৯

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: ডার্কওয়েবে নাকি সিআইএ-র সিক্রেট ক্লাসিফায়েড ডকু ফাঁস হইছে। ঐখানে লিখা আছে, আমাগো পুরা দুনিয়া হইলো কম্পু-জেনারেটেড হলোগ্রাম। সবকিছুই স্টিমুলেইটেইড রিয়েলিটি। ঘুমে আর "এসবের" আর কি দরকার!

১০| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২১

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: বলেন কি........................ :|| আচ্ছা কতদিন লাগত পারে মহাকাল মহাশুন্য পেরিয়ে অসীমের খিড়কি খুলতে । B:-)

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৬

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: আপনার এই মন্তব্য বিপজ্জনক। তাই কিছু বলতে সাহস পাচ্ছিনা। বিদ্রোহী আমার উপ্রে মাইন্ড খাইতে পারে।

১১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাপ্রে ভুই পাইছি!

পরীক্ষা দিতে বড়ই ভয় ভায়া ;) হা হাহা

আপনার গভীর পাঠে কৃতজ্ঞতা।
১। দৃশ্য অদৃশ্য বস্তুতে অবস্তুর নিত্য বিবর্তন-

১২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


উনার কবিতাগুলো আসলে পদ্য, কবিতা নয়; উনি কবিতায় অপ্রয়োজনীয় শব্দ দিয়ে কারিগরি করতে চান, এর বাহিরে কিছু নেই।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৩

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: উনার কবিতা নিয়ে আমার আপত্তি নাই। উনার কবিতা কি কবিতা হয়েছে কী না- সেইটাও আমার মাথাব্যাথার বিষয় নয়। উনি তার লেখনীর মাধ্যমে তার যে "দর্শন" প্রকাশ করেছেন সেইটা নিয়েই কথা-বার্তা চলছে।

১৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাপ্রে ভুই পাইছি!

পরীক্ষা দিতে বড়ই ভয় ভায়া ;) হা হাহা

আপনার গভীর পাঠে কৃতজ্ঞতা।
১। দৃশ্য অদৃশ্য বস্তুতে অবস্তুর নিত্য বিবর্তন-

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৯

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: ভয় পাওয়ার কিছু নাই। আপনার নিজের কবিতা ব্যাখ্যা করার ক্ষমতা আছে। এইটা অনেক কবির থাকে না। সেইজন্যই এত ক্যাচাল!!! B-)

১৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নোট প্যাডে লিখেও দিলাম সেইম কিসসা!!!!!!!!!!!!! X(

ঘটনা কি???

:(

প্রথম ৪ লাইন শুধু আসতেছে বারবার! পরের দুই পাতাই গায়েব!!!!!!!!!!!!!!

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৫

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: বাদ দেন তাইলে আজাইরা প্যাঁচাল। আমিও একটু ধূম-উদগীরণ করে আসি। এদিকে শীত বেশি ভাই!

১৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৬

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ভৃগু ভাই এটা নিয়ে আপনার ব্লগে পোস্ট দিন। পোস্টটা প্রথম পাতায় না দিলেও চলবে।
পোস্টটার লিংক এখানে দিন :)

১৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ডার্কওয়েব, ডিপওয়েব B-))

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫১

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: লা জওয়াব। B-))

১৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৫

নীলপরি বলেছেন: আলোচনা ভালো লাগলো । পরে আবার আসবো দেখতে ।

শুভকামনা

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৮

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: পরের বার আসার সময় কয়েক কাপ চা বানিয়ে আনবেন। সব্বাই খুশি থাকবে।

১৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৭

কাবিল বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ভাইয়ের অসীমের খিড়কি খুলে গতকালই পড়েছিলাম, কিন্তু মন্তব্য করা হয়নি।

ঐ পোস্টেই যদি ছোট ছোট আলোচনা করতেন তাহলে আরও ভালো হতো।
বিদ্রোহী ভৃগু ভাইয়ের মন্তব্যের আপেক্ষায়।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৩

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: আরেহ! এখানে মন্তব্য করেন, এখানে আলোচনা চালান...ভৃগু ভাইয়ের মন্তব্যগুলো হারিয়ে যাচ্ছে, উনি অনেক কষ্টে আছেন।

১৯| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার মতো আমারও ধুম্র খাইতে খাইতে হঠাৎ মনে আসলো
নিউটনের মাথায় বস্তু আপেল পড়ল!
অবস্তু ভাবনা মধ্যাকর্ষন ক্যামনে আইলো! ;)

আর্কিওপটেরিক্স ভায়ার পরামর্শটা মাইনে নিনু!
যেহেত বারবার মন্তব্যে আংশিক কেটে যাচ্ছে।

আপনি কি বলেন কবি ভায়া ;)

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৭

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: আমি চাঁদগাজীর সাপোর্টে আছি মনে হয় কিছুটা। চাঁদগাজী অনুযোগ করেছেন যে, আপনি মূলত শব্দের কারিগর, নানান ভাবে শব্দের খেলা খেলছেন। যেমন এই বললেন, "নিউটনের মাথায় বস্তু আপেল পড়লো, আর অবস্তু ভাবনা মধ্যাকর্ষণ ক্যামনে আইলো!" আরেহ্, "ভাবনা" -তো নিজের সংজ্ঞানুসারেই অবস্তু, আপনি যখন বলেন, "অবস্তু ভাবনা" তখনতো মূলত আপনি একই কথা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দু'বার বলছেন! আপনার "অবস্তু ভাবনা" আর "বৃত্তাকার বৃত্ত"- একই কথা। বুঝাতে পেরেছি কী না- জানি না।

না হলে আপনি ইতিহাসের দিকে তাকান। কি দেখবেন? "বস্তু" আর "ভাব" -বাদের লড়াই-এর ক্রমবিকাশ। "বস্তু" আর "অবস্তু" -এর লড়াই বা বিভাজন বলে কিছু নেই। তাই আমি বুঝতে পারি না, আপনার কথিত "অবস্তু" মানে কি? আমি বুঝতে পারছি আপনি "ভাব"-কে অব্স্তু ধরছেন। তো সেইটা সিম্পলি বললেই হয়। আবার "অবস্তু" কথাটার প্রয়োজনীয়তা কি? এইটা বলারই বা কি দরকার দৃশ্য-অদৃশ্য অব্স্তু? ভাবকে বলছেন অবস্তু, আবার তার আগে লাগাচ্ছেন, অদৃশ্য নামক বিশেষণ। যা আগেই সংজ্ঞায়িত তাকে আবার বিশেষায়িত করার দরকার কোথায়? গোলমাল লাগিয়ে ফেলছেন।

২০| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন, " উনার কবিতা নিয়ে আমার আপত্তি নাই। উনার কবিতা কি কবিতা হয়েছে কী না- সেইটাও আমার মাথাব্যাথার বিষয় নয়। উনি তার লেখনীর মাধ্যমে তার যে "দর্শন" প্রকাশ করেছেন সেইটা নিয়েই কথা-বার্তা চলছে। "

-উনার কবিতায়, "দর্শন" থাকার কথা নয়; উনি দার্শনিক নন; উনি ব্লগে কবিতা লেখেন, শব্দ মব্দ নিয়ে পরীক্ষা নীরিক্ষা করছেন; উনি কবিতার মাধ্যমে ইসলাম প্রচার করার চেষ্টাও করছেন, উহা কাজে লাগলে, উনি "উত্তম প্রতিদান পাবেন", এটুকুই।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪১

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: চাঁদগাজী, ধর্ম আর দর্শন- এই দু'ইটার মাঝেই নানানভাবে বিভাজন টানা যায়। কিন্তু আমি মনে করি, ধর্মে দর্শন থাকতে পারে, আবার দর্শনেও ধর্ম থাকতে পারে। কেউ আক্ষরিকভাবে দার্শনিক না হয়েও নিজের অজান্তেই নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা, নিজস্ব ধর্মীয় ব্যাখ্যা বা জীবন-ভাবনা দাঁড় করাতে পারে যেগুলোকে দর্শনের দৃষ্টিকোন হতে পর্যালোচনা করা যায়। এমনকি আমি নিজে সায়েন্সের একটা কাট্টাখোট্টা নিরস বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেও দেখলাম যে, আমাকে সর্বোচ্চ যে ডিগ্রিটি নিতে হবে তার নাম ডক্টর অব ফিলোসফি!!

২১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ১ এবং ২ নিয়ে উপরে আংশিক আলোচনা হয়ে যাওয়া ৩ আর ৪ নিয়ে আলোচনা - -

৩। ভাববাদ মানে আপনার জানা থাকার কথা! আর কবিতা তো বিজ্ঞান নয়। কবিতা নিজেও ভাবেরই প্রকাশ মাত্র।
খুব সহজ সরল অনুভবেই জীবন বোধে অদৃশ্য যে সত্য তাই ’ভাবে’ অনুভব যোগ্য। আত্মাকে তো বিজ্ঞান কোন বস্তুগত রুপে বা সত্যে আবিষ্কার করতে পারেনি। তাই কি আত্মা নেই? বস্তুগত যে দেহ নিয়ে আমি জীবনকে অনুভব করি, দেহ হীন হলে তাকেই লাশ বলছি! সেই সত্য তবে কি? তার রুপ কেমন? রং কেমন? তার অবস্থান কোথায়?
বস্তুবাদের লয় এবং শুন্যতার চিত্রই কাব্যের উপজীব্য। থাকে শুধু মানুষের কর্ম! ভাল বা মন্দ! বস্তুর পিছনে ব্যস্ত মানুষ বিলীন হয়ে যায়! আর অবস্তু মানুষের ইতিকথার স্বাক্ষ্য হয়ে বস্তু দাড়িয়ে রয় মহাকালে। এটাই ভাবানুভব।

৪। পরম জ্ঞান তো ভায়া পরম বিষয়! তাকি অত সহজে ধরার বস্তু! তার আগের লাইন গুলোর সাথে মিলিয়ে নিন বুঝতে সহজ হবে। অন্ধত্ব, পুথিগত, জাগ্রত জ্ঞান - যেটাকে মুসলিম পরিভাষায় বলা হয় বিল গাইবে ইয়াকিন, ইলমুল ইয়াকিন, আয়নাল ইয়াকিন!
এই তিন স্তরের জ্ঞানের পথ পারি দিয়ে সত্যাসত্য দর্শনের যে জ্ঞানের স্তর তাকেই পরম (হাক্কুল ইয়াকিন) বলা হয়েছে। যে জ্ঞান (বস্তুগত নয়) আত্মিক চরম এবং পরম পা্ওয়ার পথ নির্দেশ করে। মোহাবিষ্ট বস্তু জ্ঞানে কি তার উপলদ্ধি করা সম্ভব! নয়।
ভাববাদের জগতের সত্য, বস্তু জগতের শেষ সীমানায় তার ভ্রমন শুরু।
ভাববাদ দেহের মাঝে দেহাতীত - সেই সত্য যা চলে গেলে আপনার নাম মুছে আপনি লাশ হয়ে যান।


অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া।
অন্তহীন শুভেচ্ছা আর শুভকামনা রইল।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৬

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: ১। মহাকাশে শুন্য স্থান বলে কিছূ নেই? কোন না কোন পার্টিকেলে পূর্ণ! বাহ্যতও যাকে আমা শুন্যস্থান বলছি- তাও শুন্য নয়।
সলিড ভ্যাকুয়ামে প্লেন যেমন ধপাস করে নেমে যায়, তরঙ্গও পরিবাহিত হয়না। সেই বাহ্যত শুন্য স্থানও অসীম মাধ্যমে পূর্ন। সেই মাধ্যম গুলােকেই অদৃশ্য বস্তু হিসেবে ভেবেছি!
সেই জন্যই তো বস্তু নয় অদৃশ্য বস্তু বলেছি। হয়তো মাধ্যমও বলা যেত!


আমার মন্তব্য : বিদ্রোহী, কিছুটা পরিষ্কার হলো, আবার কিছুটা সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। আপনি বলেছেন, অদৃশ্য বস্তু নয়, "মাধ্যম" বলা যেতো। কিন্তু "মাধ্যম"-এর দৃশ্যমানতা বলেতো কোন ক্যারেক্টারিস্টিক নেই। আপনি ন্যাচারাল সায়েন্সের "মাধ্যম" ধারণা ব্যবহার করেছেন দেখে আমিও আপনার "মাধ্যম"-কে তথাকথিত বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে বুঝে নিয়েছি। ওইজা বোর্ডে আত্না নামানোর যে "মাধ্যম" বা মিডিয়াম ধারণা ব্যবহৃত হয় সে অর্থে মাধ্যমকে বুঝছি না। যদি ঘটনা তাই হয়, তাহলে আপনার নিকট আবার আমার প্রশ্ন রইল যে, মাধ্যমতো মাধ্যমই- সে আবার দৃশ্য-অদৃশ্য কি করে হয়? ধরেন, আগে বলা হতো, "আলো" (আরো শুদ্ধ করে বললে, "আলোকরশ্নি";) প্রবাহিত হতে একটা মাধ্যম লাগে। যার নাম দেয়া হলো, "ইথার"। পরে মাইকেলসন-মর্লির পরীক্ষায় প্রমাণিত হলো- ইথার বলে কিছু নেই। আলো মূলত এম্পটি স্পেসের মধ্য দিয়ে গমন করে যাকে সিম্পলি বলতে পারি শুন্য মাধ্যম। এখানে মাধ্যম কি দিয়ে পরিপূর্ণ সেইটাই মাধ্যমের বৈশিষ্ট্য। অর্থাৎ মাধ্যম দৃশ্য নাকি অদৃশ্য তা ফ্যাক্ট নয়, ঘটনা হল মাধ্যমটা শুন্য নাকি কোন কিছু (ধরুন-পার্টিকল) দিয়ে পরিপূর্ণ সেইটা। দৃশ্য-অদৃশ্য মাধ্যম বলে কোন ধারণা নেই, মাধ্যম শুন্য বা কোন কিছু (হতে পারে অদৃশ্য পার্টিকল) দিয়ে পূর্ণ মাধ্যম হতে পারে। তাই আবার প্রশ্ন দাঁড়ায়- আপনার দৃশ্য-অদৃশ্য মাধ্যম/বস্তু আসলে কি!!!!

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৭

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: ২। কেন্দ্রেই সকল আবর্তন!
এটাতো চিরাচরিত সত্য। বৃত্তের ব্যাস যেমন কেন্দ্রকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়, সৃষ্টির সব কিছুও কেমনি যার যার কেন্দ্রকে কেন্দ্র করেই ঘুরছে। আমরাও তার বাইরে নই! যার যার স্বপ্ন, বিশ্বাস আর চেতনাকে কেন্দ্র করেই আমাদের কর্ম, জীবন, আবর্তন।
দৃষ্টিকে জুম আউট করতে করতে, মহা শুন্য, মহাকাল পেরিয়ে যেত যেতে একটু খিড়কি খুলে দেখুন! দৃশ্যমান হয়ে যাবে সব কেন্দ্রেই সকল আবর্তন!

আমার মন্তব্য : "কেন্দ্রেই সকল আবর্তন। এটাতো চিরাচরিত সত্য।" সত্যিই কি তাই? আপনি সৃষ্টির সবকিছু এবং সৃষ্টির অন্তর্ভুক্ত এই "আমরা"-- তারাও "কেন্দ্র"-কে আবর্তন করে ঘুরছি বলে মন্তব্য করেছেন।

বৃত্তের ব্যাস কেন্দ্রকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়- আপনার এই কথাটি আরেকটু শুদ্ধ করে দিতে চাই। বৃত্তের ব্যাস নয়, কথাটি হবে বৃত্তের পরিধির যেকোন একটি বিন্দু বৃত্তের কেন্দ্রকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়ে "বৃত্ত" গঠন সম্পূর্ণ করে। আমরা বৃত্তের সংজ্ঞাই এমনভাবে দিয়েছি যে সেইটা কেন্দ্রকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। দেখুন বৃত্তের সবচেয়ে কোর (core) সংজ্ঞা : বৃত্ত হল, সেই সমস্ত বিন্দুর সেট যারা একটি নির্দিষ্ট বিন্দু হতে সমান দূরত্বের অবস্থিত। অর্থাৎ আপনি যখন বৃত্ত আঁকেন, তখন আপনাকে সেই সংজ্ঞাই মেনে চলতে হয়। বৃত্ত আঁকার কম্পাস মেকানিক্যালভাবে এমন ভাবে বানানো হয়েছে যে সেটি একটি বৃত্তই আঁকবে-- ঘটনা হল এই। এইটা কোন স্বত:স্ফূর্ত স্বয়ংক্রীয় ভাবের ব্যাপার নয়। সৃষ্টির সব কিছুও যদি তাদের স্ব স্ব কেন্দ্রকে কেন্দ্র করে ঘুরে, আপনার নিকট আমার প্রশ্ন রইল : সূর্য কাকে কেন্দ্র করে ঘুরছে?

২২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার আনুবীক্ষনিক বিশ্লেষনে ভাল লাগা!
যাক কবিতা হোক না হোক (চা^দগাজী ভায়ার ভাষ্য মতে) আপনার ভাবনায় কত্ত ভাবনা তুলে দিল তাতেই সার্থক বটে ;)

সূর্য কাকে কেন্দ্র করে ঘুরছে?

ভাই কবিতা লিখছি না বিজ্ঞানের ক্লাশ করতে আইছি ;) (ফান)

আপনি কি ধর্মীয় দৃষ্টিতে উত্তর চান না বিজ্ঞানের!
ভানুর কৌতুকে মতো বলতে হয়- যদি বিজ্ঞান হয় আমার কিসু বলার নাই। নাসার ওয়েব সাইটে যান
যদি ধর্মের হয় তবে কোরআনে অনুসন্ধান করেন!
নিশ্চয়ই সূর্যও তার আপন ক্ক্ষপথে পরিক্রমনশীল এক নির্ধারীত গন্তব্যের দিকে! সূরা ইয়াসিনে আছে।
আয়াত নাম্বার দেখে বলতে হবে।
এখন সেই গন্তব্য আগে খুঁইজা বাইর করেন। তাহলে না বোধগম্যতায় আসবে!
যে জণ্যে বলেছিলাম জুম ইন করে মহাকালের উর্ধ থেকে উর্ধতম স্তরে চলে যেতে ;)

ভাল থাকুন ভায়া।
আপনার কবিতা গুলো দেখলাম ভালই! বিজ্ঞান দিয়ে না ঘষেই বুঝতে পেরেছি ;)
হা হা হা

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০৯

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: আপনার মন্তব্য থেকে তুলে দিচ্ছি, "সৃষ্টির সব কিছুও কেমনি যার যার কেন্দ্রকে কেন্দ্র করেই ঘুরছে।" এই মন্তব্যের পর আমি কি ধরে নিতে পারি যে, আপনার কথিত "সৃষ্টিজগত"-এর মধ্যে "সূর্য"-ও অন্তর্ভুক্ত? এবং তারপর আমি যদি প্রশ্ন রাখি, "সৃষ্টির সবকিছু যদি যার যার কেন্দ্রকে কেন্দ্র করে ঘুরে (আপনার মতানুযায়ী), তবে সূর্যের কেন্দ্র কোথায়?" কোথাও ভুল হয়ে থাকলে জানাবেন। আপনাকে নিশ্চয় আমি এই ধরনের প্রশ্ন করিনি যে, "ভাই, বলেনতো, 'পত্রেপভেলোভস্ক" কোন দেশের রাজধানী?!!! নাকি??? আমার প্রশ্নগুলো আপনার মন্তব্য থেকেই উৎসারিত।

২৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: Click here

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩১

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: দেখছি...

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৫

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: Not only does the sun rotate, but it also orbits the centre of our galaxy, completing one orbit every 226 million years or so. বিস্তারিত কথা হবে সময় থাকলে...

২৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: আমি মন্তব্য না করে-
নিরব দর্শকের ভূমিকায় থাকি।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩২

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: কেমন আছেন রাজীব ভাই? দিন-কাল ভালো যাচ্ছেতো?

২৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার মন্তব্য থেকে তুলে দিচ্ছি, "সৃষ্টির সব কিছুও কেমনি যার যার কেন্দ্রকে কেন্দ্র করেই ঘুরছে।" এই মন্তব্যের পর আমি কি ধরে নিতে পারি যে, আপনার কথিত "সৃষ্টিজগত"-এর মধ্যে "সূর্য"-ও অন্তর্ভুক্ত? এবং তারপর আমি যদি প্রশ্ন রাখি, "সৃষ্টির সবকিছু যদি যার যার কেন্দ্রকে কেন্দ্র করে ঘুরে (আপনার মতানুযায়ী), তবে সূর্যের কেন্দ্র কোথায়?"

বিজ্ঞান অনুযায়ী গেলে আর্কিওপটেরিক্স ভায়ার লিংকে ঘুরে আসুন। সমাধান একদিন হয়তো হবেই। ততদিন ধারনার উপর গবেষনা চলতে থাকুক।
ধর্মে গেলে সূরা ইয়াসিনের উদ্ধৃতি দিয়েছি! মানা না মানা পুরোই স্বাধীন আপনি।

বাকী রইল আমার ব্যক্তি দর্শন বা অনুভবের ব্যাখ্যা-
সৃষ্টির সকল কিছুর কেন্দ্রমূখিতার সরল সমীকরনেই আমার অনুভুত হয়েছে - সূর্যও তার বাইরে নয়।
ব্যাস! কিসসা খতম ;) পয়সা হজম :P

এর বাইরেও আলোচনা আছে। সেটাও ধর্ম দর্শনের গভিরের ভাবনা!
বিশ্বাসীদের সকল কিছুর কেন্দ্র কাবা। কাবাকে কেন্দ্র করে ঘুরছে তাওয়াফ করছে সকলে।
কা্বার হাকীকত আছে সপ্ত আকাশে। এখন ধর্মীয় বিশ্বাস বলে আমি ভাবতেই পারি- সকল আবর্তন সেই
মূল কেন্দ্রকে কেন্দ্র করে। এটলিষ্ট কবিদেরতো ব্যাখ্যাতীত এই স্বাধীনতা টুকু থাকতেই হবে!

নইলে কবি গুরু নজরুলে প্রিয় খোঁপায় তারার ফুলের মালা নিয়ে এনালিসিসে বিজ্ঞান আর দর্শন নিয়ে পড়লে কবিতাই মাঠে মারা পড়বে! ;) নয় কি?
হা হা হা

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৯

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: আর্কির লিঙ্কে ঘুরে আসার আগেই আমি এইটা নিয়ে বিস্তারিত ঘাঁটিনি-- এই ধারণা আপনার কেন হল তা আমার বোঝার বাইরে। যাকগে, "কাবার হাকিকত সপ্ত আকাশে"। আপনার নিকট আরেকটি বিনীত জিজ্ঞাসা-- আমরা সাধারণ মানুষেরা খালিচোখে যে আকাশ দেখি ঐটা কি সপ্ত আকাশের প্রথম আকাশ?

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৬

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: "সূর্যের কক্ষপথ"- এর কেন্দ্র কোথায়? - এই প্রশ্নে আর্কির লিঙ্ক মনে হয় আপনাকে অকূল পাথার হতে তুলে এনেছে, কারণ নিজে উত্তর দিলেন না, বরং আর্কির লিঙ্কের রেফারেন্স দিলেন। ধরেন, আর্কি কোন মন্তব্য দিলো না; সেক্ষেত্রে আপনার প্রত্যুত্তর কি হতে পারতো? যাকগে, আমি আর্কির লিঙ্কটিও বিবেচনায় রেখে এ নিয়ে বিস্তারিত লেখার নিয়ত রাখি। আপাতত একটু বিরতি নেই।

২৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: বলেন কি........................ :|| আচ্ছা কতদিন লাগত পারে মহাকাল মহাশুন্য পেরিয়ে অসীমের খিড়কি খুলতে । B:-)
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৬ ১

লেখক বলেছেন: আপনার এই মন্তব্য বিপজ্জনক। তাই কিছু বলতে সাহস পাচ্ছিনা। বিদ্রোহী আমার উপ্রে মাইন্ড খাইতে পারে

হা হা হা

ঠ্যটা মফিজ ভায়া-
আপনার আত্মার প্রজ্ঞার উপর নির্ভর করে কতদিন লাগবে! ১২ বছর সাধন করেও কিছু মেলে না! আবার পলকে সপ্ত আকাশ সপ্ত জমিন ভ্রমন শেষ করা যায়! :P বিষয়টা আপেক্ষিক তো বটেই!
বসবেন নাকি ধ্যানে? ;)

@ লেখক, না ভায়া মাইন্ড খাবার কিছু নাই। ভাবনারা এতই স্বতন্ত্র যে ফিঙ্গার প্রিন্টের মতোই মনে হয়! পুরোই ভিন্ন ভিন্ন রকম।
কিছূ কিছু বিষয়ে ঐক্যমতে আমরা একই গোত্রভুক্ত হয়ে পথ চলি! বিভিন্ন নাম নিয়ে! বিভিন্ন পরিচয় নিয়ে!
এইতো মহাকালের মহা রহস্যময় খেলা!

যার কাছে কষ্ট লাগে থাকুক না সে বস্তুতে বুঁদ হয়ে! জনম জনমের অসীম স্কেলে কতইনা ক্ষুদ্র এ মানব জীবনের আয়ুস্কাল!
অস্থির হবার কিছু নেই।

ভাল থাকুন।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫২

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: আপনার এই কমেন্টের পর ঠ্যঠা মফিজের প্রতিমন্তব্য দেয়াতো ফরয হয়ে গেল! B-) ভিন্ন অবস্থানে থেকেও আপনি ভালো থাকার বলেছেন- এইটা অনেক বড় পাওনা। তবে আপনি যেমন বললেন, ধ্যানে বসে সপ্ত আকাশ সপ্ত জমিন ধ্যানে ভ্রমণের কথা- এগুলোর মাজেযা বোঝা সাধারণ মানুষের জন্য অনেক কঠিন। সপ্ত আকাশ যা্‌ও কিছুটা বুঝি, "সপ্ত জমিন" এই প্রথম শুনলাম। ভাই, আকাশ আর জমিন বাদে কি আর কিছুই নাই? দ্বিতীয় আরেকটি বিষয় হল, মানুষ যখন প্লেনে করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ভ্রমণ করে, (বা এক দেশ থেকে আরেক দেশে) তখন সে কোন আসমান দিয়ে ভ্রমণ করে? প্রথম আসমান কি তারও উর্ধ্বের কোন ঘটনা?

২৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫১

সনেট কবি বলেছেন: আলোচনা দারুণ লাগলো।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৬

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: আপনিও যোগ দিন। আপনার ভাবনা প্রকাশ করেন। মানুষ যখন প্লেনে করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ভ্রমণ করে, (বা এক দেশ থেকে আরেক দেশে) তখন সে কোন আসমান দিয়ে ভ্রমণ করে? প্রথম আসমান কি তারও উর্ধ্বের কোন ঘটনা?

২৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৬

সনেট কবি বলেছেন: আমরা যে নক্ষত্র দেখছি তার সবগুলোই প্রথম আকাশে। আর জমিন হলো আকাশের ফাঁকা স্থানে বিদ্যমান সব কিছু।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৩

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। আপাতত কথা চলছে অন্য বিষয় নিয়ে। এ নিয়েও কথা হবে। তবে তার আগে আপনাকে কিছু তথ্য দেই।

আপনার বক্তব্য, "আমরা যে নক্ষত্র দেখছি সবগুলোই প্রথম আকাশে।" আপনি নিশ্চয় জানেন যে, আমাদের সৌরজগতের কেন্দ্র হল, সূর্য- যা নিজেও একটি নক্ষত্র। আপনার বক্তব্য অনুযায়ী সূর্য প্রথম আকাশে অবস্থিত। আমি যদি সঠিক হই-- তবে আমার সন্দেহ নিরসন করবেন। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২৯| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লেখক বলেছেন: আর্কির লিঙ্কে ঘুরে আসার আগেই আমি এইটা নিয়ে বিস্তারিত ঘাঁটিনি-- এই ধারণা আপনার কেন হল তা আমার বোঝার বাইরে।
<< ধূর ভায়া কি যে বলেন! আপনি ড. অব ফিলোসফি হতে যাচ্ছেন। আমি তেমন ভাবতে পারি?

আপনি যখন আলোচনায় এনেছেন অবশ্যই বিষয়গুলোর এক পাক্ষিক পূর্ন ধারনাই আপনার আছে অনুভব করেই আলোচনা করছি। ভিন্ন পাক্ষিক বিষয়টা যেহেতু বিশ্বাস সম্পৃক্ত তাই তার আলোচনাও ভিন্নই হবে।


আপনার নিকট আরেকটি বিনীত জিজ্ঞাসা-- আমরা সাধারণ মানুষেরা খালিচোখে যে আকাশ দেখি ঐটা কি সপ্ত আকাশের প্রথম আকাশ?
<< এটা নিয়ে মুসলিম স্কলারদের গবেষনা খুব কম হয়েছে। বিবি তালাকের ফতোয়া আর আচারধর্মীয় ফতোয়ায় এত ব্যাস্ত থেকেছে -ওদিতে তাকানোরই অবসর পায়নি।
আগে যারা করে গেছেন তাদের গবেষনা অনুবাদ বা চর্চাও দূরপরাহত।
অথচ আল্লাহ কোরআনে বারবার বলছেন- তোমরা তাকাও আকাশের দিকে। আমি অনর্থক এগুলো সৃষ্টি করিনি।! সূরা নজম নামে নক্ষত্রের নামে সূরাও আছে।
অথচ মহাকাশ গবেষনা মুসলিম বিশ্বে নাই বলতে গেলে!

যারা ভাল অবস্থানে আছেন- লা দিয়ে মানে অবিশ্বাস দিয়েই পারলে শুরু করুন। একটা দারুন সমাধান হয়তো এসেও যেতে পারে।

শুভকামনা রইল

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৯

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: আপনার মন্তব্য, "আমি কি তেমন ভাবতে পারি?"

যদি না-ই ভাবতে পারেন, তবে নিজে থেকে "ভেবে" কিছু না বলে, আর্কির রেফারেন্স টানলেন কেন বুঝে আসলো না।

৩০| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার মন্তব্য, "আমি কি তেমন ভাবতে পারি?"

যদি না-ই ভাবতে পারেন, তবে নিজে থেকে "ভেবে" কিছু না বলে, আর্কির রেফারেন্স টানলেন কেন বুঝে আসলো না।

<< সিম্পল জিনিষ। আলোচনায় সামনে বিরাজমনা উপাত্তইতো প্রসংগক্রমে আসবে। নাকি? আর্কির রেফারেন্স এই পোষ্টে আছে তাই বলা!
এটাতো খুবি সিম্পল একটা বিষয়। এটাকে আবারো সামনে আনলেন! ক্লান্ত বোধ করছি।

অকে ভায়া । ভাল থাকুন।



০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩২

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: ৩১ নং কমেন্টে আর্কিকে উদ্দেশ্য করে লেখা রিপ্লাই -এর লিঙ্কে ঘুরে আসতে পারেন।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩৬

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: নাসার সাইটে দেখুন : Yes, the Sun - in fact, our whole solar system - orbits around the center of the Milky Way Galaxy. [রেফারেন্স : সূর্যের কেন্দ্রে নেই, সোলার সিস্টেমের কেন্দ্র আছে]

ব্যারিসেন্টার সম্পর্কে : ব্যারিসেন্টার

ক্লান্ত বোধ করলে আপাতত ক্ষান্ত দিতে পারেন।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩৭

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: সোলার সিস্টেমের কেন্দ্র হল ব্যারিসেন্টার, সূর্যের বাইরে অবস্থিত এই ব্যারিসেন্টার...এইটা আবার প্রতিনিয়ত মুভিং একটা পয়েন্ট। আপনাকে আর কষ্ট দিতে চাইছি না। তবুও এত কথা বলতে হল : আর্কির রেফারেন্স টানায়, সূর্যের কেন্দ্র সম্পর্কিত ভুল ধারণাটি সম্পর্কে পরিষ্কার হওয়ার জন্য।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩৯

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: অন্যের রেফারেন্স অবশ্যই আসবে। কিন্তু সমস্যা দাঁড়িয়েছে, আপনি নিজে যাচাই না করে যখন ভিন্ন কাউকে রেফারেন্স হিসেবে টেনে দিবেন; তখন যাকে রেফারেন্স হিসেবে টানছেন তার বক্তব্যের দুর্বলতা আপনার চোখে পড়ছেনা। আর্কির রেফারেন্সে বলা আছে, সূর্যের একটা কক্ষপথ আছে এবং সূর্যের সেন্টার হল, গ্যালাক্সির সেন্টারে। অথচ ধারণাটি ঠিক নয়। দেখুন, আপনি নিজের ফাঁদে নিজেই পড়ে গেলেন আর্কিকে রেফারেন্স মেনে। তাই বললাম, আপনার আর্কির রেফারেন্স টানাটা সঠিক হয়নি। আপনি আমাকে নাসার ওয়েবসাইটে যেতে বলেছেন। তাই নাসা থেকেই তথ্য-উপাত্ত নিয়ে আসলাম।

৩১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২৪

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: থাক ভাই...

পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম B-))

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩১

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: আর্কি, সূর্যের কেন্দ্র কোথায়!

৩২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩৮

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: পুরোটা পড়ে আসছি :)

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪২

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: ওক্কে। বিদ্রোহী ভাইয়ের বিদ্রোহ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছেন। B-))

৩৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫২

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: See Rotation Characteristics

সূর্য মূলত গ্যালাক্টিক সেন্টারকে ঘিরে ঘুরে....

আর আপনার দেওয়া লিংকটির ভর সম্পর্কিত তথ্য কোনো গ্রহের উপর নির্ভরশীল.....
কোনো গোলাকার বস্তু অবশ্যই কোনো সার্ফেসকে টাচ করেই ঘুরবে। এক্ষেত্রে সার্ফেসটা হলো মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র....
টাচ করা স্থানের লম্ব বরাবর সাধারণত কেন্দ্র অবস্থান করে....
এটা পড়ুনঃ
সূর্য-কাকে-কেন্দ্র-করে-ঘোরে

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৪

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: পড়ছি...। তার আগে কিছু কথা বলে যাই। সূর্য মূলত গ্যালাক্টিক সেন্টারকে কেন্দ্র করে ঘুরে- এইটার সাথে আমার আপত্তি আছে। ঘটনাটি কি এমন নয় যে, সূর্য নয়, ইন ফ্যাক্ট; "সোলার সিস্টেম" -টা গ্যালাক্টিক সেন্টারকে কেন্দ্র করে ঘোরে? আমার সাথে একমত কী না জানাইয়েন তেল থাকলে।

৩৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৮

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: তেল মেল বাদ দ্যান.....

আমি যা জানি বলেছি....

আপনার সাথে আপত্তি অনাপত্তিতে সূর্যের কিছু যায় আসে না B-))

শুভ রাত্রি.....

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩৯

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: আপনার প্রথম লিঙ্ক (উইকি) আছে যে, "The Sun orbits the center of the Milky Way"- এই স্টেটমেন্টটা নিয়ে কথা বলতে চাইছিলাম। সূর্য নয়, ইন ফ্যাক্ট; হোল সোলার সিস্টেমটা আসলে মিল্কিওয়ের সেন্টারকে কেন্দ্র করে ঘুরে। আমার আগের কমেন্টগুলোও যদি আপনে একটু চোখ বোলান তবে আমার ফিলোসফিটা হয়তো আরেকটু ক্লিয়ার হতো। আমি আগেও বলছি, যে চাঁদ পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘোরে, এখানে চাদের আবর্তনের কেন্দ্র হল পৃথিবী, আবার দেখেন, পৃথিবী সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘোরে। তাইলে আমরা কি বলতে পারি না যে, চাঁদ সূর্যকে কেন্দ্র করেও ঘোরে? বলতে পারি। কিন্তু দেখেন, মূল ঘটনা হল; স্বতন্ত্রভাবে বা চাঁদ নিজে সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘোরে না; ঘটনা হল, চাঁদ আর পৃথিবী মিলে যে বাইনারি সিস্টেমটা ওইটা সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘোরে। তো আমি এই সেন্সে বলছি যে, সূর্যের এই রকম কোন সেন্টার নাই। ব্যারিসেন্টার বলে যা আছে ওইটাও পরিবর্তনশীল। আবার মিল্কিওয়ের কেন্দ্র বলে সূর্যের যে সেন্টারের কথা বলা হয়; ওইটা আসলে স্বতন্ত্রভাবে সূর্যের নয়... মূলত সূর্য আর সোলার সিস্টেমের গ্রহ-উপগ্রহগুলো মিলে যে সিস্টেম গঠন করে সেইটার সেন্টার। উইকিতে সূর্যের ভেলোসিটি দেওয়া থাকলেও ওইটা মূলত আমাদের সোলার সিস্টেম মিল্কিওয়ের যে সেন্টারকে কেন্দ্র করে একটা অখন্ড সিস্টেমরূপে হয়ে আবর্তিত হয় তার ভেলোসিটি। জানিনা নিজেকে কতটুকু পরিষ্কার করতে পারলাম।

শুভরাত্রি।

৩৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার বিশ্বাস আপনার কাছে আমার বিশ্বাস আমার কাছে।
এখানে ফাঁদে পড়ার প্রসংগ আসবে কেন?
অর্কির রেফারেন্স মানে ব্যক্তিক অর্কি নয়, এ সম্পর্কতি বিজ্ঞানের রেফারেন্স, খোঁজার ইশারা মাত্র।
এটুকু অনুভবের ক্ষমতা আপনার থাকা উচিত।

তবে কি কবিতালোচনা মূখ্য নয়? যাকগে সে আপনি ভাল জানেন।
কবিতার মূল ছেড়ে আলোচনা ডাইভার্ট হলো ভিন্ন দিকে! কবিতা ভাবের জগত। কবি সেখানে স্বাধীন।
পাঠকও স্বাধীন তার মতপ্রকাশে কোন কিছু চাপিয়ে দিতে নয়। কবিতাকে বিজ্ঞানের আলোকে শতভাগ জাষ্টিফাইড হতেই হবে কোন কিড়ে কাটা নেই। নজরুলের প্রসংগ দিয়ে আগের মন্তব্যেও বলেছি।

এখানে ভাব জগতের অনেক গূঢ় ভাবনার নির্যাস নিয়েই তা লেখা। যে ভাবুক সে অনুভব করবে। করুক।
যে নয় তাকেতো বাধ্য করা হচ্ছে না। পড়তেও পারে না পড়তেও পারে। মন্তব্য করতেও পারে না করতেও পারে।
মানুষের জানা আর না জানা বিষয়টাও সৃষ্টির মতোই অসীম। কেউই কোন বিষয়ে সব জানতে পারেনা। কিন্তু সববিষয়ে কিছু কিছু ধারনা থাকতেই পারে। তা নিয়ে অতি বিশ্লেষনি আলোচনা অনাকাঙ্খিত নয়কি!

লালন গুরুর গানের একটা লাইনের মানে বুঝতে বহুবিষয়ে জ্ঞান রাখতে হয়। তখন তা বুঝে আসে। এখন কোন শ্রোতা যদি বলে আমি জানিনা, এটা কি বলল। এইটা বলা কি ঠিক হইল? এটা বলা কি গ্রহণযোগ্য?
নাকি সে আগ্রহী হলে ঐ বিষয়ে যথোচিত জ্ঞান অর্জন করে তার স্বাদাস্বাদন করবে, তা যথার্থ!
ম্যান টু ম্যান ভেরি করে।
করে বলেই কেউ লালনের সুরে হারিয়ে যায় অনিবর্চনীয় আনন্দে. আবার কেউ বিরক্তি ভরে ডিজেতে সূখ খোঁজে।

এখানে সূর্য বা সোলার সিস্টেম মূখ্য বিষয় হয়ে গেল কিভাবে? কেন? আপনি ভাল জানেন।
বিজ্ঞান সম্পর্কে আমার আগ্রহ প্রচুর। সেটা ভিন্ন বিষয়। জানি খবুই অল্প জানার ইচ্ছা অসীম।
কিন্তু সে আলোচনা বিজ্ঞান সম্পর্কিত পোষ্টেই মানান সই।

কবিতা রিলেটেড ব্যাখ্যায় ২১, ২২, ২৫, ২৯ নং কমেন্টে বিস্তারিত বিষয়গুলো আমার ব্যাখ্যা যতটুকু সম্ভব দিয়েছি।
যতটুকু কবিতা রিলেট করে । তা নিয়ে আলোচনা এগিয়ে গেলে ভাল অনুভুত হতো। যায়নি।

অর্কি ভায়ার পরামর্শে ভেবেছিলাম আরো বিশ্লেষনাত্বন পোষ্ট দেব। আগ্রহে ভাটা পড়ে গেল।
লেখক বলেছেন: ওক্কে। বিদ্রোহী ভাইয়ের বিদ্রোহ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছেন।
<< হা হা হা
এ ক্লান্তি মৌলিক বিষয় ছেড়ে অমুলক আলোচনায় সময়ক্ষেপনের ক্লান্তি ভায়া।
এখানে বিদ্রোহের কিছু নেই। আপনি বুঝতে পারেন নি! তা বোঝানোর আলোচনাও ট্র্যাক হারিয়ে ফেলল-
তাই এখানেই সমাপ্তি।

যতটুকু সম্ভব করেছি। আর যেটুকু করিনি তা অনুভবের জন্য যে প্রাজ্ঞ পরিবেশ, হৃদয় এবং চেতনা দরকার
তার অনুপস্থিতিতেই নিরব থাকাই, মৌন থাকাই উত্তম মনে করছি।

আলোচনায় কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকলে নিজ গুনে ক্ষমা করবেন।
আপনার আগ্রহের জন্য, পোষ্টের জন্য আবারো ধন্যবাদ।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল।











৩৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৪৬

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: বিদ্রোহী ভাই, কবিতালোচনাই অবশ্যই মুখ্য। যেহেতু পোস্ট কবিতা সম্পর্কিত। কিন্তু কি করবো বলেন, তর্কে-বিতর্কে আলোচনা ভিন্ন দিকে চলে গিয়েছে- সেইটা আমিও খেয়াল করেছি। আমি এইজন্য আপনার কাছে আন্তরিকভাবে দু:খিত। আপনি আরো বিশ্লেষণাত্বক পোস্ট দেন। খোদা তৌফিক দিলে কথা হবে নিশ্চয়।

৩৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৪৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: একেকজনের পয়েন্ট অব ভিউ একেকরকম.....

আর কিছু বলবো না... ধন্যবাদ :)

অনেক কিছু জানা হলো....

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:০৫

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেট্রনিক্সে আবার PhD মানে ডক্টর অব ফিলোসফি (?) নামক ডিগ্রি কেমনে আসে?

৩৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:০৪

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: থাক ভাই ক্ষান্ত দ্যান B-))

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:০৬

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: ঘুমাইতে যাই। কাইল বহু কাম-কাজ আছে... B-))

৩৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:১৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:






বিশাল দক্ষযজ্ঞ চলছে, আলোচনার বিষয় বস্তু কঠিন থেকে কঠিনতর - সবাই ঠিক, সবার সাথে সহমত হয়ে প্রস্থান করছি।

৪০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৪৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এত সুক্ষাতিসুক্ষ বিচার করলে কবিরা কবিতা লেখায় লাগাম টানতে হবে।

হা হা হা.................................................................................

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৬

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: আলোচনা অন্যদিকে চলে গিয়েছে। কবিতা নিয়ে আসলে এইখানে কথা-বার্তা হয়নি। মূলত পদ্যে কবি যা বলতে চেয়েছেন, গদ্যে সেইটার ব্যবচ্ছেদ চলছে। কবির বাণী যদি সেই অধরা অসীম থেকে আসে, তবে কবি যে কাউকেই যেকোন সূক্ষ্ণাতিসূক্ষ বিচারকে মোকাবেলা করার যোগ্যতা রাখেন।

:)

৪১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:০০

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: আপাতত প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম । ঘুম থেকে উঠে গুরু গম্ভীর আলোচনায় ভাব লইতে আসবো

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৫

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: এই না হলে ব্লগার! আপনার গুরুগম্ভীর আলোচনার অপেক্ষায় রইলাম। যত পারুন আলোচনা করুন এবং ভাব নিন...!!!!

৪২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২১

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: @চাঁদগাজী, আপনার মন্তব্যে বিভ্রান্ত হলাম। আপনি প্রথমে আমার মন্তব্য তুলে দিলেন, তারপর বললেন আপনার নিকট একটা বিষয় পরিষ্কার যে দর্শনের যে ডেফিনেশন ইভেন সামান্যতম ডেফিনেশনও আমি ইভেন আমার জীবনে বুঝতে পারিনি!

আমি ধরে নিচ্ছি, আমার মন্তব্য থেকে আপনার নিকট এই বিষয়টি পরিষ্কার যেহেতু আমার মন্তব্যটি তুলে দিয়ে আপনি আপনার মন্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু আপনি নিজের কথা বলেই দায় সারলেন, আমি যে বুঝিনি, সেই না বুঝার জায়গাটায় কেন কিভাবে তা বললেন না। আমার এক মন্তব্যে এত দ্রুত সিদ্বান্ত টেনে ফেললেন? তাহলে আমাকে এখন নিজের মন্তব্য ব্যাখ্যার দায়ে নামতে হচ্ছে। এছাড়া উপায় দেখছি না।

আমাকে কেহ পিএইচডি দিলে উহা কাজে লাগবে কি না তা জানি না। আমি যদ্দুর বুঝি পিএইচডি নামক ডিগ্রিটি কেহ বা কোন ব্যক্তি আমাকে দিবে না। এইটা আমাকে নিজের যোগ্যতাবলে কোন প্রতিষ্ঠাণ থেকে অর্জন করতে হবে। কেহ আমাকে পিএইচডি দিলেই বা সেটি আমি গ্রহণ করবো- এটাই বা আপনার ভাবনায় এলো কিভাবে তাও পরিষ্কার নয়। কাজে লাগার বিষয়টি পরের ব্যাপার। আর পিএইচডির জন্য আমি লালায়িত নই, পুঁথিগত কিংবা প্রাতিষ্ঠাণিক শিক্ষার উপর আমার ভরসা একটু কম।

দর্শন বিষয়ে আপনার সাথে তাহলে বিস্তারিত আলোচনায় নামা যাক। আমার মন্তব্যের কোন অংশটুকু পড়ে কেন আপনার মনে হচ্ছে আমি দর্শনের সামান্য ডেফিনেশনও বুঝতে পারিনি তা আপনার নিকট প্রশ্ন থাকলো। আশা করি দয়া করে কিছুটা পরিশ্রম করে খোলাসা করবেন। যদিও দর্শন আমি বুঝে কামিয়াব হয়েছি বা দর্শনের সামান্য কিছুও আমি বুঝেছি- এইরকম দাবি আমি করবো না এখনো। কি কারণে? কারণ আপনার "সামান্য" শব্দের ব্যবহারে দর্শনে ব্যবহৃত সামান্য ধারণার কথা মনে পড়ে গেলো, যেমনটা জনপ্রিয় গানেও আমরা শুনেছি, "পাবে সামান্যে কি তার দেখা?" এই যখন অবস্থা, তখন দর্শনের সামান্য ডেফিনেশনও কেউ বুঝেছে-- এই ভরসা রাখি কি করে বলেন? তারপরও আপনি বলছেন আপনার নিকট পরিষ্কার আমি দর্শন বুঝিনি, তাই আপনার কাছে দর্শন বিষয়ে শোনার আশা রাখি। শুধু নিজের বক্তব্য কোরানের ভেদ বাক্যের মতন না দিয়ে আশা রাখি প্রয়োজনে নিজের মন্তব্যের তাফসির সহকারে একটি স্বতন্ত্র পোস্ট দেবেন। সেখানে আলোচনা হবে।

৪৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৬

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: আমার মন্তব্য ছিলো: আর দর্শন- এই দু'ইটার মাঝেই নানানভাবে বিভাজন টানা যায়। কিন্তু আমি মনে করি, ধর্মে দর্শন থাকতে পারে, আবার দর্শনেও ধর্ম থাকতে পারে। কেউ আক্ষরিকভাবে দার্শনিক না হয়েও নিজের অজান্তেই নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা, নিজস্ব ধর্মীয় ব্যাখ্যা বা জীবন-ভাবনা দাঁড় করাতে পারে যেগুলোকে দর্শনের দৃষ্টিকোন হতে পর্যালোচনা করা যায়। এমনকি আমি নিজে সায়েন্সের একটা কাট্টাখোট্টা নিরস বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেও দেখলাম যে, আমাকে সর্বোচ্চ যে ডিগ্রিটি নিতে হবে তার নাম ডক্টর অব ফিলোসফি!!

দর্শন আর ধর্ম- দু'টো আসলে একই ব্যাপার, সংজ্ঞাগত দিক দিয়ে এদেরকে আলাদা করা গেলেও আসলে মানুষের চিন্তাগুলোই ধর্ম আর দর্শন নাম নিয়ে আলাদা হয়ে আমাদের নিকট প্রকাশিত। তাই আমি বলেছি, ধর্ম আর দর্শনকে নানানভাবে আমরা আলাদা করতেই পারি, কিন্তু এরপরেও দেখা যায় ধর্মে দর্শন আছে। বৌদ্ধ ধর্ম ঈশ্বরের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে। প্রথাগত মনোথেয়িস্ট ধর্মগুলোর বিরুদ্ধে তাই বৌদ্ধধর্ম কি এক ধরনের নাস্তিক্যবাদী দর্শন নয়? দর্শন আলোচনা করে পৃথিবীতে মানবজাতির কিছু মৌলিক সমস্যাবলী নিয়ে, মানুষের স্বরূপ কি, মহাবিশ্বের তার অস্তিত্বের অর্থ কি, মানবজীবনের কোন উদ্দেশ্য আছে কি নেই...ইত্যাদি ইত্যাদি...দেখেন, এই বিষয়গুলো দর্শনের বিষয় হলেও ধর্ম (ঐশী বাণীর দাবিদার ধর্মগুলো) একই সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছে। গ্রীকরা যখন বস্তুবাদী দৃষ্টিকোন থেকে পৃথিবী কিংবা মহাবিশ্বের ব্যাখ্যা দিয়েছে, সেমিটিক ধর্মের নবীরা তখন গায়েবের রেফারেন্স দিয়ে মানুষের অস্তিত্বকে দার্শনিকভাবে অর্থবহ করেছে। সুতরাং, দেখুন ধর্ম-দর্শন কিভাবে একদেহে লীন হয়ে যাচ্ছে। অথবা পশ্চিমা দর্শনের দিকে তাকান। ওরা যদিও প্রাচ্যকে অবহেলা করেছে, কিন্তু ইউরোপীয়ান দার্শনিকরাও খৃষ্টবাদকে যুক্তি-তর্কের ভিতরে উপর প্রতিষ্ঠা করতে কী প্রাণান্ত চেষ্টাই না দিলো। অ্যাকুইনাস, বার্কলে পেরিয়ে হেগেলে আসুন, কি দেখবেন? দর্শনের ভিতর ধর্মের ইতিহাস। আশ্চর্য নয় কি! তাই বলেছি, ধর্মে দর্শন আছে, আবার দর্শনেও ধর্ম থাকতে পারে।

৪৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪১

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: "কেউ আক্ষরিকভাবে দার্শনিক না হয়েও নিজের অজান্তেই নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা, নিজস্ব ধর্মীয় ব্যাখ্যা বা জীবন-ভাবনা দাঁড় করাতে পারে যেগুলোকে দর্শনের দৃষ্টিকোন হতে পর্যালোচনা করা যায়।"


এইটাতো দর্শন বিষয়ে সাধারণ একটা কথা। এমনকি দর্শনের যেকোন চটি বইয়েও এই বক্তব্যটি প্রথমেই থাকে, যে- "প্রতিটা মানুষই-- সে যতই ঘোর সংসারী হোক না কেন; নিজের অজান্তেই এক ধরনের দার্শনিক।"

লালন নিজেকে দার্শনিক হিসেবে দাবি করেননি, কিন্তু "লালনদর্শন" শব্দটি কি ভুল, বেখাপ্পা কিংবা বেঠিক ঠিকছে? লালনের লাইফ-স্টাইল, গানের মাধ্যমে তার চিন্তার প্রকাশ সবই পরবর্তীতে দর্শনের কাতারে জায়গা করে নিয়েছে। তাই আমি বলি, কেউ আক্ষরিকভাবে দার্শনিক না হয়েও তার চিন্তা বা সৃষ্টির মাধ্যমে দর্শন সৃষ্টি করে যেতে পারে।

৪৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৩

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: "এমনকি আমি নিজে সায়েন্সের একটা কাট্টাখোট্টা নিরস বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেও দেখলাম যে, আমাকে সর্বোচ্চ যে ডিগ্রিটি নিতে হবে তার নাম ডক্টর অব ফিলোসফি!!" এই মন্তব্যের ব্যাখ্যায় পরে আসছি। আপাতত আমি আমার দায় সারলাম। দেখি, আপনি কি বলেন। আর দয়া করে ধৃষ্ঠতা নেবেন না। আমি বয়সে আপনার অনেক ছোট হবো। আপনার সব পোস্টই পড়ি, কিন্তু আপনার সাথে আসলে আলোচনা কিভাবে চালাবো, তাতে কোন বেয়াদবি হয়ে যায় কী না-- তাই নিয়ে সদা চিন্তিত থাকি।

৪৬| ২১ শে মে, ২০২০ রাত ১১:৫০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: করবি মানুষের কবিতায় বিজ্ঞান খুঁজলে সমস্যা। সমস্যাটা হলো আপনি কবিরে ধর্ষন করতেছেন আর সে নিরুপায় হয়ে ধর্ষিত হইতেছে।

কবিরে যদি কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হয় তাহলে দর্শন আর সাহিত্যের ছাই মেখে ধরা ভালো


বেচারা কবি

২২ শে মে, ২০২০ রাত ১২:১২

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: টেনশন লয়েন না, ওনার সাথে আমার বোঝাপড়া আপনার চেয়েও ভালো।

৪৭| ২২ শে মে, ২০২০ রাত ১২:৪০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তাইলে ঠিক আছে। কবি মানুষের জন্য আমি সবকিছুই ছাড় দেই না। যদিও কেউ কবিতা আবৃত্তি আমার সামনে করলে তার খবর আছে। কিন্তু শিল্প সাহিত্যর লোকজনের প্রতি আমার শ্রদ্ধা তারা যাই বলুক

২২ শে মে, ২০২০ রাত ১২:৪৬

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: সারছে আমারে! কবিতা-তো আমিও লিখতে চেষ্টা করি, ঠিক আছে...এরপর থেকে খেয়াল রাখবো, আপনি যখন লগ-আউট অবস্থায় থাকবেন ওইসময় কবিতা পোস্ট করবো। B-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.