![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশ প্রধানত কৃষি অর্থনীতির দেশ বলে বিবেচিত। প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থ এবং গার্মেন্ট শিল্পের ইতিবাচক অবদানের কথা স্বীকার করেও বলতেই হয়, জাতীয় অর্থনীতিতে কৃষির অবদান অনেক। অথচ সেই কৃষককেই কিনা সার্টিফিকেট মামলার ভয়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে! বুধবার যুগান্তরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, সারাদেশে প্রায় ২ লাখ কৃষকের বিরুদ্ধে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’র মতো ঝুলছে অর্থঋণের মামলা। অনেক ক্ষেত্রে ঋণের দায়ে কৃষকের বিরুদ্ধে মামলা করায় পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে তাদের। কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি, কৃষি শ্রমিকের দুষ্প্রাপ্যতা, সর্বোপরি প্রাকৃতিক কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়াসহ উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় কৃষককুল এমনিতেই দিশেহারা। এর ওপর সার্টিফিকেট মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা! অথচ সাকুল্যে সব কৃষকের ঋণের পরিমাণ খুব বেশি নয়। প্রায় ২ লাখ কৃষকের কাছে রাষ্ট্রায়ত্ত ও বিশেষায়িত ৬টি ব্যাংকের পাওনার পরিমাণ মাত্র ৫১৮ কোটি টাকা। এই সামান্য টাকার জন্য লাখ লাখ কৃষককে হয়রানি করায় সার্বিকভাবে ব্যাহত হতে পারে কৃষি উৎপাদন।
দেশে সাম্প্রতিককালে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে বড় বড় কয়েকটি অর্থঋণ কেলেংকারির ঘটনা ঘটেছে। এক হলমার্ক একাই সোনালী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে ২৬০০ কোটি টাকা। অন্যদের টাকার পরিমাণও কম নয়। তাদের কয়েকজন গ্রেফতার হলেও কেউ কেউ জামিনে মুক্ত। কেউ বা পলাতক দেশে ও দেশের বাইরে। তাদের বিরুদ্ধে কোন কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না সরকারকে। উপরন্তু খবর রয়েছে হলমার্ক, ডেসটিনিকে সচল করার জন্য আরও ঋণ দেয়ার। অর্থমন্ত্রী স্বয়ং তাদের ঋণ দেয়ার কথা বলেছেন। অথচ যত খবরদারি কিনা কৃষকের ওপর! ব্যাংক থেকে যৎসামান্য ঋণ পেতে কৃষককে এমনিতেই নানা ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হয়। মূল দলিল ব্যাংকে বন্ধক রাখাসহ নগদ অর্থ ঘুষ দিতে হয় দালাল ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তাকে। ১০ হাজার টাকা ঋণ নিতে গিয়ে কৃষকের হাতে আসে বড়জোর ৮ হাজার টাকা। এ অবস্থায় লাভের গুড় যদি পিঁপড়ায় খেয়ে যায় তাহলে সে ঋণ পরিশোধ করবে কী করে? বর্তমানে কৃষকের আক্ষরিক অর্থেই হয়েছে মরণদশা। একদিকে সে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য পায় না, অন্যদিকে সার্টিফিকেট মামলায় দায়েরকৃত ওয়ারেন্টের খড়গ। বর্তমান কৃষি ও খাদ্যমন্ত্রী কৃষকবান্ধব হিসেবে সুপরিচিত। অর্থমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরও ব্যতিক্রম হবেন কেন? অবিলম্বে সার্টিফিকেট মামলার বেড়াজাল থেকে কৃষক সমাজকে মুক্তি দেয়া হোক। মাত্র কয়েকশ’ কোটি টাকা ঋণ মওকুফ করা দুঃসাধ্য কিছু ন
©somewhere in net ltd.