![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার উপরে মানুষ সত্য! চেষ্টা করি সেই সত্যকে অনুসরণ করতে।
আমরা বাঙ্গালীরা নারী-পুরুষের চুম্বনকে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নেতিবাচক অর্থেই নিয়ে থাকি। যদিও এই চুম্বনের অর্থ ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির মাঝে ভিন্ন ভিন্ন মূহুর্তে ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে থাকে। অধিকাংশ প্রাণীতে প্রজননকালীন তথা মিলন মূহুর্তের অনেক আচরণের মধ্যে এই চুম্বন অন্যতম! বলা যায় যৌনজনন সম্পন্ন উচ্চতর শ্রেণির প্রাণিতে এই চুম্বনের গুরুত্ব অপরিসীম। যৌনজনন সম্পন্ন উচ্চতর শ্রেণির প্রাণিতে বংশ বিস্তারের পূর্বশর্তই হল শারীরিক মিলন। আর শারীরিক মিলনের মূহুর্তকে রাঙিয়ে তুলতে এই চুম্বন অসাধারণ এক যৌন আচরণ! তাই এই চুম্বন উচ্চতর শ্রেণির প্রাণির কাছে বড়ই আকর্ষণ ও কৌতূহলের একটা ব্যাপার। উচ্চতর শ্রেণির প্রাণিদের মাঝে মানুষও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে চুম্বন যে কেবল যৌন আচরণ তা নয়, সব উন্নত প্রাণিতেই এই চুম্বন দ্বারা যৌন আচরণ প্রকাশের পাশাপাশি সঙ্গী কিংবা শিশু সদস্যের প্রতি আদর, সোহাগ, মায়া-মমতা, ভালবাসাও প্রকাশ করে থাকে। আমাদের মানব সমাজেও এই চুম্বন হল কারো প্রতি আদর, সোহাগ, মায়া-মমতা, ভালবাসা প্রকাশের একটা উপায়। যদিও অন্য ভাবেও তা প্রকাশ করা যায় বা করা হয়। জীবমাত্রই (প্রাণি কিংবা উদ্ভিদ) অন্য জীব বা বস্তুর প্রতিও এই আদর, সোহাগ, মায়া-মমতা, ভালবাসা দেখাতে পারে। আমাদের মানব সমাজেও আদর, সোহাগ, মায়া-মমতা, ভালবাসা প্রকাশে এই চুম্বনের গুরুত্ব অপরিসীম। যদিও সারা বিশ্বে মানব সমাজে অঞ্চল, সম্পর্ক, বয়স, প্রকাশ্যে ও গোপণীয়তার ভিত্তিতে এই চুম্বন প্রদান ও গ্রহণের তারতম্য আছে। তাই প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে আমাদের সমাজের প্রচলিত মার্জিত নিয়ম মেনেই এই দেশে চুম্বনের ব্যবহার থাকা উচিত বলে আমি মনে করি। এই চু্ম্বন কে, কাকে, কখন, কিভাবে (প্রকাশ্যে কিংবা গোপণীয় ভাবে) দেবে তার একটা মার্জিত ধারণা আমরা পরিবার কিংবা সমাজ থেকে পেয়ে থাকি। যেমন আদর, সোহাগ, মায়া-মমতা, ভালবাসা প্রকাশে সন্তান ও পিতা-মাতার মাঝে, ভাই-বোন, নিকট আত্মীয় কিংবা নিজ গোষ্ঠীর স্বজনদের মাঝে অথবা স্বামী-স্ত্রীর মাঝে চুম্বনের বিনিময় আমাদের কাছে মার্জিত একটা ব্যাপার। যদিও একমাত্র স্বামী-স্ত্রীর মাঝে এই চুম্বনের বিনিময় স্থান, সময় কিংবা মূহুর্ত দ্বারা অর্থায়িত। কাজেই একান্ত নির্জন মূহুর্তে স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে যে অর্থে চুম্বন ব্যবহার করেন, অন্য কারো দ্বারা(কিংবা হোক স্বামি-স্ত্রী)সেই অর্থবোধক চুম্বন প্রকাশ্যে কেউ করলে আমাদের সমাজ তা মেনে নেয় না। যদিও বাঙ্গালীর কাছে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চুম্বন হল কেবল যৌনতার একটা উপাদান, বিশেষ করে পরিণত বয়সের মানব-মানবীর ক্ষেত্রে। তবে আমরা স্বীকার করি বা নাই করি আমাদের এই এশীয় সমাজ ব্যবস্থায় সুস্থ স্বাভাবিক প্রাপ্ত বয়স্ক (যদিও সময়ের দাবিতে ১০/১২ বছরের কিশোর-কিশোরীও) নরনারী চুম্বন দ্বারা একে অপরের সান্নিধ্যে আসলে যৌন আবেগের দ্বারাই প্রভাবিত হন বেশি। তাই নাটক-ছিনেমায় পরিচালক-প্রযোজকরা ব্যবসায় ফায়দা লুটতে দর্শক আকর্ষণের জন্য নারীর শরীরের পাশাপাশি প্রধান কিংবা বিশেষ চরিত্রের পাত্র-পাত্রীর এই চুম্বনের দৃশ্যকে ব্যবহার করেন সুনিপুণভাবে! যদিও আমাদের ঢালিউড/টালিউড/বলিউডের সেন্সর বোর্ড বোধ হয় পরিচালক-প্রযোজকদের ব্যবসায়িক লাভ-লজ বিবেচনা করেই ফিল্মের অনেক অংশেই জুড়ে দেয়া যৌন আবেদনময়ী চুম্বনের মতো অনেক দৃশ্যই রেখে দেন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে। তাই বাস্তবতার নিরিখে এটা বলাই যায় যে চুম্বন আমাদের জীবন-যাপন ও সাংস্কৃতিক জীবনে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে। কাজেই এই চুম্বনকে আমাদের জীবন যাপন থেকে বাদ দিতে চাইলেও তা বোধ হয় অসম্ভব! বরং চলতে পথে ভবিষ্যতে বিব্রতকর মূহুর্ত এড়াতে আমাদের নতুন প্রজন্মকে এই চুম্বন প্রদান ও গ্রহণের নৈতিক জ্ঞান দানের বিকল্প বোধহয় নেই!
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪২
চাঁদগাজী বলেছেন:
অবশ্যই, আপনি বিশেষজ্ঞ