নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালোবাসি গান শুনতে, লিখতে, পড়তে, তৈরী করতে আরো অনেক কিছু। সরলতাই আমাকে দিয়েছে মুগ্ধতা। সরল জীবনযাপনই সফলতার সোপান বলে আমি মনে করি

প্রশ্নের কারখানা

আগামীকালের ভ্রমে সবাই বন্দী। কিন্তু আগামীকাল নিয়ে না ভেবে আজটাকে সম্বল করেই এগিয়ে যাওয়া উত্তম

প্রশ্নের কারখানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রধানমন্ত্রীর আবেগপ্রবণ ভাষণে কোটা বাতিল

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৩৯

বাহ! চেয়েছিল সংস্কার, পেল বাতিল। :(



খুব সন্দেহ হয় যখন রাজনৈতিক কোন কর্মকান্ড সংঘটিত হয়। তাদের কাজগুলোতে প্রশ্নের পর প্রশ্ন রয়েই যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোটা বাতিলের বক্তৃতা কিছুটা আবেগের ও রাগসমৃদ্ধ ছিল। :D

প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘আলোচনা হলো, একটি সুনির্দিষ্ট তারিখ দিল, কেবিনেট সেক্রেটারিকে আমি দায়িত্ব দিলাম। তারা সে সময়টা দিল না। মানি না, মানব না বলে তারা যখন বসে গেল, আস্তে আস্তে সব তাদের সঙ্গে যুক্ত হলো। খুব ভালো কথা, সংস্কার সংস্কার বলে...সংস্কার করতে গেলে আরেক দল এসে বলবে আবার সংস্কার চাই। কোটা থাকলেই সংস্কার। আর কোটা না থাকলে সংস্কারের কোনো ঝামেলাই নাই। কাজেই কোটা পদ্ধতি থাকারই দরকার নাই। আর যদি দরকার হয় আমাদের কেবিনেট সেক্রেটারি তো আছেন। আমি তো তাঁকে বলেই দিয়েছি, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে বসে তাঁরা কাজ করবেন। সেটা তাঁরা দেখবেন। আমি মনে করি, এ রকম আন্দোলন বারবার হবে। বারবার শিক্ষার সময় নষ্ট হবে।’

কথায় বোঝা যাচ্ছে, কোটা বাতিল ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। প্রয়োজনে কেটে দেওয়া হতে পারে না হয় সংস্কার। কিন্তু শেখ হাসিনার এত দিনের কর্মকান্ডে মনে হচ্ছে, বাতিল মানে বাতিল। আমি একটু জানতে চাই যে, বাতিলের সম্ভাব্য কারণ কি? এবং কোটা বাতিলের ফলে সমস্যা সৃষ্টি হবে নাকি?

এবার একটু প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতির শেষের দুই লাইন দেখি। ‘আমি মনে করি, এ রকম আন্দোলন বারবার হবে। বারবার শিক্ষার সময় নষ্ট হবে।’

না, প্রধানমন্ত্রীর মুখের মৃদু হাসি কোথায়? খুব দরদমাখা বার্তা এবং যুক্তিযতও বটে। জনগণের চিন্তা সকল দেশপ্রধান করতে পারেন না। তবে আমারে মনে হয়, প্রধানমন্ত্রীর মনে নির্বাচনের চিন্তা রয়েছে। বছরটা হচ্ছে নির্বাচনের। সুতরাং এমন গণ আন্দোলন চলতে থাকলে সরাসরি এর প্রভাব পড়বে নির্বাচনে। আর এসব আন্দোলনের সুবিধা তোলার চেষ্টা করবে বিএনপি(যদিও পারবে কি না এ নিয়ে আমার মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে)। তো দেখা যাবে এ আন্দোলন শীঘ্রই যদি চাপা না দেওয়া যায় তা পরবর্তিতে 'কোবরা' হয়ে ছোবল দিবে। আর শেখ হাসিনা ঠিকই বুঝতে পেরেছেন যে, তিনি কোটা সংস্কার করলে তার আন্দোলন আবার হবে। ফলে তাহার নির্বাচনি প্রচারণা ব্যাহত হবে। তাই খুব সহজে একটি ঢিল নিক্ষেপ করেছিলেন সকালেই; ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে। দেখতে চেয়েছেন যে, আন্দোলনকারীদের প্রতিক্রিয়া। আরে বাহ!! সকলেই খুশি। তিনিও খুশি। :) নির্বাচনও নির্ঝঞ্জাট।

মন্তব্য ব্যক্তিগত। কোটা বাদ দেওয়ার কারণ জানতে চাই আরো।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৪৬

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: ঘুরে ফিরে তালগাছটা তার
কোটা সংস্কার চাওয়া হয়েছিল, বাতিল নয়...

কোটা বাতিল করা হলে কোটাধারীরা হয়তো মামলা করবে। যেহেতু কোটাব্যবস্থার সাংবিধানিক ভিত্তি আছে, তাই হাইকোর্ট বিভাগ থেকে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করাটাও অস্বাভাবিক নয়। তখন হয়তো বর্তমান ৫৬% কোটাতেই এটি ফিরে যাবে। সেক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগেরও করার কিছু থাকবে না, কেননা কোটার আনুপাতিক হার কত হবে সেটা নির্ধারণ করে দেয়া হাইকোর্ট বিভাগের কাজ নয়। তাই কোটা রাখতেই হবে, যেকোনো মূল্যে, এবং তা ১০%-ই হতে হবে।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৫১

প্রশ্নের কারখানা বলেছেন: হ্যাঁ, এই ব্যপারগুলো হয়তো আমরা ছাত্ররা একটু কম বুঝি। যে কারণে প্রধানমন্ত্রী এ কথাটি প্রথম ছাত্রলীগের সভাপতি ও সেক্রেটারির মাধ্যমে প্রকাশ করেছে। যদি তৎক্ষণাৎ '৪৮ এর মত "না, না" ধ্বনিতে প্রত্যাখ্যান সম্ভব হতো তবে বোধহয় ভাষণে কিছু পরিবর্তন হতে পারতো। হয়তো :( রাজনীতি বুঝি না কেন জানি?

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:১১

রাজীব নুর বলেছেন: নেত্রী ভালো ডিসিশন নিছে, তার এই ডিসিশন থেকে শিক্ষা নিয়ে রাখলাম।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:২২

প্রশ্নের কারখানা বলেছেন: শিক্ষার জন্য উৎসুক। শিক্ষা দিয়ে একটা ব্লগ লিখলে উপকৃত হতাম দাদা

৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:২৫

ইমরান আশফাক বলেছেন: পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠির জন্য সীমিত পর্যায়ের কোটা রাখা যেত। এখন যেটি হয়েছে সেটা হলো মাথা ব্যাথার জন্যে মাথাটা কেটে ফেলা।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৩৮

প্রশ্নের কারখানা বলেছেন: আপনার কথাটা ঠিক। তবে শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে এই কথা বলেছেন। তাদের জন্য ভিন্ন ব্যবস্থা রাখবেন।

৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৪৮

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: কোটা বাতিল করাই সঠিক সিদ্ধান্ত আমার মতে।
আর কোন সমস্যা হবে মনে হয় না, কারণ মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশে সংখ্যালঘু, তাঁদের দেশের জন্য ত্যাগী হওয়াটা ভুল ছিল সেটাই প্রমাণ করে দিয়েছে মেধাবীরা।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:১৬

প্রশ্নের কারখানা বলেছেন: তবে মুক্তিযোদ্ধা কোটাটিকে সময়পযোগী করে কিছু পরিবর্তন করে ব্যাপারটি ঠিক করা যেত

৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য উনি নিশ্চয় ব্যবস্হা নেবেন; পেছনে-পড়া মানুষদের জন্যও তিনি ব্যবস্হা নেবেন।

উনার উচিত চাকুরী ষৃষ্টি করা, সেটাই সঠিক সমাধান

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৫১

প্রশ্নের কারখানা বলেছেন: চাকরি সৃষ্টিই সঠিক সমাধান

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.