নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেইল : [email protected]

বিপ্লব০০৭

...

বিপ্লব০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাইজেনবার্গ

১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৩



কেবল তরঙ্গ-মাঝে কণার অবয়ব।
....
বুঝেছিলেন হাইজেনবার্গ
সন্দিহান সবাই, লোকটা বলে কী!
বড়-ছোট-মেজো, সব দলের, সব স্তরের
এমনকী, বন্ধু অ্যালবার্টও...

তবু হেঁটেছিলৈন
ভার্নার হাইজেনবার্গ
স্রোতের উলটো-মুখে--
যা খুশি ওরা বলুক
ওদের কথায় আসবে না কিছু, যাবেও না
আমার কথাই থেকে যাবে
এ আমার বজ্রনির্ঘোষ।

সে কথাই রয়ে গেল অনন্তকালের বুকে।

লেখক: রাহুল রায়

মন্তব্য ৩৯ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৫১

শায়মা বলেছেন: হাইজেনবার্গ দেখছি সেকালের জেন জি! :|

১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৬

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: তোমার লেখায় জেন জি-এর নেক্সট জেনদের কি নামে ডাকবো তা কিন্তু পাইনি। এজন্য বলছি কারণ জেন জি এর পরের জেনদের (পিচ্চিদের) সাথে আমার খুব ভালো যায়। B-)

২| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:০৪

শায়মা বলেছেন: জেন জি এর পরের জেন নাকি জেন ইয়ুম !আজকেই জানতে পেলাম!

যাইহোক হাইজেনবার্গকে আজ জানলাম তোমার লেখাটা পড়ার পরে।

এখনও তবে জানার আছে অনেক কিছু এই ব্লগেতে ..... :P

১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:১৩

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: অবশ্যই অনেক কিছু জানার এখনো বাকি আছে। তুমি কি জানো যে ২ আর ২ যোগ করলে ৪ হয়? B-)

৩| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:১৬

শায়মা বলেছেন: জানি জানি ২ আর ২ যোগ করলে ৫ ও হয়....... :)

১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ১:২৩

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: হা হা...এজন্যইতো অর্ণব গেয়েছিলো,

"ভুল বোঝাবুঝির সব গল্প শেষ,
'ভালোবাসা'-- "চার দু' গুনে পাঁচ"! B-)

৪| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:১৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কুল

রাহুল রায় আপনে নাকি?

১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৩০

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: জ্বী না বস। দেশ পত্রিকা থেকে সংগৃহীত এই কবিতা।

৫| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: দারুন। চমতকার।

১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ১:২৫

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: যেটাই পোস্ট করি না কেন-- সবসময় এসে তেল দিয়ে যাবেন।

৬| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: দেশ পত্রিকা কি বাংলাদেশে ছাপায় না ক্যালকেশিয়ানদের?

অনলাইন ভার্সন আছে?

থাকলে একটু দেয়া যাবে লিংকু??

১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৮

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: অনলাইন ভার্সন আছে। বাট কোথা থেকে যে কালেক্ট করছি তাই-তো ভুলে গেছি। সম্ভবত আমার বই ডট কমের যে ফেইসবুক গ্রুপটা আছে ওইখানে মেম্বার হয়ে ওদের কোন একটা লিঙ্ক থেকে আমি নামাইছিলাম অনেক আগে। এ কারণে আমার কাছে পিডিএফ ফাইলটা আছে। যদি বলেন মেইলে সেন্ড করতে পারি। আর না হলে আমারে একটু টাইম দেন...খুঁজে দেখি লিঙ্কটা পাই কি না।

১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৪৫

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: দেশ ০২ এপ্রিল, ২০১৮ স্টিফেন হকিং এডিশন। দেখেন খুঁজে পান কি না, নাইলে আমি ড্রাইভে আপলোড দিয়ে আপনারে লিঙ্ক দিয়ে দিতেসি।

৭| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৪৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি নিজের পড়ার জন্য চাইছি। ক্যালকেশিয়ানদের লেখা ভালো লাগে। বিশেষ করে সাহিত্য যে শব্দের বুননের সাথে ন্যারিটিভের একটা কাব্যিক দ্বন্ধের খেলা সেটা উপভোগ্য লাগে। তাই এক লাইন দুইবার পড়লেও মনে হয় না সময় নস্ট করছি। এক সময় শীর্ষেন্দু সমরেশ সুনীলের সহজ সরল বর্ননা ভালো লাগতো। কিন্তু ঠিক বলতে পারছি কোন বই থেকে যে এরকম লেখার ভক্ত হলাম। ওয়েস্টার্ন সাহিত্য বেশী পড়া হয়নি তবে ঠিক একই আবহে বই পেলে সময় নিয়ে পড়তে চেস্টা করি।

যেহেতু এখন সময় কম তাই গুরুচণ্ডালীতে সময় দেই। এখন আপনি যদি ওটার অলটারনেটিভ কিছু দিতে পারেন তাহলে ভালো হয়। অন্তত মোবাইলে রেডিট বা ফিজিক্স ব্লগ ও ডেভেলপার ট্রাবলশুট ফোরামে কম সময় দিতাম

১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৫৫

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: Click This Link

এই যে ড্রাইভে আপলোড করে দিসি। এখান থেকে নামাইতে পারেন। পশ্চিম বাংলার লেখকদের নিয়ে আমার নিজস্ব কিছু কথা আছে। ওদের রচনাশৈলীর সামনে বাঙ্গালীর দৈন্যদশায় লজ্জা পাই। যাকগে, ব্লগে থাকলে অবশ্যই এসব নিয়ে কথা হবে। আপাতত আমি কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে বিজি, ঘটনাটা বুঝতে পারতেসি না; এ কারণে হতাশ দিনকাল কাটছে।

৮| ১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ২:১২

সুপারডুপার বলেছেন:



আপনি কি কণা না তরঙ্গ ? যদি কণা হন, তবে কিভাবে তরঙ্গ হবেন? যদি তরঙ্গ হন , তবে কিভাবে কণা হবেন ?

মহাবিশ্বে আপনি কি একই সময়ে দুটি স্থানে অবস্থান করতে পারেন? মহাবিশ্বে আপনার অবস্থান কি সুনির্দিষ্ট?

১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:০২

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: ভালো প্রশ্ন করছেন। কমেন্টে আমিও যথাসাধ্য ব্যাখ্যা করছিলাম, বাট পেজ রিলোড হয়ে এত পরিশ্রমের মন্তব্যখানি গায়েব হয়ে গেছে।

১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:৩৭

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: আইনস্টাইন একটা অদ্ভূত কল্পনা করছিলেন। তিনি চিন্তা করছিলেন যে, তিনি যদি আলোর বেগে ছুটতে পারতেন তাহলে ঘটনাটা কি হতো, তার চারপাশের থ্রি-ডাইমেনশনাল রিয়েলিটির কি অবস্থা হতো, তিনি তার আলোর-গতিতে-ছুটে-চলা-অবস্থা থেকে কি দেখতে পেতেন চারপাশে তাকিয়ে? কিংবা সময়ের ব্যাপারটাই বা তখন কিভাবে হতো; অর্থাৎ তিনি নিজেকে আলোর একটা কণা (ফোটন) -এর জায়গায় নিজেকে কল্পনা করে পুরা ব্যাপারটা ইমাজিন করতে চেয়েছিলেন। আমি উনি নই, বাট তারপরও আপনার প্রশ্নটার উত্তর অনেকভাবে দেয়া যায়, কিন্তু অনেস্ট আনসার যদি চান তবে বলবো আমি 'কণা'-ও নই, 'তরঙ্গ'-ও নই যদিও কণা হলেও আমার পক্ষে সম্ভব তরঙ্গ হওয়া আবার তরঙ্গ হলেও আমার পক্ষে সম্ভব নিজের 'কণা' নামক অস্তিত্ব বজায় রাখা। ব্যাপারটাকে এইভাবে ধরতে পারেন যে, আমি কণা হয়ে তরঙ্গাকারে প্রবাহিত হতে পারি অথবা তরঙ্গ হয়ে যখন প্রবাহিত হয় তখন মূলত আমি একটা 'কণা'-ই যে 'কণা'-এর আপ-ডাউন সাইনুসয়ডাল মুভমেন্টের কারণে আপনি এই মুভমেন্টটিকে একটি তরঙ্গ হিসেবে দেখছেন। এইটা অনেকটা ইলেকট্রনের মতন যেইটার ওয়েব-পার্টিকল ডুয়েলিটি আছে, এটা একই সাথে কখনো কণা, কখনো তরঙ্গ, বলা ভালো একই সাথে কণা এবং তরঙ্গ। মানবিক ইনটুয়িশনে যদি আপনি এইটা ধরতে না পারেন, আমার কিছু করার নাই।

৯| ১৫ ই জুন, ২০২০ ভোর ৬:১৫

সুপারডুপার বলেছেন:



পরিশ্রমের মন্তব্যখানি গায়েব হয়ে গেলে, সময়ের বিপরীতে গিয়ে উদ্ধার করতে পারতেন! কষ্ট করে আবার লেখার কি দরকার ছিল!

খুব সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। সত্যিই আপনি ভার্সিটিতে প্রফেসর হলে ভালো করবেন। কিন্তু আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন বা হাইজেনবার্গের নীতি নিজের উপর কিভাবে প্রয়োগ করতে পারেন, সেটা পরিষ্কার হলো না।

দেখেন এবার আবার মন্তব্য গায়েব না হয়ে যায়। কারণ প্রাক্টিকালি সময়ের বিপরীতে যাওয়া সম্ভব কি না, তা এখনো অজানা।

১৫ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪৫

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: আপনার প্রশ্নের জবাব আগেই দিয়েছিলাম, বাট ওই যে তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সূত্রানুসারে জগতের এনট্রপি যেহেতু বাড়ছে, সুতরাং এনট্রপি যে বরাবর বাড়ছে সেটাই অ্যারো অব টাইম, আমার পক্ষে এনট্রপি কমিয়ে এখনো সম্ভব হয়নি টাইমের অ্যারো যেদিকে নির্দেশ করে তার বিপরীতে যাওয়া।

হাইজেনবার্গের নীতি 'নিজের' উপর কিভাবে প্রয়োগ করবো--- এইটা আসলে আমার বিবেচনায় এক ধরনের দার্শনিক কূটতর্ক। কারণ আমি নিজেকে 'কিভাবে' ডিফাইন করি সেইটা আপনি আমার কাছে জানতে চাননি। তাছাড়া আমিও ঈঙ্গিত দিয়েছি যে আইনস্টাইন নিজেকে 'ফোটন' -এর জায়গায় কল্পনা করে তত্ত্ব প্রণয়ন করতেই পারেন, বাট সেইটা কল্পনাও একটা লেভেল পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। খোদ আইনস্টাইনের পক্ষেও সম্ভব না, শুধুমাত্র থট এক্সপেরিমেন্ট চালিয়ে কণার ওয়েব-পার্টিকল ডুয়েলিটি আবিষ্কার করা যদি না বাস্তবে 'ডাবল-স্লিট' এক্সপেরিমেন্ট আমাদের প্রমাণ করতো যে যাকে 'কণা' বলে এক্সপ্লেইন করছি সেটা 'ওয়েব' আকারেও পর্যবেক্ষকের চোখে ধরা দিতে পারে।

এবার আসি দার্শনিক কূটতর্কে। যত বুদ্ধিমানই হই না কেন শেষপর্যন্ত আমাকে স্বীকার করে নিতেই হবে প্রকৃতির অস্তিত্ব আছে। আর কণা-তরঙ্গ-সময়-সময়ভ্রমণ এগুলো আসলে এই প্রকৃতিকে পর্যবেক্ষণ করেই কিংবা এই প্রকৃতিতে প্রাপ্ত উপাদানগুলোর উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে প্রকৃতি সম্পর্কেই আমাদের জ্ঞানলাভ। জ্ঞান কে লাভ করছে? পর্যবেক্ষক। পর্যবেক্ষক নিজে কি অথবা প্রকৃতির সাথে পর্যবেক্ষকের সম্পর্কটা কি দাঁড়ায় যখন পরীক্ষালব্ধ এক্সপেরিমেন্টের রেজাল্ট পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে?

আশ্চর্য, খোদ সায়েন্সে বা প্রকৃতিবিজ্ঞানের কোথাও এই প্রশ্ন তোলা হয়নি কিংবা উত্তর দেওয়া হয়নি। প্রকৃতিবিজ্ঞানে পর্যবেক্ষক অলিখিত ঈশ্বর, সে যা পর্যবেক্ষণ করছে এটাই সত্য, পর্যবেক্ষণকে নৈর্বক্তিক পরম সত্য ধরে নিয়ে পরবর্তীকালের তত্ত্ব হাজির করার প্রক্রিয়া চলছে। দেকার্তের সংজ্ঞা মেনে নিলে, দর্শন আর বিজ্ঞানের সাহায্য নিয়ে বলা যায়, 'আমি' হলাম পর্যবেক্ষকের সেই 'চেতনা' যার মধ্যে দিয়ে গোটা প্রকৃতি বা মহাবিশ্ব প্রতিভাসিত। দর্শন নিজে এই 'চেতনা'-র অবজেক্টিভিটি নিয়ে বেশিদূর আগায়নি। বরং চেতনায় যা ধরা পড়ছে তাকেই সত্য ধরে নিয়েছে।

তাহলে এবার আপনিই বলুন, 'চেতনা'-য় পদার্থের ক্ষুদ্রস্তরের যে আচরণ প্রতিভাসিত হচ্ছে সেটা দিয়ে আবার খোদ পর্যবেক্ষককে অর্থাৎ আমাকে বা আমার 'চেতনা'-কে প্রশ্নবিদ্ধ করাটা এক ধরনের দার্শনিক কূটতর্ক নয়?

১০| ১৫ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:২৯

বিজন রয় বলেছেন: বৈজ্ঞানিক কবিতা।

+++++

কেমন আছেন?

১৫ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:২১

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: এই যে আপনারা আছেন, ব্লগে এলে আপনাদের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ হয়ে যায়- তাই আমিও ভালো আছি।

১১| ১৫ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৪

সুপারডুপার বলেছেন:



আপনার কাছে থেকে অনেক কিছু জানতেছি। দর্শন নিয়ে আমরা খুবই কম জানা আছে।

তাপবিদ্যায় বুঝলাম এনট্রপি কমিয়ে আনা সম্ভব হয় নি বলে আমরা সময়ের বিপরীতে যেতে পারছি না। কিন্তু দর্শন অনুসারে কল্পিত ঈশ্বর কি সময়ের বিপরীতে যেতে পারেন? মানে আমরা যেভাবে সিডি-ক্যাসেট ফরওয়ার্ড ব্যাকওয়ার্ড করে মুভির সামনে পিছনে যেতে পারি , সেই ভাবে কি সেই কল্পিত ঈশ্বর যেতে পারেন ?

আরো একটি সমস্যা, 'সময়' কখন শুরু হয়েছে? আপনার কি মত ?

পর্যবেক্ষক ও তো ইলেক্ট্রন ও কোয়ার্কের সমষ্টি। ইলেক্ট্রনের ক্ষেত্রে খাটলে কেন পর্যবেক্ষকের ক্ষেত্রে গন্ডগোল দেখা দেওয়াতে দার্শনিক কূটতর্ক এসেছে? ; যখন সেই পর্যবেক্ষকেও মহাবিশ্বের সাপেক্ষে খুবই ক্ষুদ্র একটি কণা। মানে , কোনো একজন পর্যবেক্ষক (আরেকটা অলিখিত ঈশ্বর) মহাবিশ্বের বাহির থেকে পর্যবেক্ষণ করতে পারেন, সে তো আমাদেরকে খুবই ক্ষুদ্র কণা হিসেবেই দেখবে। গিরিঙ্গিটা কোথায়?

১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:২৪

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: আপনার কমেন্ট চোখে পড়েছে। সময় করে জবাব দিচ্ছি। আশা করি রাতের মধ্যে রিকমেন্ট লিখে ফেলতে পারবো।

১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:২৯

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: সিডি-ক্যাসেট ফরোয়ার্ড ব্যাকওয়ার্ড করে মুভির সামনে পিছনে যাওয়ার কাজটা-তো ভার্চুয়াল্লি হচ্ছে, রিয়েল জগত-তো মানুষের ইন্টার-অ্যাকশন নির্ভর যেখানে ফরোয়ার্ড-ব্যাকওয়ার্ড নামক কোনকিছু করতে গেলে বা করা সম্ভব কি না-- সেটা ভাবতে গেলে আগে ডিফাইন করতে হবে কোন ফ্রেইমওয়র্ক থেকে ঘটনাটা ঘটানো হচ্ছে।

টাইম কি? ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোন থেকে একটা টাইম আছে, এডি, বিসি, হিজরী সন কিংবা বঙ্গাব্দ; আবার ন্যাচারকে বেইজ করলে সূর্যকে ঘিরে পৃথিবীর রোটেশনটাই টাইম, ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোন থেকে দেখা টাইমটাও ঐ একই টাইমের অধীন। এখন এই টাইম যখন চলমান তখন এর সামনে-পিছনে যাওয়া বলতে কি বোঝায়? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে আবার দর্শনে ফিরে আসতে হয়। মানুষ কি, প্রকৃতি কি, মানুষ আর প্রকৃতি -একে অপরের সাথে কিভাবে সম্পর্কিত, দু'য়ের মধ্যে কি কোন ভেদ আছে নাকি দু'য়ে মিলে এরা এক ও অবিভাজ্য কোন একক অর্থাৎ মানুষ যা তাই আসলে প্রকৃতি যাকে এক কথায় "ব্রহ্মান্ড" বলা যেতে পারে, নাকি মানুষ আর প্রকৃতি আলাদা অর্থাৎ মানুষ প্রকৃতি থেকে স্বতন্ত্র কোন পৃথক এক অস্তিত্ব... এই ধরনের সমস্যাগুলোর কোন উত্তর নেই আমাদের কাছে। ফলে এইসব প্রশ্নের উত্তর না পাওয়ার আগে "দর্শন অনুসারে কল্পিত ঈশ্বর"- এর পক্ষে সময়ের সামনে-পেছনে যাবার সম্ভাবনা মানুষের পক্ষে কল্পনা সম্ভব নয়। প্রকৃতিবিজ্ঞানের দেওয়া টাইম অনুযায়ী টাইমের পেছনে যেতে হলে পৃথিবীর রোটেশনকে ধীরে ধীরে কমিয়ে এটাকে উল্টোদিকে রোটেট করাতে হবে, তাহলে টাইমের পেছনে যাওয়া সম্ভব।

"আর দর্শন অনুসারে কল্পিত ঈশ্বর"-- এই বাক্যটি ঠিক স্পষ্ট নয়। আমার দর্শন অনুসারে কোন কল্পিত ঈশ্বরের প্রয়োজন নেই। বিশেষ করে দর্শন বা বিজ্ঞানকে ঈশ্বরকে খোঁজার প্রয়োজনীয়তাই আমি অনর্থক মনে করি।

১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৭

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: ঈশ্বর সংক্রান্ত যেকোন ধরনের আলোচনায় একটা সমস্যা দেখা দেয়, তা হল আমরা "ঈশ্বর" একটি সংজ্ঞা নির্মাণ না করেই কথা-বার্তা শুরু করি। ফলে আইনস্টাইন যখন বলেন, "ঈশ্বর জগৎ নিয়ে 'জুয়া' খেলেন না", তখন আমাদের আস্তিক মন উচ্চলম্ফ দিয়ে ওঠে বলে এই যে, গুরুতো পরম বিশ্বাসী ছিলেন, তাহলে 'তোমরা' এত লাফাও কেন? ক্যারেন আর্মস্ট্রং তার "আ হিস্ট্রি অব গড" বইতে দেখিয়েছেন যে, ঈশ্বর বলতে আসলে পরম, একক কিছু কোনকালেই ছিলো না। একেক সময়ে একেক ভূ-খন্ডে একেক জনসমস্টি ঈশ্বর বলতে ভিন্ন ভিন্ন কনসেপশন নিয়ে জীবন যাপন করেছে। এমনকি পাশ্চাত্য দর্শনের ইতিহাসে আমরা যে সকল দার্শনিকদের পাই এরাও অনেকে "ঈশ্বর"-এর কথা বলেছেন, বাট এদের একেকজনের ঈশ্বর একেক রকম ছিলেন। কোন ঈশ্বরের সাথে অন্য ঈশ্বরের মিল নাই। এজন্য বার্ট্রান্ড রাসেল এবং ফাদার কপলেস্টোনের দু'জন বিপরীত দু'টি জগতের বাঘা পন্ডিত যখন বিতর্কে নেমেছিলেনে তারা প্রথমেই "ঈশ্বর" -এর একটি মিউচুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিং বা কনসেপ্টে এসে তর্ক শুরু করেছিলেন (ফাদার কপলেস্টোন বনাম বার্ট্রান্ড রাসেলের মধ্যে ঈশ্বরের অস্তিত্ব-অনস্তিত্ব সম্পর্কীয় ডিবেট, বিবিসির ইউটিবে চ্যানেলে পাবেন)। অর্থাৎ "দর্শনের ঈশ্বর" বলতে আপনি কি বোঝাতে চান সেটা আপনাকে পরিষ্কার করতে হবে, ঈশ্বরের একটা সংজ্ঞা দিতে হবে...তারপরও শুধুমাত্র সে সংজ্ঞার ওপর বেইজ করে আলোচনা চলতে পারে। আইনস্টাইন মনে করতেন মানুষ হিসেবে আমাদের 'চেতনা'য় বা পর্যবেক্ষণে আমরা যে মহাবিশ্ব বা প্রকৃতিকে প্রতিভাসিতরূপে পাই সেটাই ঈশ্বর বা ঈশ্বর আসলে জগতের নীতি-নিয়ম, রূলসগুলো দিয়েই আমাদের সামনে হাজির হচ্ছেন যেটা একজন মুসলিমের "ঈশ্বর" ধারণার সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক কারণ মুসলিমের চোখে জগত বা মহাবিশ্ব "ঈশ্বর"-এর সৃষ্ট, তিনি এ থেকে পৃথক স্বতন্ত্র অস্তিত্ব নিয়েও এর রুলসগুলা (যেমন গ্র্যাভিটিকে) পাল্টে দেবার ক্ষমতা রাখেন।

১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৪

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: সময় কখন শুরু হয়েছে এ ব্যাপারে আমার কোন মত নেই। এজন্য আমি প্রকৃতিবিজ্ঞান/সায়েন্সের ওপর আস্থা রাখি। বিগ ব্যাং থেকেই টাইমের শুরু-- এইটা নিয়ে আমার ইদানিং একটু সন্দেহ রয়েছে। কিছু বই-পত্র বাকি আছে, ওগুলা শেষ করলে আপনাকে একটা মত দেওয়া আশা রাখি। আর ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, চেতনা যেদিন থেকে নিজের অস্তিত্ব সম্বন্ধে সচেতন হল, তার চারপাশের ক্রিয়া-প্রক্রিয়াকে অনুভব করা শুরু করলো তখন থেকেই সময়ের শুরু। ভ্রণাবস্তায় 'টাইম'-এর কোন অস্তিত্ব ছিলো না, টাইম একটা 'টাইমে' আসার পরই শুরু হয়েছে। খেয়াল করবেন, সময় নিয়ে কথা বলাটা একটা সমস্যা, কারণ সময় নিয়ে কথা বলতে গেলে লুপের মতন সময় কথাটাই আবার ঘুরে-ফিরে আসে। ক্লাসিকাল জগতে যতদিন ছিলাম ততদিন নিউটনকে গুরু মানতাম, বাট আইনস্টাইন এসে প্যাঁচ কষে দিলেন...ফলে সময়কে এখন পরম কিংবা শ্বাসত কিছু হিসেবে দেখি না।

সময় একটা ইল্যুশনও হতে পারে। মানুষের 'চেতনা' সম্ভবত এর ধারক।

১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:০৮

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: "পর্যবেক্ষকও তো ইলেক্ট্রন ও কোয়ার্কের সমষ্টি।"

বিপজ্জনক মন্তব্য। পর্যবেক্ষক নিয়ে আসলে আরো ভাবতে হবে।

অবসর মতো কথা ভাবা যাবে,
ঢের অবসর চাই;
দূর ব্রহ্মাণ্ডকে তিলে টেনে এনে সমাহিত হওয়া চাই
এখনি টেনিসে যেতে হবে তবু,
ফিরে এসে রাতে ক্লাবে;
কখন সময় হবে।

হেমন্তে ঘাসে নীল ফুল ফোঁটে —
হৃদয় কেন যে কাঁপে,
‘ভালোবাসতাম’ — স্মৃতি — অঙ্গার — পাপে
তর্কিত কেন রয়েছে বর্তমান।
সে-ও কি আমায় — সুজাতা আমায় ভালোবেসে ফেলেছিলো?
আজো ভালোবাসে নাকি?
ইলেকট্রনেরা নিজ দোষগুনে বলয়িত হয়ে রবে;
কোনো অন্তিম ক্ষালিত আকাশে
এর উত্তর হবে?

পশ্চিমের দেওয়া প্রকৃতিবিজ্ঞান অনুযায়ী অবশ্যই পর্যবেক্ষক নিজেও ইলেকট্রন-কোয়ার্ক বহন করেন। এজন্য দেখুন প্রাচ্যের কবিও দ্বন্ধে পড়ে গেছেন প্রকৃতিবিজ্ঞানকে অস্বীকার করতে না পেরে, কিন্তু নিজের অসহায় অনুভব থেকে প্রশ্নও ছুড়ে দিয়েছেন যে, ইলেকট্রনরা তাহলে ভালোবাসার ব্যাপারে এসে নিজ দোষগুনে 'বলয়িত' হয়ে আছে কি নেই সেইটার উত্তর কে দেবে? মানুষ কি তাহলে শুধুই কার্বন-বেইজড ইলেকট্রন প্রোটন বহনকারী এক অস্তিত্ব? এর বাইরে আর কিছুই নয়? কোন অন্তিম ক্ষালিত আকাশে এর উত্তর হবে!

১২| ১৫ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: যেটাই পোস্ট করি না কেন-- সবসময় এসে তেল দিয়ে যাবেন।

তেল দিয়ে আমার লাভ কি?

১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:১৯

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: লাভ কিছুই না, আপনি যে ঠিক-ঠাক আছেন ওইটা জানা হয়। আপনার কমেন্ট না পেলে মনে হয় কোথাও সমস্যা দেখা দিয়েছে।

১৩| ১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:২৭

সুপারডুপার বলেছেন:



আপনি বলেছেন, প্রকৃতিবিজ্ঞানের দেওয়া টাইম অনুযায়ী টাইমের পেছনে যেতে হলে পৃথিবীর রোটেশনকে ধীরে ধীরে কমিয়ে এটাকে উল্টোদিকে রোটেট করাতে হবে, তাহলে টাইমের পেছনে যাওয়া সম্ভব।

- কিন্তু টাইমের টাইমের পেছনে যাওয়া তখনি সম্ভব যখন আমরা আলোর চেয়ে বেশি গতিতে ছুটতে পারবো ( নিচে Cassiopeia Project এর ভিডিও ) । আপনি কিভাবে পৃথিবীর রোটেশনের সাথে আলোর গতির পারস্পরিক সম্পর্ক করলেন ?



Cassiopeia Project এর এর ভিডিও গুলো বেশ ইন্টারেষ্টিং। ভার্সিটিতে পড়াকালীন কোয়ান্টাম মেকানিক্স বোঝার জন্য আমার বেশ কাজে দিয়েছে।

এরপরে আবার আসতেছি। ব্যস্ততার কারণে একটু ধীরে ধীরে আসতে হচ্ছে।

১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৬

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: কারণ আমি অতিকষ্টে নিউটনিয়ান পদার্থবিদ্যা হৃদয়ঙ্গম করেছি, কোয়ান্টামে এসে এখন আমাকে বেগ পেতে হচ্ছে...আমার আগের কমেন্টগুলো পড়লে দেখতেন সেখানে আমি বলেছি যে আমি রিসেন্টলি কোয়ান্টাম মেকানিক্স শুরু করেছি। ফলে, আলোর চেয়ে বেশি গতিতে ছুটে টাইম ট্রাভেলের এর ধারণায় আসতে আমার আরো টাইম লাগবে।

আচ্ছা, টাইমকে আপনি কিভাবে ডিফাইন করেন সেটা বুঝছি না। যেমন : আমি বলেছি আমার কাছে টাইম হলো সূর্যের চারপাশে আর্থের রোটেশন। আপনি যদি আলোর চেয়ে বেশি গতিবেগ অর্জন করে, গ্র্যাভিটি কিংবা অন্যান্য সকল গ্রহ-উপগ্রহ-স্টার --এর গ্র্যাভিটেশনাল ফোর্স কাটিয়ে "স্পেস" এর মধ্য দিয়ে গতিশীল হতে পারেন তখন কোন ফ্রেইমওয়র্ক থেকে আপনি টাইম এর সংজ্ঞা দেবেন? এই যে ধরুন, 'আজ' ১৫ জুন, ২০২০ থেকে 'কাল' ১৬ জুন হবে-- এই টাইম ফ্লোটার সোর্স কোথায়? এটাতো আর্থের রোটেনশন, আপনার হাতের অ্যানালগ ঘড়ি বা স্মার্টওয়াচ কিংবা কম্পিউটারে যে টাইম বলছে সেটারও-তো একই সোর্স। আপনি আলোর চেয়ে বেশি গতিতে যদি ছোটেন তখন টাইমকে ডিফাইন করা হবে কিভাবে?

১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৪৩

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: সমস্যাটা সম্ভবত এই জায়গায় যে আমি এখনো নিউটনিয়ান জগত থেকে পুরোপুরি আইনস্টানীয় জগতে প্রবেশ করিনি। আমার ম্যাক্রোস্কেলেই বেশ ভালো চলে যায়, মাইক্রোস্কেলের ইনটুয়িশনগুলো ধরতে কষ্ট হয়।

১৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:২২

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: আপ্নের ক্যাসিওপিয়া প্রজেক্টের ভিডিওর বায়ান্ন সেকেন্ডে বলা হচ্ছে, "এবরিথিং ইন দা ইউনিভার্স ইজ ট্রাভেলিং থ্রু স্পেস অ্যান্ড টাইম অ্যাট দা স্পিড অব লাইট (হুইচ ইজ) দা ম্যাক্সিমাম স্পিড অ্যাভেইলেভল।" মানে বোঝা গেল না। স্পেস-টাইমের মধ্যে দিয়ে আর্থের রোটেশনও কি স্পিড অব লাইটের সমান নাকি?

১৪| ১৬ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৫৭

সুপারডুপার বলেছেন:



মানুষ যখন কোনো রহস্যের সমাধান করতে পারে না , তখন ঈশ্বর হচ্ছে তার অনুভূতির প্রকাশ। বেশিরভাগ মানুষের মনে ঈশ্বর বলতে যা খেলে সেটা হচ্ছে এক ধরণের 'কিং' এর মত। বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে, ঈশ্বরের হাতে রহস্যের সমাধানের দায়িত্ব দেওয়া মানে, রহস্যের সমাধানের পথ বন্ধ করা। যদিও ম্যাক্স প্লাঙ্কের এই কথার 'Science cannot solve the ultimate mystery of nature. And that is because, in the last analysis, we ourselves are a part of the mystery that we are trying to solve' প্রেক্ষিতে অনেক কিছু ভাবনা আসে কিন্তু আমি মনে করি , জীবন ( অন্য ভাষায় রূহ ,কলব, আত্না ইত্যাদি ) ল্যাবে তৈরী করতে পারলে এবং আইনস্টাইন হাইজেনবার্গের মত যেকোন বুদ্ধিমান মানুষকে অসীম জীবন দেওয়া সম্ভব হলে ,"One day science will solve the ultimate mystery of nature"। ঈশ্বরের আলোচনায় আর যাই না। আমার আগের মন্তব্যে ঈশ্বরের স্থানে 'পর্যবেক্ষক' চিন্তা করে নিবেন। পর্যবেক্ষক শুধু প্রকৃতির উপাদান (স্থান , সময় , ভর ) কে পর্যবেক্ষণ করছে , আর যে স্থান , সময় , ভরকে ডিজাইন করছে তাকে বোঝার সাপেক্ষে 'ডিজাইনার' বলা যায়। আর এই ডিজাইনারের পথে গেলেই মূল রহস্য সমাধান সম্ভব হবে।

এরপরে সময় করে আপনার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কোয়ান্টাম মেকানিক্স, স্থান , সময় , ভর নিয়ে আবার আসতেছি। আপনার সাথে ধীরে ধীরে আলোচনা করে অনেক কিছু জানা হচ্ছে।

১৬ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১১

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: ম্যাক্স প্ল্যাঙ্কের আগে একই কথা কান্টও বলে গেছেন যে, আমরা এমন এক বাস্তবতার ক্ষুদ্র অংশ যার পুরোটা সমাধান করা আমাদের পক্ষে 'কখনোই' সম্ভব নয়। কারণ সমগ্র বাস্তবতা আমাদের অভিজ্ঞতায় নেই। অবশ্য বিজ্ঞান তাতে থেমে থাকেনি। ঈশ্বরের আলোচনা করতে আমার ভালো লাগে না, কারণ আমার মনে হয় এইটা অনর্থক মেটাফিজিক্যাল জটিলতা সৃষ্টি করে। আর হ্যাঁ, ঈশ্বরের স্থানে আপনি যে পর্যবেক্ষককে বসালেন, এই আইডিয়াটা ভালো লেগেছে যদিও আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখেছি যে পর্যবেক্ষকের পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়াও অনেকসময় স্থান-কাল-পাত্র নির্বিশেষে পরিবর্তনশীল। "ডিজাইনারের পথে গেলেই মূলরহস্য সমাধান সম্ভব।"-- এই কথাটি আরেকটু ব্যাখ্যা করবেন কি?

১৬ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৬

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: ঈশ্বর সংক্রান্ত যেকোন আলোচনায় আমি যে সমস্যাটি সবসময়ই দেখি, সেটা হল দু'জনের ঈশ্বর ধারণা এক হয় না, কারণ ঈশ্বর সংক্রান্ত ইতিহাস না জানার সমস্যা। আপনি যদি ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোন থেকে ঈশ্বরকে দেখেন, ঈশ্বর সংক্রান্ত ধারণাগুলো আদিতে কেমন ছিলো, ধর্মে-দর্শনে কিভাবে এর উৎপত্তি ঘটলো, ঈশ্বরের ক্রমবিকাশ বা ইভুলুশন এসব নিয়ে পড়াশোনাটা শেষ করে ফেলেন-- তাহলে ঘটনাটা আপনার কাছে জলের মত তরল ঠেকবে এবং সবচেয়ে ভালো যে ব্যাপারটি হবে তা হলো আপনি আর ঈশ্বর নিয়ে কোন ধরনের অহেতুক বিতর্কে সময় নষ্ট করবেন না। আর বিশ্বাসীরা সবসময় বিজ্ঞান যেখানে থেমে যায় সেখানে গিয়েই অ্যাটাক দিতে চায়, অর্থাৎ ব্যাখ্যাতীতকে তারা ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণস্বরূপ হাজির করে। এটা খুবই বিরক্তিকর। এ কারণেই আমার মনে হয়, আইনস্টাইন-হাইজেনবার্গদের অসীম সময় দিয়েও লাভ নেই। প্রকৃতিবিজ্ঞানের আলোচনায় ঈশ্বরের আলোচনাই এক ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। আপনি প্রথমেই ডিফাইন করে দিলেন যে, বৃত্ত মানে হলো দ্বিমাত্রিক স্পেইসে সেই সমস্ত বিন্দুর সেট যারা একটি নির্দিষ্ট বিন্দু থেকে সমান দূরত্বে অবস্থিত, আবার ফের বলছেন, একটি চতুর্ভূজাকৃতির বৃত্ত আঁকা সম্ভব কি না?-- এটাতো দার্শনিক কূটতর্ক হয়ে গেল।

আমার মনে হয়, আলটিমেইট মিস্টরি অব ন্যাচার সমাধান হলে তখন কূটতর্ক চলবে পর্যবেক্ষককে নিয়ে কিংবা পর্যবেক্ষক যে প্রক্রিয়ার তার পর্যবেক্ষণলব্ধ রেজাল্ট পেলো সেগুলো নিয়েই নতুন দর্শন/অধিবিদ্যার আরম্ভ হবে কারণ বিজ্ঞান এখনো এই প্রশ্নের উত্তর দেয়নি যে পর্যবেক্ষক যখন পর্যবেক্ষণ করে ন্যাচারকে তখন সে নিজেও কি ন্যাচারের অংশ নাকি ন্যাচার থেকে পৃথক কোন স্বতন্ত্র অস্তিত্ব...

১৫| ১৬ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৪

সুপারডুপার বলেছেন:



আমার মতে ডিজাইনারের কনসেপ্ট সহজে বোঝার জন্য ,

একটা কম্পিউটারের কথা চিন্তা করেন। একজন সেটা ডিজাইন করেছে , একজন সেটা বানিয়েছে , একজন সেটা পর্যবেক্ষন করে দেখছে সেটা কিভাবে কাজ করছে, আরকেজন ইউজার সেটা শুধু ব্যবহার করছে ( তার কোনো মাথা ব্যথা নাই সেটা কিভাবে এটা কিভাবে কাজ করছে , কিভাবে ডিজাইন হয়েছে )

স্পেস, টাইম ও ভর বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষন করছে , সাধারণ মানুষরা ব্যবহার করছে। স্পেস, টাইম ও ভর ডিজাইন নিয়ে স্টিফেন হকিং কিছু বলছে। কিন্তু নাথিং (nothing) থেকে স্পেস, টাইম ও ভরের ডিজাইন করা ও বানানো সম্ভব হয় নি। কণাগুলোর ভর আছে বলেই আলোর চেয়ে বেশি গতিতে ছোটানো সম্ভব হচ্ছে না। কারণ ভর থাকলেই আলোর সমান গতিতে ছুটলেই ভর অসীম বা অনেক বেশি হয়ে যাচ্ছে। ভর বিহীন কোনো কিছুই হচ্ছে 'নাথিং '। আর এই নাথিং এর উপরেই সংশয় ভর করেছে।

১৬ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৯

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: ঠিক আছে। কনসেপ্টটা ক্লিয়ার। ভরবিহীন কোন কিছুই "নাথিং"-- এইভাবে ভাবিনি। ডিজাইন নিয়ে হকিং-এর কথাগুলো কয়েক চ্যাপ্টার পড়ে রেখে দিয়েছি। আমার হাতে প্রচুর পড়াশোনা। বিশেষ করে মাইকেলসন-মর্লির প্রাপ্ত পরীক্ষা থেকে পৃথিবীকে স্থির ধরে নেওয়ার কথা ছিলো, বাট তা না করে তত্ত্ব হাজির করা হল পৃথিবী গতিশীল, আর আলোর গতি যেকোন বেগে গতিশীল ফ্রেইমওয়র্কে অবস্থিত পর্যবেক্ষক সাপেক্ষে সর্বদা ধ্রুবক-- এই পসচুলেটস নিয়ে আমার দ্বিধা রয়েছে। আরো পড়াশোনা শেষ হোক, আশা করি একটা কিনারা হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.