![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হ্যা ওয়াজিব তবে
তাতে কিছু শর্ত আছে ।
যদি শর্তগুলি উল্লেখ
করি তাহলে দেখা যাবে
বাংলাদেশে জুমার
খুতবা শোনা
ওয়াজিব না ।
কিন্তু যখন আমি এ
কথা বলবো তখন
মূর্খের দল আমাকে
নাস্তিক বলে চিহ্নিত
করতে
দ্বিধাবোধ করবেনা ।
সত্য বলাটা এ সমাজে
অন্যায় ।
আমি বারেবারে সেই
একই অন্যায় করি ।
এ সমাজের
সুবিধাভোগী মাওলানারা
এ শর্ত হয় জানেনা,
নয় তো জেনেও
অন্যদের জানায়না ।
এখন প্রশ্ন হলো-
শর্তগুলি কী কী ?
আমি প্রধান দুটি
শর্ত উল্লেখ করবো যার
ব্যাখ্যা করলে বাংলাদেশে
খুতবা পড়া ও শোনার
কোনো প্রয়োজনীয়তা
পড়বেনা ।
এবং সেটাই সত্য ।
শর্তগুলি হলঃ-
১।
ইসলামী রাষ্ট্র হতে হবে ।
২।
সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার
খুতবা শোনা ওয়াজিব ।
বাংলাদেশে ৯০% মানুষই
ইসলাম ধর্মানুসারী কিন্তু
বাংলাদেশ ইসলামী রাষ্ট্র
না,ইসলামের শাসন
এখানে হয়না ।
২য় তো ইসলামী রাষ্ট্র
না হওয়াতে এখানে
ধর্মীয় কোনো নেতা
নাই তাই অন্য কেউ
খুতবা দেয় ।
ধরে নিলাম,
দিতে পারে কিন্তু
তা দেওয়া ও শোনা
এ দেশের জন্য
অপরিহার্য না ।
আরেকটা প্রশ্ন হলো-
খুতবা কী ?
এটা এ সমাজের
মাওলানারাও
হয়তো জানেনা ।
নয়তো জেনেও জানায়না ।
বেশিরভাগ সম্ভাবনা
এইসব মাওলানার দল
কোরআন ও হাদীসের অপপ্রয়োগকারী ।
খুতবা হচ্ছে তাই,
যা রাষ্ট্রের প্রধান
ব্যক্তি অথবা ব্যক্তিরা
জনগনের উদ্দেশ্য যা
বলবেন তাই,
যাতে উল্লেখ থাকবে
মানুষের অধিকারের
কথা,ইয়াতীম-
মিসকিনদের কথা,
ফেতনা ফ্যাসাদ
সম্পর্কে কথা,
সাম্য,ভ্রাতৃত্ববোধ ও
সম্প্রতির কথা বলা হবে,
ধনী-গরীব বৈষ্যম্য
নিরসনে খুতবায়
বক্তব্য থাকবে
এবং খুতবা অবশ্যই
মাতৃভাষায় দেওয়া
উচিত ।
কিন্তু এ দেশের
মাওলানারা
আরবীতে দেয় ।
কেন দেয় জানেন ?
যাতে জনসাধারন নিজ
নিজ অধিকার সম্পর্কে
সচেতন না হয়,
যাতে তাদের পকেট
ভারী থাকে,
যাতে মূর্খ আরো
মূর্খ হতে পারে ।
নয় তো কয়জন মুসল্লী
মাওলানার ঐ আরবী
খুতবা বোঝে !
যা এতো আয়োজন
করে দিতে হবে ।
যা হোক,
মূর্খ মাওলানা নামক
ভয়ংকর জিনিস থেকে
দূরে থাকুন যাদের
কোরআন শিক্ষার
একমাত্র উদ্দেশ্য
ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করা ।।
©somewhere in net ltd.