নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন মানুষ। ভালো মানুষ হয়তো এখনও হতে পারিনি তবে মন্দ কিছু করি না- কারো মন্দ কিছু করাতে বিশ্বাসও করি না। উপকার করতে না পারলেও কারো ক্ষতি অন্ততঃ করি না!!

বীরেশ রায়

সবার উপরে মানুষ সত্য! চেষ্টা করি সেই সত্যকে অনুসরণ করতে।

বীরেশ রায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

যেহেতু তারা কারণেঅকারণে ধমক খেয়েছে, বড় হয়ে তারাও অন্য ছেলে-মেয়েকে কারণেঅকারণে এমন করেই ধমক দেবে!!

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৬

এবারের এস এস সি পরীক্ষায় হলে গার্ড দিচ্ছি আপন মনে। ছেলে মেয়েরা পরীক্ষাও দিচ্ছে শান্ত শিষ্ট ভাবে। হঠাৎ এক আগন্তুকের আগমন! ঢুকে দেখলেন ছেলে-মেয়েরা সব লেখায় ব্যস্ত। আমিও আমার মতো পায়চারী দিতে দিতে ছেলেমেয়েদের দিকে নজরদারীর দৃষ্টি দিচ্ছি। আগন্তুকের হয়তো খুব ইচ্ছে ছিল- তিনি রুমে ঢুকতেই আমি নত মস্তকে তাকে লম্বা একটা সালাম দেই। কিন্তু সালাম না পেয়ে ( যেহেতু আমি আমার মতো কাজে ব্যস্ত তাছাড়া আমি তার ব্যক্তি পরিচয় জানিও না!!) আমার রুমের তিনজন শান্তভাবে পরীক্ষায় লিখতে থাকা ছেলেকে ধমক দিয়ে বেঞ্চের প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে নিয়ে বসালেন!! তাদের দোষ তাদের সিট বেঞ্চের মাঝ খানে পড়ায় লিখতে লিখতে মনের খেয়ালে তারা বেঞ্চের বাম পাশে এসে পড়েছে!! আর বাম পাশে হাটার মতো ৪/৫ ফিট পরে অপর পাশের বেঞ্চের সারি!!( আমার ধারনা- রুমে ঢুকতেই তেনাকে আমি লম্বা একটা সালাম কেন দিলাম না!!) তাই আমাকে ধমক দিতে না পারায় রাগ বশতঃ তা ছাত্র দের উপর ঝাড়লেন!!! ( তিনি উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাকি কর্তব্যরত কোন ম্যাজিস্ট্রেট তা খোঁজ নেইনি) তবে একটা জিনিস আমার কাছে বেশ মনে হয়েছে তা হল – যে দেশে উচ্চ শিক্ষা লাভ করে শিক্ষা অফিসার কিংবা ম্যাজিস্ট্রেট বাচ্চা ছেলেমেয়েদের সাথে এমন রুঢ় আচরণ করতে পারে সে দেশ ভাল চলতে পারে না!!!! সে দেশের ছেলে-মেয়েরা ভাল মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠতে পারে না! যেহেতু তারা কারণেঅকারণে ধমক খেয়েছে, বড় হয়ে তারাও অন্য ছেলে-মেয়েকে কারণেঅকারণে এমন করেই ধমক দেবে!! এটাই স্বাভাবিক!!!

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩৬

উদীয়মান সূর্য় বলেছেন: সময়টা তখন ২০১৩! আমি এইচ এস সি পরীক্ষার্থী। প্রথম দুটি পরীক্ষার পর বিশেষ কোন রিপোর্টে উপজেলা মৎস অফিসারকে ম্যাজিস্ট্রেটের পাওয়া দিয়ে আমাদের হলে পাঠানো হল। বিজ্ঞান বিভাগের ছেলেদের তিনি চরম পর্যয়ের টাইটে রাখলে। অন্য কারোটা দেখা দূরে থাক, লিখার মধ্যে কেউ যদি ৩০ সেকেন্ড হাতকে রেস্ট দিয়েছে তো তাকে ঝারি দেওয়া শুরু। এভাবেই গেল। রসায়ন পরীক্ষার দিন আমার, আমার পাশের, সামনের, এবং তার পাশের জনের নাম, রোল, রেজি নাম্বার লিখে নেওয়া হল। পরীক্ষার সময় এমনভাবে নাম রোল নিশ্চয় আদর করার জন্য নেয় নাহ। মানুষিক চাপের ভিতর দিয়েই পরীক্ষা দিলাম। বের হয় প্রিন্সিপালের রুমে গিয়ে জানতে পারি গতদিন পরীক্ষা শেষ করে যাবার সময় আমরা তাকে গালি দিছি। আমি তো পুরাই থতমত খাইলাম। পাশের স্যার বলল, করলে ও করছ, নাহ করলে ও করছ। উনি চাইলে তোমাদের এক্মফেইল করতে পারে। তাই স্বীকার করে সরি বলটাই ব্যাটার হবে।! কি আর করা তাই করলাম। এক রকম অমানসিক চাপের উপর রাখতেন তিনি পরীক্ষার হলে। পরীক্ষার পর রেজাল্ট দেখি আমার ২.৯০! ( যদিও টেস্টে আমার এ+)। আবার ইনপ্রোভমেন্ট দিতে গিয়ে ঐ আমার পরীক্ষার সেন্টার যে কলেজে পড়ছিল সেই কলেজেরএক স্যারের সাথ কথা হল। তিনি বলল, এবার সাবধানে পরীক্ষা দিও বাবা। গতবার তোমার প্রতিটা খাতায় মাইনাস করা হইছিল। আমি এবং প্রিন্সিপাল স্যার জানি, কিন্তু কিছুই করার ছিল নাহ। তারও কিছু পর জানতে পারি ঐদিন আসলেই ম্যাজিস্ট্রেট গালী খাইছিল, তবে সেটা আমরা নই, কমার্সের পোলাপান দিছিল! আমার ১টা বছর নষ্ট করল!! কত আপমান সহ্য করলাম বিনা কারনে!!! তবে উপরওলা সবই পুষিয়ে দিয়েছেন আমাকে

২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:৪৪

টরপিড বলেছেন: উদীয়মান সূর্য ভাই, আপনার সাথে যা হলো, তা খুবি দুঃখজনক। তবে জেনে ভালো লাগল যে উপরওয়ালা আপনাকে পুষিয়ে দিয়েছেন, হয়ত সেই উনাকেও পুষিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন অনেক ঘটনা ঘটে, যখন কোন কারো ব্যক্তিগত রাগ/আক্রোশের জন্য কারো পুরো ক্যারিয়ার/জীবন ধ্বংস হয়ে যায়।

জ্ঞান মানুষকে রাগ দেখাতে শিখানোর কথা না, রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে শিখায়, বিনয়ী হতে শিখায়।

৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১৪

প্রামানিক বলেছেন: এসব ঘটনার যে কবে সমাধান হবে আল্লাই জানেন।

৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: কবে যে আমরা বিনয়ী হতে শিখব, ভাল আচরণ করতে শিখব। কবে যে ধমকের বাহাদুরি পরিহার করতে পারব।

৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একটা জিনিস আমার কাছে বেশ মনে হয়েছে তা হল – যে দেশে উচ্চ শিক্ষা লাভ করে শিক্ষা অফিসার কিংবা ম্যাজিস্ট্রেট বাচ্চা ছেলেমেয়েদের সাথে এমন রুঢ় আচরণ করতে পারে সে দেশ ভাল চলতে পারে না!!!! সে দেশের ছেলে-মেয়েরা ভাল মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠতে পারে না!

সত্য কথা।

তারা নিজেও জানেন তারা মানুষের কত বড় ক্ষতি করে!

আমার পিচকি মেয়ে তখন ২তে! মিরপুরেরই এক স্খুলে। বেশ বিশাল ক্যম্পাস.. পরিবেশ সব দেখে ভর্তি করালাম। ৩ দির পরই সে স্কুলে যাবেনা। কেন? তার পেন্সিল বের করতে ব্যাগে খুঁজতে সময় লাগছিল বলে ম্যাডাম নাকি বলেছে কোত্থেকে সব বরিশাইল্যা, নোযাখাইল্যা ঢঅকা ভইরা গেছে.. ব্লা ব্লা ব্লা!
তার কথা আমি কি বরিশাইল্যা . .আর যদি হইও এভাবে বলবে কেন?
আমি বল্লা ঠিক কথা। খুব অন্যায় করছে। চলো কালকেই তোমাকে স্কুল থেকে নিয়ে আসবো।

প্রিন্সিপাল ম্যাডামকে জানালাম। এবং সাথে সাথে টিসিও নিয়ে আসলাম।

একটু শিশু মনের সাইকোলজি, যুক্তির কাছে যারা পরাজিত তারা কিভাবে সুশিক্ষা দেবে!!! অথচ এভাবেই চলছে অধিকাংম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান! আবার সচেতনতা দেখীয়ে ঐ স্কুলে যদি বাচ্চারে রাখেন তবেতো খবরই আছে! মার্কিং এ টাইট.. ছুতো নাতায় হ্যারেজ করা! দিনযার পেচগি...

৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৮

আজমান আন্দালিব বলেছেন: কয়েক ঘন্টার ক্ষমতার দাপট এরকম ভয়ঙ্করই হয়। তাও নিরীহ ছেলেমেয়েদের উপর...

৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৬

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: যেহেতু তারা কারণে অকারণে ধমক খেয়েছে, বড় হয়ে তারাও অন্য ছেলে-মেয়েকে কারণেঅকারণে এমন করেই ধমক দেবে!!
অসাধারণ ও খুবি জরুরি লেখা, মন্তব্য গুলাতেও অনেক ভয়াবহ ব্যপার জানলাম :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.