নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আগামীকালের ভ্রমে সবাই বন্দী। কিন্তু আগামীকাল নিয়ে না ভেবে আজটাকে সম্বল করেই এগিয়ে যাওয়া উত্তম
১ম শ্রেণি থেকে ৪র্থ শ্রেণি পর্যন্ত “অংকন” পরীক্ষা দিতে হয়েছিল আমাদের। তখন “অংকন” পরীক্ষায় খুব common একটা বিষয় ছিল রংসহ “একটি গ্রামের দৃশ্য” এবং রংছাড়া “একটি আল্পনা/নৌকা”। রংসহ চিত্রের জন্য ১৫ নম্বর আর রংছাড়া চিত্রের জন্য ৮ নম্বর ছিল। এরপর ৫ম শ্রেণির বিরতি দিয়ে আবার ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত ছিল “চারু ও কারুকলা”। এখানে ছিল একটু ভিন্নতা। চিত্রের সাথে কিছু প্রশ্নের উত্তরও লিখতে হতো। আচ্ছা, খুব ভালো। একটা শিশু চিত্র আঁকবে আর তদানুসারে নম্বর দেওয়া হবে। কিন্তু একটা শিশু যদি আকাশের সূর্যটাকে হলুদ রঙ না দিয়ে সবুজ রঙে সাজিয়ে দেয় তাহলে কি সে গুরুতর অপরাধ করে ফেলবে? অথবা একটা গ্রামের দৃশ্যে যদি নদী আর কুঁড়েঘরকে অনুপস্থিত রেখে চিত্রটা সম্পন্ন করে তবে এখানে দোষের কি রয়েছে? একটি শিশুমন একটি বক্ররেখাও যদি আঁকতে পারে তবে সেটিও একটি শিল্প বলে মেনে নেওয়া উচিত। কিন্তু তার এই শিল্পের বিকাশে barricade কেন দিচ্ছেন? কেন ১৫ বা ৮ নম্বরের মধ্যে তার শিল্পকে আবদ্ধ করে ফেলছেন? আর একটা শিশুর যদি মনেই হয় যে তার আকাশের রঙ বেগুনী করবে, তবে সেখানে লাল কালির দাগ দেওয়ার অধিকার কি আপনার রয়েছে?
নাহ, এটা এখনকার কথা না। আরো ৮-৯ বছর আগের কথা। তবে ওই যে নম্বরের কাঠামোতে যে আমাদের আবদ্ধ করেছে তা এখনো রয়ে গেছে। আমরা এখন বাস্তববাদী শিক্ষার জন্য উঠে-পড়ে লেগেছি। জন্ম->শিক্ষা->চাকরি->মৃত্যু। অধিকাংশেরই জীবনচক্র একক্ষেত্রে এমন হয়। আমাদের এ শিক্ষাতে খুব একটা মুক্তচিন্তার সুযোগ নেই। এটা ঠিক উপরের বর্ণনায় আকাশের রঙ বেগুনী বা সূর্যের রঙ সবুজ করার মতো। আমাদের শিক্ষার চিন্তাটা আবদ্ধ হয়েছে ১০০ নম্বরের মধ্যে। যেখানে ৮০ মানে সুন্দর, স্বর্ণালী জীবন। এ স্বর্ণ লাভের প্রত্যাশায় আমাদের চিন্তা বন্দী।
আমাদের সমাজে মুখস্ত বিদ্যার যে অনেক মূল্য। একটা ছেলে (a+b)2-এর সূত্রটা মুখস্ত বলতে পারে আরে একটা ছেলে একটা রেখাকে বর্গরুপ কল্পনা এ সূত্র প্রমাণ করে দেখাতে পারে। আমাদের সমাজ প্রথম ছেলের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকে। আমাদের শিক্ষা আমাদেরকে এমন নিরস করেছে যে আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে না গেলে বই ধরতে অনিচ্ছুক । আমি বিশ্বাস করি যে, আমাদের শিক্ষাকে প্রাণবন্ত করে তুলতে শিক্ষকের ভুমিকাই সর্বাধিক। একজন শিক্ষকের জানা উচিত যে, কোন পদ্ধতি অবলম্বন করলে প্রতিটি শিক্ষার্থীই তার শিক্ষার সর্বোচ্চটুকু গ্রহণ করবে। আমাদের শিক্ষকরা সবসময় আমাদের কোনকিছুর কারণ দর্শাতে চান না।
১ম শ্রেণি থেকে একটা বাচ্চাকে যখন ক্রমাগত পরীক্ষার রুমে বসতে হয় তখন তার অবচেতন মনে এমনিতেই একটা ধারণা তৈরি হয় যে, পড়ালেখা=পরীক্ষার নম্বর। তাছাড়াও আমরা একটা সহজ সূত্র জানি, “আমি যদি খাতায় কালো কালি দেই তবে শিক্ষক সেখানে লাল কালি দিতে বাধ্য”। দিনশেষে নম্বরটাকেই আঁকড়ে ধরে আমাদের বাঁচতে শেখানো হয় যে......
আমাদের “কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন” রয়েছে। একবার একজন ব্যক্তি ব্যাপারটাকে এভাবে বলেছিলেন যে, “ছাগলের দাঁড়ি আছে, আমারও দাঁড়ি আছে। সুতরাং ছাগল ও আমি সাদৃশ্যপূর্ণ কিন্তু ছাগল আমার পূর্ণ প্রতিনিধিত্ব করে না”।
(অসমাপ্ত)
২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৩৫
প্রশ্নের কারখানা বলেছেন: নম্বর দিবেন না?
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:০৪
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: একটা শিশুর যদি মনেই হয় যে তার আকাশের রঙ বেগুনী করবে,
তবে সেখানে লাল কালির দাগ দেওয়ার অধিকার কি আপনার রয়েছে?
..............................................................................................
চিন্তার অধিকার বিশেষত শিশুর অধিকার মুক্ত হতে হবে ।